Preface to Shakespeare or Preface to the Plays of William Shakespeare – Dr. Samuel Johnson – Translation in Bengali (Part 5 of 6)
বুঝি
না
ড.
ওয়ার্বার্টন
কী
করে
পোপকে,
শেক্সপিয়রের
নকল
রচনাগুলো
থেকে
আসল
রচনাগুলোকে
পৃথক
করার
কৃতিত্ব
দেন!
পোপ
নিজে
শ্রম
ব্যয়
করে
বা
কঠিন
বিচার
বিবেচনা
করে
পার্থক্যটি
নির্ণয়
করেননি,
পোপ
শেক্সপিয়রের
প্রথম
সম্পাদক,
হেমিং
ও
কনডেলের
(Hemings and Condel - শেক্সপিয়রের নাটকের
অভিনেতা)
কাছ
থেকে
পাণ্ডুলিপিগুলো
নিয়েছিলেন।
আর
যেগুলো
পোপ
বাতিল
করে
দিয়েছিলেন,
সেগুলো
ছাপাখানার
মুদ্রণ
ত্রুটিসহ
শেক্সপিয়রের
জীবদ্দশায়ই
শেক্সপিয়রের
নামেই
মুদ্রিত
হয়েছিল।
সে
মুদ্রণ
থেকে
অনেক
কিছুই
শেক্সপিয়রের
বন্ধুরা
বাদ
দিয়েছিলেন
এবং
বাদ
দেয়া
সে
অংশগুলো
১৬৬৪
সালে
সংস্করণের
পূর্বে
মূল
রচনার
সাথে
যুক্ত
হয়নি।
পরবর্তী
মুদ্রাকররা
সংযুক্তাংশ
বাদ
দিয়েই
শেক্সপিয়রের
রচনাগুলো
মুদ্রিত
করেন।
সম্পাদনার
কাজকে
পোপের
কাছে,
তার
যোগ্যতার
উপযোগী
মনে
হয়নি।
কোনো
রাখঢাক
না
করে,
পোপ
সোজাসাপ্টা
বলেছেন,
“সম্পাদনার
কাজটি
অত্যন্ত
নীরস,
নিরানন্দ।”
পোপ
তার
কর্তব্যের
অর্ধেক
বুঝেছিলেন
মাত্র।
তুলনামূলক
নিরীক্ষণের
কাজটি
নীরস
বটে,
তবুও
অনেক
ক্লান্তিকর
কাজের
মতো,
এ
কাজটি
অত্যন্ত
জরুরি
বলে
একজন
সংশোধনকারী
সমালোচককে
কাজটিকে
নীরস
ভেবে
নিরাশ
হলে
চলবে
কোনো
ভুল
সঙ্কলন
পাঠকালে,
সংশোধনকারী
সম্পাদককে
প্রতিটি
বাক্যের
ভাব
ও
প্রকাশের
সম্ভাবনাকে
নিরীক্ষণ
করতে
হবে
সতর্কতার
সাথে।
তার
অনুধাবন
ক্ষমতা
হতে
হবে
প্রখর,
ভাষাজ্ঞান
থাকতে
হবে
প্রচুর।
বার
বার
বইটি
পড়ে
তাকে
বুঝাতে
হবে
কোন
প্রকাশ
ভঙ্গিটি
কোন
যুগের
বিদ্যমান
ভাষার
উপযোগী,
লেখকের
চিন্তা
ও
প্রকাশভঙ্গির
উপযোগী।
অতএব,
অনুমান
নির্ভর
সম্পাদনা
কাজে,
সম্পাদকের
দায়িত্ব
অসীম,
তার
জ্ঞান
ও
রুচিবোধের
কর্তব্য
অনেক
বেশি।
প্রশংসনীয়
সম্পাদনা
কাজের
জন্য
সম্পাদকের
কিছুটা
স্বাধীনতারও
প্রয়োজন
আছে।
পোপের, শেক্সপিয়র
সম্পাদনা
কর্মটিতে
পোপ
নিজেই
সন্তুষ্ট
হতে
পারেননি।
তাছাড়া
যখন
তিনি
দেখলেন
তাঁর
কাজটি
অসম্পূর্ণ,
অপূর্ণাঙ্গ
তখন
তিনি
নিজেই
অপরাধবোধে
ভুগতেন।
এ
কারণে
তাকে
শেষ
বয়সে
অনেক
সমালোচনা
সহ্য
করতে
হয়েছিল।
আমি
পোপের
সব
টিকা,
মন্তব্য
সযত্নে
রক্ষা
করেছি,
এত
বড়ো
একজন
লেখকের
লেখার
খণ্ডাংশও
যেন
কোনোভাবে
হারিয়ে
না
যায়,
সে
বিষয়ে
সতর্ক
থেকেছি।
তার
শেক্সপিয়র-ভূমিকার
রচনা
সৌকর্য,
মন্তব্য
ও
সমালোচনার
যথার্থতা
এত
বিস্তারিত
যে,
এতে
নুতন
করে
কিছু
সংযোজনের
কোনো
স্থান
নেই,
কোনো
দ্বিমতেরও
অবকাশ
নেই।
পোপের
পর
শেক্সপিয়র
সম্পাদনা
করেন
থিওবল্ড
[Theobald
- লুই
থিওবাল্ড
(১৬৮৪-১৭৪৪);
কবি,
প্রাবন্ধিক,
শেক্সপিয়র
সম্পাদক]। থিওবল্ডের
চিন্তাশক্তি
ছিল
ক্ষীণ,
জ্ঞান
স্বল্প।
কিছু
চিন্তা
থাকলেও
তা
ছিল
মেকি,
নিজস্বতাহীন।
কিন্তু
ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র
বিষয়ের
সঠিকতা
নিয়ে
ছিলেন
অত্যুৎসাহী।
তিনি
প্রাচীন
কপিগুলো
সংগ্রহ
করে
তার
ত্রুটি
সংশোধন
করেন।
কিন্তু
এমন
একজন
অতিশুদ্ধাচারী
মানুষের
কাছ
থেকে
আরো
বেশি
প্রত্যাশিত
ছিল।
থিওবাল্ডের
বিবরণগুলো
বিনা
নিরীক্ষায়
গ্রহণ
করা
যায়
না।
প্রাপ্ত
শেক্সপিয়র
রচনার
কপিগুলো
সম্বন্ধে
তিনি
সুনির্দিষ্ট
কোনো
মন্তব্য
করেন
না।
শেক্সপিয়র
রচনাবলির
বিভিন্ন
সম্পাদনা-সংস্করণ
সম্বন্ধে
তিনি
বলেন,
প্রথম
দুটি
সংক্ষরণ
উত্তম
এবং
তৃতীয়
সংস্করণটি
মধ্যম
মানের।
কিন্তু
মূলত,
প্রথম
সংস্করণটিই
হচ্ছে
ভিত্তি,
আর
পরবর্তীগুলো
ছাপাখানার
মুদ্রণ
প্রমাদ
পূর্ণতার
কারণেই
মূল
থেকে
সরে
গিয়ে
ভিন্ন
রকম
দাঁড়ায়। প্রথম
কটি
সংস্করণ
কারও
সংগ্রহে
থাকলে
তাই
যথেষ্ট;
কারণ
পরবর্তী
সংস্করণগুলো
কেবল
পূর্ববর্তীগুলোর
পুনরাবৃত্তি
করেছে
মাত্র।
আমি
প্রথমে
সবগুলো
সংস্করণকে
মিলিয়ে
দেখে,
সবশেষে
শুধু
প্রথম
সংস্করণটিই
ব্যবহার
করেছি।
থিওবল্ডের
টিকাগুলো
আমি
সবই
প্রায়
অবিকল
রেখে
দিয়েছি।
শুধু
সেগুলো
বাদ
দিয়েছি,
যেগুলোতে
পরবর্তী
টিকাকারগণ
সন্ধিগ্ধ
ছিলেন
বা
যেগুলো
এত
সামান্য
বিষয়
নিয়ে
আলোচিত
যে
তার
সংরক্ষণ
অপ্রয়োজনীয়। যেখানে
থিওবল্ড
একটা
কমা
যুক্ত
করেছেন
আমি
তাও
রেখে
দিয়েছি।
কিন্তু
তার
আত্মপ্রশস্তিমূলক
লাইনগুলো
বাদ
দিয়েছি।
পোপ
এবং
রো’র
সঙ্গে
নিজেকে
তুলনা
করে
যেখানে
তিনি
অতি
উচ্ছ্বাস
প্রকাশ
করেছেন,
উচ্ছ্বসিত
ভাষা
ব্যবহার
করেছেন,
সেগুলো
ছেটে
ফেলেছি,
তার
দম্ভোক্তিগুলো
চেপে
গিয়েছি,
বাহুল্য
বিবেচনা
করে।
থিওবল্ড
শেক্সপিয়রের
সম্পাদনার
চেয়ে
পোপকে
আক্রমণ
করেছেন
বেশি।
পোপকে
শত্রু
ভেবে
তিনি
অধিক
সন্তুষ্ট;
তাতে
থিওবল্ডের
দীনতারই
প্রকাশ
ঘটে।
শেক্সপিয়রের
পরবর্তী
সম্পাদক
হচ্ছেন,
অক্সফোর্ড
সম্পাদক,
স্যার
টমাস
হ্যানমার
[Sir Thomas Hanmer - স্যার
টমাস
হ্যানমার
শেক্সপিয়র
সম্পাদনা
ছয়
খণ্ডে,
তার
নাম
ছাড়াই
১৭৭৩-৭৪
সালে
অক্সফোর্ড
এডিশন
নামে
প্রকাশিত
হয়]। আমার
মতে,
বিদ্যায়
বুদ্ধিতে
সম্পাদনা
কাজের
যোগ্যতম
ব্যক্তি
তিনি।
সংশোধন,
সমালোচনা
ও
সম্পদানা
কাজ
করার
উপযুক্ত
অন্তর্দর্শন
ক্ষমতা,
বুদ্ধিবৃত্তিক
নৈপুণ্য
তাঁর
ছিল।
তার
বিস্তৃত
পড়াশুনা
ছিল,
সমকালীন
আচার,
মতবাদ
ও
ঐতিহ্যের
সঙ্গে
ছিল
তার
বিশদ
পরিচিতি
কিন্তু
তিনি
পণ্ডিতম্মন্য
বা
পাণ্ডিত্যাভিমানী
ছিলেন
না।
যা
তিনি
জানতেন
না
কখনো,
তিনি
তা
জানার
ভান
করতেন
না
বা
যা
ভেবেচিন্তে
বলার
বিষয়
তা
তিনি
নির্ভাবনায়
বলতেন
না।
শেক্সপিয়রের
ব্যাকরণ
জ্ঞান
নিয়ে
তিনি
উদ্গ্রীব
ছিলেন
না,
কারণ
শেক্সপিয়রের
রচনা
যথেষ্ট
ব্যাকরণসিদ্ধ
ছিল
কিনা,
সে
সম্বন্ধে
তিনি
নিশ্চিত
ছিলেন
না।
শেক্সপিয়রের
রচনা
ছিল
ঘটনা
প্রধান
এবং
তাঁর
ভাষা
পাঠকের
উদ্দেশ্যে
ছিল
না,
ছিল
শ্রোতাদের
উদ্দেশ্যে
নিবেদিত।
হ্যানমার
শেক্সপিয়রের
‘মিটার’
ব্যবহার
পুনর্গঠনের
চেষ্টা
করেছেন।
শেক্সপিয়রের
মিটার
সংশোধন
চেষ্টা
অনেক
সম্পাদকই
নীরবে
করে
গেছেন।
হ্যানমার
সে
প্রচেষ্টায়
সফল
হয়েছেন।
মূল
রচনার
ভাবকে
অক্ষুন্ন
রেখে
তিনি
তা
সফলভাবেই
করেছেন।
কিন্তু
তার
সংশোধনীগুলোর
গ্রন্থনায়,
তিনি
পূর্ববর্তী
সম্পাদিত
কপিগুলোর
মধ্যে
পার্থক্যের
কথা
উল্লেখ
করেননি।
কার্যত
তিনি
তার
পূর্ববর্তী
সম্পাদকদের
সংস্কারগুলো
গ্রহণ
করলেও
তাদের
কাছে
তার
ঋণ
স্বীকার
করেননি
কোথাও।
তাছাড়া
তিনি
পোপ
ও
থিওবল্ডের
সম্পদনাকে
সঠিক
বলেই
ধরে
নিয়েছিলেন,
এই
ধরে
নেয়াটা
তার
সঠিক
সিদ্ধান্ত
ছিল
না।
কোনো
সমালোচকের
রচনাকে
তিনি
সন্দেহ
করতেন
বলে
মনে
হয়
না
অথচ
তা
করাটাই
ছিল
অধিক
যৌক্তিক।
আমি
হ্যানমারের
সবগুলো
নোট
সংরক্ষণ
করেছি।
আশা
করি
পাঠকগণ
আমাকে
সে
জন্য
অভিবাদন
জানাবেন।
শেষ
যে
সম্পাদকের
সম্পাদনা
কর্মটি
আমার
হাতের
কাছে
আছে
তা
হচ্ছে
ওয়ার্বার্টনের
সম্পাদনা।
প্রজ্ঞায়,
পাণ্ডিত্যে,
নিষ্ঠায়
তিনি
সম্মানের
দাবিদার।
কিন্তু
ওয়ার্বার্টন
কোনো
রচিত
পুস্তকের
টিকা
লেখার
জন্য
যথেষ্ট
প্রস্তুত
ছিলেন
না।
তাঁর
টিকাগুলোর
ত্রুটি
হচ্ছে
: মূল
রচনা
পাঠে
তার
যা
চিন্তায়
এসেছে
তার
উপরই
তিনি
মন্তব্য
করেছেন,
যে
পরিশ্রম
করে
বিষয়ের
আরো
গভীরে
গিয়ে
তাঁর
মন্তব্য
করার
কথা
ছিল
তা
তিনি
করেননি।
সে
কারণেই
তার
ব্যাখ্যা
ও
টিকাগুলো
একটু
ভিন্ন
রকম
হয়েছে
কখনো,
কখনো
বা
ওয়ার্বার্টনের
চিন্তাকে
অসম্ভব
চিন্তা
মনে
হয়েছে
: কোনো
বাক্যকে,
তিনি
বাক্যটি
যে
ভাব
বহন
করে
তারও
চেয়ে
গভীরভাবে
ব্যাখ্যা
করেছেন
আবার
কোনো
সুবোধ্য
বাক্যকে
তিনি
দুর্বোধ্য
বলে
চিহ্নিত
করেছেন।
অবশ্য
তার
অনেক
সংশোধনই
প্রশংসনীয়
এবং
অনেক
জটিল
অনুচ্ছেদ
এবং
অনেক
পৃষ্ঠাকে
তিনি
যথেষ্ট
বুদ্ধিমত্তা,
যথেষ্ট
পাণ্ডিত্যের
সাথেই
বিশ্লেষণ
করেছেন।
তাঁর
টিকা,
ব্যাখ্যা
ও
বিশ্লেষণের
সে
অংশ
আমি
বাদ
দিয়েছি,
যে
অংশ
খুব
ব্যক্তিগ্রাহ্য
নয়,
অসমাঞ্জস্যপূর্ণ
বা
যে
অংশ
লেখক
নিজেই
ভুলে
যেতে
চেয়েছিলেন
হয়ত।
বাকি
যে
অংশ
সর্বোত্তম
মনে
করেছি,
তা
আমার
রচনায়
সংযুক্ত
করে
পাঠকদের
বিচারের
জন্য
উন্মুক্ত
করেছি।
আর
কিছু
অংশ
বাদ
দিয়েছি।
আমার
সম্পাদনা
কাজে
কত
সময়
ব্যয়
হয়েছে
তা
ভাবা
আমার
জন্য
মোটেও
সুখকর
নয়। ছোটো
বা
বড়ো
- জ্ঞানের
যে
কোনো
শাখায়
যারা
নিয়োজিত
তারা
অবশ্যই
বুঝেন
তাঁদের
যুক্তি,
মেধা
দিয়ে
তাঁরা
সত্যকে
খুব
বেশি
দূর
এগিয়ে
নিতে
পারেননি।
কারণ
তার
পূর্ববর্তী
জনের
লব্ধ
তত্ত্ব
নাকচ
করতেই
তিনি
বেশি
শ্রম
ব্যয়
করেছেন।
নতুন
তত্ত্ব
নির্মাতা
প্রথমেই
তার
পূর্বেকার
প্রচলিত
মতটি
নাকচ
করেন।
তার
লক্ষ্য
থাকে,
পূর্বের
সমালোচনা
কতটা
ভ্রান্ত
ছিল
তা
প্রমাণ
করা।
এক
সময়ের
প্রচলিত
সত্য
পরবর্তী
কোনো
সময়ে
বাতিল
হয়ে
যায়,
আবার
কোনো
এক
সময়ে
সে
বাতিল
সত্যই
পুনরায়
সত্যের
স্থান
পায়। ফলে, মানুষের
সত্য
সন্ধান;
সত্য
মিথ্যার
আবর্তেই
ঘুরপাক
খায়,
সত্য
সন্ধানের
অগ্রগতি
হয়
না।
সমালোচনার
ধারা
কখনো
প্রশংসার
প্রবলতায়,
কখনো
নিন্দার
তীক্ষ্ণতায়
মূল
লেখকদের
চারপাশে
উপগ্রহের
মতো
আবর্তিত
হতে
থাকে।
ড.
ওয়ার্বার্টন
শেক্সপিয়রের
যে
সমালোচনা
করেছিলেন
তার
উপর
ভিন্নমত
পোষণ।
করে
অনেকেই
বিখ্যাত
হয়েছেন।
ড.
ওয়ার্বার্টনের
শেক্সপিয়র-সমালোচনা
আলোড়ন
সৃষ্টি
করেছিল
সমালোচক
মহলে।
দি
ক্যাননস
অব
ক্রিটিছিজম’[Canons of Criticism]
এবং
‘দ্য
রিভিউ
অব
শেক্সপিয়র্স
টেক্সটস’
[the Review of
Shakespeare's Text - টমাস
এডওয়ার্ড
রচিত
গ্রন্থ।
এতে
তিনি
ড.
ওয়ার্বার্টনের
শেক্সপিয়র
সম্পাদনার
সমালোচনা
করেন]
গ্রন্থ
দুটি
ড.ওয়ার্বার্টনের
সমালোচনাকে
অত্যন্ত
নিষ্করুণভাবে
[airy petulance]
আক্রমণ
করেছিল।
এর
মধ্যে
একটি
গ্রন্থ
ড,
ওয়ার্বার্টনের
সমালোচনাকে
ব্যঙ্গ
করেছে,
অন্যটি
ড.
ওয়ার্বার্টনকে
এমন
ঈর্ষান্বিত
ভাষায়
আক্রমণ
করেছিল
যেন
কোনো
আততায়ীকে
টেনেহিঁচড়ে
বিচারের
কাঠ
গড়ায়
নিয়ে
যাওয়া
হচ্ছিল।
এই
দুটি
গ্রন্থের
একটিকে
নিয়ে
যখন
ভাবি,
তখন
কোরিওলেনাসের
বিপদ
[‘danger of Coriolanus’
নামে
পুস্তিকাটি
বেঞ্জামীন
হীথ
(১৭০৪-১৭৬৬)
সালে
প্রকাশ
করেন।]
এর
কথা
আমার
মনে
পড়ে
- "girls with spits,
and boys with stones, should slay him in puny battle;" আর
অন্য
গ্রন্থটি
আমার
কল্পনায়
এল
‘ম্যাকবেথের’
প্রজ্ঞার
[prodigy in
"Macbeth"] কথা
আমার
মনে
পড়ে
:
A falcon towering in
his pride of place
Was by a mousing owl
haw'd at and killed.
(Macbeth, Act- II, Sc.
iv line 12)
যদি
এই
দুটি
গ্রন্থের
প্রতি
ন্যায়
বিচার
করি,
তাহলে
বলতে
হয়;
এদের
একটি
ছিল
বুদ্ধিদীপ্ত
অন্যটি
পাণ্ডিত্যপূর্ণ।
দুটি
গ্রন্থই
শেক্সপিয়র-রচনাবলিকে
তীক্ষ্ম
পর্যবেক্ষণ
করে,
ত্রুটি
সংশোধন
করেছে
এবং
কিছু
দুর্বোধ্য
অনুচ্ছেদের
সরল
ব্যাখ্যা
করেছে।
কিন্তু
যখন
তারা
চিন্তা-নির্ভর
হয়ে
কিছু
সংশোধন
করার
চেষ্টা
করেছেন
তখন
আমার
মনে
হয়েছে,
আমরা
আমাদের
সামর্থ্যে
কত
বেশি
নিরর্থক
আস্থা
রাখি।
তাদের
যেটুকু
সামান্য
অর্জন,
তাতেই
তারা
অন্যদের
সম্পাদিত
কর্ম
সম্পর্কে
সম্যক
অবহিত
হতে
পারত।
ড.
ওয়ার্বার্টনের
সম্পাদনা
প্রকাশিত
হবার
পূর্বেই
মি.
আপটনের
“ক্রিটিকাল
অবজারভেশান
অন
শেক্সপিয়র”
["Critical
Observations on Shakespeare" - জন
আপটন
১৭৪৬
সালে
শেক্সপিয়র
বিষয়ক
গ্রন্থটি
প্রকাশ
করেন।]
প্রকাশিত
হয়। মি.
আপটন
(Mr. Upton)
অনেক
ভাষায়
জ্ঞান
রাখতেন,
বহু
পুস্তকের
সঙ্গে
তাঁর
পরিচয়
ছিল
কিন্তু
তাকে
খুব
প্রতিভাবান
ও
সুরুচিসম্পন্ন
ব্যক্তিত্বের
বলে
মনে
হয়
না।
তার
অনেক
সংস্কারই
প্রয়োজনীয়। কিন্তু, যদিও
তিনি
পূর্ববর্তী
সম্পাদকদের
শেক্সপিয়রের
রচনাবলির
মূল
কপিগুলোর
যদৃচ্ছ
ব্যবহারের
ঘোর
বিরোধী
ছিলেন,
তিনি
নিজেও
সে
দোষ-নিরপেক্ষ
ছিলেন
না।
শেক্সপিয়র
রচনাবলি
সংস্কারের
তার
যেমন
উৎসাহ
ছিল,
তেমন
দক্ষতা
তার
ছিল
না,
অন্তত
তার
সম্পাদনা
তা
প্রমাণ
করে
না।
নিজ
জ্ঞানের
উপর
যারা
বেশি
আত্মবিশ্বাসী,
দু’একটি
সফল
পরীক্ষায়
যারা
হঠাৎ
উদ্দীপ্ত,
তারা
হঠাৎই
তাত্ত্বিক
বনে
যান
এবং
তাঁদের
শ্রমসাধ্য
তুলনা
কর্ম
দুর্ভাগ্যবশত
হঠকারী
সিদ্ধান্তেই
শেষ
হয়। ড.
গ্রের
পরিশ্রমী
কর্ম
“ক্রিটিকাল,
হিস্টোরিকাল
অ্যান্ড
এক্সপ্লানেটরী
নোটস”
["Critical,
historical and explanatory notes" by Dr. Grey - ড.
জেকারী
গ্রে
১৭৫৪
সালে
তাঁর
এই
গ্রন্থটি
প্রকাশ
করেন]
গ্রন্থটি
শেক্সপিয়রের
উপর
রচিত
প্রাচীন
লেখকদের
পর্যালোচনা
বিশ্লেষণ,
তথ্য
সমৃদ্ধ।
তিনি
তাঁর
আরাধ্য
কর্তব্য
নিষ্ঠার
সাথে
সম্পাদন
করেন।
কিন্তু
তিনি
কোনো
বিচারমূলক
মন্তব্য
বা
সংস্কার
কাজ
করেননি,
তিনি
স্মৃতিতে
বেশি
নির্ভর
করেছেন,
প্রাজ্ঞ
বিশ্লেষণে
কম।
তবে
গ্রের
বিনয়
বোধ
অন্যদের
জন্য
অনুকরণীয়।
আমি
অত্যন্ত
বিনয়ের
সঙ্গে
বলব,
আমার
পূর্ববর্তী
সব
সমালোচকই
শেক্সপিয়র
সম্পাদনায়
উল্লেখযোগ্য
অবদান
রেখে
গেছেন,
তাদের
সবার
কাছে
আমার
অনেক
ঋণ।
তাদের
যার
কাছ
থেকে
আমি
যেটুকু
ঋণ
নিয়েছি
আমি
তা
নিঃসঙ্কোচে
স্বীকার
করেছি,
বাকি
কাজটুকু
আমার
নিজের।
আমার
অজ্ঞাতে
কারো
মত
বা
মন্তব্যের
সঙ্গে
যদি
আমার
মত
মিলে
যায়
তাহলে
আমি
অগ্র-জনকেই
তার
জন্য
কৃতিত্ব
দেব।
কারণ,
সে
কৃতিত্ব
তারই
প্রাপ্য।
আমার
পূর্ববর্তী
সম্পাদকগণ
পরস্পরকে
যে
সম্মান
দেননি,
আমি
তাদেরকে
সে
সম্মান
দিয়েছি।
একজন
সম্পাদক
অন্যজনের
সম্বন্ধে
তিক্ত
মন্তব্য
করবেন
কেন,
তা
আমার
বোধগম্য
নয়। এক
সম্পাদক
আরেক
সম্পাদকের
কোনো
বিশেষ
অনুচ্ছেদ
বিশ্লেষণে
দ্বিমত
পোষণ
করতেই
পারেন
কিন্তু
তা
ব্যক্তিগত
আক্রমণের
পর্যায়ে
যাওয়া
অসমীচীন।
যে
বিষয়
নিয়ে
সম্পাদকগণের
কাজ
তা
অত্যন্ত
সূক্ষ্ম,
কোনো
সম্পদ
বা
স্বাধীনতার
মতো
বিষয়
নিয়ে
দলাদলির
মতো
ব্যাপার
তা
নয়। কিন্তু
দেখা
যায়,
“ক্ষুদ্র
বিষয়
ক্ষুদ্র
মানুষকেই
ক্ষুব্ধ
করে”
[‘Henry
vi’ নাটকের
সংলাপ
(অঙ্ক
iv,
দৃশ্য
i)] এবং ক্ষুদ্র
বিষয়ই
ক্ষুদ্র
মানুষকে
অহঙ্কারী
করে
তোলে।
আর
অহঙ্কারী
মানুষ
তার
মতের
বিরোধিতায়
সহজেই
ক্রুদ্ধ
হয়। শেক্সপিয়র
সমালোচনার
ক্ষেত্রেও
তাই
দেখা
গেছে।
সমালোচকরা
পরস্পর
পরস্পরের
প্রতি
ক্ষুব্ধ,
ক্রুদ্ধ
হয়েছেন,
পরস্পরের
বিরুদ্ধে
নিন্দা,
কুৎসা
রটিয়েছেন,
পরস্পরকে
আক্রমণ
করেছেন।
এর
কারণ
হয়ত
এই;
অন্যকে
আক্রমণ
করা
ছাড়া
তাদের
আর
কিছুই
বলার
ছিল
না,
আর
কোনো
কিছু
দেখাবার
মতো
যুক্তি
ছিল
না।
তাই
ক্রোধে,
নিন্দায়,
আক্রমণে
তাদের
যুক্তির
অপূর্ণতাকে
পূর্ণ
করেছেন
বোধ
হয়।
আমি
অন্যের
কাছ
থেকে
ধার
করে
বা
নিজে
যা
লিখেছি,
তার
লক্ষ্য
হচ্ছে
: ব্যাখ্যামূলক,
বা
ত্রুটি
ও
সৌন্দর্যের
বিচারমূলক
মন্তব্য,
বা
ত্রুটিপূর্ণ
বাক্যগুলোর
সংশোধন।
অন্যদের
কাছ
থেকে
আমি
যা
ধার
করেছি,
সেখানে
যদি
আমি
কোনো
মন্তব্য
সংযুক্ত
করে
থাকি,
তাহলে
সেগুলোকে
সঠিক
ধরে
নেয়া
যেতে
পারে।
আমি
সবিনয়ে
বলতে
চাই,
এর
চেয়ে
ভালো
কিছু
আমি
করতে
পারিনি।
সব
সম্পাদকগণের
সম্পাদনা
কর্মের
পরও
শেক্সপীয়রের
রচনার
অনেক
অনুচ্ছেদ
দেখে
আমার
মনে
হয়েছে,
অনেক
পাঠকের
কাছে
তা
তখনো
দুর্বোধ্য।
আমি
সে
সব
অনুচ্ছেদকে
সংশোধিত
করা
আমার
কর্তব্য
মনে
করেছি।
আমি
সতর্ক
থেকেছি
আমার
কোনো
ব্যাখ্যা
যেন
অতি
দীর্ঘ
বা
অতি
হ্রস্ব
না
হয়। কোনো
সম্পাদক,
তার
নিজস্ব
অভিজ্ঞতায়
যা
সংশোধনীয়
মনে
করেন
তাই
তিনি
এমনভাবে
করবেন
যেন
পণ্ডিতজনেরা
তার
মধ্যে
কোনো
ত্রুটি
খুঁজে
না
পায়
বা
স্বল্প
শিক্ষিতজনেরও
তাতে
কোনো
অসুবিধা
না
হয়। সম্পাদনা
কাজটিই
আপেক্ষিক,
তাকে
আপেক্ষিকভাবেই
গ্রহণ
করা
সমীচীন।
আমি
শেক্সপিয়রকে
সুপাঠ্য
করে
উপস্থাপন
করার
চেষ্টা
করেছি,
ফলে
আগে
যারা
শেক্সপিয়র
পাঠকে
দুরূহ
মনে
করত
তারা
উপকৃত
হবে
এবং
শেক্সপিয়র
পাঠ
সহজ
হবে।
কোনো
রচয়িতার
রচনার
অসংলগ্নতা,
বিভিন্ন
উদ্ধৃতির
সুসংবদ্ধ
ব্যাখ্যা,
শুধু
মাত্র
একজন
পণ্ডিত
সম্পাদকের
কাছ
থেকে
আশা
করা
যায়
না।
তা
ছাড়া,
লেখকের
সব
ব্যক্তিগত
চিন্তাভাবনা
অচিরেই
বিস্মৃতিতে
হারিয়ে
যায়,
তিনি
যে
সব
স্থানীয়
সংস্কৃতি
ও
আচরণের
উল্লেখ
করেন,
সেগুলোও
স্থায়ী
হয়
না
বা
তাদের
পুনরুদ্ধারও
সম্ভব
হয়
না।
যা
কিছু
ঘটনাক্রমে
দুর্লভ
দলিল
থেকে
পুনরুদ্ধার
সম্ভব,
তাও
অন্য
কোনো
উদ্দেশ্যে
অনুসন্ধানকালে
পাওয়া
যায়।
যে
সব
অনুচ্ছেদ
আমি
নিজেও
বুঝিনি
সেগুলো
ভবিষ্যৎ
সম্পাদকরা
হয়ত
ব্যাখ্যা
করবেন।
অবশ্য,
অনেক
সম্পাদক
যে
সব
অনুচ্ছেদকে
এড়িয়ে
গেছেন
বা
ভুল
করেছেন,
সেগুলোতে
আমি
সংক্ষিপ্ত
মন্তব্য
করেছি;
শ্রমসাধ্য
হলেও
তা
করেছি।
যদিও
দৃশ্যত
তা
খুব
শ্রমসাধ্য
কাজ
মনে
নাও
হতে
পারে।
উল্লেখ্য
যে,
লেখকের
মূল
রচনাকে
যা
দুর্বোধ্য
করে,
তার
কোনোটাই
তাচ্ছিল্য
করার
মতো
বিষয়
নয়। কোনো
সম্পাদকই
কোনো
ক্ষুদ্র
বিষয়কে
তাচ্ছিল্য
করতে
পারেন
না।
শেক্সপিয়রের
রচনার
কাব্য
সৌন্দর্য
বিশ্লেষণে
আমি
খুব
মনোযোগী
হইনি।
কোনো
কোনো
নাটক
নিয়ে
বেশি
বিচার
বুদ্ধিসম্পন্ন
মন্তব্য
করেছি,
কোনোটাতে
কম
করেছি;
তাও
নাটকগুলোর
যোগ্যতা
অনুসারে
করিনি,
ঘটনাক্রমে
বা
আমার
খেয়াল
খুশি
মতো
করেছি।
যদিও
প্রত্যেক
পাঠকেরই
তার
নিজস্ব
মতামত
গঠন
করা
উচিত
তবুও
কিছু
নির্দেশনা
থাকলে
পাঠক
অপরিহার্যভাবেই
উপকৃত
হন,
পাঠকের
নিজস্ব
মতামত
পঠনসহায়ক
হয়। সব
দক্ষতা
অর্জনেই
কিছু
উপদেশের
প্রয়োজন
হয়
বাকিটা
অনুশীলন
করে
অর্জন
করতে
হয়। আমি
সে
পথেরই
সন্ধান
দিয়েছি।
প্রত্যেক
নাটকের
শেষেই
আমি
নাটকটির
মন্দ
দিক
ও
ভালো
দিক
নিয়ে
সংক্ষিপ্ত
সাধারণ
মন্তব্য
জুড়ে
দিয়েছি,
তা
করতে
গিয়ে
আমি
কতটুকু
প্রচলিত
মতকে
অক্ষুন্ন
রাখতে
পেরেছি
জানি
না।
আমার
বিশ্লেষণ
যে
নিখুঁত,
নির্ভুল
তেমন
দাবি
করছি
না,
তাই
যে
নাটকটির
আমি
নিন্দা
করেছি
তাতে
প্রশংসার
অনেক
কিছু
থাকতে
পারে
আবার
যে
নাটকটির
প্রশংসা
করেছি
তাতে
নিন্দনীয়
কিছু
থাকতে
পারে।
সমালোচকগণ
এ
যাবৎ
যা
করেছেন,
তা
হচ্ছে
শেক্সপিয়রের
ত্রুটিপূর্ণ
বাক্য
বা
অনুচ্ছেদগুলোর
সংশোধন
এবং
তা
নিয়ে
এক
সমালোচকের
সঙ্গে
আরেক
সমালোচকের
তীব্র
বিরোধ
দেখা
দিয়েছে।
যেমন
দেখা
দিয়েছিলো
পোপ
ও
থিওবল্ডের
মধ্যে,
এই
ধারাটি
ষড়যন্ত্রমূলকভাবেই
যেন
শেক্সপিয়রের
সব
প্রকাশকের
বিরুদ্ধেই
অব্যাহতভাবে
চলে
আসছে।
অনেক
বাক্য
ও
অনুচ্ছেদ
দীর্ঘ
দিন
ধরে
ত্রুটিপূর্ণ
অবস্থায়
চলে
আসছিল,
সন্দেহাতীত
ভাবেই
তা
বলা
যায়,
বিভিন্ন
কপিগুলোকে
মিলিয়ে
দেখে
প্রাজ্ঞতা
এবং
বিজ্ঞতা
দিয়ে
এর
সংশোধন
সম্ভব।
কিন্তু
তুলনা
করার
কাজটি
যত
সহজ
প্রাজ্ঞতা,
বিজ্ঞতার
প্রয়োগ
ততই
বিপজ্জনক।
অধিকাংশ
নাটকের
যেহেতু
একটা
কপিই
পাওয়া
যায়,
সেহেতু,
প্রাজ্ঞতা
বিজ্ঞতার
ঝুঁকিটা
না
নিয়ে
পারা
যায়
না।
প্রত্যেক
সম্পাদকের
প্রকাশিত
নাটকই
আমি
সংশোধন
করেছি।
অনেক
প্রমাণিত
ভুল
অংশ
বাদ
দিয়েছি,
উল্লেখ
না
করেই,
আবার
অনেকগুলো
কোনো
মন্তব্য
ছাড়াই
রেখে
দিয়েছি,
অনেকগুলোতে
বিরূপ
মন্তব্য
জুড়ে
দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment