Total Pageviews

Sunday, July 19, 2020

To the Lighthouse - Virginia Woolf - Summary (Bangla)

To the Lighthouse - Virginia Woolf - Summary (Bangla)


To the Lighthouse – Virginia Woolf – Summary (Bangla)
ভার্জিনিয়া উলফের অন্যান্য উপন্যাসের মতো টু দি লাইটহাউস (১৯২৮) উপন্যাসটি; দি উইন্ডো টাইম পাসেজ টু দি লাইটহাউস এই তিন পর্বে বিভক্ত একটি চেতনা-প্রবাহী উপন্যাস ভার্জিনিয়া চেতনা-প্রবাহী ধারা (Stream of Consciousness) অক্ষুন্ন রেখেছেন এবং প্রচলিত উপন্যাসের মতো কোনো প্রথাবদ্ধ কাহিনীও তৈরি করেননি। তিনি কাহিনিকারের উপস্থিতি না রেখে তার পূর্বতন উপন্যাসগুলো বিশেষ করে মিসেস ড্যালোওয়ে (১৯২৫)-এর তুলনায় টু দি লাইটহাউস-কে ভিন্ন রকমে সাজাতে চেয়েছেন উপন্যাসটি চরিত্রদের চিন্তা, চেতনা, অনুভূতি, স্মৃতির ধারক, তবে ধারাবাহিকভাবে তা প্রকাশিত নয়। 
মিসেস র‍্যামজে উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র। অন্যান্য চরিত্রগুলো হচ্ছে মি. র‍্যামজে, লিলি ব্রিসকো, বর্ষীয়ান উদ্ভিদ বিজ্ঞানী উইলিয়াম ব্যাঙ্কস, বিপত্নীক অগাষ্টাস কারমাইকেল, উদীয়মান বুদ্ধিজীবী চার্লস ট্যানলে, সুদর্শন কিন্তু কিছুটা বোকা যুবক পল র‍্যালে মিন্টা ডয়েলএরা সকলে গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে মি. মিসেস র‍্যামজের হেব্রিজ দ্বীপপুঞ্জের স্কাঈ দ্বীপের বাড়িতে অতিথি হয়েছেন। র‍্যামজে দম্পতির আট সন্তান, চার ছেলে- এন্ড্রু, জেসপার, রজার জেমস চার মেয়ে; প্রু, ন্যান্সী, রোজ ক্যাম। চরিত্রগুলো আন্ত-কথন, চেতনা পরিবাহী অপ্রথাবদ্ধ ধারা বর্ণনাই উপন্যাসটির মূল বিষয়। 
কিছু দূরে অন্য এক দ্বীপের ম্রিয়মাণ আলোকিত লাইটহাউস উপন্যাসটির বস্তুগত প্রতীকী বিষয়, তাকে কেন্দ্র করেই উপন্যাসের বিস্তার। মি. র‍্যামজের ছয় বছর বয়সী পুত্র জেমস লাইটহাউস যাবার জন্য উদ্গ্রীব। তার সহানুভূতিশীলা মা বার বার তাকে আশ্বস্ত করছেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে পরের দিন সকালে তাঁরা লাইটহাউস যাবেন, কিন্তু তার পণ্ডিত পিতা মি. র‍্যামজে আর তার পণ্ডিতম্মন্য শিষ্য মি. চার্লস ট্যানসলে নিশ্চিত বলে, পরের দিনও আবহাওয়া ভালো হবার কোনো সম্ভাবনা নেই। শিশু জেমস এতে ক্ষুব্ধ ক্ষুন্ন হয়। এরই মাঝে চলতে থাকে অন্য চরিত্রদের কর্ম চিন্তার ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া। সব চরিত্ররা কাছে এসেও কেমন দূরবর্তী, আপন ভুবন বন্দি, আত্মমুখী, আত্মবিহারী।। 
সময় বয়ে যায়। মিসেস র‍্যামজে মারা যায়, প্রু মারা যায়, যুদ্ধের ময়দানে এন্ড্রু মারা যায়। অনেক দিন মি. মিসেস র‍্যামজের গ্রীষ্মকালীন বাড়িটি শূন্য পড়ে থাকে, শুধু পরিচারিকারা তার তত্ত্বাবধান করে। 
মিসেস র‍্যামজে মরে গিয়েও লিলি ব্রিসকোর স্মৃতিতে অমর। লিলি ব্রিসকো তার সার্বক্ষণিক উপস্থিতি টের পায়। অতীত বর্তমানে সেতুবন্ধন তৈরী হয় লিলির চেতনায়। মৃত মিসেস র‍্যামজে বার বার ফিরে আসেন লিলির চিন্তায়, অন্তদৃশ্যে, অবচেতন মনে। প্রায় প্রতিভাহীনা, গড় মানের চিত্র শিল্পী লিলি ব্রিসকো তার অসমাপ্ত ছবি সমাপ্ত করে। জেমস অপূর্ণ স্বপ্ন পূর্ণ করে লাইটহাউস পৌছে। সৌর সময়ের বিপরীতে মানসিক সময়ের জয় হয়। 

1 comment:

  1. অসাধারণ লিখেছেন অবশ্যই আরো লিখে যাবেন ভাই

    ReplyDelete