ড. স্যামুয়েল জনসন - জীবন ও সাহিত্যকর্ম - Dr. Samuel Jhonson - Life and Literature - Bangla |
ড. স্যামুয়েল জনসন - জীবন ও সাহিত্যকর্ম - Dr. Samuel Johnson - Life and Literature - Bangla
১৭০৯ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের এ্যাফোর্ডশায়ারের লিচফিল্ডে ড. স্যামুয়েল জনসন জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মাইকেল জনসন পেশায় ছিলেন একজন পুস্তক ব্যবসায়ী। তার মাতার নাম সারাহ ফোর্ড। এই বুদ্ধিমতি মহিলা ছিলেন জোতদার পরিবারের সদস্য। স্যামুয়েল জনসন ছিলেন মাইকেল ও সারাহ দম্পতির একমাত্র জীবিত সন্তান। লিচফিল্ডের গ্রামার স্কুলে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। পনেরো বছর বয়সে স্টাউরব্রীজে পড়াশুনা করেন। উভয় স্কুলে ছাত্র হিসেবে তাঁর বেশ সুনাম ছিল।
স্টাউরব্রীজ ছেড়ে এসে কিছু কাল তিনি বিক্ষিপ্ত পড়াশোনায় কাটান। পরে তিনি অক্সফোর্ড যান। ১৭২৮ সালে অক্সফোর্ড ছাড়েন এবং গ্রিক সাহিত্য পাঠে মন দেন। আর্থিক অসচ্ছলতার কারণেই অক্সফোর্ডের পেমব্রোক কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন। পুনরায় পেমব্রোক কলেজের শিক্ষক ড. এডামসের বদান্যতায় পেমব্রোক কলেজে ফিরে যান। ইতিমধ্যে তাঁর পিতার ব্যবসার পতন ঘটে। পিতার মৃত্যুর পর জনসন লিচফিল্ডে ফিরে আসেন। মৃত্যুকালে তার পিতা তার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদই রেখে যেতে পারেননি।
১৭৩২ সালে তার স্কুল সহপাঠী এডমান্ড হেক্টরের আমন্ত্রণে ভাগ্যানুসন্ধ্যানে বার্মিংহাম যান। সেখানে এক বিধবা, এলিযাবেথ পোর্টার এর সাথে তার পরিচয় হয়, পরে সেই পরিচয় ১৭৩৫ সালে জুলাই মাসে পরিণয়ে পরিণত হয়। পরিচিত জনের বিদ্রুপ সত্ত্বেও সে দম্পতি সুখীই ছিল। তাঁর স্ত্রীর আর্থিক সহায়তায় লিচফিল্ডের নিকটবর্তী ইডিয়ালে একটা স্কুল খোলেন। স্কুলটি বেশি দিন চলেনি।
১৭৩৭ সালে জনসন সস্ত্রীকে লন্ডন যান এবং সেখানেই স্থায়ী হন এবং ‘জেন্টেলম্যানস ম্যাগাজিনে’ নিয়মিত লেখা শুরু করেন। ১৭৫০ থেকে ১৭৫২ সাল। পর্যন্ত র্যাম্বলার
পত্রিকায় নিয়মিত লেখা শুরু করেন। ১৭৪৭ সালে জনসন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম,
এ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৭৫৮ সাল থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত ‘আইডলার’ নামে একটা সাপ্তাহিকী প্রকাশ করেন। ১৭৬৩ সালে বজওয়েলের সাথে ব্যক্তিসনের সাক্ষাৎ ও সখ্য হয়। এ সময়েই অন্যান্য বিখ্যাত সাহিত্যামোদীদের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। ১৭৬৫ সালে ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে এল এল,
ডি ডিগ্রিতে ভূষিত করে। ১৭৬৯ সালে রয়াল একাডেমি তাকে প্রাচীন সাহিত্যের অধ্যাপক নিয়োগ করেন। শেষ বয়সে বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজবই ছিল জনসনের প্রিয় সখ।
১৭৮৩ সালে মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের কারণে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। তিনি বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন।
১৭৮৪ সালে তিনি দীর্ঘ মেয়াদি ব্যাধিতে আক্রান্ত হন এবং ১৩ই ডিসেম্বর ১৭৮৪ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ওয়েস্টমিনিস্টার এ্যাবীতে সমাধিস্থ হন।
১৭৩৭ -
ট্র্যাজেডি ‘আইরীন’ প্রকাশিত হয়।
১৭৩৮ -
কবিতা ‘লন্ডন’ প্রকাশিত হয়।
১৭৪৪ -
রিচার্ড সেভেজ এর জীবনী ‘লাইফ অব স্যাভেজ’ প্রকাশিত হয়।
১৭৪৫- ‘ম্যাকবেথ’ নাটকের সমালোচনা প্রকাশিত হয়।
১৭৪৭ -
প্ল্যান ফর এ ডিকশনারি অব ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ’ প্রকাশিত হয়।
১৭৪৯ -
কবিতা ‘দি ভ্যানিটি অব হিউম্যান উইসেজ’ প্রকাশিত হয়।
১৭৫৯ -
উপন্যাস ‘রাসেলাস’ প্রকাশিত হয়।
১৭৬৫ -
‘প্রিফেইস টু শেক্সপিয়র’ প্রকাশিত হয়।
১৭৮১ -
‘লাইভস অব পয়েটস প্রকাশিত হয়।
No comments:
Post a Comment