Thyrsis - Matthew Arnold - Bengali Translation part 1 |
Thyrsis - Matthew Arnold - Bengali Translation - part 1 of 2
কেমন
পরিবর্তন
ঘটেছে
সব
জায়গায়
মানুষের
হাতে
পাশাপাশি
হিংকসি
[Hinkseys] গ্রাম
দুটো
নেই
আগের
মতো;
উধাও
গায়ের
পথ-পার্শ্বের
ঘর-বাড়িগুলো,
আর
সিবিল্লা
[Sibylla] নামের
সাইনবোর্ডটিও
নেই,
পাশাপাশি
ছিল
যে
দুটো
চিমনি
সে
দুটোও
নেই
ওহে
পাহাড়
পরিবর্তন
ঘটেছে
তোমারও
দেখি?
এখানে
আমি
তো
অচেনা
জন
নই,
যে
এসেছে
আজ
রাতে
অক্সফোর্ডের
পথ
ধরে
ধরে!
এখানে
আমি
এসেছি
কতো
না
বার,
অনেক
আগে-
থাইরসিস
[Thyrsis] আর আমি,
আমি
আছি,
আজ
থাইরসিস
নেই।
চাইল্ডওয়ার্থ
[Childsworth] খামার
পার
হয়ে
যে
পথটি
গিয়েছিল
সরাসরি
জঙ্গল
পাড়ি
দিয়ে,
যেখানে
ছিল
ঝোপড়া
এলম
গাছ
বিদায়ী
সূর্যের
উজ্জ্বল
আভা
ছড়াতে
পাহাড়
শীর্ষে
এলম
[elm] বৃক্ষ
দাঁড়িয়ে
থাকতো
ইলসি
[Ilsley]পাহাড়ের
পাদদেশে।
পাহাড়
পাদদেশ
ছাড়িয়ে
একাকী
পড়ে
আছে
উজ্জ্বল
টেমসের
[Thames] বাঁধ
দুটো
উষ্ণ
আজ
শীতের
সন্ধ্যা
বাতাসে
শীতল
ছোয়া,
বৃক্ষ
পত্রবিহীন,
কি
কোমল
বসন্তের
নতুন
কুঁড়ির
লাল
আভায়,
মণ্ডিত
কাটা
ঝাড়
ও
ঝোপ
[copse and briers]
মনোরম
নগরী
স্বপ্নালু
চোখে
তাকায়
প্রকৃতি
পানে।
সৌন্দর্য
স্ফুটনে
তার
প্রয়োজন
নেই
গ্রীষ্ম
দিনের।
[অক্সফোর্ড]
সেতো
চিরদিন
মোহনীয়,
আজ
রাতে
আরো
মোহনীয়!
শুধু
ভাবি,
মুছে
গেছে
তার
কিছু
নৈসর্গিক
শক্তির
প্রভা
পরিভ্রমণরত
আমাকে
ফেলেছে
অস্পষ্টতার
মাঝে
এখানে
এসেছি
আমি
চোখ
মুদে
যেকোন
সময়।
বন্ধুর
সাথে
আসার
পর
থেকে,
আর
আসা
হয়
না
এখানে
এলম
বৃক্ষটা
দাঁড়িয়ে
থাকে
উজ্জ্বল
আভা
নিয়ে।
পশ্চিম
প্রান্ত
জুড়ে,
এটিকে
দেখি
না
আমি,
এটাও
কি
শেষ?
এলম
বৃক্ষটি
যখন
ছিল
দিয়েছি
ওকে
অধিক
সম্মান,
বলেছি
মোরা
মোদের
বন্ধু,
জ্ঞানী
যাযাবর
[Gipsy-Scholar]
বেঁচে
আছে।
যেহেতু
বৃক্ষ
দাঁড়িয়ে
আছে,
সেও
আছে
এই
মাঠে।
খুব
কম,
খুব
কম,
কমই
আসা
হয়
এখানে
আমার,
একদা
সখ্যতা
ছিল
মোর
এই
মাঠ,
ফুল
আর
ফসলের
সাথে,
আর
গড়েছি
সখ্যতা
কতো
গেঁয়ো
মানুষের
সাথে,
শস্য
কাটা
আর
গোলায়
তোলার
মৌসুমে।
এখানেই
প্রথম
মোদের
কাব্য
চর্চা
শুরু।
আহা!
মনে
হয়,
সে
কতো
আগেকার
কথা
হারিয়েছে
কবিত্ব
মোর,
কবিতাকে
দিয়েছি
বিদায়!
যা
হারিয়েছি
ফের
তা
পেতে
চাই,
চাই
এক
গভীর
হৃদয়।
পৃথিবীতে
তরঙ্গের
অভিঘাত
মানবকে
করে
নানা
পথগামী
কিন্তু
থাইরসিসের
সকল
ইচ্ছে
দূরে
গেছে
চলে।
এই
বিদ্যাপীঠে
লাগেনি
ভালো
তার,
সে
ছিল
বড়োই
অস্থির,
সে
ভালো
বাসতো
গাঁয়ের
প্রকৃতির
সহজ
জীবন,
ভালোবাসতো
সহপাঠীদের
কিন্তু
থাকেনি
তাদের
সাথে,
এই
শিক্ষাঙ্গন
তার
কাছে
ছিল
বড়োই
ভীতিপ্রদ,
এখানে
এই
যে
মেষপালকেরা
আর
মেষদল
সুখ
বঞ্চিত
কিছু
মানুষের
জীবন
যাপন।
বুঝেছিল
সে,
কী
তাকে
করেছে
হতাশ,
ভাবনাকে
করেছে
নিশ্চল
চলে
গেল
সে
তার
বংশীতে
তুলে
বিষাদের
সুর।
মোদের
সুখময়
অঙ্গনে
হলো
সহসা
বজ্রপাত।
পারলো
না
সে
নিজেকে
মেলাতে,
গত
হল
সে।
জুন
মাসের
এক
ঝড়বিক্ষুব্ধ
[tempestuous] সকাল
বেলায়,
যখন
প্রস্ফুটিত
বছরের
প্রথম
পুষ্পদল,
গোলাপ
বাগিচা
করছে
ফুটি
ফুটি-
যখন
ঘাসে
ছেয়ে
গেছে
বাগানের
পথগুলো
ফুটেছে
বিদায়ী
মে
মাসের
সাদা,
লাল
কতো
না
ফুল
আর
ঝরে
পড়েছে
কাঠ
বাদামের
ফুল-
ভেজা
মাঠ
আর
বৃষ্টি
ধোয়া
বৃক্ষতল
থেকে
শুনি
আমি
বিদায়ী
কোকিলের
কুহু
ধ্বনি,
এসো
বৃষ্টির
ধারা
আর
মৃদু
হাওয়ার
পরশ
নিয়ে
ঝরে
গেছে
পুষ্প
কুঁড়ি
আর
আমিও
এদের
সাথে
যাবো
চলে।
ওহে
হতাশাগ্রস্ত,
অস্থির,
যাবেটা
কোথায়
শুনি?
এগিয়ে
আসছে
দ্রুত
মধ্য
গ্রীষ্মের
শোভা,
সুগন্ধি
ছড়ায়
দ্রুত
রক্তিম
পুষ্পল,
নিজেদের
খুঁজে
পাবো
মোরা
সোনালি
স্ন্যাপড্রাগন
[snapdragon] ফুলে,
মিষ্টি
উইলিয়াম
[Sweet-William]
সুগন্ধি
ছড়াবে
গৃহের
অঙ্গনে,
আর
জমানো
সৌরভ
ছড়িয়ে
দেবে
হাওয়ায়;
পথে
পথে
রঙিন
গোলাপ
ছড়াবে
দ্যুতি,
জেসমিন
[jasmine] জড়াবে
জানালার
শার্সিগুলো,
দলে
দলে
সবাই
মাতবে
উৎসবে
স্বপ্নীল
বৃক্ষ
তলে,
ভরা
পূর্ণিমা
আর
সন্ধ্যা
তারার
দ্যুতিতে।
শোনে
নাকো
সে,
সহসাই
এসেছিল
যে
সে
গেছে
চলে!
এটা
কি
বিষয়
হলো
আগামী
বছর
হয়তো
সে
আসবে
ফিরে,
তার
সাথে
কাটাবো
মোরা
মনোরম
বাসন্তের
দিন,
ফুলে
ফুলে
হবে
সাদা
ঝোপঝাড়
[whitening hedge]
আর
নামোচড়ানো
ফার্ন
[uncrumpling fern]
গাছগুলো,
ব্লু
বেল
[blue-bells] ফুল
ফুটে
রবে
বুনো
পথে,
আর
সুগন্ধি
ছড়াবে
নতুন
শস্য
গাদা।
কিন্তু
অনুরাগী
মোরা
থাইরসিসকে
দেখতে
পাবো
না
আর;
দেখবো
পেছনে
তাকে
কাটতে
বংশীর
তরে
নবম
খসড়া
লুকিয়ে
পড়ার
আগে
শোনা
যাবে
তার
বংশীর
সুর-
করিডনকে
[Corydon] না
হারাতে
পারলেও,
কোন
দিন
প্রতিযোগিতা
হবে
দুজনের।
আহা,
করিডন,
আর
আসবে
না
ফিরে
সিসিলির
[Sicilian] মেষপালকের
হারিয়েছিল
তাদের
সাথীকে।
অন্তরঙ্গ
কিছু
বন্ধুরা
তার
গিয়েছিল।
তারই
বাঁশি
হাতে
করে
জীবিতজনের
জন্য
নিষিদ্ধ
খেয়া
পার
হয়ে
সাথীকে
আনতে
প্লুটোর
[Pluto] সন্নিধানে।
সিসিলিতে
প্রস্ফুটিত
মুকুট
শোভিত
প্রোজারপাইনের
[Proserpine] তরে
নৃত্যের
তালে
বংশীতে
তুলে
অপরূপ
ধ্বনি
আর্ফিয়াস
[Orpheus] যেমন
ফিরিয়ে
এনেছিল
স্ত্রীকে
মৃত্যু
থেকে।
যখন
ডোরিয়ান
[Dorian] মেষপালকেরা
গায়
প্রোজারপাইনেরর
গাঁথা
কানে
ঢালে
তাদের
সে
গান
স্বর্গসুধা,
নিষ্কণ্টক
হয়
পথ
চলা!
প্রোজারপাইন
জানত
পবিত্র
ডোরিয়ান
প্রকৃতিকে,
সখ্যতা
ছিল
তার
গাছপালা
আর
সাদা
শাপলার
সাথে।
জানতো
গোলাপ
কেমন
রক্তিমাভায়
ফুটে
থাকে;
সে
জানতো
ভালো
ডোরিয়ান
বংশী
ধ্বনি
আর
পশুপাখি।
কিন্তু
আহা,
অভাগা
মোদের
টেমসের
কথা
জানতো
না
সে।
তার
পা
মাড়ায়নি
তখনো
কামার
চারণ
ভূমিতে
ফুটে
থাকা
ফুল;
মোদের
সঙ্গীতের
চিৎকার
শুধুই
ঘটায়
বিরক্তি
তার।
জানি
বাতাসে
ছড়িয়ে
যাবে
অসার
আর্তিগুলো
থাইরসিস
আজ
এই
ক্ষণে
প্রকাশিতে
দাও
মোর
বেদনাভার
অতীতে
সেই
পাহাড়
শীর্ষে
বাড়ানো
এলম
গাছের
তলে।
আমি
ছাড়া
কে
তার
তুলবে
এমন
প্রশ্নের
গুরুভার?
জানি
অরণ্য
কেমনে
লুকায়
ড্যাফোডিল
[daffodil] ফুলগুলো,
জানি
ফাইফিল্ড
[Fyfield] বৃক্ষরাজিকে,
জানি
ঘাস
ছাওয়া
নদীর
কিনার
ঘেঁষে,
রক্তবর্ণ
ফ্রিটিলারি
[fritillaries]
ফুলগুলো
কেমনে
সাদা
আর
লাল
ধরে
আর
জানি
এ্যানসাম
[Ensham] আর
স্যানফোর্ড
[Sandford] গাঁয়ের
গা
ঘেঁষে,
টেমসের
ছোট
শাখা
নদীর
[sedged brook]
বয়ে
যাওয়া
কুলুকলু
ধ্বনি;
পাহাড়
ঢালু
পথের
কথা
আমি
ছাড়া
আর
কে
জানে?
আর
পাহাড়ের
পাশে
মনোরম
কতো
না
উপত্যকা,
এখানে
একদা
এক
কণ্টক
বৃক্ষ
[thorns once studded]
দিতো
সাদা
পুষ্পের
বাহার।
সেখানে
জন্মাতো
ঘন
কাউস্লিপ
[cowslip] আজ
সেসব
নেই
সেই
সুচালো
মুখের
রক্তবর্ণ
অর্কিসগুলো
[orchises]।
যেগুলো
দেখেছি
মোরা
অতীত
সময়ে
সেই
পুষ্প
মুকুট
[coronal] শোভিত
অরণ্য
সবই
আজ
স্মৃতি;
ছোট্ট
নদীর
সবুজ
ঢালু
পাড়
বেয়ে
চলে
গেছে
কিষাণ
ছেলেরা
[ploughboy'],
মরে
যাওয়া
সেই
নদী
পাড়
ঘিরে
উজ্জ্বল
প্রিমরোজ
[Primroses]ফুলরাশি
এখন
জেগে
থাকে।
সে
মেয়েটি
কোথায়,
যাকে
দেখা
যেতো
মাঝির
ঘরের
দরোজায়।
মেয়েটিকে
দরোজায়
পাহারায়
রেখে
ওরা
যেতো
নৌকাতে
মেয়েটা
দিতো
নৌকার
দড়ি
খুলে
[Unmoor'd],
ঘাসফুলে
ছাওয়া
টেমসের
কিনারা
ধরে
ওরা
চলে
যেতো
দূরে,
নৌকার
পাশে
পাশে
ডাশ
মক্ষিকাদের
[water-gnats]
করতো
তাড়া
সোয়ালো
[swallows]পাখিরা;
টেমসের
তীরে
বসে
মোরা
ফেলতাম
দীর্ঘশ্বাস।
কোথায়
সেই
ঘাস
কর্তনকারী
[mower]
যে
কেটে
নিয়েছে
বাড়ন্ত
ঘাসগুলো।
আমাদের
নৌকা
চলেছে
সরিয়ে
ঘাসের
জঙ্গল
কাচি
হাতে
তুলে
অবাক
হয়ে
দেখতো
মোদের
ওরা।
ওরা
সবাই
গেছে,
চলে
গেছে
নৈসর্গিক
দৃশ্যাবলীও!
No comments:
Post a Comment