Goblin Market – Christina Rossetti - Translation in Bengali |
সকালে
ও
সন্ধ্যায়
গবলিনদের
ডাক
শুনতে
পেতো
কুমারিরা:
আসুন
কিনুন,
আমাদের
বাগিচার
(orchard) ফল
আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন:
আপেল
আর
নাশপাতি
(quinces)
লেবু
আর
কমলা।
না-ঠোকরানো
(unpeck’d) টসটসে (Plump) চেরি
তরমুজ
আর
রাস্পবেরি।
পেকে-চিবুক-নত-হওয়া
(Bloom-down-cheek’d) আঙুর
সবুজ-মাথা
(Swart-headed) তুত-ফল
স্বাধীন-বেড়ে-ওঠা
বুনো
ক্র্যানবেরি
বুনো-টক-আপেল
(Crab-apples), ডিউবেরি
আনারস,
ব্ল্যাকবেরি
খুবানি,
স্ট্রবেরি
সব
পাকা-পাকা
একসাথে
গ্রীষ্মকালীন
আবহাওয়ায়
সকাল
(Morns) আহা চলে
যায়।
অপূর্ব
সন্ধ্যাও
(Fair
eves) যাইরে
বয়ে
(fly);
আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন;
আমাদের
আঙুর
বাগান
থেকে
এইমাত্র
আনা
হৃষ্টপুষ্ট
আর
সুস্বাদু
ডালিম
(Pomegranates)
খেজুর
আর
বুললাস
(bullaces),
দুর্লভ
নাশপাতি
(Rare
pears) আর
আঁশশেওড়া
ফল
(greengages)
খেয়ে
দেখুন
আর
কিনে
দেখুন
না
একবার:
আলুবোখারা
(Damsons) আর বিলবেরি,
কিসমিস
(Currants) আর বৈচি-ফল
(gooseberries)
উজালা-আগুন
যেনো
বারবেরি
ডুমুরের
(Figs) রসে ভরে
যাবে
মুখ।
দক্ষিণের
লেবু
(Citrons)
মিঠে
জিভের
নিকটে
আর
মধুর
চোখের
কাছে
আসুন
আসুন,
কিনুন
কিনুন।
সন্ধ্যার
পর
সন্ধ্যা
ছোট্ট
নদীটির
পাশে
(brook
side) ভিড়ের
ভেতরে
মাথা
নুয়ে
(bow’d) থাকতো লরা
শুনতে
লিজ্জি
আরক্ত
লজ্জা
(blushes) ঢাকতে ঘোমটায়
(veil’d)
একসাথে
কাছাকাছি
(Crouching) থাকত।
করবদ্ধ
(clasping) হাত আর
কম্পিত-ঠোট
(cautioning),
ব্যথা
টনটনে
(tingling) গাল ও
আঙুল-মাথা
(tips) নিয়ে
হিম
আবহাওয়ায়
গুটিয়ে
থাকতো
ভয়ে।
আর
থাকতো
গায়ে-গা-লাগা
সোনালি
কেশের
মাথা
তুলে
(Pricking)
বললো
লরা,
“কাছাকাছি
শুয়ে
থাক”:
ভুতুড়ে
লোকদের
দিকে
আমরা
অবশ্যই
তাকাবো
না,
অবশ্য
কিনবো
না
আমরা
ওদের
ফলটল:
ওইসব
গাছের
ক্ষুধাতৃষ্ণাতুর
শেকড়
কে
জানে
হয়েছে
বড়ো
কোন
মাটির
রস
টেনে?
ঝাকা
নামিয়ে
নামিয়ে
ভূতেরা
ডাকে।
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন।” গবলিনেররা
ডাকে
থেমে
দাঁড়িয়ে
(Hobbling) উপত্যকার (glen) নিচে।
চেঁচিয়ে
উঠলো
লিজ্জি,
“ওহ!
লরা,
লরা,
উচিত
নয়
ভুতুড়ে
লোকদের
দিকে
একদম
কান-দেওয়া।”
নিজের
চোখ
ঢাকলো
লিজ্জি
ঢাকলো
যতোটা
পারে,
পাছে
তারা
দেখে
ফেলে;
লরা
তার
চকচকে(glossy) মাথাটি নাড়ে
(rear’d),
আর
বিরামহীন
ছোট্ট
নদীটির
(restless
brook) মতোই
সে
ফিসফিসায়
(whisper’d):
“দ্যাখ,
দ্যাখ,
লিজ্জি।
উপত্যকার
(glen) নিচে বেটে
লোকগুলোর
পায়চারি
(tramp)।
দ্যাখ,
ঝুড়িটা
ধরে
প্রাণপণে
টানছে
একজন
একজন
বইছে
(lugs) থালাটা,
সোনার
থালাটা
টেনে
হেঁচড়ে
তুলছে
একজন,
ওজন
অনেক
পাউণ্ড।
আঙুর
ফল
যার
এতো
মজার
(luscious)
বাগানটি
না
জানি
কত
চমৎকার;
কী
স্নিগ্ধ
বাতাস
বয়ে
যায়
না-জানি
ফলের
ঐসব
ঝাড়ের
ভেতর
সারাক্ষণই।”
“না,”
বললো
লিজ্জি,
“না,
না,
না;
উচিত
নয়
একদম
মুগ্ধ
হওয়া
তাদের
আহ্বানে।
হয়তো
সর্বনাশই
করবে
ওসব
ফল
অলক্ষুণে।”
সুঢৌল
আঙুলগুলো
সে
দুটি
কানে
ধরলো
চেপে,
দিলো
দৌড়
বুজে
তার
দুটি
নয়ন:
প্রত্যেক
দোকানির
প্রতি
কৌতুহলে
তিলক।
তে
চাইলো
লরা
থাকতে
আরো
আরো
কিছুক্ষণ।
বিড়ালের
মুখ
ছিলো
একজনার
একজন
বাঁকাচ্ছিলো
(whisk’d) লেজ তার,
খচরমচর
(tramp’d) করলো একজন
ইদুর-গতিতে
শামুকের
মতো
ব্যস্ত
একজন
হামাগুড়িতে
(crawl’d),
উমবেটের
(wombat) মতো করলো
ঘুরঘুর
(prowl’d) একজন নির্বোধ
আর
লোমশ
(obtuse
and furry)
দুদ্দাড়
ছুটলো
(hurry
skurry) আর
হুড়মুড়িয়ে
পড়লো
(tumbled) রাটেলের (ratel) মতো একজন
লিজি
একটা
স্বর
শুনতে
পেলো
ঘুঘুর
(doves) ডাকের মতোন
সবাই
যেনো
একসাথে
করলো
কূজন
(Cooing):
স্নিগ্ধ
আবহাওয়ায়
মনে
হলো
তারা
দরদ
আর
স্নেহ-ভরা।
উজ্জ্বল
(gleaming) গলা বাড়িয়ে
(stretch’d) দিলো লরা।
তাড়া-খাওয়া
(rush-imbedde) এক রাজহাঁসের
(swan) মতো,
যেন
এক
শাপলার
মতো
সঙ্কেত
(beck)।
জোছনা-উজল
পপলার
(poplar) শাখার মতো।
পানিতে
নামা
(launch) একটা ডিঙ্গার
মতো।
যার
শেষ
বাঁধনটাও
(restraint) তখন গিয়েছে
টুটে
(gone)।
পেছনে
ফিরে
ভুতুড়ে
লোকগুলো
(goblin
men)
শ্যাওলা-ঢাকা
(mossy) উপত্যকাতে (glen) নামলো দল
বেধে,
ফিরে
ফিরে
আসে
ওই
কাঁপুনি
ধরানো
(shrill) ডাক (repeated cry),
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন।”
লরা
যেখানে
সেখানে
এসে
তারা
শ্যাওলা-ধরা
(upon
the moss) মাটিতে
মালামাল
রাখলো
নামিয়ে,
পরস্পরকে
দেখলো
(Leering) বাঁকা চোখে,
আর
ভাইকে
লক্ষ্য
করলো
ভাই;
একে
অপরকে
বললো
ইশারায়
(Signalling),
শলা-করলো
ভাইয়ের
সাথে
ভাই
(sly
brother)।
একজন
তুলে
নিলো
থালা:
একজন
ঝুড়ি
নামিয়ে
(rear’d) রাখলো,
একজন
লতা-পাতা,
আর
শুষ্ক
বাদাম
দিয়ে
বুনতে
শুরু
করলো
একজন
মুকুট
একটা
(weave
a crown)
(এমন
মুকুট
কেউ
বিক্রি
করে
না
কোন
শহরে);
আপ্যায়ন
করতে
তাকে
ডিশের
আর
ফলের
ভীষণ-ভার
তুলে
ধরলো
একজন
সামনে
তার:
“আসুন
কিনুন,
আসুন
কিনুন,”
চলছিলো
তখনো
চিৎকার
।
না-নড়লো
না-চড়লো
(stir) লরা যদিও
তাকালো
(stared)
ছিলো
না
টাকা
কিনতে
চাইলেও:
ঝাটা-লেজ
(whisk-tail’d) ফেরিওয়ালা এমন মিহি
স্বরে
চাখতে
বললো
তাকে
যেনো
কথায়
মধু
ঝরে
বিড়ালমুখো
ভূতটা
বিড়বিড়ালো
মুশিক-চঞ্চল
ভূতটা
স্বাগত
জানানোর
শব্দ
করলো
একটা।
শামুক-গতি
ভূতেরও
শোনা
গেলো
গলা:
“রূপসী
পলি”র
জন্য
“রূপবান
ভূতটা”
বলে
কাকাতুয়া-কণ্ঠী
আমুদে
ভূতটা
চেচালো
তখনো:
শিস
(whistled) দিলো আরেক ভূত
পাখির
মতো।
তবু
অনন্য-দাতের
লরা
কথা-পাড়লো
দ্রুত
জদ্রমহোদয়,
আমারতো
মুদ্রা
নেই;
আর
নেয়া
মানেইতো
কেনা:
তামার
পয়সা
যেমন
নেই
পার্সে
আমার
নেই
রূপার
কোন
মুদ্রাও,
আর
আমার
যতোটুকু
সোনা
সেতো
কাটাঝোপের
(furze) উপরে
যে-ঝোপ
দুলে
কাপে
তরঙ্গিত
বাতাসে
(windy weather)
ঘন্টিফুলের
(heather) মরচেরঙা (rusty) ঝোপে ভরা ওই
জমির
ওপরে
।”
“তোমার
মাথায়তো
অনেক
সোনা
”
সবাই
একসাথে
দিলো
জবাব
“সোনার
বাকটি
দিয়ে
তুমি
কিনে
নাও
না।”
দামি
সোনালী
চলের
গোছা
(golden lock) খুলে
(clipp’d) দিলো
সে,
মুক্তোর
চেয়ে
দুর্লভ
অশ্রু
তার
চোখ
থেকে
ঝরলো
একফৌটা,
তাদের
টসটসে
বা
রাঙা
ফল
(globes) চাখলো
(suck’d)অবশেষে:
পাহাড়ি
মধুর
থেকেও
অধিক
মধুর।
মদ-মাতাল
(man-rejoicing wine) লোকের
চেয়েও
শক্তিতে
প্রচুর,
প্রবহমান
রস
সে-তো
জলের
চেয়েও
স্বচ্ছতরো,
কখনোই
এমন
স্বাদ
পায়নি
সে
আগে,
ভোগ
করে-করে
(cloy) এ স্বাদ
নিঃশেষ
করা
যায়
কীভাবে?
চাখলো,
চাখলো,
আর
চেখেই
চললো
সে
যতো
ফল
জন্মেছে
ওই
অচিন-বাগিচায়,
এর
যতো
ক্ষণ-না
ঠোট
তার
ছেয়েছে
ব্যথায়;
তারপর
রসহীন
খোসা
খুলে
(rinds
away) ফেললো
ছুড়ে
(flung),
তবে
শাসময়
আঁটি
(kernel
stone) একটা
রাখলো
নিজের
করে,
আর
একা
একা
সে
ফিরলো
ঘরে
যখন।
রাত
কি
দিন
জানতো
না
তখন।
গেটের
সামনে
লিজ্জি
দেখতে
পেলো
তাকে
যেনো
কথায়
পাকা
এক
মেয়েকে
কোনো:
এতেরাত
জাগা
তোর
ঠিক
নয়
বোন
আমার,
কুমারিদের
(maidens) জন্য সন্ধ্যাতো
(Twilight) অলুক্ষুণে বড়ো;
বাজারের
মাঝে
ভুতুড়ে
লোকদের
(goblin
men) উপত্যকায়
(glen)
ঘোরাফেরা
(
loiter) করা
তোর
অনুচিত
একদম।
জেনির
কথা
কি
তোর
নেই
মনে
(haunts
of),
পূর্ণিমার
রাতে
ভূতের
(Jeanie) সাথে কেমন
করে
দেখা
করেছিলো
ও।
নিয়েছিলো
তাদের-দেওয়া,
আর
নিজের
পছন্দ-করা
সব
উপহারইতো,
খেয়েছিলো
তাদের-দেওয়া
ফল
আর
মনে
কি
নেই
ওদের
বাগানের
ফুল।
ছিড়ে
কেমন
করে
পুরে
নিয়েছিলো
ও
খোপায়
যেখানে
গ্রীষ্ম
সারাক্ষণ
ফলগুলোকে
পাকায়?
তবু
সে
কেন
চাঁদের
আলোর
নিচে
ছুটে
আর
ছুটে
সবসময়
যেতো
হারিয়ে
(pined);
তাদের
খুঁজে
মরতো
সে
কী-দিন
কী-রাত,
পেতো-না
দেখা
আর,
ছুটে
মরতো
(dwindled) শুধু আর
হয়ে
পড়লো
সে
ধূসর;
শেষে
প্রথম
তুষারপাতের
সময়ে
এলো
এমন
দিন
যখন
আর-জন্মাবে-না
ঘাস
সেখানে
উপুড়-হয়ে
শুয়ে
থাকতো
সে
যেখানে:
বছরখানেক
আগে
ডেইজি
(daisies) চারা করেছিলাম
ওখানে
রোপণ
কোনদিনই
তা
ঝড়ে
উপড়াবে
না।
উচিত
নয়
তোর
এদিক-ওদিক
এতো
ঘোরাফেরা
করা।"
“আর-না”
বললো
লরা।
“না,
আর-না,
বোন
আমার:
আমি
খেলাম
আর
খেলাম
যতো
পেটে
ভরে,
আমার
তবু
এখনো
শুধু
লালা
ঝরে;
আগামী-রাতে।
কিনবো
আরো,”
বলে
চুমো
খেলে
তাকে
“অনুশোচনা
ভরা
মনে
কাজটা
সেরে;
তোমাকে
এনে
দেবো
বরই
(plums) আগামীকাল।
ডালে
ধরা
আর
টাটকা
এমন
চেরি
পেলে
মন
ভরে
যায়;
ভাবতেই
পারো-
না
আপু
আমার
পাতে
কেমন
স্বাদ
ডুমুরের
আছে
লেগে,
তরমুজ
কী-মজা
আর
হিম-ঠাণ্ডা
সাজানো
থরে
থরে
সোনার
থালায়।
এতো
বিশাল-যে
তুলতেই
পারতাম
না
আমি
হায়,
রেশমি
রুমালে
(velvet
nap) কী
আশ্চর্য
ওই
পিচগুলো,
টসটসে
আঙুরগুলোর,
জানো,
বিচি
নেই
একটাও:
সে-বাগানটাও
নিশ্চিত
গন্ধে
মাতাল
যে-বাগিচায়
জন্মেছে
তারা,
নির্মল
ঢেউ
পান
করেই
নির্ঘাত
বেড়েছে
তারা,
No comments:
Post a Comment