The Frogs – Aristophanes – Summary in Bengali |
TheFrogs (Gr - Bátrachoi ) – Aristophanes – Summary
in Bengali
Aristophanes
এর
The Frogs নাটকটি অ্যাথেন্সের
বার্ষিক
নাট্যোৎসব Lenaia তে হজরত ঈসা
(আঃ)
এর
জন্মের
৪০৫
বছর
আগে
মঞ্চায়িত
হয়।
এর
এক
বছর
পূর্বে
বিখ্যাত
নাট্যকার
Euripides মৃত্যু বরণ
করেন।
অ্যারিস্টোফেনিস
রচিত কমেডি
গুলোর
মাঝে
অন্যতম শ্রেষ্ঠ
হচ্ছে
ফ্রগস।
এ
নাটকের
মূল
বিষয়
হচ্ছে
ট্রাজেডী রচয়িতাদের ব্যর্থতা।
নাটকের
শুরুতেই
আমরা
প্রত্যক্ষ
করি,
ডায়োনিসাস
বর্তমান
কালের ট্রাজেডী
রচয়িতাদের
ট্রাজেডী
কর্মগুলোতে
মোটেই
তৃপ্তি
না
পেয়ে
হেরাক্লিসের
ছদ্মবেশ
ধারণ
করে
পাতালপুরীর
উদ্দেশে
যাত্রা
করেছেন,
তাঁর
প্রধান
উদ্দেশ্য
হচ্ছে
ইউরিপিডিসকে
ফের
জীবিত করে
তাকে নাট্যজগতে
ফিরিয়ে
নিয়ে
আসবেন।
দেবতা
ডায়োনিসাস গ্রীক
ট্রাজেডীর
গুণগত
মানের
ব্যর্থতা
ও
অধঃপতন
দেখে
শেষ
পর্যন্ত
হেরাক্লিসের
ছদ্মবেশ
ধারণ
করে
তার
ক্রীতদাস
ও
ভাড়
জ্যানথিয়াসকে
সাথে
নিয়ে
নিজ প্রিয়
নাট্যকারের
সন্ধান
করতে
মৃতের
রাজ্য-
মৃত্যুপুরীতে
বা
পাতালপুরীতে
(Hades) যাত্রা
করেন।
তাঁর
মূল
উদ্দেশ্য
হল,
নাট্যকার
ইউরিপিডিসকে
(Euripides) জীবিত করে
ফের
পৃথিবীতে
ফিরিয়ে
এনে
আবার
নাটক
রচনা
করাবেন।
তখন
তিনি
হারকিউলিস
বা
হিরাক্লিস
এর
কাছে
পাতালপুরীর
রাস্তা
জিজ্ঞাসা
করলেন।
কারন
সে
এর
আগে
Cerberus নামক
হাউন্ড
কে
আনতে
সেখানে
গিয়েছিল।
মজার
ব্যাপার
হল
সে
যখন
হিরাক্লিসের
বাড়ির
দরজায়
Hades
এ
যাওয়ার
দ্রুততম
পথ
সম্পর্কে
জানতে
যাচ্ছিল,
তখন
সে
হিরাক্লিসের
ছদ্মবেশে
সেখানে
গিয়েছিল,
তার
নিজের
মতই
অন্য
কাউকে
দরজায়
দেখে
হিরাক্লিস
খুব
মজা
পায়।
হিরাক্লিস
তখন
তাকে
কারন
জিজ্ঞাসা
করলে
সে
জানায়
ভালো
মানের
কবি
আনতেই
সে
সেখানে
যাচ্ছে।
হিরাক্লিস
তার
কাছে
সফোক্লিস
পূত্র
আইয়োফোম,
অ্যাগাথন,
যেনোক্লিস,
পাইথান
জেলাস
সহ
আরো
অনেক
কবির
খবর
জানতে
চায়।
ডায়োনিসাস
সবার
খবর
বলে
যায়।
ডায়োনিসাস
বাকি
কবিদের
পাতাহীন
গাছের
সাথে
তুলনা
করে।
আর
এজন্যেই
সত্যিকারের
কবি
ইউরিপিডিসের
দরকার।
হিরাক্লিস
তখন
তাকে
জানায়
সেখানে
যাওয়ার
সবচেয়ে
সহজ
রাস্তা
হচ্ছে,
গলায়
ফাস
দিয়ে
ঝুলে
যাওয়া,
হ্যামলক
বিষ
খাওয়া
অথবা
উঁচু
দালান
থেকে
লাফ
দেয়া।
তার
যেটা
পসন্দ
হয়
সে
সেটাই
করতে
পারে।
ডায়োনিসাস
রেগে
গেলে
সে
তাকে
সেই
রাস্তা
বলে
দেয়।
মৃত্যুপুরীতে
যাওয়ার
আগে
পার
হতে
হয়
স্টিক্স
নদী,
স্টিক্স
নদীর
খেয়া
নৌকার
মাঝি
ক্যারণ
তাদেরকে
পার
করে
দেয়,
তারা
এসে
পৌছান
মৃত্যুপরীতে।
নৌকার দু’পাশে
অনবরত
ব্যাঙের
ডাকের আওয়াজ
পাওয়া
যায়।
অতঃপর
পাতালপুরীতে
পৌঁছার
পর
একের
পর এক হাস্যরসাত্মক ঘটনা
ঘটতে
থাকে।
এদিকে
ডায়োনিসাস
নাট্যকারদের
সন্ধান
করতে
গিয়ে
দেখলেন
এক
জায়গায়
নাট্যকার
ইউরিপিডিস
আর
এস্কাইলাস
দুজনে
বিবাদ
করছেন।
এ
নাটকের
সবচাইতে চিত্তাকর্ষক
দিক
হচ্ছে
এস্কাইলাসের
সাথে
ইউরিপিডিসের প্রতিযোগিতা।
কে
পাবেন
শ্রেষ্ঠ
নাট্যকারের
মর্যাদা,
আর
যিনি
শ্রেষ্ঠ
হবেন
তিনি
পাতালের
ভোজসভায়
রক্ষিত
শ্রেষ্ঠ
আসনটিতে
আসন
নেবেন।
দুজনের
মাঝে
কে শ্রেষ্ঠ
এটা
প্রমাণ
করার
জন্য
প্রতিযোগিতার
আয়োজন
করা
হল,
লড়াই
হবে
দু
কবির
মাঝে।
যিনি
জিতবেন
তিনিই
পাবেন
শ্রেষ্ঠ
আসন।
বিচারক
হিসেবে
বসলেন
ডায়োনিসাস
নিজেই।
প্রতিযোগিতাটা
এমন
কোন
বিষয় নয়, শুধু
একটি
দাঁড়িপাল্লা
ঝুলিয়ে
ওদের
দুজনের
নাটকের
লাইনগুলো
দুপাশে
বসিয়ে ওজন
করা
হবে।
ওজনে
যার
শব্দাবলী
ও
বিষয়বস্তু
ভারী
হবে
সেই
জয়ী
বলে
বিবেচিত
হবেন।
অবশ্য
এ
লড়াই
শুরু
হওয়ার
আগে
দুজনে
বেশ
কিছু
সময়
ধরে
বাকযুদ্ধ
চালালেন।
এখানে
একে
অপরকে
তীব্র
শ্লেষের
ভাষায়
আক্রমণ
করলেন।
অ্যারিস্টোফেনিস
এ
নাটকে ইউরিপিডিসকে
নিয়ে
বিদ্রুপ
করেছেন।
অ্যারিস্টোফেনিস
ইউরিপিডিসকে অভিযুক্ত
করেছেন
ট্রাজেডীর নৈতিক
দিকের অধঃপতন
ঘটানোর
জন্য।
ইউরিপিডিসের
মৃত্যুর
পরপরই
অ্যারিস্টোফেনিস তার
ফ্রগস নাটকটি রচনা
করেন।
আসলে
এ
বাকযুদ্ধের
দ্বারা
অ্যারিস্টোফেনিস
দুজনের
নাট্যকর্মকে
মূল্যায়ন
করতে
প্রয়াসী
হয়েছেন।
মূলত
ইউরিপিডিসের
নাট্যকর্মের
সমালোচনা
করতে
প্রয়াসী
হয়েছেন
অ্যারিস্টোফেনিস।
নাট্যকার
ইউরিপিডিস
তাঁর
পূর্বসূরী
নাট্যকার
এস্কাইলাস
সম্পর্কে
অভিযোগ
তুলে
বলেন
যে,
এস্কাইলাসের
নাটক
খুবই
দুর্বোধ্য,
বারবার
একই
বিষয়
তিনি
উচ্চারণ
করেন
তার
সৃষ্টি
কর্মে,
তিনি
বড়ই
উচ্চস্বরে
তার
বক্তব্য
তুলে
ধরেন
এবং
তিনি
যুদ্ধের
স্বপক্ষে
সর্বদা
তার
মত
প্রকাশ
করতে
প্রয়াসী
হন
শিল্পকর্মের
মাধ্যমে।
এস্কাইলাস
এই
অভিযোগের
জবাবে
জানান
যে,
ইউরিপিডিসের
নাটকে
প্রাণ
বলতে
কিছুই
নেই,
একেবারেই
প্রাণহীন
বিবর্ণ,
আর
শুষ্ক,
শুধু
হালকা
যুক্তিতর্ক
দ্বারা
তাঁর
নাটক
পরিপূর্ণ,
মহৎ
কোন
নৈতিক
দিক
তার
নাটকে
প্রত্যক্ষ
করা
যায়
না।
বিচার
কার্য
শুরু
হলে
তাদের
দুজনের
নাটকের
বিষয়গুলো
যখন
দু'পাশের
পাল্লায়
তুলে
দেয়া
হল
তখন
দেখা
গেল এস্কাইলাসের
দিকে
পাল্লা
ঝুলে
পড়েছে,
সেদিকটাই
ভারী।
ডায়োনিসাস
তাকে
বিজয়ী
ঘোষণা
করলেন
আর
ইউরিপিডিসকে
না
নিয়ে
এস্কাইলাসকে সাথে নিয়েই এথেন্সে ফিরে যাওয়ার উদ্যোগ নিলেন।
প্রয়োজনীয়
লিঙ্ক
১।
দ্যা ফ্রগস নাটক – চরিত্র সমূহ বিশ্লেষনঃ লিঙ্ক
২।
অ্যারিস্টোফেনিস এর জীবনী - বাংলা
অ্যারিস্টোফেনিসের
সময়কালে
বিদ্রুপাত্মক
কমেডি
যথেষ্ট
জনপ্রিয়তা
পায়।
এই
কমেডি
সাধারণ
মানুষের
জীবন
যাত্রাকে
অবলম্বন
করে
রচিত
হত।
সমাজের
উঁচুস্তরের
নানা
নিয়ম
নীতি
থেকে
শুরু
করে
নিম্ন
পর্যায়ের
নানা
শ্রেণীর
মানুষের
জীবনযাত্রার
একরূপ
তীব্র
সমালোচনাই
বলা
যায়
একে।
অ্যারিস্টোফেনিস
তাঁর
নাট্যকর্মে
শুধু
বিদ্রুপই
করেননি,
তিনি
নতুন
নিয়ম
নীতি
ও
শিক্ষা
ব্যবস্থার
দিকেও
ইঙ্গিত
প্রদান
করেছেন।
দেবতা
ডায়োনিসাস
নামক
চরিত্রটি
সৃষ্টির
মাধ্যমে
নন,
তিনি
নিজেই
যেন
গ্রীসের
সাহিত্যকর্মের
বিচারক
হয়ে
বসেছেন
তার
ফ্রগস
নাটকে।
তীব্র
শ্লেষের
দৃষ্টিতে
পর্যবেক্ষণ
করেছেন
ট্রাজেডী
সাহিত্য
কর্মগুলোর
নিম্নগামিতা।
নিম্নমানের
এই
ট্রাজেডী
কর্মকেই
তিনি
সরাসরি
আক্রমণ
করেছেন
এ
নাটকে।
ফ্রগস
নাটকটিকে
মোটামুটি
একটি
জটিল
ফ্যান্টাসী
(অবাস্তব-কল্পনা)
নাটক
হিসেবেই
ধরে
নেয়া
যায়।
এ
নাটকেই
আমরা
প্রথম
বারের
মত
সৃষ্টিশীল
একটি
গ্রীক
সাহিত্যকর্ম
বিশেষ
করে
সমালোচনামূলক
একটি
সাহিত্যকর্মের
সাক্ষাৎ
লাভ
করি।
Great your writing
ReplyDelete