Novels of Virginia Woolf and Stream of Consciousness (Bangla) |
Novels of Virginia Woolf and Stream of Consciousness (Bangla)
চেতনা
প্রবাহী
উপন্যাস
ও
ভার্জিনিয়া
উলফ
চেতনা
প্রবাহ
শব্দগুচ্ছটি
উইলিয়াম
জেমস
প্রথম
ব্যবহার
করেন
তাঁর
‘Principles
of Psychology’ গ্রন্থে। চিন্তার,
স্মৃতির,
অনুভূতির
ধারা
ক্রম,
চেতন
মনে
যেভাবে
প্রবাহিত
হয়
সংক্ষিপ্তাকারে
তা
বুঝতেই
জেমস
এ
শব্দগুচ্ছ
ব্যবহার
করেন।
আধুনিক
উপন্যাসের
বর্ণনা
ভঙ্গিতে
ঔপন্যাসিকরা
এটি
ব্যবহার
করতে
শুরু
করেন।
এ
বর্ণনা
ভঙ্গির
প্রধান
বৈশিষ্ট্য
হলো:
অবচেতন
মন
ও
চেতন
মনের
মিলিত
ধারায়
ঔপন্যাসিকের
মনে
যে
ভাবনাগুলো
নিরন্তর
প্রবাহিত
হতে
থাকে
তারই
শৈল্পিক
প্রকাশ
ঘটান
ঔপন্যাসিক।
ঔপন্যাসিকের
চেতনা
কখনো
কখনো
ব্যক্তিকেন্দ্রিক
হলেও
বর্ণনা
বৈশিষ্ট্যের
জন্য
তা
সর্বজনীন
হয়ে
উঠে,
কারণ
সব
মানুষের
মনন
গঠন
ও
চিন্তা
প্রক্রিয়া
একই
রকম।
শিল্পী
মনের
শাণিত
অনুভূতি
দিয়ে
মানুষের
চিরন্তন
চেতনা
প্রবাহকে
ঔপন্যাসিক
শিল্পমণ্ডিত
করে
প্রকাশ
করেন
মাত্র।
সে
কারণেই
স্যামুয়েল
রিচার্ডসন
থেকে
শুরু
করে
উইলিয়াম
জেমসের
ভাই
হেনরী
জেমস
হয়ে
অনেক
আধুনিক
ঔপন্যাসিক,
চেতনা
প্রবাহ
বর্ণনা
ভঙ্গিটি
অনুসরণ
করেন।
অনেক
সাহিত্য
সমালোচক,
চেতনা
প্রবাহকে
আন্ত-কথনের
(interior monologue) বিকল্প মনে
করেন।
মূলত
আন্ত-কথন
হচ্ছে
চেতনা
প্রবাহের
সেই
ধারা,
যাতে
উপন্যাসের
কোনো
চরিত্রের
চেতনার
প্রবাহ
ও
তাঁর
ছন্দকে
পাঠকের
নিকট
উপস্থাপন
করা
হয়।
আন্ত-কথন
প্রক্রিয়ায়
ঔপন্যাসিক
কখনো
চরিত্রটির
মনোকথনে
অন্তরায়
সৃষ্টি
করেন,
করলেও
অতি
অল্প
সময়ের
জন্য
চরিত্রটির
চিন্তায়
ঔপন্যাসিকের চিন্তা
ও
মন্তব্য
যোগ
করেন,
কিন্তু
চরিত্রটির
চিন্তার
বিশৃঙ্খলাকে
কখনো
পরিপাটি
করে
সাজান
না
বা
চরিত্রটির
উচ্চারিত
বাক্যগুলোকে
বৈয়াকরণিক
শুদ্ধতা
দেন
না,
বাক্যগুলোর
মাধ্যমে
প্রকাশিত
ভাবগুলোকে
পূর্বাপর
সম্পর্কিত
যৌক্তিকতা
দেবার
চেষ্টা
করেন
না।
তিনি
খুব
বেশি
হলে—-চরিত্রটির
মনে
যে
চেতনা
জাগে,
যে
রূপকল্প
তার
মনে
আসে,
যে
ভাবনায়
চরিত্রটি
তাড়িত
হয়;
সেগুলোর
যেহেতু
কোনো
কথ্য
রূপ
নেই-ঔপন্যাসিক
তারই
কথ্য
রূপ
দেন
মাত্র।
জেমস
জয়েস
একটা
ভিন্ন
আঙ্গিকে
চেতনা
প্রবাহকে
ব্যবহার
করেন
তাঁর
‘ইউলিসিস'
(১৯২২)
উপন্যাসে।
ডরোথি
রিচার্ডসনও
চেতনা
প্রবাহকে
ব্যবহার
করেন
তার
নিজস্ব
ভঙ্গিতে
তার
বারো
খণ্ডে
সমাপ্ত
“Pilgrimage”
(১৯১৫-৩৮)
উপন্যাসে।
ভার্জিনিয়া
উলফ
তাঁর
উপন্যাস
দুটিতে:
“Mrs. Dalloway’ (১৯২৫), ‘To the Lighthouse' (১৯২৭)
চেতনা
প্রবাহী
উপন্যাসে
স্বাতন্ত্র
আনেন।
বিশ্বযুদ্ধোত্তর
ইংল্যান্ডের
নতুন
সমাজ
বাস্তবতা
নিয়ে
তাঁর
‘Mrs.
Dalloway উপন্যাসটি, উপন্যাসের
কেন্দ্রীয়
চরিত্র
ক্লারিসার
মাত্র
এক
দিনের
আত্মগত
ভাবনার
ফসল।
ক্লারিসা
ও
উপন্যাসের
অন্যান্য
চরিত্রের
অন্তর্গত
ভাবনাসমূহ
চেতনা
প্রবাহী
ধারায়
এমনভাবে
আন্তসম্পর্কিত,
যেন
মাকড়সার
জালের
মতো
তারা
পারস্পরিক
সম্পর্কিত
হয়ে
একটি
পূর্ণ
চেতনার
রূপ
পায়।
উপন্যাসের
সামগ্রিক
চেতনা
ও
চেতনা
সূত্র
এমনভাবে
সুগঠিত
যে,
একশটি
চরিত্রের
কোনোটিই
যোগসূত্র
বিচ্ছিন্ন
হয়
না,
কারণ
উলফ
মনে
করতেন,
“জীবন
জাল”
হচ্ছে
প্রতিটি
মানুষের
বিচ্ছিন্ন
অভিজ্ঞতায়
সৃষ্ট
একটি
পূর্ণ
অবয়ব
বা
দেহ। তাঁর
আত্মজৈবনিক
“Moments
of Being” (১৯৪১) গ্রন্থে
তিনি
এ
অভিমত
দেন।
কখনো
কখনো
হয়ত
সে
জাল
ছিড়ে
যায়
এবং
ব্যক্তি
সে
অবকাশে
বাস্তবতাকে,
বাস্তবে
তার
অবস্থানকে
আবিষ্কার
করে
স্বচ্ছভাবে
“ইউরোপীয়
যুদ্ধের
ব্যাপক
ধ্বংসযজ্ঞে
...”
ভার্জিনিয়া
উলফ
লেখেন
“আমাদের
আবেগ
ভেঙে
পড়তে
বাধ্য,
আমাদেরকে
এমন
এক
কোণে
আবদ্ধ
রাখবে
আমাদের
আবেগ,
সেই
কোণ
থেকেই
আমরা
কবিতা
ও
উপন্যাসে
জীবনকে
অনুভব
করব।”
এমন
কথাই
লেখেন
ভার্জিনিয়া
তার
“The
common Reader” রচনা সঙ্কলনে।
এই
সঙ্কলনটি
“Mrs.
Dalloway” উপন্যাসের এক
বছর
আগে
প্রকাশিত
হয়।
প্রথাগত
গল্প
বা
গল্প
বলার
ভঙ্গি
বিংশ
শতকের
উপন্যাসে
মৃতপ্রায়।
ভিক্টোরীয়
উপন্যাস
পর্যন্ত
প্রচলিত
গল্প
ও
তার
বর্ণনা
ভঙ্গি
প্রতিষ্ঠিত
ছিল।
গল্পের
মধ্যেই
জীবন
খুঁজতেন
ভিক্টোরীয়
ঔপন্যাসিকরা,
কিন্তু
বিংশ
শতকীয়
উপন্যাস
ভিন্ন
পথে
জীবন
উদ্ঘাটনে
ব্রতী
হয়।
ইউলিসিস- এর মতো
বিখ্যাত
আধুনিক
উপন্যাসগুলো
মূলত
গল্প
হলেও
এদের
বৈশিষ্ট্য
হলো:
গল্পগুলোর
শেষ
নেই,
গল্পের
বাক্যগুলো
ব্যাকরণানুসারী
নয়,
ঔপন্যাসিক
বাক্যগুলোতে
এতসব
মন্তব্য
জুড়ে
দেন,
এত
সব
খণ্ডবাক্য
ও
বন্ধনী
ব্যবহার
করেন
যে
মূল
বাক্যটিই
অসমাপ্ত
থেকে
যায়
বা
ঝুলে
পড়ে।
আধুনিক
উপন্যাসও
একটি
অসমাপ্ত
বাক্যের
মতোই
প্রায়;
যার
শুরু
আছে
শেষ
নেই,
উপন্যাসের
এই
অসমাপ্তি
যেন
মানুষের
চিন্তার,
চেতনার,
বিশ্বাসের
অসমাপ্তির
প্রতিরূপ।
আধুনিক
মনোবিজ্ঞান
মানুষের
জীবনকে
ধারাবাহিক
ঘটনাক্রমের
ধারাবাহিকতা
হিসেবে
দেখে
না
বরং
কতগুলো
বিচ্ছিন্ন
মুহূর্তের
পর্যায়ক্রম
হিসেবে
দেখে।
তাই
আধুনিক
ঔপন্যাসিকরা
কোনো
একটি
বিশেষ
মুহূর্তের
চেতনাকেই
তুলে
ধরে
থাকে,
অবিচ্ছিন্ন
কোনো
গল্প
বলার
চেয়ে,
বিচ্ছিন্ন
মুহূর্তের
চেতনাকেই
প্রাধান্য
দেয়
আর
তাই
তারা
দেয়ালঘড়ির
দিকে,
পঞ্জিকার
দিকে
তাকিয়ে
স্বচ্ছন্দে
বর্তমানের
অগ্রে
এবং
পশ্চাতে
চেতনায়
আসা
যাওয়া
করে।
তারা
সময়ের
ঐক্যের
দিকে
কোনো
ভ্রুক্ষেপ
করে
না।
বর্তমানে
বসে
মুহূর্তেই
চলে
যায়
অতীতে
আবার
ফিরে
আসে
বর্তমানে
বা
দৃষ্টি
দেয়
ভবিষ্যতের
পানে।
বর্তমানও
থাকে
তাৎক্ষণিক
বিচ্ছিন্ন
চেতনার
ধারক
হয়ে,
পারম্পর্যহীন
হয়ে।
প্রথাগত
উপন্যাস
পাঠে
অভ্যস্তরা
তাই
আধুনিক
উপন্যাস
পাঠে
একটু
বিব্রত
বোধ
করে,
কিন্তু
একবার
ঔপন্যাসিকের
চেতনায়
নিজেকে
সম্পৃক্ত
করতে
পারলে
উপন্যাসটি
পাঠকের
কাছে
সুপাঠ্যই
মনে
হবে।
ভার্জিনিয়া
উলফের
“Mrs.
Dalloway” উপন্যাসটিতে উপরের
সবগুলো
বৈশিষ্ট্যই
বিদ্যমান।
উপন্যাসটি
রচনার
প্রস্তুতি
পর্বে
উলফ;
গ্রিক
ক্লাসিকস,
আধুনিক
ঔপন্যাসিক
মার্সেল
প্রুষ্ট,
জেমস
জয়েস
অধ্যয়ন
করেছিলেন
সযত্নে।
প্রষ্ট
ও
জয়েস
সময়
ও
চেতনাকে
যেভাবে
বিধৃত
করেন
ভার্জিনিয়া
তার
দ্বারা
প্রভাবিত
হন
ব্যাপকভাবে।
সমসাময়িক
রাজনৈতিক
সামাজিক
অবক্ষয়কে
তুলে
ধরেন
আধুনিক
ঔপন্যাসিকদের
কৌশলে।
দুই
বিশ্বযুদ্ধের
অন্তর্বর্তীকালীন
সময়কে
চিত্রিত
করেন,
কর্মজীবী
নারীদের
অধিকারের
পক্ষে
দাঁড়ান।
অস্থির রাজনৈতিক
অবস্থা
তুলে
ধরেন;
পিটার
ওয়ালস,
রিচার্ড
ড্যালোওয়ে
ও
হিউ
হোয়াইটব্রেডের
চরিত্রের
মাধ্যমে,
সেপ্টেমিয়াস
ওয়ারেন
স্মিথ
ও
ক্লারিসা
ড্যালোওয়ের
মাধ্যমে।
যদিও
উপন্যাসের
চরিত্ররা
সরাসরি
কোনো
বিষয়ে
জড়িত
হয়
খুব
কমই।
চরিত্ররা
চিত্রিত
হয়
অন্যের
ভাবনায়,
অন্যরা
বিশেষ
চরিত্রটি
সম্বন্ধে
কী
ভাবে
তারই
পর্যায়ক্রমিক
বর্ণনায়,
চেতনা
প্রবাহে;
মনোবিশ্লেষণে।
কখনো
প্রত্যক্ষ
বর্ণনায়,
কখনো
পরোক্ষ
বর্ণনায়
চরিত্ররা
চিত্রিত
হয়।
চেতনা
প্রবাহী
উপন্যাস
যেহেতু
সংক্ষিপ্ততম
বাক্য
ব্যবহার
করে
এবং
আধুনিক
মনোবিজ্ঞানীদের
মতো
সময়কে
দুই
ভাগে
(প্রাকৃতিক
সময়
ও
মানসিক
সময়)
বিভক্ত
করে,
সেহেতু,
প্রত্যক্ষ
বা
পরোক্ষ
যে
কোনো
বর্ণনাই
দ্বিধাবিভক্ত
সময়ের
সঙ্গে
মিশে
যায়,
চরিত্রটিকে
আরো
বাস্তব
আরো
জীবন
ঘনিষ্ঠ
করে
তুলবার
চেষ্টায়।
এদিক
থেকে
চেতনা
প্রবাহী
উপন্যাস
আধুনিক
কবিতার
সব
উপাদানই
ধারণ
করে।
এলিয়টের
‘Alfred
Prufrock's Love Song কবিতার মতো
অনুভূতি
প্রকাশক
অনেক
অংশই
আছে
ভার্জিনিয়া
উলফের
Mrs. Dalloway উপন্যাসে। সে
সব
অংশে
ঔপন্যাসিক
ভার্জিনিয়া
কার্যত
কবি
ভার্জিনিয়া
উলফ।
কফির
ঘ্রাণ,
টাইপরাইটারের
শব্দ
আর
স্পিনোজার
দর্শন
আপাত
সম্পর্কহীন
এই
তিন
অনুভূতিকে
আধুনিক
কবি
যেমন
একই
সূত্রে
গেঁথে
একটি
অনুভূতিতে
পরিণত
করেন,
ভার্জিনিয়া
উলফও
তেমন
ব্রুটন,
সেপ্টেমিয়াস,
উড়োজাহাজের
ধোঁয়ায়
লেখা
T-O F-F-E-E শব্দকে সমন্বিত
করে
বহু
খণ্ড
অনুভূতিকে
এক
খণ্ডে
পরিণত
করেন।
ফলে,
উপন্যাসটির
কোনো
কোনো
অংশ
কার্যত
কবিতাই
হয়ে
যায়।
উপন্যাস
ও
কবিতার
ব্যবধান
বিলুপ্ত
করে।
No comments:
Post a Comment