James Joyce আয়াল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে ১৮৮২ সালের ২ ফেব্রুয়ারীতে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম James
Augustine Aloysius Joyce. তিনি জাতিতে আইরিশ। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান, পড়াশুনা করেছেন Clongowes
Wood College, যেটি জেসুট কলেজ হিসেবে পরিচিত। এছাড়া ডাবলিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্র ছিলেন। নিজ অবস্থান ত্যাগ করে হঠাৎ করেই প্যারিসে চলে যান। সেখানে তিনি কিছুদিন ডাক্তারী বিদ্যা শেখেন। যুদ্ধের পর তিনি চলে যান সুইজ্যারল্যান্ডে এবং সেখানে বিভিন্ন ভাষায় বুৎপত্তি লাভ করেন। তিনি বহুভাষা জানতেন এবং সারাজীবন নতুন শব্দ ও বাক্যবিন্যাস রীতি নিয়ে তাঁর সাহিত্যকর্মে নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা চালিয়েছেন। পূনর্বার তিনি প্যারিসে ফিরে আসেন,
ভগ্ন স্বাস্থ্য আর কপর্দকহীন অবস্থায় সাহিত্য সাধনায় আত্ম নিয়োগ করেন।
জেমজ জয়েস রাজনৈতিক চিন্তা চেতনার দিক থেকে ছিলেন প্রতিক্রিয়াশীল। তাঁর সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন করতে গিয়ে অনেক পণ্ডিতই তা স্বীকার করেছেন। আবার কোন কোন সমালোচকের মতে তিনি সমাজতন্ত্রের সমর্থক ছিলেন। সে যাই হোকনা কেন জয়েস যা কিছু বন্ধ্যা এবং চিত্তের অপমৃত্যু তারই বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। যা
নতুন তারই প্রতি তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছেন সর্বদা তিনি ভন্ডামী আর কপটতাকে পরিহার করেছেন, এসব প্রতারণামূলক কর্মকে সর্বদা ঘৃণার চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন। আত্মার অপমৃত্যুর দিকটি, ক্ষয়ে যাওয়া সমাজ ব্যবস্থার দিকটি। তাঁর মতে অসারতা আর আবিলতা গ্রাস করে ফেলেছে, পুরো সমাজব্যবস্থাকে,
ক্ষয়িষ্ণু মানুষের ভেতরটাকে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন একেবারে ফাঁপা বলে,
সমস্ত কিছুর মাঝে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন ভাঙ্গনের দৃশ্যাবলী।
প্রথম মহাযুদ্ধের ফসল হলো তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ “ইউলিসিস”। ১৯২২ সালে যখন এটি প্রকাশিত হয় তখন সাহিত্য জগতে বিশাল এক আলোড়নের সৃষ্টি হয়। ভাষা আর আঙ্গিকের দিক থেকে উপন্যাসটি নতুনত্বের দাবী নিয়ে হাজির হয় পাঠকের সামনে। ছোটগল্প রচনায়ও জয়েস যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় প্রদান করেছেন। তার গল্প গ্রন্থ ডাবলিনার্সে সমাজের অসারতা ভন্ডামী প্রতারণা এসবের নজির মেলে।
জয়েসের সব চেয়ে বড় কৃতিত্ব সাহিত্যে নতুন রীতির উপস্থাপনা, যে রীতিকে বলা হয় stream of
consciousness বা চেতনার প্রবাহ। জয়েস একদিকে যেমন বিশ শতকের ধ্যান ধারণার পরিবর্তনের ধ্বনি তুলেছেন অন্যদিকে তিনি বাস্তব জীবনযাত্রার ভাংচুরের কথাও বলেছেন। জেমস জয়েসের উল্লেখযোগ্য রচনা গুলো হচ্ছে ডাবলিনার্স (১৯১৪), পোট্টরেট অব দি আর্টিস্ট এজ এ ইয়ং ম্যান (১৯১৬),
ইউলিসিস (১৯২২),
ফিনিগানস ওয়েক (১৯৩৯) ইত্যাদি।
১৯৪১ সালে এই সাহিত্যরথী পরলোকগমন করেন।
No comments:
Post a Comment