Life of Cowley - Summary and Analysis - in Bangla |
Life of Cowley - Summary and Analysis - in Bangla
যে লেখাটি থেকে ভাবানুবাদ করা হয়েছেঃ http://h3rdenglish.blogspot.com/p/blog-page_13.html
স্যামুয়েল জনসন তাঁর Lives of the Poets সিরিজটি ১৭৭৯ থেকে ১৭৮১ সাল পর্যন্ত তিনটি খন্ডে প্রকাশ করেন।
স্যামুয়েল জনসন তাঁর Lives of the Poets সিরিজটি ১৭৭৯ থেকে ১৭৮১ সাল পর্যন্ত তিনটি খন্ডে প্রকাশ করেন।
স্যামুয়েল জনসন
তার Metaphysical
কবিদের
পরিচয়
করিয়ে
দেয়ার মাধ্যমে গ্রন্থের
এই
খণ্ডটি
শুরু
করেন।
তিনি
তাদেরকে
একদল
লোক
দেখানো
কবি
হিসেবে
অভিযুক্ত
করেন
যারা
আসলে
তাদের
নিজেদের
পৃথিবী
সম্পর্কিত
ও বৈজ্ঞানিক
জ্ঞানের
প্রদর্শনী
করার
জন্যেই
লিখতেন।
“Metaphysical” শব্দের
অর্থ
হল
অতিদৈহিক
বা
আধ্যাতিক
বা
দর্শনশাস্ত্রসম্বন্ধীয়।
সুতরাং
তাদের
কবিতার
বিষয়বস্তুও তেমনি
হওয়া
উচিত
ছিল।
আসলে
জনসন
ও
তাঁর
সমসাময়িকরা
“Metaphysical” শব্দটিকে “spiritual” শব্দের সমার্থক
হিসেবে
ব্যবহার
করতেন
না
বা
এটিকে
দৈহিক
“physical” শব্দের বিপরীত
হিসেবে
ব্যবহার
করতেন
না।
তাদের
কবিতায়
তাদের দার্শনিক
ও
বৈজ্ঞানিক
দিকই
ফুটে
উঠেছে।
তাদের
কবিতাগুলো
সাধারণত
আশ্চর্য
সব
বৈজ্ঞানিক
চিন্তাকল্প
ও
জিনিসে
ঠাসা
ছিল
যেমন
কম্পাস
এর
দুই
কাটার
সাথে
স্বামী
স্ত্রীর
প্রেমের
মিল
অথবা
ইথার ইত্যাদি।
জনসন
এই
সকল
কবিদের
আর
একটি
বিষয়
নিয়েও
দোষারোপ
করেন
আর
তা
হল
তারা
তাদের
কবিতায়
ছন্দ
নিয়ে
অতিমাত্রায়
চিন্তিত
ছিল।
জনসন
আসলে
বিশ্বাস
করতেন
যে
কবিতা
বা
কাব্য
মানুষের
হৃদয়ের
সাথে
সম্পর্কিত।
কবিতার
কাজ
হল
ভালোবাসার
কোমলতার
মাধ্যমে
মানুষের
হৃদয়ের
দরজা
খুলে
দেয়া
যেমনটি
আমরা
শেক্সপিয়র
ও
মিলটনের
কাব্যে
খুজে
পাই।
জনসন
তাদের
কবিতার
উপর
আঘাত
করেন
দুটি
ভিন্ন
দৃষ্টিকোণ
থেকে
আর
তা
হল
অনুকরণ
ও
ব্যবহারিক
দিক।
জনসনের
মতে
“Metaphysical” কবিদের প্রথম
ব্যর্থতা
হল
এরিস্টটলের
দেয়া
সত্যিকার
কাব্যের
প্রথম
বৈশিষ্টটি
অর্থাৎ
কাব্যকে
হতে
হবে
(জীবন
ও
প্রকৃতি
থেকে)
অনুকরন
করা
শিল্প, যা একেবারেই
খুজেই
পাওয়া
যায়নি।
তারা
কাব্য
চর্চার
ক্ষেত্রে
না
জীবনকে
অনুকরন
করেছেন, না করেছেন
প্রকৃতিকে
।
ফলে
তাদের
কাব্য
বা
কবিতা
ছিল
(জীবনের)
সত্য
থেকে
অনেক
দূরে।
এরপর
জনসন
তাদের
ব্যর্থতার
দ্বিতীয়
দিকটি
নিয়ে
আলোচনা
করেন।
তিনি
বলেন
তাদের
কাব্য
পাঠকদের
মনে
সেই
ভাবে
নাড়া
দিতো
না
যেভাবে
সত্যিকার
কাব্য
নাড়া
দিতো।
জনসন
তাদের শ্রমকে (Metaphysical
poetry লেখার)
প্রশংসা
করেন।
কিন্তু
জনসন
প্রমান
করতে
চেষ্ঠা
করেছেন
যে,
একটি
সুরের
ঐক্যবিশিষ্ট,
সমন্বিত
ও
সুন্দর
সাহিত্যকর্ম
যেভাবে
পাঠককে
সন্তুষ্ট
করে,
পাঠকের
হৃদয়কে
প্রশান্তি
দেয়,
সেভাবে
Metaphysical poetry পারে
না।
তাঁর
কথাকে
প্রমান
করার
জন্যে
সে
Metaphysical
poetry এর
মূল
উপজীব্য
বিষয়
অর্থাৎ
“wit” বা তাদের
“বুদ্ধিদীপ্ত
রস
ও
রসিকতা” নিয়ে
প্রশ্ন
তোলেন।
তিনি
প্রথমেই
নিশ্চিত
করেন
যে
তাদের
সত্যিকার
কাব্যের
মূল্য
তাদের
বুদ্ধিদীপ্ত
রস
রসিকতার
ভিতরেই
নিহিত
রয়েছে।
তিনি
জন
ড্রাইডেনের (John Dryden)
উদাহরণ
টেনে
আনেন
যিনি
স্বীকার
করেছেন
যে তিনি (ড্রাইডেন) জন
ডান (John Donne)
ও
তাদের
সমসাময়িক
কবিদের
কাব্যের
দিক
থেকে
ছাড়িয়ে
গেলেও
“wit”
বা
বুদ্ধিদীপ্ত
রস
ও
রসিকতার
ক্ষেত্রে
অনেক
নিচে
ছিলেন।
তাদের
কাব্যের
মূল
উপজীব্য
বিষয়
“wit”
এর
উপর
আঘাত
হানতে
“wit”
এর
দুটি
আলাদা
সংজ্ঞা
উপস্থাপন
করেন।
যেমন
পোপ
এর
মতে
, “wit”
হল
তাই
যা
নিয়ে
চিন্তা
করা
হয়েছিল
ঠিকই
কিন্তু
তা
সুস্পষ্টভাবে
প্রকাশ
করা
হয়নি।
এই
সংজ্ঞার
উপর
ভিত্তি
করে
তিনি
বলেন
Metaphysical poet এরা একেবারেই ব্যর্থ।
কারণ
তারা
তাদের
একক
চিন্তার
বহিঃপ্রকাশ
ঘটিয়েছেন
আর
কাব্যে
শব্দচয়নের
ক্ষেত্রে
ছিলেন
একবারেই
অসতর্ক।
এরপর
তিনি
“wit” এর
আর
একটি
সংজ্ঞা
এনেছেনঃ
“wit”
হল
যা
প্রাকৃতিক
ও
যা
নতুন।
তিনি
বলেন
যদিও
Metaphysical thoughts একেবারেই
নতুন
কিন্তু
এটা
প্রাকৃতিক
না।
আর
তাদের
এই
অস্বাভাবিকতার
কারনেই
পাঠকের
মনে
এই
কবিতা
বিরক্তিকর
লাগে।
“wit” এই
দুই
সংজ্ঞা
যখন
Metaphysical
poetry এর
সাথে
মিলে
না
বা
Metaphysical
poetry এর
ক্ষেত্রে
কাজ
করে
না,
তখন
জনসন
এই
দুই
সংজ্ঞাকে
এক
পাশে
রেখে
আর
একটু
এগিয়ে
যান।
তিনি
তাদের
কবিতাকে
এক
ধরনের
discordia
concors এর
উদাহরণ
হিসেবে
পেশ
করেন।
discordia concors হল
অসামঞ্জস্যপূর্ণ
চিত্রকল্পের
মিলন
ঘটানো
অথবা
এমন
জিনিসের
মাঝে
অতিলোকিক
(occult) মিল (resemblances) খুজে বের
করা
যেগুলো
আপাত
দৃষ্টিতে
আলাদা
মনে
হয়।
কাব্যের
ক্ষেত্রে
তাদের
রুক্ষতা
এবং
শালীনতার
লঙ্ঘন,
বিভিন্ন
ধরনের
কাব্য
রচনা
শৈলির
ইচ্ছাকৃত
মিশ্রণ
তৈরীর
নিন্দা
করেন
এই
বলে
যে
তাদের
কাব্য
রচনার
“wit”
আসলে
যথেষ্ঠের
চেয়ে
বেশি
(“more
than enough”)।
জনসনের আলোচনা পড়ে মনে হবে যেনো তিনি Metaphysical poetry
এর প্রায়োগিক (ব্যবহারিক) ব্যর্থতা নিয়ে দোষারোপ করছেন, কারণ তাদের কাব্য মানুষের আবেগ- অনুভূতির চিত্রায়ন বা সচল করতে পারেনি। আসলে তিনি সত্যিকার কাব্যের ব্যবহারিক ও অনুকরণিক মূল্যের বৈষয়িক সংজ্ঞা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের কাব্যমূল্যের ক্ষেত্রটি ছেড়ে দিয়েছেন। “আমরা যদি আরো উন্নত ও যথোচিত ধারনা রাখি, যেহেতু “wit”
কে একই সাথে প্রাকৃতিক ও নতুন হিসেবে ধরা হয়, যদিও (বিষয়টি) স্পষ্ট নয়, তাহলে প্রথম বার (কাব্য) সৃষ্টির পরে এটাকে (“wit” এর নতুনত্ব) সঠিক হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যায়। আর যদি এটা হয় যে কাব্য লিখতে গিয়ে তারা কোন “wit” খুজে না পেতো, তাহলে তো Metaphysical কবিদের উত্থান ঘটতো না।
জনসন জেনেশুনেই কাব্য রচনার ক্ষেত্রে পাঠকের গুরুত্বকে জোর দিয়েছিলেন। যদি কোনভাবে Metaphysical conceit বা ধারনাগুলো প্রাকৃতিক, সঠিক ও স্পষ্ট প্রমানে ব্যর্থ হয় তবে তারা অন্য কোন সময়ে ও জায়গায় এটি হয়েছিল। গেটে (Goethe) মন্তব্য করেছিলেন যে, “অপ্রাকৃতিক- এটাও কিন্তু এক ধরনের প্রাকৃতিক” (“the
unnatural, that too is natural,”)। Metaphysical
কবিরা তাদের অধ্যয়ন চালিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের এই সকল প্যাঁচানো (
intricacy) ও মৌলিকত্ববিশিষ্ট (originality) কবিতার কারনে পাঠকদের কাছে সম্মান পাচ্ছে। তাদের কষ্টকল্পিত (far-fetched) conceits গুলোর মাধ্যমে যে দৃশ্যপট (images) সৃষ্টি করা হয়েছে সেগুলোর স্বাভাবিকতার (naturalness) কারনেই এটা হয়েছে। এই ধরনের মূল্যায়ন আসলে পুর্বাপর প্রসঙ্গ (context) , পাঠকের বোঝার যোগ্যতা এবং এটি কোন সময়ে পড়া হচ্ছে, পুরোপুরিভাবে তাঁর উপর নির্ভর করে।
জনসনের কাছে “wit”
এর আরেকটি মানদণ্ড ছিল, আর তা হলো এটাকে অবশ্যই পাঠকের কাছে নতুন হতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল যে জিনিসটা বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে সেটা কিভাবে নতুন থাকে। আসলে যে কোন conceit বা চিন্তাধারা (বারবার ব্যবহারের ফলে) যখন একটি মৃত রুপককে (dead metaphor - বিস্তারিত) পরিণত হয়, তখন তাঁর ভেতরকার সকল মোহনীয় শক্তি ও “wit” হারিয়ে ফেলে। আর কখন এবং কোন যুগে এই লেখাটি পড়া হচ্ছে, এই উপাদানটি নির্ভর করে তাঁর উপর।
জনসন তাদের কবিতার সঠিক মূল্যায়ন করতে গিয়ে কখনো কখনো তাদের দোষ দেয়ার পরিবর্তে তাদেরকে প্রশংসা করেছেন। যদিও তারা বারবার তাদের “wit” গুলো তাদের মিথ্যা ধারণাকল্পের (false conceits) মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন, একই সাথে তারা অপ্রত্যাশিত সত্যেরও প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন। যদিও তাদের conceit গুলো ছিল দূর্বোধ্য (far fetched) কিন্তু অবশ্যই এগুলোর মূল্য তাদের প্রাপ্য (worth the carriage)।
তাদের কবিতাতে তিনি এক ধরনের নতুন সত্য খুঁজে পাওয়ার পাশাপাশি আরো কিছু মূল্যবান বৈশিষ্ট্য খুঁজে পেয়েছেন, যেমন সূক্ষ্ণদর্শিতা, অনুচিন্তন (reflection) ও তুলনা করার শক্তি, সত্যিকারের “wit”,
প্রয়োজন উপযোগী জ্ঞান, অনুভূতিপ্রবনতার প্রাচুর্যের স্বল্পতা থাকা সত্ত্বেও অনেক বেশি সভ্যতা/শালীনতা। সম্পূর্নভাবে নিশ্চিত না হওয়া গেলেও Metaphysical কবিদের প্রতি জনসনের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যথাযথ এবং তাঁর সময়ের সাহিত্যশাস্ত্র দ্বারা প্রভাবিত যেখানে অনুকরনশীলতা (Aristotle’s Mimesis or imitativeness - বিস্তারিত ), ভাঙনের উপর ঐক্য, রুপক অভিব্যক্তিকে (Metaphysical expression) গুরুত্ব দিত। আমাদের আসলে মনে রাখা দরকার যে, Metaphysical poetry হল ১৬ শতাব্দীর সরল ও মিষ্টি মধুর কাব্যের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিক্রিয়া এবং তাদের নিজেদের সময়ের সাহিত্যশাস্ত্রের বিরুদ্ধে একটি সাহসী কাজ। আর একারনেই Metaphysical কবিরা কবিতা রচনার ক্ষেত্রে একটি নতুন রচনাশৈলী গ্রহন করেছিলেন, যা পরবর্তী শতকের সাহিত্যের উপর বিরক্ত পাঠকের কাছে আরো শক্তিশালী, বহুমাত্রিক, কঠোর ও চিত্ত্বাকর্ষী ছিল।
Super helpful
ReplyDeleteThank You
ReplyDelete