Symbols in The
Importance of Being Earnest Main Text link : https://www.sparknotes.com/lit/earnest/symbols/
প্রতীক
(Symbols)
দ্বৈত
জীবন (The Double Life)
এ
নাটকে দুজন নায়ক
এবং দুজনই দ্বৈত
জীবন পরিচালনা করে
যাচ্ছিল।
এ বিষয়টি ছিল
এ নাটকের কেন্দ্রীয়
রূপক অলংকার (metaphor)।
এ্যালজারনন এই কর্মের
নাম দিয়েছিল বানবারিইং। সে
বানবারি নামক এক
কাল্পনিক বন্ধু সৃষ্টি
করেছিল যার সেবা
করার জন্য সে
দূর দূরান্তে ভ্রমণ
করত।
তার কাজ দেখে
আপাতঃদৃষ্টিতে মনে হতো
সে অত্যন্ত দয়ালু
এবং মহান,
অথচ এই কাজের
মাধ্যমে সে তার
প্রতারণাকে ঢেকে রাখত। ঠিক
একইভাবে জ্যাক সৃষ্টি
করেছিল তার কাল্পনিক
ছোটো ভাই আর্নেস্ট!
দুজনের প্রতারণার ধরন
ছিল দুই রকম। জ্যাক
নিজেকে দেখাতে চেয়েছে
এমন একজন হিসেবে
যেরকম প্রকৃতপক্ষে সে
নয় (সৎ
এবং আন্তরিক)।
সে লন্ডন শহরে
আর্নেস্ট নামটি ব্যবহার
করে চলছিল, যা
ছিল একেবারেই মিথ্যা। পক্ষান্তরে,
এ্যালজারনন এর উদ্দেশ্য
ছিল দৈনন্দিন জীবনের
কর্তব্য থেকে বিচ্ছিন্ন
হয়ে যাওয়া এবং
সমাজসেবার অভিনয় করা। সে
সময় ভিক্টোরীয় সমাজের
উচ্চবিত্ত এবং মধ্যবিত্ত
শ্রেণির সদস্যরা সমাজসেবা
করা নিজেদের দায়িত্ব
বলে মনে করত। এ
দুটি চরিত্র চিত্রণের
মাধ্যমে ওয়াইল্ড সমাজের
কিছু কিছু মানুষের
ভণ্ডামি স্পষ্টভাবে তুলে
ধরেন।
খাদ্য
(Food)
The Importance of Being
Earnest- এ নাটকে খাদ্য
একটি
বিশেষ ভূমিকা পালন
করে।
খাদ্যের মাধ্যমে বিশেষভাবে
বোঝানো হয় এটি
আমাদের জীবনের একটি
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। খাদ্য
সবাই ভালোবাসে এবং
কিছু কিছু খাদ্য
সবার জন্যই আকর্ষণীয়। খাদ্যের
মাধ্যমেই এ্যালজারনন এর
স্বার্থপরতা বিশেষভাবে তুলে
ধরা হয়। যে খাদ্য
সে ভালোবাসে তা
সে আর কারো
সাথে ভাগাভাগি করতে
নারাজ।
এ নাটকের বিষয়বস্তুতে
খাদ্যকে ব্যবহার করে
গোয়েনডোলেন এর মনোভাবও
দেখানো হয়। যে খাদ্য
সমাজের উচ্চ শ্রেণির
কাছে একটি ফ্যাশন
কেবল তা-ই তার
পছন্দ।
এ হিসেবে চিনি
এবং কেক এর
প্রতি তার কোনো
আকর্ষণ নেই। সেসিলির চরিত্রের
একটি দিকও খাদ্যের
মাধ্যমে দেখানো হয়। যখন
গোয়েনডোলেনকে তার পছন্দ
হয়নি, তখন সে
ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে
(গোয়েনডোলেনের) চা-তে বেশি
করে চিনি দিয়েছে
এবং রুটি মাখনের
পরিবর্তে কেক পরিবেশন
করেছে।
উপন্যাস
এবং লেখা
(Fiction and Writing)
কল্পনাকে
ভিত্তি করে যে
রচনা, তার নাম
উপন্যাস লেখা এবং
উপন্যাস এর উপাদান
এ নাটকে বারবার
খুঁজে পাওয়া যায়। নাটকের
প্রথম দৃশ্যে এ্যালজারনন
এর কথাবার্তায় প্রকাশ
পায় যে জ্যাককে
সে সন্দেহ করছে
এবং ভাবছে নেপথ্যে
এমন কোনো কাহিনি
আছে যা জ্যাক
তার কাছ থেকে
লুকিয়ে রাখতে চাচ্ছে। পরবর্তীতে
দেখা যায় যে
তার অনুমান সত্যি
ছিল এবং জ্যাক
একটি কাল্পনিক ছোটো
ভাই সৃষ্টি করেছিল,
যার নাম আর্নেস্ট
। এক্ষেত্রে জ্যাক
এর বাস্তব জীবন
ছিল আংশিকভাবে কল্পনার
উপর ভিত্তি করে
গড়ে ওঠা। বানবারি চরিত্র,
যা এ্যালজারনন সৃষ্টি
করেছিল, তা-ও ছিল
কাল্পনিক।
যখন প্রথম দৃশ্যে
এ্যালজারনন বলে আধুনিক
সংস্কৃতির অর্ধেকের চেয়ে
বেশি নির্ভর করে
কী কী পড়া
যাবে না,
সে বিষয়টি নিয়ে
—
সে সম্ভবত উপন্যাস
এর সম্বন্ধে মন্তব্য
করছিল (অথবা এমন
কোনো পাঠ্যবস্তু যা
পড়া অনৈতিক বলে
বিবেচিত)। দ্বিতীয়,
দৃশ্যে উপন্যাস নিয়ে
আলোচনা হয় যখন
সেসিলি তিন-অধ্যায়ের উপন্যাস
বিষয়টির অবতরণ করে
তখন উত্তরে মিস
প্রিজম বলেন যে
অতীতে কোনো এক
সময়ে তিনি একটি
উপন্যাস রচনা করেছিলেন। এ
কথাটির মাধ্যমে মিস
প্রিজম দর্শকদেরকে বুঝিয়ে
দিয়েছিলেন যে তার
জীবনে এমন একটি
অতীত আছে যা
বেশ রহস্যময় এবং
নাটকে ভবিষ্যতে হয়ত-বা সে
বিষয়টি স্পষ্ট হবে। সেসিলির
ডায়েরিও ছিল কল্পনার
উপর ভিত্তি করে
লেখা, যেখানে সে
নিজেই নিজের জন্য
একটি প্রেম কাহিনি
সৃষ্টি করেছিল। যখন সেসিলি
এবং গোয়েনডোলেন দুজনই
আর্নেস্ট ওয়ার্থিংকে তাদের
প্রেমিক হিসেবে দাবি
করে তর্ক করছিল,
তখন দুজনই তাদের
ডায়েরি একে অপরকে
দেখাতে চেয়েছিল যেখানে
তাদের বিয়ের প্রস্তাবের
ঘটনা লেখা আছে। ব্যাপারটির
তাৎপর্য যেন এমন
ছিল যে যা
কিছু লিখিত আছে
তা সবই সত্যি। এ
নাটকে জ্যাক, এ্যালজারনন
এবং সেসিলি তাদের
নিজেদের জন্য আংশিকভাবে
একটি কাল্পনিক জীবন
তৈরি করেছিল যা অনেকটুকু সত্যে
পরিণত হয়েছিল।
No comments:
Post a Comment