Andrea Del Sarto - Robert Browning - Summary and Discussion in Bengali |
Andrea Del Sarto - Robert Browning - Summary and Discussion in Bengali
“Andrea
del Sarto” হল Robert Browning এর আর একটি বিখ্যাত Dramatic Monologue.
এটি সর্ব প্রথম Robert Browning এর কাব্য সংকলন “Men and woman” এ ১৮৫৫ সালে প্রকাশিত হয়। Browning “Andrea del Sarto” কবিতাটি রচনা করেছেন ইতালির বিখ্যাত চিত্রকর Andrea del Sarto জীবন কাহিনি অবলম্বন করে।
এই খ্যাতিমান চিত্রকর রাফায়েল [Raphael Sanzio Da
Urbino] ও মাইকেল এঞ্জেলো ওরফে মিখায়েল অ্যাগনোলো [Michelangelo di Lodovico Buonarroti Simoni] সাথে কাজ করেছেন। এ কবিতায় শিল্পী সার্টোর জীবনের মর্মস্পর্শী একটি দিক উন্মোচিত করার চেষ্ঠা করেছেন কবি। Andrea del Sarto বাস করতেন ইটালির ফ্লোরেন্স নগরীতে। Sarto ছিলেন রাজা ফ্রান্সিস এর court painter বা প্রাসাদ শিল্পী। সার্টো লিউক্রেজিয়া নামে এক রূপসী রমণীকে বিয়ে করে তার প্রতি খুব বেশি অনুরক্ত হয়ে পড়েছিল। এ রমণী কিন্তু সার্টোকে ভালোবাসতো না মোটেই শুধু স্বার্থ আদায় করে নিত। সার্টোর উপার্জিত সকল সম্পদ কুক্ষীগত করত সে। সে শুধু শিল্পীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা গ্রহণ করতো। শিল্পীর শিল্পকর্ম বিক্রির সকল টাকা চলে যেতো তার হাতে। লিউক্রেজিয়া [Lucrezia] গোপনে তার এক মামাতো ভাইকে ভালোবাসতো। লুক্রেসিয়া একবার আবদার করে তার প্রেমিক ভাইয়ের জন্য বেশ কটি ছবি এঁকে দেয়ার জন্য। এর জন্য তাঁর পত্নী তার সাথে খারাপ আচরণ করার পরও Andrea বলেছে, তুমি শুধু আমার পাশে থাকো, সব ছবি পাবে তুমি। তুমিই আমার অনুপ্রেরণা, তুমি তোমার প্রেমিকের কাছে যাও আপত্তি নেই, তুমি শুধু আমার পানে তাকিয়ে মধুর হাসি বিলিও। আন্দ্রেয়া তার পত্মীর প্রেমে এতোটাই মুগ্ধ ছিল যে, সে শুধু চাইতো লুক্রেসিয়া তার পাশে বসে তার পানে তাকিয়ে একটুখানি হাসি বিলাক। শিল্পী তাঁর পত্মীর হাসির জন্য সবকিছু বিলিয়ে দিয়েছিল। এমনকী ফরাসী রাজা ফ্রান্সিসের সাথে প্রতারণা করে এনেছিল বিপুল অর্থ, যে অর্থ দ্বারা সে তৈরি করেছিল লুক্রেসিয়ার জন্য এক মনোরম প্রাসাদ। কবিতার শুরুতেই দেখা যায় লুক্রেসিয়া ঝগড়া করছে আন্দ্রের সাথে। ঝগড়ার কারণ তার প্রেমিকের বন্ধুকে বেশ কিছু চিত্রকর্ম এঁকে দেয়ার কথা, যেগুলো এখনো দেয়া হয়নি, সেগুলো দেয়া হলে সে প্রেমিকের বন্ধুর কাছ থেকে টাকা পাবে। মোটা অংকের অর্থ আর প্রেমিকের কাছেও ভালো থাকবে। শিল্পী বলছেন তার পত্মীকে, ঝগড়া করো না, মনোরম এই সন্ধ্যায় তুমি আমার পাশে কিছুক্ষণ থাকো, তাহলেই আমি পাবো অনুপ্রেরণা আর দ্রুত শেষ হবে তোমার প্রেমিকের বন্ধুর দেয়া কাজগুলো। আন্দ্রেয়া পত্মীকে এতোটাই ভালবাসতো সে তার বিখ্যাত বহু চিত্রকর্মের মুখমণ্ডলে ফুটে উঠেছে লুক্রেসিয়ার ছবি। তার বহু ম্যাডোনার মডেল হয়েছে লুক্রেসিয়া। লোকেরা বলাবলি করতে আন্দ্রের ম্যাডোনা তো ওর স্ত্রীর প্রতিকৃতি। শেষে শিল্পী দুঃখ করে বলেছেন, তাঁর পিতামাতা মৃত্যুবরণ করেছে দারিদ্রের কষাঘাতে আর সে বিপুল অর্থ সঞ্চয় করে ঢেলে দিয়েছে রূপসী স্ত্রীর পায়ের তলায়। আন্দ্রেয়া এতোসব সত্ত্বেও তাঁর পত্নীর প্রেমে পাগল। আন্দ্রেয়া বলে সে এ জীবনে আর কিছুই চায় না সে শুধু চায় তার পত্নী তার পাশে বসে একটু হাসি ছড়িয়ে দিক, আর বেশি তার নেই।
আন্দ্রে তাঁর সমসাময়িক শিল্পী লিওনার্দো [Leonardo di ser
Piero da Vinci], রাফায়েল ও মাইকেল অ্যাঞ্জেলোর স্মৃতিচারণ করেছেন। বলেছেন তাদের ভুল ত্রুটির কথা। যে ভুল গুলো কখনো তাঁর দ্বারা হত না কিন্তু একটি ব্যপারে সে বাকিদের তুলনায় ছিলেন ব্যর্থ। আর তা হল তিনি তাঁর ছবিতে আত্মা বা জীবনের ছোয়া দিতে পারতেন না। রাফায়েলের একটি ছবির কথা তিনি বলেছেন যেখানে রাফায়েল ছবিতে হাত আঁকেনি, তারপরও তাঁর ছবি ছিল জীবন্ত। আন্দ্রে তাঁর এই ব্যর্থতার জন্যে নিজের স্ত্রীর প্রতি অতিরিক্ত ভালোবাসাকেই দায়ী করেন।
আন্দ্রে আরো বলেছেন তারা খুব ভালো ছবি আঁকতেন। তারা এখনো জান্নাতের শহর জেরুজালেমে গিয়ে আঁকছেন। তিনি মৃত্যুবরন করলে তিনিও তাদের সাথে সেখানে গিয়েও ছবি আঁকবেন। তবে তাঁর বন্ধুদের ছাড়িয়ে যেতে পারবেন না। কারন তাদের কোন স্ত্রী নেই। অন্যদিকে আন্দ্রে তাঁর স্ত্রীর প্রেমে মশগুল। শেষে শিল্পী বলেন, ঐ যে, তোমার প্রেমিক বাইরে তোমার অপেক্ষায় আছে তার কাছে যাও, আমি তোমাকেই ভালোবাসি তুমি আমাকে কিছুটা সময় আর তোমার মধুর হাসি বিলিও। ব্রাউনিং তাঁর এ কবিতায় একজন মহৎ শিল্পীর ভেতরের শিল্পী সত্তার এক চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটিয়েছেন। এত বেদনাদায়ক ঘটনার পরেও শিল্পী তাঁর পত্নীর হাসিটির মর্যাদা দিয়েছেন, এটা একজন সত্যিকারের শিল্পীর পক্ষেই সম্ভব।
উপকৃত হয়েছি ধন্যবাদ
ReplyDeleteকৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি ❤️🫶
ReplyDeleteNice
ReplyDeleteThis slide very helping me
ReplyDelete