ক্যাট ইন দি রেইন - Cat in the rain – Ernest Hemingway – Translation in Bengali |
Cat
in the rain – Ernest Hemingway – Translation in Bengali
[তার
সাদা
ঘোড়াটির
পায়ে
সশব্দে
আঘাত
করল
আর
সে
ঘোড়ার
পিঠে
চেপে
বসল। বুল
ফাইটার
প্রবল
উত্তেজনায়
মোচড়
খেয়ে,
ঘোড়ার
বলগা
প্রচণ্ড
শক্তিতে
টেনে
ধরে
গদিতে
বসেই
গতি
পরিবর্তন
করতে
সচেষ্ট
হলো। পেট
বরাবর
নীলরঙা
কারুকার্যখচিত
ঝালর
বিশিষ্ট
ঘোড়াটিকে
আগুপিছু
করাতে
করাতে
বাগে
আনার
চেষ্টা
চালাল,
বুলফাইটার
তার
পা
এবং
হাতের
চাবুক
দ্বারা
ঘোড়ার
পেছনের
পায়ে
আঘাত
করল। প্রতিবন্ধকতার
মাঝে
প্রচন্ড
ঝাকুনি
সহকারে
গতিবেগ
সহজ
করল। বুল
ফাইটার
এক
ঝটকায়
ছুড়ে
ফেলল
তার
পায়ের
নাল
আর
হেলে
দুলে
সামনে
অগ্রসর
হলো,
এরপর
হাতের
বর্শাটা
ছূড়ে
মারল
ষাড়টাকে
লক্ষ্য
করে।
রক্তধারা
সবেগে
ছিটকে
এসে
পড়ল
ঘোড়ার
সামনের
দুপায়ের
মাঝ
বরাবর। সে
তখন
অস্থির
হয়ে
এদিক
ওদিক
ঘুরছিল। যাঁড়টি
আর
কোন
রকম
আক্রমণ
করার
সুযোগ
পাবেনা।]
ক্যাট
ইন
দি
রেইন
তার
সাদা
ঘোড়াটির
পায়ে
সশব্দে
আঘাত
করল
আর
সে
ঘোড়ার
পিঠে
চেপে
বসল। বুল
ফাইটার
প্রবল
উত্তেজনায়
মোচড়
খেয়ে,
ঘোড়ার
বলগা
প্রচণ্ড
শক্তিতে
টেনে
ধরে
গদিতে
বসেই
গতি
পরিবর্তন
করতে
সচেষ্ট
হলো। পেট
বরাবর
নীলরঙা
কারুকার্যখচিত
ঝালর
বিশিষ্ট
ঘোড়াটিকে
আগুপিছু
করাতে
করাতে
বাগে
আনার
চেষ্টা
চালাল,
বুলফাইটার
তার
পা
এবং
হাতের
চাবুক
দ্বারা
ঘোড়ার
পেছনের
পায়ে
আঘাত
করল। প্রতিবন্ধকতার
মাঝে
প্রচন্ড
ঝাকুনি
সহকারে
গতিবেগ
সহজ
করল। বুল
ফাইটার
এক
ঝটকায়
ছুড়ে
ফেলল
তার
পায়ের
নাল
আর
হেলে
দুলে
সামনে
অগ্রসর
হলো,
এরপর
হাতের
বর্শাটা
ছূড়ে
মারল
ষাড়টাকে
লক্ষ্য
করে।
রক্তধারা
সবেগে
ছিটকে
এসে
পড়ল
ঘোড়ার
সামনের
দুপায়ের
মাঝ
বরাবর। সে
তখন
অস্থির
হয়ে
এদিক
ওদিক
ঘুরছিল। যাঁড়টি
আর
কোন
রকম
আক্রমণ
করার
সুযোগ
পাবেনা।
শুধুমাত্র
দুজন
আমেরিকান
এসে
থামল
হোটেলটিতে। হোটেলের
কক্ষে
যাওয়ার
সময়
সিড়িতে
আর
কোন
লোকজন
দেখতে
পেলোনা
তারা। তাদের
কক্ষটি
ছিল
দ্বিতীয়
তলায়
সমুদ্রের
দিকে
মুখ
করা। এছাড়া
কক্ষটির
সামনে
ছিল
একটি
সাধারণ
বাগিচা
আর
একটি
যুদ্ধের
স্মৃতিস্তম্ভ।
সে
বাগানে
ছিল
দীর্ঘ
একটি
পামগাছ,
যার
নীচে
বড়ো
একটি
বেঞ্চ
পাতা। চমৎকার
আবহাওয়া
বিরাজ
করছে
এর
চারপাশে। দক্ষ
চিত্রকর
যেন
সাজিয়েছে
পাম
বিথীকা,
আর
উজ্জ্বল
মনোহর
হোটেলটি
বাগিচাসহ
মুখ
বাড়িয়ে
আছে
সমুদ্রের
দিকে। ইতালিয়ানরা
বহু
পথ
পাড়ি
দিয়ে
এসে
এই
যুদ্ধস্তম্ভের
পানে
শ্রদ্ধাভরে
চোখ
তুলে
পর্যবেক্ষণ
করে। এটি
নির্মিত
হয়েছিল
ব্রোঞ্জ
দ্বারা
যা
বৃষ্টিস্নাত
হয়ে
সর্বদা
ঝলমল
করে। এটা
ছিল
বৃষ্টির
সময়,
ফোটায়
ফোটায়
বৃষ্টি
ধারা
ঝরে
পড়ছিল
পামগাছ
গুলোতে। বৃষ্টির
ছোট
ধারা
তৈরী
করে
বেয়ে
নামছিল
নুড়ি
বিছানো
পথে। বৃষ্টিধারার
মাঝে
সমুদ্রের
ঢেউ
বেলাভূমিতে
ভেঙ্গে
পড়ছিল,
সরাসরি
এসে
আছড়ে
পড়ে
ফিরে
যাচ্ছিলো
আবার।
বারবার
বৃষ্টিমুখর
বেলাভূমিতে। মোটর
গাড়িগুলো
যুদ্ধের
স্মৃতিস্তম্ভের
চত্বর
হতে
চলে
যাচ্ছিলো
চত্বরের
অপর
পাশে। ক্যাফের
দরজায়
দাঁড়িয়ে
খালি
চত্তরের
দিকে
তাকিয়ে
ছিল
ওয়েটার।
আমেরিকান
(এর)
স্ত্রী
জানালা
পথে
বাইরে
তাকিয়ে
ছিল। বাইরে
জানালার
নীচে
ঠিক
ডান
পাশে
একটি
বিড়াল
বৃষ্টিভেজা
একটা
সবুজ
টেবিল
বেয়ে
ওঠার
চেষ্টা
করছিল। বিড়ালটা
প্রাণপনে
টেবিলটাতে
আরোহন
করার
প্রচেষ্টায়
ব্যর্থ
হচ্ছিল।
আমেরিকান
স্ত্রীটি
বলল,
আমি
নীচে
গিয়ে
বেড়াল
বাচ্চাটাকে
নিয়ে
আসবো। তার
স্বামী
বিছানা
থেকে
বলল,
আমি
গিয়ে
নিয়ে
আসছি।
না,
আমি
যাবো,
বেড়াল
বাচ্চাটি
টেবিলের
তলায়
শুকনো
জায়গাটায়
যেতে
পারছেনা।
যুবতীর
স্বামী
বিছানায়
শুয়ে
দুটো
বালিশের
উপর
পা
রেখে
পাঠে
মগ্ন
ছিল
।
সে
বলল,
ভেজার
দরকার
নেই।
স্ত্রী
নীচের
সিড়িতে
নেমে
এলো,
সামনে
হোটেল
মালিকের
সাথে
সাক্ষাত,
মালিক
তাকে
নীচু
হয়ে
অভিবাদন
করে
অফিস
কক্ষে
চলে
গেলেন। তার
বসার
ডেস্কটা
ছিল
অফিসের
একবারে
শেষ
প্রান্তে,
ভদ্রলোক
বৃদ্ধ
এবং
দীর্ঘদেহী।
হোটেল
কীপারের
উদ্দেশ্যে
যুবতী
বললঃ
বৃষ্টি
হচ্ছে। (Il
piove)
সে
বলল,
জি,
জি,
জনাবা,
আজ
আবহাওয়াটা
খুবই
খারাপ। (Si,
Si, Signora, brutto tempo)
হোটেল
পরিচারক
তার
স্বল্পলোকিত
কক্ষে
টেবিলের
পেছনে
দাঁড়িয়ে
ছিলেন। স্ত্রীটির
খুবই
মনে
ধরলো
তাকে। যে
কোন
মারাত্মক
অভিযোগ
সহজে
গ্রহণ
করার
দিকটিও
যুবতীর
ভালো
লাগল। সে
পছন্দ
করল
তার
মর্যাদাপূর্ণ
দিকটি। পরিচারক
কর্তৃক
তাকে
হোটেলে
পথ
প্রদর্শনের
দিকটিও
মনে
ধরল। সে
যে
হোটেল
পরিচারক
সম্পর্কে
এতোটা
আন্তরিকতার
সাথে
ভাবছে
এটা
ভেবেও.
সে
পুলকিত
হলো। সে
তাঁর
বয়সী
দিক,
ভারি
মুখমন্ডল
আর
ভারি
হাতগুলো
পছন্দ
করল।
তাকে
পসন্দ
করার
পর
সে
দরজা
খুলে
বাইরে
তাকাল। এখনও
তুমুল
বৃষ্টি
হচ্ছে। একটি
লোক
হাতাবিহীন
রাবারের
কোট
পরে
চত্বর
পার
হয়ে
ক্যাফের
দিকে
যাচ্ছে। বিড়ালটি
ডান
দিকে
আশেপাশে
কোথাও
হবে। সম্ভবত
সে
কক্ষের
ছাইচার
নীচে
দিয়ে
যেতে
পারবে। যখনি
যুবতী
দরজার
সামনে
পা
রেখেছে
তখনি
তার
পেছনে
ছাতা
মেলে
ধরা
হলো,
এটা
হোটেলের
সেবিকার
কাজ,
সে
এতক্ষন
তাদের
কক্ষ
থেকে
যুবতীকে
লক্ষ্য
করছিল।
সেবিকা
ইতালিয়ান
ভাষায়
হেসে
বলল,
‘আপনি অবশ্যই
ভিজবেন
না,’
অবশ্যই
হোটেল
পরিচারক
এই
সেবিকাকে
পাঠিয়েছেন।
সেবিকা
যুবতীর
মাথায়
ছাতাটা
মেলে
ধরে
রইল,
সে
যুবতীর
সাথে
হেঁটে
চলল
নুড়ি
বিছানো
পথে
যে
পর্যন্ত
না
যুবতীর
কক্ষের
জানালার
কাছে
চলে
এল। টেবিলটি
থাকলেও
সেখান
থেকে
বিড়ালটি
ততক্ষণে
চলে
গেছে। যুবতী
হঠাৎ
করেই
হতাশায়
ভেঙ্গে
পড়ল,
সেবিকা
তা
লক্ষ্য
করল।
“আপনি
কি
কিছু
হারিয়েছেন
ম্যাডাম?”
(‘Ha
perduto qualque cosa, Signora?’)
“আমেরিকান
যুবতী
বলল
“একটা
বিড়াল
ছিল।”
“বিড়াল?” (Si, il gatto)
“বিড়াল? হেসে
ফেলল
সেবিকা,
“বৃষ্টির
মাঝে
বিড়াল?”
হ্যা,
টেবিলটার
নীচেই
ছিল।
বলল
যুবতী,
“এরপর,
ওহ্,
আমি
ওটাকে
ভীষন
ভাবে
চাই,
আমি
বিড়াল
বাচ্চাটাকে
চাই।”
যুবতী
ইংরেজিতে
যখন
কথাবার্তা
বলছিল
তখন
সেবিকার
মুখটি
টান
টান
আকার
ধারণ
করছিল।
সেবিকা
বলল,
“আসুন,
Signora, চলুন
আমরা
ভেতরে
যাই,
না
হলে
ভিজে
যাবেন।”
“আমিও
তা
মনে
করি,” বলল আমেরিকান
যুবতী। তারা
দুজন
নুড়ি
বিছানো
পথে
ফিরে
এলো
এবং
দরজাটা
পার
হলো। সেবিকা
ছাতাটা
ভাজ
করে
বাইরে
রাখল। আমেরিকান
যুবতী
অফিস
কক্ষের
পাশ
দিয়ে
যাওয়ার
পথে
কীপার
তাকে
অভিবাদন
করল। কীপার
যুবতীর
বিষয়টি
খুব
কমই
অনুভব
করতে
পারলেন
কিন্তু
একই
সময়ে
বিষয়টিকে
খুব
গুরুতৃপূর্ণও
মনে
করলেন। যুবতীর
জন্য
এটা
ছিল
সাময়িক
একটা
আকুলতা
মাত্র। সে
সিঁড়ি
বেয়ে
উপরে
উঠল,
দরজা
খুলে
কক্ষের
ভেতরে
প্রবেশ
করল। জর্জ
তখনো
বিছানায়
শুয়ে
বই
পড়ছিল।
জর্জ
বইটা
নামিয়ে
রেখে
জিজ্ঞেস
করল,
“বিড়ালটাকে
ধরতে
পেরেছো?"
“ওটা
চলে
গেছে।”
পাঠে
দৃষ্টি
নিবদ্ধ
থাকা
চোখকে
বিশ্রাম
দিতে
দিতে
জর্জ
বলল,
“আশ্চর্য
তো, কোথায় চলে
গেল
বিড়ালটা?”
যুবতী
বিছানায়
বসে
পড়ল।
অতঃপর
যুবতী
আয়নার
সামনে
গিয়ে
বসে
আয়নায়
হাতে
নিয়ে
নিজেকে
দেখতে
লাগল। সে
তার
পুরো
অবয়ব
পর্যবেক্ষণ
করতে
লাগল,
প্রথমে
একপাশ
পরে
অন্য
পাশটি। অতঃপর
যুবতী
তার
মাথার
পেছনের
দিক
এবং
পরে
ঘাড়
পর্যবেক্ষণ
করল।
“তোমার
কি
মনে
হয়,
যদি
আমার
চুল
গুলো
বাড়তে
দেই,
তবে
এটা
একটা
ভালো
পরিকল্পনা
হবে
না,” এটা বলে
সে
নিজেকে
ফের
পর্যবেক্ষণ
করতে
লাগল।
জর্জ
তাকিয়ে
তাঁর
স্ত্রীর
ঘাড়ের
পেছনের
দিকটা
দেখল।চুলগুলো
বালকের
চুলের
মত
মতো
ছাট
দেয়া।
“আমি
এটা
এখন
যেমন
আছে
তেমনই
পছন্দ
করি।”
যুবতী
বললঃ
“আমি
এটা
করতে
গিয়ে
খুবই
ক্লান্ত।
আমি
চুল
কেটে
এভাবে
বালকের
মত
নিজেকে
দেখতে
দেখতে
বড়োই
অতিষ্ঠ।”
জর্জ
বিছানায়
পাশ
ফিরল। তার
স্ত্রী
যখন
বেঁকে
কথা
বলছে
তখন
থেকে
এক
নজরও
জর্জ
তার
দিকে
তাকায়নি।
“তোমাকে
খুবই
মনোরম,
আকর্ষণীয়
লাগছে,”
বলল
জর্জ।
বাইরে
তাকাল,
চারপাশে
তখন
অন্ধকার
নামছে।
যুবতী
বলল;
“আমি
আমার
চুলগুলো
শক্ত
করে
টেনে
পেছনে
একটা
বেণী
বাঁধতে
চাই,
এটা
সর্বদা
অনুভব
করি,
আমি
একটি
বিড়াল
বাচ্চা
চাই,
যে
আমার
কোলে
বসে
গড়গড়
আওয়াজ
করবে
আমি
যখন
আস্তে
আস্তে
তাকে
চাপড়াতে
থাকবো।”
জর্জ
টেবিলের
পাশ
থেকে
বলল,
“ইয়াহ”
“আর
আমি
আমি
টেবিলে
বসে
নিজ
থালায়
খেতে
চাই
আর
চাই
মোমবাতি। আর
চাই
আমার
কেশগুলো
কুঞ্চিত
হোক,
আমি
আয়নার
সামনে
বসে
আমার
চুল
ব্রাশ
করবো
আর
আমি
চাই
বেড়ালের
বাচ্চা,
আর
চাই
কিছু
নতুন
কাপড়।”
“ওহ
চুপ
করো,
একটু
পড়তে
দাও,”
বলল
জর্জ,
এরপর
ফের
পড়ায়
মনযোগ
দিল।
ওর
স্ত্রী
জানালা
পথে
বাইরে
তাকিয়েছিল,
এখন
বাইরে
গাঢ়
অন্ধকার,
পামগাছ
বেয়ে
এখনও
নামছে
বৃষ্টি
ধারা।
“সে
যাইহোক,
আমি
একটি
বিড়াল
চাই,” বলল যুবতী
“আমি
একটি
বিড়াল
চাই, আমি এক্ষুনি
একটি
বিড়াল
চাই,
যদিও
আমি
পাবোনা
লম্বা
চুল
কিংবা
অন্য
কোন
মজার
কিছু,
আমি
বিড়ালই
চাই।”
এসব
জর্জের
কানে
ঢুকছিলোনা,
সে
একমনে
বই
পড়ছিল। তার
স্ত্রী
জানালা
পথে
বাইরে
তাকিয়ে
ছিল।
যেখানে
উন্মুক্ত
স্থানটিতে
আলো
এসে
পড়েছিল।
কেউ
একজন
দরজায়
টোকা
দিল।
জর্জ
বই
হতে
চোখ
নামিয়ে
বলল,
“ভেতরে
এসো
(Avanti)।” দরজায়
দাঁড়ানো
হোটেলের
সেবিকা। কোলে
তার
শক্ত
করে
ধরে
রাখা
বৃহৎ
কচ্ছপের
খোলার
আকৃতির
একটি
বিড়াল,
শরীরটা
তার
মাঝে
মাঝে
আন্দোলিত
হচ্ছিল।
“কিছু
মনে
করবেন
না,” বলল সেবিকা,
“হোটেল মালিক
(padrone) বললেন, বিড়ালটি, ম্যাডামকে
দিয়ে
এসো।”
Related Links
2. ক্যাট ইন দ্যা রেইন - আলোচনা
3. Cat in the rain - Main Text in English (Chapter X)
No comments:
Post a Comment