Tess of the d'Urbervilles- Thomas Hardy – Summary in Bangla |
Tess of the d'Urbervilles - Thomas Hardy – Summary in Bangla
দরিদ্র হকার জন ডার্বিফিল্ড [John Durbeyfield] যখন জানতে পারে যে, সে আসলে প্রাচীন বনেদি পরিবার ডা’র্বারভিলের [d’Urbervilles] বংশধর, প্রাথমিকভাবে সে স্তব্ধ হয়ে যায়। সে দিনই তাঁর বড় মেয়ে টেস মে দিবসের নাচে অংশগ্রহন করেছিল। সেখানেই একজন অল্পবয়েসী যুবকের সাথে এক পলকের দৃষ্টি বিনিময় হয়। ঘটনা এখানেই শেষ।
টেসের পরিবারের দুঃখ আরো বেড়ে যায় যখন তাদের একমাত্র বাহন প্রিন্স [ঘোড়া] একটি দূর্ঘটনায় নিহত হয়। টেসের বাবা ও মা সিদ্ধান্ত নেয় তাদের মেয়েকে ডা’র্ভারভিল ম্যানশনে [d’Urberville mansion] পাঠাবে। তারা আশা করে হয়তো মিসেস ডা’র্ভারভিল তাদের মেয়ের ভাগ্য গড়ে দেবে। বাস্তবে মিসেস ডার্ভারভিলের সাথে টেসের কোন সম্পর্কই ছিল না, কারন তাঁর স্বামী সাইমন স্টোকস [Simon Stokes] অবসর গ্রহনের সময় ডা’র্ভারভিল নাম গ্রহন করে। এই বিষয়টা টেস জানতো না। সে যখন ডা’র্ভারভিল এস্টেটে যায় তখন সাইমন স্টোকসের ছেলে অ্যালেক ডা’র্ভারভিল তাকে দেখে প্রেমে পড়ে যায়। তাকে চরমভাবে অপসন্দ হলেও যখন পাখি দেখাশোনার কাজটা পায় সেটা নিতে বাধ্য হয় টেস। কারন পরিবারের আয়ের একমাত্র উৎস প্রিন্সের নিহতের ঘটনার জন্যে টেস নিজেকেই দায়ী করে। টেস সেখানে কয়েকমাস কাজ করে। এই কয়েক মাস অতিবাহিত হয় তার সতীত্ব নষ্ট করার জন্যে অ্যালেকের প্ররোচনাসমূহ প্রতিহত করার মাধ্যমে।
অবশেষে এক দিন রাতে মেলা থেকে বনের ভেতর দিয়ে ফেরার পথে তার দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে কামুক অ্যালেক তার সতীত্বহানী করে। টেস অ্যালেককে কখনোই ভালোবাসেনি। টেস তার পরিবারের কাছে ফিরে যায় এবং একটি শিশুর জন্ম দেয়। শিশুটির নাম রাখে সরো (Sorrow)। কিছু দিন পরেই সরো মারা যায়। টেস এরপর দূঃখ দূর্দশাগ্রস্থ একটি বছর পার করে। অবশেষে ট্যালবথিস ডেইরিতে (Talbothays Dairy) গোয়ালিনীর চাকরি লাভ করে।
টেলবথিসে সে পরিপূর্ণ ও আনন্দময় এক সময় পার করে। সেখানে সে ইজ, রেটি ও ম্যারিয়ান (Izz, Retty, and Marian) নামক তিনজন বন্ধু বানায়। এছাড়া অ্যাঞ্জেল ক্লেয়ার (Angel Clare) নামক একজন এর সাথে পরিচয় হয়। যাকে তার চেনা চেনা মনে হয়, কিন্তু কোথায় দেখেছে তা মনে করতে পারে না। অবশেষে একসময় মনে পড়ে মে ডে (May Day dance) এর নাচে তার সাথে দেখা হয়েছিল। অ্যাঞ্জেল একসময় তাঁকে বিবাহের প্রস্তাব দেয়। টেসও তা সাথে সাথেই গ্রহণ করে নেয়। কিন্তু সে সব সময় তার বিবেকের যাতনায় মানসিক ভাবে অশান্তিতে থাকে। বারবার তার মনে হয়, তার পূর্বের ইতিহাস অ্যাঞ্জেলকে বলা উচিত। অবশেষে সে একটি চিঠি লিখে তার ঘরের দরজার কাছে রেখে আসে কিন্তু তা কার্পেটের তলায় চাপা পড়ে যায়।
তাদের বিয়ে হয়ে যায় এবং সেই রাতেই তারা তাদের নিজেদের দোষ স্বীকার করতে বসে। অ্যাঞ্জেল জানায় সে লন্ডনে একজন বয়সী মহিলার সাথে সম্পর্ক করেছিল। তবে এর বেশি কিছু সে করেনি। সে তাঁকে মাফ করে দেয়। এবার টেস তাঁকে অ্যালেকের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা বলে। কিন্তু অ্যাঞ্জেল তাঁকে ক্ষমা করে না। সে তার থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে যায়। তাঁকে কিছু অর্থ প্রদান করে সে জাহাজে করে ব্রাজিলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। সে আশা করে ব্রাজিলে গিয়ে একটি ফার্ম খুলবে। সে যতদিন না ফিরে আসে, টেসকে তার সাথে দেখা করতে নিষেধ করে। সে জানায় সে তার অতীতকে গ্রহণ করার চেষ্টা করবে কিন্তু টেস যেন তার কাছে এসে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা না করে।
টেস সংগ্রাম চালিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে তাঁকে একটি অনুন্নত ফার্মে চাকরি নিতে হয়। অনেক কষ্ট করে সে অ্যাঞ্জেলের পরিবারের সাথে দেখা করার জন্যে তাদের বাড়িতে যায়। কিন্তু বাড়ির কাছে গিয়ে গোপনে তার ভাইদের কাছে তার সম্পর্কে নেতিবাচক কথা শুনে, দেখা না করেই ফিরে আসে। আসার পথে সে একজন ভ্রাম্যমান ধর্মপ্রচারককে দেখতে পায়। যখন সে আবিষ্কার করে সে আসলে অ্যালেক ডার্ভারভিল (Alec d’Urberville) বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়। সে অ্যাঞ্জেলের পিতার রেভারেন্ড ক্লেয়ার এর (Reverend Clare) মাধ্যমে ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে। পরস্পর মুখোমুখি হয়ে দুজনেই যেন ঝাকি খায়। টেস যাতে তাঁকে আর প্রলুব্ধ না করে এব্যাপারে তার কাছে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে অ্যালেক। পরে আবার সে টেস এর সাথে দেখা করে বলে সে কিছুতেই টেসকে ভুলতে পারছেনা। সে যেন তাঁকে বিয়ে করে, যাতে করে সে ধর্মীয় কাজে মন দিতে পারে।
টেস তার বোন লিজা লু (Liza-Lu) এর কাছে জানতে পারে তার মা মৃত্যুশয্যায়। তাই টেসকে মায়ের কাছে ফিরে যেতে হয়। তার মা সেরে উঠলেও তার বাবা মারা যায়। যখন পরিবারটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হচ্ছিল, অ্যালেক তাদের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। টেস তার সাহায্য প্রত্যাখ্যান করে।
কিন্তু শেষে নিরুপায় হয়ে তাঁর কাছে চলে আসে। অবশেষে অ্যাঞ্জেল তার স্ত্রীকে ক্ষমা করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাঁকে খুজে বের করার জন্যে ব্রাজিল ছেড়ে চলে আসে। প্রথমে সে তার মাকে খুজে বের করে। টেসের মা তাঁকে জানায় সে অ্যালেক ডার্ভারভিল এর সাথে Sandbourne নামে একটি গ্রামে গিয়েছে। সেখানে গিয়ে The Herons নামে একটি ভাঁড়া বাড়িতে টেস এর সাথে তার দেখা হয়। সে টেসকে ক্ষমা করে দিয়েছে এবং ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চায়। টেস তাঁকে জানায় সে খুবই দেরি করে ফেলেছে। এক বুক ব্যথা নিয়ে সে স্থান ত্যাগ করে অ্যাঞ্জেল। টেস সাথে সাথেই উপরে চলে যায় এবং অ্যালেককে কুপিয়ে হত্যা করে। বাড়িওয়ালী যখন অ্যালেকের রক্তাক্ত শরীর খুজে পায়, ততক্ষণে টেস অ্যাঞ্জেলকে খুজে বের করার জন্যে বেরিয়ে গিয়েছে।
তার জন্যে টেস অ্যালেককে খুন করেছে এটা সে বিশ্বাস করে না কিন্তু অ্যাঞ্জেল তাঁকে সাহায্য করতে রাজি হয়। তারা শহর ছেড়ে কয়েকদিন একটি খালি বাড়িতে লুকিয়ে ছিল। তারপর আরো দূরে রওয়ানা হয়। সকালের দিকে তারা যখন একটি পাথুরে স্টোনহেঞ্জ এর সামনে আসল, দূর থেকে তারা একটি খোজকারী দলের সন্ধান লাভ করে। টেসকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে ছেড়ে যাওয়ার আগে টেস অ্যাঞ্জেলকে লিজা লুকে বিয়ে করতে অনুরোধ করে যায়। অ্যাঞ্জেল তাই করে। টেসকে যখন জেলখানায় ফাসি দেয়া হয় তখন কালো কাপড় উঠিয়ে তাদেরকে সঙ্কেত দেয়া হয়।
F. E.:- Maruf
Heart touching story.
ReplyDeleteঅনেক সহজ সাবলীল ভাষায় উপস্থাপন করেছেন। সামারিটা পগে খুবই ভাল লাগলো। শুভকামনা রইল
ReplyDeleteSummary ta onek sohoj kore leka hoyece,,, pore kub opokito holam,, thanks
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteVery nice presentation
ReplyDelete