Paradise lost - John Milton - Translation in Bengali - Book 1 - Part - 1 |
(সতর্কীকরণঃ বাইবেলে উল্লেখিত যে ঘটনার উপর ভিত্তি করে এই কাব্য লেখা হয়েছে তা সত্য ও মিথ্যার একটি রসালো সংমিশ্রণ মাত্র।) Paradise Lost Summary and Analysis Bangla
Paradise Lost Book I - Part - 1 - Translation in Bangla
মানুষের
প্রথম
অবাধ্যতা,
আর
সেই
ফলটি
নিষিদ্ধ
বৃক্ষের,
যার
মানবীয়
স্বাদ
পৃথিবীতে
মৃত্যু
ডেকে
আনে,
আর
আনে
আমাদের
সকল
দুর্দশা,
এর
সাথে
হাতছাড়া
হয়
এডেন
(জান্নাত),
পরে
এক
মহামানবের
সাহায্যে
আমরা
প্রত্যর্পণ
করি,
আর
ফিরে
পাই
শান্তির
আসন,
গাও
জান্নাতী
মিউজ,
যা
গোপন
চুড়ায়
সেই
কাক
(Oreb) অথবা সিনাই(Sinai)
পর্বতের
শীর্ষ
দেশের
কথা, উদ্বুদ্ধ করে
সেই
মেষপালনকারীকে,
যিনি
নির্বাচিত
বীজটিকে
শিখিয়েছিলেন,
উর্ধ্বলোক
ও
পৃথিবীর
সৃষ্টির
শুরুতে
কিভাবে
নৈরাজ্য
শুরু
হল,
অথবা
শিয়ন
(জিয়ন
- Sion) পাহাড়
তোমায়
আরো
আনন্দিত
করবে,
অথবা
সিলোয়ার
নদীটি
যা
বয়ে
চলছিল,
দ্রুতবেগে
ঈশ্বরের
বানীতে,
আমি
সেখান
থেকেই
আমার
এই
দুঃসাহসী
কাব্যে
আপনার
সাহায্য
কামনা
করি।
যে
গানের
সুর
মূর্ছনা
সহজেই
অতিক্রম
করতে
পারে
অ্যায়োনিয়ান
(Aonian) পর্বতের শিখরমালা।
গদ্য
কিংবা
ছন্দে
যা
রচিত
হয়নি
এখনো,
আমি
রচনা
করবো
সেই
সঙ্গীতরাজি
আর
প্রধানত
তুমি,
তোমার
পবিত্র
স্থান
হতে
তোমার
ভক্তের
হৃদয়ের
শুভ্রতা
আর
শুচিতার
বেশি
মূল্য
দাও,
আমার
প্রতি
দয়া
প্রদর্শন
করে,
সঠিক
নির্দেশনা
দাও।
আর
তুমি
জানো,
কোন
কিছুই
অজানা
নয়
তোমার
সেই
আগেরকাল
হতেই
তুমি
আছো
সীমাহীন
শূন্যের
মাঝে
তুমি
কবুতরের
মতো
শক্তিমান
দুটো
ডানা
মেলে
অবস্থান
করছিলে
প্রশান্তি
সহকারে
আর
এভাবেই
ক্রমে
সমস্ত
সৃষ্টিকে
করেছো
মূর্ত।
যা
আমি
জানি
না,
যা
আজো
আমার
কাছে
অন্ধকার।
তারই
মাঝে
জ্ঞানের
আলোক
ফেলে
স্পষ্ট
করেছে।
যেখানে
দুর্বল,
নমিত
আমি,
সেখানেই
দিয়েছো
দৃঢ়
শক্তভূমি,
যাতে
আমি
সকল
অনিয়ম
আর
বিতর্কের
ঊর্ধ্বে
অবস্থান
করে।
মহান
ঈশ্বরের
বিধিবিধানগুলো
তুলে
ধরতে
পারি
মানবের
কাছে।
প্রথমেই
আমাকে
বলো
(কারণ
স্বর্গের
কোন
কিছুই
তোমার
দৃষ্টির
আড়ালে
নেই,
এমনকী
নরকের
গভীর
অন্ধকার
তলদেশ
পর্যন্তও
দেখতে
পাও
তুমি)
বলো
কী
কারণে
আমাদের
আদি
পিতা
মহান
ঈশ্বরের
দয়ার
মাঝে
বাস
করেও
স্বর্গ
হতে
বিতাড়িত
হলো।
কী
করে
তারা
পৃথিবীর
অধিপতি
ঈশ্বরের
নিকট
হতে
বিচ্ছিন্ন
হলো।
কী
কারণে
তারা
মহান
ঈশ্বরের
আদেশ
অমান্য
করে
অসহিঞ্চুতা
দেখাল,
এমন
নিন্দনীয়
বিদ্রোহে
তাদেরকে
ইন্ধন
জোগাল
কে?
শয়তানের
রূপধারী
জঘন্য
সেই
সাপই
সুকৌশলে
আদি
পিতা
আদমকে
প্রতারিত
করার
মধ্য
দিয়ে
প্রতিহিংসা
আর
প্রতিশোধ
গ্রহণ
করার
বাসনা
জাগিয়ে
তোলে
তার
মনের
মাঝে,
এবার
বলো,
কখন
আদি
পিতা
আদম
তার
সকল
সেবকসহ
তার
অধীর
আবেগের
কারণে
বিতাড়িত
হলো
জান্নাত
থেকে।
সেই
সব
বিদ্রোহী
শয়তানদের
সাহায্যে,
যাদের
কারনে
তিনি
করেছেন
উচ্চাভিলাস
সবার
মাঝে
সেরা
হওয়ার
এই
সকল
বিদ্রোহী
ঈশ্বরের
দূতদের
সহায়তা
নিয়ে
মোদের
আদি
পিতা।
মহান
ঈশ্বরের
স্থান
দখল
করার
উদ্দেশ্যে
উচ্চাভিলাষ
নিয়ে।
ঈশ্বরের
স্বর্গলোক
আর
তার
সিংহাসনে
আসীন
হতে
চেয়েছিল।
এ
কারণে
সে
অত্যধিক
দর্প
সহকারে
মহান
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
সে
অধমের
মতো
অসম
যুদ্ধ
ঘোষণা
করে
বসে।
আর
এ
কারণে
মহান
ঈশ্বর
স্বর্গলোক
থেকে
গভীর
নরকের
জ্বলন্ত
অগ্নিকুণ্ডের
মাঝে
নিক্ষেপ
করেন
শয়তানদের।
আর
এ
কারণেই
আমাদের
আদিপিতা
পড়ে
যান
গভীর
সংকটে
ঈশ্বর
বিরোধিতার
কারণে
তাকে
শাস্তিস্বরূপ
প্রজ্বলিত
নরক
কুণ্ডের
মাঝে
পরাজিত
অবস্থায়
শেকলে
বাঁধা
থাকতে
হয়।
তাকে
পুরো
নয়টি
দিন
সকল
বিদ্রোহীর
সাথে।
সেই
নরক
কুণ্ডে
সীমাহীন
এক
জ্বালা
যন্ত্রণা
ভোগ
করতে
হয়
তাকে।।
আদি
পিতার
এই
নরকবাস
তাঁর
ক্রোধকে
আরো
প্রজ্বলিত
করে।
হারানো
স্বর্গ
আর
দীর্ঘ
জীবন
যন্ত্রণা
বোধ
তাকে
দিতে
থাকে
অসম্ভব
পীড়া।
হতবিহবল
চোখে
চারপাশে
অর্ধমুদিত
চোখে
তাকিয়ে
তার।
সীমাহীন
বেদনার
কথা
ভেবে
রীতিমতো
শংকিত
হয়
সে।
তবুও
তার
এই
সব
শংকার
মাঝে
জেগে
থাকে
তার
ঘৃণা
আর
অহংকার,
যেদিকেই
তাকায়
আদিপিতা
চারপাশে
শুধু
নজরে
আসে
তার
বিশাল
জ্বলন্ত
অগ্নিকুণ্ড
দ্বারা
আবৃত
এক
অন্ধকার
কারাগার,
সেই
আগুনের
শিখার
মাঝে
নেই
কোন
আলো,
সেই
অগ্নিশিখার
কালো
আভায়
ভয়াল
অন্ধকার
চারপাশে
যেন
আরো
ভয়ানক
অন্ধকারকে
মূর্ত
করে,
সে
আঁধার
আভায়
শুধু
সে
দেখতে
পায়
সীমাহীন
দুঃখ
কষ্টের
ছায়া।
সেখানে
শান্তি
নেই,
নেই
বিদ্রোহ
কারার
বিন্দুমাত্র
সুযোগ,
সেথায়
নেই
কোন
বিন্দুমাত্র
আশা
আশ্বাস,
সেথা
আছে
শুধু
সীমাহীন
যন্ত্রণার
দুঃসহ
ব্যথাভার।
আর
জ্বলন্ত
অগ্নিকুণ্ডের
ভয়াবহ
অসহনীয়
দীর্ঘসূত্রিতা।
মহান
ঈশ্বরের
নির্দেশ
অনুযায়ী
নরকের
এই
চির
অন্ধকার
স্থানটি
বিদ্রোহীদের
জন্য
কারাগার
হিসেবে
নির্দিষ্ট
করা
হয়েছে।
সেই
নরক
অঞ্চলটি
ছিল
আয়তনে
বড়ই
বিশাল,
এটা
ঈশ্বরের
আর
তার
পবিত্র
স্থান
হতে
যতোটা
দূরে,
এ
নরকের
কেন্দ্রস্থল
হতে
কিনারা
তারো
চেয়ে
বেশি
দূরে।
আহা,
যে
মনোরম
স্থান
হতে
তারা
হয়েছে
বিতাড়িত
যে
স্থানে
ছিল
তারা
সে
স্থান
হতে
এ
জায়গা
কতো
না
আলাদা,
কতোনা
নারকীয়
এই
স্থান,
এখানে
তারই
সাথে
বিতাড়িত
সঙ্গী
সাথীরা
অগ্নির
দাপটে
কাবু
হয়ে
তারই
পাশে
বসে
আছে
জবুথবু।
অল্প
কিছুকাল
পরেই
নরকাগ্নির
ক্ষীণ
আভায়
একজনকে
সনাক্ত
করতে
সমর্থ
হলেন
আদি
পিতা,
ক্ষমতা
আর
অপরাধের
দিক
থেকে
আদিপিতার
পরই
সে,
বহুকাল
আগে
প্যালেস্টাইনে
(Palestine) দেখা হওয়া
সেই
শয়তান
বিলজিবাবকে
(Beelzebub) দেখার সাথে
সাথে
চিনলেন
আদিপিতা।
স্বর্গলোকে
যে
শয়তান
নামে
পরিচিত
ছিল,
সেই
বিলজিবাব।
এবারে
নরকের
নিস্তব্ধতাকে
খান
খান
করে
দিয়ে
জানাল:
যদি
তুমি
সেইজন
হও
তাহলে
তোমার
পতন
ঘটল
কী
করে
একদা
কতোই
না
সুখে
শান্তিতে
জীবন
যাপন
করেছো
তুমি।
স্বর্গীয়
আভায়
কতো
না
উজ্জ্বলতর
ছিল
তোমার
শরীর,
এখন
তুমি
আর
তেমনটি
নেই,
ঘটেছে
তোমার
কতো
না
পরিবর্তন।
একদা
আমরা
দুজনে
একই
আশায়
ছিলাম
উদ্বেলিত
আর
একই
বেদনাঘাতে
জর্জরিত,
ভেবেছি
একই
রকম
ভাবনা
আর
সে
ভাবনা
নিয়েই
দুজনে
একই
সাথে
চলেছি
পথ।
আর
এখন
একই
বেদনা
আর
সর্বনাশের
আওতায়
দুজনে,
একটু
ভাবো
দেখি,
কতো
না
উচ্চ
স্থান
হতে
পতন
ঘটেছে
তোমার,
বজ্র
যে
কতোটা
শক্তি
ধরে
পূর্বে
বুঝতে
পারিনি
মোরা
অথচ
এতোটা
দুর্দশা
বুকে
ধরেও
বিন্দুমাত্র
দুঃখ
জাগেনি
আমার
মাঝে
একটুও
পরিবর্তন
ঘটেনি
আমার
হৃদয়
কন্দরে।
বিজয়ী
অপর
পক্ষ
মোদের
বড়ই
শক্তিধর,
এর
থেকেও
বেশি
সাজা
দেবে
সে
আমাদের
এটা
নিয়ে
মোটেই
চিন্তিত
নই
আমি।
আমার
শরীরের
সেই
আভা
আর
চাকচিক্য
নেই
মোটেই
তবুও
সংকল্পবদ্ধ
আমি,
আমার
এই
অপমান
রাশি
আমার
মাঝে
তৈরি
করেছে
ঘৃণা
আর
প্রতিশোধ
নেয়ার
ইচ্ছা,
কারণ
এর
আগেও
আমি
স্বর্গের
বিদ্রোহী
সাঙ্গপাঙ্গদের
সহযোগে
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
যুদ্ধ
ঘোষণা
করেছিলাম
একদা।
সেই
যুদ্ধ
কাঁপিয়ে
দিয়েছিল
স্বর্গের
ভিত্তি
ভূমি,
তবুও
সে
যুদ্ধে
সফল
হতে
পারিনি
মোরা।
কিন্তু
পরাজিত
হয়েও
আমাদের
মনোবল
ভাঙ্গেনি
এতোটুকু
প্রবল
ঘৃণা,
প্রতিশোধের
অনমনীয়
বাসনা
নিয়েও
কি
জয়ী
হবো
না
মোরা?
এই
প্রবল
সাহস
আর
শক্তিই
মোদের
অহংকার।
আমাদের
বিরুদ্ধ
শক্তি
হোক
না
যতোই
শক্তিমান
আমাদের
এ
গৌরব
হরণ
করতে
সমর্থ
হবে
না
সে।
প্রতিপক্ষের
সামনে
নত
হয়ে
ক্ষমা
ভিক্ষা
সম্ভব
নয়
মোদের
তার
চেয়ে
যে
শত্রু
তার
দাম্ভিকতায়
তার
রাজ্যকে
করেছে
ভীতির
রাজ্য
যে
আমাদের
পতন
ঘটিয়ে
অপরিসীম
লজ্জায়
ফেলেছে
মোরা
প্রবল
বিক্রমে
বিরোধিতা
করে
যাবো
সেই
শত্রু
পক্ষের
যদিও
তার
সাম্রাজ্যের
পতন
ঘটেনি
আজও
তবুও
নিজ
অভিজ্ঞতায়
বুঝেছি
মোরাও
কম
নই
শক্তি
সাহসে।
আমরা
আমাদের
শক্তিতে
বিশ্বাসী
হয়ে,
বুকে
বল
আর
আশা
নিয়ে।
কঠিন
আত্মপ্রত্যয়ের
সাথে
সে
শত্রুর
বিরুদ্ধে
লড়তে
পারি,
যে
শত্রু
অহংকারে
মত্ত
হয়ে
স্বর্গে
চালাচ্ছে
স্বৈরশাসন,
যে
কোন
কৌশলে
মোরা
অবশ্যই
জয়ী
হতেও
পারি
যুদ্ধে।
পতিত
সে
দেবদূত
বেদনা
কাতর,
আশাহত
তবুও
গর্ব
সহকারে।
এসব
শোনানোর
পর,
অমিত
সাহসী
শয়তান
জানাল,
ওহে
রাজাধিরাজ,
সর্বময়
কর্তা,
তুমি
এক
ভয়াল
যুদ্ধে
শক্তিধর
দেবদূতগণের
সাহসী
নেতৃত্ব
প্রদান
করে,
পুরনো
সেই
রাজশক্তিকে
করে
তুলেছো
রীতিমতো
সন্ত্রস্ত
আর
সর্বময়
কর্তৃত্বকে
এক
ভয়ানক
পরীক্ষায়
এনে
দাঁড়
করাও।
জানিনা
তাদের
সেই
অমিত
শক্তির
জোরে
কিংবা
নিয়তির
বিধানে
পতন
ঘটল
না
তোমার
প্রতিপক্ষের।
সে
যাই
ঘটুক,
আমি
বিশেষ
গুরুত্ব
সহকারে
বিচার
করে
দেখেছি
আমাদের
এই
চূড়ান্ত
পরাজয়
আর
সর্বনাশা
পতনের
দিকটিকে।
আমাদের
সেই
গৌরবময়
দিনগুলো
হারিয়ে
গেলেও,
অসীম
বেদনাভার
আমাদের
পুরো
গিলে
ফেললেও,
আমাদের
সেই
পুরনো
সাহস,
শক্তি
আর
মনোবল
আবার
আসছে
ফিরে
যে
বিজয়ী
শক্তি
আমাদের
মতো
এমন
দুর্দমনীয়
শক্তিকে
পরাজিত
করে
নানাবিধ
দুঃখ
যন্ত্রণা
আর
মহা
বিপর্যয়ে
ফেলেছে।
সেই
বিজয়ী
শক্তিকে
অবশ্যই
বলতে
হবে
মহা
শক্তিমান।
এবারে
সিদ্ধান্ত
নিতে
হবে
মোদের,
আমরা
কি
সেই
প্রবল
বিরুদ্ধ
শক্তির
প্রতিহিংসা
সফল
করার
জন্যে
এই
সীমাহীন
নরক
কুণ্ডে
বসে
বসে
দাস
হিসেবে
তার
নির্দেশ
মেনে
যাবো?
যেহেতু
আমাদের
শক্তি
সাহস
এখনো
আছে,
তাহলে
কেন
আমরা
চিরটাকাল
ধরে
সীমাহীন
শাস্তি
বয়ে
যাবো,
এতে
করে
কীইবা
লাভ
হবে
আমাদের।
এটা
শুনে
দেবদূতরূপী
পতিত
সেই
শয়তান
বিলজিবাব
জানাল
বেদনাভার
যতোই
হোক
না
কেন
তাতে
দুর্বল
হয়ে
পড়া
আরো
দুঃখজনক
আমাদের
প্রতিপক্ষের
উপকার
করাটা
মোটেই
ঠিক
হবে
না
মোদের
প্রতিপক্ষের
বিরুদ্ধে
অবস্থান
করে
তারই
বিরোধিতা
করে।
যাওয়াটাই
হবে
আমাদের
জন্য
আনন্দের
কর্ম।
মোদের
চিরশত্রু
সর্বশক্তিমান
ঈশ্বর
যদি
আমাদের
দুরবস্থায়
ফেলে
নিজের
কোন
স্বার্থ
উদ্ধারের
পরিকল্পনা
করে
থাকে
তাহলে
মোরা
প্রবল
বিক্রমে
তার
সে
ইচ্ছা
ব্যর্থ
করে
দেবো,
আর
সর্বদা
তার
সমূহ
ক্ষতি
করতে
সচেষ্ট
থাকবো,
আমাদের
প্রচেষ্টা
যদি
বিফল
না
হয়,
যদি
জয়ী
হই,
তাহলে
সে
বেদনাহত
হয়ে
লক্ষ্য
হতে
দূরে
সরে
যাবে।
ভাবো
দেখি
একবার,
কেমনে
সে
বিজয়ী
শত্রুপক্ষ
মোদের
প্রতিহিংসা
সহকারে
তার
সাঙ্গপাঙ্গ
আগুন,
ঝড়,
বজ্রপাতসহ
স্বর্গের
কিনারা
অবধি
মোদের
তাড়িয়ে
নিয়ে
আসে।
আর
স্বর্গের
সেই
খাড়া
কিনারা
হতে
আমাদের
ফেলে
দেয়
নীচে।
এখন
সেই
বজ্রের
আওয়াজ
এই
নরকে
শোনা
যায়
না
আর।
যতোই
আমাদের
শত্রু
পক্ষের
রাগ
দমিত
হোক
না
কেন,
আমাদের
এমন
ভয়াল
ঘটনা
ভুলে
গেলে
চলবে
না
মোটেই।
তাকিয়ে
দেখ
সামনে
তোমার
রুক্ষ
বিশাল
প্রান্তর
জ্যোতিবিহীন
এই
আঁধার
প্রান্তরের
যত্রতত্র
অগ্নিকুণ্ডগুলো
হতে
কী
ভয়াল
বিচ্ছুরণ
আর
আভা
ছড়াচ্ছে,
যথাসাধ্য
মোদের
বিশ্রাম
নিতে
হবে
ঐ
অগ্নিকুণ্ডের
মাঝেই।
ওখানে
বসেই
ছত্রভঙ্গ
হয়ে
যাওয়া
আমাদের
সাঙ্গপাঙ্গদের
একসাথে
করে
তাদের
সাথে
কথা
বলে
দেখতে
হবে।
কীভাবে
শক্রদের
উপর
আঘাত
হেনে
পুরনো
গৌরব
ফের
পারি
ফেরাতে।
কী
করে
ত্রান
পেতে
পারি
এই
ভয়াল
সর্বনাশের
কবল
হতে,
আর
আমাদের
আশা
হতে
অর্জন
করতে
পারি
বিপুল
প্রাণশক্তি
যদি
এটা
সম্ভব
না
করতে
পারি
তাহলে
ভেবে
দেখতে
হবে।
এই
আশাহীন
অবস্থান
হতে
পরিত্রাণ
পেতে
কী
কর্ম
করতে
পারি।।
প্রবল
খরস্রোতের
মাঝে
শরীর
ডুবিয়ে
কোন
রকমে
মাথাটি
উপরে
তুলে
শয়তান
তার
একান্ত
সঙ্গীর
সাথে
বাক্যালাপ
চালাল
বিশাল
জলজ
প্রাণী
কিংবা
টাইটানিয়ান
দানবের
মতো
জলস্রোতে
মাথাটা
তুলে
ভাসছিল
শয়তান
বিলজিবাব।
ঈশ্বরের
নির্দেশে
শিকলবদ্ধ
অবস্থায়
জলে
ভাসছিল
সে
এমনভাবে
যে,
এতে
তার
দুরভিসন্ধি
চরিতার্থ
করার
প্রচুর
সুযোগ
ছিল।
যাতে
সে
ফের
অপরাধ
করে
নতুন
করে
অভিশাপ
নিতে
পারে।
সে
তখন
প্রচণ্ড
ক্রোধ
আর
উন্মত্ততা
সহকারে
অন্ধের
মতো
অন্যের
ক্ষতি
আর
বিনাশ
সাধনের
চেষ্টা
চালাচ্ছিল।
বিলজিবাব
বিন্দুমাত্রও
অনুধাবন
করতে
পারেনি
যে,
তার
এই
ধ্বংসাত্মক
প্রচেষ্টার
দ্বারা,
ছলনা
দ্বারা
মানবকুলকে
অন্যায়
পথে
চালনা
করেই
মানব
কুলের
সামনে
অনন্ত
মঙ্গল
আর
দয়ার
পথ
উন্মুক্ত
করে
দিয়েছে।
No comments:
Post a Comment