The Caretaker- Harold Pinter – Summary (Bangla) |
নাটকের ঘটনাটি
সংগঠিত হয়েছিল ১৯৫০ সালে পশ্চিম লন্ডনের একটি বাড়িতে। তখন
ছিল শীতকাল। স্টেজের বাহিরে দরজা খোলা ও বন্ধ হওয়ার শব্দে খাটে বসা মিক খাট থেকে
উঠে স্টেজের বাহিরে যায়। তার বড় ভাই এস্টন এবং ভবঘুরে বৃদ্ধ ডেভিস সেখানে প্রবেশ
করে। ডেভিস একটি কাফেতে খুব নিম্নমানের একটি চাকরি করত। সেখানেই সে মারামারি করে
এবং এস্টন তাকে সাহায্য করে। এস্টন ডেভিসকে কাপড় ও জুতা দেয় এবং রাতটি সেখানে
থাকার সুযোগ দেয়। ডেভিস ছিল খুবই অমার্জিত ও একগুয়ে স্বভাবের। কালো এবং অন্যান্য
রংধারী লোকদের ব্যপারে সে বারবার অভিযোগ করে যাচ্ছিল। তার তুলনায় এস্টন ছিল কিছুটা
চাপা ও নিশ্চুপ স্বভাবের। খুব কমই কথা বলে সে। ডেভিস তার প্রস্তাবে সানন্দে রাজী
হয় এবং জানায় তাকে সিদিকাপ (Sidcup) যেতে হবে। সেখানে তার কাগজপত্র আছে, যেগুলোর মাধ্যমে সে তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারবে।
পরদিন সকালে এস্টন ডেভিসকে বলে সে রাতে ঘুমের মাঝে অনেক
বেশি শব্দ করে। ডেভিস তার কথা একেবারেই অস্বীকার করল। এস্টন ডেভিসকে বলল তাকে এখন
বেরোতে হবে এবং ডেভিস চাইলে সেখানে অবস্থান করতে পারে। ডেভিস জানায় তাকে এখন কাজ
খুজতে হবে। এস্টন চলে গেলে মিক সেখানে প্রবেশ করে এবং তার সাথে নীরব লড়াই চালায়।
মিক ডেভিসকে জিজ্ঞাসা করে আসলে তার মতলব কি?
মিক তাকে বিভিন্ন আশ্চর্যজনক সব প্রশ্ন করে এবং তার সাথে
উল্টাপাল্টা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তর্ক করে। ফলে বৃদ্ধ ডেভিস অস্বস্থিকর অবস্থায় পড়ে
যায়। শেষে সে বলেই ফেলে ডেভিস চাইলে এই কক্ষটি ভাড়া নিতে পারে।
এস্টন ডেভিসের জিনিসপত্র নিয়ে বাসায় ফেরে। পরে জানাগেল
এটা ডেভিসের ব্যাগ না। এতে ডেভিস খুব বিরক্ত হল। এস্টন ডেভিসকে প্রস্তাব করে সে এই
জায়গার কেয়ারটেকার (তত্ত্ববধায়ক) হতে চায় কিনা। তাকে
এস্টনের ভাইয়ের জন্যে সাজিয়ে গুছিয়ে একেবারে আসল ফ্লাটে পরিণত করে দিতে হবে। ডেভিস
প্রথমে সতর্কতাস্বরুপ অনীহা দেখায় কারন এখানে অনেক কাজ করতে হবে। পরে অবশ্য রাজী
হয়।
পরে মিক অন্ধকার ঘরে ডেভিসকে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ভয় দেখায়। এরপর মিক ডেভিসকে অপ্রত্যাশিতভাবেই জিজ্ঞাসা করে সে জায়গাটার কেয়ারটেকার হতে চায় কিনা। ডেভিস দ্বিধায় পড়ে এই জায়গাটা আসলে কার দায়িত্বে আছে জানতে চাইলে মিক তার সাথে প্রতারণা করে এবং বলে যে সেই এই জায়গাটার মালিক। মিক এবার ডেভিসের কাগজপত্র দেখতে চাইলে ডেভিস কথা দেয় সিডকাপে গিয়ে সে তার কাগজপত্রগুলো নিয়ে আসবে।
পরদিন সকালে খারাপ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সে আর সিডকাপে যেতে চায় না। এস্টন ডেভিসকে বলে কিভাবে আগে তার হ্যালিউসিনেশন হতো এবং কিভাবে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে জোর করে ইলেকট্রিকশক দিতো। সে এখন দ্রুত চিন্তা করতে পারেনা। তার মনে হয় যে তাকে এত কষ্ট দিয়েছে ঐ লোকটাকে যদি পেতাম। এখন এস্টন শুধু বাড়ির গার্ডেনের একটা বসার জায়গা তৈরি করতে চায় আর কিছু না।
দুই সপ্তাহ পরে, ডেভিস মিকের কাছে এস্টন সম্পর্কে একগাদা অভিযোগ দিতে থাকে। একরাতে এস্টন ডেভিসকে ঘূম থেকে শব্দ করাতে নিষেধ করলে ডেভিস রাগে ফেটে পড়ে এবং এস্টনের ইলেকট্রিক শক দিয়ে চিকিৎসা করার বিষয়টা নিয়ে উপহাস করে। এস্টন শান্তভাবে ডেভিসকে বলে এভাবে আর থাকা যাবে না এবং তাকে চলে যেতে হবে। ডেভিস এস্টনকে অভিশাপ দেয় আর বলে সে এই বিষয়ে মিকের সাথে কথা বলবে।
ডেভিস মিকের সাথে কথা বলে। সে এস্টনকে ওখান থেকে বের করে দিতে চায়। মিক তার সাথে কিছুটা একমত হওয়ার ভান করে এবং পরে ডেভিসকে তার একজন অভিজ্ঞ বাড়ির অভ্যন্তর সজ্জাকারী (interior decorator) হওয়ার দাবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে শুরু করে। ডেভিস মিকের কথার কিছুই বুঝতে পারে না কারণ সে নিজেকে একাজে অভিজ্ঞ দাবি কখনোই করেনি। সে মিকের কথাটা সংশোধনের চেষ্টা করে। কথা বলার সময় সে এস্টনকে ‘তার মাথা-খারাপ’ বললে মিক ডেভিসকে চলে যেতে বলে। এই পর্যন্ত সব কাজের মজুরী হিসেবে মিক তাকে কিছু টাকা দিয়ে দেয়।
এস্টন ঘরে প্রবেশ করে এবং দুই ভাই কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে। মিক ঘর থেকে চলে গেলে, ডেভিস ফিরে আসে ও তার কাছে সনির্বন্ধ মিনতি করে। সে আরো মরিয়া হয়ে তার কাছে মিনতি করে, তাকে ভোলাতে চেষ্টা করে এবং এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এস্টন শুধু এতটুকুই বলে যে, তুমি বড় বেশি শব্দ কর। ডেভিসের প্রতিবাদ চলমান অবস্থায় নাটকের পর্দা নামে।
পরদিন সকালে খারাপ আবহাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে সে আর সিডকাপে যেতে চায় না। এস্টন ডেভিসকে বলে কিভাবে আগে তার হ্যালিউসিনেশন হতো এবং কিভাবে একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য তাকে জোর করে ইলেকট্রিকশক দিতো। সে এখন দ্রুত চিন্তা করতে পারেনা। তার মনে হয় যে তাকে এত কষ্ট দিয়েছে ঐ লোকটাকে যদি পেতাম। এখন এস্টন শুধু বাড়ির গার্ডেনের একটা বসার জায়গা তৈরি করতে চায় আর কিছু না।
দুই সপ্তাহ পরে, ডেভিস মিকের কাছে এস্টন সম্পর্কে একগাদা অভিযোগ দিতে থাকে। একরাতে এস্টন ডেভিসকে ঘূম থেকে শব্দ করাতে নিষেধ করলে ডেভিস রাগে ফেটে পড়ে এবং এস্টনের ইলেকট্রিক শক দিয়ে চিকিৎসা করার বিষয়টা নিয়ে উপহাস করে। এস্টন শান্তভাবে ডেভিসকে বলে এভাবে আর থাকা যাবে না এবং তাকে চলে যেতে হবে। ডেভিস এস্টনকে অভিশাপ দেয় আর বলে সে এই বিষয়ে মিকের সাথে কথা বলবে।
ডেভিস মিকের সাথে কথা বলে। সে এস্টনকে ওখান থেকে বের করে দিতে চায়। মিক তার সাথে কিছুটা একমত হওয়ার ভান করে এবং পরে ডেভিসকে তার একজন অভিজ্ঞ বাড়ির অভ্যন্তর সজ্জাকারী (interior decorator) হওয়ার দাবির বিষয়ে জিজ্ঞেস করতে শুরু করে। ডেভিস মিকের কথার কিছুই বুঝতে পারে না কারণ সে নিজেকে একাজে অভিজ্ঞ দাবি কখনোই করেনি। সে মিকের কথাটা সংশোধনের চেষ্টা করে। কথা বলার সময় সে এস্টনকে ‘তার মাথা-খারাপ’ বললে মিক ডেভিসকে চলে যেতে বলে। এই পর্যন্ত সব কাজের মজুরী হিসেবে মিক তাকে কিছু টাকা দিয়ে দেয়।
এস্টন ঘরে প্রবেশ করে এবং দুই ভাই কিছুক্ষণ হাসাহাসি করে। মিক ঘর থেকে চলে গেলে, ডেভিস ফিরে আসে ও তার কাছে সনির্বন্ধ মিনতি করে। সে আরো মরিয়া হয়ে তার কাছে মিনতি করে, তাকে ভোলাতে চেষ্টা করে এবং এবং ভবিষ্যতে আরো ভালো কিছু করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এস্টন শুধু এতটুকুই বলে যে, তুমি বড় বেশি শব্দ কর। ডেভিসের প্রতিবাদ চলমান অবস্থায় নাটকের পর্দা নামে।
No comments:
Post a Comment