Life and Literature of Matthew Arnold in Bangla |
Life and Literature of Matthew Arnold (Bangla)
Matthew Arnold ১৮২২ সালের ২৪শে ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের মিডলসেক্সের একটি শিক্ষিত ও অত্যন্ত ধর্মপরায়ণ পরিবারে জন্মগ্রহন করেন। তাঁর পিতা থমাস আর্নল্ড ছিলেন রাগবী স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক। ভাই টম আর্নল্ড ছিলেন সাহিত্যের একজন প্রভাষক। অপর ভাই উইলিয়াম আর্নল্ড ছিলেন একজন ঔপন্যাসিক ও প্রশাসক। সামাজিক বিভিন্ন অসঙ্গতিতে তিনি সমালোচনা ও এই ব্যপারে নির্দেশনা দিতেন। ভিক্টোরিয়ান
যুগের
সামাজিক
সংকট
যাঁরা
উপলব্ধি
করেন
ম্যাথিউ
আর্নল্ড
তাঁদের
মধ্যে
সর্বপ্রধান।
এ
যুগের
ক্রমবর্ধমান
যান্ত্রিকতা
ও
বাণিজ্যিক
মনোভঙ্গির
বিরুদ্ধে
তিনি
কলম
ধরেন।
বিজ্ঞান-প্রযুক্তির
বলগাহীন
সমৃদ্ধির
পাশাপাশি
বিশ্বাস
ও
মূল্যবোধের
সর্বগ্রাসী
অবক্ষয়
আর্নল্ডের
কবিতায়
নিঃসীম
বেদনার
ছায়াপাত
ঘটিয়েছে।
এ
যুগের
মানুষের
মন-মানসিকতা
তৈরি
হয়েছিল
সম্পদ
ও
ভোগ-বিলাসকে
কেন্দ্র
করে।
নৈতিকতাকে
নির্বাসনে
পাঠিয়ে
দেয়া
হলো।
আর্নল্ড
এই
স্পিরিচুয়াল
ক্রাইসিসকে
মেনে
নিতে
পারেননি।
তাঁর
বাবা
ইংল্যান্ডের
শিক্ষার
ইতিহাসে
বেশ
পরিচিত
নাম।
আট
ভাই-বোনের
মধ্যে
আর্নল্ড
সবার
বড়।
ছোট
বেলায়
আর্নল্ড
লেখাপড়া
করেন
উইনচেস্টার
স্কুলে।
তারপর
তার
বাবার
স্কুল
রাগবীতে
ভর্তি
হন।
এরপর
ব্যালিয়ল
কলেজে
এবং
শেষে
অক্সফোর্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ে।
আর্নল্ড
যখন
অক্সফোর্ডের
ছাত্র
সে
সময়
তাঁর
বাবা
মারা
যান।
বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে
বের
হয়ে
আর্নল্ড
প্রথমে
তার
বাবার
স্কুলে
শিক্ষকতা
শুরু
করেন।
কিন্তু
শিক্ষকতার
কাজ
তার
কাছে
ভাল
না
লাগায়
তা
ছেড়ে
দিয়ে
তিনি
ইংল্যান্ডের
শিক্ষা
অধিদপ্তরের
কর্তাব্যক্তি
লর্ড
ল্যান্সডাউনের
পি.এস.
নিযুক্ত
হলেন।
লর্ড
ল্যান্সডাউনের
পি.এস.
থাকাকালীন
সময়ে
ফ্যানী
লুসীকে
বিয়ের
প্রস্তাব
দিলেন।
লুসীর
বাবা
হাইকোর্টের
জজ।
এই
জজ
সাহেব
বিয়ে
দিতে
নারাজ
নন।
তবে
শর্ত
আছে;
আর্নল্ডকে
আরও
ভাল
চাকুরি
পেতে
হবে।
আর্নল্ড
ভাল
চাকুরির
সন্ধান
করলেন
কিন্তু
কাজ
হলো
না।
অবশেষে
ধরলেন
লর্ড
ল্যান্সডাউনকে।
ডাউন
তাঁকে
প্রাথমিক
বিদ্যালয়ের
ইনসপেক্টরের
চাকুরির
ব্যবস্থা
করে
দিলেন।
বেতন
যাই
হোক
চাকুরিটা
সুনামের।
আর
এ
সুনামটুকুর
জন্যে
ইংল্যান্ডের
এত
বড়
প্রতিভাকে
সারাদিন
ঘুরে
বেড়াতে
হতো
স্কুলে
স্কুলে।
এমনকি
ইংল্যান্ডের
শিক্ষামন্ত্রী
যখন
আর্নল্ডের
কাছে
শিক্ষা
বিষয়ে
পরামর্শ
চাইতেন
তখনও
আর্নল্ড
একজন
সামান্য
বেতনভুক্ত
স্কুল
ইনস্পেক্টর।
এ
বিরাট
ত্যাগ
তিনি
সানন্দে
স্বীকার
করে
নিয়েছেন
শুধু
ভালোবাসার
জন্যে।
লুসীকে
আপন
করে
পাওয়ার
জন্যে
আর্নল্ডকে
ইনস্পেক্টর
হতে
হলো।
মস্ত
বড়
মূল্য
দিতে
হলো
তাকে।
তবে
এ
মূল্যের
প্রতিদানও
তিনি
পেয়েছিলেন।
বিবাহিত
জীবনে
আর্নল্ড-লুসী
জুটি
অত্যন্ত
সুখী
দম্পতি।
দু’জনার
প্রেমে-পুণ্যে
সংসার
ছিল যেন একটা জান্নাত।
আর্নল্ড
তাকে
অত্যন্ত
দরদ
দিয়ে
ফু
বলে
ডাকতেন।
আর্নল্ড-লুসীর
বিবাহিত
জীবনের
প্রতিটি
দিনই
ছিল
মধুচন্দ্রিমার-অনুরাগে সিক্ত।
জগৎ
সংসারে
খুব
বড়
মাপের
মানুষদের
অধিকাংশেরই
কোন
যোগ্য
উত্তরাধিকারী
নেই।
আর্নল্ডের
বেলায়ও
তার
ব্যতিক্রম
ঘটেনি।
আর্নল্ড-লুসীর
সংসারে
চারটি
ছেলে
ও
দুটি
মেয়ে
জন্ম
নিল।
এই
চারটি
ছেলের
মধ্যে
অল্প
কিছুদিনের
ব্যবধানে
তিনটি
ছেলেই
মা
বাবার
আদর
স্নেহের
মায়া
ছিন্ন
করে
স্বর্গপানে
পাড়ি
জমাল।
তাতে
আর্নল্ড
ভেঙ্গে
পড়লেন
না।
স্রষ্টার
প্রতি
তাঁর
ছিল
সুগভীর
ভক্তি
বিশ্বাস।
অটল
আস্থায়
এই
ঘোর
বিপদের
কালেও
তিনি
নিজের
মাঝে
শক্তি
ধারণ
করলেন।
কবি
ম্যাথু
আর্নল্ডের
মৃত্য
বড়
আকস্মিক,
বড়
করুণ।
তার
বড়
মেয়ের
বিয়ে
হয়েছিল
আমেরিকায়।
মেয়ে
আর
নাতনী
বাড়ি
আসছে।
লিভারপুলে
জাহাজ
ভিড়বে।
আর্নল্ড
যাবেন
লিভারপুলে।
তাড়াতাড়ি
যাওয়ার
জন্যে
একটা
বেড়া
ডিঙিয়ে
লাফ
দিলেন।
বুড়ো
মানুষটি
দেহের
ভারসাম্য
রক্ষা
করতে
পারেননি।
মুখ
থুবড়ে
পড়ে
গেলেন
সেখানেই।
এই
পড়াই
শেষ
পড়া।
আর
উঠতে
পারেননি।
পৃথিবী
ছেড়ে
চলে
গেল
আর
একটি
বিরাট
প্রতিভা।
Matthew
Arnold এর
রচনাবলী
১.
দি
স্ট্রেইড
রেভেলার
এন্ড
আদার
পোয়েমস
—---
১৮৪৯
সাল
২.
এমপিডোক্লিস
অন
এটনা
এন্ড
আদার
পোয়েমস
১৮৫২
সাল
৩.
পোয়েমস
অব
ম্যাথু
আর্নল্ড
——১৮৫৫
সাল
৪.
ম্যারোপ,
অ্যা
ট্র্যাজেডি---------
১৮৫৮
সাল
৫.
নিউ
পোয়েমস্
—------——-
১৮৬৭
সাল
সর্বসাকুল্যে
আর্নল্ডের
কবিতার
বই
হচ্ছে
৪টি।
তাও
আবার
খুব
বড়সড়
কিছু
নয়।
ম্যারোপ,
অ্যা
ট্র্যাজেডি
এটি
কবিতার
বই
নয়।
এতবড়
একজন
কবির
হাত
দিয়ে।
তো
আরও
বেশি
কবিতা
বের
হওয়ার
কথা।
কিন্তু
হলো
না
কেন?
অনেক
সমালোচক
মনে
করেন
যে,
জড়বাদী
ভিক্টোরিয়ান
যুগ
আর্নল্ডের
চিন্তাদর্শের
অনুকূলে
ছিল
না।
এজন্যে
আর্নল্ড
এ
জড়তার
নীরস
ভুমিতে
বেশি
ফসল
ফলাতে
পারেননি।
আবার
কেউ
কেউ
মনে
করেন
যুগ
স্রোতের
বিপরীতে
নৌকা
বাইতে
গিয়ে
তিনি
অতটা
পাঠক
প্রিয়তা
অর্জন
করতে
পারেননি।
পাঠকদের
কাছ
থেকে
আশানুরূপ
সাড়া
না
পাওয়ার
কারণেই
হয়তো
তাঁর
কাব্য-কল্পনার
ধারাটি
অপেক্ষাকৃত
ধীর
গতিতে
অগ্রসর
হয়েছে।
ফলে
তার
কাব্য
কাননে
যা
ফল
তিনি
ফোটাতে
পেরেছেন
তা
সংখ্যার
দিক
থেকে
খুবই
কম।
ছোট্ট
একটি
পরিসংখ্যান
দিলে
বিষয়টি
আরও
পরিষ্কার
হবে।
শেষ
কাব্যগ্রন্থটি
প্রকাশের
পর
আর্নল্ড
আরও
একুশ
বছর
জীবিত
ছিলেন
এবং
সুস্থ
ভাবেই
জীবিত
ছিলেন।
এই
একুশ
বছরে
তিনি
মাত্র
সাতটি
কবিতা
লিখেছেন।
মৃত্যু
সম্পর্কে
আর্নল্ডের
বেশ
কয়েকটি
কবিতা
রয়েছে।
যুগের
জরা-মৃত্যু-ব্যাধি-নেতিবাচকতা,
মূল্যবোধের
অবক্ষয়
তাঁকে
বেদনার্ত
করেছে
বার
বার।
তাই
মৃত্যু
নিয়ে
তিনি
বেশ
কয়েকটি
কবিতা
লিখলেন
৩
বার
বাবার
মৃত্যুতে
লিখলেন,
রাগবি
চ্যাপেল,
ছোট
ভাই-এর
মৃত্যুতে
লিখলেন
কানাক
এবং
সাদান,
নাইট।
হাইনের
মৃত্যুতে
লিখলেন
হাইনেজ
গ্রেইভ,
শার্লট
ব্রন্টির
মৃত্যুতে
লিখলেন
হাওয়ার্থস
চার্চ-
ইয়ার্ড,
ক্লাফ
সম্বন্ধে
লিখলেন
থার্সিস,
গ্যোটে,
ওয়ার্ডসওয়ার্থ
এবং
বায়রনের
মৃত্যুকে
নিয়ে
লিখলেন
মেমোরিয়াল
ভার্সের্স
আর
যুগের
মৃত্যু
নিয়ে
লিখলেন
ওবাররম্যান, স্কলার জিপসি
সাটারিউস
এবং
ডোভার
বীচ।
ডোভার
সমুদ্র
সৈকতে
দাঁড়িয়ে
আর্নল্ড
মন
ভরে,
চোখ
ভরে
সমুদ্রের
সুউচ্চ
তরঙ্গমালার
সৌন্দর্য
উপভোগ
করতে
পারেননি।
বরং
তার
কাছে
মনে
হয়েছে
সমুদ্র
আজ
গতিহীন
মত।
সেখানে
সৌন্দর্য
নেই,
আনন্দ
নেই।
আছে
অন্ধকারের
রাজত্ব
আর
মানুষ
এ
মানব
সমুদ্র
তীরে
অন্ধকারে
উদ্দেশ্যহীন
হান-কাড়া-মারাতে
লিপ্তঃ
And
we are here as on a darkling plain
Swept
with confused alarms of struggle and fight.
Where
ignorant armies clash by night.
ডোভার
সমুদ্র
তীরে
দাঁড়িয়ে
কবি
আক্ষেপ
করে
বলেছেন
একদা
The
Sea of Faith ছিল
পরিপূর্ণ।
But now only hear
Its
melancholy, long, withdrawing roar.
আর্নল্ডের
একটি
বিখ্যাত
কবিতা
হচ্ছে
The
Scholar Gipsy. অক্সফোর্ডের জনৈক
ছাত্রকে
উদ্দেশ্য
করে
এ
কবিতাটি
লেখা
হয়।
এ
ছাত্র
কলেজ
থেকে
পালিয়ে
যায়।
তারপর
যোগ
দেয়
যাযাবরদের
দলে।
উদ্দেশ্য
যাযাবরদের
অলৌকিক
শক্তি
সম্পর্কে
জানা।
আর্নল্ডের
যুগ
ছিল
একান্তভাবে
নৈরাশ্যে
আক্রান্ত।
হতাশা
মানুষের
কর্মোদ্যমকে
থামিয়ে
দিল।
এ
কবিতায়
আর্নল্ড
দেখালেন
Scholar
Gipsy হতাশ
নন।
জীবন-সত্য
উদঘাটনের
জন্যে
তিনি
নিরলসভাবে
শ্রম
দিয়ে
যাচ্ছেন।
স্রষ্টায়
ভক্তি
তাঁর
অপরিসীম।
তাই
এ
পণ্ডিত
কভু
লক্ষ্যভ্রষ্ট
হয়নি।
Thou
hadst one aim, one business, one desire."
ইংল্যান্ডের
অন্য
কোন
কবির
কবিতায়
এতটা
বিষাদের
সুর
শোনা
যায়
না,
যতটা
শোনা
যায়
আর্নল্ডের
কবিতায়।
তিনি
কিছু
শোকগাথা
রচনা
করেছেন।
এ
শোকগাথাগুলো
তার
কোন
নিকটজন,
আত্মীয়
বা
বন্ধু
বান্ধবের
মৃত্যুতে
রচিত
হয়েছে।
তবে
তিনি
শুধু
মানুষের
মৃত্যুতে
শোকগাথা
রচনা
করেছেন
এমনটি
নয়।
মূল্যবোধের
মৃত্যু,
উদার
দৃষ্টিভঙ্গির
মৃত্যু,
চিন্তা
চেতনার
মৃত্যু,
নীতি-নৈতিকতার
মৃত্যু
এবং
সর্বোপরি
বিশ্বাসের
মৃত্যু
নিয়েও
তিনি
লিখেছেন।
অনেক
লিখেছেন।
রাগবি
চ্যাপেল
-ডোভার
বিচ—এসব
কবিতার
পরতে
পরতে
বিধৃত
হয়েছে,
বিবৃত
হয়েছে
মূল্যবোধের
অবক্ষয়,
ধর্ম
ও
বিশ্বাসের
ভিত্তি
দূর্বল
হওয়ার
বেদনা।
ভালোবাসার
ক্ষেত্রে
বিশ্বাসের
মূল্য
অনেক
বেশি।
পারস্পরিক
বিশ্বাস
ও
আস্থাই
ভালোবাসাকে
টিকিয়ে
রাখে,
অটল
অনড়
স্থায়িত্ব
প্রদান
করে।
বিশ্বাসের
মৃত্যু
হলেই
ভালোবাসার
মৃত্যু
হয়।
বিশ্বাসের
মৃত্যু
তথা
ভালোবাসার
মৃত্যু
নিয়েও
আর্নল্ড
কবিতা
লিখেছেন।
বলছিলাম
শোকগাথার
কথা।
অনেক
মানুষের
মৃত্যু
নিয়েই
আর্নল্ড
শোকগাথা
রচনা
করেছেন।
তবে
এটা
সত্য
যে,
আর্নল্ড,
এত
জরা-জীর্ণতা,
মৃত্যু
অবক্ষয়ের
মাঝে
বসে
কবিতা
লিখলেও
পাঠকের
জন্যে
তার
জীবন
দর্শনকে
কখনো
শিথিল
ভাবে
উপস্থাপন
করেননি
তিনি
নিজে
স্টোয়িক
দর্শনে
বিশ্বাস
করতেন
তিনি
মার্কাস
অরেলিয়াস
ও
এপিক্টেটাস-এর
মতোই
মনে
করতেন
যে,
জীবন
দুঃখের
আগার
ছাড়া
আর
কিছুই
নয়।
ভিক্টোরিয়ান
যুগটা
একান্তভাবে
দুঃখের
যুগ!
এ
যুগে
শুধুই
“Sick
fatigue, the languid doubt এখানে
মানুষ
দুঃখে
তিমিরে
হাতড়ে
মরছে।
কারণ
সর্বত্রঃ
“Sick hurry and divided aims. আর
এর
থেকে
বাঁচার
জন্যে
তাঁর
কাছে
একমাত্র
উপায়
মনে
হয়েছে
নীরবে
সবকিছু
সহ্য
করে
যাওয়া
ও
With
close lipp'd patience for our only friend,
sad
patience, too near neighbour to despair.'
আর্নল্ড
ছিলেন
প্রাচীন
বা
ক্লাসিক
ভাবধারার
কবি।
তিনি
কবিতা
লেখার
ক্ষেত্রে
অনুসরণ
করতেন
হোমার,
সফোক্লিস,
ইউরিপিডিস-এর
মত
ক্লাসিক
কবিদেরকে।
একজন
সমালোচক
তো
বলেই
বসেছেন
যে,
"It
is obvious that the sources of
Arnold's
poetical culture are Greck:'.
গ্রীসের
কবি
হোমার
হচ্ছেন
মহাকব্যের
আদি
পিতা।
হোমারের
অনুবাদ
দেশে
দেশে
কালে
কালে
হয়েছে।
হয়েছে
শত
শত
ভাষায়,
শত
শত
বার।
ইংল্যান্ডের
অনেক
সমালোচক,
অনুবাদক
হোমারের
অনুবাদ
করেছেন।
আর্নল্ড
কোন
কোন
হোমার
অনুবাদকের
তীব্র
সমালোচনা
করেন।
এতে
ফ্রান্সিস
নিউম্যান
এবং
ইচবড
রাইট
নামের
দুই
অনুবাদক
আর্নল্ডের
বিরুদ্ধে
বিষোদগার
করেন।
আর
আর্নল্ড
এর
জবাব
দেন
homer
: Last words-এ বইয়ের
মাধ্যমে।
হোমার
সম্পর্কে
আর্নল্ডের
আগ্রহ
ছিল
প্রচুর।
হোমারকে
নিয়ে
আর্নল্ড
আলোচনা-সমালোচনাও
করেছেন।
বক্তৃতাও
করেছেন।
এ
প্রসঙ্গে
এ.
ই.
হাউসম্যান
বলেন
যে,
ইংল্যান্ডের
সমস্ত
সমালোচনার
বই
একদিকে
রেখে
আর্নল্ডের
শীর্ণ
কলেবর
‘হোমার’কে
অন্যদিকে
রাখলে
দেখা
যাবে
যে
তার
হোমার
সম্পর্কিত
আলোচনা
ধারে
ও
ভারে
সবার
চেয়ে
বড়।
সমালোচক
হিসেবে
আর্নল্ডের
অবস্থান
বেশ
উচ্চে।
গন্ধে-ছন্দে,
প্রাণাবেগের
পাবল্যে
মহীয়ান
হয়ে
উঠেছে
তার
সমালোচনা
সাহিত্য।
আজও
বৃটিশবাসী
প্রবল
আবেগে,
দরদে
পাঠ
করে
আর্নল্ডের
সমালোচনা
সাহিত্য।
আর্নল্ড
প্রকাশ
করলেন
তার
গের
শ্রেষ্ঠ
সাহিত্য
সমালোচনা
বই-
Essays
in Criticism। এ
বইতে
তিনি
(সমালোচনার
মূল
ধারণাকেই
বদলে
দিয়েছেন।
তিনি
সুস্পষ্টভাবে
ঘোষণা
করলেন
যে,
শিল্পকর্মের
দোষগুণ
বিচার
করা
সমালোচকের
কাজ
নয়
বা
এটা
সমালোচনার
বিষয়
নয়।
বরং
সমালোচনার
অর্থ
হচ্ছে
জগৎ
সংসারের
সুন্দর
ভাবধারাকে
সম্যকরূপে
জানা
এবং
সে
ভাবধারাকে
প্রচার
করা।
আর
সমালোচককে
হতে
হবে
সম্পূর্ণরূপে
নিরাসক্ত
ব্যক্তি।
আর্নল্ডের
মতে
ইংল্যান্ডের
ভাব-সমুদ্র
শুকিয়ে
গেছে।
সুতরাং
ইংল্যান্ডকে
জাগাতে
হলে,
পুনরুজ্জীবিত
করতে
হলে
ফ্রান্স,
জার্মানী
ইত্যাদি
দেশ
থেকে
নতুন
ভাবতরঙ্গ
নিয়ে
আসতে
হবে।
আর
এভাবেই
ইংল্যান্ড
ভাবসমৃদ্ধ
হবে।
তবে
এ
মতবাদের
বিরুদ্ধে
ক্ষেপে
গেল
কয়েকটি
তথাকথিত
জাতীয়তাবাদী
পত্রিকা।
তারা
মনে
করলো
যে,
আর্নল্ড
ফ্রান্সকে
ঊর্ধ্বে
তুলে
ধরেছেন
আর
ইংল্যান্ডকে
নীচে
নামিয়ে
দিয়েছেন।
আসলে
বিষয়টি
তা
নয়;
মাতভূমির
প্রতি
আর্নল্ডের
গভীর
মমত্ববোধ
ছিল
বলেই
তিনি
এটা
বলেছিলেন।
কবিতা
এবং
নৃতত্ত্ব
এ
দুটোর
মধ্যে
ব্যবধান
বিস্তর।
কিন্তু
আর্নল্ডের
নিকট
এ
ব্যবধান
কোন
বাধা
বলে
পরিগণিত
হয়নি।
তিনি
নৃতত্ত্ব
নিয়েও
গবেষণা
করেছেন
এবং
সেক্ষেত্রেও
সাফল্যের
স্বাক্ষর
রেখেছেন।
তিনি
সাহিত্য
এবং
নৃতত্ত্বের
মধ্যে
একটা
সমন্বয়
সাধন
করেন।
তাঁর
রচিত
স্টাডিজ
ইন
কেলটিক
লিটারেচার
(Studies in Celtic Literature) সে
প্রমাণই
বহন
করে।
এ
বইতে
আর্নল্ড
কেল্ট
জাতি
অর্থাৎ
আয়ারল্যান্ড
ও
ওয়েলস-এর
অধিবাসীদের
জাতিগত
বৈশিষ্ট্য
এবং
সাহিত্য
ক্ষেত্রে
তাদের
অবদানের
কথা
বিশ্লেষণ
করেন।
ফরাসী
ও
জার্মান
জাতির
জাতিগত
বৈশিষ্ট্য
নিয়েও
তিনি
আলোচনা
করেন।
তিনি
জোর
দিয়ে
বলেন
যে,
আজকের
ইংরেজ
জাতি
তিনটি
ধারার
সমষ্টি
ফরাসী,
জার্মান
ও
কেলটিক।
আর্নল্ড
সমালোচনা,
শিক্ষা
বিষয়ক,
ধর্ম
বিষয়ক,
রাজনীতি
বিষয়ক,
নৃতত্ত্ব
বিষয়ক
অনুবাদ
বিষয়ক
বেশ
কিছু
লেখা
লিখেছেন।
যেমন
এসেজ
ইন
ক্রিটিসিজম,
পপুলার
এডুকেশন
ইন
ফ্রান্স,
হোমার
দি
লাস্ট
ওয়ার্ডস,
এ
ফ্রেঞ্জ
ইটন
(A
French Eton), স্টাডিজ ইন
কেলটিক
লিটারেচার,
কালচার
এ্যান্ড
অ্যানার্কি
(Culture
and Anarchy), লিটারেচার এ্যান্ড
ডগমা,
চার্চ
এ্যান্ড
রিলিজন,
সেইন্ট
পল
এ্যা
প্রটেস্ট্যান্টিজম,
গড-এ্যান্ড
দি
বাইবেল,
আইরিশ
এসেজ,
ডিসকোর্সেস
ইন
আমেরিকা
(Discourses
in America)
------------------------------------------------------------------
Matthew
Arnold
Born
1822, Laleham, Middlesex, England
Died
1888, Liverpool, England
Occupation:
Poet and critic
Her
Majesty's Inspector of Schools
Nationality : British
Period
Victorian
Genres
Poetry : Literary, Social and
Religious Criticism
No comments:
Post a Comment