Ode Intimations of Immortality from Recollections of Early Childhood - William Wordsworth - Translation in Bangla |
Translation in Bengali
উইলিয়াম
ওয়ার্ডসওয়ার্থ
প্রারম্ভিকাঃ
“শিশুরাই প্রতিটি মানুষের পিতা
আর আমি আশা করি আমার দিনগুলো
প্রকৃতিগত ধর্মানুরাগে আবদ্ধ থাকুক”
(William
Wordsworth – “My heart Leaps up” )
মূল কবিতা
এমন এক সময় ছিল যখন তৃণভূমি, ছোটবন, নদী,
পৃথিবী এবং
প্রতিটি সাধারণ দৃশ্য,
আমার
কাছে মনে হতো
যেনো
বেহেশতী আলোর পোষাকে মোড়ানো,
স্বপ্নের
গৌরব ও সতেজতায় পূর্ণ।
এটা বহুকাল আগে যেমনটি ছিল, এখন আর তেমনটি নেই।
যার দিকেই আমি ফিরি না কেনো,
দিনে
কিংবা রাতে।
যেসকল জিনিস
আমি দেখেছি, এখন
আর সেগুলো দেখি
না।
রংধনু
উঠে আর চলে
যায়,
মোহনীয়
গোলাপ,
আনন্দে
উৎফুল্ল চাঁদ
মেঘমুক্ত
আকাশ থেকে দৃষ্টি
নিক্ষেপ করে,
পানির
মধ্যে তারকাখচিত
মনোহর
এবং সুন্দর।
তেজোদ্দীপ্ত
সূর্যের উদয়।
কিন্তু
আমি জানি,
যেখানেই যাই,
পৃথিবী
থেকে সে মহিমা
অতীত হয়ে গেছে।
এখন,
যখন পাখিরা গায়
আনন্দের গান,
যখন
লাফায় মেষের ছানা
ড্রাম
এর তালে তালে
আমার
মাথায় আসে তখন
শুধু হতাশার চিন্তা।
সময়মত
প্রকাশ করে লাঘব
করি বেদনা,
আবার
আমি শক্তি লাভ করি;
জলপ্রপাত
বাজায় ভেরী খাড়া
পাহাড় থেকে;
আমার
দুঃখে ঋতুর আনন্দ
হবে না বিলীন;
পর্বতের
ভিড় হতে শুনি
প্রতিধ্বনি,
বাতাস
আসে আমার কাছে
নীরব মাঠ হতে,
আর
সারা পৃথিবী আনন্দে
উৎফুল্ল;
জলে
স্থলে
সবকিছু
আনন্দে উল্লসিত,
বসন্তের
আত্মার সাথে এক
হয়ে।
প্রতিটি
পশুও ছুটির দিন
পালন করে
আনন্দের
সন্তান তুমি,
ডাক
মোরে, আমাকে শুনতে
দাও তোমার ডাক,
তুমি সুখী
মেষের
রাখাল!
ওহে
আশীর্বাদপুষ্ট সৃষ্টি, আমি
শুনেছি ডাকতে।
তোমাদের
একে অপরকে; আমি
দেখি।
আকাশ
হাসে তোমাদের সাথে
তোমাদের জয়ন্তীতে:
আমার
হৃদয় হেসে উঠে
তোমাদের উৎসবে,
শিরে
ধারণ করেছি তোমাদের
আনন্দের মালা।
তোমাদের
পরিপূর্ণ মঙ্গল আমি
অনুভব করি--আমি এর
সবটুকু অনুভব করি।
ওহ
খারাপ দিন!
যদি আমি বিষন্ন
হতাম
যখন
বসুন্ধরা সাজিয়েছে নিজেকে,
এ
মধুর বসন্ত প্রাতে,
শিশুরা
ফুল কুড়াচ্ছে
সব
দিক থেকে,
সর্বত্র,
হাজার উপত্যকায়,
তাজা
ফুল; যখন
সূর্য উষ্ণতা দেয়,
শিশু
লাফিয়ে উঠে মায়ের
বাহুতেঃ-
আমি
শুনি, আমি শুনি,
আনন্দের সাথে শুনি!
কিন্তু
বহু গাছের মাঝে
এই একটি গাছ,
একটি
মাত্র মাঠ যার
দিকে আমি তাকাই,
তাদের
দুজনেই কিছু বলছে
যা আর নেই;
আমার
চরণে মাড়িয়েছিলাম পেনসি
ফুল ।
একই
গল্প বলে পুনরায়
কই
পালিয়ে গেল সেই
স্বপ্নিল আভা।
কই
এখন সেই আলো
সেই স্বপন।
জনম
মোদের ঘুমের সমান
আর ভুলে যাওয়ার
কাল;
আত্মা
যেটা জাগে মোদের
সাথে সেটা মোদের
জীবন প্রদীপ,
ইহা
থাকত অন্য কোথাও
এসেছে
অনেক দূর থেকে
সম্পূর্ণ ভুলে যাওয়া নয়,
এবং উলঙ্গ অবস্থায়ও নয়,
কিন্তু আমরা গৌরবময় মেঘের থেকে এসেছি
আল্লাহর
কাছ থেকে,
যিনি আমাদের আশ্রয়।
আমাদের
শিশুকালে স্বর্গ থাকে
আমাদের চতুর্দিকে!
পৃথিবীর
কারাগার বন্দি করতে
শুরু করে।
বাড়ন্ত
বালককে,
কিন্তু
সে দেখতে থাকে
আলো, যেখান
থেকে প্রবাহিত হয়;
অবলোকন
করে সে আনন্দ
চিতে।
যৌবনে,
প্রতিনিয়ত পুর থেকে
দূরে সরে আসে
সে
সরতেই
হয়, তবুও
সে প্রকৃতির পূজারি
চমৎকার
দৃষ্টিতে তাকাতে তাকাতে
সে
সরতেই থাকে;
অবশেষে
পরিণত বয়সে সে
আলো নিভে যায়,
নিত্যনৈমিত্তিক
কর্মযজ্ঞে সে আলো
বিলীন হয়ে যায়।
আপন
আনন্দ জড়িয়ে ধরিত্রী
তাকে কোলে পুরে
নেয়
নিজের
স্বাভাবিক মমতায়,
এমনকি
কিছুটা মায়ের মতনও,
আর
তা কোন উদ্দেশ্যহীন
কারণে নয়,
সেবা
দেয় সহজভাবে এই
সেবিকা
করে
নিতে তাকে পালক-সন্তান, তার সাথের
বাসিন্দা মানুষকে
ভোলাতে
থাকে সেই স্বর্গীয়
আলো যা সে
জানত,
আর
ভোলাতে সেই রাজকীয়
প্রাসাদ যেখান থেকে
সে এসেছে।
শিশুকে
দেখ তার নব
আনন্দের মাঝে
ছয়
বছর বয়সের, আদুরে
এক বামনাকৃতির!
আপন
হাতে, নিজের কাজের
মাঝে ব্যস্ত সে,
মায়ের
চুমুতে সে যেন
অস্থির,
বাবার
চোখের আলোতে।
চেয়ে
দেখ তার পদমূলে
একটি ছোট পরিকল্পনা,
একটি নকশা,
তার
স্বপ্ন থেকে পাওয়া
মানব জীবনের কিছু
টুকরো
নতুন
আহরিত জ্ঞান-কৌশলে
দিয়েছে সে আকৃতি
বিয়ে
কিংবা উৎসব,
শোক
কিংবা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া;
এসবের
মাঝেই এখন তার
মন ব্যস্ত
এসবের
মাঝেই সে বাঁধে
তার গান।
এখন
তার জিহ্বা লেগে
গেছে।
ব্যবসা
নিয়ে আলাপ করতে,
প্রেম কিংবা ঝগড়া
নিয়ে;
কিন্তু
তার এসবও থাকবে
না বেশিদিন
ছুঁড়ে
ফেলবে দূরে
নব
আনন্দ আর গর্বে,
এই
ছোট্ট অভিনেতা অভিনয়
করবে অন্য অংশে;
সময়ে
সময়ে তার এই
‘কৌতুকপূর্ণ মঞ্চে’ আসবে কত
জনা।
সবার
সাথে সেও পতিত
হবে বাতে ধরা
বার্ধক্যে।
জীবন-যন্ত্রের এই
পরিণতি;
তার
কাজ শুধু যেন
অনন্ত
অনুকরণ ঐ
তুমি
বাইরের আচরণে, মিথ্যা
বলে
ম্লান
কর তোমার আত্মার
মহত্ত্বকে;
তুমি
শ্রেষ্ঠ দার্শনিক যে
ধরে রেখেছে আজও।
তোমার
ঐতিহ্যকে, তুমি অন্ধজনে
আলো দাও,
তুমি
ডুব দাও বোবা
আর নীরব অনন্ত
অসীমের গভীরে,
ধাবিত
হও অবিনশ্বর মনের
দোলায়,
তুমি ঈশ্বরের বার্তা ঘোষনাকারী! মহিমান্বিত দর্শক!
এসেছে
তোমার কাছে সমস্ত
সত্য,
সারা
জীবন ধরে আমরা
কঠোর শ্রম দিচ্ছি
এগুলো পাওয়ার জন্যে
আঁধারে
হারিয়ে যাওয়া, কবরের
অন্ধ গুহায় হারিয়ে
যাওয়া সত্যকে;
তুমি,
যার মধ্যে বিরাজে
অমরত্ব :
প্রকাশ্য
দিবালোকে, প্রভু যেমন
দেখে দাসকে,
তেমনি
দেখ তুমি অনন্তের
উপস্থিতি;
যদিও
তুমি ছোট্ট শিশু,
শক্তি তোমার গর্ব ভরা।
স্বর্গীয়
স্বাধীনতা আছে তোমার
আর আছে সুউচ্চ
সত্তা।
কেন
তুমি এতো রাগ
কর
এ
জোয়াল কাঁধে তুলে
নিতে,
অন্ধভাবে
কেন তুমি স্বর্গীয়
আলোকে কর ব্যাহত?
খুব
শীঘ্রই তোমার আত্মায়
নামবে পার্থিব সমস্যার
বোঝা,
তোমার
ঘাড়ে চেপে বসবে
পার্থিব প্রথা পদ্ধতির
বোঝা
তুষারের
মতো ভারী,
জীবনের মতো গভীর
ভারী!
ওহে
আনন্দ! আমাদের অগ্নিকণা।
জীবিত
থাকে ভস্মমাঝে,
স্মৃতিতে
থাকে তা
ক্ষণস্থায়ী
হলেও!
অতীত
দিনের চিন্তা আমার
মাঝে সৃষ্টি করে
খোদার
প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস;
কেবল মাত্র
সেসব
আশীর্বাদের জন্যে নয়
যেসবের জন্যে আমাদের
কৃতজ্ঞতা অনুভব করা
উচিত সেগুলো
আনন্দ
আর স্বাধীনতা, সহজ
সরল বিশ্বাস
শিশুকালের,
বিশ্রাম কিবা ব্যস্ততায়,
নতুন
গজান আশার উদ্দীপনা
বুকে?
এসবের
জন্যেও নয়
আমি
জানাই তোমায় ধন্যবাদ,
করি তব প্রশংসা;
যেসব
একঘেয়েমি প্রশ্ন।
চেতনার
আর বাহ্য বস্তুর,
আমাদের
উপর আপতিত হওয়া
স্মৃতি লুপ্ত,
শুধু
শুধু আমাদের ভাবনা
চষে
বেড়ায় পৃথিবী, উপলব্ধি
না করে।
উন্নত
চেতনা যার সামনে
আমাদের মর প্রকৃতি
কাঁপতে
থাকে ভেজাল বস্তুর
মতো ভয়ে।
কিন্তু
সেই প্রথম আবেগের
কথা,
সেই
ছায়াঘেরা স্মৃতি;
যেগুলো
ছিল এবং যেগুলো
আজও
আলোর উৎস আমাদের
জীবনে,
আধ্যাত্মিক
দৃষ্টির খাঁটি আলো;
উধ্বে
তুলে রাখে এবং
ক্ষমতা আছে।
আমাদের
কর্মকোলাহল মাঝে।
অনন্তের
নীরবতা আনার জাগ্রত
কর সে সত্যকে
যে
সত্য কভু হবে
না লয়;
যেটাকে
উদাসীনে নয়,
পাগলে নয়,
প্রবল কোন চেষ্টা
নয়,
কোন
বালক নয়,
কোন মানুষ নয়
কোনদিন
কেউ পারবে না
ধ্বংস করতে।
সুতরাং
এই প্রশান্ত আবহাওয়ার
ঋতুতে
আমরা (আত্মা) অনেক দূরে
থাকলেও,
আমাদের
আত্মা দেখতে পায়
সেই অমর সমুদ্র (বেহেস্ত)
যে
সমুদ্র থেকে এসেছি
এখানে,
এক
মুহূর্তে যেতে পারি
আবার সে অমরত্বের
সমুদ্রে
এবং
দেখতে পারি তীরে
শিশুদের খেলা।
আর
শুনতে পারি জলের
প্রবল প্রবাহ।
গান
গাও, পাখিরা,
গান গাও,
আনন্দের গান!
মেষের
ছানা সব নাচ
তবলার
তালে তালে।
আমরাও
তোমাদের দলের সাথে
একাত্ম
বংশীবাদক
বাঁশি বাজাও
মনে
মনে তোমরা আজি
অনুভব
করছ বসন্তের আনন্দ!
দীপ্তি
যাহা ছিল এক
সময়ে
আজকে
সবই হারিয়ে গেল
আমার দৃষ্টি হতে,
কোন
কিছুই বেয়ে আর
আসে না ফিরে।
ঘাসে
কত চমৎকারিত্ব, পুষ্পে
কত শোভা;
'
দুঃখ
করব না,
যা আছে।
পেছনে
তা নিয়ে সাহস
সঞ্চয় করব।
প্রাথমিক
অবস্থায়
যা
ছিল তা থাকবে
চিরকাল;
স্নিগ্ধ
চিন্তা যা লাফিয়ে
উঠে
মানুষের
ভোগান্তিতে;
সে
বিশ্বাস যা তাকায়
মৃত্যুর পরপারে
কালের
পরিক্রমণে জন্মায় দার্শনিক
চিন্তা।
ওহে
ঝর্ণা, সবুজাবৃত মাঠ,
পাহাড় আর নিকুঞ্জ,
পূর্ব
থেকেই আমাদের প্রেমের
নির্মম বিচ্ছেদের কথা
বল না!
এখনো
অন্তরের অন্তস্তলে তোমাকে
অনুভত্ব করি;
আমি
মাত্র একটি আনন্দ
ত্যাগ করেছি।
বাস
করতে তোমার স্বাভাবিক
নিয়মের অধীনে
আমি
ভালবাসি ছোট ছোট
নদী যেগুলো বয়ে
চলে ছোট ছোট
ঢেউ তুলে।
ঢেউগুলো
থেকেও চপলভাবে ভেসে
চলি আমি
নতুন
দিনের নিস্পাপ ঔজ্জ্বল্য
নিয়ে।
এখনো
পর্যন্ত ভাল লাগে;
অস্তায়মান
সূর্যের চারদিকে ভিড়
করা মেঘ।
কোমল
বর্ণে বর্ণিল সে
চোখে
যে
চোখ মানুষের অনিত্যতার
কথা বলে;
জীবনের
আর একটা মঞ্চের
কথা, আর
একটা বিজয়ের কথা।
ধন্যবাদ
মানবাত্মাকে যার দ্বারা
আমরা বেঁচে থাকি,
ধন্যবাদ
তার লাবণ্যকে, আনন্দকে
আর ভয়কে,
দোল
খাওয়া একটি তুচ্ছ
ফুল।
এতো
গভীর ভাবনার জন্ম
দিতে পারে মোর
মাঝে।
যা
কখনো অশ্রুতে যায়
না প্রকাশ করা।
No comments:
Post a Comment