No Second Troy - William Butler Yeats - Summary and Translation in Bangla |
No Second Troy - William Butler Yeats - Summary and Translation in Bangla
নো সেকন্ড ট্রয়
কেনইবা তাকে আমি দোষ
দিবো, যে মোর
দিনগুলো
করেছে বেদনাময়, কিংবা
যে শিখিয়েছে
অবুঝ জনদের নানা
জিঘাংসার দিকগুলো
কিংবা যে সরু
গলিপথ ঢুকিয়ে দিয়েছি
মহানজনদের হৃদয়ে,
তাদের মাঝেও কি
ছিল সমান ইচ্ছে
আর উচ্চাভিলাষ?
কি বিষয় এ
রমনীকে করে দিতো
শান্তমনা
আভিজাত্য তাকে তৈরী
করেছে অগ্নিশিখায়,
রূপ যেন তার
ধনুকের ছিলার মতোই
টান টান,
ঠিক একবারেই এটা
বেমানান ঠেকে আজকের
কালে,
বড়োই নাক উচু
নিরিবিলি আর কঠিনমনা
সে,
আর এ ছাড়া
সে নিজে কিইবা
করতে বা হতে
পারতো?
অথবা সেখানে কি
সে পোড়াতে পারতো
আলাদা কোন ট্রয়।
শব্দার্থ ও সংক্ষিপ্ত
টীকা
Troy
- ভূমধ্যসাগরের পূর্ব প্রান্তে
এখন যে অঞ্চলকে
বলা হয় এশিয়া
মাইনর, এক সময়
সেখানে ছিল সমৃদ্ধশালী
প্রতাপান্বিতা ট্রয় নামক
এক নগরী। ঈসা(আঃ) এর জন্মেরও হাজার
বছর আগের কথা। এই
নগরী বিদেশী গ্রীক
সেনাদের হাতে ধ্বংসস্তুপে
পরিণত হয়েছিল, গ্রীক সেনারা
নগরী জ্বালিয়ে দিয়েছিল। দশ
বছর ধরে ট্রয়বাসী
আর গ্রীক সেনাদের
মধ্যে যুদ্ধ চলেছিল,
যুদ্ধের প্রধান কারণ
ছিল স্পার্টার রানী
হেলেনকে অপহরণ, অপহরণ
করেছিল ট্রয়ের রাজপুত্র প্যারিস।
blame
- দোষারোপ করা।
Misery
– বিষাদাপন্ন, বেদনাময়।
Voilent
way – জিঘাংসা অথবা হানাহানির
পথ।
hurld
- কোন কিছু সজোরে
ছুঁড়ে দেয়া, এখানে
জোর করে কোন
কিছুর প্রভাব ফেলার কথা
বলা হয়েছে।
Stern-কঠোর,
অদম্য; এখানে কঠিনমনা।
Tightened
bow - ধনুকের ছিলার মতো
টানটান, এখানে মডগনের
তীব্র রূপের ছটার
কথা বলা হয়েছে
রূপকের মাধ্যমে।
কবিতার মূল বিষয়বস্তু
No
Second Troy কবিতাটি
কবি ইয়েটস মডগন
কে উপলক্ষ্য করে
রচনা করেছেন। অসাধারণ রূপসী
এই মডগন যাকে
কবি হেলেনের সাথে
তুলনা করেছেন। এই মডগনের
প্রেমে পড়েন কবি। মডগন
ছিলেন সে সময়ে
একজন স্বনামধন্য রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্ব বিশেষ করে
সমাজের নানা স্তরে
ছিল তাঁর ব্যাপক
প্রভাব।
মডগন কবির সাথে
প্রেমে জড়িয়ে পড়লেও,
শেষে কবিকে প্রত্যাখান
করেন। সে
কবির হৃদয়ে এই প্রত্যাখানের
বিষয়টি চরম আঘাত
হানে।
বেদনায় ভরে যায়
কবির হৃদয়। কবি তাঁর
কবিতায় উল্লেখ করেছেন,
যে রমণী তাঁর
হৃদয়কে বেদনায় ভরে
দিয়েছে তাকে কোন
দোষারোপ করতে চান
না তিনি। তিনি এই
রমণীর অহংকার আর
উন্নাসিকতাকে বেমানান বলে
উল্লেখ করেছেন। তাঁর প্রেমিকা
রূপের শিখা দ্বারা
নানাস্তরে প্রভাব ফেলতে
সমর্থ হয়েছেন। নানাস্তরের মানুষকে
প্রভাবিত করেছেন, সাধারণ
মানুষের মাঝে হানাহানির
পথ তৈরি করেছেন,
এই রূপসী আলাদা
কোন ট্রয় পোড়াতে
না পারলেও ঠিক
তেমনি অগ্নি শিখা
প্রজ্জ্বলিত করে ছারখার
করেছেন কবির হৃদয়, জনগণের
হৃদয়। কবিতার শুরুতেই
কবি তার প্রেমিকাকে
লক্ষ্য করে উচ্চারণ
করেন তার বেদনাভরা
উক্তি।
কবি তার প্রেমিকাকে
দোষারোপ না করেও
প্রেমিকার কঠিন হৃদয়ের
নানা দিক বিশেষ
করে তাঁর প্রতারণার
নানা কৌশলের উল্লেখ
করেছেন।
কবির প্রেমিকা কবির
ভালোবাসা কে প্রত্যাখান
করে কবির অন্তঃকরণকে
বেদনায় ভরে দিয়েছেন। কবির
প্রেমিকা মডগন ছিলেন
অসাধারণ রূপসী আর
সে সময়ের একজন
রাজনৈতিক নেত্রী। ধারালো এই
রমণী যেমন ছিলেন
রূপে অদ্বিতীয়া তেমনি
রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ছিলেন
তুখোড়।
কবি বলছেন, এই
রমণী, রাজনীতির ছত্রছায়ায়
সাধারণ জনদের হৃদয়কে
হানাহানি আর জিঘাংসার
পথে টেনে নিয়ে
গেছেন।
তার আভিজাত্যের মাঝে
কাজ করতো এক
ধরণের উচ্চাকাংখা, সে
উচ্চাভিলাষই তাকে করে তুলেছে বড়োই
দেমাগী আর অহংকারী,
কবি বলেছেন এই
নারী কোন কিছুতেই
স্থির ছিলনা, কোন
কিছুই তার মাঝে
স্থিরতা আনতে পারেনি। কবির
ভালোবাসাও তাকে শান্ত
করতে পারেনি। প্রশ্ন তুলেছেন,
কী বিষয় তাকে
শান্ত করতে পারবে,
কবি বলেছেন এ
রমণী শুধু তার
রূপের অহংকার আর
দেমাগী মনোভাবের কারণে
একটি আলাদা জগতে
অবস্থান করতো। এ রমণীর
মাঝে মমতার বদলে
ছিল শুধু উন্নাসিকতা,
কবি যাকে একেবারেই
বেমানান বলেছেন, যা
এ সময়ে একেবারেই
খাটেনা।
তার এই কাঠিন্যতাকে
কবি সহজভাবে গ্রহণ
করতে পারেননি। কবি তার
প্রেমিকাকে তুলনা করেছেন
স্পার্টার রাণী হেলেনের
সাথে।
হেলেনের কারণে যেমন
ট্রয় নগরী ভস্মিভূত
হয়েছিল এ রমণী
অন্য কোন ট্রয়
হয়তো জ্বালিয়ে দিতে
পারতো আসলে তার
এই জ্বালাময়ী রূপশিখা
দ্বারা তিনি সব
কিছুই যেন ছাই
করেছেন, কবির অন্তঃকরণও
তার এই রূপের
বিভায় ভস্মীভূত। কবি তাই
বলতে চান তার
প্রেমিকা তার রূপ
শিখা দ্বারা হয়তো
আলাদা কোন ট্রয়কে
ভস্মীভূত করতে পারে।
No comments:
Post a Comment