Thyrsis - Matthew Arnold - Bengali Translation part 2 |
Thyrsis - Matthew Arnold - Bengali Translation - part - 2 of 2
হ্যা,
যে
দৃশ্য
রাত
জুড়ে
ভাসতো
মোর
চোখে,
সব
গেছে
চলে
আর
চিরকাল
মোরে
ঘিরে
থাকা
যে
ছায়া
সেও
দেখি
তার
আবরণ
খোলে
দিনের
আলোয়
অনুভব
করি
তার
শীতল
দীর্ঘশ্বাস
শুকনো
গণ্ডদেশ
বাদামি
চুল
তার
হয়েছে
ধূসর
অনুভব
করি
তার
নখের
উজ্জ্বলতা
সে
অনুভব
করেছিল
মৃত্যুর
শীতলতা;
ভোরের
শিশিরে
রাখতে
পারেনি
পায়ের
ছোঁয়া,
হৃদয়ে
তার
ছিল
না
নতুন
কোন
সাড়া
একদা
তার
আশা
হল
চুরমার
ফিরলো
না
আর
বসন্ত
দিন।
যুবাকালে
হয়েছিল
মনে
সত্যের
পথ
বড়োই
সরল
বাড়তেই
বয়স
মনে
হলো
তার
পাহাড়ি
পথ
বড়োই
উঁচু
আর
মেঘাচ্ছন্ন।
সত্যের
পর্বত
শিখর
বড়োই
কণ্টকময়
[throne of Truth]
সত্যের
সে
শিখরে
জীবন
ভোরের
আলোর
মতো।
বড়োই
অলংঘনীয়
সেই
দুর্গ।
ইহজাগতিক
মানুষের
তরে
আছে
বাঁধার
দেয়াল
[long-batter'd]
আর
সে
খুঁজে
পায়নি
এই
ইহজাগতিকার
মানে
মৃত্যুকে
সে
ভেবেছিল
সঠিক
সত্য
আর
কাছের
আর
তাই
জীবনে
আনলো
ডেকে
কালো
রাত।
কিন্তু
ধূর!
পাহাড়ি
এলাকা
ডাকল
নীরবতা।
একেবারে
স্তব্ধ!
তাকাও
দ্যাখো
ধুলো
উড়ে
পাহাড়ি
পথে
অক্সফোর্ডের
একদল
শিকারি
ফিরে
আসছে
ঘরে
পুরনো
দিনের
শিকারিদের
মতো
আসছে
হৈ
হল্লা
করে
আসছে
শিকার
সেরে,
বার্কশায়ায়ের
শিকারির
[Berkshire hound]
কুকুর
সাথে
খোলা
মাঠ
পার
হয়ে
দ্রুত
দৌড়ে
যেতে
দাও
তাদের
কাছে
গিয়ে
দেখি
কর্মকাণ্ড
ওদের,
ফিরে
আসি
সূর্যাস্ত
পিছে
ফেলে
যেখানে
অপরূপ
উজ্জ্বলতায়।
কমলা
ধূসর
বেগুনি
রঙে
রঙিন
সন্ধ্যার
আকাশ।
শুধু
একাকী
পর্বত
শিখর
ধরে
আছে
বৃক্ষটি!
বৃক্ষটি!
তাকাই
বৃক্ষটির
পানে,
দেখি
ডুবে
যায়
সে
সন্ধ্যার
আঁধারে,
সাদা
কুয়াশা
সর্পিল
গতিতে
গড়ায়
এক
ঝোপ
থেকে
অন্য
ঝোপে,
কালো
হয়
পশ্চিমাকাশ
একটি
সন্ধ্যা
তারা
ছড়ায়
দ্যুতি
খামারগুলোতে
জ্বলে
উঠে
বাতির
ঝিকিমিকি,
আমি
দেখতে
পাবো
না
বৃক্ষটিকে,
দৃষ্টি
শক্তিও
মোর
আঁধারে
নিমজ্জিত
প্রায়!
এ
উপত্যকা
[Arno-vale]
হতে
থাইরসিস
তুমি
বহুদূরে।
যেখানে
পৃথিবীর
মায়া
ছেড়ে
তুমি
ঘুমাও
নিশ্চিন্তে
সকালবিহীন
জাগরণহীন
এই
নিদ্রায়
মগ্ন
তুমি
পুষ্পিত
স্নান
অলিয়েন্ডার
[oleanders ]
বৃক্ষের
নিচে।
শোন
থাইরসিস,
আমাদের
বৃক্ষটি
সেখানেই
আছে
আহা!
সেই
মাঠ
পাহাড়ী
ভূমি
বড়োই
অর্থহীন,
ঝোপঝাড়গুলো
আচ্ছন্ন
[engarlanded]
ধূসর
কুয়াশায়
একাকী
আকাশে
মাথা
উঁচু
করে
থাকা
গাছটি
আর
পাবে
না
তোমাকে,
উড়ে
চলে
গেছে
সে
দক্ষিণের
কোন
দেশে,
যেখানে
হাওয়ারা
বড়োই
অনুকূল,
বেড়াচ্ছ
তুমি
পবিত্র
প্রকৃতি
মাতার
সাথে।
আমি
নিশ্চিত
এমন
মহান
পবিত্র
আত্মা।
দেখেনি
কখনও
প্রকৃতি
মাতা
তার
অনুচর
মাঝে,
আর
এই
এপেনাইন
[Apennine]
পর্বতমালায়।
তুমি
তো
শুনেছো
পুরনো
দিনের
অমরত্বের
গান।
তুমি
তো
শুনেছো
লিটেয়ারসাসের
[ Lityerses]কথা,
ফ্রিজিয়ান
রাজের
[Phrygian king]
শস্যক্ষেতে
শস্য
কর্তন
করতে
করতে
লিটেয়ারসাস
ফের
গেয়েছিলো
সেই
গান,
যা
গেয়েছিলো
তরুণ
ডাফনিস
[Daphnis]।
কাচিতে
ফসল
কাটার
কালে
সিসিলির
মাঠে।
ডাফনিসের
শেষ
দল,
ব্যর্থ
প্রেম
তার,
আর
অন্ধ
আমি
আর
কেমনে
ঘুরছিলো
চারপাশে
স্বগীয়
ডাকের
আওয়াজ
আর
ঝর্ণা
ধারার
কিনারা
হতে
পৌঁছে
গিয়েছিল
স্বর্গলোকে।
আজো
তার
সঙ্গীত
ধ্বনি
বাজে
সোনালি
আকাশ
জুড়ে।
চলে
গেছো
তুমি
আমাকে
একা
ফেলে
এই
প্রান্তরে
এই
মাঠে
আমি
একা
গান
গাই,
নইকো
হতাশ
হতাশ
নই
আমি,
তাকিয়ে
দেখি
সদা,
খোলা
আকাশের
চাঁদোয়া
আর
বহমান
হাওয়া,
দেখি
একাকী
এলম
বৃক্ষটি
দাঁড়িয়ে
পশ্চিমাকাশ
জুড়ে
আজো
আগের
মতোই
আছে
পাহাড়ি
ঢালু
পথ,
আমাদের
জ্ঞানী
যাযাবর
সবই
ছিল
চেনা।
যে
মাঠে
চরে
বেড়াতো
শুভ্র
মেষদল
আর
মেঠো
সেই
বনে
ফুটতো
এনোমনিস
[anemonies]
পুষ্প
মে
মাস
জুড়ে
ভ্রমণকারীর
সবই
তো
ছিল
চেনা,
তবু
কেন
সে
আসে
না
মোর
কাছে?
সে
খুঁজছিলো
এক
মহিমান্বিত
আলোক
শিখা
আমারও
লক্ষ্য
সেই
আলো,
আর
আমিও
সেটাই
চাই।
সেটি
আসবে
না
গৃহাঙ্গন
কিংবা
স্বর্ণরত্ন
হতে
কোন
স্থান,
কিংবা
সম্মান
আর
স্বজন
বান্ধব
থেকে;
পৃথিবীর
হাটে
তার
হয়
নাকো
বেচা
কেনা-
সময়ের
ধীর
প্রবাহে
সেটি
নামে,
বিদায়
নেয়
না
সে
আলো
প্রত্যাশীজন
ক্লান্ত
না
হলে;
প্রত্যাশীজনের
মৃত্যু
হলে
সেটি
যায়
চলে,
অভিষ্ট
লক্ষ্যে
যাবার
তরে
জ্ঞানী
যাযাবর
সরে
গিয়েছিলো
লোকালয়
হতে
দূরে।
হৃদয়ের
গভীর
আগ্রহ
অনুপ্রাণিত
করেছিলো
তাকে।
তুমিও
থাইরসিস
অক্লান্ত
ছিলে
সত্যের
সন্ধানে;
ঘুরেছে
আমার
সাথে
কতো
না
খণ্ডিত
সময়ে!
মানুষ
তোমাকে
দেয়নি
কিছুই
এই
অভীষ্টের
তরে
যদিও
স্বজনের
নেই
অবহেলা
তোমাকে
দিয়েছে
শক্তি,
যখন
লোকেরা
তোমাকে
দিয়েছে
ব্যথা,
লক্ষ্যে
পৌছার
শাস্তি
দিয়েছে
তোমায়
বন্ধুর
সেই
কামার
[Cumner]
পাহাড়ের
মৃত্তিকা,
এর
বৃক্ষরাজি,
বনানী
কুঞ্জ,
কৃষিভূমি,
খোলা
মাঠ,
এখানে
কেটেছে
তোমার
যুবাকালীন
কতো
প্রফুল্ল
সময়,
এখানেই
প্রজ্বলিত
হয়েছে
তোমার
জ্ঞানের
শিখা
সোনালি
আভায়।
এখনও
এ
স্থান
শক্তি
জোগায়
আমারই
মতো
সবার
তরে।
কেমন
সঙ্গীত
সুধা
বেজেছে
তোমার
বাঁশিতে
স্বদেশ
তোমায়
ধরে
রাখলো
না
দীর্ঘকাল;
দ্রুত
হারালো
কবিতা
তোমার
আর
পতিত
হলে
ঝড়ে
জন
কোলাহলে
শুধু
শোনা
গেল
আহত
গোঙানির
স্বর,
ঠোটে
এলো
বিষন্নতা
বংশী
ধ্বনিতে
ঝরল
বিষাদ-
ব্যর্থ
হলো
সবই,
শুধু
তুমিই
হলে
নীরব!
প্রজ্ঞাবান
সাথী
পরিবৃত
থেকেও
গেলে
সরে,
দ্রুত
তোমার
পদ
যুগল
বের
হলো
পরিভ্রমণে,
ত্যাগ
করে
লোকালয়
জনপদ
একাকী
অমরাবতির
পথে।
খুব
কম,
খুব
কম,
এখানে
আমার
আগমন
বাড়ছে।
শহরের
কোলাহল
ছেড়ে
তোমার
স্মৃতিতে,
থাইরসিস!
মেষপালকের
ঘণ্টাধ্বনি
বাজে
আমার
বাড়িতে
শহরের
কঠোর
কঠিন
তীব্র
শব্দ
ভেদিয়া
তোমার
কণ্ঠের
ফিসফিসানি
আসে
আমার
কানে।
হয়তো
বা
তুমি
ভীতি
কিংবা
ক্লান্ত
দূর
করতেঃ
কেনো
দূর্বল
হচ্ছ!
মৃত্যুর
আগেই
আমি
ঘুরে
দেখব!
ঘুরে
দেখো!
আমরা
যে
আলো
চেয়েছিলাম
তা
এখনো
জ্বলজ্বল
করছে!
তুমি
ক্মি
প্রমান
চাচ্ছ?
আমাদের
গাছগুলো
পাহাড়ের
চূড়াতেই
আছে!
No comments:
Post a Comment