Goblin Market – Christina Rossetti - Translation in Bengali (Part 2 of 3) |
Previous Part
Goblin Market – Christina Rossetti - Translation in Bengali (Part 2 of 3)
১ম পর্বের পর থেকে ২য় পর্ব শুরুঃ
তীরে
তীরে
যার
পদ্মফুল
ছাওয়া
(brink),
আর
রস
(sap) তাদের চিনির
মতো
মিঠে।”
দুটো
কবুতরের
মতোই
এক
নীড়ে,
সোনালি
মাথার
পাশে
সোনালি
মাথা,
মোড়ানো
একে
অপরের
ডানায়,
শুয়ে
থাকে
তারা,পর্দা
ঘেরা
বিছানায়:
দুটি
কুড়ির
(blossom) মতো একটি
কাণ্ডে
(stem),
তুষারের
দুটি
নতুন-ঝরা
পাখনার
(flakes) মতো,
সম্মানিত
রাজার
সোনায়-বাঁধা
(Tipp’d)
দুটি
দণ্ড
(wands
of ivory) আইভরির
মতো।
বিশ্রামের
সময়
তাদের
উপর
চাদ
আর
তারাগুলো
ঢাল
তো
(gaz’d - তাকানো) কিরণ।
তাদের
কানে
গাইতো
বাতাস
ঘুমের
গান,
স্বস্তিহারা
(Lumbering) পেঁচারাও ছিলো
না
ওড়ার
ধৈর্যে
(forbore) অফুরান
এদিক
ওদিক
(to
and fro) একটা
বাদুরও
উড়তো
(flapp’d – ডানা ঝাপটান্মো)
না
:
চিবুকের
সাথে
চিবুক
(Cheek
to cheek), বুকের
সাথে
বুক
(breast
to breast)।
একই
নীড়ে
(nest) দুইবোন থাকতো
জড়িয়ে
(Lock’d
together)।
খুব
সকালে।
ডাক
ছড়ায়
(crow’d) যখন প্রথম
মোরগটা,
মৌমাছির
মতোই
চটপটে,
তেমনি
মধুর
তেমনি
ব্যস্ত,
লিজ্জির
সাথেই
ঘুম
থেকে
জাগলো
লরা:
মধু
এনে
(Fetch’d), গরুগুলোকে করলো
দোহন,
বদলে
দিলো
গোয়ালের
হাওয়া,
সবকিছু
করলো
পরিপাটি,
চটকালো
(Kneaded) কেক সবচেয়ে
সাদা
গমের,
ভোজন-রসিকের
(dainty) জন্য বড়ো
লোভের,
তুললো
(churn’d) ঘি, ছাকলো
(whipp’d) মাখন শেষে।
খাওয়ালো
পশুদের
(poultry), আর বসলো,
সারলো
সেলাই
সে;
লিজ্জি
কথা
বললো
নিয়ে
খোলা
মন
কুমারি-মেয়ের
মতোই
ভদ্র
ভীষণ,
আর
মগ্ন
ছিলো
লরা
তার
হারানো
স্বপ্নে,
একজন
খুশিতো,
একজন
অসুস্থ
কিছুটা;
উজ্জ্বল
দিনের
আনন্দে
একজন
মাতোয়ারা,
তো,
আরেকজন
রাতের
জন্য
অপেক্ষা
তুরা।
শেষ
অবধি
সন্ধ্যা
নামতো
ধীরে—
কলস
কাঁখে
যেতো
নলখাগড়া
ভরা
ছোট্ট
নদীটির
তীরে;
লিজ্জি
থাকতো
সবচেয়ে
প্রসন্ন
(warbling) চেহারায়,
লরা
হয়ে
পড়তো
জ্বলন্ত
শিখর-প্রায়।
গভীরে
নেমে
তারা
কলরবময়
জল
কলসে
ভরতো
লিজ্জি
ফ্ল্যাগের
(flags) রক্তিম ও
সোনালি
ফুল
কুড়িয়ে
নিতে,
বাড়ির
দিকে
পা-বাড়িয়ে
বলতো
শেষে:“সূর্যাস্তে
ঐ
দূর
পাহাড়
চূড়াগুলো
(loftiest
crags) কী-উজ্জ্বল
হয়ে
এলো;
জোরে
হাঁটতো
লরা,
একের
ঠিক
নয়
অপরের
পিছে
পড়া
(lag),
খেয়ালি
কাঠবেড়ালির
চঞ্চলতা
আর
নয়
(No
wilful squirrel wags),
পশু-পাখিরা
এখুনি
ঘুমে
ঢলে
পড়লো
বলে।
তবু
ভিড়ের
ভেতর
দাঁড়িয়েই
রইলো।
আর
বললো
নদীর
পাড়
(bank) খুব খাড়া
(steep)।
আর
বললো
সন্ধ্যাতো
শুরুই
হয়নি
এখনো,
শুরু
হয়নি
শিশির-পড়া,
হিম
হয়নি
এখনো
বাতাস-যে:
বারবার
মধুমাখা
শব্দের
প্রথাগত
চিৎকার
(customary
cry)
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন।”
সেই
চিরাচরিত
ডাক
(iterated
jingle),
শুনতে
চাইলেও
শুনতে
পাচ্ছে
না
সে:
তার
যতো
খোঁজাখুঁজির
কারণে
নয়
এমনকী
ছুটন্ত,
ঝাট-দেয়,
হোঁচট-খাওয়া,
লেংচানো
(Racing,
whisking, tumbling, hobbling;) একটা
ভূতকেও
চিনেছে
কিনা
সন্দেহ
সে
একবারের
দেখায়;
ভুতের
দল
চেনাতো
দূরের
চিপা-উপত্যকায়
যারা
করতো
চলাফেরা,
মানে
ঐ
ব্যস্ত
(brisk) ফল-ব্যবসায়ীরা,
একা
কিংবা
দল
বেঁধে
তখনো
লিজ্জি
করতো
অনুনয়,
“ও
লরা,
আয়,
ফল-অলার
ডাক
শুনতে
পাচ্ছি
আমি,
দেখার
নেই
সাহস
এক
ফোটা:
ঠিক
নয়রে
এই
ঝর্ণার
পাড়ে
আর
ঘোরাফিরা
(loiter):
আয়
আমার
সাথে,
ঘরে
আয়।
ফুটেছে
তারাগুলো,
মোড়
নিয়েছে
চাঁদ
তার
বাঁকা-পথে
(bends
her arc)
স্ফুলিঙ্গ
ছড়াচ্ছে
(winks) প্রতিটা জোনাকি
(glowworm)
চল,
ঘরে
চল,
রাত
অন্ধকার
হয়ে
আসার
আগে;
মেঘও
তো
করতে
পারে।
যদিও
গ্রীষ্মকালের
আবহাওয়া।
মরে
যেতে
পারে
এমনকী
আলোটাও,
অন্ধকারে
ঠেলে
(drench)দিতে পারে
আমাদের;
হারিয়ে
ফেলি
যদি
পৃথ,
তখন
কী
করবো
রে
আমরা?”
লিজ্জি
শুনছে
একাই
ভূতের
ওই
ডাক,
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন”
শুনে
পাথরের
মতো
ঠাণ্ডা
হয়ে
গেলো
লরা,
তাহলে
কি
কেনা
ঠিক
নয়
একদম
ওই
সুস্বাদ
(dainty) ফলগুলো।
এমন
সতেজ
সবুজ
মাঠ
(succous
pasture) কি
দেখবে
না
সে
আর,
হয়ে
যাবে
কি
অন্ধ-বধির?
জীবন-বৃক্ষ
তার
উপড়ে
গেছে
মূল
থেকে:
তার
তিক্ত
হৃদয়
বেদনার
(sore
ache) মাঝে
সে
বললো
না
কথা
একটাও;
অস্পষ্টতার
(dimness) ভেতরে উঁকি
(peering) দিলো শুধু,
কিছুই
দেখলো
(discerning) না (nought),
ফিরলো
ঘরে
পা
টেনে
টেনে
(Trudg’d), কলস থেকে
ঝরলো
(dripping) জল সারা
পথে;
হামা
দিয়ে
উঠলো
বিছানায়,
আর
থাকলো
নীরবে
শুয়ে
যতক্ষণ-না
লিজ্জি
ঘুমালো;
উঠে
বসলো
তারপর
ব্যাকুল
প্রতীক্ষায়
(passionate
yearning)।
শেষে
দাতে
দাত
চাপলো
(gnash’d) সে বঞ্চিত-বাসনায়
(baulk’d
desire), আর
কাঁদলো।
যেনো
হৃদয়
চুরমার
হয়ে
গেছে
হায়।
দিনের
পর
দিন
আর
রাতের
পর
রাত,
নিষ্ফল
তাকিয়ে
রইলো
লরা,
বাড়তে-থাকা
বেদনায়
ফেঁপে-ওঠা
নীরবতার
মাঝে।
সে
আর
কখনো
শুনতে
পেলো
না
সে-ডাক:
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন।”
ভুতুড়ে
লোকগুলোর
নেয়নি
পিছু
কখনো
সে।
অপ্রশস্ত
উপত্যকায়
যারা
ফেরি
করে
ফল:
কিন্তু
চাদ
যখন
উজ্জ্বল
হয়ে
উঠতে
চুল
তার
হালকা
ও
বাদামি
হয়ে
যেতো;
ক্ষীণ
হয়ে
পড়তো
সে,
পূর্ণিমার
সুগোল
সুন্দর
চাদ
যেভাবে
দ্রুত
ক্ষয়ে
যায়
আর
তার
আগুন।
পুড়ে
পুড়ে
হয়ে
আসে
দ্রুত
নিঃশেষ।
একদিন
তার
শাঁসালো
বিচিটার
কথা
মনে
পড়ায়
দক্ষিণ-মুখী
দেয়ালের
পাশে
রাখলো
সেটা;
ভিজিয়ে
দিলো
সে
চোখের
শিশিরে,
মূল
ছাড়বে
বলে
করলো
আশা,
অঙ্কুর-গজানোর
জন্য
গুনলো
দিন,
গজালো
না
কিছুই
কোনদিন;
সুর্যের
নিচে
বীজটা
চোখ
মেললো
না,
জলরেখার
বয়ে
যাওয়া
ওটা
টেরও
পেলো
না:
ডুবে
যাওয়া
চোখ
আর
বিবর্ণ
মুখ
নিয়ে।
সে
তরমুজের
স্বপ্ন
দেখছিলো,
যেমন
পর্যটক
মরুভূমির
ড্রাউথে
(drouth) মিথ্যে ঢেউ
দেখতে
পায়
পাতার
মুকুট
পরা
গাছের
ছায়া
সহ,
বালির
বাতাস
পুড়িয়ে
আরো
তৃষ্ণাতুর
করে
তোলে।
ঝাড়ু
দিতো
না
ঘরদোর
সে
আর,
হাঁস-মুরগি
গরুবাছুর
পালতো
(Tended) রোদ-বাতাসে,
সংগ্রহ
করতো
না
মধু,
বানাতো
না
কেক
ময়দার,
ঝর্ণা
থেকে
পানিও
আনতো
না:
চিমনির
কোনাকাঞ্চিতে
(chimney-nook) উদ্দেশ্যহীন (listless) বসে থাকতো
শুধু
আর
খাওয়া-দাওয়া
দিয়েই
ছিলো
ছেড়ে।
বোনের
অশুভ-দশা
দেখে
-
মমতাময়ী
লিজ্জি
সইতেই
পারতো
না।
তারপরও
বলতো
না
তাকে
কিছু।
কী-রাত
কী-ভোর।
চিৎকার
শুনতে
পেতো
সে
ভূতের:
“আসুন
কিনুন
আমাদের
বাগিচার
ফল,
আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন।”
ঝর্ণার
পাশে,
অপরিসর-উপত্যকা
জুড়ে
শুনতে
পেতো
সে
ভূতদের
ভারি
পদক্ষেপ;
ভূতের
ডাক
আর
ভূতের
চলাচল
(yoke
and stir)
হতভাগা
লরা
পেতো-না
শুনতে
বা
দেখতে,
শুধু
স্বস্তির
আশায়
বসে
থাকতো
কিনতে
ফল
তবে
ভয়
পেতো
প্রিয়-বস্তুর
দাম
শোধতে,
সে
তাঁর
কবরে
জিনির
কথা
ভাবলো,
যার
হবার
কথা
ছিল
বউ;
তার
বিয়ের
কনে
হওয়ার
কথা
অনেক-আগেই;
তবে
ভরা
যৌবনে
(gay
prime)
পড়তে
অসুখে
আর
মরতে
কে
সুখের
জন্য
আশাকে
বানায়
বর,
একেবারে
শীতের
শুরুতেই,
উচ্ছলতা
ভরপুর
ছন্দের
(glazing
rime) প্রথম
মুহূর্তেই,
মচমচে
(crisp) শীতের কালে
প্রথম
তুষারপাতেই।
ক্ষয়ে
(dwindling) যেতে যেতে
লরা,
মনে
হলো
মৃত্যুর
দরজায়
নাড়ছে
কড়া:
লিজ্জি
তাই
ভাল-মন্দ
নিয়ে
ভাবলো
না
আর
বরং
রূপার
মুদ্রা
একটা
রাখলো
পার্সে
তার।
চুমো
খেলো
লরাকে,
ভর-সন্ধ্যায়
হলো
পার,
লাল-কাটাঝোপে-ভরা
জায়গাটা,
নদীটার
তীরে
থমকালো
একটু,
আর
জীবনে
এই
প্রথম।
শুনতে
ও
দেখতে
পেলো
সে
চলাফেরা
ভূতের।
টের
পেলো
যখনই
তার
উকিঝুঁকি
(peeping)
হাসলো
প্রত্যেকটা
ভূত,
তার
দিকে
ছুটে
এলো
তারা।
ল্যাংচে,
উড়েফুঁড়ে,
ছুটে,
লাফিয়ে
ঝাঁপিয়ে, (Flying, running, leaping)
মুখ
থেকে
ধুয়া
ছেড়ে-উড়িয়ে
(Puffing
and blowing,)।
মুখ
টিপে
হেসে,
করতালি
দিয়ে,
কা-কা
করে
(Chuckling,
clapping, crowing,)
কক্
ঠক্
আর
গর
গর
আওয়াজ
তুলে
(Clucking
and gobbling)
ঝাট
(Mopping) দিতে দিতে
আর
ঘাস
ঘেঁটেছেটে
(mowing)।
চমকানো
ভান-ভঙ্গি
করে
(Full
of airs and graces,)
দুমড়ানো
মুখভঙ্গি
নিয়ে
(Pulling
wry faces)।
গম্ভীর
ভেংচি
কেটে
(Demure
grimaces)
ইদুর
ও
বিড়ালের
মতো,
রাটেল
আর
ওমবেটের
মতো
শামুক-গতিতে
তাড়াহুড়া
করে
(Snail-paced
in a hurry)।
কাকাতুয়ার
ডাক
আর
সিটি
মেরে
(Parrot-voiced
and whistler)
এলোপাথাড়ি
(Helter
skelter) আর
তাড়াহুড়ো
(hurry
skurry)করে,
দোয়েলেরর
(magpie) মতো কিচিরমিচির
(Chattering) করে,
কবুতরের
মতো
বাক
বাঁকুম
(Fluttering) করতে করতে,
মাছের
মতো
একেবেঁকে
ছুটে
(Gliding) এলো,
এসে
জড়িয়ে
ধরলো
(Hugg’d) তাকে
আর
চুমু
খেলো;
চেপে
ধরলো
(Squeez’d)আর করলো
আদর
(caress’d);
তাদের
ডিশগুলো
ধরলো
উচিয়ে
(Stretch’d),
ঝুলাঝুলি
(Panniers)আর থালাগুলো:
“দেখো
আমাদের
আপেলগুলো
লালচে
বাদামি
(Russet) আর মেটে-রঙা
(dun)
আমাদের
চেরির
প্রতি
হও-না
সদয়
(Bob
at)
পিচগুলোতে
একটা
কামড়
দিয়ে
দেখো
লেবু
(Citrons) আর খেজুর
খাও-না
একটা,
আঙুরের
কথাতো
ভুলতেই
পারবে
না,
নাশপাতি
কী
লাল
হয়েছে
(basking) দেখো।
রোদে
ও
তাপের
খোলা
সূর্যের
নিচে,
ছোট
ছোট
ডালের
(twigs) বরইগুলো (Plums);
পেড়ে
নাও-না
আর
দাও-না
চুষণ
একবার,
ডালিম
(Pomegranates) আর ডুমুরগুলোই-(
figs) বা
চেখে
খেবে-না
কেন।”
No comments:
Post a Comment