William Butler Yeats - Life and Literature - Bengali |
William ButlerYeats - Life and Literature - Bengali
১৮৬৫ সালের ১৩ জুন আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন William Butler Yeats । তার পিতা জন বাটলার ইয়েটস ছিলেন একজন সৃষ্টিশীল মানুষ। তিনি পিতার মত প্রিস্ট না হয়ে প্রথমে আইন পেশায় যোগ দেন। পরে এ পেশা থেকে সরে গিয়ে শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার শৈশব লন্ডনেই কাটে। কিছুকাল ইয়েটস নিজেও চিত্র শিল্প নিয়ে অধ্যয়ন করেছিলেন। যৌবনে তিনি লন্ডনের কবি গোষ্ঠীর সাথে মিলিত হন।
খুব উঁচুমানের না হলেও তার প্রথম দিকের ছাপা কবিতাগুলোই তাকে কবিখ্যাতি এনে দেয়ার পক্ষে যথেষ্ট ছিল। স্বাভাবিকভাবেই যুগের পরিস্থিতি অনুযায়ী তাঁর কবিতায় এক ধরনের পার্থিব ক্লান্তি আর একঘেয়েমির ছাপ ধরা পড়ে। কবির প্রথম দিকের কবিতাগুলোকে কেল্টিক গোধূলির কবিতা। বলা হয়ে থাকে তার এ সময়ের কবিতাগুলোতে কেন্টিক কিংবদন্তির নানা চরিত্র নানাভাবে এসেছে। পার্থিব ক্লান্তি এবং জাগতিক একঘেয়েমি থেকে মুক্তির প্রয়াস এ কবিতাগুলোতে লক্ষ করা যায়। পরবর্তীকালে ইয়েটস নিজেকে একজন স্বপ্নচারী, ভাবালু এবং অতীতপ্রিয় কবি থেকে উত্তরণ ঘটিয়েছেন সময়ের একজন কবি হিসেবে। এ ধারার সূচনা হয়েছিল ১৮৮০ সাল থেকেই।
১৮৭৬ থেকে ১৮৮০ পর্যন্ত ইয়েটস হ্যামারস্মিথের গোডেলফিন বিদ্যালয় এবং ১৮৮০ থেকে ১৮৮৩ পর্যন্ত ডাবলিনের একটি উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। পিতার খামখেয়ালিপনা তার রক্তে ছিল,
একজ্য তিনি ট্রিনিটি কলেজে ভর্তি না হয়ে মেট্রোপলিটন আর্ট স্কুলে ভর্তি হলেন। এখানে কিছুদিন থাকার পর মনে হল, তার উপযুক্ত বিচরণস্থল হল কবিতা। ১৮৮৫ সালের মধ্যেই তার কিছু কবিতা ডাবলিন ইউনিভার্সিটি রিভিউ পত্রিকায় ছাপা হয় এবং তিনি আইরিশ রেনেসার প্রবাদপুরুষ John O' Leary-এর দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হন।
১৯০০ সালে তিনি আয়ারল্যান্ডের নাট্য সংস্কার আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার কিছুকাল আগে লন্ডনে চলে আসেন।পরবর্তীকালে ইয়েটস মালার্মে ও ভেলেনের সঙ্গে পরিচিত হন। এই পরিচয় তাকে আধুনিক ইংরেজি কবিতার অগ্রদূত হিসেবে আত্মপ্রকাশে যথেষ্ট সহায়তা প্রদান করে।
কবিপ্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে ১৯২৩ সালে ইয়েটস নোবেল পুরস্কারে সম্মানিত হন। ১৯২৫ সালের মধ্যে তার কবি খ্যাতি সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং তিনি উত্তরোত্তর উন্নতি করতে থাকেন। তিনি আইরিস সিনেট সদস্যও ছিলেন। ১৯৩৯ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ইয়েটসের জীবনে তিন নারী ইয়েটসের জীবনে তিন জন নারীর ভূমিকা উল্লেখ্য। এরা তিন জন হচ্ছেন, মউড গান: এই মহিলা ছিলেন অসামান্য সুন্দরী ও দৃঢ়চেতা,
ইয়েটস এই মহিলার প্রেমে পড়েন এবং দীর্ঘকাল সে প্রেম লালন করেন। ১৮৯৪ সালে ইয়েটস মডগনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখাত হন। ইয়েটসের কবিতায় প্রায়ই এই মহিলার কথা ঘুরে ফিরে আসে। এমনকি পরবর্তী জীবনে এই মহিলা বিপ্লবী রাজনীতিতে যখন অনমনীয়ভাবে জড়িয়ে পড়েন তখনো ইয়েটস তাকে ভালোবাসতেন,
মউড গানের রাজনীতিকে অনারীসুলভ ভাবলেও ইয়েটস তাকে ভালোবাসতেন। ইয়েটসের জীবনে দ্বিতীয় নারী হচ্ছেন;
লেডি গ্রেগরী। লেডি গ্রিগরী ছিলেন একজন অভিজাত মহিলা তিনি ইয়েটসকে ডাবলিনের এ্যাবী থিয়েটার ও অন্যান্য প্রকল্পে প্রচুর উৎসাহ জুগিয়েছিলেন। শেষ নারী হচ্ছেন ইয়েটসের স্ত্রী যাকে তিনি বায়ান্ন বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। শেষোক্ত মহিলাই ইয়েটসের জীবনে পরিপূর্ণতা আনেন, স্থিতি আনেন, অন্যরা যা পারেনি।
১৯৩৯ সালের ২৮ জানুয়ারি এই প্রতিভাধর কবি পরলোকগমন করেন।
ইয়েটসের কর্ম
কবিতা
মোসোডা : কাব্য নাট্য (১৮৮০)। দি ওয়েন্ডারিংস অব ওইসিন, (১৮৮৯), কবিতা গুচ্ছ (১৮৯৫) দি উইন্ড এমং দি রিডস, (১৮৮৯) ইন দি সেভেন উডস, (১৯০৩) দি গ্রীন হেলমেট ও অন্যান্য কবিতা, (১৯১০) রেসপনসিবিলিটিস, (১৯১৬) দি ওয়াইল্ড সোয়ান এট কুলে,
(১৯১৭) মাইকেল রবার্টস এন্ড দি ড্যান্সার, (১৯২০) লেটার পয়েমস,
(১৯২২)। দি ক্যাট এন্ড দি মুন এন্ড সার্টেন পয়েমস, (১৯২৪) দি টাওয়ার,
(১৯২৮) দি ওয়াইন্ডিং স্টেয়ার,
(১৯৩৩) কালেকটেড পয়েমস, (১৯৩৩) দি কিং অব দি গ্রেট টাওয়ার, (১৯৩৪) এ ফুল মুন ইন মার্চ,
(১৯৩৫) লাস্ট পয়েমস এন্ড প্লেজ (১৯৪০)।
কালেকটেড পয়েমস,
(১৯৪৯)
নাটক
দি কাউন্টেস ক্যাথলীন, (১৮৯২) দি ল্যান্ড অব হার্টস ডিজায়ার,
(১৮৯৪) দি শ্যাডোয়ী ওয়াটার্স,
(১৯০০)। ক্যাথলীন ইন হৌলিহান, (১৯০২) হোয়ার দেয়ার ইজ নাথিং, (১৯০২), দি আওয়ার গ্লাস,
(১৯০৩)। দি পট অব ব্ৰথ,
(১৯০৪)। দি কিংস থেসোল্ড, (১৯০৪) দেয়াদ্রে, (১৯০৭)। দি ইউনিকর্ন ফ্রম দি স্টার্স এন্ড আদার প্লেজ, (১৯০৮) প্লেজ ফর এন আইরিশ থিয়েটার,
(১৯১১)। ফোর প্লেজ ফর ড্যালার্স,
(১৯২১) হুইলই এন্ড বাটারফ্লাইজ,
(১৯৩৪) দি হারনিস এ্যাগ,
(১৯৩৮) কালেকটেড প্লেজ, (১৯৫২)
No comments:
Post a Comment