Thomas Stern Eliot – Life and Literature (টি এস ইলিয়ট – জীবন ও সাহিত্যকর্ম) |
১৮৮৮ সালের ২৬
শে সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের
শিল্প শহর মিসৌরীর
সেন্ট লুইসে জন্মগ্রহণ
করেন কবি টমাস
স্টার্ন ইলিয়ট। তাঁর
পিতার নাম হেনরী
ইলিয়ট এবং মাতার
নাম শার্লট স্টিমস।
দুজনের চরিত্র বৈশিষ্ট্যই
তাঁর মধ্যে সমানভাবে
বিদ্যমান ছিল। তার
পূর্বপুরুষগণ ইংল্যান্ডের সমারসেটের
পূর্ব কোকার থেকে
১৬৬৮ সালে আমেরিকায়
পাড়ি দেন। তাই,
জন্মসূত্রে এলিয়ট ছিলেন
মার্কিন আর বংশসূত্রে
ছিলেন ইংরেজ। পরবর্তীকালে
তিনি ইংল্যান্ডের স্থায়ী
অধিবাসী হন। তাঁর
পিতা ছিলেন একজন
সফল নির্মাণ সামগ্রী
ব্যবসায়ী। তাঁর মাতা
ছিলেন উদ্যোগী সমাজকর্মী
এবং লেখিকা। তিনি
নারী অধিকারের বলিষ্ঠ
সমর্থক ছিলেন।
১৯০৫ সালে সেন্ট
লুইসের একটি প্রাথমিক
বিদ্যালয়ে পড়াশুনা শুরু
করেন এলিয়ট, পরে
কিছুকাল বোর্ডিং স্কুলে
পড়াশুনা করার পর
উচ্চশিক্ষার জন্য হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। তাঁর
মেধার কারণে অচিরেই
তিনি তাঁর শিক্ষকদের
সৃষ্টি আকর্ষণ করেন
এবং ল্যাটিন ভাষায়
পারদর্শিতার জন্য ১৯০০
সালে স্বর্ণ পদক
লাভ করেন। উল্লেখ্য
যে, সেন্ট
লুইসেই একটা আসবাবপত্রের
দোকানের নাম ছিল
প্রুফ্রক-নিটাউ, সম্ভবত
এই নামটি থেকেই
তিনি তার প্রথম
জীবনের বিখ্যাত Love
Song of
J. Alfred Prufrock's কবিতাটির
নামকরণ করেন।
১৮৯৭ সালে তাঁর
পিতা পরিবারের অবকাশ
যাপনের জন্য কেইপ
এনের পূর্ব দিকে
একটা বাড়ি বানান।
এখানেই এলিয়ট ইয়ট
খেলায় দক্ষ হয়ে
ওঠেন, সম্ভবত এই জন্যই এলিয়টের
বহু কবিতার সাগর
বা পালতোলার অনেক
উল্লেখ পাওয়া যায়।
১৯০৬ সাল থেকে
১৯১০ সাল পর্যন্ত
হার্ভার্ডে এলিয়ট গভীর
অভিনিবেশে ভাষা ও
সাহিত্য অধ্যয়ন করেন।
তিনি একাধারে ক্লাসিক্যাল
সাহিত্য, জার্মান, ফরাসি
ও ইংরেজি সাহিত্য
ও তুলনামূলক সাহিত্য
অধ্যয়ন করেন। এখানেই
তাঁর দান্তে ও
ডানের কবিতার সঙ্গে
পরিচয় হয়। এ
দুজন কবি তাঁকে
প্রচুর প্রভাবিত করেছিল
তার কাব্যকর্মে। তা
ছাড়া অধ্যাপক আরভিং
ব্যাবিট ও জর্জ
সান্তানায়ার বিজ্ঞ বক্তৃতাও
তাকে প্রচুর প্রভাবিত
করেছিল। তখন হার্ভার্ডে
নাট্যচর্চার বেশ প্রসার
দেখা দেয়,
এলিয়ট এর প্রভাবে
নাটক রচনায় আগ্রহী
হন।
১৯০৮ সালে প্রথম
তিনি আর্থার সিমন
রচিত, The Symbolist Movement in
Literature গ্রন্থটি
পাঠ করেন। এই
গ্রন্থটির মাধ্যমেই এলিয়ট
লাফার্জের কবিতার সঙ্গে
পরিচিত হন। কবি
লাফার্জের কবিতার প্রতীক
ধর্মীতা, এলিয়টের বাক্যবোধকে
প্রবলভাবে নাড়া দিয়েছিল।
এলিয়ট নিজেই স্বীকার করেন,
তিনি যখন কাব্য
রচনা শুরু করেন
তখন ইংল্যান্ড বা
আমেরিকায় এমন কোনো
কবি ছিল না,
যাকে তিনি আদর্শ
হিসেবে গ্রহণ করতে
পারেন। আর্থার সাইমন্সের
গ্রন্থটির মাধ্যমেই তিনি
রিম্বো, লাফার্জ ও
ম্যালার্মের কাব্যধারার সঙ্গে
পরিচিত হন।
জানুয়ারি ১৯৩০ সালে
প্রকাশিত ‘Criterion' পত্রিকার এক
নিবন্ধে এলিয়ট লেখেন,
“মি. সাইমন্সের
কাছে আমার ঋণ
অনেক ... এ বইটা
না পড়লে, আমি
কোনোদিনই রিম্বো, লাফার্জ,
মালার্মে ও ভার্লেইন
পড়তে শুরু করতাম
না। আর ভার্লেইন
না পড়লে করিবারকে
জানতাম না। তাই
সাইমন্সের গ্রন্থটি আমার
সারা জীবনের গতিকে
প্রভাবিত করেছে ...”।
অন্য এক প্রসঙ্গে
এলিয়ট মন্তব্য করেন,
উল্লিখিত কবিদের কাছ
থেকেই তিনি এই
ধারণা পান,
যে কবিতায় আবেগ
ও বুদ্ধিবৃত্তির একটা
গ্রহণযোগ্য সমন্বয় সম্ভব
এবং এর মাধ্যমেই
আধুনিক যুগের জটিল
বোধগুলোর প্রকাশ সম্ভব।
এলিয়টের প্রথম জীবনের
রচনায় আপাত সামঞ্জস্যহীন
অনেক ভাবনাকে তিনি
একত্রে জুড়ে দিয়েছিলেন
ম্যাটাফিজিকাল কবিদের অনুসরণে।
লাফার্জ ও করিবারই
ছিল এলিয়টের আদর্শ।
অনেক ক্ষেত্রেই এলিয়টের
চরিত্ররা ভীরু,
স্নায়ু বিকারগ্রন্থ কিন্তু
তিনি তাদের মনোবেদনাকে
সচকিত বোধকে প্রকাশ
করেছেন অত্যন্ত দক্ষতার
সাথে। অভ্যন্তরীণ মনো
যন্ত্রণাকে অতি আনুষ্ঠানিক
আচরণের মোড়কে ঢেকেও
বুদ্ধির প্রয়োগে সে
সব প্রকাশ করেছেন
সফলভাবে।
১৯১০ সালে স্নাতক
ডিগ্রি লাভের পর
এলিয়ট ফ্রান্সের সরবোন
বিশ্ববিদ্যালয়ে এক বছর
কাটান। সেখানে তিনি
অনেক বিখ্যাত ফরাসি
সাহিত্যিকের রচনা পড়ে
শেষ করেন। ১৯১১
সালে তিনি জার্মানির
ব্যাভারিয়া যান এবং
আধুনিকতাবাদী জার্মান সাহিত্যিকদের
সঙ্গে পরিচিত হন।
১৯১১ সালেই এলিয়ট
হার্ভার্ড ফিরে আসেন
এবং দর্শন অধ্যয়ন
শুরু করেন। এখানেই
তিনি দর্শন ও
সংস্কৃত অধ্যয়ন করেন।
১৯১৩ সালে তিনি
হার্ভার্ড দর্শন সমিতির
সভাপতি নির্বাচিত হন।
পরের বছর তিনি
জার্মানির মারবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে
অধ্যয়নের জন্য যান।
১৯১৪ সালে প্রথম
মহাযুদ্ধ শুরুর প্রাক্কালে,
এলিয়ট দর্শনশাস্ত্র অধ্যয়নের
জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে
যান এবং ১৯১৫
সাল পর্যন্ত সেখানে
থাকেন। সাময়িক অর্থকষ্টে
পড়ে তিনি ১৯১৬
সালে স্কুল শিক্ষকতায়
যোগ দেন। ১৯১৬
সালে তিনি দর্শনশাস্ত্রে
তাঁর গবেষণা অভিসন্দর্ভ
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এফ.
এইচ. ব্র্যাডলীর
নিকট পেশ করেন
কিন্তু কখনো পিএইচ.ডি.
ডিগ্রি সনদের জন্য
হার্ভার্ড যাননি। তিনি
স্থায়ীভাবে লন্ডনেই থেকে
গেলেন এবং কাব্য
রচনায় মনোনিবেশ করলেন।
প্রধানত তাঁর কবি
গুরু এজরা পাউন্ডের
সঙ্গে পরিচয় এবং
১৯১৫ সালের জুলাইয়ে
এক ইংরেজ রমণীকে
বিয়ে করার কারণে
তিনি লন্ডনে স্থায়ী
হয়ে গেলেন।
এজরা পাউন্ডের সঙ্গে
এলিয়টের পরিচয় তার
জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
ছিল। সে সময়ে
লন্ডনের কাব্য জগতে
পাউন্ডের খুব সুনাম
ছিল। পরে প্যারিসেও
তাঁর সুনাম ছড়িয়ে
পড়ে। পাউন্ডই প্রথম
এলিয়টের কবিতা প্রকাশে
সহায়তা করেন প্রথমে
আমেরিকার ‘পোয়েট্রি’ ম্যাগাজিনে
পরে ইংল্যান্ডের অন্যান্য
ম্যাগাজিনে। ১৯১৭ সালে
এলিয়টের প্রথম কাব্যগ্রন্থ
‘Prufrock and other observations প্রকাশিত
হয়। এজরা পাউন্ডের
মাধ্যমেই এলিয়ট সে
সময়কার বিখ্যাত সাহিত্য
ব্যক্তিত্ব; ক্লাইভ বেল,
লেওনার্ড উলফ,
তাঁর স্ত্রী ভার্জিনিয়া
উলফ, ই.
এম ফরষ্টার, ডি.
এইচ লরেন্স, উইন্ডহাম
লুই, ফোর্ড
মেডক্স ফোর্ড, ডব্লিউ,
বি, ইয়েটস,
জেমস জয়েস প্রমুখের
সঙ্গে পরিচিত হন।
এসব ব্যক্তিত্বের সঙ্গে
পরিচয় ও মত
বিনিময়ে এলিয়টের সাহিত্য
চেতনা উৎকর্ষ লাভ
করে।
১৯১৭ সালে এলিয়ট
লয়েড ব্যাঙ্কে চাকরি
নেন এবং ১৯২৫
সাল পর্যন্ত সে
চাকরি করেন। একই
সঙ্গে কাব্যচর্চাও চালিয়ে
যান। তাঁর দ্বিতীয়
কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়
১৯২০ সালে,
‘Gerontion' কবিতাটি
দ্বিতীয় বাক্যগ্রন্থ সংযোজিত
হয়। কবি হিসেবে
এলিয়ট প্রসিদ্ধি লাভ
করতে শুরু করেন।
১৯২১ সালে ওয়েস্ট
ল্যান্ড রচনা শেষে
তা এজরা পাউন্ডকে
দেন মতামতের জন্য।
এজরা পাউন্ড কবিতাটির
৮০-৮৫
লাইন কেটে বাদ
দেয়ার পর তা
১৯২২ সালে প্রকাশিত
হয়, এলিয়ট
সম্পাদিত ‘দি ক্রাইটেরিয়া'
পত্রিকায়। ১৯৩৬ সালের
মধ্যে সাহিত্য জগতে
এলিয়ট প্রতিষ্ঠিত হয়ে
যান। ১৯৪৮ সালে
তিনি সাহিত্য নবেল
পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৪৭ সালে তাঁর
স্ত্রী মারা গেলে,
১৯৫৭ সালে এলিয়ট
পুনরায় বিয়ে করেন।
১৯৬৫ সালের ৪ঠা
নভেম্বর এলিয়ট মারা
যান।
কর্ম
১. ১৯১৭-এলিয়টের প্রথম
কাব্যগ্রন্থ ‘Prufrock and other
observations
প্রকাশিত হয় এতে
যে সব কবিতা
ছিল সেগুলো হচ্ছে:
The
Love Song of J. Alfred Prufrock
Portait
of a Lady
Prelude
Rapsody
on a Windy Night
Mr.
Appolinax.
La
Fisila che Piange.
২. ১৯২০-এলিয়টের দ্বিতীয়
বাক্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়
এতে নিম্নবর্ণিত
কবিতাগুলো
ছিল:
Gerontion
Burbank
with a Baedeker : Bleistein with a cigar Sweeny Erect
A
cooking Egg
The
Hippopotamus
Whisper
of Immortality
Mr.
Eliot's Sunday
Morning
Sevice
Sweeney
Among the Nightisales.
৩. ১৯২২-The
Waste Land
৪. ১৯২৫-The
Hollow Men
৫. (১৯২৭-১৯২৯)-The
Ariel Poems এতে
ছিল
Journey
of the Magi
A
Song of Simeon
Animula
Marina
৬. Four Quartets এতে ছিল
Burnt
Norton
East
Coker
The
Dry Salvages
Little
Gidding
নাটকসমূহ:
৭. ১৯৩৫
- Murder in the cathedral
৮. ১৯৩৯
- The Family Reunion
৯. ১৯৪৯
- The Coktail Party
১০. ১৯৫৩
- The Confidential Clerk
১১. ১৯৫৮
- The Elder Statesman
গদ্য রচনা:
১২. ১৯৫১
- Selected Essays
১৩. ১৯৫৭
- On Poetry and Poets
১৪. ১৯৬৫
- To Criticize The Critic
১৫. ১৯৩৩
- The use of Poetry and the use of criticism
১৬. ১৯৩৯
- The Idea of a Christian Society
১৭. ১৯৪৮
- Notes Towards a Definition of Culture
No comments:
Post a Comment