Edmund Burke's Speech on the East India Bill - Bengali Translation |
স্পিচ
অন
দ্য
ইস্ট
ইন্ডিয়া
বিল
– এডমান্ড
বার্ক - বাংলা অনুবাদ - পর্ব ১
মি.
স্পিকার,
আমার
দিকে
দৃষ্টি
দেয়ার
জন্যে
আপনাকে
ধন্যবাদ
জানাচ্ছি। তবে বিতর্কের শুরু
থেকেই
আমি
আপনার
মনোযোগ
প্রার্থী
ছিলাম।
যদিও
অকার্যকর
অবস্থায়,
আমি
বিরামহীনভাবে
বিগত
কয়েক
বছর
যাবৎ
প্রাথমিক
তদন্তে
যুক্ত
ছিলাম। কতকগুলো
বিষয়
যা
স্বাভাবিক
এবং
অনিবার্যভাবে
পর্যায়ক্রমে
প্রকাশ
পেয়েছে,
সেগুলো
আমি
স্বাভাবিক
বিচারবুদ্ধি
দিয়ে
অনুভব
করতে
চেষ্টা
করেছি
এবং
সেগুলোর
দোষ
গুণ
তুলে
ধরে
আপনাদের
বিব্রত
করার
চেষ্টা
করিনি। আমাদের
কার্যবিবরণীতে
ওই
বিষয়গুলো
খুব
কমই
এসেছে। কিন্তু
আজ
যদি
নীরব
থাকি
তবে
সেজন্য
আবার
কষ্টের
ব্যাপার
হয়ে
দাঁড়াবে। আমাদের
তদন্তগুলো
শেষ
পর্যায়ে
এসে
উপনীত
হয়েছে। আজ
আমাদের
নির্ধারণ
করতে
হবে
বিগত
তিন
বছরের
নিরলস
সংসদীয়
গবেষণা,
ভারতীয়দের
কুড়ি
বছরের
কষ্ট
প্রভৃতির
পরিপ্রেক্ষিতে
আমাদের
প্রাচ্যের
শাসনে
পর্যাপ্ত
সংস্কার
হবে
কি
না। কিংবা
অত্র
বিষয়ের
জ্ঞান
আমাদের
সংস্কার
পরিকল্পনা
মন্থর
করে
দেবে
কি
না। মানবতা, ন্যায়বিচার,
সততার
দাবি
উপেক্ষা
করে,
আমাদের
তদন্তকে
একটি
প্রতারণায়
পরিণত
করব
কি
না। তা
করলে
আমাদের
সম্মান
অমলিন
থাকতে
পারে
না। বিষয়টি
সকল
বৃটেনবাসীর
জন্য
মারাত্মক
কলংক
কিংবা
বিরাট
সম্মানের
ব্যাপার। আমাদেরকে
সকলেই
লক্ষ
রাখছে
এবং
সমস্ত
পৃথিবী
আমাদের
আচরণ
পর্যবেক্ষণ
করছে। সংসদের
একদিকে
যে
মনমানসিকতা
নিয়ে
বিষয়টি
আলোচনা
হয়েছে
সেজন্য
আমি
কিছুটা
উদ্বিগ্ন। বিলের
বিরোধিতাকারীরা
অত্যধিক
এবং
তীব্র
বাগাড়ম্বর
প্রদর্শন
করেছেন,
কিন্তু
বিলের
সম্ভাব্য
ফলাফলের
ব্যাপারে
তারা
নির্বিকার
তাদের
মধ্যে
কেউ
কেউ
(মহড়ার
মতো
মনে
হয়েছে
আমার
কাছে)
বিষয়টি
ব্যক্তিগত
সম্পত্তি
আইন
কিংবা
সমিতিতে
ভোটাধিকার
আইনের
মতো
আলোচনা
করেছেন। আবার
কেউ
কেউ
বিষয়টি
আদালতের
তুচ্ছ
ব্যাপারের
মতো
আলোচনা
করে
কোনো
পক্ষকে
বড়
কিংবা
ছোট
করতে
চেয়েছেন। শূন্যস্থান
পূর্ণ
করতে
চেয়েছেন
সম্মিলিত
দলের
সরকারের
বিরুদ্ধে
বিষোদগার
করে,
আমেরিকা
হারানোর
উদ্ধৃতি
দিয়ে
এবং
মন্ত্রীদের
সফলতা-বিফলতার
কথা
বলে। ভারতের
স্বার্থ
ও
কল্যাণের
ব্যাপারে
তাদের
নীরবতা,
ভারতের
ব্যবসা-বাণিজ্য
এবং
রাজস্বের
ব্যাপারে
তাদের
মানসিকতা
পরিষ্কার
করে। আমার
কাছে
কষ্ট
লেগেছে
এজন্য
যে,
এই
মূল্যবান
বিতর্কের
মধ্যে
তারা
কো-ওয়ারেন্টো,
মান্ডামাস
এবং
সারশিওরারি
(quo
warranto, mandamus and certiorari) প্রভৃতি
রিট
(এই
রিটগুলো
সম্রাট
কিংবা
কোর্ট
সনদপ্রাপ্ত
সংস্থার
বিরুদ্ধে
জারি
করত
সংস্থাগুলোর
কর্মকাণ্ড
তদন্ত
করার
জন্য)
এনে
ঢুকিয়েছেন
যেন
আমরা,
মেয়র
এবং
অল্ডারম্যানের
(mayors and aldermen)
বিরোধ
কিংবা
ভোটাধিকার
কিংবা
পেনরাইন
(Penryn),
সালটাস
(Saltash),
সেইন্ট
আইভস
(St. Ives),
মেন্ট
মওয়েজ
(St. Mawes)
স্বায়ত্তশাসন
নিয়ে
বিচার
করতে
বসেছি। ভদ্রমহোদয়রা
এমন
উত্তপ্ততা
এবং
আবেগ
নিয়ে
বিতর্ক
করেছেন
যে,
মনে
হল
পৃথিবীর
আদিম
কোনো
বস্তু
বিপন্ন
হয়ে
পড়েছে
এবং
বিতর্কটি
যেন
একটি
নিম্নস্তরের
মামলা। সাম্রাজ্যের
নিয়মকানুন
নিয়ে
গুরুত্বপূর্ণ
আলোচনার
মনি
নামিয়ে
আনা
কোনোক্রমেই
আমাদের
জন্য
সমীচীন
নয়,
যথার্থ
নয়। যখনই
এই
ধরনের
অসাধারণ
দায়িত্ব
আমার
ওপর
এসে
পড়েছে,
কখনই
ভাবিনি
(কিছু
ভদ্রলোক
যা
করতে
আগ্রহী)
বিষয়টি
রাষ্ট্রের
কোনো
সচিব
যেমন
স্বরাষ্ট্র
[লর্ড
নর্থ। ভারত
সম্পর্কীয়
বিষয়গুলো
তার
বিভাগেই
দেওয়া
হত। ফক্সের
পৃষ্ঠপোষকতায়
যে
বিলগুলো
প্রেরণ
করা
হত,
ধারণা
করা
হত
তিনি
সেগুলোর
বিরোধিতা
করছেন। তিনি
পরে
এগুলো
জন্য
সমর্থনের
পাঠাতেন। যদিও
এগুলোর
ব্যাপারে
তার
সংশয়
থাকত
(ক্যানন-
ফক্স-নর্থ
কোরালিশন
পৃ:
১১২-১৩)],
পররাষ্ট্র
[চার্লস
জেমস
ফক্স
(১৭৪৯-১৮০৬)] কিংবা কোনো
প্রভাবশালী
মন্ত্রী
কিংবা
কোনো
জনপ্রিয়
মন্ত্রী
কিংবা
জ্যাকব
অথবা
এছাড়াও-এর
নিকট
থেকে
এসেছে
কি
না। আমি
বুঝতে
চেষ্টা
করেছি
একজন
সংসদ
সদস্যের
জন্য
উপযুক্ত
কী। যদি
একজন
মাঝারি
গোছের
প্রতিভা
তার
ঐকান্তিক
পরিশ্রম,
দীর্ঘদিনের
গবেষণা
এবং
ভারত
সম্পর্কীয়
সমস্যার
গভীরে
অন্তরীণ
থেকে
বিষয়টি
উপস্থাপন
করেন,
সেই
সাথে
রাষ্ট্রের
ও
পূর্বাঞ্চলীয়
ভালো
শাসনের
জন্য
অনুমোদন
থাকে,
তখন
একজন
সংসদ
সদস্যের
কী
দায়িত্ব
দাঁড়ায়
সেই
সম্পর্কে
আমার
মনোভাব
প্রকাশে
আপনাদের
কিঞ্চিৎ
কষ্ট
দেব। এটা
শুধু
সর্বসম্মতই
নয়,
বরং
ভদ্রমহোদয়
এবং
তার
সহকর্মীরা
দাবি
করেছেন
যে,
এমন
পদ্ধতি
হবে
যা
শুধু
আধা-আধি
সুবিধা
নয়,
প্রশাসন
নয়,
বরং
আইনগত
সিদ্ধান্ত,
যা
সুদৃঢ়
বাস্তব
এবং
যথাযথ। আমি
মনে
করি,
বিষয়টি
সম্পর্কে
জ্ঞান
আছে
এমন
ব্যক্তি
যাতে
সন্দেহ
না
করতে
পারে,
ভারত
শাসন
সংস্কারের
কিছু
শর্ত
বাদ
আছে,
তা
যদি
থাকে
তবে
তা
হবে
প্রতারণামূলক। এ
ব্যাপারে
কোনো
মাঝামাঝি
অবস্থা
কিংবা
ক্ষতিকারক
কোনো
শর্ত
মেনে
নেওয়া
যাবে
না।
প্রতিপক্ষগণ
যে
প্রস্তাব
পেশ
করেছেন
উত্থাপক
তার
সাথে
একমত
হয়েছেন। এ
ব্যাপারে
তার
নিজের
মতামত
রেখেছেন। অন্যদিকে
পরিকল্পনার
দক্ষতা,
বলিষ্ঠতা
এবং
পরিপূর্ণতা
সম্পর্কে
কোনো
প্রতিবাদই
গ্রহণ
করা
হয়নি। এটা
স্বীকৃত
এবং
নিশ্চিত
করে
বলা
যায়
যে,
সংসদের
উভয়
কক্ষের
দাবিই
মেটানো
আবশ্যক। প্রত্যক্ষ
ও
তাৎক্ষণিক
উদ্দেশ্য
পূরণই
হবে
মূল
উদ্দেশ্য। প্রত্যক্ষ
না
হলেও
কিছু
পরোক্ষ
অভিযোগ
এসেছে। এই
সংস্কারের
ফলে
সরকারের
বিভিন্ন
সংস্থা
বিভিন্ন
সুযোগ
সুবিধা
পাবে। এতে
সংবিধানে
বিভাগগুলোর
সাংবিধানিক
অধিকার
সমুন্নত
হবে। আইন
বিভাগের
বিভিন্ন
বিভাগ
স্বাধীনতা
ও
অখণ্ডতাপ্রাপ্ত
হবে। এরই
ফলে
নানা
অভিযোগ
এসেছে।
এই
অভিযোগগুলোর
উত্তর
দেওয়ার
আগে
আমি
ক্ষমা
চেয়ে
বলতে
চাই
যে,
যদি
আমরা
ভারতশাসনের
ভালো
উপায়
উদ্ভাবন
না
করি
তবে
তা
গ্রেট
বৃটেন
শাসনেও
অমঙ্গল
ডেকে
আনবে। তাদের
দ্রুত
বিচ্ছেদ
ডেকে
আনবে। স্বার্থের
এমন
কোনো
অসঙ্গতি
সংবিধানে
নাই। আমি
নিশ্চিত
যে
ভারতকে
নিপীড়ন
থেকে
রক্ষা
করা
ব্রিটিশ
শাসনতন্ত্রকে
নিকৃষ্ট
দুর্নীতি
থেকে
রক্ষা
করার
নামান্তর। এটা
দেখানোর
জন্য
আমি
অভিযোগগুলো
তুলে
ধরব
যা
আমার
মতে
চারটি।
প্রথমত,
বিলটি
হচ্ছে
রাজকীয়
সনদপ্রাপ্তদের
বিরুদ্ধে
একটি
আক্রমণ।
দ্বিতীয়ত,
সম্রাটের
প্রভাব
বৃদ্ধি
করে।
তৃতীয়ত,
এতে
সম্রাটের
প্রভাব
বৃদ্ধি
করে
না,
বরং
কিছু
মন্ত্রী
এবং
তাদের
দলের
স্বার্থ
সংরক্ষণ
করে।
চতুর্থত,
জাতির
সম্মান
ক্ষুন্ন
করে।
প্রথম
অভিযোগের
ব্যাপারে
আমি
বলব,
শব্দগুচ্ছ
রাজকীয়
সনদপ্রাপ্ত
[বিলের
কয়েকজন
সমালোচক
এইভাবে
বলেছেন। আর্চিবলড
ম্যাকডোনাল্ড
(১৭৩৭-১৮২৬)
পরে
(১৮১৩)
১ম
ব্যারোনেট
এম.পি.
(১৭৭৭-৯৩)
বিশেষভাবে
বলা
হয়। অধিকারসম্পন্ন
লোক
সনদকে
আক্রমণ
করতে
গিয়ে
পদদলিত
হয়েছেন]
কথাটি
কৃত্রিমতাপূর্ণ
এবং
বর্তমান
আলোচনায়
সনদপ্রদত্ত
সুবিধাবাদীদের
নিয়ে
আলোচনা
অস্বাভাবিক। ওই
দ্ব্যর্থতাবোধক
বক্তব্য
দিয়ে
কী
বোঝানো
হয়
তা
বের
করা
খুব
কঠিন
নয়। মানুষের
অধিকার
অর্থাৎ
মানুষের
স্বাভাবিক
অধিকার
একটি
পবিত্র
জিনিস। সেই
অধিকার
কোনোভাবে
খর্ব
করতে
গেলে
প্রতিবাদ
হয়
মারাত্মক। যদি
কোনো
সনদের
পরিপ্রেক্ষিতে
দাঁড়
করানো
না
হয়,
যদি
এই
স্বাভাবিক
অধিকারগুলো
প্রকাশ্য
চুক্তি
দ্বারা
সন্নিবেশিত
হয়,
যদি
এগুলো
প্রতারণাযুক্ত
কর্তৃত্বের
বিরুদ্ধে
লিখিত
সনদ
হয়,
তবে
তা
হবে
শুভ
ফলদায়ক। তাতে
শুধু
বিষয়টির
পবিত্রতা
সংরক্ষিত
হয়
না
বরং
বিষয়টির
গুরুত্ব
বৃদ্ধি
পেয়ে
গণআস্থা
বৃদ্ধি
পায়। এই
বিধানসম্মত
মৌলিক
অধিকার
স্বীকৃতি
কখনো
বিভ্রান্ত
হয়
না
বরং
দেশ
ও
সমাজের
মৌলিক
রীতিগুলো
যথাযথ
সংরক্ষিত
হয়। এই
সনদগুলোকে
উল্লেখ
করি
মহান
হিসেবে,
যা
জনগণের
সনদে
পরিণত
হয়। এ
প্রসঙ্গে
আমি
রাজা
জন
(ম্যাগনাকার্টা
১২১৫
সালে),
রাজা
তৃতীয়
হেনরি
(১২৬৫
সালে)-এর
সনদকে
এই
ধরনের
সনদ
মনে
করি। এই
সনদগুলোর
অর্জন
যা
প্রতারণামূলক,
দ্ব্যর্থতা
পরিহার
করে
বলা
যায়
তা
মানুষের
সনদপ্রদত্ত
অধিকার। এই
সনদগুলো
প্রতিটি
ইংরেজের
কাছে
প্রিয়
নাম। কিন্তু
স্যার,
এমন
সনদ
আছে,
যা
এই
সনদের
থেকে
পৃথকই
নয়,
বরং
মূল
সূত্র
ও
বিখ্যাত
সনদগুলোর
সূত্র
থেকে
পৃথক। এমন
একটি
সনদ
হচ্ছে
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানি।
মহা
সনদ
হচ্ছে
এমন
সনদ
যা
ক্ষমতা
প্রতিহত
করে
একচেটিয়া
ধ্বংস
করে। ইস্ট
ইন্ডিয়া
সনদ
একচেটিয়াকে
প্রতিষ্ঠা
আর
ক্ষমতাকে
বহাল
করে। রাজনৈতিক
ক্ষমতা
আর
একচেটিয়া
ব্যবসা
মানুষের
অধিকার
নয়
এবং
এগুলোকে
সনদপ্রাপ্ত
অধিকার
বলা
হলে
তা
হবে
বিভ্রান্তিকর
এবং
কূটতর্ক। এই
ধরনের
সনদপ্রাপ্ত
অধিকার
মানুষের
অধিকার
সাধারণভাবে
বঞ্চিত
করে। এই
কাঠামোতে
মানুষের
অধিকার
ভঙ্গ
করে।
এই
সনদ
হচ্ছে
পরবর্তী
ধরনের
সনদ
(ক্ষমতা
এবং
একচেটিয়া
সনদ),
যা
এই
বিল
দ্বারা
ক্ষতিগ্রস্ত
হবে। স্যার, প্রশ্নাতীতভাবে
এই
বিল
এটাকে
ক্ষতিগ্রস্ত
করবে। আমার
বলতে
কোনো
দ্বিধা
নেই
এই
বিল
সনদের
কোন
অধিকারকে
স্পর্শ
করবে
এবং
সেই
ধরনের
অধিকার
স্পষ্টত
পুরোপুরিই
আছে। এগুলো
নিশ্চিতভাবে
কোম্পানির
বিষয়
এবং
কর্তৃপক্ষের
অনুমোদনে
সংসদের
সীলমোহর
টাকার
জন্য। টাকা
সঠিকভাবে
পাওয়ার
জন্য,
বারবার
মূল্যবান
জিনিসপত্র
পাওয়ার
জন্যই
তারা
এগুলো
রেখেছে।
আমার
ধারণা
অনুযায়ী,
আমি
অকপটে
স্বীকার
করছি,
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
দাবি
হচ্ছে
অর্ধ
গোলার্ধ
থেকে
তাদের
নিজ
দেশবাসীকে
বঞ্চিত
করা। তাদের
দাবি
হচ্ছে
বার্ষিক
সাত
মিলিয়ন
স্টারলিং
পরিমাণ
রাজস্ব
পরিচালনা
করা,
ষাট
হাজার
সেনা
সদস্য
নিয়ে
বাহিনী
নিয়ন্ত্রণ
করা। নিজ
দেশের
তিরিশ
মিলিয়ন
লোকের
জীবন
ও
ভাগ্য
নিয়ন্ত্রণ
করা। বিতর্কের
ঊর্ধ্বে
থেকে
বলা
যায়,
এগুলো
তারা
ভোগ
করছে
সনদ
এবং
সংসদের
আইনেই।
আমি
সরলভাবে
স্বীকার
করছি,
যারা
কোম্পানির
অধিকার
এবং
দাবিকে
সংরক্ষণ
করছেন
তারা
এর
চেয়ে
বেশি
কিছুর
জন্য
বিবাদ
করছেন
না। এ
সবকিছু
ধরে
নিয়েও
আমাকে
তাদের
আশ্বস্ত
করতে
হবে,
যাদের
ওপর
তারা
ক্ষমতা
খাটাচ্ছে,
যাদের
বঞ্চিত
করে
সুযোগ
নিচ্ছে,
মানবজাতির
সাম্য
বিনষ্ট
করছে,
কৃত্রিমতার
আশ্রয়
নিচ্ছে,
তাদের
মঙ্গলের
জন্য
কাজ
করতে
হবে। এটা
যদি
রাজনৈতিক
এবং
অর্থনৈতিক
পরিমণ্ডলে
সত্য
হয়,
তবে
তা
আদি
ও
ব্যক্তিগত
মালিকানাধীন
হতে
পারে
না। তা
সেই
অধিকার
অথবা
সুবিধা
অথবা
যাই
বলেন
না
কেন,
তা
থাকবে
একটি
ট্রাস্টের
অধীনে। জবাবদিহিতা
হচ্ছে
ট্রাস্টের
অপরিহার্য
উপাদান। এর
থাকবে
একটা
আইনগত
সত্তা
এবং
এর
উদ্দেশ্য
থেকে
যদি
বিচ্যুত
হয়,
তবে
সে
ট্রাস্টের
পরিসমাপ্তি
হবে। আমি
মনে
করি,
এই
ট্রাস্টের
ক্ষমতাপ্রাপ্ত
হবে
সর্বোচ্চ
হাতে,
কোনো
মানুষের
হাতে
নয়। কিন্তু
আমি
বুঝি
না
নিম্নতর
ট্রাস্টের
নিকট
ক্ষমতা
হস্তান্তরের
ব্যাপারে
কীভাবে
বিরোধ
নিস্পত্তি
হবে। ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানিকে
কার
নিকট
দায়বদ্ধ
রাখব?
কেন,
সংসদের
কাছে?
সংসদের
নিকট
ট্রাস্ট
গচ্ছিত
থাকবে। সংসদই
কেবল
বিষয়টির
গুরুত্ব
এর
অপব্যবহার
এবং
যেকোনো
ত্রুটিবিচ্যুতির
আইনগত
প্রতিকার
করতে
সক্ষম। কোম্পানির
সনদ
যখন
সংসদের
অপব্যবহার
রোধের
ক্ষমতার
বিরুদ্ধে
উদ্যত
হয়,
তখন
আমাদের
দায়িত্ব
হয়ে
দাঁড়ায়
বিষয়টিতে
হস্তক্ষেপের। কারণ
ক্ষমতা
আমাদের
নিকট
থেকে
উৎসারিত
হয়েছে।
স্যার,
যদি
সনদের
ব্যাপারে
সংসদের
কিছুই
করার
না
থাকে,
তবে
কোম্পানির
সাথে
ভারত
বা
লন্ডনে
যা-ই
ঘটুক,
আমরা
নীরব
দর্শক
হয়ে
বা
ভোগবাদী
দৃষ্টিভঙ্গি
নিয়ে
দূরে
সড়ে
দাঁড়িয়ে
থাকব। যদি
আমাদের
অনুমোদন
নিয়ে
অত্যাচার-উৎপীড়ন
চালায়
আর
নীরবে
আমরা
তা
সহ্য
করি,
তবে
সেক্ষেত্রে
এই
হাউজই
হবে
সেই
অপরাধের
সহযোগী। যে
ক্ষমতার
তারা
অপব্যবহার
করেছে
সে
ক্ষমতা
তারা
আমাদের
নিকট
থেকেই
ক্রয়
করেছে। এই
বিলের
বিরুদ্ধে
যে
পরিবেশ
সৃষ্টি
হয়েছে,
সেই
পরিপ্রেক্ষিতেই
আমাদের
হস্তক্ষেপের
বিশেষ
কারণ
হয়ে
দাঁড়িয়েছে। নয়ত
আমাদের
মনে
করতে
হবে,
আমরা
অর্থের
কারণে
লক্ষ
লক্ষ
মানুষের
রক্ত
বিক্রি
করেছি। আমি
স্বীকার
করি,
আমরা
বিক্রি
করেছি,
বিক্রি
করতে
হয়েছে
আমাদের
কর্তৃত্ব। আমাদের
কর্তব্য
বিষয়সমূহের
বাজার
আমরা
করতে
পারি
না। আমি
এই
নীতিতে
স্থির
নিবদ্ধ
যে,
যদি
কোনো
অপপ্রয়োগ
প্রমাণিত
হয়,
তবে
চুক্তি
ভেঙে
যাবে। আমরা
আমাদের
অধিকারে;
আমাদের
কর্তৃত্বই
হচ্ছে
প্রথম। আর
কোম্পানির
কর্তৃত্ব
হচ্ছে
গৌণ। আমাদের
কর্মকাণ্ডের
ভূমিকাই
আমাদের
হয়
প্রশংসা,
নয়ত
নিন্দা
এনে
দেবে। সম্মানিত
উপস্থাপক
(মি:
ফক্স)
যে
বিল
পেশ
করেছেন,
তা
পরিপূর্ণ
হলে
দুনিয়া
দেখবে
আমরা
ধ্বংস
করি,
আমরা
সৃষ্টিও
করতে
পারি। পরীক্ষা
প্রমাণ
করবে
আমরা
দাঁড়াব
না
পড়ে
যাব। আমি
বিশ্বাস
করি
যে,
পরীক্ষায়
প্রমাণ
হবে
সনদ
চূড়ান্তভাবে
অপপ্রয়োগ
হয়েছে;
পরিপূর্ণ
স্বেচ্ছাচারিতা,
নির্যাতন,
দুর্নীতি
ছিল
যে
সনদের
মূলমন্ত্র
সেই
স্থানে
আমরা
দেব
মানুষের
নিরাপত্তা
সংবলিত
সনদ।
এই
বিল
এবং
এর
সাথে
সংশ্লিষ্ট
বিষয়গুলো
হবে
হিন্দুস্তানের
মহাসনদ। ওয়েস্টফেলিয়ার
(১৬৪৮
সালে)
সন্ধি
(দা
হলি
রোমান
এমপায়ার)
হচ্ছে
রোমান
সাম্রাজ্যের
নগরগুলোর
এবং
রাজাদের
স্বাধীনতা। তিনটি
ধর্ম
(ক্যাথলিজিম,
লুথারিম,
ক্যালভিনিজম)
সেখানে
পালিত
হত। মহাসনদ
(ম্যাগনাকার্টা)
যা
স্ট্যাটুট
অব
ট্যালেজ
(ডি
টেল্লাজি
নন
কনসিডেলডো)
পিটিশন
অব
রাইট
(১৬২৯)
ও
ডিক্লারেশন
অব
রাইট
(১৬৮৯)
হচ্ছে
গ্রেট
বৃটেনের
জন্য
তাই। এবং
এই
বিলই
হচ্ছে
ভারতের
জন্য
তাই। তাদের
এই
মঙ্গলের
স্বার্থে
বলা
যায়,
তাদের
পরিস্থিতিও
সহায়ক। যখন
বুঝতে
পারব
ওদেরও
গ্রহণের
সামর্থ্য
বেড়েছে,
তখন
আমার
ভোটের
সার্থকতা
পূর্ণতা
পাবে। তাদের
সনদের
নিরাপত্তা
ও
রক্ষার
জন্য
অন্য
কোনো
ব্রিটিশ
শাসিত
দেশের
সনদ
প্রতিবন্ধক
হবে
না।
কোম্পানির
অধিকার
সম্পর্কে
যে
স্বীকারোক্তি
আমি
দিয়েছি
তাই
আমাকে
আটকে
রেখেছে। ব্যবসায়ীদের
হাতে
বিরাট
ক্ষমতা
রাখার
ন্যায্যতার
বিরুদ্ধে
যারা,
তাদেরকে
আমার
মনে
হয়
না
সমালোচনা
করি। বিষয়টি
সম্পর্কে
আমি
জানি
এবং
এই
পদ্ধতির
বিরুদ্ধে
অনেক
বলা
যায়। আমার
বিশেষ
ধারণায়
এবং
মতে,
সেইভাবে
আমি
কাজ
করি
না। একটি
মতামত
যতই
আপাত
গ্রহণযোগ্য
মনে
হোক,
তবু
আমি
সরকারের
একটি
প্রতিষ্ঠিত
প্রতিষ্ঠানকে
ধ্বংস
করায়
সম্পূর্ণ
অনিচ্ছা
প্রকাশ
করি। আমি
ব্যবসায়ীর
মধ্যে
দেখেছি
বিশাল
রাজনৈতিক
প্রজ্ঞা
আবার
রাজনীতিতে
অবস্থানরত
ব্যক্তিকে
দেখেছি
ফেরিওয়ালার
মানসিকতা। অভিজ্ঞতা
থেকে
দেখেছি
কোনো
অভ্যাস,
জীবন
বা
শিক্ষা
হলেই
সরকারি
কর্মকাণ্ডের
জন্য
অযোগ্য
হবে
এমন
নয়। তবে
প্রায়ই
দেখেছি
ওইসব
কর্মকান্দ্রে
জন্য
ক্ষুদ্র
দল
কোটারি
স্বার্থমণ্ডিত
গোষ্ঠী
থেকে
লোক
নেওয়া
হয়। এরা
সুন্দর
স্বাভাবিক
চিন্তাধারার
লোক
নয়। ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানি
থেকে
শাসন
নিয়ে
নেওয়ার
পক্ষে
যেসব
শর্ত
যুক্তিযুক্ত
মনে
করি-
প্রথমত,
ক্ষমতার
অপব্যবহারই
আমি
সবচেয়ে
বড়
মনে
করি।
দ্বিতীয়ত,
এই
অপব্যবহারটা
খুবই
বড়
অপব্যবহার
হবে।
তৃতীয়ত,
এটা
হবে
অভ্যাসগত,
আকস্মিক
নয়। চতুর্থত, বর্তমানে
যেভাবে
এটা
গঠিত
তাতে
কোনোভাবেই
এটা
ঠিক
করার
যোগ্য
নয়। দিবালোকের
মতো
এগুলো
ঠিক
করা
প্রয়োজন।
-
একজন
যথার্থ
সম্মানিত
ভদ্রলোক
বলেছেন,
আমার
মনে
হয়
একবারই
বলেছেন
(তার
দাবিকৃত
পরিকল্পনায়)
কোম্পানি
সরকারের
যথেষ্ট
অন্যায়
রয়েছে। এটাই
যদি
সব
হয়
তবে
এই
বিলের
উপস্থাপক
এবং
তার
বিজ্ঞ
বন্ধুর
(২-এপ্রিল
১৭৮৩-এ
নডাস
একটি
ভারতীয়
বিল
তুলে
ধরেন
যাতে
গভর্নর
জেনারেলকে
ব্যাপক
ক্ষমতা
দেওয়া
হয়। লক্ষ্য
ছিল
ভারতে
অপশাসন
বন্ধ
করা। কোয়ালিশন
তাকে
অপসারণ
করে
এবং
পিটকে
সমর্থন
দান
করে)
পরিকল্পনা
নিরর্থক।
সকল
সরকারে
অবশ্যই
অন্যায়
রয়েছে। এটি
একটি
নিষ্ফল
প্রস্তাবনা। এই
অন্যায়গুলো
সম্পর্কে
ভদ্রলোকেরা
খুব
হালকা
করে
কথা
বলেন। এগুলোর
প্রকৃতি
জানার
আগে
আমি
মানচিত্র
স্মরণ
করি,
যেখানে
এই
সনদের
অন্যায়
ক্ষতি
করে। আপনারা
বিচার
করবেন,
আমি
সেই
মানচিত্রে
এমন
কিছু
শর্ত
আবিষ্কার
করতে
পারি
কি
না,
যা
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
অন্যায়ের
ফল
এবং
তাতে
এই
বিলে
সংস্কারের
ন্যায্যতা
প্রতিপন্ন
হয়।
অধিকাংশ
সময়ই
ব্রিটিশশাসিত
দেশগুলো
হয়
কোম্পানির
নামে
নয়ত
রাজার
নামে
কোম্পানির
ওপরই
নির্ভরশীল
থাকত। বিস্তৃত
পর্বতমালা
যা
ভারতকে
তাতার
থেকে
পৃথক
রাখে,
কন্যা
কুমারী
অন্তরীপ
পর্যন্ত,
২১
ডিগ্রি
অক্ষাংশে
তা
অবস্থান
করছে।
উত্তরাঞ্চলে
কঠিন
ভূ-খণ্ড। প্রায়
আটশত
মাইল
দৈর্ঘ্য
এবং
চার
অথবা
পাঁচশত
মাইল
প্রস্থ। দক্ষিণে
যান,
জায়গা
সঙ্কীর্ণ
হয়ে
আসবে। পরে
আরো
প্রসারিত
হয়। সঙ্কীর্ণই
হোক
আর
প্রশস্তই
হোক,
আপনি
পাবেন
এই
বিশাল
দেশের
পূর্বাঞ্চল
এবং
উত্তর-পূর্বাংশ। পেগু
সীমান্ত
থেকে
বাংলা
বিহার
উড়িষ্যা
বেনারসসহ
আমাদের
দখলে। মোটামুটি
ফ্রান্সের
চাইতে
বড়;
আয়তনে
প্রায়
১,৬১,৯৭৮
বর্গমাইল। অযোধ্যার
আশ্রিত
প্রদেশসহ
আয়তন
৫৩,২৮৬
বর্গমাইল,
ইংল্যান্ডের
চাইতে
খুব
ছোট
নয়। কর্নাটক
তানজোর
এবং
সিরকার
আয়তন
৬৫,৯৪৮
বর্গমাইল,
মোটামুটি
ইংল্যান্ড
থেকে
বড়। কোম্পানির
শাসন
বোম্বে
এবং
সলসিট
পর্যন্ত
বিস্তৃত;
আয়তন
২৮১,৪১২
বর্গমাইল,
রাশিয়া
এবং
তুরস্ক
ব্যতীত
ইউরোপীয়ান
যেকোনো
দেশের
চাইতে
বড়। (অবস্থা
এমন
দাড়িয়েছে
যে)
এই
বিশাল
ভূ-
খণ্ডে
এমন
মানুষ
নেই
যে
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানির
অনুমতি
ছাড়া
অন্ন
গ্রহণ
করতে
পারে। এই
বিশাল
ভূ-খণ্ডের
লোকসংখ্যার
হিসাব
করা
কঠিন। যখন
এই
ভূ-খণ্ডগুলো
আমাদের
হস্তগত
হয়
তখন
লোকজন
ছিল
সমৃদ্ধ। উৎপাদন
ছিল
পর্যাপ্ত
অথচ
বর্তমানে
এই
ভূ-খণ্ড
প্রাচীন
সমৃদ্ধি
হারিয়েছে। কর্নাটক
আমাদের
সময়ে
সবচেয়ে
বেশি
ক্ষতিগ্রস্ত
হয়েছে। জনমানবশূন্য
হয়ে
পড়েছে। এই
জনমানবশূন্য
হওয়ার
পূর্বে
এর
জনসংখ্যা
৩০
মিলিয়নের
কিছু
কম
ছিল
না,
যা
এই
গ্রেট
বৃটেন
দ্বীপের
চার
গুণেরও
বেশি।
আমার
পরবর্তী
তদন্ত
হচ্ছে
এই
ভূ-খণ্ডের
জনসংখ্যার
মান
ও
বৈশিষ্ট্য। এই
বিশাল
জনসংখ্যা
কখনো
নিচ
বর্বর
প্রকৃতির
ছিল
না। আমাজন
অথবা
প্লেট
নদীর
তীর
দিয়ে
ঘুরে
বেড়াত
গুয়ার্নির্জ
অথবা
চিকইজ
(Guaranies and Chiquitos)
বর্বর
জাতি। এরা
তো
কোনো
দিন
এদের
মতো
ছিল
না। আমরা
যখন
বনজঙ্গলে
বাস
করতাম
তখন
এরা
যুগ
যুগ
ধরেই
ছিল
সভ্য
এবং
মার্জিত। সভ্য
জগতের
সকল
শিল্পকলায়
সমৃদ্ধ
ও
মার্জিত। এখানে
উচ্চ
মর্যাদা,
কর্তৃত্ব
এবং
সমৃদ্ধিপূর্ণ
রাজন্যবর্গ
ছিলেন। এখানে
প্রাচীন
এবং
সম্মানিত
পুরোহিতগণ
আছেন,
যাদের
আছে
প্রাচীন
ধর্মীয়
অনুশাসন
ও
ইতিহাস,
যা
দিয়ে
তারা
জীবিতদের
পরিচালিত
করে
এবং
মৃত্যুতে
প্রিয়জনদের
সান্ত্বনা
দেন। এখানে
প্রাচীন
অভিজাত
এবং
সম্রান্ত
ব্যক্তিরা
বাস
করেন। বহু
নগরীতে
অসংখ্য
মানুষ
তাদের
ব্যবসা-
বাণিজ্যে
ইউরোপিয়ানদের
ছাড়িয়ে
গেছে। এখনে
ব্যবসায়ী,
ব্যাংকার,
স্বতন্ত্র
ধনী
ব্যক্তিরা
আছেন,
ইংল্যান্ডের
ব্যাংকে
পুঁজি
নিয়োগ
নিয়ে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা
করছেন,
যারা
তাদের
ঋণ
দিয়ে
টলটলায়মান
সরকারকে
টিকিয়ে
রেখেছেন,
যুদ্ধের
মধ্যে
বিপর্যয়ের
মধ্যেও
তাদের
সরকারকে
টিকিয়ে
রেখেছেন। এখানে
আছে
লক্ষ
লক্ষ
উৎপাদনকারী,
কারিগর,
লক্ষ
লক্ষ
পরিশ্রমী
বুদ্ধিমান
কৃষক। সব
ধরনের
ধর্মের
লোক
এখানে
আছে,
যেমন
ব্রাহ্মণ,
মুসলমান,
প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের
খৃস্টান
প্রভৃতি।
আমদের
ওখানের
সকল
সম্পত্তির
তুলনা
করা
যায়
জার্মান
সম্রাজ্যের
সাথে। আমাদের
বর্তমান
দখলকে
আমি
অস্ট্রিয়ান
সাম্রাজ্যের
সাথে
তুলনা
করি। অযোধ্যার
নবাব
(The Nabob of Oude)
প্রুশিয়ার
রাজার
(King of Prussia)
সমান। আরকটের
নবাবের
(the Nabob of Arcot)
ভূ-খণ্ড
স্যাক্সসির
(Elector of Saxony)
প্রধানের
চাইতে
ভালো। রাজস্বের
দিক
থেকে
সমান। বেনারসের
রাজা
চেত
সিংকে
(Cheit Sing, the Rajah of
Benares) হেসের
রাজার
(Prince of Hesse)
সাথে
তুলনা
করা
যায়। তানজোর
রাজ্য
(Rajah of Tanjore)
বাভারিয়া
(Elector of Bavaria)
প্রধানের
ভূ-খণ্ডের
সমান
হলেও
রাজস্বের
পরিমাণ
বেশি। উত্তরাঞ্চলীয়
জমিদার
এবং
অন্যান্য
সামন্ত
ভূস্বামীরা
(The polygars and the Northern zemindars)
এই
অঞ্চলের
রাজন্যবর্গ,
ডিউক,
কাউন্ট,
মার্কিস
(marquises)
এবং
বিশপদের
সমকক্ষ। তাদের
সকলকেই
আমি
ছোট
না
করে
সম্মান
প্রদর্শন
করছি।
এই
বিরাট
জনসমষ্টি,
যারা
বিভিন্ন
শ্রেণী-পেশায়
বিভক্ত,
তাদের
আচার,
ধর্ম,
পৈতৃক
পেশা
বিভিন্ন। এতে
ভারতকে
নিয়ন্ত্রণ
করা
বেশ
কঠিন
ও
সংকটজনক। আহা, সেই
ভারতকে
নির্মমভাবে
শাসন
করা
হয়েছে। এমনকি
কোনো
কোনো
সংস্কারক
ভারতশাসনকে
জমিদারের
প্রজা
বা
ছোট
দোকানি
শাসন
ছাড়া
তার
বেশি
কিছু
ভাবতে
পারেননি। এটাও
একপ্রকার
সাম্রাজ্যই,
কিছুটা
জটিল
প্রকৃতির
মর্যাদা
ও
গুরুত্বসম্পন্ন। আমি
এটাকে
জার্মানি
বা
জার্মান
সরকারের
সাথে
তুলনা
করেছি
কোনো
সাদৃশ্যের
জন্য
নয়,
বরং
একটি
মাধ্যম
সৃষ্টি
করেছি,
যেন
ভারতবর্ষ
আমাদের
বোঝাপড়া
এবং
অনুভূতির
নিকটতর
হয়,
যাতে
করে
দুর্ভাগা
ভারতবাসীদের
জন্য
সহানুভূতি
জাগে;
কারণ
বিষয়টিকে
আমরা
মিথ্যা
ও
কুয়াশাচ্ছন্ন
মাধ্যমের
মধ্যে
দেখছি। আমার
দ্বিতীয়
শর্ত
হচ্ছে
সনদকে
স্পর্শ
করার
যৌক্তিকতা। কোম্পানির
ট্রাস্টের
অপব্যবহার
একটি
অপরিসীম
বর্বরতা
কি
না
এ
প্রসঙ্গে
আমি
আপনাদের
অনুমতি
প্রার্থনা
করে
তাদের
আচরণকে
দুটো
আলোকে
দেখব।
প্রথমে
রাজনৈতিক
এবং
পরে
বাণিজ্যিক। আমি
তাদের
রাজনৈতিক
আচরণকে
দুই
ভাগে
ভাগ
করব। বাহ্যিক, যাতে
আমি
তাদের
আচরণকে
দেখি
যুক্তরাষ্ট্রীয়
ব্যবস্থায়,
যাতে
তাদের
স্বতন্ত্র
ক্ষমতা
নিয়ন্ত্রিত
যা
তাদের
পূর্বে
ছিল
না। অপরটি
অভ্যন্তরীণ
যেখানে
সম্প্রতি
তারা
রাজ্যটিকে
একটি
প্রজাস্বরূপ
বানিয়েছে
কিংবা
কোনো
রাজ্যকে
এমন
অবস্থায়
রেখেছে
যে,
সে
রাজ্যের
প্রজাদের
অবস্থা
খুবই
খারাপ
কিংবা
শোচনীয়।
যে
পদ্ধতির
প্রতি
আমি
মনোযোগ
আকর্ষণ
করতে
চাই
তা
অপ্রয়োজনীয়
বা
ভনিতা
হবে
বলে
আমি
মনে
করি
না। আমার
দৃষ্টির
সম্মুখে
অসংখ্য
বিষয়
চলে
গেছে। সে
বিষয়গুলো
আমি
বাদ
দেব
না
এবং
বড়
উল্লেখযোগ্য
বিষয়
গুলোর
প্রতি
আমার
স্থির
দৃষ্টি
থাকবে। বাহ্যিক
যুক্তরাষ্ট্রীয়
ট্রাস্ট
সম্পর্কে
আমি
তিনটি
বিষয়ে
আরো
পরিষ্কার
করতে
চাই। প্রথমত, হিমালয়
পর্বত
(Mount Imaus)
(অথবা
ভারতবর্ষের
সমগ্র
উত্তরাঞ্চলজুড়ে
যে
পর্বতমালা
দাঁড়িয়ে
আছে),
যেখানে
২৯
অক্ষাংশ
স্পর্শ
করে। কুমারিকা
অন্তরীপ
(Cape Comorin)
৮
অক্ষাংশ
পর্যন্ত
এমন
কোনো
রাজা
বা
রাজ্যশাসক
নেই,
ছোট-বড়
যাই
হোক,
যাকে
তারা
বিক্রি
করেনি। বিক্রি
বললাম,
যদিও
তারা
অনেক
সময়ই
তাদের
চুক্তি
অনুযায়ী
ডেলিভারি
দেয়
না। দ্বিতীয়ত, এমন
কোনো
সন্ধি
নেই,
যা
তারা
ভাঙেনি। তৃতীয়ত, এমন
কোনো
রাজা
বা
রাজ্য
নেই
যারা
কোম্পানির
সাথে
ট্রাস্ট
গঠন
করেছে
অথচ
নিঃশেষ
হয়নি। ফলত, আমাদের
চিরস্থায়ী
শত্রুতে
পরিণত
হয়েছে। আমার
এই
বক্তব্য
সর্বজনবিদিত। সার্বিক
অর্থেই
সর্বজনবিদিত। তারা
বাহ্যিক
এবং
রাজনৈতিক
ট্রাস্টকেই
বোঝে। আমি
সমমাপের
অভ্যন্তরীণকে
তুলে
ধরব। বর্তমানে
আমি
সন্তুষ্ট
থাকব
আমার
বক্তব্য
ব্যাখ্যা
করেই। বিলের
প্রয়োজনে
যদি
আমাকে
প্রমাণের
জন্য
ডাকা
হয়
(মনে
হয়
ডাকা
হবে
না)
তবে
রিপোর্টের
পরিশিষ্ট
কিংবা
হাউজ
বা
কমিটির
রিপোর্ট
বা
কাগজে
আমার
আঙুল
রাখব। আমার
স্মৃতিতে
পরিষ্কার
আছে
এবং
আধা
ঘণ্টার
নোটিশে
হাজির
করতে
পারব।
কোম্পানি
অর্থের
জন্য
প্রথম
বিক্রি
করেছে
মহান
মোগল
তৈমুর
লং-এর
বংশধরকে
(Great Mogul,—the
descendant of Tamerlane - দ্বিতীয়
শাহ
আলম)। এই
বিখ্যাত
ব্যক্তিত্ব,
সীমাহীন
শ্রদ্ধার
পাত্র,
অমায়িক
ব্যবহার,
দানদক্ষিণার
জন্য
বিখ্যাত,
প্রাচ্যের
সাহিত্যে
বিদগ্ধ
(শাহ
আলমের
কবিতাগ্রন্থের
একটি
কপি
বার্কের
কাগজপত্রের
মধ্যে
ছিল)। তার
নামে
মুদ্রা
প্রচলিত
ছিল,
তার
নামে
বিচারব্যবস্থা
প্রচলিত
ছিল,
তার
নামে
মসজিদ-মন্দিরে
প্রার্থনা
হত-
তবুও
তাকে
বিক্রি
হতে
হল।
মি.
স্পিকার,
এই
বিস্ময়ের
যুগের
বিপ্লব
এবং
মানুষের
সৌভাগ্যের
অনিত্যতা
দেখে
মুহূর্তের
জন্য
না
থেমে
থাকা
যায়
না। আজ
আমরা
সেই
ব্রিটিশদের
আচরণ
নিয়ে
আলোচনা
করছি,
যারা
বিশাল
মোগলদের
উচ্ছেদ
করেছে। কিন্তু
আমি
যখন
বুঝতে
শিখলাম
বা
আপনি
যখন
ছোট
ছিলেন,
তখন
কি
বিশ্বাস
করতে
পারতাম
যে
এই
আলোচনা
আমরা
করব?
এটা
অলস
কল্পনা
নয়। এটা
একটা
বিরাট
শিক্ষা। ঘটনার
বিবর্তনে
শেখার
জন্য
আমাদের
অনেক
দেরি
হয়নি।
এটা
মোটেই
অপ্রাসঙ্গিক
নয়। মোগল
বিক্রি
করার
কথায়
ফিরে
আসি। অনেক
রাজ্যের
ন্যায্য
রাজা,
তার
অনেক
অনুদানের
মধ্যে
দুটো
জেলা
কোরা
এবং
এলাহাবাদ
(Corah and Allahabad)
ছিল। এই
সম্রাটকে
(এলাহাবাদ
চুক্তি)
২,৬০,০০০
পাউন্ড
প্রতি
বছর
প্রদানের
চুক্তিতে
কোম্পানি
এই
জেলা
দুটো
গ্রহণ
করে। পবিত্র
একটি
চুক্তির
মাধ্যমে
জেলা
দুটো
কোম্পানি
সম্রাটের
মুখ্যমন্ত্রী
সুজাউদদৌলার
(Sujah ul Dowlah)
নিকট
বিক্রি
করেন
(১৭৬৫
হেস্টিংস
কোরা
এবং
এলাহাবাদ
জেলা
দুটো
হস্তান্তর
করেন
১৭৭৩
সালে। অযোধ্যার
মুখ্যমন্ত্রীকে
সম্রাট
জেলা
দুটোর
নিয়ন্ত্রণ
দিয়েছিলেন
১৭৬৫
সালে। মুখ্যমন্ত্রী
সুজাউদদৌলা
যুক্তি
তোলেন
যেহেতু
জেলা
দুটো
এবং
এর
রাজস্ব
মারাঠাদের
হাতে
তুলে
দেওয়া
হয়েছে,
অতএব
তার
আর
দায়িত্ব
নেই)। দুই
বছরের
মধ্যে
এই
বিক্রি
সম্পন্ন
হয়। তৈমুরলং-এর
এই
বংশধর
দৈনন্দিন
জীবনের
অভাব-অভিযোগে
অভাবী
হয়ে
পড়েন। আমরা
ন্যায়ত,
তার
যা
প্রাপ্য
তাকে
কিছুই
দিইনি। পরবর্তী
বিক্রি
হচ্ছে
রোহিল্লা
(Rohillas)
জাতি
বিক্রয়। পরের পর্ব
No comments:
Post a Comment