Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation |
পর্ব ৩ লিঙ্ক
Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 4
স্পিচ অন দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া বিল – এডমান্ড বার্ক - বাংলা অনুবাদ - পর্ব ৪ঃ
যদি কোনো অধীনস্থ রাজ্য বৃহৎ শক্তির পাশে সহজভাবে অবস্থান করে, তবে এটাই সেই রাজ্য। প্রতি বছর দুইশত ষাট হাজার পাউন্ড নিয়মনিষ্ঠভাবে ব্যাংকের সুদসহ প্রদান করা হয়। এর সার্বভৌম ক্ষমতা ছিল রাজা চৈত সিং-এর হাতে যার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে কোনো আগ্রহ ছিল না, তিনি তার ধর্মরাজ্যের রাজধানীর পূর্ণ কর্তৃত্বে ছিলেন। দেশের সমগ্র অংশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা তার আশ্রয় নিয়ে স্বেচ্ছায় রাজস্ব প্রদান করত। কর ব্যতীত তার সার্বভৌমত্ব এবং স্বাধীনতা রক্ষিত হত সকল চুক্তির মাধ্যমে। তার রাজ্য আয়ারল্যান্ডের অর্ধেকের চাইতে বেশি ছিল না। তার মিতব্যয়ী পুরুষানুক্রম শাসনে তার রাজ্যে কৃষি, স্বাচ্ছন্দ্য, প্রাচুর্যে উৎকর্ষ ছিল। তার সম্মান আর আত্মতৃপ্তি ব্যতীত অন্য কোনো ইচ্ছা ছিল না। এই আলোকিত অবস্থার জন্য সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ হত।
মি. হেস্টিংস
বাঁকা
দৃষ্টিতে
দেখলেন। মি. হেস্টিংস
আমাদের
বলেন
চৈত
সিং
সম্পর্কে
তার
নিকট
গোপন
সংবাদ
আছে-
তার
পিতা
[বেনারসের
রাজা
ও
ধর্মগুরু
বলবন্ত
সিং
(মৃ.
১৭৭০)]
তার
জন্য
এক
মিলিয়ন
স্টারলিং
রেখে
গেছেন
এবং
তিনি
প্রতি
বছর
গোপন
ভাণ্ডারে
অর্থ
সঞ্চয়
করেন। নগণ্য
ক্ষমতার
চাইতে
ন্যক্কারজনক
কিছু
হতে
পারে
না। এত
অর্থ
বৈধ
হতে
পারে
না। সৈন্য
সংগ্রহের
ভিত্তিহীন
এবং
মিথ্যা
অভিযোগ
আনা
হয়
এই
রাজার
প্রতি
[১৭৭৮
সন
থেকে
চৈত
সিংকে
সৈন্যবাহিনীর
জন্য
অতিরিক্ত
অর্থ
প্রদান
করা
হত]। হাউজ
তা
অবগত
আছে। সিলেক্ট
কমিটিতে
এক
রিপোর্টে
[দ্বিতীয়
রিপোর্ট]বিষয়টি
যথার্থ
এবং
চূড়ান্তভাবে
পরিষ্কার
হয়েছে,
পরিচালকমণ্ডলীর
এক
প্রকাশনায়
তাদের
বিশ্বস্ত
ভৃত্য
হেস্টিংসের
[হেস্টিংসের
২০
শে
মার্চ
১৭৮৩
সনের
চিঠির
উত্তরে
১৯
শে
নভেম্বর
১৭৮৩
পরিচালকমণ্ডলীর
মন্তব্য। চৈত
সিং-এর
ব্যাপারে
হেস্টিংসের
ব্যবহারে
পরিচালকমণ্ডলীর
নিন্দার
প্রেক্ষিতে]
অভিযোগের
উত্তরে
আমি
বলতে
চাই
এই
আদায়
যথার্থ
কি
না
এবং
সে
কথা
বলার
পর
আমি
আপনাদের
কিছুটা
কষ্ট
দেব
কোম্পানির
মানসিকতা
এবং
তার
পরিচালনা
এবং
কার্যপদ্ধতির
ওপর
কিছু
বলে।
মি.
হেস্টিংসের
মতবাদে
যা
বোঝাতে
তিনি
চেষ্টা
করেছেন,
চৈত
সিং
কোনো
রাজা
নন,
শুধু
একজন
জমিদার। খাজনা
দিয়ে
জমির
দখল
রাখেন
[হেস্টিসের
প্রকাশিত,
কলিকাতা
১৭৮২,
বেনারসের
জমিদারি
সম্পর্কিত
নিবন্ধে
বার্কের
ভাষ্য]।
এটা
যদি
সত্যি
ধরে
নেয়া
যায়,
তবে
পরে
দেখা
যাক
কী
অর্থে
তিনি
বলেন
জমির
দখলদার। কোম্পানি
সরকারের
অধীনে
তিনি
জীবনধারণ
করেন,
তাই
বৃটিশের
প্রজা। তার
মতবাদ
ভালো
করে
বোঝা
যাবে
যা
সম্প্রতি
কোম্পানির
সম্মতি
নিয়েছে। তার
মতবাদ
হচ্ছে-
জমিদারদের
ওপর
পূর্ণ
কর্তৃত্ব
হচ্ছে
কোম্পানির
অথবা
কোম্পানি
যাকে
ক্ষমতা
দিয়েছে। সার্বভৌম
ক্ষমতাধর
ব্যক্তি
বা
তার
প্রতিনিধির
ইচ্ছানুসারে
জীবন
বা
সম্পত্তির
বিনিময়ে
হলেও
কর্তৃপক্ষের
নিকট
যে
অন্তর্নিহিত
আনুগত্য
থাকে
তাই-
সেই
কর্তৃপক্ষ
হচ্ছেন
মি.
হেস্টিংস।
ব্রিটিশ
কর্তৃত্বে
জমিদার
সম্পর্কে
এটাই
হচ্ছে
গভর্নরের
ধারণা। তার
ধারণা
এই
ধরনের
কর্তৃত্ব
পূর্ণভাবে
দেওয়া
হয়েছে। অথচ
সংসদ
কর্তৃক
এই
ধরনের
কোনো
ক্ষমতা
প্রদান
বা
নির্দেশ
দেওয়া
হয়নি। তার
ধারণায়
তার
ক্ষমতাবলে
সে
জমিদারদের
নিকট
থেকে
খাজনার
বাইরেও
যেকোনো
বস্তু
আদায়
করতে
পারে। যদি
তার
দাবির
নিকট
আত্মসমর্পণ
না
করে
তবে
সে
তার
জমি,
জীবন,
সম্পত্তি
বাজেয়াপ্ত
করতে
পারে। তবে
অবস্থাটি
যতই
অতিরিক্ত
এবং
উন্মত্ততা
মনে
হোক,
প্রকৃতপক্ষে
ব্যাপারটি
তা
নয়। তিনি
জোর
করে
বলেন,
যদি
কেউ
অতিরিক্ত
প্রদান
থেকে
অব্যাহতি
প্রার্থনা
করে
অথবা
দলিল
পর্যালোচনা
করে,
যা
তার
মধ্যে
আর
বোর্ডের
মধ্যে
হয়েছে,
“যা
সম
ক্ষমতাসম্পন্ন
রাজ্যের
মধ্যে
চুক্তির
সমান”,
তিনি
বলেন,
“এই
ধরনের
ধারণা
অপরাধী
ধারণা
এং
সে
নিজেও
দায়ী,
যদি
সে
এই
বিশ্বাসে
সমর্থন
প্রদান
করে।”
নতুন
ধরনের
অপরাধ
আবিষ্কার
করেছেন। এই
অপরাধ
হলো
বিশ্বাসকে
সমর্থন
দেওয়া।
- কিসের
বিশ্বাস?
এই
বিশ্বাস
পরিচালকদের,
হেস্টিংসের
প্রভুদের,
এই
সংসদের
কমিটির
এবং
এই
বিশ্বাস
হলো
নবাব
বা
রাজাদের
অধিকার,
হেস্টিংসের
নয়
[চৈত
সিং-এর
ভূ-খণ্ড
কোম্পানি
১৭৭৫
ইং
দখল
করে। বিষয়টি
বিতর্কিত
ছিল:
হেস্টিংস
মনে
করতেন,
কোম্পানির
সার্বভৌম
ক্ষমতায়
তিনি
অন্যদের
চাইতে
পৃথক
ছিলেন
না। সিলেক্ট
কমিটি
দ্বিতীয়
রিপোর্টে
“জনগণের
বিশ্বাস
চুক্তির
মাধ্যমে”
দখল
পাকাপোক্ত
করে]।
ধরে
নিই,
বেনারসের
রাজা
একজন
প্রজা
এবং
একজন
উঁচু
মাপের
অপরাধী—একজন
ন্যায্যবাদী
ইংরেজ
ম্যাজিস্ট্রেট
তার
বিরুদ্ধে
কী
ব্যবস্থা
নিয়েছেন?
তিনি
কী
অভিযোগ
প্রণয়ন
করেছেন
-
বিচারের
অংশ?
না,
যা
কিছুই
করা
হয়নি। হেস্টিংস
মনে
মনে
তাকে
দোষী
সাব্যস্ত
করেন। তিনি
এই
সিদ্ধান্ত
গ্রহণ
করেন,
রিপোর্টের
ওপর
ভিত্তি
করে,
শোনা
কথায়,
চেহারা
দেখে,
গুজবে,
অনুমানে,
ধারণায়
যা
কোনো
পক্ষ
বা
ব্যক্তিকে
সকল
কার্যক্রমের
সময়
কখনো
বলা
হয়নি। গভর্নর
ছলচাতুরি
না
করে
কোনো
নবাব
বা
প্রজার
প্রতি
ন্যায়বিচারের
তোয়াক্কা
না
করে
এই
কার্যক্রম
সম্পর্কে
তার
মনোভাব
ব্যক্ত
করেন
এবং
সংক্ষেপে
মনোভাব
ব্যক্ত
করেন
এই
বলে,
“ধরে
নিই,
আমি
চৈত
সিং-এর
প্রতি
অবৈধভাবে
কঠোরতার
আশ্রয়
নিয়েছি
কিংবা
অন্যায়
করেছি-
আমার
মনোভাব
ব্যক্ত
করছি। কোম্পানির
স্বার্থে
কোম্পানিকে
ডুবন্ত
অবস্থা
থেকে
রক্ষার
জন্য
(সীমাহীন
চাপে
কোম্পানি
ডুবে
যাচ্ছিল। আমি
তখন
একটি
রাজনৈতিক
প্রয়োজন
অনুভব
করি। একটি
দেশীয়
রাজ্যের
ক্রমবর্ধমান
ক্ষমতা
খর্ব
করা
হয়
তাদের
কিছু
অর্থ
আমাদের
সাহায্যে
লাগাতে। এই
ধরনের
বিশেষ
একটি
ধারণা
নিয়ে
আমি
কলকাতা
ত্যাগ
করি।”
এটা
তার
সরল
বর্ণনা। এরপর
বিস্ময়ের
কোনো
কারণ
নেই—রাজার
ধন
আর
তার
অপরাধ,
বিচারকের
প্রয়োজন,
অপরাধীর
প্রাচুর্য
এগুলোকে
পরস্পর
থেকে
বিচ্ছিন্ন
করা
যাবে
না—
এইসব
চিন্তা
যা
হেস্টিংসের
কর্মকাণ্ডের
মধ্যে
পাওয়া
যায়।
“বিচার
এবং
কৌশল
বৃহৎ
অর্থনৈতিক
দণ্ড
আদায়ের
জন্য,
তার
প্রস্তাব,
“কোম্পানির
দুর্দশায়
কথিত
অপরাধীর
দোষের
জন্য
তার
নিকট
থেকে
অর্থ
আদায়।”
তার
প্রত্যয়,
“তার
ক্ষমতার
জন্য
তাকে
বড়
পরিমাণ
দিতে
হবে,
নয়ত
অতীত
অপকর্মের
জন্য
তাকে
কঠিন
শাস্তি
ভোগ
করতে
হবে। যেহেতু
“সম্পত্তি
অনেক
বেশি”
এবং
“কোম্পানির
প্রয়োজন
বেশি,
অতএব
তিনি
মনে
করলেন,
তাদের
সাহায্যের
জন্য
বড়
পরিমাণ
আর্থিক
জরিমানা
আদায়
করা
ন্যায্য
এবং
কৌশল।
- অর্থের
পরিমাণ
(মি,
হোয়েলার
বলেন,
সাক্ষীসহ,
তার
ইচ্ছায়,
তার
খেয়ালখুশিতে),
গভর্নর
প্রস্তাব
করেন,
চল্লিশ
অথবা
পঞ্চাশ
লক্ষে
অর্থাৎ
চারশত
অথবা
পাঁচশত
হাজার
পাউন্ড
বর্ধিত
করতে
হবে,
নয়ত
তাকে
জমিদারি
থেকে
অপসারণ
করতে
হবে। অথবা
তার
দুর্গ
দখল
করে
দুর্গের
অভ্যন্তরস্থ
ধনসম্পত্তি
কোম্পানির
জন্য
দখল
নিতে
হবে।
অপরাধ
যতই
সুবিধাজনক,
কৌশলী,
অত্যাবশ্যকীয়,
দুর্দশা
দূরকারী
হোক,
যে
রীতি
মানে
না,
প্রমাণ
মানে
না,
তার
জন্য
কোনো
কিছুই
আটকায়
না।
এ
ব্যাপারে
আর
একটা
গুরুত্বপূর্ণ
অংশ
আছে। যে
ক্ষমতার
জন্য
হেস্টিংস
প্রচেষ্টা
চালিয়েছে,
যে
ক্ষমতা
কোনো
রাজা
বাদশার
ছিল
না,
কোনো
ব্যক্তিকে
কেউ
সোপর্দ
করেনি,
সেই
সার্বভৌম
ক্ষমতা,
যা
কেবল
সংসদই
দিতে
পারে। নিশ্চিতভাবে
সংসদ
তাকে
সেই
ক্ষমতা
দেয়নি। ১৭৭৩
সালের
আইন
অনুযায়ী
যে
ক্ষমতা
দেওয়া
হয়,
তা
আনুষ্ঠানিক
এবং
প্রথামাফিক। এই
ক্ষমতা
গভর্নর
জেনারেলকে
দেওয়া
হয়নি। ক্ষমতা
দেওয়া
হয়
সংখ্যাগরিষ্ঠ
ভোটসহ
বোর্ডকে। বোর্ড
তাদের
মধ্যে
আলোচনা
সাপেক্ষে
লোকহিতকর
চরিত্র
এবং
অবস্থান
থেকে
সবকিছু
রেকর্ডে
নিশ্চিত
করবে। মি. হেস্টিংস
স্বেচ্ছাচারিতামূলক
কাজ
যাই
করেছেন
সবই
ব্যক্তিগত
দায়িত্বে
করেছেন। বোর্ড
যত
নমনীয়
ন্যায্যই
হোক,
নগণ্য
ছোট
কাজ
করতেও
বোর্ডের
নিকট
থেকে
ক্ষমতা
পেতে
হবে। সেই
কারণে
হেস্টিংস
অন্যায়
ক্ষমতা
দখলকারী। তার
কার্যক্রম
বৈধতা
দিতে
সভার
কোনো
প্রস্তাবনা,
আলোচনা
হয়নি। কোনো
কার্যবিবরণী
লিপিবদ্ধ
বা
বিলিও
হয়নি। বেনারসের
রাজাকে
জরিমানা
ধার্য
করতে
কোনো
প্রতিনিধি
নিয়োগ
করা
হয়নি। তার
নিজস্ব
কার্যবিবরণীতে
তার
ভ্রমণ,
কর্তব্য
এবং
কার্যপরিধি
সম্পর্কে
আছে।
মি.
হোয়েলার
স্বেচ্ছায়
অনেক
পরে
আমাদের
বলেছেন,
মি.
হেস্টিংসের
সাথে
তার
বিভিন্ন
বিষয়ে
দীর্ঘ
আলাপ
হয়েছে। তার
মধ্যে
একটি
গুরুত্বপূর্ণ
গোপন
ইচ্ছার
কথা
বলেছেন,
“রাজার
বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা
নেওয়ার
সমর্থনের
পূর্বাভাষ
তিনি
পূর্বেই
দিয়েছিলেন।”
এই
গোপন
কথাবার্তার
মধ্যে
সমর্থনের
পূর্বাভাসের
যে
কথা
বলা
হয়েছে,
এর
ক্ষমতা
তার
নেই,
বরং
তা
সংসদের
প্রকাশ্য
আইনের
এবং
কোর্ট
অব
ডাইরেক্টরসের
অভিপ্রায়ের
পরিপন্থী
[হেস্টিংস
১৭৮১
সনে
বেনারস
এবং
অযোধ্যা
পরিদর্শন
করতে
সিদ্ধান্ত
নিয়েছিলেন। ভারতে
তখন
সুপ্রিম
কাউন্সিলে
অন্য
সদস্য
ছিলেন
এডওয়ার্ড
হোয়েলার। হেস্টিংস
মনে
করতেন,
তার
ভ্রমণে
যেকোনো
সিদ্ধান্ত
নেওয়ার
একক
ক্ষমতার
অধিকারী]।
যেভাবে
ক্ষমতার
অপব্যবহার
হয়েছে
সমস্ত
পৃথিবীই
তা
জানে। যত
সহিংসতাই
হোক
না
কেন,
রাজার
প্রতি
যে
অভিসন্ধি
নেওয়া
হয়েছিল
তা
যে
ফলপ্রসূ
হয়নি
তা-ও
এই
হাউজ
জানে
[হেস্টিংসের
বাহ্যত
ইচ্ছা
ছিল
চৈত
সিং-এর
নিকট
থেকে
বড়
ধরনের
জরিমানা
আয়
করা
এবং
কোম্পানির
অর্পন
করা। প্রথম
পদক্ষেপ
হিসেবে
গ্রেফতার
করা
কিন্তু
এতে
সশস্ত্র
বিদ্রোহ
শুরু
হয়]। দুর্ভাগা
রাজাকে
ক্ষমতাচ্যুত
করা
হয়। আরো
দুর্ভাগা
দেশ
অধীন
হয়ে
পড়ে
এবং
ধ্বংস
হয়
কিন্তু
একটি
টাকাও
পাওয়া
যায়নি। অর্থহীন
যুদ্ধ
এবং
ক্ষমতার
অপব্যবহারের
কারণে
কোম্পানির
অর্থভাণ্ডার
সমৃদ্ধির
পরিবর্তে
নতুন
যুদ্ধে
জড়িয়ে
পড়ে। তাদের
ক্ষমতার
ভিত্তিমূল
নাড়িয়ে
দেয়। গভর্নরের
হাসি
মিলিয়ে
যেত
যদি
তার
ক্ষমতার
কবচ
সরিয়ে
নেওয়া
হত।
সফলতা
আমার
এখানে
মূল
আলোচনার
বিষয়
নয়। যথার্থ
হত
যদি
একজন
রাজার
সম্পত্তি
পুরোটা
নিয়ে
অপর
কুড়িটি
রাজার
ধ্বংসের
জন্য
ব্যবহার
করা
যেত। রাজাকে
তার
প্রাসাদে
গ্রেফতার
শুধু
অপ্রয়োজনীয়ই
নয়
বরং
অযৌক্তিক। পৃথিবীর
একটি
ভদ্রজাতির
একজন
সম্রান্ত
ব্যক্তির
প্রতি
অভদ্র
ব্যবহার
এবং
অশালীন
ভাষা
প্রয়োগ
নেহায়েতই
অসহ্য। এতে
তার
জাতির
মানুষের
রক্ত
উষ্ণ
করে
দেওয়া
হয়। ঔদ্ধত্য
স্বৈরশাসনকে
আরো
নিচে
নামিয়ে
দেয়। একজন
বৃদ্ধ
মহৎ
লোক
কর্তৃক
সেই
সময়ের
গভর্নর
জেনারেলের
প্রতি
Quicquid
superbia in Contumelies অভিযোগ
আনা
হয়
[অপমানের
মধ্যেই
গর্ব...
সিসেরোর
বক্তব্য]। দুর্ভাগা
মানুষগুলোকে
আরো
অপমান
করা
হয়। একজন
সম্মানিত
সকলের
প্রিয়
রাজার
পরিবর্তে
উসান
সিং
নামের
একজন
ডাকাত,
দস্যুকে
বিড়ালের
মধ্যে
বাজপাখির
মতো
উড়ে
শাসন
করার
জন্য
নিযুক্ত
করা
হল
[উসান
সিং
(১৮০০
মৃত)
বলবন্ত
সিং-এর
দেওয়ান
ছিলেন
এবং
হেস্টিংস
তাকে
চৈত
সিং-এর
কাজে
নিয়োগ
করেন। চৈত
সিং
তাকে
ভয়
ও
ঘৃণা
করতেন]। অপমান
পর্ব
শেষ
হলে
রাজস্ব
একটি
চিন্তার
ব্যাপার
হয়ে
দাঁড়াল। একজন
নাবালকের
অভিভাবক
নিযুক্ত
করা
হল
[চৈত
সিং-এর
উত্তরাধিকারী
হন
মহিপরায়ণ
সিং
(মৃ.
১৭৯৫)
দিগ্বিজয়
সিং
প্রশাসক
তার
পিতা]।
স্যার,
লক্ষ
করুন,
এই
অধঃপতনের
অস্বাভাবিক
পথ
ও
অন্যায্য
ব্যবহারের
ফল
হল
কী?
এতদিন
যে
নিয়মানুবর্তিতার
সাথে
রাজস্ব
আদায়
হত
এখন
তা
বাকি
পড়ে
গেল। কোনো
আনুষ্ঠানিকতা
ছাড়াই
অভিভাবককে
পদচ্যুত
এবং
বন্দী
করা
হল। ভালো
অবস্থা
ছিনিয়ে
নেওয়ার
পর
একসময়ের
এই
সমৃদ্ধশালী
দেশটি
চরম
বিশৃঙ্খলায়
ভরে
গেল। তাদের
অপমানের,
অধঃপতনের,
তিক্ততার
মোলকলা
পূর্ণ
করার
জন্য
একজন
মুসলমান
আলী
ইব্রাহীম
খানকে
হিন্দুদের
পবিত্র
স্থানের
জীবন-মৃত্যুর
ক্ষমতা
দেওয়া
হল
[আলী
ইব্রাহীম
খান
(মৃ.
১৭৯৩)
একজন
অতি
সম্মানিত
ম্যাজিস্ট্রেট]। অথচ
পারশ্য,
তাতার
যুদ্ধজয়ীরা
এদের
সম্মান
করত। মুসলমান
শাসনের
গৌরব
এবং
ধর্মান্ধতার
যুগেও
কোনো
মুসলমান
ম্যাজিস্ট্রেট
ওই
স্থানে
প্রবেশ
করত
না।
কিছু
অর্থের
বিনিময়ে
তাদের
ধর্মগুরুর
নিকট
ধর্মের
কর্মকাণ্ড
সেরে
নেয়াই
এখন
ধর্মের
সারকথায়
পরিণত
হল। অন্য
আরো
কিছু
বিষয়,
যা
ধর্মীয়
সংস্কারের
চাইতে
কম
না,
তাও
কোম্পানি
শাসনে
আনুষ্ঠানিকতায়
পরিণত
হল। নারী
জাতির
প্রতি
শ্রদ্ধা,
বিশেষ
করে
সমাজের
উঁচু
পর্যায়ের
নারীদের
প্রতি
আচরণের
কথা
স্মরণ
করিয়ে
দিতে
চাই। গাজীপুরে
গণ্ডগোলের
সময়
চেত
সিং-এর
মা
পান্না
[রাজপুত্র
জমিদারের
কন্যা
- বলবন্ত
সিং
এর
সাথে
তার
বৈধ
বিবাহ
ছিল]
তার
লোকজন
নিয়ে
বিজগুড়ে
অবস্থান
নেয়। সেখানে
তার
পুত্রের
কিংবা
তার
নিজের
ধনসম্পত্তি
সঞ্চিত
ছিল। ধনরত্ন
যারই
হোক,
সেটা
মূল
কথা
নয়,
এই
মহিলার
প্রতি
কোনো
বিদ্রোহের
অভিযোগ
ছিল
না
(এটা
আশ্চর্য,
কিছুই
পাওয়া
যেত
না),
তারা
স্থির
করেছিল
তার
সৌভাগ্যকে
রক্ষা
করতে। রাজ
প্রাসাদটি
মেজর
পুপহামের
[উইলিয়াম
পপহাম
(১৭৪০-১৮২১)] দখলে ছিল। সৈন্যদের
বেতন
কম
ছিল
এই
আশঙ্কা
করার
কোনো
কারণ
ছিল
না। যেসব
সৈন্য
ভাবত
পূর্ববর্তী
কোনো
অভিযানে
বঞ্চিত
হয়েছে,
তারা
লুণ্ঠনের
জন্য
লালায়িতও
ছিল
না,
কিন্তু
পেশার
সাহসিকতার
ও
উদারতার
মধ্যে
কিছু
সন্দেহ
দেখা
দিত,
কারণ
সার্বিকভাবে
সামরিক
বাহিনীর
মধ্যে
লোলুপতা
ছিল। কোম্পানির
প্রথম
বেসামরিক
ম্যাজিস্ট্রেট
মহিলাদের
মধ্যে
সম্পত্তি
রক্ষার
ব্যাপারে
অস্থিরতা
লক্ষ
করলেন। সামরিক
অনিষ্ট
বন্ধের
জন্য
কিছু
শর্ত
গৃহীত
হল। তিনি
পূর্বে
এ
কয়েকটি
চিঠি
মি.
পুপহামের
নিকট
লিখেছিলেন,
যেগুলো
আমি
দেখিনি
তবে
সেই
চিঠির
সূত্র
ধরে
লেখেন
যাতে
তার
উদ্বিগ্নতা
প্রকাশ
পায়,
“আমার
মনে
হয়
যেসব
দাবি
তিনি
করেছেন
তার
নিরাপত্তা
আর
সম্মান
ছাড়া
আর
সবই
অযৌক্তিক। তার
দাবি
আপনি
প্রত্যাখ্যান
করেছেন,
এই
সংবাদ
সত্যি
হলে
দুর্গে
আপনার
শর্তই
বহাল
থাকবে। আমি
আশঙ্কা
করি,
ভালোমতো
পরীক্ষা
ব্যতীত
সম্পত্তি-দখলকারীকে
অবসর
দান
করলে
তাকে
বঞ্চিত
করা
হবে। এটা
আপনার
বিষয়,
আমার
নয়। আমি
দুঃখিত
হব
এই
জন্য
যে,
আপনার
কর্মকর্তা
এবং
সৈন্যরা
এমন
সম্পত্তি
থেকে
বঞ্চিত
হবে,
যা
তাদের
প্রাপ্য। কিন্তু
রানীর
সাথে
প্রতিশ্রুতির
ব্যাপারে
আপনিই
ভালো
বিচারক,
আপনি
যে
জন্য
যাকে
নিয়োজিত
করবেন
আমি
তা
অনুমোদন
দেব। কিন্তু
রানীর
দুর্দশার
কারণে
জমিদারির
ক্ষমতা
না
থাকলেও
হারলিচ
পরগনা
কিংবা
অন্য
কোনো
পরগনা
ইংরেজ
দখল
করতে
চায়
কিংবা
অন্য
কোনো
ভূমি
বা
অন্য
কোনো
বন্দোবস্তু
চাইলে,
আমি
তাতে
মত
দেব
না।”
এখানে
আপনার
গভর্নর
মহিলাদের
ব্যক্তিগত
অনুসন্ধানের
ব্যাপারে
সৈন্যদের
লোলুপতা
ও
লাম্পট্যে
উৎসাহ
দেয়। যাতে
এই
দুর্ভাগা
প্রাণীরা
তাদের
মেয়েলি
প্রয়োজনের
জন্য
কিছু
না
পায়,
সেজন্য
তিনি
নির্দেশ
করেন
তাদের
পাওনার
জন্য
কোনো
চুক্তি
করা
হবে
না। একজন
রাজার
বিধবা
স্ত্রী
এবং
মাতা
নিজের
অবস্থা
ও
কারণ
ভালোই
বুঝতে
পারলেন। এই
সামাজিক
স্তরের
একজন
মহিলা
মি.
হেটিংসের
ব্যক্তিগত
চাকরের
নিকট
আবেদনকারী
হয়ে
পড়লেন। তার
নিজের
ভাষায়,
“বর্তমান
দৈন্য
এবং
বিপদ
থেকে
উদ্ধার
পাওয়ার
জন্য
মিনতিসহকারে
তার
মধ্যস্থতা
প্রার্থনা
করলেন। তার
নিরাপত্তা
এবং
সম্মান
রক্ষার
কারণে
মূল্যবান
সম্পদসমেত
দুর্গ
সমর্পণ
করার
ইচ্ছা
প্রকাশ
করলেন। তিনি
এত
ভালো
(!), সম্মতি না
দিয়ে
পারেন!”
যদি
তিনি
মূল্যবান
সম্পত্তিসহ
আত্মসমর্পণ
করেন,
শুধু
তার
প্রায়োজনীয়
ও
পছন্দের
জিনিসগুলো
বাদে,
তবে
সেক্ষেত্রে
তা
সম্পাদন
করতে
অস্বীকার
করেন
বা
২৪
ঘণ্টার
বেশি
দেরি
করেন;
তবে
আমার
চূড়ান্ত
নির্দেশ,
তার
সাথে
কোনো
সংগ্রহ
বা
আলোচনা
বন্ধ
করুন
এবং
কোনো
ছলছুতায়
তা
শুরু
করবেন
না।
যদি
তিনি
আমাকে
হতাশ
করেন
বা
ছোট
করেন
কিংবা
আমার
দেওয়ানকে
[কৃষ্ণকান্ত
নন্দী]
হতাশভাবে
ফিরে
আসতে
হয়,
সেক্ষেত্রে
আমি
বিষয়টিকে
নির্জলা
অপমান
ও
অমর্যাদা
মনে
করব,
যা
কখনো
ক্ষমা
করব
না। কোনো
শর্তেই
কখনো
কোনো
ছাড়
দেব
না
এবং
সে
আমাদের
সরকারের
দান
ও
উদারতায়
বিশ্বাস
করতে
পারে,
অন্যথায়
বিপদের
সম্মুখীন
হতে
হবে,
যে
ঝুঁকি
সে
বেছে
নিয়েছে। আমার
মনে
হয়,
এর
ফলাফল
তার
অজানা
নয়
এবং
এর
মুখোমুখি
সে
হবে
না
এবং
তার
প্রস্তাবে
আমার
আস্থা
আছে,
সেই
জন্য
আমার
দেওয়ানকে
তার
নিকট
পাঠাতে
সম্মত
হয়েছি।
“দয়ালু
গভর্নরের
চিঠির
শেষ
অংশে
যে
ভয়াবহ
গোপন
ইঙ্গিত
আছে
তা
ভারতবর্ষের
কারো
বোঝার
বাকি
থাকে
না। যারা
দৈহিক
অপমান
ভোগ
করে
তারা
নিজের
রক্ত
দিয়ে
হলেও
অন্যের
পাপের
প্রায়শ্চিত্ত
করে। এসব
সত্ত্বেও
সামরিক
মেজাজ
বিভিন্নভাবে
কাজ
করে। তারা
একটি
শর্তে
উপনীত
হল
যা
কোনো
দিন
বের
হয়নি। মনে
হয়
লুটের
শতকরা
পনের
ভাগ
বন্দীদের
জন্য
সংরক্ষিত
থাকল
যার
মধ্যে
বেনারসের
বর্তমান
রাজার
মায়ের
ভাগও
ছিল। এই
বৃদ্ধা
মহিলা,
ভালো
জীবনধারণের
জন্যই
যার
জন্ম।
(কিছু
তরুণ
সদস্যের
হাসি)
এই
সুখের
তার
প্রয়োজন
ছিল
না। প্রাচীনকালের
একজন
ভালো
লেখক
তার
সময়ের
দুর্দশা
বর্ণনা
করেন
"nobilissimarum
fæminarum exilia et fugas." গ্রন্থে
[অত্যন্ত
সম্মানিত
মহিলার
পলায়ন
এ
নির্বাসন
ট্যাসিটাস,
এগ্রিকোলা]। স্যার, এই
বৃদ্ধা
তার
সঙ্গী
তিনশত
মহিলা,
অসংখ্য
শিশুসহ
বাড়ি
ছেড়ে
নিম্নমানের
ক্যাম্পে
চলে
আসতে
বাধ্য
হন। গভর্নর
জেনারেলের
সুশিক্ষা
তারা
ভোলেনি। তারা
পরীক্ষা
ব্যতীত
লুটের
মালামাল
নিয়ে
প্রতারিত
হতে
ইচ্ছুক
ছিলেন
না। তারা
প্রতিশোধ
নিয়ে
সবকিছু
পরীক্ষা
করল
এবং
লুটপাট
থেকে
রক্ষা
করতে
পারল
না। বিষয়টি
পুপহামের
বর্ণনায়,
“রানী
রাত
দশটায়
তার
পরিবার-পরিজন
এবং
পোষ্যদের
নিয়ে
দর্গ
থেকে
বেরিয়ে
আসেন। মনে
হয়
অনেকেই
বিষয়টি
ভালোভাবে
মনোযোগ
দেননি। আমি
বিষয়টি
আপনাদের
জানাতে
অত্যন্ত
দুঃখিত
যে,
আমাদের
অনুগামীদের
বেপরোয়া
ভাব
ছিল
সীমাহীন। আমাদের
প্রচেষ্টা
সত্ত্বেও
দুর্গ
থেকে
তারা
যাই
বের
করে
নিয়ে
যাচ্ছিল
সবই
তারা
লুট
করে
নিয়ে
যায়। এতে
তারা
আত্মসমর্পণের
ধারাগুলো
ভঙ্গ
করে। বিষয়টিতে
আমি
এত
ব্যথিত
যে,
তা
ভাষায়
ব্যক্ত
করা
যাবে
না। চুক্তির
অন্য
ধারাগুলোর
কঠিন
প্রয়োগের
মাধ্যমে
বিষয়টির
কিছু
উপশম
করা
যাবে। সেটাই
আমার
কর্তব্য
বলে
মনে
করব। কিছু
অফিসারের
বিশ্বাসঘাতকতার
সন্দেহ
এবং
দখলে
বিলম্বের
কারণে
তাদের
অসন্তুষ্ট
করেছিল। প্রথমে
চুক্তি
বাতিল
মনে
করা
হল,
পরে
বন্দীদের
জন্য
সহানুভূতি
ও
দয়া
তার
প্রতিজ্ঞাকে
উজ্জীবিত
করে
দিল।”
মহিলাদের
সরিয়ে
দেওয়া
হল। তাদের
চূড়ান্ত
অপমান
করা
এবং
শোচনীয়
অবস্থায়
ঠেলে
দেওয়া
হল। হেস্টিংস
সম্ভবত
কিছু
সময়ের
জন্য
ভুলে
গিয়েছিলেন,
পুনরায়
তার
উদ্দেশ্যের
কথা
স্মরণ
করলেন,
যাতে
সৈন্যরা
লুটের
মাল
থেকে
বঞ্চিত
না
হয়। রাজার
দোষের
জন্য
কোম্পানির
আর্থিক
সাহায্যের
পথ
করতে
হবে। এটাই
ছিল
তার
মূল
বক্তব্য। তিনি
অভিজ্ঞতার
ফলে
জানতেন,
কোম্পানির
প্রতি
সহানুভূতির
কারণে
দেশীয়দের
প্রতি
নির্মম
আচরণই
তার
পবিত্র
দায়িত্ব। সৈন্যদের
অসুবিধাগুলো
দেখাই
ছিল
তার
প্রথম
কাজ। কোম্পানির
পক্ষে
হেস্টিংসের
কর্তৃত্ব
কিংবা
তার
সনির্বন্ধ
অনুরোধে
এক
শিলিংও
নিতে
পারতেন
না। লুটের
মাল
তারা
নিজেরাই
ভাগ
করত। দাবি
থেকে
বিচ্যুত
হয়ে
লুটের
মাল
ঋণ
পাওয়ার
জন্য
আবেদন
করতে
হত। সৈন্যরা
ঋণ
দেওয়ার
ব্যাপারে
সেয়ানা
ছিল,
কারণ
তারা
জানত
ঋণকারী
এটা
চাইত
অধিকার
হিসেবে। সকল
কর্তৃত্ব
অমান্য
করে
তারা
দুইশত
হাজার
পাউন্ড
স্টারলিং
ভাগ
করে
নেয়,
অধিকন্তু
মহিলাদের
নিকট
থেকে
লুট
তো
ছিলই।
এতে
বিস্ময়ের
কিছু
নেই। যে
সরকারের
নীতিই
হচ্ছে
বিশেষ
পন্থায়
সম্পদ
অর্জন,
সে
পন্থা
হবে
শক্ত
হাত
এবং
সেই
শক্ত
হাত
বিশেষ
পন্থা
অবলম্বন
করবে
এটা
আমরা
নিশ্চিত। যুক্তি
থাক
বা
না
থাক,
লুটের
কারণে
এবং
অধীনতা
অস্বীকার
করার
কারণে
ভারতে
সামরিক
শৃঙ্খলা
নষ্ট
হয়েছে। যার
বহিঃপ্রকাশ
ঘটেছে
বেনারসে। অতি
সম্প্রতি
মহীশুরে
আমাদের
পরাজয়
হয়েছে। বিগত
গেজেটে
তা
পরিষ্কার
হয়েছে
[দ্য
লন্ডন
গেজেট
২২-৫
নভেম্বর
১৭৮৩
বেদনুর
দখলের
পর
জেনারেল
ম্যাথুজের
লুটপাটের
বর্ণনা। এরপর
মহীশুরের
সৈন্যবাহিনী
কর্তৃক
পরাজিত]।
এটা
নিশ্চত
যে,
বেনারস
শহর
বা
রাজ্য
আর
ভালো
অবস্থানে
নেই। এটা
আরো
পরে
পরিষ্কার
হবে। অভিজ্ঞ
মি.
হেস্টিংসও
কষ্টসহকারে
এমনি
একটি
শহর
বা
প্রদেশের
কথা
বর্ণনা
করেছেন,
তা
হচ্ছে
ফররুখাবাদ
[অযোধ্যার
একটি
অঙ্গরাজ্য। আফগান
বংশ
কর্তৃক
সৃষ্ট]। এ
ব্যাপারে
তার
জ্ঞান
সম্পর্কে
কোনো
সন্দেহের
অবকাশ
নেই। এ
ব্যাপারে
তার
জ্ঞান
একটি
ব্যতিক্রম। রাজ্যের
অবস্থা
এবং
তার
কারণ
তিনি
তার
নিখুঁত
আলোচনায়
বর্ণনা
করেছেন,
কীভাবে
আমরা
দেশীয়
সরকারগুলোকে
নিচে
নামিয়ে
এনেছি। কিছু
সময়
পূর্বেও
যে
ফারুকাবাদ
ভারতের
একটি
জনবসতিপূর্ণ
সমৃদ্ধ
ব্যবসায়ী
নগরী
ছিল
বর্তমানে
শৃঙ্খলা,
নিয়মনীতি,
কর্তৃত্ব
এবং
অন্যান্য
কারণের
অভাবে
সেই
ফারুকাবাদ
একটি
জনবসতিহীন,
উৎপাদনহীন
নগরীতে
পরিণত
হয়েছে। বর্তমানে
চোখে
পড়ে
নির্মম
দারিদ্র্য,
শূন্যতা
আর
দৈন্য। অথচ
নবাব
[মোজাফফর
জং
(মৃ.
১৭৯৬)] একটু সতর্ক
হলেই
তিরিশ
থেকে
চল্লিশ
লক্ষ
পাউন্ড
রাজস্ব
পেতেন। তাকে
রক্ষা
করার
কোনো
সেনাবাহিনী
নেই,
দৈনন্দিন
জীবনযাপন
ছাড়া
আর
কিছু
তার
নেই।
এটাই
সত্যি
এবং
অতিরঞ্জনবিহীন
চিত্র। শুধু
ফারুকাবাদের
নয়
এবং
আমাদের
দখলকৃত
ভারতের
তিন-চতুর্থাংশ
রাজ্যের
অবস্থা
যা
ভারতে
পতিত
অবস্থায়
রয়েছে। স্যার, এখন
এই
হাউজ
জানতে
চাইবে
এই
চিত্র
কেন
তুলে
ধরা
হয়েছে। এটা
প্রশংসা
পাওয়ার
জন্য
নয়,
বরং
প্রয়োজন
এই
জন্য
যে,
অযোধ্যার
নবাব
[মীর্জা
আবদুল্লা
বেগ]
কর্তৃক
প্রেরিত
ক্রোককারীর
হাত
থেকে
এক
দুর্ভাগা
নবাবকে
রক্ষা
করা
এবং
ব্রিটিশ
প্রতিনিধির
মাধ্যমে
রক্ষা
করা
[জর্জ
সি
(১৭৫৪-১৮২৫)
পরে
১৭৯৪
১ম
বেরোনেটকে
মন্ত্রী
এবং
নবাবের
বিরোধ
নিষ্পত্তির
জন্য
পাঠানো
হয়। পরে
নবাবের
অনুরোধে
প্রত্যাহার
করা
হয়]। অযোধ্যায়
ঊর্ধ্বতন
প্রতিনিধির
নিকট
অভিযোগটি
জানাবেন
অথবা
কলকাতায়। লক্ষ
করুন,
কীভাবে
সংস্কারক
সংস্কারে
লেগে
রইলেন। এই
পদ্ধতির
ফল
আশাতীত
ছিল। নবাব
সহজ
হলেন,
রাজ্য
ভালো
অবস্থা
পেতে
শুরু
করল,
রাজস্ব
সংগ্রহ
হতে
শুরু
হল। মি. হেস্টিংস
প্রতিনিধিকে
শুধু
ডেকেই
পাঠালেন
না,
বরং
অযোধ্যার
নবাবের
সাথে
একটি
চুক্তিতে
উপনীত
হলেন।
অধীনস্থ
প্রদেশগুলোকে
এইভাবে
রক্ষা
করার
ফল
পাওয়া
গেল। আমি
এই
প্রসঙ্গ
শেষ
করব
উত্তরাঞ্চলের
প্রদেশগুলোর
অবস্থা
ব্যাখ্যা
করে,
সর্বশেষ
পদ্ধতির
ফলাফলসহ। স্যার, আমি
একটু
পূর্বেই
হেস্টিংসের
বর্ণনা
উল্লেখ
করেছি
যা
আপনাদের
স্মরণ
আছে। সেখানে
বলা
হয়েছে
অন্যের
ধ্বংসকারী
অযোধ্যার
নবাবের
ধ্বংসপ্রাপ্ত
অবস্থা
এবং
ফলত
হান্নাই
[কর্নেল
আলেকজান্ডার
হান্নাই
(১৭৪২-৮২)
অযযাধ্যায়
বৃটিশ
সামরিক
রাজস্ব
সংগ্রহকারী। ভাষণ
প্রকাশিত
হওয়ার
পর
হান্নাই-এর
ভাই
স্যার
সামুয়েল
হান্নাই
(১৭৪২-৯০)
৩য়
বেরোটনে
বার্ককে
বিষয়টি
প্রমাণ
করতে
বলেন। তিনি
তাই
করেন। সাক্ষাৎকারের
বর্ণনা
মেসার্স
সেফিল্ড
৯৮৪-৭।], মিডলটন
এবং
জনসনকে
[রিচার্ড
জনসন
(মৃ.
১৮০৭)
মিডলটনের
ডেপুটি
প্রতিনিধি
পর্যায়ে]
ফেরত
নেওয়ার
কথা।
যখন
এই
ভদ্রলোকদের
বিরুদ্ধে
প্রাথমিক
আবেগ
নিঃশেষ
হল
পুরনো
বন্ধুত্ব
পুনর্জীবিত
হল। কিছু
নিরাময়কারী
বৈঠক
হল
তাদের
সাথে
আর
উর্ধ্বতন
সরকারের
সাথে। মি. হান্নাইকে
অযোধ্যায়
ফিরে
আসতে
অনুমতি
দেওয়া
হল;
তার
মৃত্যুতে
প্রস্তাবিত
কিছু
সুযোগ
থেকে
বঞ্চিত
হল। কাউন্সিল
কিছু
সুচিন্তিত
সতর্কতা
অবলম্বন
করে,
রাজ্য
সেগুলো
থেকেও
বঞ্চিত
হয়।
এই
ভদ্রলোকদের
একজন
বড়
ধরনের
তহবিল
তছরুপের
অভিযোগে
অভিযুক্ত
হন। মি. হেস্টিংসের
মতে
দু
জন
[প্রথম
সংস্করণে
ছিল
: তিনজন
লোক
ছিলেন]
বড়
ধরনের
অপরাধ
করেছিলেন
[এই
বাক্য
যোগ
করা
হয়।
(১৭৯২-১৮২৭)]।
পরিচালকমণ্ডলীকে
জানানো
হল
পরবর্তী
দু
জনের
বিরুদ্ধে
শক্ত
তদন্ত
কমিটি
গঠন
করা
হোক
এবং
কোর্টকে
জানালেন
বিচার
বন্ধ
রাখতে
এবং
তাদের
পরবর্তী
কার্যক্রমের
জন্য
অপেক্ষা
করতে
। একটি
প্রহসন
তদন্ত
কমিটি
তৈরি
করা
হল
যাতে
অভিযুক্তরা
অব্যাহতি
পায়
বা
দোষী
সাব্যস্ত
হয়
[প্রথম
সংস্করণে
ছিল
: কোনো
তদন্তও
বা
কোনো
পদক্ষেপ
গ্রহণ
করা
হয়নি। বেঙ্গল
কাউন্সিল
কর্তৃক
(জুন-অক্টোবর
১৭৮৩)
জনসন
এবং
মিডলটনের
কর্মকাণ্ডের
ওপর
তদন্ত
হয়]। সনদপ্রাপ্ত
গভর্নরদের
সুন্দর
ব্যবহার
বন্ধুত্বপূর্ণ
আচরণ
এবং
সঠিক
ব্যাখ্যা
প্রদানের
কারণে
গণতদন্ত
প্রকৃতপক্ষে
শেষ
হয়ে
যায়
[যোগ
করা
হয়
(১৭৯২-১৮২৭)
ফলতঃ]। কথিত
আত্মসাকারী
এবং
অযোধ্যা
ধ্বংসকারীরা
তাদের
অভিযোগকারীদের
নিকট
সকল
নিরাপত্তা
ন্যস্ত
করে। অন্যরা
তাদের
উদাহরণ
নিয়ে
সফলতা
পায়।
No comments:
Post a Comment