The Spectator’s Account of himself - Addison and Steele - Translation in Bengali |
The Spectator’s Account of himself - Addison and Steele - Translation in Bengali
আমি
খেয়াল
করেছি,
পাঠক
সাধারণত
কোন
বই
পড়তে
আগ্রহ
বোধ
করে
না
যতক্ষণ
না
সে
জানে
বইয়ের
লেখক
কালো
(Dark) কি ধলো,
শান্ত
কি
বদরাগী
স্বভাবের,
বিবাহিত
কি
অবিবাহিত
এ
যাবতীয়
খুঁটিনাটি
বিষয়।
পাঠকের
এই
কৌতূহল,
যা
একজন
পাঠকের
জন্যে
স্বাভাবিক,
নিবারণের
উদ্দেশ্যেই
বর্তমান
নিবন্ধটির
পরিকল্পনা
করেছি
এবং
এতে
আমি
অনেকের
কথা
বলব
যারা
গোটা
রচনা
প্রক্রিয়ার
সাথে
জড়িত।
সঙ্কলন,
বিচার
ও
সম্পাদনার
মতো
জটিল
সমস্যার
সম্মুখীন
হই
যেহেতু
আমি
নিজেই,
অতএব
সম্পূর্ণ
প্রক্রিয়ার
বৃত্তান্ত
আমার
কাজের
ইতিহাস
দিয়ে
শুরু
করা
যুক্তিযুক্ত
হবে
বোধ
হয়।।
উত্তরাধিকার
সূত্রে
আমি
ছোট্ট
এক
সম্পত্তির
মালিক
ছিলাম
যা
গ্রামের
প্রচলিত
নিয়ম
অনুযায়ী
নর্মান
সম্রাট
উইলিয়ামের
সময়
থেকে
গত
ছয়শ
বছর
ঝোপ
খন্দে
বেষ্টিত
হয়ে
পিতা
থেকে
পুত্রের
হাতে
চলে
আসছে।
গত
ছয়শ
বছরে
এর
সঙ্গে
আর
এক
খণ্ড
জমিও
যোগ
হয়নি,
বিয়োগও
হয়নি।
পরিবারে
একটা
প্রচলিত
গল্প
আছে:
আমার
জন্মের
আগে
আমার
মা
স্বপ্নে
দেখে
ছিলেন,
তার
সন্তান
বিচারক
হবে।
সম্ভবত
আমার
পিতা
বিচারক
ছিলেন
বলে
বা
পরিবারে
তখন
জমিজমা
সংক্রান্ত
একটা
মামলা
চলছিল
সে
কারণে
আমার
মা
সে
স্বপ্নটি
দেখে
থাকবেন।
ঠিক
কোন
কারণে
স্বপ্নটি
দেখেছিলেন
তিনি,
তা
জোর
দিয়ে
বলতে
পারছি
না।
আমি
আমার
ভবিষ্যৎ
জীবনের
উপর
এমন
পূর্বকথনের
কোনো
মহিমা
আছে
বলে
বিশ্বাস
করি
না
যদিও
আমার
প্রতিবেশীদের
মধ্যে
স্বপ্নের
এরকম
ব্যাখ্যাই
প্রতিষ্ঠিত
ছিল।
শিশুকাল
থেকেই
আমার
আচরণের
গাম্ভীর্য
আমার
মার
স্বপ্নের
ব্যাখ্যার
পক্ষেই
যেত:
কারণ
আমার
মাত্র
দু’মাস
বয়সেই
আমি
আমার
সামনে
থেকে
একটা
ঝুমঝুম
শব্দ
করা,
আর
একটা
টুনটুন
শব্দ
করা
খেলনা
ছুঁড়ে
ফেলে
দিয়েছিলাম
এবং
টুনটুন
শব্দ
করা
ঘণ্টাটি
না
খুলে
দেয়া
পর্যন্ত
সেটি
আর
কোনোদিনও
ছুঁয়ে
দেখিনি।
এ
গল্প
মা
আমাকে
প্রায়ই
শোনাতেন।
আমার
ছেলেবেলায়
আর
তেমন
উল্লেখযোগ্য
কোনো
ঘটনা
ঘটেনি,
তাই
ছেলেবেলা
সম্বন্ধে
আমি
নীরবই
থাকব
বরং
মনে
পড়ে,
শৈশবে
আমি
বেশ
গম্ভীর
প্রকৃতির
ছিলাম
কিন্তু
শিক্ষকদের
বেশ
প্রিয়
ছিলাম,
তারা
প্রায়ই
বলতেন,
বড়ো
হলেও
আমার
চারিত্রিক
দৃঢ়তা
এমনই
থেকে
যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে
আমি
খুব
বেশি
দিন
পড়াশোনা
করিনি,
মাত্র
আট
বছর
সময়ে,
বিতর্ক
সভা
ছাড়া
কোথাও
আমি
তেমন
কোনো
কথাই
বলতাম
না
তাতেই
মিতবাক
(স্বল্পভাষী)
হিসেবে
আমি
পরিচিত
হয়ে
যাই।
আমি
কদাচিৎ
একশটা
শব্দের
বেশি
উচ্চারণ
করেছি,
আমার
মনে
পড়ে
না
আমার
সারাজীবনে
আমি
এক
সাথে
কখনো
তিনটে
বাক্য
উচ্চারণ
করেছি।
আমি
আমার
বিশ্ববিদ্যালয়
জীবনে
এত
ঘনিষ্ঠ
পাঠক
ছিলাম
যে,
ল্যাটিন,
গ্রিক
ভাষায়
বা
ইংরেজি
ভাষায়
রচিত
কোনো
বিখ্যাত
বই
আমার
পাঠ
তালিকা
বহির্ভূত
থাকেনি।
আমার
বাবার
মৃত্যুর
পর,
আমি
পরিব্রাজক
হবো
ঠিক
করলাম,
তাই
বিশ্ববিদ্যালয়
ছেড়ে
দিলাম
এবং
নেহাৎ
অপরিচিত
জনের
মতো
দেশ
ঘুরতে
লাগলাম,
যদিও
বিদ্যাবুদ্ধি
ভালোই
ছিল
আমার
কিন্তু
তা
জাহির
করার
মতো
সুযোগ
কমই
ছিল।
জ্ঞানের
এক
অতৃপ্ত
বাসনা
আমাকে
সারা
ইউরোপ
তাড়িয়ে
ফেরায়।
যেখানেই
নতুন
বা
অদ্ভুত
কিছু
দেখতাম
সেখানেই
আমি
ঝাপিয়ে
পড়তাম।
শুধু
তাই
নয়
আমার
এতই
কৌতূহল
ছিল
যে,
প্রাচীন
মিশরের
পুরাকীর্তি
নিয়ে
কিছু
বিতর্কিত
বিষয়ে
গুণীজনের
মতো
পার্থক্যের
বিবরণ
পড়ে,
আমি
নিজেই
একদিন
মিশরে
পাড়ি
জমালাম,
স্বচক্ষে
পিরামিড
দেখার
জন্য।
আমি
যখন
চোখ
কানের
বিবাদ
ভাঙ্গন
করলাম
তখন
তপ্ত
মনে
স্বদেশে
ফিরলাম।
জীবনের
পরবর্তী
বছরগুলো
আমি
এই
নগরীতেই
কাটিয়েছি,
জন
সমাবেশে
আমাকে
অনেক
দেখা
গেলেও
আমার
নির্বাচিত
বন্ধু
এখানে
পাচ
ছয়
জনের
বেশি
নয়;
যারা
আমাকে
চেনেন।।
তাদের
সম্বন্ধে
পরবর্তী
কোনো
নিবন্ধে
বিস্তারিত
আলোচনা
করব।
সাধারণ
জন
সমাবেশের
এমন
কোনো
স্থান
নেই
যেখানে
আমি
যাই
না;
কখনো
কখনো
আমি
উইলসের
( Will's,) মতো
কফি
হাউজের
রাজনৈতিক
বিতর্কের
আসরেও
নাক
গলাই,
গভীর
মনোযোগ
দিয়ে
সেই
বৃত্তাকার
সমাবেশের
বিতর্ক
শুনি।
কখনো
চাইল্ডস
কফি
হাউজে
পাইপ
টানি,
পোস্টম্যান
(Postman)
পত্রিকার
জন্য
সাগ্রহে
প্রতীক্ষায়
থাকলেও
প্রত্যেক
টেবিলের
চলমান
বিতর্ক
উৎকর্ণ
হয়ে
শুনি।
প্রতি
রোববার
সন্ধ্যায়
সেন্ট
জেমস
কফি
হাউজের
আড্ডায়
সমবেত
হই,
কখনো
কখনো
ভেতরের
রুমে
রাজনৈতিক
বিতর্কের
আসরে
সামিল
হই,
রাজনৈতিক
জ্ঞানে
সমৃদ্ধ
হবার
আশায়।
একইভাবে
কোকো-ট্রী
কফি
হাউজে,
ডরি
লেন
ও
হে-মার্কেটের
(Drury Lane and the haymarket)
থিয়েটার
হলেও
আমার
সমান
যাতায়াত।
গত
দশ
বছর
ধরে
স্টক
এক্সচেঞ্জেও
আমার
যাতায়াত
আছে,
যাতায়াত
আছে
‘জোনাথন’
(Jonathan's) কফি
হাউজে
স্টক
কর্মীদের
মধ্যেও,
দেখা
হয়
কোনো
ইহুদি
কর্মীর
সঙ্গে।
এক
কথায়,
যে
কোনো
জন
সমাবেশে
আমি
মানুষের
সঙ্গে
মিশি,
যদিও
আমার
সংঘ
ছাড়া
কোথাও
মুখ
খুলি
না।।
এভাবেই
জীবন
চলে
আমার,
কখনো
বাস্তব
কোনো
কর্মে
নিজেকে
না
জড়িয়ে
মানবাচরণের
দর্শক
হিসেবে
বেশি,
মানব
প্রজাতির
একজন
হিসেবে
কম,
যার
অর্থ
দাঁড়ায়
আমি
একজন
ভাবুক
মানুষ
হিসেবেই
নিজেকে
গড়ে
তুলেছি;
একজন
ভাবুক
রাষ্ট্র
চিন্তক,
সৈনিক,
ব্যবসায়ী,
শিল্পী
হিসেবে
নিজেকে
গড়ে
তুলেছি।
একজন
স্বামীর
বা
একজন
পিতার
দায়িত্ব
সম্বন্ধে
আমি
সম্পূর্ণ
সচেতন
এবং
ব্যবসা,
অর্থনীতি
বা
অন্য
যে
কোনো
বিষয়ের
ত্রুটি
বিচ্যুতিগুলো
সম্বন্ধেও
সম্পূর্ণ
সচেতন।
বলা
যায়
যারা
এসব
বিষয়ে
সরাসরি
জড়িত
তাদের
চেয়েও
ভালোভাবে
সচেতন।
কোনো
রাজনৈতিক
দলের
সঙ্গে
আমার
প্রত্যক্ষ
কোনো
সংযোগ
নেই,
কোনো
কোন্দল
সহিংসতায়
আমি
নেই।
আমি
রাজনীতিতে
দৃঢ়ভাবেই
নিরপেক্ষ
থাকতে
চাই।
হুইগ,
টোরী
উভয়
দল
থেকেই
নিরাপদ
দুরত্বে
থাকতে
চাই
ততক্ষণ
পর্যন্ত,
যতক্ষণ
পর্যন্ত
কোনো
দল
আমাকে
বল
প্রয়োগে
দল
গ্রহণে
বাধ্য
না
করে।
সংক্ষেপে,
সারা
জীবন
আমি
জীবনের
সব
বিষয়েই
দর্শক
থেকেছি
এই
পত্রিকাটিরও
সেই
নিরপেক্ষতা
আমি
ধরে
রাখতে
চাই।
পাঠকদের
আমি
আমার
জীবন
কাহিনি
ও
চারিত্রিক
বৈশিষ্ট্য
এত
বিষদ
আলোচনা
করে
বুঝালাম
এ
কারণে
যে
আমার
প্রার্থীত
কর্তব্যটির
জন্য
আমি
যে
সম্পূর্ণ
অনুপযুক্ত
তা
মোটেও
নয়।
আমার
জীবনের
অন্যান্য
দিক
ও
দুঃসাহসিক
কাজের
বর্ণনা
অন্য
উপলক্ষে
এই
পত্রিকাটিতেই
আমি
বর্ণনা
করব।
আমার
দর্শন,
শ্রবণ
ও
পঠন
লব্ধ
জ্ঞান
প্রকাশের
প্রতিবন্ধকতা;
আমার
মৌনতা
যেহেতু
সব
খুলে
বলার
সময়
বা
প্রবণতা
আমার
কোনোটাই
নেই,
আমি
সেগুলো
সব
লিখে
প্রকাশ
করার
সিদ্ধান্ত
নিয়েছি,
সম্ভব
হলে
মৃত্যুর
আগেই
তা
প্রকাশ
করে
যাব।
বন্ধুরা
আমাকে
প্রায়ই
আমার
না
বলা
কথাগুলো
বলার
জন্য
অনুরোধ
করে।
এ
কারণে
আমি
ঠিক
করেছি,
প্রতিদিন
সকালে
আমার
এসব
চিন্তায়
পূর্ণ
একটা
পাতা
প্রকাশ
করব,
আমার
সমসাময়িকদের
কল্যাণে
এবং
এর
মাধ্যমে
আমি
যদি
আমার
দেশের
কল্যাণ
করতে
পারি
তাহলে
মরে
গিয়েও
আমি
মনে
করব
আমার
জীবন
বৃথা
যায়নি।
তিনটি
গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়
আছে
যা
এতক্ষণ
আমি
বলিনি।
বহু
কারণে
কিছুকাল
তা
আমি
গোপন
রাখব;
সেগুলো
হচ্ছে
আমার
নাম,
আমার
বয়স
এবং
আমার
বাসস্থান।
অবশ্য
স্বীকার
করি,
আমি
পাঠকদেরকে
যৌক্তিক
বিষয়েই
উদ্বুদ্ধ
করব।
এই
তিনটি
বিষয়
আপাতত
গোপন
রাখব
যদিও
বিষয়
তিনটি
আমার
পত্রিকায়
অলঙ্কারই
হবে,
তবুও
এই
বিষয়
তিনটিকে
এখনই
জনসমক্ষে
আনব
কিনা
ঠিক
করতে
পারছি
না।
বিষয়গুলো
আমাকে,
আমার
চারপাশে
বিদ্যমান
বহু
বছরের
দুর্বোধ্যতার
ধুম্রজাল
মুক্ত
করবে।
আমি
হয়তো
অনেক
সম্মান,
অভিনন্দন
পাবো;
বরাবরই
আমি
যা
এড়িয়ে
চলেছি।
আমার
কাছে
সবচেয়ে
যাতনার
বিষয়
হচ্ছে,
অনেক
মানুষ
যখন
আমার
সাথে
কথা
বলে
বা
অবাক
দৃষ্টিতে
আমার
দিকে
তাকিয়ে
থাকে।
আর
এ
কারণেই
আমি
আমাকে
সব
সময়ই
লুকিয়ে
রাখি,
সে
জন্য
আমি
যে
কাজের
অগ্রগতি
তদারকি
করি
তাতে
খুব
বিঘ্ন
সৃষ্টি
হয়
না
অবশ্য।
এভাবে
আমি
আমার
প্রতি
নিষ্ঠাবান
হওয়ার
ক্ষমতা
অর্জন
করেছি।
আগামীকালকের
কাগজে
আমার
সাথে
এ
উদ্যোগে
যারা
জড়িত
রয়েছেন
তাদের
সংক্ষিপ্ত
বর্ণন
দেবো।
ইতিপর্বে
আমার
যাবতীয়
কর্ম
পরিকল্পনায়
(গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়ে)
আমার
সম্মতি
পেশ
করেছি।
যাই
হোক,
আমার
বন্ধুরা
যখন
আমাকে
সামনে
দাড়
করিয়ে
দিয়েছেনই,
যারা
কোনো
প্রয়োজনে
আমার
সাথে
যোগাযোগ
করতে
চান
তারা
দ্য
স্পেকটেটর
(the SPECTATOR)
পত্রিকাটির
প্রকাশক
মি,
বাকলের
(Mr. Buckley's)
লিটল
ব্রিটেনের
(Little Britain.) ঠিকানায়
যোগাযোগ
করতে
পারেন।
পাঠকদের
আমি
আরো
অবহিত
করছি,
যদিও
আমাদের
সংগঠনের
সম্মেলন
শুধু
মাত্র
মঙ্গলবার
ও
বৃহষ্পতিবার
অনুষ্ঠিত
হয়
তবুও
আমরা
প্রতি
রাতে
সম্মিলিত
হবার
জন্য
একটা
কমিটি
নিযুক্ত
করেছি,
তারা
পত্রিকায়
প্রকাশের
জন্য
সবগুলো
লেখা
খুঁটিয়ে
দেখবেন,
যাতে
জনকল্যাণ
সুনিশ্চিত।
Thanks a lot.that is very helpful to us
ReplyDelete