Fra Lippo Lippi - Robert Browning - Summary and Analysis - in Bengali |
Fra Lippo Lippi - Robert Browning - Summary and Analysis - in Bengali
Fra
Lippo Lippi কবিতাটি Robert Browning এর Men and Women গ্রন্থে ১৮৫৫
সালে
প্রথম
প্রকাশিত
হয়।
তিনি
পঞ্চমাত্রার
[iambic pentameter]
অমিত্রাক্ষর
ছন্দে
[blank verse] ৩৭৬
পঙক্তির
এই
Dramatic
Monologue টি
লিখেছেন।
‘Fra
Lippo Lippi’ বিখ্যাত
ইতালীয়
চিত্র
শিল্পী।
জন্ম
১৪১২
সালে
ফ্লোরেন্সে।
তার
পিতা
ছিল
একজন
কসাই।
লিপ্পো
দু’বছর
বয়স
থেকেই
পিতৃমাতৃহীন।
তার
এক
চাচী
তাঁকে
নিজের
কাছে
নিয়ে
যান
এবং
তাঁর
চাচীর
কাছে
লালিত
পালিত
হন।
আট
বছর
বয়সে
তাঁকে
মঠে
পাঠানো
হয়।
পরবর্তীতে
সেখানে
তিনি
একজন
চিত্রশিল্পী
হিসেবে
খ্যাতি
অর্জন
করেন। পরে
লিপ্পো
সেন্ট
কুইরিকোর
রেক্টর
নিযুক্ত
হন।
১৪৪৯
সালে
কপর্দকহীন
অবস্থায়
মৃত্যুবরণ
করেন।
কবি
রবার্ট
ব্রাউনিং
তাঁর
‘Fra
Lippo Lippi কবিতায় মঠের
সাধু
হিসেবে
পরিচিত
একজন
বিখ্যাত
চিত্র
শিল্পীর
শহরের
নৈশ
প্রহরীর
হাতে
ধরা
পড়ার
চিত্র
তুলে
ধরেছেন।
চিত্রকর
লিপ্পো
শহরের
বারবণিতার
পাল্লায়
পড়ে
গিয়ে
নৈশ
প্রহরীর
হাতে
ধরা
পড়ে।
প্রহরীর
হাতে
ধরা
পড়ার
পর
সে
প্রহরীকে
তার
নিজের
জীবন
কাহিনী
শোনায়,
শোনায়
কীভাবে
অযত্নে
অবহেলায়
কেটেছে
তার
শৈশব।
একজন
চিত্রশিল্পী
হিসেবে
বিপুল
খ্যাতি
অর্জন
করার
পরও
অভিজাত
সমাজে
উঠতে
পারেননি।
গির্জার
দেয়ালে
ছবি
আঁকতে
গিয়ে
লিপ্পো
মানবিক
দিকের
প্রকাশ
ঘটিয়ে
মঠের
সাধুদের
বিরাগভাজন
হন।
লিপ্পো
প্রহরীকে
বলে,
সাধুজনেরাই
জগতে
অপরাধী
সাব্যস্ত
হয়
আর
দুষ্টেরা
পার
পেয়ে
যায়।
মোট
কথা,
কবি
এখানে
লিপ্পোর
মর্ম
বেদনার
রূপকে
অবহেলিত
মানুষের
কষ্টের
দিকটি
তুলে
ধরেছেন।
ইতালী
ভ্রমণকালে
কবি
ফ্লোরেন্সের
এক
বিখ্যাত
গির্জায়
লিপ্পোর
অংকিত
ভার্জিন
মেরীর
ছবি
প্রত্যক্ষ
করেন
এবং
পরবর্তীতে
লিপ্পোর
জীবন
কাহিনী
অবলম্বনে
এই
দীর্ঘ
কবিতাটি
রচনা করেন। লিপ্পো
রাতের
বেলা
শহরের
প্রহরীদের
কাছে
ধরা
পড়ে
এবং
নিজের
পরিচয়
দিচ্ছেন
মঠের
একজন
সাধু
হিসেবে।
লিপ্পো
রাতের
বেলা
পথচারী
পতিতার
পিছু
নেয়ার
মত
অপকর্ম
করতে
গিয়ে
এই
সংকটে
পতিত
হন।
সে
তাদেরকে
জানায়
সে
আসলে
Carmine's cloister এর একজন সন্নাসী। আর এই মুহুর্তে সে Cosimo of the Medici এর প্রাসাদে আছেন। সে পাহারাদারদের ব্যবহারে খুবই বিরক্ত হয় এবং তাদের দলনেতাকে বলে তাঁর উচিত তাদেরকে ব্যবহার ও আচরণ শিক্ষা দিতে। সে তাদেরকে জানায় সে একজন চিত্রকর্ব বটে। কেউ যদি তাকে একটি কয়লার টুকরাও এনে দেয় তাহলে সে তাঁর ছবি হুবহু একে দিতে পারবে। সে বিশ্বাস না করলে আজকে কিভাবে সে এখানে এসেছে তাঁর কাহিনী বর্ণনা করে। সে তাদেরকে জানায় Cosimo of the Medici এর প্রাসাদে তিন সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন সাধু সন্ন্যাসীর চিত্রকর্ম একে চলেছেন। সেই রাতে একটু তাজা বাতাস নেয়ার জন্যে জানালা দিয়ে মাথা বের করে এবং নারী ও পুরুষের আনন্দিত কণ্ঠস্বর শুনতে পায়। এক সময় তিন জন পতিতার উপর তাঁর চোখ পড়ে। শয়তানী মাথাচাড়া দেয় এবং তাদের পিছু নেয় সে। সে যখন বাড়ি ফিরে যাচ্ছিল প্রহরীদের হাতে ধরা পড়ে।
শেষে
প্রহরী
প্রধানকে
একেবারে
ছোটবেলা
থেকে
তাঁর
নিজের
জীবন
কাহিনী
বর্ণনা
করেন।
কিভাবে
সে
তাঁর
বাবা-মাকে
হারিয়েছে,
কিভাবে
অখাদ্য-কুখাদ্য
খেয়ে
জীবন
পার
করেছেন
সে
বর্ণনা
দিয়েছেন।
এক
সময়
তাঁর
চাচী
তাকে
তুলে
নিয়ে
যায়
এবং
পরে
কনভেন্টে
দিয়ে
দেয়।
সেখানে
সে
তেমন
কাজ
করত
না।
তাঁর
গুরুরা
তাকে
ল্যাটিন
ভাষা
শেখাতে
চেয়েছিল
কিন্তু
কোন
কাজ
হয়
নি।
সে
সারা
দিন,
যেখানে
যা
কিছু
পেত,
শুধু
একেই
যেতো।
তাঁর
অংকনের
মাঝে
বাস্তবতা
ফুটে
উঠতো
বলে
সাধুরা
তাকে
প্রশংসা
করত।
কাহিনী
বর্ণনা
করতে
গিয়ে
লিপ্পো
শিল্প
কথা
ও
মানব
জীবনের
নানা
সংকটের
দিকটি
তুলে
ধরেছেন।
তিনি
বলেছেন,
শুধু
দেহ
সর্বস্ব
শিল্প
কোন
শিল্পই
নয়,
তিনি
মানুষের
আত্মিক
দিকটির
উপর
জোর
প্রদান
করেছেন।
শুধু
নিখুঁতভাবে
মানুষের
হাত
পা,
নাক
মুখ
অংকন
করলেই
তা
মহৎ
শিল্পের
প্রকাশ
ঘটায়
না। শিল্পকর্মে যদি
আত্মিকতার
ছায়াপাত
না
ঘটে
তা
হলে
সেটা
কোন
ছবিই
নয়।
তিনি
সাধু
অ্যাঞ্জেলিকো
ও
সাধু
লরেনজোর
[Brother Angelico and Brother Lorenzo]
মত
বড়
শিল্পী
হতে
চান
আর
এর
জন্যে
দরকার
শিল্পকর্মকে
আত্মিকতায়
[spiritualize] পূর্ণ করা।
লিপ্পো
একবার
গির্জার
দেয়ালে
ছবি
এঁকে
গির্জার
অন্যান্য
সাধুদের
বিরাগভাজন
হন।
সাধুদের
মনের
মতো
করে
ছবি
আঁকতে
গেলে
লিপ্পো
দেখেন
তাতে
প্রাণের
স্পর্শ
মাত্র
থাকে
না।
এ
ছাড়া
লিপ্পো
গির্জার
অন্য
একটি
দিকও
তুলে
ধরেছেন
তা
হলো
সেখানে
মানুষেরা
জরিমানা
প্রদান
করে
আর
অপরাধী
সহজেই
পার
পেয়ে
যায়
ভেট
প্রদান
করে
আর
নির্যাতিত
পায়
না
বিচার।
নিপীড়িত
অসহায়
জনদের
সামনে
দিয়েই
নিশ্চিন্তে
নিপীড়নকারী
পার
হয়ে
যায়।
লিপ্পো
বলেছেন
এইসব
বিষয়
প্রত্যক্ষ
করে
ঈসা
(আঃ)
হয়তো
লজ্জা
আর
ঘৃণায়
মুখ
ফিরিয়ে
থাকেন।
সব
শেষে
লিপ্পো
প্রহরীদের
কাছ
থেকে
ক্ষমা
প্রার্থনা
করেন
এবং
বলেন
তারা
যেনো
কাউকে
তাঁর
অপকর্মের
তথ্য
না
দেয়।
সে
এর
প্রায়শ্চিত্ত
করবে
সেইন্ট
অ্যাব্রোজ
চার্চের
[St. Ambrose's Church at Florence]
দেয়ালের
ছবি
গুলো
আঁকবেন।
এছাড়া
ফেরেশতা
পরিবেষ্টিত
অবস্থায়
মেরী
ও
তাঁর
সন্তানের
ছবিও
আঁকবে
বলে
তাদের
থেকে
চলে
আসে।
No comments:
Post a Comment