Oscar Wilde – Life and Works - Bangla |
Oscar Wilde – Life and Works - Bangla
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
ব্যক্তিগত
জীবনে
কিছু
অরুচিকর
ঘটনা
ঘটেছিল,
যা
বড়ো
আকারে
প্রচারিত
হয়েছিল
এবং
অনেকটুকু
আলোচিত
হয়েছিল।
এটা
অত্যন্ত
দুঃখজনক
যে
এই
ঘটনাগুলো
লেখক
হিসাবে
তার
মেধা
এবং
গুণকে
ছাড়িয়ে
আরো
যেন
বড়ো
ভাবে
দেখা
দিয়েছিল।
আজ,
বহু
বছর
পরে
সেই
সব
তুচ্ছ
ঘটনাগুলো
বিলীন
হয়ে
গিয়েছে
এবং
বড়ো
হয়ে
দেখা
দিয়েছে
লেখক
হিসাবে
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
অনন্যসাধারণ
প্রতিভা
এবং
কাহিনি
বর্ণনায়
তার
বিশেষত্ব।
আজকে
সবাই
একবাক্যে
স্বীকার
করে
যে
উনবিংশ
শতাব্দীর
শেষ
ভাগে
ইংরেজি
নাট্যাঙ্গনে
অস্কার
ওয়াইল্ড
একটি
বিশেষ
স্থান
অধিকার
করে
ছিলেন
এবং
সে
সময়ের
সাহিত্যে
উল্লেখযোগ্যভাবে
প্রভাব
বিস্তার
করেছিলেন।
অস্কার
ফিঙ্গাল
ও
ফ্ল্যাহার্টি
উইলস
ওয়াইল্ড
এর
জন্ম
হয়েছিল
ডাবলিনে।
দিনটি
ছিল
১৬
অক্টোবর
১৮৫৪।
পরে
তিনি
তার
নামটি
নিজেই
সংক্ষিপ্ত
করেন
এবং
নিজেকে
ধীরে
ধীরে
অস্কার
ওয়াইল্ড
হিসেবে
পরিচিত
করে
তোলেন।
কারণ
তিনি
ভেবেছিলেন,
যে
নাম
ভবিষ্যতে
মানুষের
মুখে
মুখে
উচ্চারিত
হবে,
তা
সংক্ষিপ্ত
হওয়াই
যুক্তিসঙ্গত
এবং
সবার
জন্য
সুবিধাজনক।
তাঁর
পিতা
স্যার
উইলিয়াম
ওয়াইল্ড
ছিলেন
একজন
বিখ্যাত
চক্ষু
বিশেষজ্ঞ,
যার
সুনাম
ছিল
সমগ্র
মহাদেশে।
কিন্তু
সমাজে
তাঁর
ছিল
একটি
অশুভ
নৈতিক
অবস্থান
(অর্থাৎ
কুখ্যাতি)।
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
মা
জেন
ফ্র্যানসেসকা
ছিলেন
একজন
প্রখ্যাত
লেখিকা,
যিনি
সে
সময়
স্পেরানজা
ছদ্মনামে
লিখতেন।
তিনি
আরো
ছিলেন
সামাজিকভাবে
বিতর্কিত
একজন
আইরিশ
জাতীয়তাবাদী।
যিনি
বারবার
কর্তৃপক্ষের
সাথে
অনাকাক্ষিত
বিরোধে
জড়িয়ে
পড়তেন।
১৮৭১
সালে
অস্কার
ওয়াইল্ড
ডাবলিন
এর ট্রিনিটি
কলেজে
ভর্তি
হন।
ইতিপূর্বে
তিনি
স্কুলে
সর্বোচ্চ
মানসম্পন্ন
শিক্ষা
সম্পূর্ণ
করেন।
ট্রিনিটি
কলেজে
তিনি
বিশিষ্ট
গ্রিক
পণ্ডিত
প্রফেসর
জন
মাহাফি’র
সাথে
পরিচিত
হন
এবং
তার
দ্বারা
প্রভাবিত
হন।
ট্রিনিটি
কলেজে
তার
একজন
সমসাময়িক
ছিলেন
এডওয়ার্ড
কারসন,
যিনি
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
বিরুদ্ধে
কোর্টে
লড়তে
নিজেকে
আত্মনিয়োগ
করেছিলেন
যখন
তাঁর
সর্বনাশ
হয়েছিল
অশুভ-পরামর্শ
নিয়ে
লর্ড
এ্যালফ্রেড
ডগলাস
এবং
মারকুইস
অব
কুইনসবারীর
বিরুদ্ধে
১৮৯৫
সালে
মানহানির
মামলা
করে।
১৮৭৪
সালে
ওয়াইল্ড
অক্সফোর্ডের
অধীনে
ম্যাগডালেন
কলেজে
ভর্তি
হন।
অক্সফোর্ডে
থাকাকালীন
তিনি
তার
‘রাভেনা’ কবিতার জন্য
নিউড়িগেইড
প্রাইজ
পান।
তাছাড়া
তিনি
গ্রিক
ভাষায়
প্রথম
স্থান
অর্জন
করেন।
অক্সফোর্ডে
তার
ছাত্রজীবনে
তিনি
বেনজামিন
ডিজরায়েলীর
একজন
বিশেষ
ভক্ত
ছিলেন।
বেনজামিন
ডিজরায়েলী
ছিলেন
সে
সময়ের
একজন
পণ্ডিত-কূটনীতিজ্ঞ,
রাষ্ট্র
পরিচালনায়
যিনি
ছিলেন
সুযোগ্য
ও
দক্ষ।
ওয়াইল্ড
আরো
সুগভীরভাবে
প্রভাবিত
হয়েছিলেন
সৌন্দর্য-তাত্ত্বিক
গতিময়তার
মাধ্যমে।
সে
সময়
জন
রাস্কিন,
ওয়াল্টার
পেটার,
উইলিয়াম
মরিস
এবং
অন্যান্যরা
Art for Arts Sake (সৃজনশীলতার উদ্দেশ্যে শিল্পকর্ম)
নামের
স্লোগান
প্রচলন
করেছিলেন,
তার
প্রতি
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
পূর্ণ
সমর্থন
এবং
উৎসাহ
ছিল।
তার
উৎসাহের
প্রকাশ
দেখা
যায়
যখন
তিনি
বর্ণাঢ্য
জৌলসপূর্ণ
পোশাক
পরিহিত
হয়ে
জনসমক্ষে
আত্মপ্রকাশ
করেন।
তিনি
তার
পোশাকের
বোতাম
ঘরে
লিলিফুল
এবং
শাপলা
ফুল
সংযুক্ত
করে
জনসমক্ষে
ঘুরে
বেড়াতেন।
তার
চালচলনে
সবচাইতে
উল্লেখযোগ্য
যে
বিষয়টি
দেখা
যেত,
তা
হলো
সমাজের
প্রচলিত
নিয়ম
এবং
চিরাচরিত
নৈতিকতার
প্রতি
তার
অবজ্ঞা।
১৮৮৩
সালে
ওয়াইল্ড
লন্ডনে
আসেন।
সে
সময়
সাফল্যের
জন্য
তিনি
ছিলেন
বিশেষভাবে
অনুপ্রাণিত
এবং
উদগ্রীব।
তার
আইরিশ
বংশপরিচয়,
নিজের
স্বার্থসাধনের
জন্য
তাঁর
পিতার
প্রেমের
ভান
করা
এবং
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
বিভিন্ন
কেলেঙ্কারির
ঘটনার
জন্য
প্রতিবন্ধকতা
সৃষ্টি
করে
ঠিকই,
কিন্তু
তাঁর
প্রখর
বুদ্ধিমত্তা
এবং
আলাপ
আলোচনা করার
বিশেষ
গুণ
এর
মাধ্যমে
তিনি
অচিরেই
লন্ডনে
ফ্যাশন
অনুসরণকারী
সমাজে
নিজেকে
প্রতিষ্ঠিত
করেন।
তার
উদ্দেশ্য
সাধনের
জন্য
লন্ডনের
থিয়েটারে
যে
সুযোগ
সুবিধাগুলো
ছিল
সেসব
তিনি
অত্যন্ত
দ্রুত
আবিষ্কার
করতে
পেরেছিলেন।
১৮৯২-১৮৯৫-এ
বছরগুলো
তার
জীবনের
সবচাইতে
সৌভাগ্যের
সময়
ছিল,
কারণ
এ
সময়কালেই
থিয়েটার
জগতে
তিনি
চাঞ্চল্যকর
সাফল্য
পেয়েছিলেন।
এ
সময়কালেই
প্রকাশি
হয়
Lady Wilderman's Fan (লেডী ওয়াইল্ডম্যান
এর
ভক্ত),
Salome (স্যালোম), A Woman of No
Importance (গুরুত্বহীন
এক
মহিলা)
এবং
An Ideal Husband (একজন আদর্শ স্বামী)।
১৮৯৫
সালে
যখন
তিনি
তাঁর
পরিবারের
সদস্যদেরকে
নিয়ে
ছুটি
কাটাচ্ছিলেন,
তখন
তিনি
লেখেন
The Importance of Being Earnest (আন্তরিক হবার
তাৎপর্য)।
এ
বইটি
ওয়ার্থিং
এ
লেখা
হয়
এবং
লিখতে
প্রায়
৩
সপ্তাহ
সময়
ব্যয়
হয়।
যে
দর্শনীয়
সাফল্যের
দেখা
তিনি
পান,
তা
খুব
বেশিদিন
স্থায়ী
হতে
পারেনি।
যখন
তিনি
তাঁর
সাফল্যের
চূড়ায়
অবস্থান
করছিলেন,
তখনই
তার
জীবনে
এল
এক
অনাকাঙ্ক্ষিত
ধস।
তিনি
নিজের
প্রতি
ডেকে
এনেছিলেন
মারকুইস
অব
কুইনসবারীর
তীব্র
ক্রোধ।
মারকুইস
অব
কুইনসবারী
ছিলেন
কটুভাষী,
নরবিদ্বেষী
এবং
পরিবার
এবং
বন্ধুমহল
থেকে
বিচ্ছিন্ন
একজন
ব্যক্তি,
যিনি
অস্কার
ওয়াইল্ড
এর
বিরুদ্ধে
এনেছিলেন
মানহানির
মামলা।
মারকুইস
অমার্জনীয়
অশ্লীলতার
কারণ
দেখিয়ে
অস্কার
ওয়াইল্ডকে
অভিযুক্ত
করেন
এবং
পরবর্তীতে
তাকে
কারাবন্দি
করা
হয়।
অস্কার
ওয়াইল্ড
যখন
চরমভাবে
অপমানিত
এবং
অভিযুক্ত,
তখন
তিনি
তাঁর
পাশে
খুব
কম
বন্ধুই
খুঁজে
পেয়েছিলেন,
কারণ
তিনি
তাঁর
ধৃষ্ঠতাপূর্ণ
এবং
বিদ্রুপাত্মক
নানারকম
মন্তব্যের
মাধ্যমে
সবাইকে
শত্রুভাবাপন্ন
করে
তুলেছিলেন।
তাকে
রিডিং কারাগারে দুই
বছরের
কঠোর
পরিশ্রমসহ
কারাদণ্ড
দেয়া
হয়।
কারাগারে
থাকাকালীন তিনি De Profundis লিখেন।
কারাগার
থেকে
ছাড়া
পাবার
পর
তিনি
ফ্রান্সে
চলে
যান
এবং
কোনো
অজ্ঞাত
এলাকায়
হারিয়ে
যান।
১৮৯৮
সালে
তিনি
প্রকাশ
করেন
The Ballad of Reading Gaol (রিডিং
কারাগারের
কাহিনি
সম্বলিত
কবিতা)।
চরম
বেদনা
এবং
অবজ্ঞার
মধ্যে
১৯০০
সালে
মাত্র
৪৬
বছর
বয়সে
অস্কার
ওয়াইল্ড
মৃত্যুবরণ
করেন।
উল্কার
মতো
কর্মজীবনে
হয়েছিল
যার
উত্থান,
যিনি
পেয়েছিলেন
আকাশচুম্বী
জনপ্রিয়তা,
সমানভাবে
ভীতিকর
ছিল
তাঁর
পতন
এবং
যন্ত্রণাময়
মৃত্যু।
মৃত্যুর ঠিক পূর্বে তিনি বলেছিলেন, “আমার সামর্থ্যের বাইরে আমি বেঁচে থাকতে পারব না, তাই মৃত্যুর পথে চললাম”।
No comments:
Post a Comment