Preface to Shakespeare or Preface to the Plays of William Shakespeare – Dr. Samuel Johnson – Translation in Bengali (Part 4 of 6)
শেক্সপিয়র
আধুনিক
ভাষা
জানতেন
কিনা,
তা
নিশ্চিত
জানা
যায়
না।
তাঁর
নাটকে
ফরাসি
ভাষার
ব্যবহার
দেখে
তা
নিশ্চিত
করা
যায়
না।
এমনো
হতে
পারে
ফরাসি
ভাষার
দৃশ্যগুলো
তিনি
অন্য
কাউকে
দিয়ে
লিখিয়ে
নিয়েছেন
বা
এমনো
হতে
পারে,
তিনি
এত
অল্প
পরিমাণ
ফরাসি
ভাষা
জানতেন
যে,
অন্যের
সাহায্য
ছাড়া
তা
লিখতে
পারতেন
না।
‘রোমিও
জুলিয়েট’
নাটকে
তিনি
ইংরেজি
অনুবাদ
অনুসরণ
করেছেন
বলে
প্রতীয়মান
হয়,
কিন্তু
তা
ঠিক
মূলানুগ
না
হলেও
মূল
নাটকটি
সম্বন্ধে
তিনি
জানতেন
না।
এমন
বলা
যায়
না।
তিনি
যা
জানতেন
তা
তাঁর
কাছে
বড়ো
বিষয়
ছিল
না,
তাঁর
দর্শকরা
যা
জানত,
যেভাবে
তা
গ্রহণ
করতে
চাইত
তাই
তাঁর
কাছে
ছিল
বড়ো
বিষয়।
সম্ভবত
ল্যাটিন
ভাষার
বাক্য
গঠন
পদ্ধতি
পর্যন্ত
তিনি
ভালোভাবেই
শিখেছিলেন
কিন্তু
রোমান
রচয়িতাদের
রচনা
তিনি
যথেষ্ট
সহজভাবে
পড়তে
পারতেন
না।
আধুনিক
ভাষায়
তাঁর
দক্ষতা
নিয়ে
আমি
দৃঢ়ভাবে
কিছু
বলতে
পারছি
না,
তিনি
যে
ফরাসি
ও
ইতালীয়
লেখকদের
অবিকল
অনুকরণ
করেছিলেন
তারও
কোনো
প্রমাণ
পাওয়া
যায়
না।
আমার
মনে
হয়,
তিনি
ইংরেজি
ভাষায়
অনূদিত
পুস্তক
ছাড়া
অন্য
কোনো
ভাষায়
খুব
কমই
পড়াশোনা
করেছিলেন।
যদিও
ইটালীয়
কবিতাকে
তখন
উচ্চাসন
দেয়া
হতো।
শেক্সপিয়রের
সমগ্র
রচনাব্যাপী
যে
জ্ঞান-বাণী
ছড়ানো
তা
কবি
আরেকজান্ডার
পোপ
সঠিকভাবেই
পর্যবেক্ষণ
করেছিলেন। কিন্তু
তার
অধিকাংশই
পুস্তক-আহরিত
জ্ঞান
ছিল
না।
তাঁর
জ্ঞান
ছিল
জীবনলব্ধ।
তিনি
যে
পরিশ্রমী
পাঠক
ছিলেন
তার
অনেক
প্রমাণ
আছে।
আমাদের
ভাষা
তখন
খুব
সমৃদ্ধ
ছিল
না,
সে
ভাষায়
অনেক
পুস্তকও
পাওয়া
যেত
না
যে,
তিনি
বিদেশি
ভাষা
নির্ভর
না
হয়ে
পারতেন।
সে
সময়ে
অনেক
রোমান
লেখকের
এবং
কিছু
গ্রিক
লেখকের
রচনা
ইংরেজিতে
অনুদিত
হয়েছিল।
রিফরমেশান
যুগে
প্রচুর
ধর্মতাত্ত্বিক
পুস্তকে
দেশ
ভরে
যায়,
ইংরেজ
লেখকরা
মানবীয়
বিষয়ের
উপর
বিভিন্ন
রচনাও
লেখেন,
এসময়ে
অনেক
কবিতাও
রচিত
হয়। সম্মিলিতভাবে
এসব
রচনা
পাঠক
মনোপযোগী,
মান
উপযোগী
ও
মানসিক
উন্নয়ন
উপযোগী
ছিল।
কিন্তু
শেক্সপিয়রের
রচনার
উৎকর্ষের
মূল
ছিল
তার
প্রতিভা।
ইংরেজি
নাটক
তখন
ছিল
প্রাথমিক
অবস্থায়,
অনুন্নত
অবস্থায়। তখনও
সুস্পষ্টরূপে
ট্র্যাজেডি
বা
কমেডি
আকার
পায়নি।
তখনো
চরিত্র,
সংলাপ
তার
সুনির্দিষ্ট
ভূমিকা
পালন
শুরু
করেনি।
সত্যিকার
অর্থে
বলতে
গেলে,
শেক্সপিয়রই
প্রথম
সেগুলোর
প্রবর্তন
করেন
এবং
মঞ্চে
উপভোগ্য
দৃশ্যকে
শীর্ষে
নিয়ে
যান।
তার
নাটকের
পর্যায়ক্রমিক
উন্নতি
সম্বন্ধে
জানা
সহজ
নয়,
কারণ
তাঁর
নাটকের
রচনার
কালানুক্রম
এখনো
স্থির
করে
বলা
যায়
না।
সমালোচক
রো
[নিকোলাস
রো
(১৬৭৪-১৭১৮),
নাট্যকার
ও
সমালোচক]
বলেন,
“সম্ভবত
শেক্সপিয়রের
রচনা
ঠিক
কখন
শুরু
হয়েছিল,
তা
নির্ণয়
করা
অপ্রয়োজনীয়। তার
দুর্বল
নাটকগুলোতে
শিল্পের
চেয়ে
প্রকৃতির
ভূমিকা
এত
বেশি
তা
আমার
চিন্তার
অতীত”। তিনি
বলেন,
“তার
[শেক্সপিয়রের]
যৌবনে
রচিত
নাটকগুলোই
ছিল
সবচেয়ে
বেশি
উদ্যমপূর্ণ,
সর্বোৎকৃষ্ট।”
কিন্তু
জন্মগত
সহজাত
প্রতিভা,
জীবনলব্ধ
জীবন
অভিজ্ঞতার
বিকল্প
হয়
না।
ব্যক্তি
যত
প্রতিভাবানই
হোক,
জীবন
থেকে
সঞ্চিত
অভিজ্ঞতা
যখন
তার
কর্মে
রূপায়িত
হয়
তখনই
তার
কর্ম
সফল
হয়। শেক্সপিয়রও
নিশ্চয়ই
অন্য
যে
কোনো
মানুষের
মতো
যত
বেশি
বয়স্ক
হয়েছেন
ততোই
তাঁর
জীবনাভিজ্ঞতা
বেড়েছে,
ততই
তাঁর
নাটক
পরিপূর্ণতা
পেয়েছে।
জীবনকে
যত
গভীর
করে
দেখেছেন
তত
গভীর
করেই
তা
দেখাতে
পেরেছেন।
তাঁর
নাটক
সে
সাক্ষ্যই
বহন
করে।
পুস্তক
বা
কোনো
নীতিকাহিনি
কখনো
মানুষকে
তা
দিতে
পারে
না,
যা
দিতে
পারে
জীবনের
সঠিক
পর্যবেক্ষণ,
সঠিক
অনুধাবন।
জন্মগত,
সহজাত
প্রতিভা
জীবন
বীক্ষণ
দিয়েই
তাঁর
অগ্রযাত্রা
শুরু
করে।
শেক্সপিয়র
মানবজাতিকে
গভীরভাবে
পর্যবেক্ষণ
করেছেন
আর
অত্যন্ত
প্রাঞ্জল
ভাষায়
তা
প্রকাশ
করেছেন।
তার
জীবন
পর্যবেক্ষণ
ক্ষমতা
ছিল
মনোযোগী
আর
কৌতূহলী।
অন্য
লেখকরা
তাদের
পূর্বসূরিদের
চরিত্রগুলোকে
অনুকরণ
করেছেন,
শুধু
ঘটনাচক্র
ও
আধুনিক
আচরণে
তাদের
মধ্যে
বৈচিত্র
এনেছেন,
পোশাক-আশাকে
পরিবর্তন
এনেছেন
কিন্তু
মূল
চরিত্রটিকে
অপরিবর্তীতই
রেখেছেন।
শেক্সপিয়র
মূল
চরিত্রটির
এবং
আনুষঙ্গিক
বিষয়ের
মধ্যে
অনেক
পরিবর্তন
এনেছেন
যা
চ’সারের
সঙ্গে
তুলনীয়,
যদিও
চ’সারের
কাছে
তিনি
তত
বেশি
ঋণী
নন।
শেক্সপিয়রের
আগে
আর
কোনো
লেখকই
চরিত্রকে
এত
বেশি
জীবন্ত
করে
তুলতে
পারেননি।
শুভ
অশুভের
মধ্যে
দ্বন্দ্ব
আবিষ্কারের
প্রবণতা
তখনো
মানুষের
মধ্যে
দেখা
দেয়নি।
মনোবিশ্লেষণের,
আবেগ
বিশ্লেষণের,
শুভ
অশুভের
দ্বন্দ্বের
সঙ্গে
আবেগের
সংযোগ
নির্ণয়ের
এবং
সে
অনুসারে
চরিত্রের
অ্যাকশনের
যুগ
তখনো
অনাগত
ছিল।
মানব
চরিত্র
বিশ্লেষণ
তখনো
ছিল
প্রায়
ফ্যাশান
সর্বস্ব,
কখনো
কখনো
তা
প্রণিধানযোগ্য
মনে
হলেও
অধিকাংশ
ক্ষেত্রেই
তা
ছিল
অলস
সূক্ষ্মতা
বিচার
মাত্র।
অধিক
অশিক্ষিত
মানুষের
সে
যুগে,
নাটকের
বৈশিষ্ট্যই
তখন
ছিল
দৃশ্যমান
‘নাট্টক্রিয়া’
এর
মাধ্যমে
গল্প
বর্ণনা
করা।
কী
কারণে
চরিত্রটি
কোনো
বিশেষ
‘নাট্টক্রিয়ায়’
যাচ্ছে
তার
বিশ্লেষণে
দর্শক
ছিল
আগ্রহহীন,
দর্শক
নাটক
থেকে
শুধু
বিনোদন,
আনন্দই
আশা
করত।
মানব
চরিত্রকে
সূক্ষ্ম
বিশ্লেষণের
সময়
তখনো
আসেনি,
কেউ
যদি
তা
করত
ও
তাকে
তা
নিজ
গুণেই
জীবন
থেকে
আহরণ
করে,
তাকে
আনন্দোপযোগী
করে
উপস্থাপন
করতে
হতো।
বয়েল
অভিজাত
বংশে
জন্মেছিলেন
বলে
মনোবিশ্লেষণে
আগ্রহ
ও
কৌতূহল
দেখাতে
পেরেছিলেন।
শেক্সপিয়রের
সে
অবস্থান
ছিল
না।
দরিদ্র
ঘরের
সন্তান,
শেক্সপিয়র
যখন
লন্ডন
আসেন
তখন
জীবিকার্জনের
জন্য
তাকে
কিছু
সময়
খুব
সাধারণ
কাজ
করতে
হয়েছিল,
কঠিন
পরিশ্রম
করতে
হয়েছিল।
দারিদ্র্য
তাঁর
প্রতিভাকে
ক্ষুন্ন
করতে
পারেনি।
দারিদ্র্যের
প্রতিকূলতার
মাঝেও
তিনি
তার
অনেক
কর্মে
প্রতিভার
স্বাক্ষর
রেখেছেন,
জীবন
থেকে
অভিজ্ঞতা
সংগ্রহ
করেছেন,
মানুষকে
তার
আচরণ
বৈচিত্র্যে
পর্যবেক্ষণ
করেছেন,
মানুষে
মানুষে
সুক্ষ্ম
ব্যবধান
লক্ষ
করেছেন।
দারিদ্র্য
ভারে
শেক্সপিয়র
দমে
যাননি
বা
তার
জীবন
বীক্ষণও
থেমে
থাকেনি,
দরিদ্র
মানুষের
দুঃখ
প্রকাশে
সীমাবদ্ধ
থাকেননি।
তাঁর
দুর্ভাগা
জীবনে
দারিদ্র্যকে
তেমনি
ঝেড়ে
ফেলেছিলেন,
“সিংহ
যেমন
তার
কেশর
থেকে
শিশির
ঝেড়ে
ফেলে।” ["as dewdrops from a lion's mane." - ‘ট্রয়লাস
অ্যান্ড
ক্রিসেইডা
নাটক
থেকে]
যদিও
তাঁর
জীবন
ছিল
সমস্যা
জর্জরিত,
সহায়হীন,
অনতিক্রমণীয়
দারিদ্র্যের,
তবুও
জীবন
থেকে,
জীবনের
বৈচিত্র্য
থেকে,
বহু
জটিলতা
থেকে
জ্ঞান
আহরণ
করেছিলেন।
তিনি
এবং
তাঁর
সফল
রূপায়ন
করেন।
এই
রূপায়ন
প্রক্রিয়ায়
তাঁর
সামনে
অনুকরণীয়
কোনো
দৃষ্টান্ত
ছিল
না
কিন্তু
তার
পরবর্তী
সব
লেখকরা
তাঁকে
অনুসরণ,
অনুকরণ
করেছেন
স্বচ্ছন্দে।
কিন্তু
তার
পরবর্তী
লেখকরা
কেউ
তাঁর
মতো
জীবনের
তাত্ত্বিক
বা
প্রয়োগিক
জ্ঞান
আহরণ
করতে
পারেননি,
সে
জ্ঞানে
তাঁর
জাতিকে
সমৃদ্ধ
করতে
পারেননি।
শুধু
মানুষের
জীবন
পর্যবেক্ষণেই
তিনি
থেমে
থাকেননি,
প্রকৃতি
ও
জড়
জীবনকেও
তিনি
গভীরভাবে
নিরীক্ষণ
করেছেন,
প্রাকৃতিক
বৈচিত্র্যকে
দেখেছেন
ধ্যান
মগ্নতায়। প্রাচীন
অনেক
কবির
খ্যাতিই
কিছুকাল
তাদের
অনুসারীদের
মধ্যে
আলোড়ন
সৃষ্টি
করে
তারপরে
বিস্মৃতির
অতলে
হারিয়ে
গেছে।
অগ্রজদের
জীবনাভিজ্ঞতা
অনেকটাই
নির্ভুল,
কারণ
তাঁরা
বহু
মানুষের
দৃষ্টি
অনুভবের
পরীক্ষায়
উত্তীর্ণ।
যারা
অগ্রজদের
পথ
ধরে
চলেন,
তারা
অংশত
অগ্রজদের
অনুসরণ
করেন,
অংশত
প্রকৃতি
পর্যবেক্ষণ
করেন।
কখনো
কখনো
তাদের
অনুসরণে
বিচ্যুতিও
ঘটে,
অবশেষে
তার
যদৃচ্ছ
ব্যবহার
হতে
থাকে।
শেক্সপিয়রের
বিষয়বস্তু,
জীবন
বা
প্রকৃতি
যাই
হোক
তা
তার
স্বচক্ষে
দেখা,
স্বঅভিজ্ঞতালব্ধ।
অন্য
কারো
প্রভাবে
তিনি
প্রভাবিত
নন।
শিক্ষিতরা
যেমন
তার
কর্মে
পূর্ণাঙ্গতা
খুঁজে
পান
অশিক্ষিতরাও
একইভাবে
তাতে
পূর্ণাঙ্গতার
সন্ধান
পান।
সম্ভবত
হোমার
ছাড়া
অন্য
কেউ
শেক্সপিয়রের
মতো
এত
বেশি
উদ্ভাবন
করতে
পারেননি,
এত
বেশি
জীবনবোধে,
মহত্ত্বে
তার
দেশ
ও
যুগকে
মহিমান্বিত
করতে
পারেননি।
নাট্যরূপ,
চরিত্র
চিত্রণ,
ভাষা
ও
মঞ্চের
অভিনবত্ব,
এসবই
ইংরেজি
নাটকে
শেক্সপিয়রের
অবদান।
ডেনিস
বলেন,
“তিনি
[শেক্সপিয়র]
সম্ভবত
ইংরেজি
ট্র্যাজিক
নাটকের
মূল
রূপকার
: অমিত্রাক্ষর
ছন্দের
ঐকতান,
অমিত্রাক্ষর
ছন্দের
মধ্যে
দ্বি-অক্ষর
(disyllable)
ও
ত্রি-অক্ষর
(trisyllable)
প্রবর্তন
তিনিই
প্রথম
করেন।
তার
এই
প্রবর্তন
ইংরেজি
কাব্যে
বাক্য
বিন্যাসে
নতুনত্ব
আনে,
সাধারণের
ব্যবহার
উপযোগী
করে
এবং
ভাষাকে
আরো
বেশি
‘নাট্টক্রিয়া’
ও
সংলাপ
উপযোগী
করে,
সাধারণের
ব্যবহার
উপযোগী
করে
তোলে।
আমরা
বর্তমানে
সেই
ভাষাতেই
গদ্য
রচনা
করি,
কথোপকথনে
ব্যবহার
করি।”
ডেনিসের
উপযুক্ত
মন্তব্যটি
যথাযথ
বলে
আমার
মনে
হয়
না।
এই
দ্বি-অক্ষর
(disyllable) ডেনিস নাটকের
জন্য
উপযুক্ত
বলে
ঠিকই
মন্তব্য
করেছেন
কিন্তু
এই
দ্বি-অক্ষর
শেক্সপিয়রের
আগে
‘গোরবোডাক’
[Gorboduc - ইংরেজি
ভাষায়
রচিত
প্রাচীনতম
ট্র্যাজেড়িগুলোর
মধ্যে
একটি।]
ও
হাইয়ারনিমোর
[Hieronnymo - ‘স্প্যানীশ
ট্র্যাজিডি’
নাটক
থেকে]
সংলাপ
ব্যবহৃত
হয়েছে।
এই
নাটক
দুটির
সঠিক
রচনাকাল
জানা
না
গেলেও
বলা
যায়ঃ
তা
শেক্সপিয়র
রচিত
প্রথম
নাটকটির
বহু
পূর্বে
রচিত।
তবে,
একথা
নিশ্চিত
বলা
যায়,
শেক্সপিয়রই
প্রথম
দর্শকদের
আনন্দ
দেবার
জন্য
ট্র্যাজেডি,
কমেডির
সূচনা
করেন।
তার
আগে
কোনো
ইংরেজি
নাটক
প্রাচীন
পুঁথি
সংগ্রাহকদের
কাছে
ছাড়া
কারো
কাছে
দেখা
যায়
না,
তাও
সংখ্যায়
সেগুলো
খুব
কম।
সংখ্যায়
সে
সব
পুঁথি
কম
হতো
না
যদি
সেগুলো
যথেষ্ট
জনপ্রিয়
হতো।
স্পেনসারকে
(Spenser)
বাদ
দিলে,
ইংরেজি
ভাষাকে
কোমল
ও
শ্রুতিমধুর
করার
কৃতিত্ব
শেক্সপিয়রেরই
প্রাপ্য।
তাঁর
নাটকের
সংলাপও
কিছু
কিছু
দৃশ্য,
মেয়েলিপনা
বাদ
দিলে,
রো’র
নাটকের
মতোই
কমনীয়। শেক্সপিয়রের
সংলাপগুলো
উদ্যমী
ও
বেগবান
কিন্তু
যখন
তিনি
কোমল
ও
শ্রুতিমধুর
সংলাপ
ব্যবহার
করেন
তখনই
তিনি
অধিক
সফল
হন।
সবশেষে, স্বীকার
করতে
হবে,
তার
কাছে
আমরা
প্রভূত
ঋণী,
তিনিও
আমাদের
কাছে
ঋণী
কারণ
তার
যত
প্রশংসা
আমরা
ধারণা
বা
বিচারবুদ্ধি
দিয়ে
করে
থাকি
তারো
বেশি
করে
থাকি
প্রচলিত
প্রথানুসারে
এবং
শ্রদ্ধাবশে।
আমরা
শুধু
তার
ভালো
দিকগুলো
দেখি
এবং
মন্দ
দিকগুলো
থেকে
মুখ
ফিরিয়ে
রাখি।
অন্যদের
বেলায়
হলে
এই
মন্দ
দিকগুলোরই
আমরা
সব
সমালোচনা
করতাম
বা
ঘৃণা
করতাম।
আমরা
যদি
বিনা
প্রশংসায়
তাকে
সহ্য
করতাম,
তাহলে
বোধহয়
ইংরেজি
নাটকের
জনকের
প্রতি
যথার্থ
সম্মান
দেখানো
হতো। কিন্তু
আমি
অনেক
আধুনিক
সমালোচকের
সমালোচনা
পুস্তকে
এমন
সব
গোলমেলে
মন্তব্য
দেখেছি
যেখানে
বলা
হয়েছে;
শেক্সপিয়র
আমাদের
ভাষাকে
কলুষিত
করেছেন,
নিম্নগামী
করেছেন,
কিন্তু
শেক্সপিয়র
ভক্তরা
তাঁর
ভাষাকে
দেখেছেন
ভক্তি-স্তম্ভ
রূপে।
তার
নাটকের
অনেক
দৃশ্যই
আছে
অত্যুচ্চ
মানের
কিন্তু
সম্ভবত
তার
এমন
কোনো
নাটক
নেই
যা
আধুনিক
কালে
মঞ্চস্থ
হলে
কোনো
দর্শক
তা
শেষ
পর্যন্ত
দেখবে।
কারণ
তার
নাটক
শুধু
মাত্র
তার
যুগের
দর্শকদের
আনন্দ
দানের
জন্যই
রচিত
ছিল,
কোনো শৈল্পিক উৎকর্ষ
পরিকল্পনা
ছিল
না।
আর
শেক্সপিয়র
দর্শকদের
আনন্দ
দানেই
সন্তুষ্ট
ছিলেন।
যে
সব
নাট্যকার
শেক্সপিয়রের
চেয়েও
বেশি
জনপ্রিয়তা
লিলু
ছিলেন
তারাও
তাদের
যুগের
চাহিদার
ঊর্ধ্বে
উঠতে
পারেননি;
তাদের
যুগের
প্রশস্তি,
প্রশংসার
ঊর্ধ্বে
উঠতে
পারেননি,
সে
রকম
চেষ্টাও
করেননি।
ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের
জন্য
শেক্সপিয়রের
নাটকের
কোনো
পরিকল্পনাই
ছিল
না,
ভবিষ্যৎ
প্রজন্মের
জন্য
কোনো
আদর্শ
স্থাপনে
তার
লক্ষ
ছিল
না।
তিনি
বর্তমান
নিয়েই
ব্যস্ত
ছিলেন,
বর্তমান
জনপ্রিয়তা
নিয়েই
সন্তুষ্ট
ছিলেন।
তাঁর
নাটক
মঞ্চস্থ
হলেই
তিনি
তার
সব
আশার
সমাপ্তি
টানতেন,
পাঠকের
বা
দর্শকের
কাছ
থেকে
অতিরিক্ত
প্রশংসা
প্রাপ্তি
আশা
তার
ছিল
না।
সে
কারণে
তাঁর
অনেক
নাটকে
একই
রকম
কৌতুক
একই
রকমের
রসিকতার
পুনরাবৃত্তি
দেখা
যায়,
একই
রকম
গ্রন্থি
বহু
গল্পে
ব্যবহার
করেছেন,
একই
রকম
গ্রন্থিমোচন
করেছেন।
তার
এই
পুনরাবৃত্তিপ্রিয়তা
ক্ষমার
যোগ্য,
কারণ
তাঁর
পরবর্তী
যুগে
কনগ্রীভ
(Congreve)
তার
চারটি
কমেডির
মধ্যে
দুটি
কমেডিই
একইভাবে
শেষ
করেন।
ভবিষ্যৎ
সুখ্যাতি
নিয়ে
শেক্সপিয়র
এতই
উদাসীন
ছিলেন
যে,
তার
জীবন
“যখন
সায়াহ্নে
ঢলে
পড়ছিল” ["declined into the vale of years," - ‘ওথেলো’
নাটকের
সংলাপ
(অঙ্ক
III
, দৃশ্য
III)], যখন তিনি
জীবনের
প্রতি
বীতশ্রদ্ধ;
ক্লান্তিতে,
অক্ষমতায়,
বয়সের
ভারে,
তখনো
তিনি
তার
প্রকাশিত
রচনাগুলো
সংগ্রহে
ছিলেন
নিরাসক্ত।
সেগুলোতে
যে
ভুল
ত্রুটি
ছিল
তা
সংশোধনেও
ছিলেন
উদাসীন।
তাঁর
রচনাগুলো
সংশোধিত
করে
তাদের
মূল
রূপে
ফিরিয়ে
এনে,
তা
তিনি
পৃথিবীকে
উপহার
দিতে
পারতেন।
শেক্সপিয়রের
নামে
যে
সব
নাটক
সাম্প্রতিক
সম্পাদনায়
প্রকাশিত,
তার
অনেকগুলোই
শেক্সপিয়রের
মৃত্যুর
সাত
বছর
পরও
প্রকাশিত
হয়নি।
তার
জীবদ্দশায়
যে
নাটকগুলো
প্রকাশিত
তাতেও
তার
সংশোধন
ছাড়া
তাঁর
অজ্ঞাতেই
প্রকাশিত
হয়েছিল
বলে
মনে
হয়।
জ্ঞাতসারে
বা
অজ্ঞাতসারে
যে
সব
প্রকাশক
শেক্সপিয়র
রচনাবলি
প্রকাশ
করেছেন,
সাম্প্রতিক
সম্পাদকরা
তার
মধ্যে
যথেষ্ট
অদক্ষতা
ও
অবেহলার
ছাপ
লক্ষ
করেছেন।
তাদের
অসংখ্য
ত্রুটি
আবিষ্কৃত
হয়েছে
: তারা
অনেক
অনুচ্ছেদকে
এমনভাবে
নষ্ট
করে
ফেলেছে,
যেগুলোর
পুনরুদ্ধার
আর
কোনোভাবেই
সম্ভব
নয়,
অনেক
অনুচ্ছেদকে
অপ্রচলিত
শব্দ,
শব্দগুচ্ছ
ব্যবহার
করে,
বা
লেখকের
অদক্ষতার
কারণে
সন্ধিগ্ধ
বা
দুর্বোধ্য
করে
ফেলেছে।
এগুলো
ব্যাখ্যা
করার
চেয়ে
বদলে
ফেলা
সহজ।
অনেকেই
কঠিন
পরিশ্রম
করে
কোনো
কাজ
করার
চেয়ে
হঠাৎ
করেই
তা
করতে
চান।
আর
যারা
অনুমান
নির্ভর
কাজ
করতে
চান
তারাও
যেন
অনুমানের
উপর
বেশিই
নির্ভর
করতে
চান।
শেক্সপিয়র
যদি
তার
নিজের
রচনা
নিজেই
প্রকাশ
করে
যেতেন,
তাহলে
আমরা
নির্ভাবনায়
বসে
তার
নাটকের
দুর্বোধ্যতা
ও
জটিলতাগুলোর
জট
ছাড়াতে
পারতাম
কিন্তু
শেক্সপিয়রের
নাটকের
কোনো
নির্ভরযোগ্য
সম্পাদিত
লিপিও
না
থাকায়
আমরা
অনুমান
নির্ভর
হয়েই
কাজ
করি।
অনেক
কারণেই
ভুলের
পরিমাণ
অপ্রত্যাশিভাবেই
বেশি।
শেক্সপিয়রের
নিজের
রচনা
ব্যাকরণ
সিদ্ধ
ছিল
না।
তদুপরি
তা
ছিল
অস্বচ্ছ
ও
দুর্বোধ্য।
অভিনেতাদের
জন্য
তার
নাটকের
অনুলিপি
যারা
লিখত
তারা
সম্ভবত
না
বুঝেই
তা
করত;
সেগুলো
যারা
আবার
অনুলিপি
করত
তারা
আরো
না
বুঝে
তা
করত,
ফলে
ভুলের
পরিমাণ
গুণিতক
হারে
বেড়ে
যেত।
আবার
অভিনেতারাও
মঞ্চে
সংলাপ
সংক্ষিপ্ত
করে
বলার
জন্য
সংলাপ
কেটে
ফেলত
এবং
সে
রকম
কাটা
সংলাপকে
মুদ্রণালয়ে
সংশোধন
না
করেই
নাটকটি
মুদ্রিত
করত।
এ
অবস্থাটা
ড.
ওয়ার্বার্টন
[Dr. Warburton - উইলিয়াম ওয়ার্বার্টন
(১৬৯৮-১৭৭০),
ধর্মযাজক
ও
শেক্সপিয়র
সম্পাদক]
যেমন
ভেবেছিলেন,
তেমন
ছিল
না।
কারণ
সম্পাদনার
কৌশলটি
তখনো
আধুনিক
ভাষায়
প্রয়োগ
শুরু
হয়নি।
আমাদের
পূর্বসূরিরা
মুদ্রণ
প্রমাদে
(ভুল)
এতই
অভ্যস্ত
ছিলেন
যে,
তারা
সেগুলোকে
নির্বিবাদে
সহ্য
করতেন।
নিকোলাস
রো
(১৬৭৪-১৭১৮)
অবশেষে
একটা
সম্পাদনা
কাজে
হাত
দেন।
রো
ঠিক
এ
কারণে
সম্পাদনা
কাজটিতে
হাত
দেননি
যে,
একজন
কবিকেই
অন্য
কবির
কর্ম
সম্পাদন
করতে
হয়। রো (Nicholas Rowe 1674 –1718) সম্পাদনা
করতে
গিয়ে
শুদ্ধিকরণ
ও
ব্যাখ্যা
করার
প্রয়োজন
বোধ
করেননি।
রো
শুধু
শেক্সপিয়রের
জীবনী
ও
একটা
ভূমিকা
সংযুক্ত
করেন
তার
সম্পাদনায়। আজকাল
অনেকে
রো’
কৃত
সম্পাদনা
কর্মটি
অসম্পূর্ণ
বলে
সমালোচনা
করেন
কিন্তু
রো’র
প্রতি
ন্যায়
বিচার
করলে
বলা
যায়;
ছাপাখানার
মুদ্রণ
ত্রুটিগুলো
সংশোধন
করা
ছাড়া
তার
তেমন
কিছু
করার
ছিল
না,
তবুও
তিনি
কিছু
ভুল
সংশোধন
করেছিলেন,
যে
সব
ত্রুটি
তার
আগে
কেউ
সংশোধন
করেননি।
তার
উত্তরসূরিরা
তার
সংশোধনগুলোকে
তেমন
কৃতিত্ব
না
দিয়েই
গ্রহণ
করেছিলেন।
অথচ
রো’
যে
কাজটি
করেছেন
তা
যদি
তার
উত্তরসূরিরা
করত
তাহলে
প্রশস্তি
চেয়ে
অনেক
পুস্তক
রচিত
হতো
এবং
সে
সব
ভুল
আবিষ্কারের
কৃতিত্বে
তারা
আত্মপ্রসাদ
পেত।
আমি
আমার
সম্পাদনায়,
রো’
রচিত
ভূমিকাটি
ও
জীবনীটি
অন্যান্য
সম্পাদকদের
মতো
অপরিবর্তিত
রেখে
দিয়েছি।
যদিও
রো’
রচিত
ভূমিকা
ও
জীবনীটি
খুব
সুলিখিত
তবুওও
আমি
তা
পরবর্তী
প্রকাশকদের
জন্য
অপরিবর্তীত
রেখে
দিয়েছি।
রো’র
রচনাটি
বহুকাল
নির্বিরোধেই
চলে
আসছিল।
পোপ
যখন
দাবি
করেন
শেক্সপিয়র
রচনাবলি
প্রচুর
ভুলে
ভরা
এবং
সে
সব
ভুল
সংশোধন
সম্ভব,
তখনই
আলোড়ন
পড়ে
যায়। পোপ, শেক্সপিয়রের
রচনার
পুরোনো
কপিগুলো,
প্রচলিত
কপিগুলোর
সঙ্গে
মিলিয়ে
দেখেন;
যা
তার
আগে
কেউ
করেনি।
পোপ
অনেকগুলো
লাইন
সংশোধন
করে
মৌলিক
অবস্থানে
নিয়ে
আসেন
এবং
সংক্ষিপ্ত
মন্তব্য
করে
অনেক
লাইনকে
সংশোধন
না
করে
পুরোপুরি
বাদ
দেয়াই
শ্রেয়
মনে
করেন।
No comments:
Post a Comment