Fra Lippo Lippi - Robert Browning - Bengali Translation - part - 2 of 2 |
Fra Lippo Lippi - Robert Browning - Bengali Translation - part - 2 of 2
চিত্রিত
করেছি
কতো
না
প্রার্থনা
পুস্তক,
চিত্রিত
করেছি
গ্রন্থ
কতো
না
প্রার্থনা
মনের,
এখনও
মঠের
প্রার্থনা
পুস্তকে,
আমারি
চিত্র
শোভে।
তবে
মোর
চিত্রমর্মে
ভাষায়
ধরে
আটি
মঠের
সন্তরা
গালিগালাজ
করল
আমাকে।
জানলো
তারা
আমি
ভালো
ছবি
আঁকি
বটে
কিন্তু
ভালো
একজন
সাধু
নই
মোটে,
অবশেষে
তারা
জানাল
আমাকে
সবাই
সাজসজ্জায়
সজ্জিত
কর
মোদের
ধর্ম,
গভীর
মনোযোগে
নানাবিধ
সাজসজ্জায়,
দ্রুত
সমাপ্ত
করলাম
এই
কর্ম
ভার
কিন্তু
মঠের
সাধুদের
নানাজনের
ছিল
নানা
মত
কেউবা
সাদা
কেউবা
আবার
পছন্দ
করে
কালো
রঙ,
তাদের
নির্দেশের
পুনরায়
মুছে
ফেলে
সব
মঠের
দেয়াল
রইল
আগের
মতোই
ফাঁকা
প্রচলিত
ছিল
মঠে
পুরনো
সব
ফাকা
রীতি,
ভক্তরা
চলতো
পানিয়
এর
ভাণ্ড
মানত
করতো
মোমবাতির
অবস্থায়
জন
লুকিয়ে
পড়তো
মঠের
বেদীতে,
অতি
বড়ো
দাগী
খুনী
বেঁচে
যেতো
মঠের
ছত্র
ছায়ায়,
নিরীহ
সন্তানেরা
মানতে
চাইতো
হত্যার
প্রতিকার,
গির্জার
সাধু
যেতো
ভেটের
পক্ষে
না
শোনার
করতো
ভান।
দীর্ঘ
দিন
ঈসা
(আঃ)
এইসব
দেখে
দেখে,
মুখখানা
তার
স্লান
হতো
ঘৃণা
আর
লজ্জায়।
ধীর
পায়ে
আসতো
মুখ
ঢেকে
তরুণীরা,
ফুলের
মতোই
দুলতো
তাদের
কানের
দুল,
অপরাধীর
তরে
চাইতো
বিচার
তারা
মঠের
সাধুকে
খুশি
করে
অপরাধী
সরে
যেতো
দূরে।
এসব
ঘটনা
আমি
চিত্রিত
করেছি
মঠের
দেয়ালে,
মঠের
সাধুরা
এসব
চিত্র
দিয়েছে
ঢেকে,
চিৎকার
করে
বলেছে
এসব
দেখতে
চায়
না
তারা।
আমার
সদিচ্ছা
বিলিয়ে
যেতো
ধোঁয়ার
মতো,
সদিচ্ছার
বিনিময়ে
শুধু
থাকতো
পোড়া
খড়।
বলতো
সাধুরা,
বন্ধ
কর
এইসব
এসবের
দিন
আর
নেই।
আমি
জানি
মানুষের
দেহটাই
বড়ো
নয়
আত্মার
বাণী
বড়ো
হলো
সব
থেকে,
আত্মা
তো
অবিনশ্বর
চিরটা
কাল,
দেহ
সরে
গেলে
শুধু
পড়ে
থাকে
ময়লা।
সেই
ভালো
যদি
আত্মার
কথাই
বলি,
তাহলে
দেহ
নয়
আত্মাটাই
দাও
মোরে।
এ
দ্যাখো
গিটো
চিত্রকর্মের
উপহার,
এক
মহান
ঈশ্বরের
মহত্ত্ব
গাথায়
ভরা
কেন
গিটোকে
[Giotto] আমি করবো
না
অনুসরণ।
বলি
আমি
হেরোডিয়াসের
[Herodias]
কন্যার
কথা,
নৃত্যশিল্পে
যে
করেছিল
সবার
মনোহরণ
দেহের
সাথে
তার
যোগ
ছিল
আত্মার,
অতএব
দেহের
পাশে
শিল্পে
ঘটবে
আত্মার
প্রকাশ।
দেহ
আর
আত্মাকে
শিল্পী
আঁকার
পাশাপাশি
শুধু
দেহ
বাদে
যদি
আঁকা
হয়
আত্মার
ছবি
তাহলে
আত্মা
শুধু
হেঁটে
যায়
খুড়িয়ে
এক
পায়ে।
মানব
জীবনের
ছোট
ছোট
দুঃখ
ব্যথাগুলোয়
আমি
অংকন
করেছি
সযতনে
মঠের
দেয়ালে,
ধর
মঠের
পৃষ্ঠপোষকের
যে
সুন্দর
ভাতিজী,
যে
তার
রূপকে
ঢেকে
রাখে
মরে
আইনের
ভয়ে
এটা
তো
বড়োই
অবাক
ব্যাপার
কেমনে
আত্মার
প্রকাশ
ঘটাবে
এটা
লুকালে।
ছবিই
যদি
আঁকা
হয়
তাহলে
দেহ
আর
আত্মার
মিলন
ঘটাতে
হবে।
শুধু
মঠের
সাধুরা
বলে
বাস্তবানুগ
দেহ
সুষমা
আঁকো,
আমি
বলি
দেহের
চাইতে
আত্মারই
হোক
প্রতিফলন
মোর
ছবি
উঁকি
মেরে
দেখে
সাধুরা
বলে
তুমি
নও
কৃতবিদ্য
চিত্রকর।
আমি
বলি,
ব্রাদার
এঞ্জেলিকো
[Angelico]
আর
ব্রাদার
লরেঞ্জোর[ Lorenzo]।
মতো
দেহের
পুঙ্খানুপুঙ্খ
বর্ণনার
ছবি
আঁকবো
না
আমি।
আমি
নই
সেই
মুক্ত
বৃদ্ধ
ঘোড়া,
যে
সারাজীবনের
কর্ম
শেষে
বৃদ্ধকালে
ছাড়া
পায়।
মুক্তির
আনন্দে
চাটি
মারে
দুই
পায়ে।
তেমনি
আমি
সন্তের
ছবি
আঁকা
শেষ
করে
মুক্ত
স্বাধীন
হই
রাজপথে
এসে।
শুধু
এর
মাঝে
পার্থক্যটা
এই,
বৃদ্ধ
অশ্ব
মুক্ত
হওয়ার
পরে
যখন
তার
প্রভু
কাকে
শোনায়
বাণী,
ভালো
ঘাস
হয়
নাকো
খাওয়া
এতে
হয়
ভালো
খড়,
আমি
সর্বদা
ইহজাগতিকতাকে
করে
চলি
পরিহার।
মানুষ
তো
মুগ্ধ
হয়
প্রকৃতির
নানা
উপাচারে
তার
নানা
বর্ণ
আর
সুগন্ধের
মায়ায়,
যা
সকলি
করেছেন
সৃষ্টি
মোদের
মহান
ঈশ্বর,
চারপাশ
পর্বত
ঘেরা
উপরে
খোলা
আকাশ,
দেহধারী
কতো
না
নারী
পুরুষ
আর
শিশুদল
এর
মাঝে
সুপ্ত
থাকে
কর্মকাণ্ড
মানবের
এর
সাথে
অন্যতম
সেরা
এই
মানব
শরীর
তেমন
সৃষ্টি
হয়
না
সরাসরি
ঈশ্বরের
হাতে,
আমরা
সেগুলো
পাশ
কাটাবো
অবজ্ঞায়।
সৌন্দর্যের
রূপ
মায়ায়
অবাক
চিত্রকর।
হৃদয়ে
সে
সকলি
করে
অনুভব,
অতঃপর
সেই
সৌন্দর্যের
মায়া
ফুটে
তার
চিত্রকলায়।
শিল্পী
কখনো
গায়ে
মাখে
নাকো
সমালোচনার
ভার
মহান
ঈশ্বর
যতো
কিছু
করেছেন
সৃজন,
তার
মাঝে
সে
দেখে
নাকো
কোন
মন্দের
ভার।
আমরা
তো
প্রকৃতিকে
দেখি
কতো
রূপে
মূর্ত
হয়
মোদের
দৃষ্টিতে
কতো
না
অবয়ব,
যখনি
আমরা
দেখি
শিল্পীর
আঁকা
ছবির
নাম
তখনি
মোদের
মনোযোগ
কাড়ে
সেই
দিক।
চিত্র
সে
তো
মোদের
মনেরই
সৌন্দর্যেরই
উচ্চতম
দিক
?
প্রতিবেদনের
ব্যবহৃত
সাধারণ
বস্তু
রাজি
চিত্রকর
অসাধারণ
রূপে
তুলে
মোদের
দৃষ্টিতে,
চিত্রকরই
মোদের
জানিয়ে
দেয়
এইসব
অপরূপ
সব
বস্তুরাজি
সবই
তৈরি
ঈশ্বরের।
মহান
সৃষ্টি
যদি
হয়
বাস্তবসম্মত,
তবে
সে
সবচেয়ে
ভূমিকা
রাখতে
সমর্থ
হয়,
একজন
সাধু
যে
দেয়
ধর্মোপদেশ
দেয়
তার
চেয়ে
বলি
আমি
এই
যে
বাসযাগ্য
মোদের
পৃথিবীতে
এ
তো
শুধু
নয়
হীনতা
আর
পাপাত্মায়
ভরা,
এ
পৃথিবী
ধরে
কতো
না
মহান
বিষয়াবলী
যা
ঘোষণা
করে
মহান
ঈশ্বরের
মহিমাবলী।
অতএব,
তোমায়
বলি
হে
প্রহরী।
রাতের
বেলায়
ঘটেছে
যে
সব
ঘটনাবলী
সেই
তিন
রমণীর
কথা,
গোপন
বিষয়াবলী,
তার
তরে
আমি
তোমার
কাছে
চাই
ক্ষমা।
এই
ফ্লোরেন্সের
সেইন্ট
এ্যামব্রোজ
[Sant' Ambrogio's]
গির্জায়
দায়িত্ব
পেয়েছি
চিত্র
কর্ম
করার,
ছয়
মাসের
মাঝে
শেষ
করে
দিতে
হবে
কাজ।
আঁকবো
আমি
সেইন্ট
লরেন্সের
ছবি
আঁকবো
সেই
তিনজনের
অত্যাচারের
ছবি
আঁকবো
সেই
সাধু
পারটোর
ছবি,
যে
একদা
বলেছিল
এটা
বড়োই
মর্মস্পর্শী।
সাধারণ
জন
তৃপ্ত
হবে
দেখে
করবে
হৃদয়ে
অনুভব
সেই
অত্যাচার
সাধু
কেমন
করে
করেছে
পীড়ন,
দাসেরে
তার
মুখে
তৈরি
করেছে
ক্ষত,
সবই
উঠবে
ফুটে
সেই
গির্জার
দেয়ালে।
অতঃপর
আঁকবো
আমি
ঈশ্বরের
মহিমা
সকল
আঁকবো
কুমারি
মেরীর
ঈসা
(আঃ)
বক্ষে
ধারণ
করা
ছবি,
আঁকবো
কেমন
করে
দেবদূত
দল
ঘিরে
আছে
যিশু
আর
মাতা
মেরীকে।
যদিও
আমি
এখন
এক
কোণে
আঁকছি
ছবি।
তবুও
করছি
অনুভব
সবার
মাঝেই
রয়েছি
আমি।
যেন
দেবদূতেরা
বলছে
আমায়,
তুমি
রবে
ভালো,
এঁকে
যাও,
তোমার
তরে
আছে
মহত্ত্বর
স্থান
আর
গির্জাও
তোমার
কর্মে
হবে
মহান।
অতএব
বিদায়
হে
প্রহরী,
লাগবে
না
টর্চের
আলো,
আঁধারেই
আমি
খুঁজে
নেবো
আমার
গৃহের
পথ।
No comments:
Post a Comment