Paradise Lost - John Milton - Book I - Summary, Analysis and Discussion - Bengali |
Paradise Lost - John Milton - Book I - Summary, Analysis and Discussion - Bengali
Milton তার Paradise Lost কাব্যটি
শুরু
করেছেন
কাব্যের
বিষয়বস্তুর
বর্ণনার
মধ্য
দিয়ে।
Paradise
Lost এর
১
নং
বই
মোট
সাতশত
বাইশ
লাইন
যার
প্রথম
১
থেকে
২৬
লাইন
হল
কাব্যের
Prologue
বা
প্রস্তাবনা
এবং
বাকি
লাইন
গুলোতে
Milton শয়তান ও
নরকের
অবস্থা
বর্ণনা
দিয়েছেন।
কিভাবে
শয়তান
এবং
তার
সঙ্গীসাথীরা
তাদের
অহংকারের
কারনে
স্বর্গ
থেকে
নিক্ষিপ্ত
হয়েছে
এবং
এক
সময়
তারা
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ
করার
পরিকল্পনা
করেছে
তারও বর্ণনা
দেয়া
হয়েছে।
Milton এর মহাকাব্যের
মূল
বিষয়বস্তু
নেয়া
হয়েছে
বাইবেল
থেকে। বাইবেলের
ঘটনা
আর
তার
শিক্ষণীয়
দিকটি
অবলম্বন
করে
তিনি
তাঁর
মহাকাব্যিক
পরিমণ্ডল
নির্মাণ
করেছেন। এ
কাব্যের
প্রধান
প্রধান
চরিত্রসমূহ
হচ্ছে
ঈশ্বর,
দেবদূতগণ,
শয়তানের
প্রধান
নেতা,
তার
সাঙ্গপাঙ্গসমূহ
আর
মানবজাতির
আদি
পিতা-মাতা
আদম
ও
ঈভ। স্বর্গের
বাগিচা
ইডেন
আর
পৃথিবী
জুড়ে
এই
মহাকাব্যের
পটভূমির
বিস্তার। এর
মূল
বিষয়বস্তু
হলো
শয়তানের
প্ররোচনায়
ও
প্রলোভনে
প্রথমে
ঈভ
ও
পরে
আদম
নিষিদ্ধ
ফল
ভক্ষণ
করে,
যে
ফল
ভক্ষণে
ঈশ্বরের
নিষেধাজ্ঞা
ছিল,
তারা
সেই
নিষেধাজ্ঞা
অমান্য
করে
নিষিদ্ধ
সেই
ফল
ভক্ষণ
করলে
তাদের
মনে
এই
কৃতকর্ম
আর
পাপের
জন্য
অনুতাপ
আর
অনুশোচনা
জাগ্রত
হয়। শেষে
তাদের
নির্বাসিত
করা
হয়
পৃথিবীতে
অর্থাৎ
তাদেরকে
স্বর্গ
হতে
ছুঁড়ে
দেয়া
হয়
অজানা
অচেনা
মর্ত্যলোকে। আদি
পিতা-মাতা
আদম
ও
ঈভের
এই
পাপাচার
তার
পরবর্তী
বংশধরদের
মাঝে
কী
ভীষণ
প্রতিক্রিয়া
করবে
সে
দৃশ্যগুলো
অগ্রিম
তাদের
সামনে
প্রদর্শন
করেন
দেবদূত। তবুও
এতো
কিছুর
পরেও
আদমের
মনে
হতাশার
গ্লানির
মাঝেও
একটি
আশার
প্রদীপ
দপ
করে
জ্বলে
উঠে
তা
হলো,
এই
পতিত
মানব
এক
সময়
মহান
ঈশ্বরের
প্রতি
অগাধ
বিশ্বাস
স্থাপন
করে
মনে
প্রাণে
তার
আরাধনা
করে
তার
পাপ
দূর
করতে
সমর্থ
হবে
এবং
শুদ্ধ
এক
জীবনে
প্রবেশ
করতে
পারবে। কিন্তু
এ
কাব্যের
গুরুত্বপূর্ণ
বৈশিষ্ট্য
হলো,
ঈশ্বর
ও
বিদ্রোহী
শয়তান,
শুভ
ও
অশুভ,
ভালোবাসা
ও
ঘৃণা,
বিনয়
ও
ঔদ্বত্য,
স্বাধীনতা
ও
দাসত্ব,
স্বাভাবিক
সরলতা
আর
কৃত্রিম
বিলাস
বাসনা,
স্বর্গলোক
নিয়মতান্ত্রিক
ভাবে
গ্রহ
নক্ষত্রের
চলা
ফেরা
আর
মানব
জাতির
নৈতিক
অধঃপতন
আর
বিশৃংখলা
এই
সব
বিপরীত
ভাবগুলো
একটি
সমান্তরাল
গতিশীলতার
মধ্য
দিয়ে
চমৎকার
রূপে
বর্ণিত
হয়েছে
এ
মহাকাব্যে। মোট
কথা
মানবতার
পূজারি
মিলটন
তাঁর
এ
কাব্যে
একটি
রূপকের
মাধ্যমে
ঈশ্বর,
মানবাত্মা
ও
শয়তানের
এই
ত্রিমুখী
সম্পর্কটিকে
এক
অসাধারণ
মহিমায়
চিত্রিত
করার
চেষ্টা
করেছেন। এখানে
শয়তান
আবির্ভূত
হয়েছে
অশুভ
শক্তির
প্রতীক
হিসেবে
আর
নিষিদ্ধ
ফল
খাওয়াটা
মানব
জাতির
সকল
পাপ
আর
অন্যায়
কর্মের
প্রতীক। এই
শয়তানরূপী
অশুভ
শক্তি
মানবাত্মাকে
প্রতি
নিয়ত
প্রলোভন
দিচ্ছে
শুধু
তাই
নয়
সে
সর্বদা
মানব
সমাজকে
হেয়
করার
জন্য,
বিপথগামী
করার
জন্য
প্রলোভন
দিতেই
থাকবে,
এসবের
কারণে
মানব
যদি
প্রলুব্ধ
হয়
তাঁর
আত্মার
শুদ্ধতাকে
রক্ষা
করতে
না
পারে
শয়তানের
কারণে
যদি
তার
আত্মা
কলুষিত
হয়
তাহলে
অবশ্যই
স্বর্গলোক
হতে
বিদায়
নিতেই
হবে। শুধুমাত্র
ঈশ্বরের
প্রতি
গভীর
বিশ্বাস,
অবিচল
ভক্তি,
নিয়মিত
প্রার্থনা
আর
অনুশোচনার
দ্বারাই
সে
ফের
পাপমুক্ত
হয়ে
ঈশ্বরের
অনুগ্রহ
লাভ
করতে
সমর্থ
হবে
এবং
তাঁর
ফের
ঠাই
হবে
স্বর্গলোকে।
পূর্বেই
উল্লিখিত
হয়েছে Paradise Lost কাব্যের
মূল
বিষয়বস্তু
বাইবেল
থেকে
গ্রহণ
করা,
আদি
মানবের
স্বর্গচ্যুতির
কাহিনীর
মাঝে
মিলটন
তাঁর
নিজের
জীবনের
তথা
পিউরিটানবাদের
উত্থান
পতনের
কাহিনী
বর্ণনা
করেছেন। এখানে
উল্লেখ্য
যে,
মহাকাব্যের
উল্লিখিত
মানব
জাতির
পতনে
নারীর
যে
ভূমিকা
তার
মাঝে
মিলটনের
ব্যক্তিগত
জীবনের
ছায়াপাত
ঘটেছে। মিলটন
পঁয়ত্রিশ
বছর
বয়সে
সতের
বছরের
এক
তরুণীকে
বিয়ে
করেছিলেন। এ
তরুণীর
পরিবার
ছিল
রীতিমতো
রাজতন্ত্রের
সমর্থক। বিয়ের
এক
মাস
পরই
মিলটনের
স্ত্রী
তার
পিতার
গৃহে
চলে
যান। যদিও
তিনি
আবার
মিলটনের
গৃহে
ফিরে
এসেছিলেন,
এরপরও
মিলটন
পর
পর
দুবার
বিবাহ
বন্ধনে
আবদ্ধ
হন। প্রথম
স্ত্রীর
আচরণে
তার
মনে
নারী
জাতির
প্রতি
মনে
যে
ঘৃণা
আর
সন্দেহের
জন্ম
নেয়
তা
তার
মন
থেকে
সারাজীবন
আর
দূর
হয়নি। মিলটন
সারাজীবন
নারীকে
নরের
শত্রু
হিসেবে
বিবেচনা
করেছেন। প্যারাডাইজ
লস্টের
বিদ্রোহী
শয়তান
কবিরই
আত্মরুপ
যেন। মোট
কথা
মিলটনের
হাত
দিয়ে
একটি
পূর্ণাঙ্গ
আর
অখণ্ড
মহাকাব্য
রচিত
হয়েছে।
নাটকীয়
কাহিনীর
ঐক্য
আর
মহাকাব্যের
কাহিনীর
ঐক্যের
মধ্যে
মৌলিক
পার্থক্যের
কথা
মনে
রেখেই
বলা
যায়
মিলটন
কাহিনী
ঐক্য
রচনার
ক্ষেত্রে
ব্যাপক
সাফল্য
লাভ
করতে
সমর্থ
হয়েছেন। অন্য
দিক
বিবেচনায়
কাহিনীটি
খুবই
গুরুগম্ভীর। মানব
সমাজ
আর
তাদের
রচিত
রাষ্ট্রকে
ঘিরেই
তিনি
এই
গুরু
গম্ভীর
দিকটির
অবতারণা
করেছেন।
পুরো
কাহিনীতে
গুরুগম্ভীর
দিকটিকে
সর্বদা
সর্বক্ষেত্রে
বজায়
রাখতে
সচেষ্ট
থেকেছেন
তিনি,
গুরুগম্ভীর
দিকটিকে
কখনোই
কৌতুকরস
দ্বারা
জড়িত
করে
তরল
করে
ফেলেননি। চরিত্র
রচনার
ক্ষেত্রে
মিলটনের
দক্ষতা
প্রশ্নাতীত। কারণ
তাঁর
মহাকাব্যের
নায়ক
কে,
কাকে
নায়ক
হিসেবে
চিহ্নিত
করা
যায়,
এ
প্রশ্নের
জবাবে
সমালোচকগণ
রীতিমতো
বিব্রত,
কারো
কারো
মতে
শয়তানই
এ
কাব্যের
মূল
নায়ক
আবার
কেউ
বলেছেন,
তা
হতে
পারে
না,
মহান
ঈশ্বরই
এ
কাব্যের
মূল
নায়ক। কিন্তু
অ্যারিষ্টটল
বলেছেন
কোন
শয়তান
মহাকাব্যের
নায়ক
হতে
পারবে
না। মহাকাব্যের
নায়ক
হতে
হলে
প্রথমত:
নায়ককে
একজন
বিখ্যাত
ব্যক্তি
হতে
হবে,
তাকে
সদগুণের
অধিকারী
হতে
হবে
তা
হলে
তার
মাঝে
এক-আধটু
দোষ
ত্রুটি
যে
একেবারেই
থাকবে
না
এমনটি
নয়। সে
নায়ক
অতি
মহামানবও
হবে
না
আবার
শয়তানও
হবে
না,
আর
সে
নিজেই
নিজের
পতনের
জন্য
দায়ী
হবে
আর
সে
পতনকে
নায়ক
বীরত্ব
সহকারেই
মেনে
নেবে। এসব
লক্ষণ
বিচার
বিশ্লেষণ
করে
কোন
চরিত্রকেই
নায়কের
মর্যাদা
দেয়া
সম্ভব
নয়
কারণ
আদম
ও
শয়তান
কেউ
রোমান
বীরের
পর্যায়ে
পড়ে
না। খ্রীষ্টান
ধর্মের
প্রভাব
ইউরোপের
মানুষের
চিন্তা-চেতনা,
ধ্যান-ধারণা
ও
আচার-আচরণের
ক্ষেত্রে
এক
গভীর
পরিবর্তনের
সূচনা
করেছিল
যার
সাথে
গ্রীক
জীবনাচরণের
সাথে
কোন
মিল
কিংবা
সাযুজ্য
খুঁজে
পাওয়া
যায়
না।। শয়তান
চরিত্র
বিশ্লেষণের
ব্যাপারে
বলা
যায়
যে,
শয়তান
চরিত্র
সৃষ্টিতে
মিলটন
শয়তানের
চরিত্রের
কিছু
মানবিক
দিকের
পরশ
বুলিয়েছেন। মানুষের
হৃদয়ের
উষ্ণতা
যেন
তার
রক্তে
প্রবহমান
আর
মানুষের
মতোই
জীবন্ত
হৃদয়
নিয়ে,
মানবিক
অনুভূতি
নিয়ে
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
রীতি
মতো
সোচ্চার
হয়ে
বিদ্রোহ
করেছে। মিলটন
এই
শয়তানকে
যতই
মানবিক
পরশ
দ্বারা
সৃষ্টি
করুন
না
কেন
শয়তান
যে
শয়তানই
এটা
তিনি
তাঁর
কাব্য
কর্মের
কোন
স্থানে
একটিবারের
জন্যও
ভুলে
যাননি। শয়তানকে
ঠিক
শয়তানের
মতোই
উপস্থাপন
করেছেন
তার
মাঝে
মানবিক
দিকের
পরশ
থাকলেও
তাঁর
চরিত্রের
মাঝে
উদারতার
দিকটি
খুঁজে
পাওয়া
ভার। তিনি
তাঁর
নিজের
প্রতিহিংসা
চরিতার্থ
করার
জন্যই,
লক্ষ্যপথ
ধরে
অগ্রসর
হতে
পথ
ঠিক
করে
নিয়েছেন,
এটা
তার
একান্ত
ব্যক্তিগত
প্রতিহিংসা
বলা
যায়।
শয়তান
আসলে
কোন
ন্যায়নীতির
দিকে
তাকিয়ে
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ
ঘোষণা
করেনি
বরং
সে
নীতিহীন
এক
চক্রান্তকারী
জীব। শয়তান
কেন
ঈশ্বর
কর্তৃক
স্বর্গ
হতে
নরকে
নিক্ষিপ্ত
হয়েছিল
তার
কোন
ইঙ্গিত
কবি
প্রদান
করেননি। তবে
স্বর্গ
হতে
নরকে
নির্বাসিত
হওয়ার
জন্যই
তাঁর
যতো
ক্রোধ
আর
বিদ্বেষ,
আর
এ
কারণেই
ঈশ্বরের
প্রতি
তাঁর
ঘৃণার
প্রকাশ
ঘটেছে,
কোন
মহৎ
কর্ম
করতে
গিয়ে
সে
ঈশ্বর
কর্তৃক
তাড়িত
হয়নি,
মোট
কথা
সে
একটা
ঘৃণা
বহন
করেই
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
বিদ্রোহ
ঘোষণা
করেছে। যতোই
সে
ঈশ্বরকে
স্বৈরাচারী
শাসক
হিসেবে
উল্লেখ
করুক
না
কেন,
সে
নিজেই
স্বর্গে
দল
গঠন
করেছিল
ঈশ্বরকে
পরাভূত
করে,
স্বর্গ
দখল
করে
প্রভুত্ব
বিস্তার
করার
জন্য,
আর
সে
যুদ্ধে
সে
ঈশ্বরের
অসীম
শক্তির
কাছে
পরাজিত
হয়ে
নরকে
ঠাই
গ্রহণ
করেছে। এটা
সে
একবারের
জন্যও
ভুলে
যায়নি। ঈশ্বরের
শক্তি
সম্পর্কে
শয়তান
যথেষ্ট
সচেতন;
ঈশ্বরকে
স্বর্গচ্যুত
করার
ক্ষমতা
কারোই
নেই
তবুও
বার
বার
সে
ফুঁসে
উঠেছে
ঈশ্বরের
বিরুদ্ধে
ক্রোধের
অগ্নি
সহকারে। অনেকে
মনে
করেন
মিলটন
যেন
মনপ্রাণ
উজার
করে
শয়তানকে
সমর্থন
করে
রাজতন্ত্রের
বিরুদ্ধে
নিজের
মনের
জ্বালা
যন্ত্রণার
উপশম
ঘটানোর
চেষ্টা
করেছেন
আর
শয়তানকে
একটি
জীবন্ত
বিদ্রোহী
সত্তা
হিসেবে
চিত্রিত
করেছেন। মিলটনের
‘প্যারাডাইজ
লস্ট’
এর
কাহিনী
বাইবেল
হতে
গৃহীত
হলেও
এর
আঙ্গিক
শব্দ,
উপমা
এবং
কাহিনী
বিন্যাসের
দিক
হতে
এটি
গ্রীক
ও
রোমান
সাহিত্যের
আদর্শে
উজ্জীবিত।
১৬৬০
হতে
১৬৭৪
খ্রিষ্টাব্দ
সময়টা
ছিল
মিলটনের
জীবনের
সবচাইতে
সংকটপূর্ণ
সময়। নিজের
যে
বিশ্বাসকে
তিনি
হৃদয়ে
ধারণ
করে
এতোকাল
তিনি
সংগ্রাম
করে। এসেছেন, যার
সাময়িক
সাফল্যে
তাঁর
চিত্ত
আনন্দিত
ছিল,
প্রজাতন্ত্রী
রাষ্ট্রের
যে
নব
অভ্যুদয়
তার
হৃদয়ে
আনন্দের
ঢেউ
তুলেছিল,
সেই
প্রজাতন্ত্রী
রাষ্ট্রের
অবসানে
রাজতন্ত্রের
পুনঃপ্রতিষ্ঠা
তাঁর
জীবনে
গভীর
হতাশা
বহন
করে
এনেছিল। গণতান্ত্রিক
রাষ্ট্র
প্রতিষ্ঠায়
এবং
জন
মানুষের
মত
প্রকাশের
অধিকারের
পক্ষে
একদিন
তিনি
যে
লেখনী
ধারণ
করে
দেশের
জন্য
সর্বত্র
অগ্নির
উত্তাপ
ছাড়িয়ে
দিয়েছিলেন
সে
লেখনী
স্তব্ধ
হয়ে
গেল
রাজতন্ত্রের
দাপটে,
এ
এক
বিশাল
সংকট,
এ
সংকটের
কবল
হতে
কী
করে
মুক্ত
করবেন
নিজেকে
সেই
চিন্তায়
মগ্ন
হলেন
তিনি,
খুঁজতে
লাগলেন
মুক্তির
পথ,
তার
জীবনে
বারবার
এসেছে
আঘাত,
ঘন
ঘন
ঘনিয়ে
এসেছে
সংকট
তবুও
মিলটনের
বিশ্বাসের
মূলে
সে
সংকট
কোন
ছায়াপাত
করতে
পারেনি। নিজের
বিশ্বাসকে
রূপদান
করার
উদ্দেশ্যেই
পথের
সন্ধান
করতে
লাগলেন,
পেয়েও
গেলেন
সে
সংকট
উত্তরণের
পথের
দিশা,
এতোকাল
তিনি
যে
গদ্যকে
অবলম্বন
করে
গণ
মানুষের
হৃদয়ে
আশার
আলো
জ্বালানোর
চেষ্টা
করেছেন
আজ
তিনি
সেই
গদ্যকেই
পদ্যের
রঙে
রাঙিয়ে
নতুন
রূপে
সাজিয়ে
নাটকীয়
ভঙ্গিমায়
রূপদান
করার
চেষ্টা
করলেন,
গদ্যের
বলিষ্ঠ
পৌরুষকে
পদ্যের
কোমলতায়
ভরিয়ে
দিয়ে
সৃষ্টি
করলেন
নতুন
এক
ছন্দ,
যার
নাম
অমিত্রাক্ষর
ছন্দ
সেই
অমিত্রাক্ষর
ছন্দের
খোলা
তরবারি
হাতে
নিয়ে
Milton
পথে
নামলেন
তাঁর
অবরুদ্ধ
বিশ্বাসের
রাজকন্যাকে
রাজশাসনের
পাতালপুরী
হতে
মুক্ত
করে
আনতে। শুরু
করলেন
তাঁর
অমর
কাব্য
‘Paradise
Lost’ রচনার
কাজ। এটি
তিনি
রচনা
শুরু
করেন
১৬৫৮
খ্রিষ্টাব্দে
আর
তা
শেষ
করেন
১৬৬৫
খ্রিষ্টাব্দে। বারোটি
অধ্যায়ে
বিভক্ত
এই
কাব্যটিকে
কোন
কাহিনী
কাব্য
হিসেবে
চিহ্নিত
না
করে
একে
তৎকালীন
রাজতন্ত্রের
বিরুদ্ধে
তার
মনের
ক্রোধ
প্রকাশক
রূপক
কাব্য
বলাটাই
যুক্তিসংগত। মোট
কথা
মিলটনের
‘Paradise
Lost’
কাব্যটিকে
এক
কথায়
রোমান্টিক
এপিক
হিসেবে
চিহ্নিত
করা
যায়।
No comments:
Post a Comment