Preface to Shakespeare or Preface to the Plays of William Shakespeare – Dr. Samuel Johnson – Translation in Bengali (Part 3 of 6)
নতুন
স্থান
দৃশ্যে
এলে;
সময়
বাড়িয়ে
দেয়া
যায়। সময়ের
অতিক্রমণ
অঙ্কের
মধ্যেই
শেষ
হয়ে
যায়। প্রথম
দৃশ্য
রোমে,
মিথিরাইডেটস
[Mithridates - মিথিরাইডেটস
(১৩১-৬৩
খ্রি:
পূ)
অব্দে
পন্টাস
রাজ্যের
রাজা
ছিলেন।]
এর
বিরুদ্ধে
যুদ্ধ
প্রস্তুতি
দেখাতে
পারে,
যুদ্ধের
বিপর্যয়
কোনোরকম
অসম্ভ্যতা
ছাড়াই
দেখানো
সম্ভব।
কারণ
দর্শকরা
জানে;
সত্যিকার
কোনো
যুদ্ধ
হচ্ছে
না,
কোনো
যুদ্ধ
প্রস্তুতিও
চলছে
না।
তারা
জানে
তারা
রোমেও
না
পন্টাসেও
[Rome nor Pontus]
না,
বা
মিথিরাইডেটস,
লুকুলাস
[Lucullus
: রোমান
সেনাপতি।
তিনি
মিথিরাইডেটসকে
পন্টাস
থেকে
বিতাড়িত
করেন]কেউ
তাদের
সামনে
নেই।
নাটক,
ঘটনানুক্রমের
অনুকরণ
মাত্র।
তাহলে,
প্রথম
দৃশ্যের
বহু
বছর
পরে
ঘটা
দ্বিতীয়
ঘটনাটিকে
কেন
দ্বিতীয়
দৃশ্যে
দেখানো
যাবে
না?
ঘটনা
দুটিকে
যদি
সঠিকভাবে
সংযুক্ত
করা
যায়,
তাহলে
সময়
কোনো
বিপত্তিরই
কারণ
হবে
না।
কল্পনায়
যে
সব
বিষয়কে
সহজে
মানিয়ে
নেয়া
যায়
তার
মধ্যে
সহজতমটি
হচ্ছে
সময়। কয়েক
বছর
কেটে
যাওয়াকে
কয়েক
ঘণ্টা
কেটে
যাওয়ার
মধ্যেই
দেখানো
সম্ভব।
কল্পনায়
সময়কে
স্বেচ্ছায়
সংক্ষিপ্ত
করা
যায়।
প্রশ্ন
করা
যায়,
নাটক
যদি
বিশ্বাসযোগ্যই
না
হয়,
তাহলে
নাটক
টিকে
থাকে
কী
করে?
উত্তর
হচ্ছে,
নাটক
টিকে
থাকে
নাটকের
গুণেই।
বাস্তবের
সঠিক
রূপায়নে।
দর্শক
যদি
নাটক
দেখে,
এমন
অনুভব
করে
যে,
নাটকের
চরিত্রদের
অবস্থা
তার
জীবনে
এলে
সেও
একই
রকম
ভাবত,
বলত
বা
দুঃখ
ভোগ
করত,
তাতেই
নাটক
সফল
হয়। নাটকে
যে
পাপাচার
দেখানো
হয়,
তা
দেখে
শঙ্কিত
হবার
কোনো
হেতু
নেই
কারণ
সেগুলো
পাপাচারকে
মহিমান্বিত
করার
জন্য
নয়
বরং
সম্ভাব্য
সে
সব
পাপাচারের
সম্মুখীন
আমরা
আমাদের
জীবনে
হতে
পারি
তা
দেখানোর
জন্য।
অভিনেতাদের
দুঃখ
দেখে
ক্ষণিকের
জন্য
দর্শক
নিজেও
দুঃখ
ভারাক্রান্ত
হয়ে
পড়ে।
দুঃখের
চেয়েও
দুঃখের
সম্ভাবনা
চিন্তায়
দর্শক
বেশি
কাতর
হয়। মা, তার
সন্তানকে
হারাবার
সম্ভাবনা
চিন্তায়
যেমন
কাতর
হয়। ট্র্যাজেডির
আনন্দ
পাঠকের
চেতনা
সঞ্জাত,
ট্র্যাজেডিতে
ঘটে
যাওয়া
হত্যা,
বিশ্বাসঘাতকতাকে
আমরা
যদি
বাস্তব
ধরে
নিই
তাহলে
ট্র্যাজেডির
আনন্দ
আর
আনন্দ
থাকে
না।
নাটকে
বাস্তবের
অনুকরণ
করা
হয়
বাস্তব
ঘটনা
ঘটানো
হয়
না,
তাতেই
আমরা
দুঃখ
বা
আনন্দ
বোধ
করি।
নিসর্গের
কোনো
দৃশ্যকে
চিত্রকর
কল্পনায়
ধারণ
করে
চিত্রিত
করেন,
তা
বলে
আমরা
চিত্রিত
বৃক্ষটি
থেকে
ছায়া
আশা
করি
না,
চিত্রিত
ঝরনাটি
আমাদেরকে
শীতল
জল
দেয়
না।
শুধু
অনুভব
করি,
আমাদের
পাশে
শীতল
ঝরনা
থাকলে,
এমন
বৃক্ষ
থাকলে
কেমন
হতো!
হেনরী
দা
ফিপথ
[Henry the Fifth - শেক্সপিয়রের ঐতিহাসিক
নাটক
]পড়ে
আমরা
উত্তেজিত
হই
কিন্তু
নাটকটিকে
কেউ
এজেন
কোর্টের
ক্ষেত্র
[field of Agencourt - ১৪১৫ সালের
এই
যুদ্ধে
হেনরী
দা
ফিপথ
নিজে
যুদ্ধ
করেছিলেন]
মনে
করি
না।
নাটকের
প্রদর্শন
অর্থ
হচ্ছে,
একটা
পুস্তক
আবৃত্তি
মাত্র।
জনপ্রিয়
কমেডি
নাটক
পড়ার
চেয়ে
মঞ্চায়নেই
অনেক
সফল,
রাজাদের
চরিত্র
সম্বলিত
ট্র্যাজেডি
নাটক
মঞ্চে
কম
আনন্দদায়ক।
পেট্রোচিওর
[Petruchio
- শেক্সপিয়রের
‘টেমিং
দা
শ্রু’
নাটকের
নায়ক,
নায়িকা
ক্যাথারিনার
স্বামী]
রসিকতা
তার
মুখ
ভঙ্গিতে
বেশি
উপভোগ্য
কিন্তু
ক্যাটোর
কোন
একক।
সংলাপটি
এমন
উপভোগ্য?
নাটক
পাঠে
এবং
মঞ্চায়ন
দৃশ্য
মনকে
সমানভাবে
প্রভাবিত
করে।
নাটকের
কোনো
ক্রিয়াই
বাস্তব
নয়। অতএব
দুই
অঙ্কের
মধ্যে
অল্প
বা
বেশি
সময়
নিতে
কোনো
বাধা
থাকার
কথা
নয়। অবশ্য
কোনো
পাঠক
বা
দর্শক
খুব
দীর্ঘ
সময়
ধৈর্য
ধরতে
পারে
না।
অতএব,
এক
ঘণ্টা
সময়ের
মধ্যে
নায়কের
সমগ্র
জীবন
বা
একটা
সাম্রাজ্যের
উত্থান-পতন
দেখালে,
দর্শক
বা
পাঠক
তা
মেনে
নেয়।
শেক্সপিয়র
কাল
ও
স্থানের
ঐক্য
সম্বন্ধে
অবহিত
ছিলেন
কিনা,
বা
পরিকল্পিতভাবে
তা
বর্জন
করে
ছিলেন
কিনা,
তা
নির্ণয়
করা
অপ্রয়োজনীয়
ও
অসম্ভব
বলেই
আমার
মনে
হয়। সঙ্গত
কারণেই
আমরা
ধরে
নিতে
পারি,
শেক্সপিয়র
যখন
প্রসিদ্ধ
হতে
শুরু
করেন।
তখন
তিনি
কোনো
সমালোচকের,
পণ্ডিতের
পরামর্শ
চাননি
বা
কারও
প্রশংসাও
চাননি,
তিনি
স্বেচ্ছায়,
স্বতঃপ্রণোদিত
হয়েই
নাট্য
রচনা
ব্রতী
হন।
যেহেতু,
গল্পের
জন্য
কোনো
কিছুই
অপরিহার্য
নয়
তাই
স্থান,
কাল
ও
নাট্টক্রিয়ার
ঐক্যের
আরোপ
একটা
মেকি
আরোপ
মাত্র।
এই
আরোপটি
নাটকের
বৈচিত্র্য
হ্রাস
করে।
অতএব,
শেক্সপিয়র
এই
ঐক্য
সঠিকভাবে
অনুসরণ
না
করে
থাকলে
বা
তার
তা
জানা
না
থাকলে
তাতে
আমার
বিন্দু
মাত্র
অভিযোগ
নেই।
শেক্সপিয়র
ছাড়া
অন্য
কোনো
নাট্যকারও
যদি
তার
নাটকে
প্রথম
অঙ্কটি
ভেনিসে
(Venice)
দেখিয়ে
দ্বিতীয়
অঙ্কটি
সাইপ্রাসে
(Cyprus)
দেখান,
আমার
কি
উচিত
হবে
তাতে
তীব্র
আপত্তি
তোলা?
শেক্সপিয়রের
প্রতিভার
তুলনায়
এই
ত্রুটি
খুবই
অনুল্লেখ্য।
ভল্টেয়ারের
মতো
হীনমনা
(slender criticism of
Voltaire) সমালোচকরা
শুধু
এই
সব
ছোটোখাটো
ত্রুটিই
খুঁজে
ফেরেন।
ল্যাটিন
লেখক
লুকান
[ল্যাটিন
নাট্টকার
– ফার্সালিয়া
তাঁর
রচিত
নাটক]
তো
বলে
গেছেন
:
Non
usque adeo permiscuit imis
Longus summa dies, ut non, si voce Metelli
Serventur leges, malint a Caesare tolli.
Longus summa dies, ut non, si voce Metelli
Serventur leges, malint a Caesare tolli.
কাল
প্রবাহ
প্রকৃতি-বিধানের
এমন
কোনো
দ্বন্দ্ব
গড়েনি
সিজার
যা
চূর্ণ
করে
গেছেন
মেটিলাস
তা
পুনঃ
গড়বেন।
তবুও
আমি
নাট্যতত্ত্ব
নিয়ে
সামান্য
আলোচনা
করলাম,
জানি
না
তা
কতটুকু
প্রাজ্ঞ
জনের
কাছে
গ্রাহ্য
হবে।
আমার
বক্তব্য
হচ্ছেঃ
নাট্য
বিধান
বা
তত্ত্ব
কোনো
আরোপের
বিষয়
নয়;
প্রচলিত
তত্ত্বের
আমি
তেমন
যৌক্তিকতা
দেখি
না।
নাট্যতত্ত্ব
নিয়ে
আমার
এমন
সিদ্ধান্তকে
সম্পূর্ণ
নিরপেক্ষ
দাবি
করলে
তা
হাস্যকর
শোনাবে।
আমার
বক্তব্য
হচ্ছে,
স্থান
ও
কালের
ঐক্য
তত্ত্ব
সফল
পাঠকের
জন্য
অপরিহার্য
নয়। যদি
স্থান,
কাল
ঐক্যের
মধ্যে
বেশি
আনন্দ
আহরণের
সম্ভাবনা
থাকে
তবুও
সেগুলোকে
বৈচিত্র্য
ও
উপদেশ
গ্রহণের
স্বার্থে
পরিত্যাগ
করলে
ক্ষতি
নেই।
অতি
নিয়মনিষ্ঠ
তত্ত্ব
ঘনিষ্ঠ
নাটককে
অতিরঞ্জিত,
কৃত্রিম
মনে
হবে
কারণ
সে
নাটক
যা
জীবনে
সম্ভব
তা
না
দেখিয়ে,
যা
তত্ত্ব
অনুযায়ী
প্রয়োজন
তাই
দেখাবে।
নাটকের উৎকৃষ্টতা
অক্ষুন্ন
রেখে
যিনি
সব
ঐক্য
(স্থান,
কাল)
অনুসরণ
করতে
পারেন
তিনি
অবশ্যই
ধন্যবাদ
এর
যোগ্য। কিন্তু
তার
কাজটি
হবে
কোনো
দুর্গ
নির্মাতা
সেই
স্থপতির
মতো
যিনি
দুর্গ
নির্মাণের
সব
সূত্র
অনুসরণ
করে
দুর্গটিকেই
শত্রুর
আক্রমণের
সামনে
দুর্বল
রেখে
দিলেন।
দুর্গের
প্রধান
কাজ
যেমন
শত্রুকে
দূরে
রাখা,
নাটকের
প্রধান
কাজ
তেমন
বাস্তবকে
অনুসরণ
আর
উপদেশ
দান।
আমি
বদ্ধমূল
ধারণায়
পরিচালিত
না
হয়ে
মুক্ত
মনে
এতক্ষণ
পর্যন্ত
যে
সব
যুক্তি
উপস্থাপন
করেছি
তা
বোধ
হয়
নাট্য-বিধানকে
পুনঃ
পরীক্ষণের
দাবি
রাখে।
কিন্তু
যে
সব
বিখ্যাত
পণ্ডিতরা
বিরুদ্ধ
মত
পোষণ
করেন
তাদের
ভয়ে
আমি
তেমনি
ভীত,
যেমন
ভীত
হয়ে
পড়েছিলেন
এনিস
ট্রয়
নগরী
রক্ষায়
[Aeneas withdrew from the
defence of Troy] : নেপচুনকে
[Neptune]
ট্রয়
নগরীর
দেয়াল
ধরে
ঝাকাতে, জুনোকে ট্রয়
নগরীর
অবরোধকারীদের
নেতৃত্ব
দিতে
দেখে
[Juno heading the besiegers.]।
আমার শেক্সপিয়র
মূল্যায়ন
এখনো
যাদেরকে
যথেষ্ট
প্রভাবিত
করতে
পারেনি,
তারা
সহজেই
তা
মেনে
নেবেন
যখন
তারা
শেক্সপিয়রের
জীবন
সম্বন্ধে
জানবেন
এবং
বুঝবেন
যে
শেক্সপিয়রের জীবনে
এ সব
তত্ত্ব জানার
কোনো সুযোগই
ছিল না।
প্রত্যেক
শিল্পীর
শিল্প
কর্মকে
যথাযথ
মূল্যায়ন
করতে
হলে
তার
যুগের
প্রেক্ষিতে,
জীবনের
প্রেক্ষিতেই
করতে
হয়। এসব
প্রেক্ষিত
বিবেচনায়
রচিত
নাটকটি
ভালো
বা
মন্দ
যাই
হোক,
রচনাটি
থেকে
জীবননিষ্ঠ,
মানবীয়,
রচয়িতার
আজন্ম
লালিত
সৃষ্টিশীলতা
এবং
সৃষ্টি
কল্পনার
উৎকর্ষ
বা
পরিবেশ
প্রভাব
সম্বন্ধে
সম্যক
ধারণা
পাওয়া
যায়। পেরু
বা
মেক্সিকোর
রাজপ্রাসাদগুলো,
ইউরোপীয়
রাজপ্রাসাদগুলোর
তুলনায়
যতই
অদর্শনযোগ্য
বা
বাস
অনুপযোগী
হোক
কিন্তু
সেগুলো
যে
লোহার
ব্যবহার
ছাড়াই
নির্মিত
তা
দেখে
কে
না
বিস্মিত
হবে?
শেক্সপিয়রের
যুগে
ইংরেজ
জাতি
আধুনিকতার
পথে
যাত্রা
করেছিল
মাত্র।
অষ্টম
হেনরীর
যুগেও
ল্যাটিন
ভাষার
আধিপত্য
ছিল
ইংল্যান্ডে।
সমৃদ্ধ
ভাষা
হিসেবে,
ল্যাটিন
ভাষাতেই
ইংরেজ
পণ্ডিতরা
তাদের
রচনা
অব্যাহত
রাখেন।
লিলি,
লিনেকার,
মোর
[Lilly and More]
থেকে
শুরু
করে
পোল,
চেক,
গার্ডিনার
[Pole, Cheke, and
Gardiner] অবশেষে, স্মিথ,
ক্লার্ক,
হেডন
এবং
এসকাম
[Smith, Clerk, Haddon,
and Ascham] সকলেই
ল্যাটিন
ভাষায়
তাঁদের
রচনা
অব্যাহত
রাখেন।
গ্রিক
ভাষা
শুধু
বিখ্যাত
স্কুলগুলোতে
পড়ানো
হতো। যারা
উন্নত
বিদ্যাভিলাষী
ছিলেন
তারা
অনেক
পরিশ্রম
করে
ইতালীয়
স্প্যানীশ
কবিদের
কবিতা
পাঠ
করতেন।
সাহিত্য
তখনো
পণ্ডিত
ও
অভিজাত
শ্রেণির
মধ্যেই
সীমাবদ্ধ
ছিল।
সাধারণ
মানুষ
তখনো
অজ্ঞ,
অশিক্ষিত
ছিল,
স্থুলতার
আঁধারে
ছিল।
মানুষের
মতো
সব
জাতিরও
শৈশব
আছে।
ইংরেজ
জাতির
শৈশবে,
সাধারণ
মানুষের
সাহিত্য
বিচার
ক্ষমতা
ছিল
প্রাথমিক
পর্যায়ে। যা
কিছু
সাধারণ
অভিজ্ঞতা
থেকে
ভিন্ন,
অশিক্ষিত
মানুষ
তা
গ্রহণ
না
করে
বরং
পুরোনো
গল্প,
দৈত্য
দানব,
পরিদের
কাহিনি,
শিশুতোষগল্প
ও
ভুল
রসিকতাকে
গ্রহণ
করে।
তাদের
প্রিয়
পাঠ্য
বই
ছিল
‘দি
ডেথ
অব
আর্থার
[Death of Arthur]।
যে
সব
দর্শক
নাটকে
শুধু
আনন্দ
খোঁজে
তারা
বাস্তবের
রূপায়নে
কমই
আগ্রহী
হয়। তাদের
কাছে
তাই
বাস্তব
জীবনের
অনুকরণে
রচিত
নাটক
কমই
আগ্রহের
সৃষ্টি
করে।
তারা
বরং
‘পামারিন
[Palmerin]
এবং
‘গাই
অব
ওয়ারউইক’
[Guy of Warwick]
-এর
মতো
নাটক
দেখেই
খুশি।
এরকম
দর্শকদের
জন্য
বাধ্য
হয়েই
শেক্সপিয়র
জনপ্রিয়,
গল্প
সর্বস্ব
বিষয়ই
তাঁর
নাটকের
জন্য
নির্বাচন
করেন
এবং
অশিক্ষিত,
আমোদপ্রিয়
মানুষের
আনন্দাভিলাষের
কাছে
পরিণত
পরিশীলিত
চিন্তাকে
বিসর্জন
দেন।
শেক্সপিয়রের
নাটকের
গল্পগুলো
অন্য
লেখকদের
উপন্যাস
থেকে
ধার
করা।
তার
এরকম
নির্বাচনের
যথার্থ
কারণ
আছে;
তিনি
যদি
তার
নাটকে
জটিল
বিষয়
নির্বাচন
করতেন
তাহলে
তাঁর
দর্শকরা
গল্পের
জটিলতার
সূত্রই
ধরতে
পারত
না,
বিষয়
বুঝতে
পারত
না।
শেক্সপিয়র
তাই
তার
নাটকের
প্লটগুলো
প্রাচীন
রচয়িতাদের
গল্প
থেকে
ধার
করেছেন।
অ্যাজ
হউ
লাইক
ইট
নাটকটির
প্লট
তিনি
চ’সারের
‘গ্যামলীন’
[Chaucer's Gamelyn]
অনুসরণে
নির্মাণ
করেন
এবং
হ্যামলেট
নাটকের
প্লট
তিনি
সিবারের
[Mr. Cibber]
গদ্য
থেকে
ধার
করেন।
‘হ্যামলেট’
নাটকের
গল্প
এতই
পুরোনো
যে
তার
উল্লেখ
স্যাক্সো
গ্রামাটিকাস
[Saxo Grammaticus - (১১৫০-১২০৬)
ডেনমার্কের
বিখ্যাত
ঐতিহাসিক]
বর্ণিত
ইতিহাস
খুঁজে
সমালোচকদের
উদ্ধার
করতে
হয়।
ইংল্যান্ডের ইতিহাস
থেকে
তিনি
তার
ঐতিহাসিক
নাটকের
চরিত্র
খুঁজে
নেন।
আর
রোমান
ঐতিহাসিক
নাটকগুলোর
চরিত্র
তিনি
নেন
টমাস
নর্থ
[স্যার
টমাস
নর্থ
(১৫৩৫-১৬০১)]
কৃত
প্লুটার্কের
[Plutarch's lives]
‘লাইভস’
গ্রন্থের
অনুবাদ
থেকে।
ঐতিহাসিক
নাটক
হোক
বা
ট্র্যাজেডি
নাটক
হোক
শেক্সপিয়রের
সব
নাটকই
ঘটনাবহুল।
এই
ঘটনা
বহুলতা
সাধারণ
দর্শকদের
আকৃষ্ট করত,
গম্ভীর,
যৌক্তিক
প্লটের
নাটকের
চেয়ে
অনেক
বেশি
ঘটনাবহুল
নাটক
গুলোর
এত
বেশি
জনপ্রিয়তা
ছিল
যে,
সাধারণ
দর্শকতো
বটেই,
যারা
ঘটনা
বহুলতা
পছন্দ
করত
না
তারাও
অন্য
কোনো
নাট্যকারের
ট্র্যাজেডি
থেকে
শেক্সপিয়রের
ট্র্যাজেডি
গুলোতে
বেশি
বিস্মিত,
বেশি
চমকৃত
হতো। অন্য
নাট্যকাররা
যেখানে
কতগুলো
গৎ
বাধা
সংলাপে
দর্শককে
মোহিত
করতে
চান,
শেক্সপিয়র
সেখানে
এমন
দক্ষতায়
কাহিনির
গ্রন্থিমোচন
করেন
তা
হোমার
ছাড়া
সকলকেই
অতিক্রম
করে।
কোনো
রচয়িতার
প্রধান
উদ্দেশ্য
সফল
করে।
কোনো
রচনার
প্রধান
উদ্দেশ্যই
হলো,
এমন
দক্ষভাবে
পাঠক,
দর্শকের
কৌতূহল
জাগানো,
যা
পাঠক,
দর্শককে
গল্পের
শেষ
অবধি
নিয়ে
যায়।
শেক্সপিয়রের নাটকের
উচ্চ
কণ্ঠ-অভিনয়
ও
ঘটনা
বহুলতা
তাঁর
নিজস্ব
অবদান।
জ্ঞান
যত
অগ্রগামী
হয়,
আনন্দ
তত
বেশি
চোখ
থেকে
কানে
গড়ায়
কিন্তু
কান
থেকে
চোখে
গড়ালে
আনন্দ
হ্রাস
পায়। শেক্সপিয়রের
নাটকে
যত
বেশি
মঞ্চ-নির্ভর
আড়ম্বরতা
ছিল,
তার
সংলাপে
তত
বেশি
কাব্য-নির্ভরতা
ছিল
না
এবং
সংলাপের
বিশ্লেষণ
সম্বলিত
কোনো
দৃশ্যও
ছিল
না।
তার
লক্ষ্য
ছিল
দর্শকদের
শুধু
আনন্দ
দান
করা।
তার
নাটকের
সব
উৎকর্ষতা
বা
অপকর্ষতা
সত্ত্বেও
বলা
যায়,
ইংরেজি
নাটকে
এখনো
নাট্টক্রিয়ার
সঙ্গে
যথেষ্ট
সামঞ্জস্যপূর্ণ
সংলাপ
রচনার
অভাব
রয়েছে,
সে
সংলাপ
যতই
শ্রুতিমধুর
ও
গম্ভীর
হোক
না
কেন।
ভল্টেয়ার
বিস্ময়
প্রকাশ
করে
বলেন;
যে
জাতি
‘ক্যাটোর’[tragedy of Cato - ১৭১৩
সালে
এডিসন
রচিত
একটি
ট্র্যাজেডি
নাটক]
মতো
নাটক
দেখেছে
সে
জাতি
এখনো
আমাদের
নাট্যকারদের
অবিমৃষ্যকারিতা
(extravagancies)
সহ্য
করে।
তার
উত্তরে
বলা
যায়,
এডিসন
কবিতার
ভাষায়
কথা
বলেন,
শেক্সপিয়র
বলেন
সাধারণ
মানুষের
ভাষায়।
‘ক্যাটোর’
ভাষার
অনেক
সৌন্দর্য
আমাদেরকে
মোহিত
করে
কিন্তু
তার
ভাষায়
মানবীয়
অনুভূতির
অভাব
লক্ষ্যণীয়ভাবে
অনুপস্থিত।
ক্যাটোর
ভাষা
বিজ্ঞজনের
ভাষা
কিন্তু
‘ওথেলো’র
প্রাণোচ্ছল,
প্রাণোজ্জ্বল
প্রতিভাদীপ্ত
ভাষা
‘ক্যাটো’তে
অনুপস্থিত।
ক্যাটো
মেকি,
আরোপিত
আচরণের
প্রদর্শন
ঘটায়
এর
ভাষা
সহজ,
মার্জিত,
সুরেলা
কিন্তু
এতে
প্রদর্শিত
আশা,
ভীতি
আমাদের
হৃদয়ে
তেমন
আলোড়ন
তোলে
না।
নাটকটির
চেয়ে
নাট্যকারই
বড়ো
হয়ে
উঠে;
ক্যাটোর
চেয়ে
এডিসনই
বড়ো
হয়ে
উঠে।
শুদ্ধ
লেখকের
রচনা
যেন
সাজানো
বাগান;
ছায়ায়,
সুগন্ধে
অত্যন্ত
পরিকল্পিত
আর
শেক্সপিয়রের
রচনা
যেন
প্রাকৃতিক
বাগান
: যেখানে
ওক
গাছ
শাখা
মেলে
থাকে,
পাইন
গাছ
আকাশ
ছুঁয়ে
যায়,
কাঁটালতা
গোলাপ
গাছ
জড়িয়ে
রাখে
ছায়ায়,
মায়ায়,
এমন
মনোহর
দৃশ্যে
চোখ
জুড়িয়ে
যায়। অন্য
নাট্যকাররা
যখন
মূল্যবান
ধাতুকে
নিখুঁত
করে
ঘষেমেজে
চকচকে
করে
সাজায়;
শেক্সপিয়র
তখন
হীরা,
সোনার
খনির
বিরাট
সম্ভার
খুলে
দেন,
হোক
না
সে
সব
ধাতু
কিঞ্চিৎ
অপরিশোধিত,
থাক
না
তাতে
মিশ্রিত
মূল্যহীন
ধাতুর
খাদ।
শেক্সপিয়রের
প্রতিভা
কি
প্রকৃতি
প্রদত্ত,
সহজাত
নাকি
বহু
পাঠ
লব্ধ
চর্চিত
বিদ্যার
ফল
তা
নিয়ে
আছে
দ্বন্দ্ব।
এমন
মত
প্রচলিত
আছে,
শেক্সপিয়রের
কোনো
প্রাতিষ্ঠানিক
শিক্ষা
ছিল
না,
প্রাচীন
ভাষায়
কোনো
জ্ঞান
ছিল
না।
শেক্সপিয়রের
বন্ধু
বেন
জনসন
বলেন,
“তিনি
[শেক্সপিয়র]
যৎসামান্য
ল্যাটিন
জানতেন,
গ্রিক
জানতেন
আরো
কম।”
অন্যরা
এমন
মত
পোষণ
করেন,
শেক্সপিয়র
স্বশিক্ষিত
ছিলেন
এবং
স্বশিক্ষার
গুণেই
তিনি
তাঁর
যুগে
বহুল
পরিচিত
সব
চরিত্রকে
চিত্রিত
করেছেন।
দুটি
ভিন্ন
মতই
অবশ্য
প্রমাণসাপেক্ষ।
অনেকে
আবার
তাঁর
রচনায়
প্রাচীন
লেখকদের
প্রাজ্ঞ
অনুসরণ
আবিষ্কার
করেছেন,
কিন্তু
আমি
শেক্সপিয়রের
যুগে
অনূদিত
প্রাচীন
লেখকদের
যতটুকু
লেখা
পড়েছি
তাতে
আমার
মনে
হয়েছে
প্রাচীন
লেখকদের
লেখার
সঙ্গে
শেক্সপিয়রের
লেখার
সাদৃশ্য
শুধু
ঘটনাচক্রেই
ঘটেছিল;
যে
কোনো
মানুষ
একই
বিষয়ে
ভাবলে
এরকমই
ভাষা
ব্যবহার
করত,
এরকমই
নৈতিক
বাক্য
উচ্চারণ
করত,
এরকমই
মন্তব্য
করত
তাদের
কথোপকথনে।
সব
প্রবাদ
বাক্যের
ধারা
বিশ্বব্যাপী
একই
রকম।
অনেককে
এরকম
বলতেও
শুনেছি,
Richard iii নাটকের “Go before I follow” বাক্যটি
টেরেঞ্চ
[শেক্সপিয়রের
‘রিচার্ড
III’
নাটকে
ব্যবহৃত
সংলাপটি,
রোমান
লেখক
টেরেঞ্চ
এর
‘আঁদ্রিয়া’
নাটকের
অনুকরণে
রচিত]
ব্যবহৃত
“I prae, sequar”
বাক্যটির
অনুবাদ
বা
‘টেমপেস্ট’
নাটকে
ক্যালিবানের
[Caliban]
উক্তি
“I cry'd to sleep again,”
এ্যনাক্রেয়নের
[Anacreon - খ্রী:
পূ:
৬ষ্ঠ
অব্দে,
গ্রিক
গীতি
কবি]
অনুকরণ।
কিন্তু
সব
মানুষ
একই
ঘটনার
প্রেক্ষিতে
একই
রকম
উক্তি
করে।
এরকম
বিচ্ছিন্ন
ও
অল্প
উদ্ধৃতি
দিয়ে
শেক্সপিয়র
যে
প্রচুর
ল্যাটিন
বা
গ্রিক
ভাষা
জানতেন
তা
প্রমাণ
করা
যায়
না।
কারণ
এরকম
বিক্ষিপ্ত
কিছু
উক্তি
শেক্সপিয়রের
যুগে
ইংরেজিতে
অনুদিত
ল্যাটিন
ও
গ্রিক
ভাষা
রচনা
থেকে
মৌখিক
ব্যবহারের
মাধ্যমে
ঘটনাক্রমে
এসে
যাওয়া
সম্ভব।
তিনি
যদি
প্রচুর
ল্যাটিন
ও
গ্রিক
জানতেন
তাহলে
তার
আরো
ব্যবহার
দেখা
যেত।
“The comedy of Errors” নাটকটি যে
প্লটাসের
[Plautus - টাইটাস
প্লটাস
(২৫৪-১৮৪
খ্রী:
পূ:),
বিখ্যাত
হাস্য
রসের
কবি।
শেক্সপিয়র
তাঁর
অনেক
নাটকই
প্লটাসের
অনুকরণে
রচনা
করেছেন]
একমাত্র
নাটক
‘Menaechmi’ নাটকের অনুকরণ
তা
স্বীকৃত
সত্য,
কারণ,
নাটকটি
তখন
ইংরেজিতে
অনূদিত
হয়ে
গেছিল।
শেক্সপিয়র
“Menaechmi' নাটকের অনুকরণ
করে
থাকলে
তিনি
আরো
অনুকরণ
করতে
পারতেন
কিন্তু
আর
কোনো
নাটকের
অনুবাদ
হয়নি
বলে,
তিনি
আর
কোনো
অনুকরণও
করতে
পারেননি।
এতে
প্রমাণিত
হয়
তিনি
ল্যাটিন
বা
গ্রিক
ভাষা
জানতেন
না।
No comments:
Post a Comment