Silas Marner - George Eliot - Characters Analysis and Summary (Bangla) |
Silas Marner - George Eliot - Characters
Analysis and Summary (Bangla)
প্রধান
চরিত্রসমূহ:
সাইলাস: (Silas Marner)
একজন
তাঁত
বস্ত্র প্রস্ততকারক ও বিক্রেতা। কিছু সময়ের জন্যে হাতুড়ে ডাক্তার।
কাস
গডফ্রে (Godfrey Cass) : স্কয়ার কাসের
চার
পুত্রের
মধ্যে
জ্যেষ্ঠতম।
কাস
ডানষ্টান
(ডান্সি - Dunstan Cass)
: স্কয়ার
কাসের
দ্বিতীয়
পুত্র।
মলি
ফ্যারেন (Molly Farren) : গুঁড়িখানার
মদ
বিক্রেতা
যুবতী,
গডফ্রে
যাকে
গোপনে
বিয়ে
করে। আফিমে আসক্ত।
ন্যান্সী
ল্যামিটার (Nancy Lammeter) : ভূস্বামীর কন্যা,
গডফ্রের
সম্ভাব্য
পাত্রী।
এপি (Eppie)
: গডফ্রে
ও
মলির
অবৈধ
কন্যা,
সাইলাসের
পালিতা
কন্যা।
মিসেস
ডলি
উইনথ্রপ (Dolly Winthrop) : চাকার মিস্ত্রীর স্ত্রী ও এপির ভবিষ্যৎ শাশুড়ি মা।
অ্যারন (Aaron Winthrop) : এপির বন্ধু
ও
সম্ভাব্য
বর ও মিসেস
ডলি
উইনথ্রপ এর ছেলে।
স্কয়ার কাস (জমিদার কাস) – গডফ্রে ও ডান্সির পিতা।
ব্রাইস (Bryce) – গডফ্রে ও ডান্সির বন্ধু এবং যার সাথে ওয়াইল্ড ফায়ারকে বিক্রির বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
জেম রডনি (Jem Rodney) – একজন অবিখ্যাত চরিত্র। যে সাইলাসকে মোহগ্রস্ত অবস্থায় আবিষ্কার করেছিল। সাইলাসের টাকা চুরি হলে প্রথমে সাইলাস তার নামে অভিযোগ করে।
উইলিয়াম ডেন (William Dane) – সাইলাসের ছোটবেলার বন্ধু এবং তার বাগদত্তাকে বিয়ে করে। তাকে ষড়যন্ত্র করে ল্যানটার্ন ইয়ার্ড থেকে বের করার ব্যবস্থা করে।
মি. ল্যামিটার (Mr. Lammeter) – ন্যান্সির বাবা।
মি.স্নেল (Mr. Snell) -
‘রেইনবো’
সরাইখানার
মালিক।
মি. ম্যাসি (Mr. Macey) : স্থানীয় গির্জার
সহকারী
পাদ্রি।
মি.
ক্লিফ
: প্রাক্তন
দর্জি,
বিরাট
আস্তাবলের
মালিক।
মি.
ম্যালাম
টার্লি
: একজন
গ্রামবাসী।
বেন
উইনথ্রপ
: চাকা
নির্মাতা।
প্রিসিলা (Priscilla Lammeter) : ন্যান্সীর ছোটো
বোন।
স্যালি ওটেস (Sally Oates) – একজন মিস্ত্রির বউ এবং তার অসুখের সময় সাইলাসের ঔষধে তার উন্নতি ঘটে।
সারাহঃ (Sarah) সাইলাসের বাগদত্তা।
(Mr. Kimble) – গডফ্রের চাচা ও র্যাভেলোর ডাক্তার।
ফেরিওয়ালা (The peddler) – সাইলাসের স্বর্ণমূদ্রা গুলো চুরি হলে এলাকাবাসী যাকে সন্দেহ করেছিল।
উপন্যাস
সংক্ষেপ
:
উপন্যাসের
শুরুতে সাইলাস মারনারের
হতভাগ্য
ও
রহস্যময়
জীবনের
বর্ণনা
দেয়া হয়। ল্যানটার্ন ইয়ার্ডের একজন তাঁতি সাইলাসের জীবনটা সুখেই ছিল। তার বাগদত্তা সারাহকে পাওয়ার জন্যে ছোটবেলার বন্ধু উইলিয়াম ডেন তাকে ষড়যন্ত্র করে ল্যানটার্ন ইয়ার্ড থেকে চলে যাওয়ার ব্যবস্থা করে। গীর্যার প্রধানের টাকা চুরির অপবাদ মাথায় নিয়ে দূঃখ কস্টকে সঙ্গী করে চলে আসে র্যাভেলো। সেখানে এসে তাঁতির কাজ করতে থাকে। একসময় তাকে স্বর্ণের লোভে পেয়ে বসে। সারাদিন কাজ করে একসময় সে অনেকগুলো স্বর্ণমূদ্রার মালিক হয়। তার আদী নিবাস ল্যান্টার্ন ইয়ার্ডে ধর্মীয় জনগোষ্ঠীর দ্বারা ষড়যন্ত্র এর স্বীকার হয়ে সে ধর্ম ও ঈশ্বর দুটোকেই ঘৃণা করতে থাকে। সাধারণ মানুষের সাথেও তার খুব একটা ভাল সম্পর্ক ছিল না। তবে একবার স্যালি ওটেস নামক এক মহিলাকে ভেষজ উদ্ভিদের মাধ্যমে রোগমুক্তির ব্যবস্থা করলে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ তার কাছে চিকিৎসার জন্যে আসা শুরু করলে সে নিজেই বিরক্ত হয়ে যায়।
(প্রথম ও
দ্বিতীয়
অধ্যায়)।
তৃতীয়
অধ্যায়ে
দুশ্চরিত্র
কাস
ডানষ্টান ওরফে ডান্সি
তার
বড়ো
ভাই
কাস
গডফ্রের মলি ফ্যারেনকে
গোপনে
বিয়ে
করার
কথা
ফাঁস
করে
দেবে
বলে
তাকে ভয় দেখিয়ে
তার কাছ থেকে
টাকা
আদায়ের
চেষ্টা
করে,
যে
টাকা
সে
মদ,
জুয়ায়
ব্যয়
করবে।
গডফ্রে
শঙ্কিত
হয়।
দুর্ভাবনায়
পড়ে
কারণ
তার
আর
মিলির
গোপন
কথা
ফাঁস
হয়ে
গেলে, গডফ্রে অভিজাত মহিলা
ন্যান্সী
ল্যামিটারকে
বিয়ে
করতে
পারবে
না।
ডানষ্টান
গডফ্রের
প্রিয়
অশ্ব ওয়াইল্ড ফায়ারকে (Wildfire)
বিক্রির
জন্য
নিয়ে
যায়।
পথিমধ্যে
দুর্ঘটনায়
‘ওয়াইল্ড
ফায়ার’
মারা
যায়।
ভাই
ও
বাবার
কাছে
জবাবদিহীর
ভয়ে
গ্রাম
ছেড়ে
পালাবার
পথ
খোঁজে
ডানষ্টান।
পালাবার
পথে
সে
সাইলাস
মারনারের
আজীবন
জমানো স্বর্ণমুদ্রার থলে
দুটো
নিয়ে
উধাও
হয়ে
যায়।
মলি
ফ্যারেন তার কন্যার
পিতৃত্বের
দাবি
আদায়ের
জন্য
এক
তুষারময়
দিনে
গডফ্রের
বাড়ির
উদ্দেশ্যে
রওয়ানা
হয়।
পথিমধ্যে
অসুস্থতায়,
অতি
ক্লান্তিতে ও আফিম খাওয়ার জন্যে তার মৃত্যু
হয়।
তার
দু’বছর
বয়সী
শিশুকন্যা
হাঁটি
হাঁটি
পা
পা
করে
সাইলাস
মারনারের
কুটিরে
হাজির
হয়। শিশুটির পায়ের ছাপ লক্ষ করে সে মলি ফ্যারেন এর মৃতদেহ খুজে পায়।
সেদিন রাতে জমিদার কাসের বাড়িতে উৎসব চলছিল। সাইলাস চিকিৎসকের খোজে জমিদার কাসের বাড়িতে যায়। গদফ্রে তার কোলে শিশুটিকে দেখেই চিনে ফেলে। চিকিৎসক মলিকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষনা করে। গডফ্রে হন্তদন্ত হয়ে সাইলসের বাসায় যায় এবং তাকে কিছু অর্থ সাহায্য প্রদান করে এবং ভবিষ্যতে আরো সাহায্য করবে বলে যায়। সোনালি
চুলের
অপূর্ব
সুন্দর
শিশুটিকে
সাইলাস
ঈশ্বর
প্রদত্ত
রহমত ভেবে
নিজ
কন্যার
মতো লালনপালন করতে থাকে।
নাম
দেয়
এপি।
১৬ বছর পরেঃ
অষ্টাদশী
এপি,
অ্যারণ
নামক
এক
যুবককে
ভালোবাসে।
বিয়ে
করতে
হলে
এপি
তাকেই
বিয়ে
করবে
বলে
তার
পালক
পিতা
সাইলাসকে
জানায়।
ইতোমধ্যে
গডফ্রে
ও
ন্যান্সী
দম্পতি
এক
সন্তানের
জন্ম
দেয়।
শিশুটি
অকালেই
মারা
যায়।
কর্তব্য
সচেতন
গডফ্রে
সাইলাসের
পালিতা
কন্যা
ঠিক
চিনতে
পেরেও
ন্যান্সীও
সমাজের
ভয়ে
তাকে
স্বীকৃতি
না
দিলেও
পরোক্ষে
সাইলাসকে
অনেক
সাহায্য
করে
সচ্ছল
জীবযাপনের
জন্য।
অনেক
দিন
পরে
ডানষ্টান
গডফ্রের
মৃতদেহ
আবিষ্কৃত
হয়,
সাইলাসের
স্বর্ণ
মুদ্রার
থলে
দুটিও
উদ্ধার
হয়।
বিবেকের
যন্ত্রণায়
অস্থির
হয়ে
গডফ্রে
একদিন
ন্যান্সীর
কাছে
তাঁর
জীবনের
সব
গোপন
কথা
প্রকাশ
করল
অনেক
আশঙ্কা
সত্ত্বেও।
আশ্চর্যের
বিষয়
ন্যান্সী
গডফ্রের
গোপন
ঘটনা
সব
শুনেও
কোনো
বিরুদ্ধ
মন্তব্য
বা
আচরণ
তো
করলই
না
এবং
এপিকে
পিতৃগৃহে
ফিরিয়ে
আনার
প্রস্তাব
করল।
সেই
অনুসারে
গডফ্রে
ও
ন্যান্সী
একদিন
সাইলাসের
কুটিরে
হাজির
হয়ে
সেই
প্রস্তাব
করল।
এপিকে
কোলেপিঠে
করে
মানুষ
করলেও
সাইলাস
তার
পালক
পিতৃত্বের
দাবিতে
অনঢ়
থাকল
না।
সাইলাস
এপির
সিদ্ধান্তকেই
প্রাধান্য
দিল।
এপি
তার
জন্মদাতা
ভূস্বামী
পিতার
আজিজাত্যে
আকৃষ্ট
হলো না। এপি তার
দরিদ্র
পালক
পিতার
কাছেই
থাকতে
চাইল।
কোনো
অভিজাত
পরিবারের
যুবককে
বিয়ে
করার
প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান
করে
দরিদ্র
ঘরের
সন্তান
এ্যারনকেই
বিয়ে
করার
সিদ্ধান্ত
ন্যান্সী
ও
গডফ্রে
দম্পতিকে
জানিয়ে
দিল।
সবশেষে
সবার
সম্মতি
ও
সহযোগিতায়
এপি
ও
এ্যারনের
বিয়ে
হয়ে
গেল
কোনো
এক
বসন্ত
দিনে।
সাইলাস
মারনারের
রহস্য-ঘেরা
জীবন
আর
গডফ্রে,
ডানষ্টানের
অন্তর্কলহের
জটিলতা
দিয়ে
উপন্যাসটির
সূচনা
হলেও
উপন্যাসটি
শেষে
মিলনান্তকই
হয়।
সম্ভবত
পাঠকের
সহজ
গ্রাহ্যতার
আশায়।
না
হলে
শুধু
সাইলাসের
জীবন
বা
গডফ্রে-ডানষ্টানের
দ্বন্দ্ব-সম্পর্ক
নিয়েও
উপন্যাসটি
একটি
পূর্ণাঙ্গ
উপন্যাস
হতে
পারত।
চার্লস
ডিকেন্স
তার
‘গ্রেট
এক্সপেকটেশান’
উপন্যাসটির
শেষাংশ
ও
পরিবর্তন
করে
মিলনান্তক
করেছিলেন
পাঠক
প্রিয়তার
আশায়।
বলা
যায়,
ভিক্টোরীয়ান
ঔপন্যাসিকদের
অনেকেই
পাঠক
প্রিয়তাকে
অগ্রাধিকার
দিতেন।
অনেক
ব্যতিক্রমও
আছে।
জর্জ
এলিয়ট
সহজ
পথটিই
বেছে
নেন।
যুগ
ও
যুগ
চাহিদা
অনুসারে
ভার্জিনিয়া
উলফ
ব্যতিত
অন্যান্য
ভিক্টোরীয়ান
ঔপন্যাসিকরা
প্রচলিত
ধারার
উপন্যাস
রচনা
করেন।
জর্জ
এলিয়টও
প্রচলিত
ধারা
অনুসরণ
করেন।
অনেক
নাটকীয়তা
(ওয়াইল্ড
ফায়ারের
মৃত্যু,
ডানষ্টানের
নিরুদ্দেশ হওয়া, ডানষ্টানের
মৃতদেহ
আবিষ্কার,
সাইলাসের
স্বর্ণ
মুদ্রা
উদ্ধার,
এপির
সাইলাসের
কুটিরে
গিয়ে
ঘুমিয়ে
পড়া)
দিয়ে
উপন্যাসটিকে
জমজমাট
কাহিনি
সমৃদ্ধ
করা
হয়েছে।
উপন্যাসটির
শ্রেষ্ঠ
আকর্ষণ
জর্জ
এলিয়টের
অভিজাততন্ত্র
ও
আভিজাত্য
বিরোধিতা,
এপি
চরিত্রের
মাধ্যমে
সফলভাবে
তিনি
দারিদ্রকে
মহিমান্বিত
করেছেন।
তাঁর
মানবতাবাদী,
প্রগতিশীল
দার্শনিক
স্বামী
জর্জ
হেনরী
লুইয়ের
চিন্তায়
প্রভাবিত
হয়েই
তিনি
এরকম
দৃষ্টিভঙ্গি
অর্জন
করে
এপি
চরিত্রের
মাধ্যমে
তার
বহি:প্রকাশ
ঘটান।
No comments:
Post a Comment