A tale of Two Cities - Charles Dickens - Summary in Bangla |
A tale of Two Cities - Charles Dickens - Summary in Bangla
সময়টি
১৭৭৫
সাল,
ইংল্যান্ডে
তখন
রাজা
জর্জ
৩য়
(George III) এবং
ফ্রান্সে
রাজা
লুই
১৬তম
(Louis XVI) এর
শাসনকাল।
এসময়
ব্রিটেন
ও
প্যারিসের
সামাজিক
ও
রাষ্ট্রীয়
অবস্থা
খুব
একটা
ভালো
ছিল
না।
ঘটনার
শুরুতে
আমরা
দেখতে
পাই
টেলসন
ব্যাঙ্কের
পক্ষে
কাজ
করা
একজন
লোক
নাম
জেরি
ক্রাঞ্চার
(Jerry
Cruncher), জারভিস
লরিকে
(Jarvis
Lorry) একটি
জরুরী
বার্তা
দেয়ার
জন্যে
ডোভার
মেইল
কোচটি
থামায়।
সেই
বার্তায়
লরিকে
জানানো
হল
সে
যেনো
ডোভারে
একজন
যুবতী
মেয়ের
জন্যে
অপেক্ষা
করে।
সে
তখন
তাকে
একটি
রহস্যময়
জবাব
দেয়,
যাতে
বলা
হয়েছে,
“জীবন
ফিরে
পেয়েছে।”
ডোভারে
লরি
একজন
যুবতী
মেয়ের
(লুসি
ম্যানেট
- Lucie
Manette) সাথে
দেখা
করে।
যুবতী
মেয়েটির
পিতা
ছিলেন
একজন
ডাক্তার
এবং
মেয়েটি
নিজেকে
পিতৃহারা
মনে
করত।
সে
তাকে
খবর
দেয়
যে
তার
পিতাকে
ফ্রান্সে
পাওয়া
গিয়েছে।
লরি
তখন
তাকে
ফ্রান্সের
প্রত্যন্ত
অঞ্চল
এনটোইনে
(Antoine) বিপ্লবী
আর্নেস্ট
দেফার্জ
(Ernest Defarge)
ও
তার
স্ত্রীর
কাছে
নিয়ে
যায়।
যারা
তার
পিতাকে
তাদের
সড়াইখানার
চিলেকোঠায়
লুকিয়ে
রেখেছিল।
দীর্ঘ
১৮
বছর
বাস্তিল
দূর্গে
নিজ
পেশা
বাদ
দিয়ে
জুতা
সেলাই
করেছেন।
ফলে
তার
পুর্বের
সব
কিছু
ভুলে
গিয়েছেন।
লরি
তাকে
জানায়
একমাত্র
লুসির
ভালোবাসা
ও
সেবাযত্নই
পারে
ড.
আলেক্সান্দ্র
ম্যানেটকে(Doctor
Alexandre Manette ) তার
পূর্বের
স্মৃতিশক্তিওতে
ফিরিয়ে
আনতে।
এবার
আমরা
একটু
এগিয়ে
১৭৮০
সালের
ইংল্যান্ডে
চলে
আসি।
চার্লস
ডারনে
(Charles
Darnay) নামক
একজন
ফরাসী
যুবকের
উপর
ইংরেজ
রাজার
বিরুদ্ধে
রাষ্ট্রদ্রোহীতার
অভিযোগ
আনা
হয়েছে।
তার
বিরুদ্ধে
প্রধান
সাক্ষী
হল
তার
বন্ধু
জন
বারসাদ(
John Barsad) ও
রজার
ক্লাই
(Roger
Cly) নামক
দুইজন
গুপ্তচর।
একজন
বিখ্যাত
আইনজীবী
স্ট্রাইভার
(Mr.
Stryver) তার
পক্ষে
মামলা
লড়ছিলেন।
তবে
তার
অকর্মন্য
সহকারী
সিডনী
কার্টনের
(Sydney
Carton) কারনেই
সে
মামলা
থেকে
খালাস
পেয়ে
যায়।
সে
কোর্টকে
যুক্তি
দেখায়
সে
আর
চার্লস
দেখতে
একই
রকম।
ফলে
মামলা
দুর্বল
হয়ে
যায়।
লুসি
ম্যানেট
ও
তার
পিতা
ডা.
ম্যানেট
কোর্টে
সিডনী
কার্টনের
মামলা
লড়ে
যাওয়া
পর্যবেক্ষণ
করেছিলেন।
সে
রাতেই
কার্টন
তাদের
মক্কেল
চার্লস
ডারনেকে
একটি
ঝরনার
পাশে
নিয়ে
গিয়ে
জিজ্ঞাসা
করে
লুসির
মত
মেয়ের
সহানুভূতি
পেলে
কেমন
লাগবে।
এদিকে
ফ্রান্সে
মারকুইস
এভরেমন্ড
(Marquis
Evrémonde) গিয়েছিলেন
রাজার
সাথে
দেখা
করতে।
রাজা
সময়
না
দেয়ায়
রাগ
করে
বেরিয়ে
যান
মারকুইস
এভরেমদে
এবং
রাস্তায়
তার
ঘোড়ার
গাড়ির
নিচে
চাপা
পড়ে
একটি
শিশু
নিহত
হয়।
এতে
তার
মাঝে
একটুও
অনুশোচনা
কাজ
করেনি
বরং
সে
তার
গাড়ি
থামিয়ে
তাদের
নিহত
শিশুর
পিতার
দিকে
একটা
সোনার
মুদ্রা
ছুড়ে
দেয়।
সেখানেই
তার
সাথে
দেখা
হয়
বিপ্লবী
মসিয়ে
দেফার্জ
এর
সাথে।
তার কথা শুনে মজা পেয়ে, তার
দিকেও
সে
একটা
মুদ্রা
ছুড়ে
দেয়।
গাড়ি
ছেড়ে
দিলে
সে
তার
মুদ্রাটি
জানালা
দিয়ে
ছুড়ে
মারে
এবং
উধাও
হয়ে
যায়।
বাড়ি
ফেরার পথে একজন
শ্রমিক
তার
ঘোড়ার
গাড়ির
দিকে
হা
করে
তাকিয়ে
ছিল।
পরে
তাকে
জিজ্ঞাসা
করলে
জানায়,
ঘোড়ার
গাড়ির
গায়ে
একজন
ভুতের
মত
লোক
ঝুলে
ছিল।
যাই
হোক
তাদেরকে
সাবধান
হতে
বলে
বাড়ি
ফিরে
আসে
মার্কুইস
এভরেমন্ড।
বাড়ি
ফিরে
তার
ভাতিজা
চার্লস
ডারনে
ওরফে
চার্লস
এভরেমন্ড
এর
অপেক্ষায়
থাকেন।
ডিনারের
সময়
চার্লসের
আগমন
ঘটে।
সে
তাকে
লন্ডন
থেকে
ফিরতে
দেরির
কারন
জানতে
চায়।
সে
তার
উপর
দিয়ে
যাওয়া
বিপদের
কথা
জানায়।
তাকে
আরো
বলে,
এভরেমন্ড
পরিবারের
উচিত
তাদের
গরীব
প্রজাদের
কাছে
ক্ষমা
চাওয়া।
চার্লস
যখন
জমিদারীর
মালিক
হবে
সে
তাদের
সকল
সম্পদ
প্রজাদের
মাঝে
দান
করে
দেয়ার
ইচ্ছা
ব্যক্ত
করে।
দুজনের
মাঝে
নানা
তিক্ত
কথার
মাধ্যমে
তাদের
খাওয়া
শেষ
হয়।
সকালে
মারকুইস
এভরেমন্ড
এর
মৃতদেহ
পাওয়া
যায়।
বুকে
গেথে
থাকা
ছোরায়
লিখা
ছিল,
একে
তাড়াতাড়ি
কবরে
পাঠিয়ে
দাও
– জ্যাক।
বছরখানেক
পরের
কথা।
চার্লস
ডা.
ম্যানেটের
সাথে
দেখা
করে,
লুসির
প্রতি
তার
ভালবাসার
কথা
জানায়।
ডা.
ম্যানেট
তার
মেয়ের
সুখের
জন্যে
তার
পরিচয়
জানতে
চায়নি।
বিয়ের
দিন
সকালে
সে
তার
আসল
পরিচয়
জানালে
ডা.
ম্যানেটের
মাথায়
যেনো
আকাশ
ভেঙ্গে
পড়ে।
একবার
ভেবেছিলেন
সে
বিয়ে
ভেঙ্গে
দেয়। কিন্তু
তার
মেয়ের
কথা
চিন্তা
করে,
মনের
দূঃখ
সয়ে
যান।
একই
সময়ে
(বিয়ের
আগে)
সিডনী
কার্লটনও
লুসির
সাথে
দেখা
করতে
আসে।
তার
ভালবাসার
কথা
জানালে,
লুসি
তাকে
সুস্থ
ও
সৎ
জীবন
যাপনের
প্রতি
উদ্বুদ্ধ
করে।
লুসির
সহানুভূতিপূর্ণ
কথা
শুনে
সে
কেঁদে
ফেলে।
এক
পর্যায়ে
লুসিও
কেঁদে
ফেল।
সে
লুসিকে
জানায়
যেহেতু
তার
মনে
সিডনীর
জন্যে
সহানুভূতি
ও
ভালোবাসা
আছে,
সে
একদিন
না
একদিন
তার
প্রতিদান
দিবেই।
রজার
ক্লাই
নামের
যে
গুপ্তচর
চার্লসের
বিরুদ্ধে
সাক্ষ
দিয়েছিল,
জানাজার
মিছিলে
জেরি
ক্রাঞ্চার
ঢুকে
যায়
এবং
তার
লাশ
চুরি
করে।
অন্যদিকে
জন
বারসাদকে
এনটোইনে
দেফার্জের
পানশালায়
দেখা
যায়।
সে
আসলে
গোপনে
তাদের
উপর
গোয়েন্দাগিরির
কাজ
করছিল।
আর
ডা.
ম্যানেট
এর
আবার
স্মৃতিবৈকল্য
হয়।
নয়
দিন
পর
তিনি
তার
স্বাভাবিক
পর্যায়ে
ফিরে
আসেন।
ডারনের
সাথে
সিডনী
কারটন
দেখা
করে
পুনরায়
তার
বন্ধু
হতে
চায়।
ডারনে
তার
কথা
শুনে
অবাক
হয়।
১৭৮৯
সাল।
প্যারিসে
কৃষক
ও
শ্রমিকেরা
বাস্তিল
দুর্গ
আক্রমণ
করে
ও
ফরাসি
বিপ্লব
শুরু
হয়।
তাঁরা
অভিজাতদের
যেখানে
পাচ্ছিল
ধরে
ধরে
রাস্তায়
নিয়ে
হত্যা
করছিল।
এভরেমন্ড
এস্টেটে
গ্যাবেল
(Gabelle) নামে একজন
কর্মচারী
ছিল।
তাকে
জেলে
ঢোকানো
হল।
তিন
বছর
পরে,
তাকে
উদ্ধারের
জন্য,
সে
চার্লস
ডারনেকে
চিঠি
লিখে।
নিজের
লোকের
এমন
ভয়ংকর
বিপদ
দেখে
সে
সাথে
সাথেই
ফ্রান্সের
উদ্দেশ্যে
রওয়ানা
দেয়।
ফ্রান্সে
পৌছানোর
পর
তাকে
একজন
দেশত্যাগী
হিসেবে
বিপ্লবীরা
গ্রেফতার
করে।
সেখানে
তাকে
এক
বছর
তিন
মাস
কারাবরন
করার
পর
তার
বিচারকাজ
শুরু
হয়।
তাকে
উদ্ধারের
জন্যে
ডা.
ম্যানেট
ও
তার
মেয়ে
লুসি
সেখানে
চলে
যায়।
ডা.
ম্যানেট
বিপ্লবীদের
মাঝে
তার
প্রভাবকে
কাজে
লাগিয়ে
চার্লস
ডারনেকে
কারামুক্ত
করার
চেষ্টা
করেন।
ডারনে
খালাস
পায়
ঠিকই
কিন্তু
সে
রাতেই
তাকে
অন্য
একটি
মামলায়
আবার
গ্রেফতার
হতে
হয়।
এবার
তার
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
তোলে
দেফার্জ
ও
তার
প্রতিশোধপরায়ণ
স্ত্রী।
সিডনী
কারটন
প্যারিসে
আসেন
এবং
চার্লসকে
মুক্ত
করার
জন্যে
জন
বারসাডের
সাহায্য
নেন।
জন
বারসাডের
নতুন
একটা
পরিচয়
আবিষ্কার
হয়।
সে
হল
লুসির
মেইড
মিস
প্রসের
হারিয়ে
যাওয়া
ভাই।
ডারনের
বিচারকার্যের
সময়
দেফার্জ
আদালতে
একটি
চিঠি
উপস্থাপন
করে।
এই
চিঠিটি
জনাব
ম্যানেটের
পুরনো
জেলের
কামরায়
পাওয়া
গিয়েছিল।
এই
চিঠির
মাধ্যমে
জানা
যায়
কেন
তাকে
আঠারো
বছর
জেলে
থাকতে
হয়েছিল।
চিঠি
থেকে
জানা
যায়
এভরেমন্ডরা
দুই
ভাই
তার
সাথে
দেখা
করেছিল
একটি
ধর্ষিতা
মেয়েকে
চিকিৎসা
করানোর
জন্যে।
তাদের
দুই
ভাইয়ের
একজন
তাকে
ধর্ষণ
করে
ও
গায়ে
ধারালো
বস্তু
দিয়ে
আঘাত
করে।
তারপর ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে তাঁরা ডা. ম্যানেটকে ষড়যন্ত্র করে জেলেখানায়
পাঠায়। এই
ঘটনা
শুনে
বিচারকরা
ডারনেকে
চব্বিশ
ঘন্টার
মাঝে
মৃত্যুদণ্ডের
আদেশ
দেন,
কারন
অপরাধীরা
ডারনের
পূর্বপুরুষ।
সেদিন
রাতে
সিডনী
কার্টন
মাদাম
দেফার্জের
পানশালায়
যায়
ও
তার
ষড়যন্ত্রের
কথা
গোপনে
শুনে
ফেলে।
আসলে
মাদাম
দেফার্জ
পিতা
মাতা
এভরেমন্ডদের
হাতে
খুন
হয়েছিলেন।
প্রতিশোধপরায়ণতা
এমন
নিচু
পর্যায়ে
পৌছেছিল
যে,
সে
লুসি
ও
তার
নিষ্পাপ
কন্যাকেও
কিভাবে
ফাসি
দেয়া
যায়,
সেই
ষড়যন্ত্র
শুরু
করেছিল।
কার্টন
এই
অবস্থা
দেখে
ডা.
ম্যানেট
ও
তার
কন্যাকে
তড়িঘড়ি
করে
লন্ডনে
পাঠানোর
ব্যবস্থা
করেন।
সে
আর
জন
বারসাড
রাতে
ডারনের
সাথে
দেখা
করে।
পোষাক
পরিবর্তনের
ছুতোয়
তাকে
অজ্ঞান
করে
জন
বারসাডের
মাধ্যমে
তাকে
বাহিরে
পাঠিয়ে
দেয়
এবং
তার
জায়গায়
সে
অবস্থান
নেয়
ও
গিলোটিনের
জন্যে
সে
অপেক্ষা
করে।
তারপর
প্যারিসে
অদূরে
অপেক্ষারত
লুসি
ও
ডা.
ম্যানেট
এর
সাথে
তাকে
লন্ডন
পাঠিয়ে
দেয়।
এদিকে
মাদাম
দেফার্জ
(Madame
Defarge) লুসিকে
হত্যার
উদ্দেশ্যে
প্যারিসে
তাদের
বাসায়
আসে।
সেখানে
সে
মিস
প্রসকে
(Miss
Pross) পায়।
মিস
প্রসের
সাথে
তার
ধস্তাধস্তি
হয়।
মাদাম
দেফার্জ
তার
নিজের
গুলিতে
নিহত
হয়।
জীবনের
যে
আসলেই
মূল্য
রয়েছে
এটা
জেনেই
পরের
দিন
সকালে
গিলোটিনের
মাধ্যমেই
মৃত্যু
হয়
সিডনী
কারটনের।
No comments:
Post a Comment