The Frogs - Aristophanes - Characters Analysis (Bengali) - দ্যা ফ্রগ - চরিত্র বিশ্লেষন |
The Frogs - Aristophanes - Characters Analysis (Bengali) - দ্যা ফ্রগ - চরিত্র বিশ্লেষন
এক
নজরে নাটকের চরিত্রসমূহঃ
নাটকের
পাত্র-পাত্রী
ডায়োনিসাস : নাটকের
পৃষ্ঠপোষক দেবতা।
জ্যানথিয়াস : ডায়োনিসাসের
ভৃত্য
হেরাক্লিস (হারকিউলিস)
একটি শবদেহ।
ক্যারন
: মৃতজনদের আত্মাকে পার করার খেয়া নৌকার মাঝি
ইয়াকস
: পাতালপুরীর দ্বাররক্ষক
পার্সিফোনের
পরিচারিকা
দুজন
গ্রাম্য মহিলা।
প্লুটোর
একজন বয়সী ভৃত্য
নাট্যকার
ইউরিপিডিস
নাট্যকার
অ্যাস্কাইলাস।
কোরাস
দল : যুবা ও বয়োবৃদ্ধদের নিয়ে গঠিত ব্যক্তিদের কোরাস
একজন
বাদ্যকর বালিকা
শববাহকগণ, ভৃত্যগণ,
নাচনেওয়ালী বালিকা, পাতালপুরীর বাসিন্দাগণ প্রমুখ।
বিস্তারিত
পরিচয়ঃ
ডায়োনিসাস : গ্রীক
দেবতা ডায়োনিসাস। আনন্দ ও সুরার দেবতা তিনি। তিনি আবার নাট্যকলারও পৃষ্ঠপোষক দেবতা।
তিনি একদা খুবই ক্রুদ্ধ হন। গ্রীক ট্রাজেডী নাটকের নিম্নগামিতা রক্ষ করে। হেরাক্লিসের
ছদ্মবেশ ধারণ করে তিনি একজন সার্থক ট্রাজেডী নাট্যকারকে খুঁজে বের করার জন্য মৃত্যুপুরীতে
যাত্রা করেন, সাথে নেন একজন ক্রীতদাস, ক্রীতদাসের
নাম জ্যানথিয়াস, ভাঁড়ামিতে খুবই চৌকশ সে। যাত্রাপথে ডায়োনিসাস
নানাবিধ জটিল সমস্যার মুখোমুখি হন, যাত্রাপথে ভাঁড়ের ভাঁড়ামি
দ্বারা তিনি খুবই অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন মাঝেমধ্যেই। ডায়োনিসাসের আসল উদ্দেশ্য ছিল নাট্যকার
ইউরিপিডিসকে জীবিত করে ফের পৃথিবীতে নিয়ে আসা। পাতালপুরীতে এসে ডায়োনিসাস দেখলেন ইউরিপিডিস
ও এস্কাইলাসকে ঝগড়ারত অবস্থায়। এদের দুজনের কে শ্রেষ্ঠ নাট্যকার সেটা বিচার করার
দায়িত্ব নিলেন ডায়োনিসাস। এখানে ডায়োনিসাস চরিত্রটির মাঝে এ্যারিস্টোফেনিসকেই লক্ষ
করি আমরা। এই প্রথমবারের মত দেবতা ডায়োনিসাসের ছদ্মবেশে এ্যারিস্টোফেনিস নিজেই যেন
নাট্যকারদের নাট্যকর্মের বিচার করতে বসলেন। দেবতা ডায়োনিসাস নামক চরিত্রটি মূলত এখানে
দেবতা হিসেবে নন, তিনি যেন গ্রীক নাট্যকর্মের একজন মুখপাত্র
ও বিচারক হিসেবে আবির্ভূত হন দর্শকদের সামনে।
জ্যানথিয়াস : ডায়োনিসাসের
ক্রীতদাস। যার সাথে ডন
কুইক জোটের সাঙ্কোপাঞ্জার তুলনা করা চলে। ভাড়ামিতে সে একেবারে চৌকশ, তার
প্রভুর সকল কার্যপদ্ধতি যেন তার মধ্য দিয়ে বিশেষ করে তার কার্যকলাপের মাঝে ছায়া ফেলে।
জ্যানথিয়াস প্রথমে, যাত্রার শুরুতেই জানায় আদিকালের কৌতুকের
কথা, সে বলে, সে জনসমাজে হাসির পাত্র হচ্ছে।
জবাবে ডায়োনিসাস জানান, এসব ঘুণে ধরা বাক্য তিনি বহুবার শুনেছেন।
জ্যানথিয়াস এখানে গতানুগতিক সাহিত্যকর্মের কথাই তুলেছে এটা সহজেই বোঝা যায়। নানা
রকম চটুল বাক্য প্রয়োগ করে জ্যানথিয়াস পরিবেশটাকে হাস্য রসে মুখর রাখতে চেষ্টা
করেছে। তার হাস্যরসের ফাঁকে ফাঁকে ডায়োনিসাস ভরে দিয়েছেন তীব্র শ্লেষের বাণী।।
মোট
কথা জ্যানথিয়াস একজন ভাড় হিসেবে নাটকে নির্মল হাস্যরসের জোগান দিলেও মাঝেমধ্যে তার
মুখ থেকেও তথাকথিত নিম্নমানের নাট্যকার ও কবিদের প্রতি শ্লেষ ও বিদ্রুপের বাণ নিক্ষিপ্ত
হয়েছে। নাট্যানুষ্ঠানে নাটক দেখার মুহূর্তে জ্যানথিয়াস জানায় তার গর্দান ব্যথা করছে।
সে কোন কিছু বলতে পারছে না। তার কাছে সবই অর্থহীন মনে হচ্ছে। এ্যারিস্টোফেনিস মঞ্চে
অভিনীত সেকালের নাটকগুলোর অসারতা প্রমাণ করতে প্রয়াস পেয়েছেন। এই নাটকে জ্যানথিয়াস আসলে একজন সাধারন
মানুষের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছে।
ইউরিপিডিস : ফ্রগস
নাটকে নাট্যকার ও কবি ইউরিপিডিসকে একেবারে খেলো হিসেবে প্রমাণ করতে প্রয়াসী হন আরেক
বিখ্যাত নাট্যকার এস্কাইলাস। এটা নিয়ে প্রবল বিরোধ জমে ওঠে। এ্যারিস্টোফেনিসে মূলত
এখানে ইউরিপিডিসের নাট্যকর্মগুলোকেই নির্মমভাবে আক্রমণ করেছেন। গ্রীসের খ্যাতিমান এই
নাট্যকারের নাট্যকর্মগুলোকে সমালোচনা করাই নাটকের মূল উদ্দেশ্য। এর পরিণতিতে দেখা যায়
দুজন নাট্যকারকে পাল্লায় বিচার করে এস্কাইলাসকেই শ্রেষ্ঠ বিবেচিত করা হচ্ছে।
এস্কাইলাস : ইনিও
বিখ্যাত গ্রীক নাট্যকার, ট্রাজিক রচনায় তার গুরুত্ব অপরিসীম।
দেবতা ডায়োনিসাস ইউরিপিডিসের সাথে তার তুলনা করতে গিয়ে দুজনের সাহিত্য কর্ম পাল্লায়
তুলে ওজন করে এস্কাইলাসকেই শেষে বিজয়ী ঘোষণা করেন।
হেরাক্লিস : বীর
হারকিউলিস, যিনি হেরাক্লিস নামে পরিচিত। ডায়োনিসাস এই হারকিউলিসের পোশাক পরে তারই ছদ্মবেশ
ধারণ করে মৃতদের রাজ্যে যাত্রা করেন।
শবদেহ : এটি
মূলত নির্মল হাস্যরসের জোগান দেয়ার জন্যই চিত্রিত হয়েছে।
ক্যারণ : মৃতের
রাজ্যে পৌছার জন্য স্টিক্স নদী পাড়ি দিতে হয়, সেই স্টিক্স নদীতে
খেয়া পারাপার করে ক্যারণ। এই ক্যারণই ডায়োনিসাসকে মৃতের রাজ্যে নিয়ে যায়।
প্লুটো : পাতালপুরীর
দেবতা, এ নাটকে তিনি নির্মল হাস্যরসের জোগান দিয়েছেন।
ঈয়াকস : পাতালপুরীর
বিচারক, কিন্তু ফ্রগস নাটকে তাকে পুটোর প্রাসাদের দ্বাররক্ষী
হিসেবে দেখানো হয়েছে।
No comments:
Post a Comment