Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 2 |
Speech on the East India Bill - Edmund Burke - Bengali Translation - Part - 2
স্পিচ অন দ্য ইস্ট ইন্ডিয়া বিল – এডমান্ড বার্ক - বাংলা অনুবাদ - পর্ব ২ঃ
সেই
বিরাট
বিক্রেতা
কোনো
ঝগড়া-ঝাটির
তোয়াক্কা
না
করে
কোনো
দায়িত্ব
বা
ন্যায়পরায়ণতার
পরোয়া
না
করে,
সেই
সুজাউদদৌলার
নিকট
বিক্রি
করল। মানুষকে
সর্বস্বান্ত
করে
আবার
সে
চারশত
হাজার
পাউন্ডে
বিক্রি
করল
(রোহিল্লাখণ্ডে
আফগান
রোহিল্লাদের
শাসন
সমাপ্ত
করার
জন্য
১৭৭৪
সালে
হেস্টিংস
কোম্পানির
একটি
অংশকে
অযোধ্যার
সুজাউদদৌলার
হাতে
ন্যস্ত
করেন। এই
রোহিল্লা
যুদ্ধ
হেস্টিংসের
জন্য
বিরাট
দুর্নাম
টেনে
আনে। সর্বস্বান্ত
কথাটার
মানে
হচ্ছে-
একটি
ছোট
রোহিল্লা
গ্রুপকে
তাড়িয়ে
দেওয়া
হয়
এই
জন্য
যে,
তারা
অষ্টম
শতাব্দীর
গোড়ার
দিকে
একটি
বিরাট
হিন্দু
জনসমষ্টিকে
তাদের
নিয়ন্ত্রণে
রেখেছিল)। বিশ্বস্তভাবেই
আমাদের
দিক
থেকে
দরদস্তুর
হল। হাফিজ
রহমত
(Hafiz Rhamet)
তাদের
সরদারদের
মধ্যে
শীর্ষস্থানীয়
নেতা
[হাফিজ
রহমত
খান
(১৭১০-৭৫)
ছিলেন
রোহিল্লা
প্রধান। তিনি
সুজাউদদৌলার
আক্রমণের
শিকার
হন। তিনি
পার্শি
এবং
পশতু
ভাষায়
কবিতা
লিখতেন]। তৎকালীন
সময়ের
একজন
সাহসী
নেতা। রুচিশীল
সাহিত্যকর্মের
জন্য
বিখ্যাত
(সেই
জন্যই
সে
হাফিজ
নামটি
পছন্দ
করেছিল)। শত
হাজার
সৈন্যসহ
একটি
ইংরেজ
ব্রিগেড
তাকে
আক্রমণ
করল। তার
দুর্বল
বাহিনীকে
পরাজিত
করে
হত্যা
করা
হল। যদিও
সে
সাহসের
সাথে
যুদ্ধ
করেছিল। তার
শিরচ্ছেদ
করে
একজন
বর্বরকে
টাকার
জন্য
দেওয়া
হল। সম্মানিত
পর্যায়ের
একজন
ব্যক্তির
স্ত্রী-সন্তানদের
দেখা
গেল
ইংরেজ
ক্যাম্পে
একমুঠো
ভাত
ভিক্ষা
করতে। একটি
পুরো
জাতিকে
সামান্য
ব্যতিক্রম
বাদে
হত্যা
করা
হল,
ধ্বংস
করা
হল। যে
জাতি
ছিল
অন্য
অনেক
জাতির
ওপরে,
পুরুষানুক্রমিক
সরকার,
সমৃদ্ধি
ও
প্রাচুর্যপূর্ণ। সেই
দেশ
বনজঙ্গল
বুনো
পশুতে
ভরে
গেল।
ব্রিটিশ
অফিসার
এই
ধরনের
কেনাবেচায়
বিবেকের
দংশন
অনুভব
করাতে
এই
বাড়াবাড়ি
বাংলার
প্রেসিডেন্টকে
জ্ঞাত
করেন। বেসামরিক
গভর্নর
তাকে
তীব্র
ভৎসনা
করেন। আমার
সন্দেহ
হয়
সামরিক
ব্যক্তির
সহানুভূতি
এবং
বেসামরিক
গভর্নরের
দৃঢ়তার
জন্য
বিরোধের
যে
ফাটল
সৃষ্টি
হয়
এই
সময়েই
তার
পরিসমাপ্তি
হয়
(রোহিল্লাদের
প্রতি
নিষ্ঠুর
আচরণের
অভিযোগে
অভিযুক্ত
হন
কর্নেল
আলেকজান্ডার
চ্যামপিওন
(মৃ:
১৭৯৩)। তার
প্রতি
অভিযোগের
কোনো
উত্তর
দেননি
বলেই
সমসাময়িক
ঐতিহাসিকেরা
তাকে
প্রশ্নবিদ্ধ
করেছেন)।
বাংলায়
সিরাজউদদৌলাকে
মির
জাফরের
(Mir Jaffier)
নিকট
বিক্রি
করা
হয়
(মির
জাফর
কোম্পানিকে
বিরাট
পরিমাণ
ঘুষ
দেওয়ার
প্রতিশ্রুতিতে
কোম্পানির
সৈন্য
সিরাজ
উদদৌলাকে
১৭৫৭
সালে
পলাশীতে
উৎখাত
করে)। মির
জাফরকে
(মির
কাশিম
১৭৬০
সালে
কোম্পানিকে
ভূমি
ও
সৈন্য
প্রদান
করেন)
মির
কাশেমের
নিকট
বিক্রি
করা
হয়। মির
কাশিমকে
মির
(বিরাট
অঙ্ক
দেওয়া
হয়
যখন
মির
জাফরকে
পুনরায়
১৭৬৩
সালে
বসানো
হয়)
জাফরের
নিকট
বিক্রি
করা
হয়। মির
জাফরের
উত্তরাধিকার
বিক্রি
করা
হয়
তার
জ্যেষ্ঠ
পুত্রের
(নাজিম
উদদৌলা)
কাছে। মির
জাফরের
অন্য
পুত্রকে
বিক্রি
করা
হয়
তার
বিমাতার
নিকট
(মুবারকউদদৌলার
অভিভাবক
হিসেবে
১৭৭২
সালে
মুন্নি
বেগমকে
নিয়োগ
প্রদান
করা
হয়)। মারাঠা
সাম্রাজ্য
বিক্রি
করা
হয়
রাঘবের
নিকট
(Ragobah
বা
রাঘোবা
বা
রঘুনাথ
রাও
(মৃ.
১৭৮৩)-কে
মারাঠার
পেশোয়া
বা
মুখ্যমন্ত্রী
করার
জন্য
কোম্পানি
সমর্থন
করে। ১৭৮৩-তে
পরিত্যাগ
করা
হয়)। রাঘবকে
বিক্রি
ও
পাঠিয়ে
দেয়া
হয়
মারাঠার
পেশোয়ার
(মাধব
রাও
নারায়ণ
(মৃ.
১৭৯৫)) নিকট।
রাঘব
এবং
পেশোয়াকে
বেরারের
রাজার
(Rajah of Berar)
নিকট
পাঠানো
হয়
(হেস্টিংস
বেরারের
মধুজি
ভোনসালকে
(মৃ:
১৭৮৮)
সাতারার
রাজা
হওয়ার
জন্য
উৎসাহিত
করেন। মারাঠার
নাম
মাত্র
প্রধান)। মালব
প্রধান
সিন্ধিয়াকে
(মহাদাজি
সিন্ধিয়া
- Scindia, the chief of
Malwa) একই
রাজার
নিকট
বিক্রি
করা
হয়। দাক্ষিণাত্যের
সুবা
(Subah of the Deccan - কোম্পানি
১৭৬৮
সালে
হায়দরাবাদের
নিজাম
আলী
খানকে
কর্নাটকের
নবাবের
পক্ষে
ক্ষমতা
সমর্পণ
করতে
বলে)
বিক্রি
করা
হয়
আরকটের
নবাব
বিশিষ্ট
ব্যবসায়ী
মোহাম্মদ
আলীর
নিকট
(Mahomet Ali, Nabob of
Arcot)।
সেই
আরকটের
নবাবের
নিকট
তারা
হায়দার
আলী
এবং
মহীশুর
রাজ্য
(kingdom of Mysore - মহীশুরের
সাথে
যুদ্ধের
পূর্বে
১৭৬৭
সাল)
বিক্রি
করেন। মোহাম্মদ
আলীর
নিকট
তারা
দুইবার
তানজোর
সাম্রাজ্য
বিক্রি
করেন
(১৭৭১
এবং
১৭৭৩
সালে)
। সেই
একই
মোহাম্মদ
আলীর
নিকট
তারা
বারো
জন
রাজাকে
যাদের
পলিগার
(Polygars
- দক্ষিণ
ভারতের
সার্বভৌম
রাজাদের
জন্য
এই
শব্দটি
ব্যবহৃত
হত)
বলা
হয়
বিক্রি
করা
হয়। বিষয়টি
শান্ত
রাখার
জন্য
প্রয়োজনে
নবাবের
রাজ্য
তিন্নিভেলি
(Tinnevelly)
তারা
ডাচদের
নিকট
বিক্রি
করেন
(সামরিক
সাহায্যের
বিনিময়ে
হেটিংস
১৭৮০
সালে
ডাচদের
কর্নাটকের
Tinnevelly
জেলার
ভার
অর্পণ
করেন)।
তাদের
হিসাব
শেষ
করার
জন্য
তাদের
বড়
খরিদ্দার
আরকটের
নবাবকে
তার
দ্বিতীয়
পুত্র
আমীর
উল
ওমরাহর
(Amir ul Omrah)
নিকট
বিক্রি
করেন। যার
চরিত্র,
দৃষ্টিভঙ্গি,
আপনাদের
টেবিলের
ওপর
আছে। আপনাদের
নিকট
বিষয়টি
রয়েছে
তারা
তাদের
বেচাকেনা
শেষ
করবে
কি
না
(কর্নাটকের
নবাব
তার
দ্বিতীয়
পুত্র
আমীর
উল
উমরের
উত্তরাধিকার
মনোনয়নের
জন্য
বৃটিশ
সরকার
বা
কোম্পানিকে
চাপ
দিচ্ছিলেন)।
এই
ধরনের
দামদস্তুর
এবং
বেচাকেনা
পরিসমাপ্ত
হয়
দেশটিতে
বিশৃঙ্খলা
এবং
ধ্বংসের
মধ্য
দিয়ে। তা
হত
সব
সময়ই
ক্রেতা
কিংবা
কোনো
সময়
বিষয়বস্তুর
জন্য। সম্মানিত
উপস্থাপক
এসব
কথা
ব্যাখ্যা
করেছেন
যখন
তিনি
কোম্পানির
নিকট
দেশীয়
শক্তির
পাওনা
টাকা
পরিশোধের
ধরন
ব্যাখ্যা
করেছেন
(২৭
শে
নভেম্বর
ফক্সের
ভাষণ)।
একজন
সম্মানিত
ভদ্রলোক
যিনি
এখন
নিজের
জায়গায়
নেই,
তিনি
দুই
হাজার
মাইল
পেরিয়ে
যাওয়ার
প্রতিবাদ
করেছিলেন
উদাহরণস্বরূপ
(জর্জ
জনস্টোনের
উল্লেখ,
যিনি
অভিযোগ
করেছিলেন
ফক্স
স্থান
তারিখ
তালগোল
পাকিয়েছেন)। কিন্তু
দক্ষিণের
উদাহরণ
উত্তরের
দাবির
ব্যাপারে
প্রযোজ্য,
তেমনি
উত্তরের
ব্যাপারে
দক্ষিণ
কার্যক্রম
সম্পূর্ণ
একরূপ
এবং
এক
অংশে
যা
করা
হবে
অপর
অংশে
তা
প্রযোজ্য
হবে। এই
দুই
হাজার
মাইলের
মধ্যে
আপনার
যেখানে
খুশি
ভূমিকা
নিন।
আমার
দ্বিতীয়
বক্তব্য
হচ্ছে,
কোম্পানি
এমন
চুক্তি
করেনি
যা
ভঙ্গ
করেনি। সমগ্র
ভারতবর্ষের
বিভিন্ন
রাজ্যে,
প্রদেশে,
বিক্রি,
দরাদরি
এমনি
ধরনের
হয়েছে,
যার
খুঁটিনাটি
বর্ণনা
পরিহার
করছি। সংস্কারের
কোনো
শত্রুও
বলতে
পারেনি
তারা
কোনো
জনস্বার্থে
কোনো
চুক্তি
করেছে। যদি
আমি
শুনি
তারা
এমন
একটি
উদাহরণ
সৃষ্টি
করেছে
(এই
পর্যন্ত
আমি
শুনিনি),
আমি
চুক্তিটির
ব্যাপারে
বলব। গভর্নর
জেনারেল
এ
ব্যাপারে
মজা
করেছেন
এবং
পরিচালকমণ্ডলীর
নিকট
এক
চিঠিতে
তিনি
স্বীকার
করেছেন,
গণআস্থার
প্রতি
তিনি
সংবেদনশীল
নন
এবং
একটি
নির্দিষ্ট
পরিমাণ
অর্থের
উল্লেখ
করে
তিনি
বলেছেন,
কোম্পানি
এটা
হারাত
অথবা
পেত
না,
যদি
তার
সহকর্মীরা
গণআস্থার
প্রতি
কঠোর
ধারণা
অব্যাহত
না
রাখত
(হেস্টিংসের
অর্থপ্রাপ্তির
পর
পরিচালকদের
নিকট
লিখিত
চিঠি
২২
শে
মে
১৭৮২)।
আমার
বিপক্ষীয়
বন্ধু
আমাকে
অনেক
ঝামেলা
থেকে
বাঁচিয়েছেন। আমরা
ভুলিনি,
সম্ভবত
তিনিও
ভুলেননি
আগেরবার
তিনি
কোনো
প্রশংসা
পাননি। পরিষ্কার
ও
জোরালো
বক্তব্যে
তিনি
বলেছিলেন,
প্রাচ্যে
চুক্তিভঙ্গ
ব্রিটিশদের
প্রবাদবাক্য
হয়ে
দাঁড়িয়েছে
(১৭৮২-তে
১৫ই
এপ্রিল
তার
বৃক্তৃতা)।
আমার
কয়েকটি
বিষয়
সংক্ষেপে
তুলে
ধরতে
হয়। মোগলদের
সাথে
আমাদের
চুক্তি
হয়েছিল
বার্ষিক
২৬০,০০০
পাউন্ড
দেওয়ার
জন্য। এই
চুক্তি
তারা
ভঙ্গ
করেছে
এবং
এক
শিলিংও
প্রদান
করেনি। এমনিভাবে
ভঙ্গ
করেছে
সুবে
বাংলাকে
(Subah of Bengal)
দেওয়ার
৪০,০০০
পাউন্ডের
চুক্তি
(এলাহাবাদ
চুক্তির
(৪
লক্ষ
পাউন্ডের
ওপর)
করার
পর
বাংলার
নবাবের
সাথে
যে
প্রতিশ্রুতি
দেওয়া
হয়)। মোগলদের
সাথে
তাদের
চুক্তি
হয়েছিল,
কাজ
সমাপ্তির
পর
নুজিফ
কনকে
পেনশান
দেবে
(নাজাফ
যান
বৃটিশদের
সাথে
ঐক্য
করেন। ১৭৬৫
সালে
তাকে
দুই
লক্ষ
টাকার
পেনশন
দেওয়া
হয়।)।
অন্যদের
সাথে
এই
চুক্তিও
তারা
ভঙ্গ
করে
এবং
এই
সামান্য
পেনশন
বন্ধ
করে। তারা
নিজাম
(৪৮.
অনুমিত
হয়
১৭৬৬
সালে)
এবং
হায়দার
আলীর
(১৭৬৯
সালে)
সাথে
চুক্তি
ভঙ্গ
করে। মারাঠাদের
সাথে,
তাদের
ব্যবস্থাপক
সভার
সাথে,
গোষ্ঠী
প্রধানদের
সাথে
অনেক
চুক্তি,
পাল্টা
চুক্তি
ছিল। এর
প্রতিটিই
স্থূলভাবে
ভঙ্গ
করা
হয়েছে। বলা
হয়েছে,
যদি
এই
চুক্তিগুলোর
কয়েকটিও
রাখা
হত
তবে
দু
জন
সৈন্য
একটি
মাঠে
মিলিত
হয়ে
একজন
অপরজনের
গলা
কাটত। যুদ্ধ
ভারতবর্ষকেও
শূন্য
করে
দিয়েছে। এই
যুদ্ধ
শুরু
হয়েছে
আমাদের
বর্বরভাবে
চুক্তি
ভঙ্গ
করার
জন্য। নিরবচ্ছিন্ন
শান্তির
মধ্যেও
তারা
মারাঠা
ভূ-খণ্ডে
আক্রমণ
করেছে
এবং
মানুষজন
এবং
সলসিটি
(Salsette
- ১৭৭৪
সালে)
দুর্গকে
দখল
করে
নিয়েছে। মারাঠারা
তবুও
শান্তিচুক্তির
কাছে
আত্মসমর্পণ
করেছে। এতে
কোম্পানির
সুবিধালাভ
হয়েছে। অন্যান্য
চুক্তির
মতো
এই
চুক্তিও
কোম্পানি
ভঙ্গ
করে
(পুরন্দর
চুক্তি
১৭৭৬
সালে)। এই
বিপর্যয়
নতুন
চুক্তির
জন্ম
দেয়। কোম্পানির
সেনাবাহিনী
এই
আহত,
প্রতারিত
এবং
অপমানিত
মানুষের
নিকট
আত্মসমর্পণ
করে। যতই
ক্ষুব্ধ
থেকে,
চুক্তিগুলো
ছিল
যুক্তিসঙ্গত
এবং
গ্রহণযোগ্য(ওয়ারগসনের
চুক্তি
১৭৭৯
সালে)। মারাঠা
জনগণের
এত
ক্ষমতা
ছিল
না
যে
কোম্পানিকে
বাধ্য
করবে
তাদের
মধ্যমপন্থি
শর্ত
পালন
করতে। পূর্ণ
বিক্রমে
আবার
যুদ্ধ
শুরু
হল। তাদের
লুণ্ঠনের
লালসা
এত
বেশি
ছিল
যে,
তারা
শান্তিতে
কর্ণপাত
করত
না,
যদি
না
হায়দার
আলী
তাদের
দম্ভচূর্ণ
করত,
যদি
না
জলস্রোতের
মতো
তিনি
কর্নাটককে
প্লাবিত
করে
দিতেন। এটা
ছিল
আমাদের
বিরুদ্ধে
বিবদমান
শিবিরগুলোর
ঐক্যের
ফসল,
আমাদের
ধ্বংসের
জন্য
(মহীশাশুর,
নিজাম
এবং
মারাঠাদের
চুক্তি)। জাতি
হিসেবে
কেউ
তাদের
বিশ্বাস
করেনি
এবং
মানবতার
শত্রু
হিসেবে
পরিগণিত
হয়। লক্ষণীয়
যে,
যুদ্ধ
এবং
সন্ধির
ব্যাপারে
বিভিন্ন
প্রেসিডেন্সি
এবং
পরিচালকমণ্ডলীর
বিবাদে
তাদের
অংশগ্রহণকে
সমর্থন
নয়
বরং
তাদের
বিশ্বাসভঙ্গের
জন্য
দোষ
স্থির
হওয়া
উচিত। কিন্তু
আমি
এ
কথা
স্বীকার
করে
সন্তুষ্ট
যে,
এই
কার্যবিধি
সম্পূর্ণ
নিয়মিত,
পরিপূর্ণ
সম্মান
এবং
আস্থার
মধ্যে
পরিচালিত
হচ্ছে। আমি
আপনাদের
এমন
একটি
কার্যবিবরণীর
দিকে
দৃষ্টি
আকর্ষণ
করতে
চাই,
যেখানে
মুখপাত্রেরা
সেই
পদ্ধতিকে
সেরা
মনে
করে,
যেখানে
কার্যবিবরণীর
ভুল
অংশকে
বাদ
দেয়। আমি
মারাঠা
সন্ধির
(সালবাই
শান্তি
চুক্তি
১৭৮২
এবং
অধিকতর
চুক্তি
মে
এবং
অক্টোবর
১৭৮৩)
দৃষ্টি
আকর্ষণ
করছি।
ভূ-খণ্ড
ছেড়ে
দেওয়ার
ব্যাপারে
আমি
কোনো
মন্তব্য
করছি
না,
যা
তারা
দুঃখজনক
যুদ্ধে
পুরন্দর
সন্ধির
মধ্যে
পেয়েছিল। প্রত্যর্পণ
যথার্থ,
যদি
এটা
স্বেচ্ছায়
এবং
যুক্তিযুক্ত
হয়। সন্ধির
মূল
ভাব,
ইচ্ছা
শান্তির
জন্য
শর্ত। মিত্র
এবং
সহযোগীদের
বিশ্বাসকে
আমি
গুরুত্ব
দিই,
যাতে
এ
থেকে
হাউজ
সিদ্ধান্ত
নিতে
পারে
(একই
হাতে
হলে
আবারও
হতে
পারে)
এবং
ওই
বিষয়টি
যার
ব্যবহার
হয়েছে
তা
ভারতের
যুক্তরাষ্ট্রীয়
ব্যবস্থায়
কাজে
লাগতে
পারে।
প্রতিটি
ইংরেজের
ইচ্ছা
ছিল
মারাঠা
শান্তি
একটি
সার্বিক
রূপ
নেবে। আমাদের
কর্মকাণ্ডের
বিরুদ্ধে
যে
ঘৃণার
বহিঃপ্রকাশ
ভারতের
প্রতিটি
রাজ্যে,
প্রতিটি
ঘরে
তারই
পরিপ্রেক্ষিতে
সম্মিলিত
প্রতিরোধের
মুখে
মারাঠা
যুদ্ধ
হয়। মি. হেস্টিংস
সাধারণ
এবং
যুক্তিসঙ্গত
ইচ্ছার
প্রতি
নীরব
সম্মতির
ভান
করেন। তিনি
মারাঠাদের
সম্মান
রক্ষার
জন্য
সম্মতি
জ্ঞাপন
করে
বলতে
চান
যে,
একটি
অধ্যায়
ঢোকাতে
হবে,
যাতে
হায়দায়
আলী
শান্তি
মেনে
নেবে। দেখুন
স্যার,
এই
লোকটির
মানসিকতা। হাজারো
জিনিসে
বিশেষ
করে
লর্ড
ম্যাকার্থির
(অনুমিত
হয়
কর্নাটকের
রাজস্বসংক্রান্ত)
সাথে
তার
কর্মকাণ্ডে
কী
প্রকাশ
পায়
না
অত্যাবশ্যকীয়
শান্ত
করানোর
পবিত্র
চুক্তিতে?
মি.
এন্ডারসনের
[ডেভিড
এন্ডারসন
(১৭৫১
- ১৮২৫)] নিকট তার
নির্দেশ
ছিল,
তিনি
আশা
করেন
“একটি
চাতুরিপূর্ণ
অধ্যায়”
যা
হবে
হায়দার
আলীর
নামে। চাতুরি
এবং
প্রতারণা
হবে
এই
সন্ধির
মূল
ভিত্তি। এই
চাতুরিপূর্ণ
অধ্যায়
যার
উদ্দেশ্য
ছিল
অসৎ। আমাদের
ভারতে
সম্মান
নস্যাৎ
করেছে।
এই
চাতুরিপূর্ণ
অধ্যায়
যোগ
হতে
না
হতেই
হায়দার
আলীর
পক্ষ
থেকে
কোনো
অপেক্ষা
না
করেই
মারাঠা
প্রধান
সিন্ধিয়ার
সাথে
আলোচনা
করতে
থাকেন
দেশটিকে
বিভক্ত
করার
জন্য,
যা
সন্ধির
একটি
শর্ত
ছিল। তিনি
দেশটিকে
তিন
ভাগে
ভাগ
করেন
- একটি
অংশ
সিন্ধিয়াকে,
একটি
পেশোয়াকে
এবং
অপরটি
ইস্ট
ইন্ডিয়া
কোম্পানিকে
অথবা
(পুরনো
দালাল,
ফেরিওয়ালা)
মোহাম্মদ
আলীকে
(Mahomet Ali - বৃটিশের
বিরুদ্ধে
যুদ্ধ
করলে
মহীশুর
ভূ-খণ্ডকে
বিভক্ত
করা
হবে)।
এই
পরিকল্পনা
গঠনের
সময়ই
হায়দার
আলী
মারা
যায়। তার
পুত্র
[টিপু
(১৭৫৩
- ৯৯)
পিতার
সিংহাসন
আরোহণ
করেন
১৭৮২
সালে]
সন্ধি
মানা
বা
প্রত্যাখ্যান-
এই
ধরনের
কোনো
পদক্ষেপ
নেওয়ার
পূর্বেই
বিভক্তিকরণ
শুরু
হয়
এবং
মি.
এন্ডারসনকে
নির্দেশ
দেন
সন্ধি
পূর্ণ
ফর্মে
শেষ
করতে।
নতুন
পরিস্থিতির
উদ্ভব
হল। আলোচনার
স্থবিরতায়
কোম্পানির
বিশ্বাস
তীক্ষ্ণতা
ও
উজ্জ্বলতা
ফিরিয়ে
আনার
জন্য
বৈচিত্র্যপূর্ণ
নতুন
মুখ
আনা
হল। জেনারেল
ম্যাথুজ
[রিচার্ড
ম্যাথুজ
(মৃ.
১৭৮৩)] হায়দারের রাজ্যকে
ছোট
করে
আনলেন
যাকে
বলা
হয়
বিদেনোর
[Biddanore
– বেদুনুর
বা
বিজনৌর
- দক্ষিণ
কানাড়ায়]। সংবাদ
পাওয়ার
পর
মি.
হেস্টিংস
মি.
এন্ডারসনকে
নির্দেশ
দিলেন
বিভক্তির
সন্ধিতে
আরো
কিছু
পরিবর্তনের
জন্য
বিদেনোরকে
ভাগ
করতে
হবে
এবং
কোম্পানির
জন্য
রাখতে
হবে।
এই
পরিবর্তনের
প্রথম
কারণ
সন্ধির
পূর্বেই
একটি
ভিন্ন
জয়। এখানে
কোম্পানির
সততা,
সাম্য
এবং
সংযমের
পরিচয়
পাওয়া
যায়। দ্বিতীয়ত, মি.হেস্টিংস
বিদেনোরকে
পৃথক
অংশে
রাখার
কারণ
এবং
তার
আচরণ
এখন
লক্ষণীয়। তিনি
জোরেসোরে
বললেন,
দেশকে
বিভক্তির
পথে
ঠেলে
দেওয়া
যায়
না,
কারণ
জেনারেল
ম্যাথু
কিছু
প্রথার
মধ্যে
এটা
পেয়েছেন
যা
প্রস্তাবিত
বিভক্তির
মধ্যে
গ্রহণযোগ্য
নয়। এর
মধ্যে
সম্মানযোগ্য
এবং
শক্ত
ভিত্তি
ছিল। কোথাও
বা
কারো
নিকট
সত্য
নিহিত
ছিল। কিন্তু
পরস্পর
বিভক্তির
অভিযোগের
প্রেক্ষিতে,
প্রতিশ্রুত
সত্যের
প্রতি
তার
অনীহার
কারণে,
শান্তির
উর্বর
মাটিতে
যুদ্ধের
বীজ
রোপণ
করার
উদ্দেশ্যে
তিনি
এন্ডারসনকে
পূর্ণ
দাবি
পরিহার
করে
সন্ধির
পুরনো
শর্তে
সমাপ্ত
করার
নির্দেশ
দেন
এই
জন্য
যে,
বিদেনোর
বিয়োজনের
পর
বিভক্তি
খুবই
কঠিন
হয়ে
পড়বে। জেনারেল
ম্যাথুর
সমঝোতা
মারাঠাদের
নতুন
মৈত্রীর
প্রতি
সতর্ক
করে
দিল। আবার
অন্যদিকে
সমঝোতা
পরিহার
করার
জন্য
ভারতবর্ষকে
শিখিয়ে
দিল
নতুন
বিজয়
যেখানে
করুক
না
কেন
কোম্পানি
তা
মানবে
না।
পরে,
স্যার,
আমি
তুলে
ধরতে
চাই,
চুক্তির
মধ্যে
কোম্পানির
পূর্ণ
সমর্থনসহ
আমাদের
মিত্রদের
মধ্যে
সতর্ক
সাবধানতা
রাখা
হয়েছিল। এই
মিত্রদের
মধ্যে
ছিল
রঘুনাথ
রাউ
(Ragonaut Row)
যার
জন্য
আমরা
সিংহাসন
প্রতিশ্রুতি
দিয়েছিলাম। গাইকোয়ার
[পেশোয়ার
নিকট
থেকে
স্বাধীনতার
শর্তে
ফতে
সিং,
গাইকোয়ার
বোরেদা
কোম্পানির
সাথে
১৭৮০
সালে
সন্ধি
করেন। সালবাই
চুক্তিতে
১৭৮২
এই
শর্ত
রক্ষিত
হয়নি]
(গুজরাটের
রাজা)-কে
মারাঠা
কর্তৃত্ব
থেকে
উদ্ধার
এবং
তাকে
কিছু
রাজ্য
দিয়ে
সমৃদ্ধ
করানো
এবং
শেষত
গোহুদের
রানার
[ Rana of Gohud - গোহাদের
রানা
করতার
সিং
১৭৭৯
সালে
বৃটিশের
সাথে
সন্ধি
করেন
কিন্তু
তাকে
তার
শত্রু
মারাঠা
নেতা
সিন্ধিয়ার
নিকট
ছেড়ে
দেন]
সঙ্গে
চুক্তি
ছিল
আমাদের
জয়ের
ষোল
ভাগের
এগার
ভাগ
দেওয়া
হবে। এদের
সকলের
সাথেই
মূল্যবান
সনদে
কিছু
প্রতারণামূলক
অধ্যায়
যোগ
করা
হয়েছে। প্রথমে, মারাঠা
সিংহাসনের
মিথ্যা
দাবিদার
হতভাগ্য
সিংহাসনচ্যুত
পেশোয়া
রঘুনাথ
রাউকে
তার
জনগণের
নিকট
তার
নিরাপত্তার
একটি
অধ্যায়
এবং
কিছু
শর্তসহ
[সালবাই
সন্ধির
৬ষ্ঠ
অধ্যায়
অনুযায়ী
রঘুনাথ
রাওকে
বৃটিশ
অধীনতা
থেকে
মুক্তি
দেওয়া
হয়। সিন্ধিয়ার
নিকট
থেকে
ভাতা
পাবেন,
যদি
তার
সাথে
বসবাস
করেন। রঘুনাথ
রাও-এর
দূত
বৃটেনে
১৭৮১
সালে
এলে
বার্ক
তাকে
প্রচুর
সাহায্য
করেন]
অর্পণ
করা
হল। এই
ব্যক্তি
জানতেন
তার
জনগণ
কতটা
ঘৃণা
তাকে
করত;
জ্ঞাত
ছিলেন
তিনি
কী
ধরনের
অপরাধের
জন্য
অভিযুক্ত
(তার
দেশে
আমাদের
আক্রমণ
এই
অপরাধের
মধ্যে
মোটেই
কম
না)। যে
অধ্যায়ের
মধ্য
দিয়ে
তাকে
তার
জনগণের
নিকট
আত্মসমর্পণ
করানো
হয়,
তা
দেখে
তো
তিনি
বিস্ময়াভিভূত
হয়ে
পড়েন। সন্ধির
প্রতি
তার
কোনোই
লক্ষ্য
ছিল
না। আশঙ্কা
করা
হচ্ছিল
তিনি
হায়দার
আলী
কিংবা
যে
তাকে
রক্ষা
করবে
তার
আশ্রয়ে
যাবেন। তাকে
নিরাপদে
রাখা
হল
কারণ
মি.
এন্ডারসন
বিশেষ
দূতের
মাধ্যমে
জানিয়ে
দিলেন
কোনো
চিন্তা
না
করতে
এবং
উৎফুল্ল
থাকতে। তার
পুরনো
শত্রু
সিন্ধিয়াও
তাকে
অনুরোধ
জানালেন
তার
ভয়
দূর
করতে।
একই
সন্ধিতে
ভালো
কোনো
নিরাপত্তায়
নয়,
মারাঠা
রাজ্যের
পৃষ্ঠপোষকতায়
গাইকোয়ার
এলেন। গোহুদের
রানার
ব্যাপারে
তার
সিংহাসন
পরিত্যাগের
ব্যাপারে
দীর্ঘ
আলোচনা
হয়। প্রথমে
হেস্টিংস
ক্ষুব্ধভাবে
প্রত্যাখ্যান
করেন। পরে
তিনি
যথার্থ
বলে
মনে
করেন
এই
জন্য
যে
তাকে
একজন
বিশ্বাসঘাতক
বলেই
বুঝতে
পারেন। অবশেষে
তার
পক্ষে
স্বাভাবিক
কিছু
অধ্যায়
ঢুকিয়ে
দুই
মেরুকে
একত্রীকরণ
করা
হল। মি. এন্ডারসন
সন্ধির
শর্ত
সর্বশেষ
অনুমোদনের
পর
চুক্তিবিনিময়
করেন,
তাতে
রানাকে
মারাঠাপ্রধান
সিন্ধিয়ার
ক্যাম্পে
স্থান
দেন
অথচ
তিনি
(সত্যিকারভাবে)
গোয়ালিয়র
দুর্গে
কামানের
গুলিবর্ষণ
করছিলেন। যা
আমাদের
প্রতারিত
মিত্রকে
দান
করেছিলাম। বিষয়টা
আমার
বিশ্বাসের
ঊর্ধ্বে। সিন্ধিয়া
নগরকে
ধ্বংস
করছিলেন। একটির
পর
একটি
আমাদের
মিত্রদের
দুর্গ
আক্রমণ
করছিলেন। কর্নেল
কামাককে
যেসব
রাজা
সাহায্য
করছিলেন
তাদেরই
তিনি
শান্তি
দিচ্ছিলেন
[কর্নেল
কামাক
সিন্ধিয়ার
বিরুদ্ধে
সৈন্য
পরিচালনা
করেছিলেন। তার
সৈন্যবাহিনী
গোয়ালিয়র
দুর্গ
দখল
করে। গোহাদের
রানাকে
অর্পণ
করেন। সিনধিয়া
ইংরেজদের
প্রতি
আনুগত্য
প্রকাশ
করলে
রানার
পরিবর্তে
তাকে
তার
ক্ষতিপূরণ
দিতে
আপত্তি
থাকল
না। হেস্টিংস
অভিযোগ
করেন,
রানা
বৃটিশদের
প্রতি
দায়িত্ব
পালন
করেনি।]।
কলকাতা
থেকে
একটি
চিঠিতে
আমি
দেখেছি,
গোহুদের
এজেন্ট
এই
বিরোধের
বিষয়টি
হেস্টিংসের
নিকট
জানাতে
গিয়েছিলেন,
কিন্তু
হেস্টিংস
তাকে
সাক্ষাৎ
দেননি। কোম্পানি
এভাবেই
মারাঠা
যুদ্ধের
মিত্রদের
সাথে
আচরণ
করেছে। এখানেই
তারা
থেমে
থাকেনি। মারাঠারা
ভীতসন্ত্রস্ত
ছিল,
কারণ
সন্ধি
মোতাবেক
যাদের
পাঠানো
হয়েছিল
তারা
শাস্তি
থেকে
মুক্তি
পেয়ে
ব্রিটিশ
নিয়ন্ত্রিত
ভূ-খণ্ডে
পালিয়ে
গিয়ে
নতুন
করে
ভূ-খণ্ড
নিয়ন্ত্রণ
করে
ঝামেলা
সৃষ্টির
পাঁয়তারা
করতে
পারে। এটা
প্রতিরোধ
করতে
তারা
অতিরিক্ত
একটি
সন্ধিতে
নতুন
একটি
অধ্যায়
সৃষ্টি
করতে
চাইল
যাতে
মি.
হেস্টিংস
এবং
কলকাতায়
অবস্থানরত
কোম্পানির
অন্যান্য
কর্মকর্তাদের
সম্মতি
থাকে। এটা
ছিল
“ইংরেজ
এবং
মারাঠা
সরকার
পারস্পরিকভাবে
এই
মর্মে
একমত
হচ্ছে
যে,
কোনো
প্রধান
ব্যক্তি,
ব্যবসায়ী
কিংবা
অন্য
কোনো
ব্যক্তি
অপরের
ভূখণ্ডে
আশ্রয়
নিতে
চাইলে
তা
দেওয়া
হবে
না। এটা
আমাদের
মিত্রদের
পক্ষে
কোনো
ব্যতিক্রম
বাদে
তৎক্ষণাৎ
স্বীকার
করে
নেওয়া
হয়। একটি
সরকার
সচেতন
যে,
অনেক
প্রজাকে
তাড়িয়ে
দেওয়া
হতে
পারে। কোম্পানি
সরকারের
পক্ষে
কোনো
ক্রমেই
অস্বাভাবিক
নয়। পারস্পরিকভাবে
তা
চুক্তিবদ্ধ
করা
হল। এই
সনদগুলোতে
শান্তির
শুভ
ইচ্ছা,
গণ-আস্থার
কথা
ছিল। নিজ
ক্ষমতাবলে
নিরঙ্কুশ
বিজয়
ব্যতীত
শান্তি
আনার
সব
প্রচেষ্টাই
তার
ছিল। সিন্ধিয়ার
সাথে
দ্বিতীয়
চুক্তিতে
শর্ত
ছিল,
মারাঠারা
পেশোয়ার
অনুমতি
ব্যতীত
টিপু
সাহেবের
সাথে
কোনো
চুক্তি
করতে
পারবে
না। ফলত
সিন্ধিয়াকে
[১৭৮৩
সালে]
পারস্পরিক
চুক্তিতে
আবদ্ধ
করে। যদি
আমাদের
ভারতীয়
মিত্ররা
চার
মাসের
মধ্যে
শান্তিতে
সম্মত
না
হয়
তবে
পারস্পরিকভাবে
সৈন্য
প্রত্যাহার
ফ্রান্স
ও
ইংল্যান্ডের
[চেপাক
প্রাসাদ]
মৈত্রী
চুক্তিতে
শর্ত
ছিল। মি. হেস্টিংসের
চুক্তি
আমাদের
বাধ্য
করে
যতদিন
পেশোয়া
চাইবে
ততদিন
আমরা
যুদ্ধ
চালিয়ে
যাব। আমাদের
অবস্থা
সন্তোষজনক,
কারণ
ফ্রান্সের
সাথে
চুক্তিভঙ্গ
আর
মারাঠাদের
সাথে
চুক্তি
লঙ্ঘন
দুটোই
অনিবার্য। অতএব
আমাদের
পথ
বেছে
নিতে
হবে। যুদ্ধের
অধিকারভঙ্গের
শাস্তির
স্বরূপ
উল্লেখপূর্বক
বলা
যায়,
যে
সর্বস্বান্ত
হয়নি
সে
আমাদের
বিশ্বাস
করবে
না। গাইকোয়ারের
রঘুনাথ
রাউ
আর
গোহুদের
সর্বশেষ
উদাহরণ
আমি
দিয়েছি। মোগলদের
অবস্থা
প্রমাণের
জন্য
যথেষ্ট।
আযোধ্যার
নবাবের
দারিদ্র্য
ও
ক্রীতদাসত্ব,
বেনারসের
রাজার
নির্বাসন,
বাংলার
নবাবের
ভিক্ষাবৃত্তি,
তানজোরের
রাজার
বন্দী
ও
সর্বস্বান্ত
অবস্থা,
পলিগরের
ধ্বংস
আর
কটের
নবাবের
ধ্বংস। যখন
তাকে
আক্রমণ
করা
হয়
তখন
তাকে
পাওয়া
যায়
সৈন্যহীন,
রসদহীন,
ভাণ্ডারশূন্য। অর্থের
ব্যাপারে
কোম্পানির
নিকট
এক
মিলিয়ন
ঋণ। এলাকা
থেকে
বহু
অর্থ
ছিনিয়ে
নিয়েছেন
যা
তিনি
মাদ্রাজের
উপকণ্ঠে
বিশাল
বাড়ি
তৈরিতে
ব্যয়
করেছিলেন। এদের
তুলনা
করুন
মারাঠা
রাজ্যগুলোর
সাথে
দাক্ষিণাত্যের
সুবাগুলোর
সাথে
হায়দার
আলীর
বীরত্ব,
সম্পদ
এবং
সংগ্রামের
সাথে। এতে
হাউজ
খুঁজে
পাবে
কোম্পানির
ক্ষমতার
ফলাফল
এবং
কোম্পানির
প্রতি
বদ্ধমূল
অনাস্থা। ওই
সংস্থার
নির্জলা
ক্ষমতার
অপব্যবহারের
কারণে
যে
সকল
অন্যায়ের
সৃষ্টি
হয়েছে
তারই
পরিপ্রেক্ষিতে
তাদের
সনদের
বিরুদ্ধে
মতামত
দেওয়া
যথেষ্ট
নয়,
বরং
তাদের
সনদের
বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা
নেওয়ার
ঘোষণা
উচ্চারণ
করছি।
আমার
ভোটের
কারণে
যদি
এই
অন্যায়
চলতেই
থাকে
তবে
আমি
নিজেকে
অত্যন্ত
দুষ্ট
লোক
ভাবব।
এখন,
স্যার,
আমি
যে
পরিকল্পনা
পেশ
করছি,
প্রথমে
লক্ষ্য
রাখব
কোম্পানির
আভ্যন্তরীণ
শাসন
এবং
কোম্পানির
শাসিত
রাজ্যে
এর
ফলাফল
এবং
কর্তৃপক্ষের
ওপর
এর
প্রতিক্রিয়া। আভ্যন্তরীণ
শাসনের
মূল
নীতিতে
প্রবেশ
করার
পূর্বে
আমাকে
অনুমতি
দেবেন
আমাদের
কোম্পানির
অপশাসন
এবং
পূর্ববর্তী
বিজেতাদের
শাসনের
মধ্যে
পার্থক্য
সম্পর্কে
কিছু
বলার। প্রয়োজনীয়
সংস্কারের
পূর্বে
আমাদের
পথ
দেখাতে
সহায়তা
করবে। আরব, তাতার
এবং
পারসিকদের
ভারতবর্ষ
আক্রমণ
ছিল
ব্যাপকভাবে
ভয়ঙ্কর,
রক্তাক্ত
এবং
ভয়াবহ। আমাদের
প্রবেশ
ছিল
স্বল্প
রক্তপাত
যা
সম্ভব
হয়েছে
প্রতারণা,
প্রবঞ্চনা
এবং
এক
রাজ্যের
সাথে
অপর
রাজ্যের
অসংশোধনীয়,
অন্ধ,
বিবেকবর্জিত
শত্রুতার
কারণে,
শক্তির
জোরে
নয়। পার্থক্য
হচ্ছে
এশিয়া
বিজয়ীরা
খুব
শীঘ্রই
তাদের
হিংস্রতা
হ্রাস
করে,
কারণ
বিজিত
দেশকে
তাদের
নিজেদের
দেশ
করে
নেয়। যে
ভূ-খণ্ডে
তারা
বাস
করত
সেই
ভূ-খন্ত্রে
উত্থান-পতনের
সাথে
তাদের
নিজেদের
উত্থান-পতন
জড়িত
ছিল। পিতা
তার
সন্তানের
জন্য
আশা
সঞ্চয়
রেখে
যেত
আর
সন্তান
তার
পিতার
জন্য
স্মৃতিস্তম্ভ
রাখত। এখানেই
তাদের
ভাগ্যকে
সমর্পণ
করেছে। তাদের
ধারণা
ছিল
তাদের
ভাগ্য
অশুভ
পথে
যাবে
না। দারিদ্র্য
অনুর্বরতা,
পরিত্যক্ততা
মানুষকে
সুখ
এনে
দিতে
পারে
না। যদি
কোনো
তাতার
সম্রাট
আবেগ,
লোভের
বশবর্তী
হয়ে
লুণ্ঠন
বা
স্বৈরাচারী
নীতি
গ্রহণ
করত
তবে
ছোট
জীবনে
ক্ষমতার
অপব্যবহার
পরিহার
করে
সুস্থ
ক্ষমতার
ধারায়
ফিরে
আসার
যথেষ্ট
সময়
থাকত। যদি
জোর
এবং
স্বৈরাচারী
পথে
ভাণ্ডার
পূর্ণ
করা
হত
তা
হত
ঘরোয়া
ভাণ্ডার
এবং
ঘরোয়া
প্রাচুর্য
যা
অধিকতর
শক্তিশালী
এবং
অমিতব্যয়ী
হাতে
মানুষের
কাছেই
ফিরিয়ে
দিত। অনেক
বিশৃঙ্খলা,
অনিয়ন্ত্রিত
ক্ষমতার
পরও
প্রকৃতিই
দিত
ন্যায্য
আচরণ। অর্জনের
পথ
রুদ্ধ
হত
না;
ফলে
উৎপাদন
এবং
ব্যবসা
বৃদ্ধি
পেত। জাতীয়
সম্পদ
রক্ষার
এবং
বৃদ্ধির
জন্য
সম্পদ
অর্জন
এবং
লাভ
দুটোই
চলত। তাদের
উৎপন্ন
দ্রব্য
বেশি
দামে
কেনা
হবে
এটা
তারা
জানত। সম্মিলিত
প্রচেষ্টায়
সমাজের
সম্পদ
বেড়ে
যেত।
ইংরেজ
শাসনে
এ
সবকিছু
উল্টে
গেল। তাতার
আক্রমণ
ছিল
শয়তানি
কিন্তু
আমাদের
রক্ষা
ভারতকে
ধ্বংস
করে
দিচ্ছে। তাদের
ছিল
শক্রতা
আর
আমাদের
বন্ধুত্ব। আমাদের
জয়ের
কুড়ি
বছর
পর
আজও
ভব্যতাহীন,
যেমন
প্রথম
দিন
ছিল। দেশীয়রা
কদাচিৎ
ধূসর
(বৃদ্ধ)
চুলবিশিষ্ট
ইংরেজ
দেখে
থাকে। তরুণেরা (প্রায়ই
ছেলে)
সমাজহীন
সহানুভূতিহীন
অবস্থায়
শাসন
করে। দীর্ঘদিন
বসবাস
করলেও
সেখানে
মানুষের
সাথে
কোনো
সামাজিক
সংশ্রব
নেই। কোনো
ধরনের
যোগাযোগ
নেই। তাদের
সুদূর
পরিকল্পনা
হচ্ছে
অকস্মাৎ
ভাগ্যের
উন্নতি। যুগের
লোভ,
আবেগতাড়িত
তারুণ্যে
উজ্জীবিত
হয়ে
ঢেউয়ের
পরে
ঢেউয়ের
মতো
গড়িয়ে
পড়ছে
তারা। আর
দেশীয়রা
সীমাহীন
আশাহীন
দৃষ্টিতে
দেখছে
নতুন
ঝাকে
ঝাকে
শিকারি
পাখির
নিয়ত
উদর
শূন্য
এবং
পূর্তির
খেলা। ইংরেজের
একটি
টাকা
লাভ
অর্থাৎ
ভারতবাসীর
তা
ক্ষতি। একটি
দিনের
লুণ্ঠন
এবং
অন্যায়ের
প্রতিদানে
দরিদ্রদের
সাহায্যের
জন্য
কুসংস্কার
মনে
করেও
কোনো
প্রতিষ্ঠান
গড়ে
তুলিনি। আমাদের
অহমিকা
কোনো
রাজকীয়
স্মৃতিস্তম্ভ
তৈরি
করতে
দেয়নি
যা
কিছু
অপকর্ম
লাঘব
করে,
যা
ধ্বংসের
মধ্যেও
কিছু
সৌন্দর্য
বৃদ্ধি
করে। ইংল্যান্ডে
কোনো
গির্জা,
হাসপাতাল
[কলিকাতা
ফাউন্ডেশন
উল্লেখের
দাবি
রাখে
না],
প্রাসাদ,
স্কুল
নির্মাণ
করেনি
বা
কোনো
ব্রিজ,
বড়
রাস্তা,
নাব্যতা
সংগ্রহশালা
সৃষ্টি
করেনি। সর্বপ্রকারের
বিজেতারা
হয়
রাষ্ট্রীয়
কিংবা
দানের
ফলে
কিছু
স্মৃতিস্তম্ভ
রেখে
গেছেন।
ReplyDeleteVery good effort. Thanks a lot.