Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 6 of 7 |
Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 6 of 7
স্পিচ অন দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া বিল – এডমান্ড বার্ক - বাংলা অনুবাদ - পর্ব ৬ঃ
একজন
ব্যবসায়ীর
সর্বশেষ
গুণ
আমি
উল্লেখ
করব
ব্যবসায়ের
সাধারণ
নিয়ম
অনুযায়ী
বিল
পেশ
হলে
হয়
নগদ
অর্থ
কিংবা
বস্তু
নিয়ে
সতর্কভাবে
প্রস্তুত
থাকা। এখন
আমি
প্রশ্ন
করব,
তারা
কি
কখনো
কোনো
বিক্রিতে
পণ্যের
সঠিক
হিসাব
করেছে?
দেনা
শোধ
করার
জন্য
যে
চার
মিলিয়নের
বিল
তাদের
কাছে
আসে
বা
আসছে
তার
কোনো
সামঞ্জস্য
করেছে?
না,
তারা
তা
করেনি। তাদের
নিয়োগ
কেনার
জন্য
তাদের
কর্মচারীদের
নিকট
ঋণ
করতে
হচ্ছে। কর্মচারীরা
প্রদত্ত
অর্থের
বিপরীতে
শতকরা
পাঁচ
টাকা
হারে
সুদ
ধার্য
করে। নির্ধারিত
সময়ে
যখন
তাদের
পাওনা
ফেরত
দেয়
না
তখন
টাকার
মূল্য
দুই
শিলিং
এক
পেনি
হারে
নেয়া
হয়। কোম্পানি
কি
কখনো
তদন্ত
করে
তাদের
উদ্বিগ্ন
করেছে
এই
মর্মে
যে,
তাদের
বিক্রি
কি
ওই
সুদের
ভার
গ্রহণ
করতে
পারবে
এবং
ওই
বিনিময়
হারে?
তারা
কি
একবারও
বিবেচনায়
এনেছে
তারা
কী
ধরনের
উভয়
সঙ্কটে
আছে?
তারা
বিল
অস্বীকার
করলে,
কোম্পানির
সুনামহানি
গ্রহণ
করলে,
সুনাম
ও
অস্তিত্ব
দুটোরই
হানি। তাদের
রাজনীতিতে
কোনো
নিরপেক্ষ
সরকারের
অস্তিত্ব
ছিল
না। তাদের
বাণিজ্যিক
কর্মকাণ্ডে
কোনো
ব্যবসায়ী
নীতি
ছিল
না। অতএব
সংসদের
সুগভীর
এবং
পরিপক্ক
প্রজ্ঞা
কাম্য
এবং
এগুলোকে
উদ্ধার
করতে
রাজ্যের
সর্বাত্মক
সম্পদ
ব্যয়
করতে
হবে। কোম্পানির
অপশাসনে
যে
দেশ
ধ্বংস
হয়েছে
তাকে
রক্ষা
করতে
হবে। ভুল
পরিকল্পনার
জন্য
যে
কোম্পানি
ধ্বংস
হয়েছে
সেই
কোম্পানিকে
রক্ষা
করতে
হবেডনবম
রিপোর্টে
বার্ক
বিশদ
ব্যাখ্যা
করেন,
বেঙ্গল
কাউন্সিল
বৃটেনে
রফতানির
জন্য
বিনিয়োগ
অব্যাহত
রাখার
চেষ্টা
করেছেন,
যখন
ফান্ডের
সাধারণ
উৎসগুলোকে
যুদ্ধের
খরচের
জন্য
রাখতে
হয়েছে]।
আপনাদের
স্মরণ
আছে,
শুরুতেই
আমি
প্রমাণ
দিয়ে
উল্লেখ
করেছি,
এই
অন্যায়
অভ্যাসগত। এগুলো
ভিন্ন
শিরোনামে
বিবেচনা
করা
আমি
প্রয়োজন
মনে
করি
না। কারণ
আমি
বিশ্বাস
করি,
আমি
সন্দেহাতীতভাবে
দেখিয়েছি
অন্যায়গুলো। কারণ
এগুলো
নিয়মিত,
স্থায়ী
এবং
নিয়মমাফিক। আমি
আমার
শেষ
অবস্থায়
এসেছি। আমি
অত
সহজে
কোনো
প্রতিষ্ঠিত
সরকারকে
ধ্বংস
হতে
দেব
না। বর্তমানে
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
সরকার
অসংশোধনীয়।
নিঃসন্দেহে
একটি
বিরাট
সত্য
এই
হাউজে
প্রকাশ
হয়েছে। এটা
পরিষ্কার,
তাদের
হাতে
ক্ষমতা
রাখার
অর্থ
হচ্ছে
সব
ধরনের,
সব
মাপের
আত্মসাৎ,
অত্যাচার
এবং
স্বৈরশাসনে
উৎসাহ
দেওয়া
এবং
অব্যাহত
রাখা। তাদের
পোশাকি
চরিত্র
এবং
আন্তর্নিহিত
চরিত্র—
সব
দিক
থেকেই
তারা
অসংশোধনীয়।
তাদের
নেতৃত্বে
ভারতে
যে
অপকর্ম
হয়েছে
এটা
যদি
তাদের
জানানো
না
হত,
আমাদের
কারো
কারো
মতো
তাদের
কাছে
নতুন
মনে
হত,
তবে
আমরা
এটা
ভেবে
সন্তুষ্ট
হতে
পারতাম,
অন্যায়গুলো
শনাক্ত
করলেই
তারা
সংস্কার
করবে। আমি
আর
একটু
যাব। এই
হাউজে
কিংবা
কমিটি
তাদের
অপকর্মের
নিন্দা
করলে
পরিচালকমণ্ডলী
প্রতিটি
কাজের
যদি
নিন্দা
করত,
তাদের
ভাষা
যদি
অপকর্মের
হোতাদের
বিরুদ্ধে
নমনীয়
না
হত,
তবে
কিছু
আশা
করা
যেত। তাদের
যেসব
কর্মচারী
কর্মকর্তা
তাদের
পক্ষে
দায়িত্ব
পালন
করেছে
তাদের
কারো
কারো
বিদ্রোহের
জন্য
ভৎসনাও
করেছে,
তাদের
প্রশংসা
না
করলেও
এই
লোকগুলো
ভ্রান্তিতে
পড়ে
আছে। যদি
কখনো
সুবুদ্ধিসম্পন্ন
হয়
তারা
সংশোধিত
হবে। যখন
আমি
ভাবি
তাদের
ভৎসনার
বস্তুকে
তারা
প্রশংসা
করছে,
যাদেরকে
অনুমোদন
দিয়েছে
তারা
কর্মকাণ্ডে
নিচুপর্যায়ে
চলে
গেছে,
তাদের
অনুমোদনের
ফল
হয়েছে
ধ্বংস,
অপমৃত্যু। তখনই
আমি
নিশ্চিত
হয়েছি
কপটতা
হচ্ছে
এমন
একটি
দোষ
যা
সংশোধিত
হয়
না।
শুনুন,
বেনফিল্ড,
হেস্টিংস
ও
অন্যদের
অবস্থা
এবং
সমৃদ্ধির
কথা। এদের
মধ্যে
পরেরজন
সম্পর্কে
রুক্ষতার
যে
নিন্দা
শোনা
যায়
তা
নজিরবিহীন। তারা
দুঃখ
করে
বলেন,
সম্পত্তি
চিরদিনের
জন্য
সরিয়ে
দেওয়ার
ক্ষমতা
এমন
হাতে
পড়েছে,
বিগত
চৌদ্দটি
বছর
প্রায়
বিরতিহীনভাবে
তারা
সকল
প্রকারের
সকল
বিষয়
নিরঙ্কুশভাবে
পরিচালনা
করেছেন। পুরো
সময়টা
বিপুল
সম্পত্তি
হস্তগত
করেছেন। তার
অনুগ্রহ
এবং
ভ্রূকুটির
ওপর
শত
শত
মানুষের
ভাগ্য
নির্ভর
করত। তিনি
নিজে
বলেন,
তিনি
প্রায়
আড়াই
শ
তরুণ
ভদ্রলোকের
দায়িত্বে
আছেন। তাদের
অনেকেই
ইংল্যান্ডের
সেরা
পরিবার
থেকে
এসেছে। সকলেরই
উদ্দেশ্য
জীবনের
প্রথম
দিকেই
বিশাল
ভাগ্য
নিয়ে
ইংল্যান্ডে
ফেরা
[বার্ক
হেস্টিংস
প্রেরিত
একটি
নোটের
উল্লেখ
করছেন]
। আপনাদের
প্রায়
আড়াই
শ
জনের
মতো
সন্তান
তার
জিম্মায়
আছেন,
যারা
আপনাদের
ভালো
ব্যবহার
প্রত্যাশা
করছেন। তারা
দেশীয়দের
অভিশাপে
ভারাক্রান্ত
আছে,
পরিচালকমণ্ডলীর
ভৎসনার
ওপর
আছে
আর
এই
হাউজের
বিভিন্ন
প্রস্তাবে
বিস্ফোরণের
মুখে
আছে।
আর
তিনি
জানামতে
এখনো
ভারতবর্ষের
সবচেয়ে
স্বেচ্ছাচারী
ক্ষমতার
অধিকারী। তিনি
স্বেচ্ছাচারভাবে
তার
খল
প্রভুদের
নিয়ে
যথেচ্ছভাবে
শাসন
করেন।
অন্যদিকে
যারা
মহাপরিচালকের
প্রশংসা
পেয়েছে,
তাদের
ভাগ্যের
কথা
চিন্তা
করুন। একজন
সেরা
মানুষ
কর্নেল
মনসন
[Colonel Monson]
কোম্পানির
সমর্থন
হারিয়ে
শুধু
প্রশংসা
নিয়ে
জীবনের
পরিসমাপ্তি
ঘটিয়েছেন
[সুপ্রিম
কাউিন্সিলে
মনসন
এবং
ক্ল্যাভারিং
- হেস্টিংসের
বিরোধিতা
করেছেন;
ভারতে
যথাক্রমে
১৭৭৬
সলে
১৭৭৭
মারা
যান]। জেনারেল
ক্লেভারিংয়ের
[General Clavering]
প্রশংসা
লন্ডনের
প্রতিটি
সংবাদপত্রে
ছাপা
হত। যার
শবযান
নয়নাশ্রুতে
সিক্ত
ছিল। কোর্ট
অব
ডাইরেক্টরদের
প্রশংসায়
পরিবৃত
ছিল। যে
সকল
বিশ্বাসঘাতকের
প্রশংসা
তাকে
ধ্বংস
করেছে
তাদের
জন্য
সৎ
এবং
রুষ্ট
ঘৃণাপরবশ
হৃদয়ের
ঘৃণার
বহিঃপ্রকাশ
ঘটে। পরিচালকমণ্ডলীর
অনিষ্টকর
প্রশংসার
মধ্যে
অসাধারণ
ধৈর্য
ও
মেজাজ
মি.
ফ্রান্সিসকে
অনেকটা
সাহায্য
করল। অবশেষে
তার
স্বাস্থ্য
ভেঙে
পড়ল,
হতাশা
নিয়ে
ইউরোপে
ফিরে
এলেন। ফিরে
আসার
পর
ইন্ডিয়া
হাউজ
তার
জন্য
বন্ধ
হয়ে
গেল
অথচ
তিনি
ছিলেন
নিয়ত
প্রশংসার
বস্তু। তিনি
সকল
প্রশংসার
দাবি,
ফলাফল,
দল
এবং
জনবল
বাজেয়াপ্ত
করে
জীবন
নিয়ে
পালিয়ে
এলেন। তিনি
বলতে
পারেন,
"Me nemo
ministro fur erit, atque ideo nulli comes exeo." [ডাকাতিতে
কেউ
আমার
সহায়তা
পাবে
না,
কাজেই
কোনো
গভর্নর
আমাকে
কর্মচারী
বানাবে
না—
জুভেনাল
স্যাটায়ার
II - ৪৬ - ৭]।
এই
ব্যক্তি,
যার
গভীর
জ্ঞান,
ব্যাপক
সংসদীয়
অভিজ্ঞতা,
সুবৃহৎ
কৌশল
পরিকল্পনা,
আমাদের
সংবাদের
উজ্জ্বলতম
অংশ,
যার
নিকট
থেকে
আমরা
শিক্ষা
নিয়েছি। সেইসকল
ভদ্রলোকেরা
যারা
সংক্ষিপ্ত
অভিজ্ঞতা
থেকে
বলে,
তারা
তার
নিকট
থেকে
অভিজ্ঞতা
নিয়েছে
[অনুমান
করা
হয়
জুনডাসের
উল্লেখ। তার
বিলের
১৭৮৩
অনেক
অধ্যায়
ফ্যান্সিসের
পরিকল্পনা
নিয়ে
রচিত
হয়েছে]।
যদি
ভালো
কিছু
শিখে
থাকি
তবে
তা
তার
কাছ
থেকে
শিখেছি। কর্মচ্যুত
হয়ে,
পরিচালকের
সমর্থন
হারিয়ে
তার
কোনো
পুরস্কার,
কৃতিত্ব
ছিল
না,
শুধু
ছিল
আত্মার
কিরণ
যা
একটি
সুস্থ
বিবেক
[আত্মার
নীরব
সূর্যকিরণ
স্টুন্যের
পুরস্কার
- দেখুন
পোপ:
এসে
অন
ম্যান
IV ১৬৮-৯]। প্রতিটি
মানুষের
কাছে
প্রয়োজনীয়
এমনি
কাজ
তিনি
এত
করেছেন,
তার
সম্পর্কে
এমনি
কথা
বলাও
অকিঞ্চিৎকর।
এ
ছাড়া
প্রতিটি
ব্রিটিশ
নাগরিক
ওপর
থেকে
নিচ
পর্যন্ত
যারাই
আত্মসাৎ
তদন্তে
ব্যস্ত
ছিল
তাদের
ধ্বংস
করে
দেওয়া
হয়েছে। তাদের
ভারত
থেকে
তাড়িয়ে
দেওয়া
হয়েছে। যখন
তারা
দেশে
আবেদন
করেছে,
তাদের
কথা
শোনা
হয়নি,
যখন
দেশে
ফিরতে
চেষ্টা
করেছে
থামিয়ে
দেওয়া
হয়েছে। তাদের
চরিত্র
এবং
সৌভাগ্য
সবদিক
থেকে
শেষ
করে
দেওয়ার
জন্য
প্রতারণা,
ক্ষমতার
অপব্যবহার
কোনোটিই
বাদ
রাখা
হয়নি।
এর
চেয়ে
অধিকতর
খারাপ
হয়েছে
ভারতের
দেশীয়
হতভাগ্য
ব্যক্তিদের। কোম্পানির
ভণ্ডামির
কারণে
তাদের
নিকট
থেকে
অত্যাচারের
অভিযোগ,
অর্থ
আত্মসাতের
অভিযোগ
এসেছে। রাজশাহীর
রানী
[the Ranny of Rajeshahi -
রানী
ভবানী
বলে
পরিচিত। তার
প্রতি
হেস্টিংসের
ব্যবহার
দেখুন,
মার্শাল,
ইমপিচমেন্ট
অব
হেস্টিংস
১৪৩-৪],
বর্ধমানের
রানী
[the Ranny of Burdwan - বিষ্ণু
কুমারী,
দেখুন
পি.জে.
মার্শাল
নব
কিশেন
বনাম
হেস্টিংস,
বুলেটিন
অব
স্কুল
অব
অরিয়েন্টাল
অ্যান্ড
আফ্রিকান
স্টাডিজ
XXVII১৯৬৪-৩৯০],
আমবোয়র
রানী
[the Ranny of Ambooah
- বর্ধমানের
বিধবা
রাজপত্নী]
সম্মান
ও
নিরাপত্তার
জন্য
কোম্পানির
প্রতি
দুর্বল
এবং
চিন্তাশূন্য
বিশ্বাসের
কারণে
সম্পূর্ণ
ধ্বংস
হয়েছেন। প্রথম
জন
যিনি
প্রতি
বছর
দুই
হাজার
পাউন্ডের
বেশি
কর
দিতেন,
যিনি
ছিলেন
একজন
সম্রাজ্ঞীর
মর্যাদাসম্পন্ন,
বিশ্বাসযোগ্য
সূত্রে
জানা
যায়,
তিনি
এতটা
কপর্দকশূন্য
হয়ে
পড়েন
যে,
তিনি
ভিক্ষার
আশায়
থাকতেন। মোহাম্মদ
রেজা
খান
[Mahomed Reza Khân],
বাংলার
দ্বিতীয়
মুসলমান,
যিনি
পরিচালকমণ্ডলীর
কুলক্ষণযুক্ত
নিরাপত্তা
সম্মান
ভোগ
করতেন,
তাকে
কোনো
প্রকার
ছলচাতুরির
তদন্ত
ছাড়াই
চাকুরিচ্যুত
করা
হল
এবং
নিম্নস্তরে
নামিয়ে
আনা
হল। তার
পুরনো
রাজনৈতিক
প্রতিদ্বন্দ্বী,
যাকে
ভারতবাসী
সম্মানজনক
এবং
পবিত্র
মনে
করেন,
সেই
রাজা
নন্দকুমারকে
[Nundcomar] দেশবাসীর
মুখের
ওপর
ফাঁসি
দিল। যাদের
আপনারা
পাঠিয়েছিলেন
ওই দেশবাসীকে
রক্ষার
জন্য,
সেই
জজরা
তাকে
ফাঁসি
দিল
ব্রিটিশ
পার্লামেন্টের
একটি
আইনে। মি. হেস্টিংসের
বিরুদ্ধে
তার
অভিযোগ
ছিল। অভিযোগকারীকে
ফাঁসি
দেয়া
হল। প্রকৃত
দোষী
যে
তার
তদন্ত
হল
না,
মুক্তি
হল
না,
ওই
হত্যাকাণ্ডে
জয়োল্লাস
করল। এই
হত্যাকাণ্ড
শুধু
নন্দকুমারের
নয়
বরং
সকল
সাক্ষীর
এবং
এমনকি
সকল
অজাত
সাক্ষীর। দেশীয়দের
নিকট
থেকে
গভর্নরের
বিরুদ্ধে
আর
কোনো
অভিযোগের
কথা
শোনা
গেল
না। ভারতের
সকল
অভিযোগের
পরিসমাপ্তি
ঘটল।
মানুষ
সংসদের
আইন,
রীতিনীতি,
ঘোষণা,
ভোট,
প্রস্তাবনা
আর
খুঁজবে
না। না, তারা
এত
বোকা
না। তারা
ক্ষমতার
পথ,
সম্মান,
ধন
খুঁজবে। তাঁরা খুঁজবে
কিসের
অবহেলায়
অসম্মান,
দারিদ্র্য,
নির্বাসন,
বন্দিত্ব,
ফাসি
হয়। এগুলো
তাদের
পথ
খুঁজে
দেবে। আপনারা
যা
দেবেন
তা-ই
আপনাদের
সরকারের
চরিত্র
ও
সুর
নির্ধারণ
করবে। বাকি
সব
মুখ
বিকৃত। পুরস্কার
এবং
শাস্তি
প্রদানের
ব্যাপারে
আমি
পরিচালকমণ্ডলীকে
অভ্যাসগত
বিশ্বাসঘাতকতায়
অভিযুক্ত
করি,
আমি
সকলকেই
দোষারোপ
করি
না। স্যার, প্রায়শই
তাদের
মধ্যে
ভালো
চরিত্রের
এবং
গুণসম্পন্ন
মানুষ
আছে। কোর্টের
ঘোষণা
এবং
চরিত্রে
বৈপরীত্য
পরিলক্ষিত
হয়।
এখানে
বলা
যায়,
রেকর্ডে
বিষয়বস্তুর
কারণে
সৎ
পরিচালকেরা
অনেক
সময়
ভারতীয়
কর্তৃক
নিন্দিত
হয়। এটা
থামানো
যায়
না। অন্যায়টা
রেকর্ডে
ভাসতে
থাকে। অন্যায়কারীরা
যেখানেই
থাকুক,
তারা
তাদের
নিজেদের
সম্মানের
ব্যাপারে
উৎকণ্ঠিত
থাকে। যখন
তদন্ত
হয়,
তদন্তের
ব্যাপারে
কিছুটা
নমনীয়
হয়। কার্যক্রমের
ধার
কমে
যায়। এতে
কিছুটা
নিরপেক্ষতার
ছাপ
ফিরে
আসে,
পরিচ্ছন্নতা
ফিরে
আসে,
যৌক্তিকতা
পাওয়া
যায়। বিশ্বাসঘাতকতা ব্যাপারগুলো
স্বাভাবিকতায়
রূপ
নেয়। নতুন
বিষয়
আসে,
পুরনোটা
সেকেলে
হয়ে
যায়। এই
সার্কেল
চলতে
থাকে
এবং
এভাবে
তাদের
শাস্তির
পরিবর্তনের
জন্য
আপসে
আসতে
হয়। লজ্জা, হতাশা
সব
নিয়েই
কোম্পানির
কর্মচারীদের
তাদের
কোর্ট
থেকে
বের
হতে
হয়। তাদের
চাকরির
স্বার্থে
কাজ
করতে
হয়।
এটাই
স্যার
তাদের
চরিত্র। অগোচরে
যে
বিধান
পরিবর্তন
হয়েছে
এটা
তারই ফল। এই
পরিবর্তন
হয়েছে
অলক্ষে
কিন্তু
এটা
এখন
শক্ত
ও
অপরিণত। এটা
ঘোষিত
এবং
সকল
সংস্কারের
ঊর্ধ্বে। কোম্পানিকে
পূর্বে
যে
অর্থে
বোঝাত
তার
অস্তিত্ব
আর
নেই। এটা
প্রশ্ন
না
যে,
ভারত
ভাণ্ডারের
মালিকদের
কী
ক্ষতি
আপনি
করতে
পারেন। ক্ষতি
করার
মতো
এমন
কোনো
লোক
নেই,
যারা
কোম্পানি
পরিচালনায়
সক্রিয়
ভূমিকা
নেয়,
যারা
কোর্ট
পরিচালনা
করে,
অফিস
পরিচালনা
করে,
প্রয়োজনে
বিভিন্ন
পদক্ষেপ
নেয়। লভ্যাংশের
উত্থান-পতন
নিয়ে
উদ্বিগ্ন,
তাদের
দেশ
পরিচালনা
ব্যতীত
তাদের
তারা
শাসন
করে,
তাদের
স্বার্থই
তাদের
প্রাথমিক
লক্ষ্য
হবে। নিজেদের
স্বার্থেই
অধীনস্থদের
তহবিল
তছরুপ
রোধ
করতে
আগ্রহী
হবে,
অন্য
যেকোনো
ধরনের
লোকের
চাইতে। বেতনভুক্তদের
নিকট
অতি
সহজে
এই
সংস্থা
ফেলনার
মতো
ব্যবসা
ছেড়ে
দেবে
না। কিন্তু
ঘটনা
পাল্টে
গেল। পরিচালক
বা
মালিকের
গুণই
হোক
আর
যাই
হোক,
ভাণ্ডারের
মূল্য
নেই
এবং
এটা
অসম্ভব
যে
এটা
থাকবে। একজন
পরিচালকের
মূল্য
দুই
হাজার
পাঁচ
শ
পাউন্ড
এবং
শতকরা
আট
ভাগ
সুদ
যা
একশত
ষাট
পাউন্ড
প্রতি
বছর
[ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
একজন
পরিচালক
কমপক্ষে
২০০০
পাউন্ড
জমা
রাখতে
পারতেন]। এটা
দশেই
উঠুক
বা
ছয়তে
নেমে
যাক
অথবা
না
নামুক
তাতে
কী
আসে
যায়। যার
পুত্র
দুই
মাস
পূর্বে
বাংলায়
ছিল,
কাউন্সিল
অব
চেম্বারে
পা
দেওয়ার
আগে
পূর্ণ
কনটাক্ট
চল্লিশ
হাজার
পাউন্ডে
বিক্রি
করে
[স্টিফেন
সুলিভান
এবং
আফিম
চুক্তির
উল্লেখ]। স্বাভাবিকভাবে
ভাণ্ডারগুণের
কারণে
কেনা
হয়েছে। ভোট
ভাণ্ডারকে
রক্ষা
করে
না,
ভাণ্ডার
রাখা
হয়
ভোটের
জন্য। ভোটের
উদ্দেশ্য
হচ্ছে
ঢেকে
রাখা
এবং
তাকে
সমর্থন
করা
যা
ন্যায়বিচারের
বিরুদ্ধে
যায়। তাকে
সমর্থন
করা,
যে
ভারতে
অসুস্থভাবে
সৌভাগ্য
লাভ
করেছে। তাদের
ক্ষমতায়
রাখা,
যারা
ক্ষমতাটাকে
ব্যবহার
করে
সৌভাগ্য
গড়ে
তুলছে। তাদের
সুরুচি
হিসেবে
অব্যাহত
রাখা,
যাতে
তারা
“কাচা
মুক্তা
এবং
স্বর্ণ” ["barbaric pearl and gold," - মিলটন,
প্যারাডাইজ
লষ্ট
II - ৪।]
অর্থাৎ
লুটের
মাল
ঢেলে
দিতে
পারে। তাদের
ওপর
এবং
তাদের
পরিবার-পরিজনের
ওপর। কাজেই
কোম্পানির
আত্মীয়-স্বজনেরা
শুধু
পরিবর্তনই
হয়নি,
বরং
উল্টে
গেছে। ভারতীয়
কর্মচারীরা
পরিচালকদের
দ্বারা
নিয়োগপ্রাপ্ত
হয়
না
বরং
পরিচালকরা
তাদের
দ্বারা
মনোনীত
হন। ব্যবসা
চলে
তাদের
পুঁজিতে। তাদের
নিকট
দেশের
রাজস্ব
বন্ধক
রয়েছে। সর্বময়
ক্ষমতার
আসন
কলকাতায়। লিডেন
হল
স্ট্রিটের
বাড়িটা
[The house in Leadenhall
Street] শুধু
এজেন্টদের
পরিবর্তনের
জায়গা,
প্রধান
ব্যক্তি,
প্রতিনিধিদের
সাক্ষাতের
বিভিন্ন
বিষয়ে
খোঁজখবর
নেয়ার,
কোনো
স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট
বিষয়ে
সমর্থনের
জায়গা। অপরাধী
কর্মচারীদের
পরিচিত
এজেন্টরা
তাদের
বাহিনীকে
প্রস্তুত
করছে
আর
তারা
সব
সমাবেশের
প্রধান
মুখপাত্র। সবকিছু
এই
প্রক্রিয়ায়
চলছে। স্বাভাবিক
ঘটনাপ্রবাহে
চলছে। আমি
কোম্পানির
অসংশোধনীয়
অবস্থার
কথা
বলে
শেষ
করব। এই
সাথে
নতুন
কথা
বলব
যেখানে
বলব
কোম্পানির
জেদের
কথা,
কর্মচারীদের
সংস্কারবিরোধিতার
কথা। এইসব
ঘটনায়
বের
করতে
সক্ষম
হবেন
সনদের
ব্যাপারে
নাছছাড়বান্দা
হওয়ার
প্রকৃত
কারণ। দু
বছর
হল
কোম্পানির
বড়
ধরনের
নিয়মভঙ্গ
এবং
ধ্বংসপ্রায়
অবস্থার
কারণে
আমরা
কোম্পানির
অব্যবস্থা
এবং
কর্মকাণ্ড
তদন্ত
করার
জন্য
দুটো
কমিটি
করে
দিয়েছিলাম। এই
কমিটি
বিরামহীন
প্রচেষ্টার
মাধ্যমে
অনেক
তথ্য
সংগ্রহ
করেছে
এবং
সর্বসাধারণের
জন্য
তা
ছেপেছে। যদিও
বিভিন্ন
ধরনের
ব্যক্তি
সমন্বয়ে
কমিটি
হয়েছিল,
কিন্তু
তাদের
ফলাফল
একই। ভারতীয়
প্রশাসনের
তারা
নিন্দা
করেন
এবং
এর
জন্য
দু
জনকে
দায়ী
করেন
এবং
তাদের
কর্মস্থল
থেকে
লন্ডনে
ফিরিয়ে
আনার
ঘোষণা
দেন। তারা
জাতির
সম্মান
ও
রীতির
পরিপন্থী
কাজ
করেছেন
এবং
ভারতে
মহাদুর্যোগ
সাধন
করেছেন
এবং
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানি
প্রভূত
ব্যয়সাধন
করেছে["because they
had acted in a manner repugnant to the honor and policy of this nation, and
thereby brought great calamities on India and enormous expenses on the East
India Company." - হেস্টিংসের
উইলিয়াম
হর্নবাই
(১৭২২-১৮০৩)-এর
বিরুদ্ধে
প্রস্তাব,
গভর্নর
অব
বোষে
৩০
মে,
১৭৮২.]।
এগুলো
হচ্ছে
সম্পূর্ণরূপে
হাউজের
আর্থিক
প্রস্তাবনা। এখানে
সনদের
কোনো
ব্যাপার
না। তাদের
সম্মান,
স্বার্থ,
রীতিনীতি,
সুযোগ-সুবিধার
কোনো
ব্যাপার। স্বাভাবিকভাবে
কোর্ট
বসল
তাদের
চিহ্নিত
করার
জন্য। হাউজের
কার্যধারা
যা-ই
হোক,
তারা
পরিচালকমণ্ডলীকে
নির্দেশ
দিল
মি.
হেস্টিংস
এবং
মি.
হর্নবাইকে
[Mr. Hornby]
অপসারণের
ব্যাপারে
তারা
যেন
কোনো
প্রস্তাব
গ্রহণ
না
করে। পরিচালকমণ্ডলী
হাউজের
প্রতি
ন্যূনতম
সম্মান
রেখে
একটি
তদন্ত
কমিটি
গঠন
করল,
যা
জুন
থেকে
অক্টোবর
পর্যন্ত
তদন্ত
চালাল। সযত্ন
পরীক্ষা-নিরীক্ষার
পর
আমাদের
সিদ্ধান্তকৃত
ব্যক্তিকে
অপসারণের
জন্য
সিদ্ধান্ত
দিল। যদিও
সাক্ষীগুলোর
ব্যাপারে
তারা
ভীষণ
সংগ্রাম
চালিয়েছিল। সাত
জন
পরিচালক
কোর্টের
বিরুদ্ধে
ভোট
পর্যন্ত
দিয়েছে। এতে
জেনারেল
কোর্ট
শঙ্কিত
হয়। পুনরায়
বসে। তারা
পরিচালকদের
প্রস্তাব
পরিহার
করতে
বলে। অর্থাৎ
হেস্টিংস
ও
হর্নর্বাইকে
প্রত্যাহার
না
করা
এবং
হাউজ
অব
কমন্সকে
নিন্দা
করা। কোনো
কাগজপত্র
দেখার
ছল
না
করেই,
কোনো
কমিটি
গঠন
না
করেই
তারা
তাদের
মহাপরিচালকদের
কিংবা
এই
হাউজের
তোয়াক্কা
করেনি
[শেয়ারহোন্ডারদের
একটি
ব্যালট
ভোটে
৪২৮-৭৫
হেস্টিংসের
প্রত্যাহার
আদেশ
বাতিল
হয়,
২৪
শে
অক্টোবর
১৭৮২]।
স্বাভাবিকভাবে
প্রশ্ন
আসবে,
কীভাবে
এটা
সম্ভব
হল। তারা
ঘটনার
কোনো
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
না
করে
গণ-কর্তৃত্বকে
উপেক্ষা
করে
স্বতঃপ্রবৃত্ত
হয়ে
কীভাবে। নিজেদের
জাহির
করে?
উত্তর
একটাই
এবং
তা
হচ্ছে
তারা
ভীত
ছিল
এই
ভেবে
যে,
তাদের
সঠিক
সম্পর্কের
ব্যাপারে
ভুলবোঝাবুঝি
হতে
পারে। তারা
ভীত
ছিল
তাদের
ভারতের
মুরব্বির
প্রভুরা
তাদের
সমর্থক
ভাববে,
একটি
মতামতের
কারণে,
ক্ষমতার
আসক্তির
কারণে
নয়। তারা
ভীত
ছিল,
সন্দেহ
করা
হতে
পারে,
ক্ষমতার
ব্যবহারটা
তারা
অন্ধভাবে
সমর্থন
করেনি। তারা
এটা
দেখাতে
স্থির
সংকল্প
ছিল,
তারা
অন্ততপক্ষে
সংস্কারের
বিরুদ্ধে,
তারা
দেশটির
ব্যবসা,
কোম্পানি
ভাণ্ডার
সবই
ধ্বংসের
পক্ষে
ছিল। শুধু
নিজেদের
সৌভাগ্য
গড়ার
স্বার্থে। নামমাত্র
দাম
(প্রজা)
বা
প্রকৃত
প্রভুও
বড়
কথা
নয়। এই
অধিবেশন
শুরু
থেকেই,
তদন্তের
রীতিনীতির
প্রতি,
এই
হাউজের
প্রতি
অবজ্ঞা
দেখিয়ে
তারা
একই
ধরনের
ঔদ্ধত্যের
পুনরাবৃত্তি
করেছে। তারা
পুনরায়
তাদের
প্রিয়জনদের
অনুরোধ
করেছে
অপরাধীকে
পদে
রাখতে। ঘটনার
পক্ষে-বিপক্ষে
বোঝা
যেতে
পারে
এমন
কোনো
কাগজ
তলব
করতে
না
বলে
অথবা
মারাঠা
সন্ধির
[Mahratta peace]
মর্ম
বুঝতে
ও
অনুধাবন
করার
সময়
না
দিয়েই
তারা
অপরাধীদের
ধন্যবাদ
দিয়েছে,
প্রশংসা
করেছে
[শেয়ারহোল্ডাররা
ভোটে
হেস্টিংসকে
ধন্যবাদ
জানায়
৭ই
নভেম্বর
১৭৮৩
সালে]। বিষয়টা
হচ্ছে,
দীর্ঘদিন
যাবৎ
কোম্পানি
ও
তার
কর্মচারীদের
মধ্যে
প্রচ্ছন্নভাবে
একটি
দ্বন্দ্ব
ছিল। এই
দ্বন্দ্ব
আর
নেই। কিছুদিন
যাবৎ
প্রাধান্য
নির্ধারিত
হয়েছে। কোর্ট
অব
প্রপ্রাইটার
এবং
কোর্ট
অব
ডাইরেক্টরদের
মধ্যে
ক্ষমতায়
অধিকতর
ভারী
হওয়ার
নিয়ামক
হচ্ছে
বিদেশে
স্বার্থ। আপনারা
তাদের
কর্মকাণ্ডের
তদন্ত
এবং
অপকর্মের
সংস্কার
করার
উদ্যোগ
নেয়াতে
তারা
ক্ষুব্ধ
এবং
তাতে
তাদের
সমর্থন
আরো
দৃঢ়
ও
সম্পূর্ণ
হয়েছে। কোম্পানির
উদ্দেশ্য
একটাই
এবং
যে
জন্য
সে
চিহ্নিত
হয়েছে
তা
হচ্ছে
ভারতের
ধ্বংসকারী। এই
মহা
অপরাধটিই
তারা
তাদের
কর্মকাণ্ডে
গ্রহণ
করেছে। আপনারা
যা
দৃঢ়ভাবে
প্রতিবাদ
করছেন
তারা
তা
সমর্থন
করছেন। আপনারা
যা
নিন্দা
করছেন
তারা
তার
প্রশংসা
করছেন। আপনারা
তাদের
কর্মকাণ্ডের
জবাবদানের
জন্য
ঘরে
ফেরার
নির্দেশ
দিচ্ছেন,
তারা
থাকার
জন্য
অনুরোধ
করছে
অর্থাৎ
তাদের
কর্মকাণ্ড
চালিয়ে
যাওয়ার
জন্য
উৎসাহিত
করছে। এইভাবে
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
কর্মচারীর
হল
জয়
আর
বৃটেনবাসীর
প্রতিনিধিদের
পরাজয়। আমি
এভাবেই
শেষ
করছি। আপনারাও
তাই
করবেন। এই
সংস্থা
তার
উদ্দেশ্যচ্যুত
হয়ে
সম্পূর্ণ,
অসংশোধনীয়
অবস্থায়
পরিণত
হয়েছে। যেহেতু
তারা
তাদের
চরিত্রে
ও
গঠনে
অসংশোধনীয়,
তাই
পৃথিবী
শুরুর
পর
থেকে
পৃথিবীতে
যেমন
পরিবর্তন
ও
বিপ্লব
হয়েছে,
তেমনি
তাদের
হাত
থেকে
ক্ষমতা
ছিনিয়ে
নিতে
হবে।
আমার
যথার্থ
সম্মানিত
বন্ধুর
বিরুদ্ধে
পরিকল্পনার
সাধারণ
নীতি
সম্পর্কে
যে
কথা
উঠেছে
সে
সম্পর্কে
কিছু
বলব। পরিচালকমণ্ডলীর
নিকট
ভারত
শাসন
পুনঃঅর্পণ
করতে
হবে। ধ্বংসকারীর
নিকট
যারা
ভারত
সংস্কার
অর্পণ
করতে
চায়
তারা
সংস্কারের
শত্রু। তারা
পরিচালক
এবং
স্বত্বাধিকারীর
মধ্যে
পার্থক্য
সৃষ্টি
করতে
চায়,
বর্তমান
অবস্থায়
তা
নেই
এবং
থাকতে
পারে
না। একজন
যথার্থ
সম্মানিত
ভদ্রলোক
বলেন
তিনি
বর্তমান
ভারতকে
পরিচালকমণ্ডলীর
হাতে
রাখতে
চান
এবং
কিছু
হিতকর
নিয়ম
দিয়ে
তাদের
নিয়ন্ত্রণে
রাখতে
চান
[বার্ক
পিট
সম্পর্কে
এই
মত
দিচ্ছেন। কোম্পানির
সংস্কারের
ব্যাপারে
তিনি
অত্যন্ত
সতর্কতার
সাথে
বক্তব্য
দিয়েছেন]।
হিতকর
নিয়ম
দিতে
চান,
চমৎকার। অর্থাৎ
পুরনো
অপরাধীকে
পুরনো
অপরাধ
সংশোধন
করতে
দিতে
চান। তিনি
হিতকর
নিয়ম
দিয়ে
দোষী
এবং
মূর্খকে
পুণ্যবান
এবং
জ্ঞানী
করতে
চান। তিনি
নেকড়েকে
মেষের
অভিভাবক
করতে
চান। তবে
তিনি
(সম্ভবত)
এমন
বিস্ময়কর
মুখবন্ধনী
আবিষ্কার
করেছেন,
যাতে
নেকড়ে
বেশি
হলে
দু-এক
ইঞ্চি
খুলতে
পারবে। এভাবে
তার
কাজ
শেষ
হল। আমি
সেই
যথার্থ
সম্মানিত
ভদ্রলোককে
বলতে
চাই,
নিয়ন্ত্রিত
অপকর্ম
নির্দোষিতা
নয়। অপরাধীকে
আটকে
রাখলেই
অপকর্ম
সংশোধিত
হয়। এই
ভদ্রলোকেরা
কি
নিজেদের
দোষের
জন্যই
কোনো
সংশোধনের
ব্যাপারে
অপকর্মের
হোতাকে
বা
উৎসাহদাতাকে
সংশোধন
করতে
বলে
না?
ভারতের
হতভাগ্য
মানুষ
যদি
দেখে,
পুরনো
অত্যাচারী
পূর্ণ
ক্ষমতায়,
হয়ত
সংস্কারের
কারণে,
তবুও
তারা
পুরনো
কষ্টের
স্থায়ীকরণ
কিংবা
অধিকতর
খারাপ
হওয়াই
ভাববে। তারা
ক্ষমতার
আসন
এবং
যে
তা
পূরণ
করে
তাকে
দেখে। তারা
ওই
ভদ্রলোকদের
নিয়মকানুনকে
ঘৃণা
করে
এবং
তাদের
কথা
যারা
বলে
তাদেরও
ঘৃণা
করে।
সবকিছুরই
নিরাময়
আছে। মনে
করুন,
বলা
হল
কোর্ট
অব
প্রপ্রাইটার
কিংবা
কোর্ট
অব
ডাইরেক্টররা
তাদের
দায়িত্ব
পালন
করবে। হ্যা, এ
পর্যন্ত
তারা
তা
করেছে। কোর্ট
অব
প্রপ্রাইটার
থেকে
সকল
অকল্যাণের
সূত্রপাত
এটা
মিথ্যা।
এদের
মধ্যে
পরিচালকেরা
অনুষঙ্গী। অধিকাংশ
ক্ষেত্রে
তারা
উৎসাহদাতা
কখনো
আদেশদাতা,
কখনো
উপেক্ষাকারী। কিন্তু
কে
পছন্দ
করবে
সুনিয়ন্ত্রিত
সংস্কারকামী
পরিচালকমণ্ডলীদের?
কেন
সেই
সকল
স্বত্বাধিকারীকে
ক্ষমতার
অপব্যবহারের
জন্য
সকল
কার্যক্রম
থেকে
বাদ
দেওয়া
হয়েছে?
নিঃসন্দেহে
তারা
বেছে
নেবে
তাদের
মতো
লোককে
যারা
তাদের
কর্তৃত্ব
মানতে
বেশি
অগ্রণী। যারা
অপরাধীদের
সাথে
বেশি
স্বার্থ
সংশ্লিষ্ট
তারাই
তাদের
নিয়োগের
বস্তু
হবে। আপনারা
বলুন,
যখন
এই
নিয়োগ
হয়,
স্বত্বাধিকারীরা
পরিচালকমণ্ডলীদের
কর্মকাণ্ডে
হস্তক্ষেপ
করবে
না। কারণ
পরিচালকমণ্ডলী
তখন
ব্যস্ত
থাকবে
তাদের
মুরব্বি
এবং
প্রভুদের
নিয়ন্ত্রণে
থাকার
জন্য। না, বাস্তবে
আমি
বিশ্বাস
করি,
তারা
হস্তক্ষেপ
করতে
ইচ্ছা
প্রকাশ
করবে
না। তারা
পছন্দ
করবে
তাদের,
যাদের
তারা
বিশ্বাস
করতে
পারবে,
নিরাপদে
বিশ্বাস
করতে
পারবে। কাজ
করবে
তাদের
কঠিন
নীতি,
প্রকৃতি,
পথ,
স্বার্থ
এবং
সম্পর্ক
মেনে। তারা
পরামর্শদাতাও
চাইবে
না,
নিয়ন্ত্রণও
চাইবে
না।
ব্যক্তিগত
স্বার্থ
জলাঞ্জলি
দিয়ে
জনগণের
স্বার্থ
মেনে
কাজ
করবে
এই
ধরনের
লোক
পাওয়া
কঠিন। নিজেদের
স্বার্থে
এগিয়ে
আসবে
এমন
লোক
অনেক
পাওয়া
যাবে। কিন্তু
মহাপরিচালকেরা
পা
পিছলে
ন্যায়পরায়ণতা
থেকে
সরে
যাবে। শাস্তি
হবে
জনগণের
কোর্টে
এবং
পরবর্তী
নির্বাচনে
তার
স্মরণ
হবে। ভদ্রমহোদয়েরা
তত্ত্ব
নিয়ে
কৌতুকপ্রদ
আলাপ
করছেন। এই
দেশবাসীর
জন্য
অধিকতর
গণতান্ত্রিক
সরকার
অথবা
অভিজাততান্ত্রিক
সরকার
দেওয়া
হবে
অথবা
পৃষ্ঠপোষকতা
নিয়ে
বিতর্ক
হচ্ছে। বিতর্কের
কোনো
মূল্য
আমি
দিই
না। কোনো
প্রস্তাবেই
আমি
হ্যা
বা
না
বলি
না,
যদি
না
ভারত
সরকার
কোনো
সংস্কার
চায়। যদি
এটা
তাত্ত্বিক
মজা
করে
বিল
পেশ
করে,
তবে
বিষয়টা
হবে
তুচ্ছ
এবং
অপ্রয়োজনীয়। কোম্পানি
সরকার শুধু
প্রতারণাই করেনি,
এটা পৃথিবীতে
যত সরকার
এসেছে সব
চাইতে দুর্নীতিগ্রস্ত
এবং ধ্বংসাত্মক
স্বৈরাচারী।
এটা
একটা
নিষ্ঠুর
পরিহাস
হবে
যদি
এই
ধরনের
দুরাত্মার
প্রতিকার না
করা
হয়।
তৃতীয়
প্রতিবাদে
আসি। এই
বিল
সম্রাটের
প্রভাব
বাড়াবে। একজন
সম্মানিত
ভদ্রলোক
দাবি
করেছেন,
সম্রাটের
প্রভাব
ক্ষুন্ন
করার
জন্য
হাউজে
একটি
পরিকল্পনা
পেশের
জন্য
আন্তরিক
ছিলাম [বার্কের
অর্থনৈতিক
সংস্কার
প্রস্তাব
১৭৭৯-এর
উল্লেখ,
থমাস
পাউয়িস
পার্ল
হিস্ট
xXII ১৩১০.]।
প্রকৃতপক্ষে,
স্যার,
আমি
প্রথম
থেকেই
আন্তরিক
ছিলাম। আমার
মন
উদ্বিগ্ন
ছিল
এবং
আমার
মনে
হয়
জনসাধারণ
এর
ফলাফল
থেকে
বিচ্যুত
হয়নি। আমার
বিবেচনা
কতটুকু
সঠিক
ছিল,
আমার
ব্যক্তিগত
অনুগ্রহ,
তার
ফলাফল
কখনো
মূল্যায়ন
করিনি,
তার
প্রতিক্রিয়ার
কথাও
কোনো
মুহূর্তে
ভাবিনি। এই
বিল
সম্রাটের
প্রভাব
বৃদ্ধি
করে
কি
না
সে
প্রশ্ন
জিজ্ঞেস
করতে
আমি
লজ্জিত
হই। যদি
আমি
অত্যাচার
এবং
স্বৈরশাসন
সংশোধন
না
করতে
পারি,
তবে
তা
আমার
তিরিশ
মিলিয়ন
শ্রেণীর
মানুষ,
দেশবাসীর
জন্য
ধ্বংসের
কারণ
হবে। কিন্তু
সম্রাটের
প্রভাব
বৃদ্ধি
হলে
আমি
এ
কথা
ঘোষণা
করতে
প্রস্তুত
যে,
আমি
একসময়
যা
কমাতে
প্রস্তুত
ছিলাম,
আবার
পুনরায়
তা
পুনরুদ্ধার
করতে
উদ্যোগী
হব। আমি
আমার
নাম
(সুনাম)
চাই
না। যেদিক
থেকেই
আসুক
আমার
প্রচেষ্টা
হচ্ছে
ভালো
কিছু
এবং
সরকারের
সুরক্ষা। আমি
কোনো
সুবিধার
আশ্রয়
নিতে
চাই
না। এর
অনেক,
খুবই
বিপরীত
[Much, very much, the
contrary]।
No comments:
Post a Comment