Death of Sir Roger - Joseph Addison - Translation in Bangla |
Death of Sir Roger - Joseph Addison - Translation in Bangla
গত
রাতে
একটা
মর্মান্তিক
দুঃসংবাদ
পেয়ে
আমরা
সকলেই
অত্যন্ত
মর্মাহত
হয়েছি।
আমাদের
পাঠকরাও
সম্ভবত
এই
দুঃসংবাদে
সমান
শোকাহত
হবেন।
দুঃসংবাদটি
হচ্ছে:
স্যার
রজার
ডি
কভার্লে
(Sir
Roger de Coverley) মৃত্যুবরণ
করেছেন।
কয়েক
সপ্তাহের
অসুস্থতার
পর
তিনি
তার
নিজগৃহে
মৃত্যুবরণ
করেন।
স্যার
এন্ড্রু
ফ্রিপোর্ট
(Sir
Andrew Freeport) এই
মর্মে
একটা
চিঠি
পেয়েছেন
যাতে
উল্লেখ
আছে,
সর্দিজ্বরে
আক্রান্ত
হয়ে
পড়ে
স্যার
রজার
তাঁর
বিষয়-আশয়
সম্পর্কে
একটা
উইল
রচনা
করছিলেন।
বিষয়টি
আমরা
জেনেছি
স্যার
রজারের
একজন
প্রতিদ্বন্দ্বী
হুইগ
দলীয়
সদস্যের
লেখা
চিঠি
থেকে।
তাছাড়া
স্থানীয়
গির্জা
প্রধান
এবং
ক্যাপ্টেন
সেন্ট্রির
(chaplain
and Captain Sentry) কাছ
থেকেও
আমরা
চিঠি
পেয়েছি
অবশ্য
সেগুলোতে
দুঃসংবাদটি
ছিল
না,
ছিল
শুধু
বৃদ্ধ
স্যার
রজারের
গুণ
বর্ণনা।
স্যার
রজারের
বাড়ির
পরিচারকের
কাছ
থেকেও
আমরা
একই
রকম
চিঠি
পেয়েছি।
যখন
আমি
কিছুদিনের
জন্য
স্যার
রজারের
নিজ
গৃহে
আতিথ্য
গ্রহণ
করেছিলাম
তখন
ওই
পাকড়শি
(butler,) আমার এত
যত্ন
নিয়েছিল
যে
সে
আমার
বন্ধু
হয়ে
গিয়েছিল।
তার
চিঠিতেও
স্যার
রজারের
মহত্ত্বের
বর্ণনা
আছে।
পাঠকদের
জন্য
আমি
সে
চিঠিটির
কোনোরকম
সংযোজন
বা
বিয়োজন
না
করে
হুবহু
তুলে
দিচ্ছি।
“মহোদয়,
যখন
জানলাম
আপনি
আমার
প্রভুর
অত্যন্ত
ঘনিষ্ঠ
বন্ধু
ছিলেন,
আমি
স্যার
রজারের
মৃত্যু
সংবাদটি
আপনাকে
দেয়া
জরুরি
মনে
করলাম।
স্যার
রজারের
মৃত্যু
সংবাদ
তার
এলাকার
সব
মানুষকে
গভীরভাবে
শোকাহত
করেছে,
তার
দরিদ্র
ভৃত্যদেরও
গভীরভাবে
শোকাহত
করেছে
।
নিঃসন্দেহে
আমরা
আমার
জীবনের
চেয়েও
বেশি
ভালোবাসতাম
তাকে।
আমার
ধারণা
স্থানীয়
সরকারের
গত
অধিবেশনের
সময়ই
মৃত্যু
তার
মধ্যে
বাসা
বেঁধেছিল,
সে
অধিবেশনে
তিনি
একজন
দরিদ্র
বিধবার
সম্পত্তি
নিয়ে
তার
প্রতিবেশী
এক
ভদ্রলোকের
সঙ্গে
বিরোধ
মীমাংসার
জন্য
সালিশে
উপস্থিত
ছিলেন।
আপনিতো
জানেনই,
আমাদের
প্রভু
স্যার
রজার
দরিদ্রদের
প্রতি
অত্যন্ত
দয়ার্দ্র
ছিলেন,
স্বাভাবিকভাবেই
তিনি
তাই
দরিদ্র
বিধবা
ও
তার
অনাথ
সন্তানদের
পক্ষে
ন্যায়
বিচার
প্রত্যাশী
ছিলেন।
সেখান
থেকে
বাড়ি
ফিরেই
স্যার
রজার
অভিযোগ
করেন,
তিনি
তেমন
ক্ষুধা
বোধ
করছেন
না,
মাংস
খেতে
ইচ্ছে
করছিল
(roast-beef
stomach) না
তার
কিন্তু
আপনি
জানেন
গরুর
মাংসের
তৈরি
সিরলয়িন
(sirloin)
ছিল
তাঁর
প্রিয়
খাবার।
তখন
থেকেই
তার
শারীরিক
অবস্থা
ক্রমে
খারাপ
হতে
থাকে
যদিও
খশির
ভাবটা
তিনি
ঠিকই
বজায়
রাখছিলেন।
ঠিক
এ
সময়েই
স্যার
রজার
সেই
বিধবা
মহিলা
যার
প্রতি
স্যার
রজার
গত
চল্লিশ
বছর
ধরেই
দুর্বল
ছিলেন
তার
কাছ
থেকে
একটা
বার্তা
পান,
বার্তাটি
ছিল
মৃত্যুর
পূর্বে
প্রাপ্ত
স্যার
রজারের
জন্য
একটা
খুশির
চমক
(a
lightning before death)।
ওই
বিধবা
মহিলাকে
স্যার
রজার
একটা
মুক্তার
হার
ও
কিছু
রূপার
হাত-বালা
দান
করে
যান।
এসবই
ছিল
স্যার
রজারের
মার,
পরে
তার
স্ত্রীর।
আর
স্থানীয়
গির্জা
প্রধানকে
দিয়ে
যান
স্যার
রজারের
শিকারের
সময়
ব্যবহার
করা
সাদা
ঘোড়াটি
(white
gelding), আর
আপনার
জন্য
রেখে
যান
তার
সংগ্রহের
সমস্ত
পুস্তক।
আরো
দান
করে
যান
স্থানীয়
গির্জা
প্রধানকে,
সংলগ্ন
জমিসহ
চমৎকার
একটি
বসতবাড়ি।
তাছাড়া
যখন
তিনি
তার
উইলটি
রচনা
করেন
তখন
ছিল
প্রচণ্ড
শীত,
তাই
তিনি
এলাকার
প্রায়
প্রত্যেক
পুরুষকে
প্রচণ্ড
শীতে
পরার
মতো
একটা
করে
কোট
( frieze-coat,) আর প্রত্যেক
মহিলাকে
ঘোড়ায়
চড়ার
উপযোগী
একটা
করে
কালো
জামা
(black
riding-hood) দান
করেন।
তার
পরে
যা
করেন
তা
আরো
শোকাবহ;
তিনি
তার
সব
গরিব
ভৃত্যদের
কাছ
থেকে
একে
একে
বিদায়
নেন,
আমাদের
বিশ্বস্ত
সেবার
জন্য
আমাদের
প্রশংসা
করেন,
এ
দৃশ্যে
আমরা
চোখের
জল
সংবরণ
করতে
পারছিলাম
না;
কান্নায়,
আবেগে
একটা
কথাও
বলতে
পারিছলাম
না।
দীর্ঘ
দিন
তার
সেবা
করে
আমরা
সবাই
বৃদ্ধ
হয়ে
(grown
grey-headed) পড়েছিলাম, তিনি
আমাদের
জন্য
পেনশন
ও
এমন
সম্পদের
উত্তরাধিকারী
(pensions
and legacies) করে
যান
যা
দিয়ে
স্বচ্ছন্দে
আমরা
বাকি
জীবন
কাটিয়ে
যেতে
পারব।
তাছাড়া
এমন
অনেক
সম্পদ
তিনি
দান
করে
গেছেন
যা
আমার
সম্পূর্ণ
জানা
নেই;
এলাকায়
সবার
মুখে
মুখে
শুনছি
যে
তিনি
স্থানীয়
উপাশনালয়ের
সামনে
একটা
মিনার
(steeple ) তৈরি করার
মতো
অনেক
টাকা
দান
করে
গেছেন।
স্থানীয়
chaplain স্যার রজারের
ভূয়সী
প্রশংসা
করেন
এবং
স্যার
রজার
সম্বন্ধে
কোনো
কথা
বলতে
গেলে
তিনি
না
কেঁদে
তা
বলতে
পারেন
না।
স্যার
রজারের
শেষ
ইচ্ছানুযায়ী
তাকে
কভার্লে
পরিবারের
পূর্বপুরুষদের
নিকটেই
সমাধিস্থ
করা
হয়,
তার
পিতার
(Sir
Arthur.) কবরের
বাঁম
পাশেই
তাকে
সমাধিস্থ
করা
হয়।
তার
ছয়জন
প্রজা
(six
of his tenants) তার
কফিনটি
বহন
করেছিল
এবং
তার
ছয়জন
ঘনিষ্ঠ
সহচর
(six
of the quorum) তার
কফিনের
উপরের
আচ্ছাদনটি
ধরেছিল।
এলাকার
প্রায়
সব
পুরুষ
তার
দান
করা
শীত
কোট
পরে
এবং
প্রায়
সব
মহিলা
তার
দান
করা
হুডটি
পরে
তার
শবযাত্রায়
সামিল
হয়েছিল।
তার
ভাইপো
ক্যাপ্টেন
সেন্ট্রি
এসব
কিছুর
নেতৃত্ব
দেন।
জীবিতাবস্থায়
স্যার
রজার
তার
ভাইপোর
হাত
ধরে
বলেছিলেন,
সে
যে
সম্পদের
উত্তরাধিকারী
হতে
যাচ্ছে
তা
যেন
সে
যথাযথভাবে
দেখাশুনা
করে,
দানশীল
থাকে।
তার
ভ্রাতুস্পুত্র
সম্ভবত
সে
কাজ
নিষ্ঠার
সাথেই
করছে,
একটু
বেশি
কথা
বললেও
লোকটি
আচরণে
শিষ্ট।
স্যার
রজার
যাদের
খুব
স্নেহের
চোখে
দেখতেন
ক্যাপ্টেন
সেন্ট্রিও
তাই
করেন
এমনকি
স্যার
রজারের
গৃহপালিত
কুকুরটিরও
যত্ন
নেন।
স্যার
রজারের
মৃত্যুর
দিন
কুকুরটি
যে
রকম
অস্থির
হয়েছিল
তা
দেখলে
আপনিও
বিচলিত
বোধ
করতেন।
সেদিন
থেকে
কুকুরটি
আর
কোনোদিন
স্বাভাবিক
হয়নি,
আমরাও
না।
সমগ্র
ওয়েরচেস্টারশায়ার
(Worcestershire) এলাকায় এমন
বেদনাবিধুর
ঘটনা
আর
স্মরণকালে
ঘটেনি।
আপাতত
এই
হচ্ছে
বৃত্তান্ত।
মহোদয়
আপনার
বেদনাহত
ভত্য
এডওয়ার্ড
বিস্কুট
(most
sorrowful servant,
Edward Biscuit)
Edward Biscuit)
সংযোজনঃ
আমার
মালিক
তার
মৃত্যুর
কিছু
দিন
পূর্বে
বলে
গিয়েছেন,
ক্যারিয়ারের
মাধ্যমে
আপনার
কাছে
যে
বইটি
এসেছিল,
সেটাকে
তার
নামে
স্যার
অ্যান্ড্রু
ফ্রিপোর্টকে
দেয়া
উচিত।
No comments:
Post a Comment