আমার
আপেল
গাছটি
থেকে
গোলাপরঙা
কুঁড়িগুলো
নিয়েছিলাম
ছিড়ে
তার
ঐ
বিকেলেই
তাদের
সবকটি
আমার
চুলে
নিয়েছিলাম
পরে:
তারপর
সময়
এলো
যখন
গেলাম
গাছটিকে
দেখতে
কোন
আপেলই
পেলাম
না
আমি
দেখতে।
ঘাসের
উপর
দিয়ে
ঝুড়ি
সব
দুলিয়ে
দুলিয়ে
এসেছিলাম
যেমন
তেমনি
গেলাম
ফিরে
একই
পথ
ধরে:
একেবারে
খালি
হাতে
আমার
ফিরে
যাওয়া
দেখে
পাড়া-প্রতিবেশীরা
ঠাট্টা
করলো
আমাকে।
হাসলো
লিলিয়ান
আর
লিলিয়াস
ক্লান্তভাবে
যাচ্ছিলো
পাশ
দিয়ে
চলে
তাদের
ভরা
ঝুড়ি
বিদ্রুপকারীর
মতে
টিটকারি
দিলো
আমায়;
কি
মধুর
গলায়
গান
গাইলো
তারা
সন্ধ্যার
আকাশ
তলে,
তাদের
মায়ের
বাড়ি
কাছেই
ছিলো
হায়
গোলগাল
গার্ট্রুড
(Gertrude) ফল-ভরা-ঝুড়ি
নিয়ে
পেরিয়ে
গেলো
আমায়,
তার
হাতের
চেয়েও
শক্ত
এক
হাত
তাঁর
ঝুড়ি
বইতে
তাঁর
সহায়:
শান্ত
ছায়াঢাকা
পথে
একটি
কণ্ঠ
বলছে
কথা
সাথে
তার
কলস্বরে
আমার
কাছে
গানের
চেয়েও
মধুর
হলো
মনে।
আহ, উইলি
উইলি,
ভালোবাসা
আমার,
সবুজ
পাতার
ফাঁকে
উপরের
ওই
আপেলের
চেয়ে
সে
ছিলো
কি
কম
দামি?
মাটিতে
ছড়ানো
প্রেমের
চেয়ে
কত
তুচ্ছ
অতি-পাকা
আপেলই
কুড়িয়ে
নিলাম
আমি।
ছিলো
এমন
দিন
আমার
কথা
শুনে
হেসে,
কিছু
বলতে
চেয়ে
আমার
দিকেই
ঝুঁকেছিলে
তুমি
এই
গলির
ভেতরে।
ঘুরে
বেড়াতাম
আমরা
এই
পথে
আর
ভাবতাম
ঘুরবো
না
কি
আবার!
পাড়া-পড়শিদের
পেরিয়ে
যেতে
দিই
আমাকে,
দুই-একজন
করে
আর
দলবেঁধেও;
শেষজন
বলতো,
হিম
হয়ে
এলো-যে,
আর
পড়তো
সংশয়ে:
তবু
ঘুরে
বেড়াতাম,
ঝরতো
শিশির
জোরেসোরে।
ঘুরে
বেড়াতাম
আমি
তখনো।
কবিতার
সারসংক্ষেপ
কবি
ক্রিস্টিনা
রসেট্টি
তাঁর
“An
Apple Gathering” কবিতায় তার
বিগত
প্রেমিক
আর
হারানো
ভালোবাসার
তরে
হতাশা
আর
বেদনার
বাণী
উচ্চারণ
করেছেন।
কবি
তাঁর
ভালোবাসাকে
মূর্ত
করেন
একটি
আপেল
বৃক্ষের
প্রতীক
দ্বারা।
কবি
বেদনার
সাথে
বলেন,
তিনি
তার
ভালোবাসার
আপেল
বৃক্ষ
হতে
কুঁড়িগুলো
তুলে
কেশে
গুজেছিলেন,
সদ্য
ফোটা
কুঁড়িগুলো
আহরণ
করার
পরই
বুঝতে
পারলেন
তার
আপেল
বৃক্ষে
নেই
কোনো
ফল।
অর্থাৎ
তার
প্রেম
ঝরে
গেছে
অকালেই।
কবি
বললেন,
তিনি
যেমন
উল্লাস
ভরে
বেণী
দুলিয়ে
এসেছিলেন
প্রেমিকের
কাছে,
আবার
বিষন্নচিত্তে,
হতাশ
হয়ে
ফিরে
এলেন
তার
কাছ
থেকে।
তার
এই
প্রেমের
ব্যর্থতা
নিয়ে
হাসি
ঠাট্টা
করল
প্রতিবেশীরা।
বাঁকা
হাসি
হাসল
তার
বান্ধবীরা।
কবি
বেদনাভরে
বলেছেন,
তাঁর
প্রেমিকের
সাথে
কত
না
বিকেল
এবং
সন্ধ্যা
অবধি
ঘুরে
বেড়িয়েছেন
এক
সাথে,
সন্ধ্যায়
হিম
নেমে
আসা
অবধি।
সে
সব
প্রেমের
দিনগুলো
কী
শেষে
ফুরালো।
তার
বান্ধবীদের
উল্লাসভরা
সঙ্গীত
কবির
কাছে
বড়েই
মনোরম
মনে
হলো,
কবি
ভাবলেন
তার
প্রেমিক
কি
আসলেই
খাঁটি
ছিল
না?
সে
ছিল
একেবারেই
মেকি।
জীবনের
সবকিছু,
সব
ভালোবাসা
তাকে
সমর্পণ
করার
পরও
সে
প্রতারণা
করল
শেষে।
কবি
ভাবলেন,
তিনি
কি
তাহলে
তার
বৃক্ষের
সতেজ
আপেলের
সম্ভাবনা
নষ্ট
করে
দিয়ে
তুলে
নিলেন
মাটিতে
পড়ে
থাকা
নিম্নমানের
পাকা
আপেল?
কবি
এটা
অনুধাবন
করতে
পারলেন
যে,
তিনি
যার
কাছে
সমর্পিত
হয়েছিলেন
সে
ছিল
মেকি
প্রেমিক,
অবিশ্বস্তজন।
তিনি
ক্ষোভ
আর
বেদনার
সাথে
বললেন,
তিনি
তাঁর
প্রেমিকের
কাছে
যা
আশা
করেছিলেন
তা
পেলেন
না।
অথচ
তিনি
তো
সবই
দিয়েছিলেন
প্রেমিককে,
বিনিময়ে
এল
হতাশার
গ্লানি
আর
ব্যর্থতা,
তার
আপেল
বৃক্ষে
পূর্ণরূপ
পেল
না
আপেলগুলো,
অপূর্ণ
থেকে
গেল
তার
হৃদয়ের
কামনা
বাসনা।
কবি
অতীত
স্মৃতিচারণ
করতে
গিয়ে
মর্মবেদনায়
ভুগেছেন।
তিনি
বেদনার্ত
স্বরে
বলেছেন,
তিনি
কী
তাহলে
ভুল
পথে
অগ্রসর
হয়েছিলেন,
মাটি
থেকে
অতি
তুচ্ছ
পাকা
আপেল
কুড়িয়ে
নিলেন
শেষ
পর্যন্ত।
মোট
কথা,
এ
কবিতায়
কবি
তাঁর
বিগত
প্রেমের
ব্যর্থতা,
যে
প্রেম
তাঁকে
করেছে
হতাশ,
সে
প্রেমের
স্মৃতিকে
ধারণ
করেই
এ
কবিতায়
তার
প্রকাশ
ঘটিয়েছেন।
- - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - - -
আর
হে
নবী!
মু’মিন
মহিলাদের
বলে
দাও
তারা
যেন
তাদের
দৃষ্টি
সংযত
করে
রাখে এবং
তাদের
লজ্জাস্থানগুলোর
হেফাজত
করে আর
তাদের
সাজসজ্জা
না
দেখায়, যা নিজে
নিজে
প্রকাশ
হয়ে
যায়
তা
ছাড়া। আর তারা
যেন
তাদের
ওড়নার
আঁচল
দিয়ে
তাদের
বুক
ঢেকে
রাখে৷ তারা
যেন
তাদের
সাজসজ্জা
প্রকাশ
না
করে,
তবে
নিম্নোক্তদের
সামনে
ছাড়া স্বামী, বাপ, স্বামীর
বাপ,নিজের
ছেলে,
স্বামীর
ছেলে, ভাই, ভাইয়ের
ছেলে,
বোনের
ছেলে, নিজের মেলামেশার
মেয়েদের, নিজের মালিকানাধীনদের, অধীনস্থ পুরুষদের
যাদের
অন্য
কোন
রকম
উদ্দেশ্য
নেই
এবং
এমন
শিশুদের
সামনে
ছাড়া
যারা
মেয়েদের
গোপন
বিষয়
সম্পর্কে
এখনো
অজ্ঞ
৷ তারা
যেন
নিজেদের
যে
সৌন্দর্য
তারা
লুকিয়ে
রেখেছে
তা
লোকদের
সামনে
প্রকাশ
করে
দেবার
উদ্দেশ্য
সজোরে
পদক্ষেপ
না
করে৷ হে
মু’মিনগণ!
তোমরা
সবাই
মিলে
আল্লাহর
কাছে
তাওবা
করো, আশা করা
যায়
তোমরা
সফলকাম
হবে৷(সুরা
আন
নূর
- ৩১)
রাসুলুল্লাহ
(সা.)
বলেছেন,
চোখের
ব্যভিচার
হলো
(বেগানা
নারীকে)
দেখা,
জিহবার
ব্যভিচার
হলো
(তার
সঙ্গে)
কথা
বলা
(যৌন
উদ্দীপ্ত
কথা
বলা)।
(বুখারি,
হাদিস
: ৬২৪৩)
No comments:
Post a Comment