Man and Women's Relationship in Pride and Prejudice - Jane Austen - Bengali Discussion |
প্রাইড অ্যান্ড
প্রিজুডিস উপন্যাসে লেখক নারী- পুরুষের সম্পর্কের ভারসাম্যহীনতার ফলে নারীদের
পছন্দ ও বিবাহ সংক্রান্ত মতামতের ক্ষেত্রে যে সকল সমস্যা ও প্রভাব সৃষ্টি হয়, সে বিষয়টিকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন। জেন অস্টেন এমন একটি জগৎ চিত্রিত করেছেন, সেখানে ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়টি একটি পরিবারের সামাজিক অবস্থা ও
পারিপার্শ্বিকতার উপর নির্ভরশীল। এরকম জগতে নারী হিসেবে জন্মগ্রহণ করার অর্থ—পছন্দের পাত্র নির্বাচনের সুযোগের সীমাবদ্ধতা অথবা জীবনকে নিজের মতো সাজিয়ে
নেয়ার সুযোগ না থাকা। এই সকল বিষয় আমাদের সাহায্য করে মিসেস বেনেটের নিজ কন্যাদের
পাত্রস্থ করতে অতি উৎসাহী হওয়ার কারণ বুঝতে, আর কেন সেই সব
বিয়েতে সবসময়ই ব্যবহারিক ও অর্থনৈতিক চিন্তাভাবনা জড়িত থাকে তা ব্যাখ্যা করতে।
মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে বেনেট বোনদের কাজ করে উপার্জন করাটা সমীচীন
নয়। এদিকে মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণে তারা উত্তরাধিকার সূত্রে কিছুই পাবে না। ফলে
দেখা যায়,
বিবাহই তাদের সম্পদ ও সামাজিক মর্যাদা অর্জনের জন্য একমাত্র
পন্থা। তবে, শার্লটের মতো যারা বিয়েকে সামাজিক
নিরাপত্তার মাধ্যম হিসেবে চিন্তা করে, অস্টেন তাদের
সমালোচনা করেছেন। তার দৃষ্টিতে আদর্শ চরিত্র হিসেবে উপস্থাপিত হয়েছে এলিজাবেথ, যে নিজের স্বাধীনতাকে অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্যের কাছে বিক্রি না করে বরং নিজের
আত্মসম্মান রক্ষা করেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এখানে, উপন্যাসের প্রধান কয়েকটি জুটির সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করা হলো।
জেন ও বিংলে:
এই উপন্যাসের
মূল দুই চরিত্র এলিজাবেথ ও ডার্সি, অপর দুটি
চরিত্র—জেন বেনেট ও চার্লস বিংলে প্রায় সমান
গুরুত্ব নিয়ে এই উপন্যাসে প্রতীয়মান। জেন বেনেট, বেনেট বোনদের মধ্যে সবার বড়ো। উপন্যাসের প্রথম খণ্ডে তার ভমিকা বেশ
গুরুত্বপূর্ণ। জেন তার বোনদের তুলনায় অত্যন্ত সুন্দরী, এমনকি নেদারফিল্ড পার্কে সমবেত হওয়া সকল মেয়েদের মধ্যে সে ছিল সবচেয়ে সুন্দরী
ও আকর্ষণীয়। অপরদিকে চার্লস বিংলে একজন ধনাঢ্য যুবক এবং ডার্সির ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
বিংলে অত্যন্ত সদাশয় এবং বন্ধুবৎসল। সে সকল যুবতী মেয়ে ও তাদের অভিভাবকদের নিকট
আকর্ষণীয় এক ব্যক্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। এদের মধ্যে জেনই বিংলের নজর কাড়ে। সে
জেনের রূপ ও নম্র ব্যবহারে মুগ্ধ হয়। সে তাকে পছন্দ করতে শুরু করে। এভাবে এক সময়
জেনও বিংলেকে পসন্দ করতে শুরু করে। তাদের বিবাহের পথটা এতোটা মসৃণ ভাবে এগোয়নি।
ডার্সির উন্নাসিকতা ও ক্যারোলিন বিংলের অসহযোগিতার মনোভাব জেন ও বিংলেকে
সাময়িকভাবে পরস্পরের থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
জেন-বিংলের যোগাযোগ
হওয়ার এক পর্যায়ে বিংলে হঠাৎ করেই নেদারফিল্ড পার্ক ত্যাগ করে। তবে শেষ পর্যন্ত
বিংলে ফিরে আসে এবং ঘোষণা করে যে সে সত্যিই জেনকে পসন্দ করে। অবশেষে শুভ পরিণয়ে
ঘটনার শেষ হয়।
এলিজাবেথ ও
ডার্সি
জেন অস্টেন
তাঁর উপন্যাসের দুই প্রধান চরিত্র—এলিজাবেথ বেনেট ও ফিটজউইলিয়াম ডার্সির সম্পর্কটি অত্যন্ত যত্নের সাথে গড়ে
তুলেছেন। যদিও উপন্যাসের প্রথমভাগে তাদের মধ্যে শীতল সম্পর্ক দেখা যায়, কাহিনীর স্রোতের সাথে তাল রেখে তারা ধীরে ধীরে একে অপরকে চিনতে থাকে। শেষ
পর্যন্ত তারা যার যার ভ্রান্ত মানসিকতা ও অহংকার পরিত্যাগ করে মিলিত হয়। মূলত
তাদের দুজনের এই দ্বন্দ্বমুখর প্রেমই এই উপন্যাসের মূল উপজীব্য। এলিজাবেথ বেনেট
পরিবারের দ্বিতীয় কন্যা। বড়ো বোন জেনের মতো না হলেও সে মোটামুটি সুন্দরী; বাকি বোনদের তুলনায় যথেষ্ট বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ । সে তার পছন্দ সম্পর্কে সচেতন
ও আস্থাশীল। অপরদিকে, ডার্সি একজন অহংকারী ধনী যুবক, যে তার সামাজিক মর্যাদা নিয়ে উন্নাসিক মনোভাব পোষণ করে। মফস্বলের মধ্যবিত্ত ও
নিম্নবিত্তদের অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখতেই সে অভ্যস্ত। নেদারফিল্ড পার্কে প্রথম
পরিচয়েই সে এলিজাবেথের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে। এই ঘটনা ডার্সির সম্পর্কে
এলিজাবেথের মনে নেতিবাচক ধারণার জন্ম দেয়। উপন্যাসের মধ্যভাগে তার সাথে সুদর্শন
মিলিটারি অফিসার উইকহ্যামের পরিচয় হয়। তার সপ্রতিভ ব্যবহারে এলিজাবেথ তার প্রতি
আকর্ষণ বোধ করে। উইকহ্যাম তাকে বলে যে অতীতে একসময় ডার্সি তার সাথে অসঙ্গত আচরণ
করেছিল (বানোয়াট কথা) যার কারণে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। এতে ডার্সির সম্পর্কে
তার ক্ষোভ তীব্রতর হয়। যাবতীয় ঘটনা শুনে ও দেখে সে ধরে নেয় তার ধারণা সঠিক এবং
মানবচরিত্র সম্পর্কে তার বিচারবুদ্ধিই যথার্থ। তার এই ধারণা আরও পোক্ত হয়, যখন বিংলে কাউকে কিছু না জানিয়েই হঠাৎ নেদারফিল্ড পার্ক ত্যাগ করে এবং পরে মিস
বিংলে তার চিঠিতে এ ব্যাপারে ডার্সির নাম উল্লেখ করে। পরবর্তীতে ডার্সি এলিজাবেথের
প্রতি আপন অনুরাগের কথা প্রকাশ করে, যা এলিজাবেথকে
বিস্মিত করে। কিন্তু তখনো ডার্সি তাদের মধ্যে সামাজিক মর্যাদার দূরত্বকে
পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে। তার এই আত্মম্ভরিতায় অপমানিত বোধ করায় এলিজাবেথ তাকে
প্রত্যাখ্যান করে। সে সরাসরি জানিয়ে দেয় দুটি কারণে তার পক্ষে ডার্সিকে পছন্দ করা
সম্ভব নয়—এক, জেন ও বিংলের
বিচ্ছেদে তার ভূমিকা ও দুই, উইকহ্যামের প্রতি তার রূঢ় আচরণ
ডার্সি এলিজাবেথের ব্যবহারের তিক্ততা সম্পর্কে অভিযোগ তুললে সে জানায় যে ডার্সির
প্রস্তাবের মধ্যে, যে ঔদ্ধত্য সে অনুভব করেছে, তা তাকে ডার্সির সাথে এর চেয়ে ভদ্রভাবে ব্যবহার করার কোনো অবকাশ রাখেনি।
ডার্সি ক্ষুব্ধ হয়ে চলে যায়। পরদিন সকালে এলিজাবেথ ডার্সির কাছ থেকে একটি চিঠি পায়, যেখানে লেখা ছিল জেন ও বিংলের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির প্রকৃত কারণ এবং ডার্সির
বোন জর্জিয়ানার সাথে উইকহ্যামের অসভ্যতার কথা। অনেক চিন্তা করে, এলিজাবেথের মনে পড়ে যে, উইকহ্যামের বর্ণনার মধ্যে প্রচুর
অসঙ্গতি ছিল এবং সে নিজেকে যতটা মহান বলে জাহির করে, সে মোটেও তা নয়। সে নিজের ভুল ধারণাগুলো উপলব্ধি করে এবং বুঝতে পারে যে তার
বিচারে গলদ ছিল। ডার্সির সম্পর্কে তার ধারণা পাল্টাতে শুরু করে। একইভাবে, এলিজাবেথের তিরস্কারের দরুন ডার্সিও নিজের কৃতকর্ম এবং বিভিন্ন মানুষের সাথে
তার ব্যবহার পুনর্মূল্যায়ন করতে শুরু করে। ইতোমধ্যে এলিজাবেথ ডার্সির খালা লেডি
ক্যাথেরিন ডি বার্গের সাথে পরিচিত হয়, যিনি একজন ধনী, অহংকারী মহিলা। লংবার্নে ফিরে সে জানতে পারে, লিডিয়া উইকহ্যামের সাথে প্রেম করতে শুরু করেছে। সে বাধ সাধতে গেলেও মিঃ বেনেট
কোনো পদক্ষেপ নেন না। শীঘ্রই সে গার্ডিনার দম্পতির সাথে লন্ডনে বেড়াতে যায় এবং
ডার্সির সুবিশাল পেম্বারলি এস্টেটে গমন করে। সে নিজেকে সেখানকার কত্রী হিসেবে
স্বপ্ন দেখতে শুরু করে, এর মধ্যে ডার্সি হঠাৎ উপস্থিত হয়
এবং তার বোন জর্জিয়ানার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। কিন্তু এর মাঝে জেন চিঠি দেয়, যার মাধ্যমে এলিজাবেথ জানতে পারে যে লিডিয়া উইকহ্যামের সাথে পালিয়েছে। মি:
গার্ডিনার পলাতক জুটিকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন খোঁজ মিললে উইকহ্যাম মোটা অংকের
অর্থ দাবি করে বসে। পরে তারা বিবাহিত অবস্থায় ফিরলে বেনেটরা ভাবেন যে মি:
গার্ডিনার যৌতুক দিয়ে দিয়েছেন। অন্যদিকে লেডি ক্যাথেরিন লংবার্নে এসে এলিজাবেথ যেন
কখনোই ডার্সিকে বিয়ে করার কথা না ভাবে সে ব্যাপারে শাসিয়ে যান, কিন্তু এলিজাবেথ তাকে কথা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। আবার ডার্সির চিঠিতে এলিজাবেথ
জানতে পারে, তার মামা মিঃ গার্ডিনার নন, তার প্রতি ভালোবাসার স্বাক্ষর হিসেবে ডার্সিই উইকহ্যামের দাবি মিটিয়েছে। লন্ডন
থেকে ফিরে এসে ডার্সি নিজের অহংকারের জন্য ক্ষমা চায়, এলিজাবেথও নিজের ভ্রান্ত ধারণার কথা স্বীকার করে। ডার্সি আবারও এলিজাবেথকে
বিয়ের প্রস্তাব দেয় এলিজাবেথ তাতে সম্মতি
প্রদান করে। অবশেষে তাদের দ্বন্দ্বমুখর অবস্থা বিবাহে রূপ লাভ করে।
মি: ও মিসেস
বেনেট
এই দম্পতি
বর্তমান উপন্যাসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। মিঃ বেনেট মধ্যবিত্ত মানুষ, মিসেস বেনেট তার সহধর্মিণী। তারা পাঁচটি অবিবাহিত কন্যার পিতামাতা। তাঁদের
সম্পর্ক আপাতদৃষ্টিতে আকর্ষণীয় ও রঙ্গে পূর্ণ। তাদের কথােপকথন জেন অস্টেন খুব
বাস্তবসম্মতভাবে বর্ণনা করেছেন। মি: বেনেট একজন আত্মকেন্দ্রিক, আমুদে অথচ জটিল ব্যক্তি। ব্যঙ্গ ও রসিকতার আধার। মিসেস বেনেট একজন বাক্যবাগীশ এবং
নির্বোধ মহিলা, যিনি তাঁর স্বামীর বক্রোক্তি উপলব্ধি
করতে অক্ষম এবং তিনি তাঁর মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনতে থাকেন।
প্রকৃতপক্ষে তাদের এই সম্পর্ক ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও
ভাবাবেগের চেয়েও সহনশীলতার উপর ভিত্তি করে টিকে রয়েছে। মিসেস বেনেট যেখানে তার
মেয়েদের বিয়ের কথা ভাবতে থাকেন, সেখানে মি: বেনেট
তাঁকে সক্রিয় সহযোগিতা করার চেয়েও তাঁকে খোঁচা দিয়েই আনন্দ পান। কিন্তু শেষ
পর্যন্ত উভয়েই পাঁচ কন্যার অভিভাবক হিসেবে ব্যর্থ প্রতিপন্ন হন। শেষ পর্যন্ত তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক অটুট থাকে এবং তাদের সম্পর্কটি উপন্যাসের পাঠকদের
নির্মল বিনোদন উপহার দেয়।
লিডিয়া ও
উইকহ্যাম
লিডিয়া বেনেট
তার বোনদের মধ্যে কনিষ্ঠা। উইকহ্যাম একজন সুদর্শন মিলিটারি অফিসার, যার চরিত্রদোষ বিদ্যমান এবং সে প্রচণ্ড অর্থলোভী। একবার সে ডার্সির বোন
জর্জিয়ানাকে ব্যবহার করে টাকা কামাতে চেয়েছিল; আবার যখন
এলিজাবেথ তার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিল সে সময় সে মিস কিং নামে এক মহিলাকে বিয়ে করার
মতলব এটেছিল। এক্ষেত্রেও মূল কারণ ছিল সম্পত্তির লোভ। পরবর্তীতে সে লিডিয়াকে সাথে
নিয়ে পালায়, যদিও তার লিডিয়াকে বিয়ে করার কোনো
ইচ্ছাই ছিল না। ডার্সির মধ্যস্থতার ফলেই সে লিডিয়াকে বিয়ে করে। উইকহ্যামকে বিয়ে না
করলে এই ঘটনা যে লিডিয়ার জীবন ও সম্মানের উপর কী ভয়াবহ আঘাত হানতে পারত, সেই ভয়াবহতা উপলদ্ধি করার মতো জ্ঞানবুদ্ধি লিডিয়ার ছিল না। জনৈক সমালোচকের মতে
তারা এমন একটি জুটি, যাদের মিলন হয়েছিল পবিত্রতার চেয়ে
তাদের শারীরিক চাহিদা বেশি তীব্র হওয়ার কারণে।
শার্লট ও কলিন্স
শার্লট লুকাসের
বয়স প্রায় সাতাশ, চলনসই সুন্দরী। বিবাহ সম্পর্কে সে
তেমন উচ্চাকাঙ্ক্ষী নয়। এলিজাবেথকে সে একবার বলে, “সুখী দম্পত্য জীবন পরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার।” বিবাহ সম্পর্কে সুখ- স্বাচ্ছন্দ্যের আশা তার কম, বৈষয়িক স্বাচ্ছন্দ্যই তার কাছে মুখ্য ছিল। তাই সে এমন এক ব্যক্তিকে বিয়ে
করেছিল,
যে কিনা তার তুলনায় বুদ্ধিবৃত্তিতে ও মননে নিকৃষ্ট। কলিন্স
পেশায় একজন ধর্মযাজক। তিনি বিয়ে করতে চান কারণ সমাজের চোখে এটাই তার বিয়ে করার
উপযুক্ত সময়। লেডি ক্যাথেরিন ডি বার্গ তাকে বিয়ে করতে নির্দেশ দিয়েছেন, এবং তিনি খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে তার দৃষ্টি জেন থেকে এলিজাবেথ, এবং এলিজাবেথ থেকে শার্লটের দিকে নিবদ্ধ করেন। তার অনুভূতি একেবারেই মনগড়া।
এলিজাবেথ তার উপর সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছিল এই কারণে যে সে জানত শার্লট কোনোদিন
এ ধরনের একজন ব্যক্তির সাথে সুখে সংসার করতে পারবে না।
উপযুক্ত
সম্পর্কগুলো ছাড়াও আমরা “প্রাইড অ্যান্ড
প্রিজুডিস উপন্যাসে আরও তিনজোড়া দম্পতির
উল্লেখ পাই। এরা হলেন লুকাস দম্পতি, গার্ডিনার
দম্পতি এবং ফিলিপ্স দম্পতি। এদের দাম্পত্য জীবন গতানুগতিক; তাদের সংসারের টানাপড়েনের কথা জেন অস্টেন লিখেননি। গার্ডিনার দম্পতিকে
তুলনামূলক সুখী দম্পতি বলে প্রতীয়মান হয়। মিসেস গার্ডিনার তার স্বামীর মতোই সর্বদা
বেনেট পরিবারের পাশে থেকেছেন। স্বামী-স্ত্রী সুযোগ পেলে দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়েছেন।
তখন কিন্তু আত্মীয়দের কথা তারা ভুলে যাননি। তাই গার্ডিনার দম্পতির কাছে আধুনিক
যুগের দম্পতিদের কিছু শিক্ষণীয় আছে।
No comments:
Post a Comment