The Lotos Eaters - Alfred Tennyson - Summary, Analysis and Discussion - in Bengali |
The Lotos Eaters কবিতার বাংলা অনুবাদ link
The Lotos Eaters - Alfred Tennyson - Summary, Analysis and Discussion - in Bengali
The Lotos Eaters কবিতার ১ম ও ২য় অংশের গঠন এক রকম নয়। প্রথম অংশ ৯ লাইনের ৫টি স্তবকে বিভক্ত। এগুলোকে স্পেনসারিয়ান স্তবক (Spenserian stanzas) বলে কারন স্পেনসার (Edmund Spencer)
তার দ্যা ফেয়ারী কুইন (The Faerie
Queene) এ এই ধরনের ৯ লাইনের স্তবক ব্যবহার করেছিলেন। এই স্তবকগুলোতে ছন্দ বিন্যাস ‘ABABBCBCC’ এই স্তবক গুলোর ১ম ৮ লাইন এর মাত্রা হল ‘iambic pentameter’ বা পঞ্চমাত্রিক। কিন্তু ৯ম লাইনটি ৬ মাত্রার। এটা ‘alexandrine’ নামে পরিচিত। ২য় অংশটি - যা নাবিকদের সমবেত সঙ্গীত (CHORIC SONG) নামে পরিচিত। এর গঠন এলোমেলো। এর কোন মাত্রাবিন্যাসও নেই।
আলফ্রেড লর্ড টেনিসন তাঁর ‘দ্যা লটোস ইটার’ কবিতায় একদল নাবিকের অন্তহীন সমুদ্রযাত্রা শেষে অজানা এক স্থানে অবতরণ করার কথা বলেছেন। গ্রীক পুরাকাহিনী দ্বারা প্রভাবিত এ কবিতায় আমরা হোমারের ওডিসি মহাকাব্যের একজন নায়ক ইউলিসিসের গৃহে ফেরা প্রত্যক্ষ করি। হোমারের অডিসি মহাকাব্যের নায়ক অডিসিয়াস (ইউলিসিস) ট্রয় যুদ্ধ শেষে তিনি দেশে ফেরার পথে জাহাজসহ নাবিকদের নিয়ে নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হন। আটকা পড়ে থাকেন নানা সময়ে নানা দ্বীপে। নাবিক দল সীমাহীন সমুদ্র পাড়ি দিয়ে তারা যেন ক্লান্ত অবসন্ন। এভাবেই কাটতে থাকে বছরের পর বছর। তার সঙ্গী নাবিকেরা ঘরে ফেরার তরে আকুল। কিন্তু সহজে ফেরা হয় না তাদের। তাদের জাহাজ বার বার আটকে যায় নানা বাধা বিপত্তির মুখে। এ কবিতায় সেই সব হতাশ নাবিকদের মনের আর্তির প্রকাশ ঘটানো হয়েছে। কবি টেনিসন তাঁর এ কবিতায় ইউলিসিসের সঙ্গী নাবিকদের হৃদয়ের মর্মবেদনা এবং শেষে বাড়ি ফেরার চিন্তা চেতনার হাল ছেড়ে দেয়ার অসহায় দিকটির অসাধারণ প্রকাশ ঘটিয়েছেন।
কবিতাটি শুরু হয়েছে ইউলিসিস এর একটি আদেশের মাধ্যমে, যেখানে তিনি তার নাবিকদেরকে সাহস রাখতে বলছিলেন। কারন তারা অনেক দূর থেকে একটি নতুন দ্বীপের দেখা পেয়েছিলেন। অবশেষে সেদিন বিকেলবেলা তারা এই দ্বীপে প্রবেশ করেন। যেখানে চিরকাল যেন বিকেল বেলা বিদ্যমান। যেখানে ঝলমলে বহমান নদী সাগরের সাথে মিশেছে। পাহাড় চুড়া গুলো ছিল তুষারাবৃত। সেখানে মায়াময় নিরীহ দৃষ্টির লটোস খাদকদের (mild-eyed melancholy
Lotos-eaters) সাথে তাদের দেখা। তারা তাদের কাছে লটোস ফুল আর ফল নিয়ে আসে। যারাই এই লটোস ফুল বা ফল খায় তারাই যেনো এক গভীর আচ্ছন্নতায় ভোগে। সবকিছু কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয়। পাশের মানুষের কথাও ভালো ভাবে বুঝা যায় না। মনে হয় যেনো ইথাকায় [তাদের আবাসস্থল] বসে বসে তারা সুন্দর স্বপ্ন দেখছে। তাদেরকে একরাশ ক্লান্তি চেপে ধরে। যেই এই ফল খেয়েছে তার মুখ থেকেই বের হয় একই কথা, ‘আর বাড়ি ফিরবো না।’
নাবিকগণ হাল ছেড়ে দিয়ে নিজ গৃহের আশা ত্যাগ করে নিজেরাই নিজেদের মাঝে সাহস সঞ্চয় করার চেষ্টা করছেন। তারা চায় নিরাপদ আশ্রয়, নিরাপদ তন্দ্রা আর অপার শান্তি। তারা জানে, সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে দ্রুত কিন্তু ফেরার কোনো পথ খোলা নেই। তাই তারা নিজেদের সান্ত্বনা দিচ্ছে এই বলে যে, শুধু অহেতুক বিলাপ করার কোনো অর্থ নেই, তার চেয়ে এই ভালো, এই সীমাহীন সমুদ্র, এই নির্জন দ্বীপ, তারার আকাশ, জলের কুলকুল ধ্বনি, উত্তাল তরঙ্গমালা এসব দেখে দেখেই সময় পার করবে তারা। শেষের স্তবকগুলোতে কবি তাদের বানোয়াট দেবদেবীদের সমালোচনা করেছেন। তারা ইলাইসিয়ামে বসে/শুয়ে মদে চূড় হয়ে আছে কিন্তু মানবজাতীর প্রতি তাদের কোন চিন্তা নেই। তারা নিজেদের মাঝে ঝগড়া ও কলহে ব্যস্ত আর এর সাথে পৃথিবীর মানুষদেরও দূর্ভোগ সৃষ্টি করছে।
তারা ভাবে সময় তো অনেক পার হয়ে গেছে, তাদের স্ত্রী সন্তানদের কাছে তখন ফিরে গেলে তাদেরকে ওরা ভূত বলে সন্দেহ করবে, সন্তান আর পরিবারের শান্তি নষ্টের কারণ হবে তারা। তারা ভাবে যা ভেঙ্গে গেছে সেটা তেমনি থাক, তারা এই সীমাহীন সমুদ্রের এই দ্বীপে লটোস আহার করে প্রকৃতির শোভা নিরীক্ষণ করবে আজীবন। নাবিকরা কামনা করছে এখন একান্ত বিশ্রাম তারা দেখেছে যুদ্ধ, হানাহানি, শুনেছে সমুদ্রের ভয়াল গর্জন, এবার আর তারা সমুদ্রে যেতে চায় না, যত দিন বেঁচে থাকবে তারা এই দ্বীপে থাকতে চায় দৌড়ে বেড়াতে চায় শস্য ক্ষেতের ভেতরে, মিশে যেতে চায় প্রকৃতির সাথে, আর তারা নিজেদের যুক্ত করতে চায় না কঠোর শ্রমে। গৃহ আজ তাদের কাছে অতীত ইতিহাস। কোনোদিন হয়তো সেখানে ফেরা হবে না তাদের। মোট কথা, কবি টেনিসন তাঁর ‘The Lotos Eaters’ কবিতায় ট্রয় যুদ্ধ ফেরত একদল নাবিকের অসহায়ত্বের মাধ্যমে তাদের সান্ত্বনা খোঁজার দিকটি পরম নিষ্ঠার সাথে তুলে ধরেছেন।
পৃথিবীতে মানুষ তার দীর্ঘ সময় কাটায় নানা কর্ম প্রবাহের মাঝে, পাড়ি দেয় জীবনের অনেকটা পথ। জীবনের পথে পথে চলতে গিয়ে সে প্রত্যক্ষ করে কতো না আনন্দের উৎস, কতো না বিস্ময়, কতো না হতাশা, শেষে তার মন ক্লান্ত হয় নিজের মধ্যে ফেরার জন্য কর্মকাণ্ড দিনের শেষে মানব চায় এক দণ্ড শান্তি। একটু নিরুপদ্রবে নিদ্রায় ঢলে পড়তে চায়। কারণ জীবনের পথ পাড়ি দিতে দিতে সে আজ বড়োই ক্লান্ত। মানব জীবনের এই অন্তহীন পথ চলা এবং তার বিশ্রামের যে চিরন্তন আকাঙ্ক্ষা সেই আদি বিষয়টিই প্রকাশ হয়েছে এই কবিতায়!
Tnx a lot dear brother ❤️
ReplyDeleteMyriad of thanks brother.
ReplyDeleteMyriad of thanks brother
ReplyDeleteTake love 🧡🧡🧡
ReplyDeleteThanks
ReplyDeleteThat's great ❤️❤️❤️
ReplyDeleteThanks a lot
ReplyDeleteTake love❤️
ReplyDeleteThank you
ReplyDelete