Total Pageviews

Saturday, December 21, 2019

Social, Political and Historical Context of John Dryden's Literature - Discussion in Bengali

Social, Political and Historical Context of John Dryden's Literature - Discussion in Bengali

Social, Political and Historical Context of John Dryden's Literature - Discussion in Bengali
স্টুয়ার্ট বংশ (House of Stuart) ১৬৬০ সালে  ইংল্যান্ড, ওয়েলস, স্কটল্যান্ড আয়ারল্যান্ডের শাসন ফিরে পায়। ১৬৬০ সাল থেকে ১৬৮৯ এই সময়টাকেই রাজনৈতিক সাহিত্যিক দুইভাবেই রেস্টোরেশন (Restoration) যুগ বলা হয়ে থাকে। ১৬৬০ সালে রাজা দ্বিতীয় চার্লস (CharlesII) ফ্রান্সে নির্বাসন থেকে ফিরে আসেন। সাধারনভাবে রেস্টোরেশন দিয়ে রাজা ২য় চার্লসের নিজের রাজত্ব ফিরে পাওয়ার পর সাহিত্য জগতে যে নতুন এক ঢেউ সঞ্চারিত হয়, এই সময়টাকেই বুঝানো হয়। প্রায় দুই যুগ, রাজার প্রতি অনুগত দল; যারা বিশ্বাস করতেন রাজার শাসনই হচ্ছে ঈশ্বরের শাসন এবং যারা বিশ্বাস করতেন পার্লামেন্টের অনুমোদন বা সাহায্য ছাড়া রাজার কোনো শাসন ক্ষমতা থাকা উচিত নয় তাদের মধ্যে মতবিরোধ সংঘাতের পর, ইংল্যান্ডের ইতিহাস গণতান্ত্রিকতার দিকে মোড় নেয়। রাজা প্রথম চার্লসের শাসনামলে সৃষ্ট এই বিরোধ রাজতন্ত্রপন্থি পার্লামেন্ট-পন্থিদের মধ্যে সশস্ত্র যুদ্ধ হয়। যুদ্ধে রাজতন্ত্রপন্থিরা পরাজিত হয় এবং রাজা প্রথম চার্লস নিহত হন ১৬৪৯ সালে এবং ইংল্যান্ড প্রজাতন্ত্র ঘোষিত হয়। ইংল্যান্ড পার্লামেন্টের অধীনে শাসিত হতে থাকে যদিও মূল ক্ষমতা থেকে যায় অলিভার ক্রমওয়েলের (Oliver Cromwell)হাতে ধর্ম বিশ্বাসে ক্রমওয়েল ছিলেন রক্ষণশীল। ক্রমওয়েলপন্থিদের ধর্মীয় উদারতার স্বকীয় পরিকল্পনা ছিল, সমাজ সংস্কারেরও পরিকল্পনা ছিল ক্রমওয়েল ১৬৫৩ সালে লর্ড প্রটেকটর (Lord Protector) হন। কিন্তু তাঁর রক্ষণশীল ধর্মশাসন রাষ্ট্র পরিচালনা পরীক্ষণ পদ্ধতি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৬৫৮ সালে তাঁর মৃত্যুর পর এসব প্রক্রিয়া থেমে যায়। তার পত্র সব পরীক্ষণে প্রশাসনে ব্যর্থ হন। ১৬৬০ সালে দ্বিতীয় চার্লস তাঁর জন্মদিন ২৯শে মে ইংল্যান্ডে প্রত্যাবর্তন করেন এবং রাজতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দেশে শৃঙ্খলা, শান্তি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন। ইতিহাসবিদরা মনে করেন, ইংল্যান্ডের এই গৃহ যুদ্ধ শুধু রাজনীতি ধর্ম বিষয়ক বিরোধ, রাজতন্ত্র পার্লামেন্টপন্থার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না; আবার রক্ষণশীল এংলিকানপন্থি (Anglican - ইংল্যান্ডের চার্চে বিশ্বাসী) দের মধ্যেও সীমাবদ্ধ ছিল না। এর পরিধি সামাজিক অর্থনৈতিক দ্রোহ পর্যন্ত প্রসারিত ছিল, বিশেষ করে উঠতি মধ্যবিত্তের মৌলিক স্বার্থ সংশ্লিষ্টও ছিল। অনেক ইতিহাসবিদ মনে করেন এটিই ছিল ইউরোপে প্রথম বুর্জোয়া বিদ্রোহ। ফলে, ক্ষমতার কিছু অংশ মধ্যবিত্তের কাছে পৌছে। মধ্যবিত্তরা ছিল সম্পদ ব্যাবসা বাণিজ্য প্রসারের পক্ষে এবং তার উপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণের তারা ছিল ঘোর বিরোধী। এই মধ্যবিত্ত শ্রেণিটি ছিল সুপ্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা সচেতন, মুক্ত বাজার অর্থনীতির পক্ষে এবং রাষ্ট্র শাসনে গণতান্ত্রিক পার্লামেন্টের সমর্থক। ধীর গতিতে ঘনায়মান সামাজিক অর্থনৈতিক এই আবহকে উল্টোদিকে ঘুরিয়ে দিতে নতুন রাজা তেমন কোনো ব্যবস্থা নিলেন না। অলিভার ক্রমওয়েলের পুত্র রিচার্ড ক্রমওয়েলের ব্যর্থ শাসনের পর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজা দ্বিতীয় চার্লস শান্তি যুগোপযোগিতার পথ বেছে নিলেন। কোনো প্রতিশোধ স্পৃহায় জড়ালেন না। রাজনৈতিক দলগুলোও কোনো উপদলীয় কোন্দলে জড়াল না প্রতিহিংসার আশঙ্কায় ভূমি ব্যবস্থাপনায়ও সব সংশ্লিষ্ট পক্ষ সন্তুষ্ট হলো ভূমি ক্রেতারাও সন্তুষ্ট হলো কারণ রাজা ভূমি প্রশাসন ব্যবস্থাপনায়, রাজার সামন্ততান্ত্রিক বিশেষ সুবিধা (prerogative) যা রাজা প্রথম চার্লসের সময় ছিল তা বাতিল করেন
অবশ্য সব কিছু নির্ভুল চলছিল এমন বলা যাবে না; ধর্মীয় সমস্যাটি অমীমাংসিতই রয়ে গেল এঙ্গলিকান চার্চপন্থিরা (The Anglican Church) রোমের চার্চ বিরুদ্ধবাদীদের থেকে সমান দূরত্ব বজায় রাখলেন, বিরুদ্ধবাদী প্রটেষ্টান্টরাও (Protestant) ইংল্যান্ডের চার্চে যোগ দিতে অস্বীকৃত জানাল। এঙ্গলিকান চার্চের অবস্থা ১৬৪০ সালের পূর্বে যে অবস্থানে ছিল সেখানেই রয়ে গেল, ফলে যারা ধর্মে আরো বেশি উদারতা আশা করেছিলেন তাঁরা আশাহত হন। ক্যাথলিক প্রটেষ্টান্টদের সমানভাবে সহ্য করার যে উদ্যোগ দ্বিতীয় চার্লস তার ভাই দ্বিতীয় জেমস নিয়েছিলেন তা পার্লামেন্টে প্রবল প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। ফলে এঙ্গলিকানপন্থি ধর্মযাজকরা এবং প্রভাবশালী ভদ্রলোকগণ সন্তুষ্ট হলেও সাধারণ মানুষ তাতে সন্তুষ্ট হলেন না। দ্বিতীয় চার্লসের শাসনামলের প্রথম ভাগ ছিল চক্রান্ত আর ষড়যন্ত্রে, প্লেগ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনায় পূর্ণ। তার উপর ছিল বিদেশে নৌ যুদ্ধে পরাজয়। দেশে ছিল ধর্মীয় বিভাজন আর এমন আশঙ্কা যে দ্বিতীয় চার্লস কোনো বৈধ উত্তরাধিকার রেখে যেতে পারবেন না। তদুপরি তাঁর ভাই দ্বিতীয় জেমস, ডিউক অব ইয়র্ক (James II) যিনি ছিলেন একজন রোমান ক্যাথলিক এবং সিংহাসনে আরোহণের সম্ভাব্য ব্যক্তি, তিনি একজন ইটালীয় ক্যাথলিক রাজকুমারীকে বিয়ে করেন এতে সমস্যা আরো বাড়ে সমস্যা স্টুয়ার্ট শাসনামলের শেষ দিন পর্যন্ত ঘনীভূত হতে থাকে, অবশেষে ১৬৮৮ সালের গৌরবময় বিপ্লবের মাধ্যমে দ্বিতীয় জেমসের সিংহাসন আরোহণের পথ রুদ্ধ হয়।
রেষ্টোরেশন যুগে, তারপর ইংল্যান্ডকে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থায় আনার চেষ্টা শুরু হয়। আর জন্য নিয়ন্ত্রিত অর্থনীতির স্থলে laissez faire - অর্থনৈতিক মতবাদ এর দিকে দৃষ্টি দেয়া হয়। আধুনিক ইতিহাসবিদরা বলেন এমনি একটা অস্থির অবস্থায় ক্রমে ক্রমে অগাষ্টান যুগ (Augustan Age) সূচিত হতে থাকে। এর প্রমাণ দেখা যায় চলমান ষড়যন্ত্র, হত্যা এবং রাজনৈতিক বিভাগ উপবিভাগের মধ্যে। এসময়ই টোরী’ (Tories) হুইগ’ (Whigs) রাজনৈতিক পরিভাষার সৃষ্টি হয় এবং দুই দলের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার সৃষ্টি হয়। যাঁরা দ্বিতীয় চার্লসের পর দ্বিতীয় জেমসকে সিংহাসনের বৈধ উত্তরাধিকারী ভাবেন তাদেরকে টোরী" নামে এবং যারা এর বিরোধিতা করেন তাঁদেরকে হুইগনামে অভিহিত করা হয় টোরীনামকরণটি আসে আয়ারল্যান্ডের ক্যাথলিক যাজকদের নামানুসারে এবং হুইগনামকরণটি আসে স্কটিশ প্রেসবাইটেরিয়ান (Scottish Presbyterian) বিদ্রোহীদের আঞ্চলিক নাম থেকে। এই ডাক নাম দুটি উভয়পক্ষ সগর্বে লালন করতে থাকে।
দ্বিতীয় চার্লসের রাজসভা তার আনন্দ বিলাসী পারিষদদের নিয়ে বহু ভিন্নমুখী আলোচনা আছে অনেক হুইগপন্থি রক্ষণশীল ইতিহাসবিদ দ্বিতীয় চার্লসের পারিষদদের সরাসরি চরিত্রহীন, উন্নাসিক, আনন্দ লিপ্সু বলে নাকচ করে দিয়েছেন, যেমন, মেকাউলের (Thomas Babington Macaulay) - Historyof England পরবর্তী গবেষকগণ এটাকে অতিসরলীকরণ বলে অভিহিত করেছেন। মতবিরোধ থাকলেও সার্বিক মূল্যায়নে দেখা যায়, রাজা নিজে ছিলেন আনন্দ বিলাসপ্রিয়। তাঁর পারিষদরাও ছিলেন প্রচুর অবকাশভোগী, ধনবান আমোদপ্রিয়। অনেকের ব্যক্তিগত ডায়রি চিঠিপত্র থেকেও প্রমাণিত হয় যে, সভাসদরা ছিল প্রচুর মদ্যপানাসক্ত, ভ্রষ্ট চরিত্রের, যৌন অমিতাচারে আসক্ত যা যুগে রচিত অনেক নাটকে দেখা যায়। তাই জেরেমি কোলিয়ার (Jeremy Collier - ১৬৫০-১৭২৬) নামে একজন যাজক তাঁর রচিত 1867 "A Short view of the immorality and profaneness of English Stage” (১৬৯৮) সে যুগের নাটককে প্রবলভাবে আক্রমণ করেন। যদিও ড্রাইডেন (JohnDryden), কনগ্রীভ (WilliamCongreve), ভ্যাব্রা, জেরেমি কোলিয়ারের মতের প্রতিবাদ করেন। যুগে রচিত উল্লেখযোগ্য নাটক, কবিতা, প্রবন্ধ ব্যঙ্গ রচনায়: যুগের সামাজিক রাজনৈতিক অস্থিরতার স্থির চিত্র পাওয়া যায়
রাজা নিজে ফ্রান্স থেকে যে বিলাসধারা আমদানি করেন পারিষদরাও তাতে গা ভাসান। পারিষদরা ছিলেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিসম্পন্ন, অনৈতিকভাবে ইন্দ্রিয়পরায়ণ যার প্রভাব যুগের সাহিত্যে লক্ষ্যণীয়ভাবে উপস্থিত। উইলিয়াম উইচার্লি (William Wycherley), স্যার চার্লস সেডলে (Sir Charles Sedley, 5th Baronet), জর্জ ভিলিয়ার্স (George Villiers, 2nd Duke of Buckingham) ডিউক অব বাকিংহামস্যার রচেষ্টার (John Wilmot), স্যার জর্জ ইথার্জ (Sir George Etherege), ছিলেন এরকম কয়েকজন সভাসদ যারা সাহিত্য (বিশেষত নাটক) রচনার মাধ্যমে রেস্টোরেশন যুগের ইতিহাসে নিজেদের স্থান করে নিয়েছিলেন। 

No comments:

Post a Comment