The Metamorphosis - Franz Kafka - Summary in Bangla - দ্যা মেটামরফোসিস ফ্রান্ৎস কাফকা -কাহিনী সংক্ষেপ |
The Metamorphosis -
Franz Kafka – Summary in Bangla
গ্রেগর
সামসা
(Gregor
Samsa) নামক
একজন
ভ্রাম্যমান
বিক্রয়কর্মী
একদিন
সকালে
ঘুম
থেকে
উঠে
দেখলে
তাঁর
শরীর
একটি
বিশাল
গুবরে
পোকায়
পরিণত
হয়েছে!
সে
তাঁর
কক্ষের
চারদিকে
খেয়াল
করে
দেখল,
সবই
তো
স্বাভাবিক
অবস্থায়
আছে।
তাই
যা
ঘটেছে,
সবকিছু
ভুলতে
সে
আবার
ঘুমিয়ে
গেল।
ঘুম
ভাংলে
সে
গড়িয়ে
বিছানা
থেকে
নেমে
যাওয়ার
চেষ্টা
করল,
কিন্তু
তাঁর
শক্ত
উত্তল
পিঠের
জন্যে
ব্যর্থ
হল।
পেট
চুলকাতে
গিয়ে
সে
খেয়াল
করল
তাঁর
শরীরে
অনেক
গুলো
পা।
একজন
ভ্রাম্যমান
বিক্রয়কর্মী
(traveling salesman) হিসেবে
তাঁর
জীবনটা
কতটা
নিরানন্দ
এবং
তাঁর
চাকরি
চলে
গেলে
তাঁর
পিতা-মাতা
ও
ছোট
বোনের
জীবন
কিভাবে
অতিবাহিত
হবে
সেটা
নিয়ে
সে
ভাবল।
পাশে
ফিরে
ঘড়ির
দিকে
তাকিয়ে
আবিষ্কার
করল,
সে
অতিরিক্ত
সময়
ঘুমিয়েছে
এবং
৫
টার
সময়
তাঁর
অফিসে
যাওয়ার
১ম
ট্রেনটা
সে
হাতছাড়া
করেছে।
তাঁর
মা
তাঁকে
ডাকার
জন্যে
দরজায়
টোকা
মারলে,
সে
উত্তর
দেয়ার
চেষ্টা
করে
কিন্তু
তাঁর
নিজের
গলার
স্বর
শুনে
সে
নিজেই
আশ্চর্য
হয়ে
যায়।
সে
খেয়াল
করে
তাঁর
কণ্ঠস্বর
সম্পূর্ণ
পরিবর্তন
হয়ে
গেছে!
স্বাভাবিক
কথার
বদলে
তার
মুখ
থেকে
এক
রকম
কিচকিচ
শব্দ
বের
হচ্ছে!
তাঁর
পরিবার
সন্দেহ
করল
সে
হয়তো
অসুস্থ
কিন্তু
তাঁর
ঘরে
ঢুকতে
পারে
নি
কারন
প্রতিদিনের
অভ্যাস
অনুযায়ী
সে
তাঁর
কক্ষ
তালা
মেরে
ঘুমাত।
সে
বিছানা
থেকে
নেমে
পড়ার
চেষ্টা
করে
কিন্তু
তার
পরিবর্তিত
শরীরকে
সে
চালিয়ে
নিয়ে
যেতে
পারে
না।
যখন
সে
নড়াচড়ার
জন্যে
বিছানায়
চেষ্টা-সংগ্রাম
করছিল,
তার
অফিস
থেকে
ম্যানেজার
তাঁর
এসেছেন,
খোজ
নিতে,
কেনো
সে
অফিসে
যায়নি।
অবশেষে
সে
মাটিতে
নিজের
দেহটাকে
নামাতে
সক্ষম
হল
এবং
বাহিরের
লোকদের
বলার
চেষ্টা
করল
যে
সে
এখনি
দরজা
খুলবে।
দরজার
ওপাশ
থেকে
অফিসের
ম্যানেজার
গ্রেগরকে
কিছুদিন
ধরে
তার
নিয়মিত
কাজে
অনুপস্থিতির
বিষয়ে
সাবধান
করল
এবং
ইঙ্গিত
করল
যে
তার
সাম্প্রতিক
কাজ
গুলো
একেবারেই
সন্তোষজনক
নয়।
ম্যানেজারের
কথায়
প্রতিবাদ
করে
গ্রেগর
বলল,
খুব
শীঘ্রই
সে
তার
অফিসে
আসছে।
কিন্তু
ম্যানেজার
ও
তার
পরিবারের
সদস্যরা
তার
কথার
কিছুই
বুঝল
না
এবং
ধারণা
করল
যে
গ্রেগরের
বড়
রকমের
কোন
সমস্যা
হয়েছে।
যেহেতু
গ্রেগরের
হাত
ছিল
না
তাই
অনেক
কষ্ট
করে
মুখ
দিয়ে
দরজার
তালা
ও
দরজা
খুলল।
তার
এই
দেরির
কারনে
সে
অফিসের
ম্যানেজারের
কাছে
ক্ষমা
চাইল।
তার
ভয়ংকর
আকৃতি
দেখে
অফিসের
ম্যানেজার
ভয়
পেয়ে
এক
লাফে
ঘর
থেকে
বের
হয়ে
গেলো।
সে
ম্যানেজারকে
ধরে
ফেলতে
চাইল
কিন্তু
তার
বাবা
তাঁকে
একটি
ক্যান
ও
পত্রিকা
দিয়ে
ঠেলা
দিয়ে
তার
ঘরে
ফেরত
পাঠিয়ে
দিলেন।
দরজা
দিয়ে
ঢোকার
সময়
গ্রেগর
ব্যাথা
পেলো।
সে
ঢোকার
সাথে
সাথেই
তার
বাবা
এক
ধাক্কায়
দরজাটা
বন্ধ
করে
দিল।
কিছুক্ষণের
মাঝেই
সে
ঘুমিয়ে
গেলো।
ঘুম
থেকে
উঠে
গ্রেগর
দেখল
কেউ
(তার
বোন)
যেন
তার
কক্ষে
দুধ
ও
ডিম
রেখে
গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে
সে
খুব
আনন্দিত
হল
কিন্তু
সে
যখন
দুধ
মুখে
নিয়ে
কোন
স্বাদ
পেলো
না,
সে
আনন্দ
মূহুর্তেই
উবে
গেলো।
সে
নিজের
কক্ষের
একটি
কাউচের
নিচে
অবস্থান
নিল
ও
বাড়ির
ভেতরের
নিস্তব্ধতা
খেয়াল
করল।
পরের
দিন
তার
বোন
গ্রেটা
(Grete
Samsa) তার
কক্ষে
প্রবেশ
করে
দেখল
সে
দুধ
ডিম
কিছুই
স্পর্শ
করেনি।
তাই
সে
কিছু
নোংরা
ময়লা
এটো
খাবার
দিয়ে
গেল।
গ্রেগর
খেয়াল
করল
এই
পুরনো
ও
নোংরা
খাবার
তার
কাছে
খেতে
খুব
ভাল
লাগল।
এই
নিয়ম
অনুযায়ী
প্রতিদিন
চলতে
লাগল,
তাঁকে
খাবার
দিতে
এলে
সে
তার
কাউচের
নিচে
আশ্রয়
নিত
এবং
গ্রেটা
তার
কক্ষ
পরিষ্কার
করে
দিত।
কাউচের
নিচে
আশ্রয়
নেয়ার
কারন
হল
গ্রেটা
তার
এই
ভয়ংকর
অবয়ব
দেখে
ভয়
পেতে
পারে।
দেয়ালের
ওপাশে
তার
পরিবারের
সদস্যরা
কি
বলছে
সেসব
শুনেই
গ্রেগর
তার
সময়
পার
করতে
লাগল।
গ্রেগর
আর
এখন
আয়
করতে
পারছে
না,
এর
ফলে
তারা
যে
অর্থনৈতিক
কষ্টে
পড়েছে
সে
নিয়েই
তারা
আলোচনা
করত।
গ্রেগর
আর
একটা
জিনিস
খেয়াল
করল
যে,
তার
মা
তাঁকে
দেখতে
চায়
কিন্তু
তার
বাবা
ও
তার
বোন
তাঁকে
বাধা
দিচ্ছে
কারন
সে
ভয়
পাবে।
এখন
গ্রেগরের
পরিবর্তিত
শরীর
চলাচলের
জন্যে
আরো
সুবিধাজনক
হয়ে
এলো।
বিনোদনের
জন্যে
সে
দেয়াল
ও
ছাদে
আরোহণ
করা
শুরু
করল।
তার
এই
অবস্থা
দেখে
তার
বোন
ভাবল
তার
কক্ষ
থেকে
কিছু
আসবাবপত্র
সরাতে
হবে
কারন
এর
ফলে
সে
চলাচলের
জন্যে
আরো
কিছুটা
জায়গা
পাবে।
গ্রেটা
ও
তার
মা
ঘর
থেকে
আসবাবপত্র
সরাতে
লাগল
এবং
গ্রেগর
দেখল
কাজটা
খুবই
বিরক্তিকর।
ঘর
খালি
হয়ে
যাওয়াটা
গ্রেগর
মেনে
নিতে
পারল
না।
গ্রেগর
চিন্তা
করল
তারা
হয়ত
সবই
সরিয়ে
ফেলবে।
দেয়ালের
একটি
চিত্রকর্ম
যেটাতে
ফারের
স্কার্ফ,
মাফলা
ও
হ্যাট
পরিহিতা
একজন
মহিলার
ছবি
আছে
সেটা
বাচাতে
গ্রেগর
সেটার
উপর
উঠে
পড়ল।
সে
সময়
ঘরে
ঢুকল
তার
মা
ও
তার
ভয়ংকর
আকৃতি
দেখে
মূর্ছা
গেল।
গ্রেটা
তার
দিকে
ফিরে
চিৎকার
দিল।
তার
শরীর
পরিবর্তনের
পরে
এই
প্রথম
সরাসরি
কেউ
তার
দিকে
ফিরে
কথা
বলেছে।
গ্রেগর
ভয়ে
দরজা
দিয়ে
বের
হয়ে
গেল
ও
কিচেনের
সামনে
গিয়ে
থামল।
সে
সময়ই
তার
বাবা
তার
নতুন
চাকরী
থেকে
ফিরেছে
এবং
ঘরের
এই
অবস্থা
দেখে
তিনি
ভাবলেন
গ্রেগর
হয়তো
তার
মাকে
আক্রমন
করতে
চেয়েছে।
তার
বাবা
তাঁকে
টেবিলের
ফলগুলো
ছুড়ে
আক্রমন
করল।
যার
একটি
আপেল
তার
পিঠে
পড়ে
ডেবে
গেল
এবং
সেখানেই
আটকে
রইল।
তীব্র
ভাবে
আহত
অবস্থায়
কোন
রকমে
গ্রেগর
তার
কক্ষে
ফিরে
আসতে
পারল।
বিকালের
দিকে
গ্রেগরের
পরিবার
তার
কক্ষের
দরজাটি
কিছুক্ষণের
জন্যে
খুলে
রাখত
যাতে
করে
সে
তার
পরিবারের
সদস্যদের
দেখতে
পারে।
সে
তার
পরিবারের
অর্থনৈতিক
অবনতি
ও
দারিদ্রতা
দেখতে
পেল।
এখন
গ্রেটাও
তার
প্রতি
খুবই
বিরক্ত।
তাঁকে
খাবার
দিয়ে
কোন
রকমে
তার
ঘর
পরিষ্কার
করে
দিয়ে
চলে
যেত।
বাড়ির
কাজের
মেয়েটি
ঘরের
ঢুঁকে
তার
রান্নাঘরের
দরজায়
তালা
দিয়ে
কাজ
করত।
তারা
খরচ
কমানোর
জন্যে
কাজের
মেয়েটিকে
বাদ
দিয়ে
সস্তায়
একজন
মহিলাকে
রাখে
শুধু
ঘর
–দোর
পরিষ্কারের
জন্যে।
তারা
এর
পর
আরো
কিছু
আয়ের
আশায়
তিনজন
লোকের
কাছে
ঘর
ভাঁড়া
দেয়।
যারা
সর্বদা
তাদের
সাথে
খারাপ
ব্যাবহার
করত।
কাজের
মহিলাটি
তাদের
ঘরের
বিভিন্ন
অপ্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র
গ্রেগরের
ঘরে
ছূড়ে
ফেলে
দিয়ে
যেতো।
গ্রেগর
একসময়
গ্রেটা
প্রদত্ত
খাবারের
স্বাদ
হারিয়ে
ফেলে।
খাওয়া
প্রায়
বন্ধ
করে
দেয়।
একদিন
বিকেলে
কাজের
মহিলাটি
তার
কাজ
শেষে
বের
হয়ে
গিয়েছিল।
সে
সময়
নতুন
ভাড়াটেরা
লিভিং
রুমে
বসে
পত্রিকা
পড়ছিল।
রান্না
ঘরে
গ্রেটা
ভায়োলিন
বাজানো
শুরু
করলে
তারা
সেখানে
উপস্থিত
হয়
এবং
তাঁকে
লিভিং
রুমে
এসে
বাজাতে
বলে।
ভায়োলিনের
শব্দ
গ্রেগরের
শরীরে
যেন
এক
ধরনের
সুর
তুলে।
এই
সুর
তাঁকে
আস্তে
আস্তে
ঘরের
বাহিরে
নিয়ে
আসে।
একসময়
ভাড়াটেরা
গ্রেটার
ভায়োলিনের
শব্দের
প্রতি
আগ্রহ
হারিয়ে
ফেলে।
তাদের
একজন
দরজার
সামনে
গ্রেগরের
ভয়ংকর
মাথা
দেখে
আতকে
ওঠে।
গ্রেগরের
বাবা
তাদের
তিনজনকেই
ঠেলে
ঘরের
দিয়ে
আসার
চেষ্টা
করেন।
কিন্তু
তারা
তার
প্রতিবাদ
করে
ও
হুমকি
দেয়
যে
বাড়ির
এই
জঘন্য
অবস্থার
কারণে
তারা
তার
বাড়ি
ভাঁড়া
দিবে
না।
তাদের
বের
করে
দিয়ে
তারা
লিভিং
রুমে
আসলে
গ্রেটা
তার
বাবা-মাকে
বলে
যে
তাদের
অবশ্যই
গ্রেগরের
থেকে
মুক্তি
পেতে
হবে
কারন
তা
না
হলে
গ্রেগরের
জন্যে
তাদের
সবাই
ধ্বংস
হবে।
তার
বাবাও
তার
সাথে
একমত
হল
এবং
আশা
করল
গ্রেগর
যদি
তাদের
অবস্থা
বুঝে
নিজেই
বাড়ি
ছেড়ে
চলে
যেত।
গ্রেগর
সব
বুঝল
এবং
তার
কক্ষের
মাঝে
ফিরে
এল।
সে
সময়
গ্রেগর
ছিল
বেশ
কয়েক
দিনের
অনাহারী।
দুঃখ-কষ্ট
ও
দুশ্চিন্তা
নিয়ে
গ্রেগর
কিছুক্ষণের
মাঝেই
মারা
গেল।
যখন
তারা
বুঝতে
পারল
গ্রেগর
মারা
গিয়েছে, তখন তারা
মনের
মাঝে
এক
ধরনের
মুক্তির
স্বাদ
পেল।
সে
সময়
ভাড়াটেরা
তাদের
থাকার
কক্ষ
থেকে
বের
হয়ে
আসলে,
গ্রেগরের
বাবা
তাদেরকে
বলেন, এই
মুহূর্তেই
তারা
যেন
তার
বাড়ি
ছেড়ে
চলে
যায়।
তারা
বের
হয়ে
গেলে
তার
বাবা
তাদের
বাড়ির
কাজের
মহিলাটিকে
চাকরীচ্যুত
করার
সিদ্ধান্ত
নেয়,
যে
গ্রেগরের
দেহটি
নষ্ট
করে
ফেলে।
মুক্তির
আনন্দে
তারা
গ্রামাঞ্চলে
ঘুরতে
আসে।
মাসখানেকের
মাঝেই
তারা
গ্রেগরের
চিন্তা
তাদের
মাথা
থেকে
দূর
করতে
সমর্থ
হয়।
তারা
আরেকটি
ভালো
বাসায়
থাকবে
বলে
সিদ্ধান্ত
নেয়।
গ্রেটা
তার
পুরনো
রুপ
ও
সৌন্দর্য
ফিরে
পায়।
যার
ফলে
তার
পিতা
মাতা
কে
একটি
ভালো
ছেলের
সাথে
বিয়ে
দেয়ার
ব্যাপারে
ভাবতে
থাকে।
লাস্ট ফিনিশিং টা কি হলো! বুঝলামনাতো!
ReplyDelete