Pride and Prejudice - Jane Austen - Character analysis - Bengali |
এলিজাবেথ বেনেট - উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। মি: বেনেটের
পাঁচ কন্যার মধ্যে দ্বিতীয়, সবচেয়ে বুদ্ধিমতী ও বিচক্ষণ। সে
সুশিক্ষিত এবং রসিক। তার কথাবার্তায় অনেক সময় বাস্তববুদ্ধির সুস্পষ্ট পরিচয় পাওয়া
যায়। ডার্সির সম্পর্কে যেসব ভুল ধারণা সে পোষণ করত তা ক্রমেই দূরীভূত হয় এবং দুজনে
বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়। উইকহ্যামের সৌম্য চেহারা ও কমনীয়তা এলিজাবেথকে আকৃষ্ট করে।
কিন্তু পরবর্তীতে তার বিভিন্ন কুকীর্তি সম্পর্কে ডার্সির আপ্তবাক্য শুনে সে
উইকহ্যামের প্রকৃত রূপ উপলব্ধি করতে পারে এবং ক্রমেই ডার্সির ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে।
ফিটজউইলিয়াম ডার্সি – একজন ধনী যুবক, পেম্বারলি এস্টেটের মালিক এবং লেডি
ক্যাথেরিন ডি বার্গের বোনপো। বুদ্ধিমান ও সৎ হওয়া সত্ত্বেও প্রচণ্ড অহংবোধের কারণে
সে সামাজিক মর্যাদায় তার অধঃস্তন মানুষের তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখে। উপন্যাসের
কাহিনির ধারায় সে ক্রমেই তার আভিজাত্যবোধ সংবরণ করে এবং এলিজাবেথের দৃঢ় চরিত্রের
কারণে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে।
জেন বেনেট - বেনেট কন্যাদের মধ্যে সবার বড়ো এবং সবচেয়ে
সুন্দরী। এলিজাবেথের তুলনায় যথেষ্ট সংযত ও রক্ষণশীল। যে সহজ মাধুরী নিয়ে জেন ও
বিংলের সম্পর্ক এগিয়ে চলে, তা এলিজাবেথ ও ডার্সির দ্বন্দ্বের
বিপরীতে সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।
চার্লস বিংলে – অত্যন্ত ধনী যুবক, ডার্সির অন্তরঙ্গ বন্ধু। সে বেনেট
পরিবারের আবাসস্থলের বাড়ির নিকটবর্তী নেদারফিল্ড এস্টেট ক্রয় করে, এবং এ ঘটনাই উপন্যাসের কাহিনিকে ভিত্তি প্রদান করে। বিংলে বন্ধুবৎসল, সদা হাস্যোজ্জ্বল এবং তার মনে কখনোই কোনো দুরভিসন্ধি স্থান পায় না। উপন্যাসের
প্রথমভাগে ডার্সি একজন অসৌজন্যপূর্ণ মনোভাবের ব্যক্তি হিসেবে প্রতীয়মান হলেও বিংলে
সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী এক চরিত্র হিসেবে পাঠকের মনে, সার্থকভাবে স্থান করে নেয়।
মি: বেনেট - বেনেট পরিবারের কর্তা, মধ্যম আয়ের একজন ভদ্রলোক এবং পাঁচজন অবিবাহিত কন্যার পিতা। তিনি একজন গম্ভীর
অথচ রসিক ব্যক্তি এবং কঠোর শ্লেষাত্মক হাস্যরসে পটু, যে প্রতিভা তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর স্ত্রীকে রাগিয়ে তুলতে কাজে লাগান। যদিও
তিনি তাঁর মেয়েদের খুবই ভালোবাসেন, (বিশেষ করে
এলিজাবেথকে), তিনি অধিকাংশ সময়েই দায়িত্বশীল অভিভাবক
হিসেবে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হন।
মিসেস বেনেট – মি: বেনেটের পত্নী; একজন নির্বোধ, বাচাল মহিলা। উপন্যাসের অন্যতম হাস্যকর চরিত্র। মেয়েদের বিয়ে দেয়াই তার
একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। তার কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং অনেক ক্ষেত্রে অনুচিত ব্যবহারের কারণে যেসব
ব্যক্তিকে তিনি মেয়েদের পাত্র হিসেবে পছন্দ করেন, তাদেরকে হাতছাড়া করেন এবং পরে হাহাকার করেন।
উইকহ্যাম - সুদর্শন, ভাগ্যান্বেষণে
মত্ত সেনাবাহিনীর তরুণ কর্মকর্তা। লিডিয়া বেনেটকে নিয়ে পালিয়ে যায়। অনেক নাটকীয়
ঘটনার পর উইকহ্যাম ও লিডিয়ার বিয়ে হয়।
লিডিয়া বেনেট - বেনেট কন্যাদের মধ্যে কনিষ্ঠ। গালগল্প করতে
পছন্দ করে, অপ্রাপ্তবয়স্ক, বোকা ও আত্মকেন্দ্রিক।
এলিজাবেথের সম্পূর্ণ বিপরীত চরিত্রের অধিকারিণী। নাটকের লিডিয়া স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে
পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত উইকহ্যামের সাথে পালিয়ে যায়।
মি: কলিন্স - বাক্যবাগীশ ও হাস্যকর রকমের নির্বোধ একজন
ধর্মযাজক,
মি: বেনেটের যাবতীয় সম্পত্তির একমাত্র উত্তরাধিকারী। তার
সামাজিক মর্যাদা মোটেও উল্লেখযোগ্য নয়। কিন্তু লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গ তাঁর
পৃষ্ঠপোষক—একথা সবাইকে বলে বেড়াতে তিনি খুবই পছন্দ
করেন। এছাড়া তিনি অভিজাত ব্যক্তিদের যাচ্ছেতাই প্রশংসা ও চাটুকারিতা করেন।
ক্যারোলিন – চার্লস বিংলের বোন, আপন, সামাজিক মর্যাদা সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন। সে এলিজাবেথের মধ্যবিত্ত জীবনযাপন
সম্পর্কে অতিরিক্ত অবজ্ঞা পোষণ করে। ডার্সির মনোযোগ আকর্ষণের জন্য তার ব্যর্থ
চেষ্টা মূলত ডার্সিকে এলিজাবেথের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট করে তোলে।
লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গ - একজন ধনী, কর্তৃত্বপ্রিয় অভিজাত মহিলা; মি: কলিন্সের
রক্ষাকর্তা এবং সম্পর্কে ডার্সির চাচী। শ্রেণি বৈষম্যের প্রতিমূর্তি লেডি ক্যাথেরিন বারবার মধ্যবিত্ত পরিবারের কন্যা
এলিজাবেথকে তাঁর সৎ বংশজাত বোনপো ডার্সির থেকে দূরে থাকার জন্য আদেশ করেন।
মি: ও মিসেস গার্ডিনার - মিসেস বেনেটের ভাই ও তাঁর স্ত্রী।
মি: ও মিসেস বেনেটের তুলনায় এই দম্পতিই বেনেট কন্যাদের অধিক যত্নশীল, স্নেহশীল ও দায়িত্ববোধসম্পন্ন অভিভাবক হিসেবে প্রতিপন্ন হয়।
শার্লট লুকাস - এলিজাবেথের অন্তরঙ্গ বন্ধু। শার্লট কখনোই
বিয়ের ক্ষেত্রে প্রেম-ভালোবাসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে না। মি:
কলিন্সের তরফ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পাওয়ামাত্রই তা সে গ্রহণ করে।
জর্জিয়ানা ডার্সি – ডার্সির বোন, অত্যন্ত রূপসী এবং লাজুক
পিয়ানোবাদনে পারদর্শী।
মেরি বেনেট - বেনেট বোনদের মধ্যে তৃতীয়; বইপ্রেমী এবং আচারসর্বস্ব। এই উপন্যাসের সবচেয়ে একঘেয়ে চরিত্র।
ক্যাথেরিন বেনেট - বেনেট বোনদের মধ্যে চতুর্থ। লিডিয়ার মতোই
সেনাসদস্যদের প্রতি বিমোহিত। কিটি নামেই বেশি পরিচিত।
মিসেস হার্স্ট – সে তার বোন ক্যারোলিনের মতোই অহংকারী। ডার্সি যখন তার ভাইকে জেনের থেকে দূরে
সরিয়ে দিতে চেয়েছে তখন সে ডার্সিকে সমর্থন করেছে। সুযোগ পেলেই সে এলিজাবেথের
ছিদ্রান্বেষণ করেছে।
মি: হার্স্ট – এই উপন্যাসে তার ভূমিকা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। তাঁকে পানভোজন এবং কার্ড খেলা
ছাড়া আর কিছু করতে দেখা যায়নি।
স্যার উইলিয়াম লুকাস ও লেডি লুকাস – স্যার উইলিয়াম ব্যবসা করে। কিছু অর্থের মালিক হয়েছিলেন এবং নাইট উপাধি পেয়েছিলেন।
তিনি কিছুটা দুর্বলচেতা মানুষ এবং ধনীদের ঐশ্বর্য দেখলে অভিভূত হতেন। লেডি লুকাসকে
মিসেস বেনেটের তুলনায় খুব একটা বুদ্ধিমতি বলা চলে না। শার্লট কলিন্সকে বিয়ে করার
পর তিনি মনে করেন তিনি মিসেস বেনেটকে হারিয়ে দিয়েছেন।
মিসেস ফিলিপস - তিনি মিসেস বেনেটের ছোটো বোন! মেরিটনে স্বামীর
সাথে বসবাস করতেন। মিঃ বেনেটের মেয়েরা সময় সুযোগ পেলেই তার বাসায় বেড়াতে যেত।
কনেলি ফিটজউইলিয়াম – তিনি এক লর্ডের কনিষ্ঠ সন্তান এবং ডার্সির জ্ঞাতিভাই। মানুষ হিসাবে ভদ্র ও
গ্রহণযোগ্য তবে নিজ সামাজিক মর্যাদা সম্বন্ধে সচেতন। এলিজাবেথের সাথে তার একটা
বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
কনেলি ফস্টার – এই উপন্যাসে এই সেনা কর্মকর্তার কোনো সংলাপ নেই। লিডিয়া তার স্ত্রীর বান্ধবী।
ব্রাইটনে তার বাসা থেকেই লিডিয়া উইকহ্যামের সাথে পালিয়ে যায়। অবশ্য এর পর তিনি
বেনেট পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন।
মিসেস রেনল্ডস - ডার্সি পরিবারের মালিকানাধীন পেম্বারলী
হাউসের হাউসকীপার।
No comments:
Post a Comment