Of Truth - Sir Francis Bacon - Translation in Bangla |
Of Truth - Sir Francis Bacon - Translation in Bangla
সত্য
[প্রথম
প্রকাশ
- ১৬২৫
সাল]
সত্য! সেটা
আবার
কী
(জিনিস)?
ঠাট্টা
করে
জিজ্ঞাসা
করলেন
পাইলেট!
(Pontius Pilate রোমান রাজ্য
জুডার
৫ম
গভর্ণর
) এরপর
উত্তরের
জন্য
অপেক্ষা
করলেন
না।
নিশ্চিতভাবেই
লঘুতিত্ততার
(ঘন
ঘন
মত
পাল্টানো)
মাঝে
আনন্দ
রয়েছে
এবং
একটি
নির্দিষ্ট
বিশ্বাসে
অনড়
থাকাটা
একটা
বন্ধনের
মত,
উপরন্তু
তা
চিন্তা
ও
কাজের
স্বাধীনতা
নষ্ট
করে।
যদিও
এই
ধরনের
দার্শনিকেরা
আজ
আর
নেই,
কিন্তু
সেই
মানসিকতার
চিন্তাধারা
এখনো
জারী
আছে।
তবে
সেই
আমলের
মতো
অতটা
অখণ্ডনীয়
বিবেচনা
করা
হয়
না।
কিন্তু
সত্যের
অনুসন্ধানে
মানুষ
শুধু
পরিশ্রম
ও
কষ্ট
স্বীকার
করে,
কিংবা
খুঁজে
পাওয়ার
পর
তার
ভাবনার
ওপর
চেপে
বসে
বলে
মিথ্যার
পক্ষ
নেয়
তা
নয়;
বরং
একধরনের
সহজাত
ও
নষ্ট
ভালোবাসাই
এর
জন্য
দায়ী।
গ্রিকদের
পরবর্তী
প্রজন্মের
একটি
গোষ্ঠী
বিষয়টি
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
করে
দেখেছেন
এবং
কী
কারণে
সাধারণ
মানুষ
মিথ্যা
এত
ভালোবাসে
তা
নিয়ে
যথেষ্ট
মাথা
ঘামিয়েছেন,
কারণ
তারা
তো
আনন্দ
সৃষ্টি
করছেন
না,
যা
সাধারণত
কবিরা
করে
থাকেন;
কিংবা
এতে
কোনো
লাভের
বিষয়ও
জড়িয়ে
নেই
যা
আছে
ব্যবসায়ীদের
বেলায়;
তাহলে
শুধু
মিথ্যার
খাতিরেই
তারা
মিথ্যা
বলে
থাকে
কি
না
ঠিক
বলতে
পারব
না;
এই
সত্যই
উলঙ্গ
ও
প্রকাশ্য
দিবালোকের
মতো,
তবে
তাতে
মুখোশ,
ছদ্মবেশ
এবং
শোভাযাত্রার
অর্ধেকও
নজরে
পড়ে
না,
যতটা
সুস্পষ্ট
ও
নান্দনিকরূপে
দৃশ্যমান
হয়
মোমের
আলোয়।
সম্ভবত
সত্যকে
মুক্তার
মর্যাদা
দেওয়া
যায়,
দিনের
আলোতে
যাকে
চমৎকার
দেখায়।
কিন্তু
তাকে
হীরক
বা
ওইরূপ
রত্নবিশেষের
মূল্য
দেওয়া
চলে
না,
যা
নানা
বর্ণের
আলোতে
সুন্দর
দেখায়।
খানিকটা
মিথ্যার
রং
চাপালে
কোনো
কিছু
আনন্দঘন
হয়ে
ওঠে।
এ
ব্যাপারে
কি
কারো
কোনো
সন্দেহ
আছে
যে,
অসার
অভিমত,
তোষামোদি,
অযথার্থ
মূল্যায়ন,
খামখেয়ালিপনা
ইত্যাদি
না
হলে
কারো
মন
ভরে
না,
অনেকেই
মনঃক্ষুন্ন
হন,
মনে
বেদনা
ও
বিরাগ
জন্মে?
কোনো
এক
কট্টর
ধর্মযাজক
কবিতাকে
শয়তানের
মদ
(vinum dæmonum [devils’-wine]) বলে
অভিহিত
করেছিলেন,
কারণ
তাতে
কল্পনার
খোরাক
থাকলেও
মিথ্যার
ছায়া
থাকে।
কিন্তু
তা
এমন
মিথ্যা
নয়,
যা
আমাদের
মনের
গভীরে
প্রবেশ
করে
স্থায়ী
আসন
গেড়ে
বসে
এবং
স্থায়ী
ক্ষতিসাধন
করে,
যেমনটা
আগে
উল্লেখ
করেছি।
কিন্তু
এইসব
বিষয়
শুধু
মানুষের
বিকৃত
বিবেচনা
ও
প্রশ্রয়ের
মাঝে
বিদ্যমান,
যদিও
সত্য,
যার
মূল্য
শুধু
সে
নিজেই
নিরূপণ
করতে
পারে,
অনুসন্ধানকারীই
কেবল
খুঁজে
পান,
সত্যে
বিশ্বাসী
মানুষই
এর
সৌন্দর্য
দর্শন
ও
উপভোগের
সাথে
সাথে
মানব
চরিত্রে
সত্যের
সর্বোচ্চ
স্থান
উপলব্ধি
করেন।
ঈশ্বরের
প্রথম
সৃষ্টি
ছিল
ইন্দ্রিয়ের
আলো
(তাদের
বিশ্বাস)
আর
সর্বশেষ
সৃষ্টি
যুক্তির
আলো
(তাদের
বিশ্বাস)
এবং
সৃষ্টির
পর
থেকে
নিজ
সত্তার
আলোকে
মানুষের
মনকে
উদ্ভাসিত
করার
কাজে
ব্যাপৃত
রয়েছেন।
প্রথম
তিনি
আলো
ফেললেন
জড়
বা
বিভ্রান্তির
ওপর।
তারপর
আলো
ফেললেন
মানুষের
মুখে;
এখনো
তিনি
তার
পছন্দকৃত
মানুষদের
আপন
আলোয়
উদ্ভাসিত
করে
চলেছেন।
অন্যদের
থেকে
নগণ্য
এপিকিউরিয়ান
(গ্রীক
দার্শনিক
Epicurus
এর
শিক্ষা
গুলো
যারা
মেনে
চলেন
তারা
Epicureans ) যে
গোষ্ঠী,
যাদের
মধ্যমণি
ছিলেন
কবি
লুক্রেটিয়াস
(Titus
Lucretius Carus), তিনি
চমৎকার
বলেছিলেন:
তীরে
দাঁড়িয়ে
সাগরে
ঢেউয়ের
বুকে
দুলতে
থাকা
তরী
দেখতে
ভালোই
লাগে,
আরো
ভালো
লাগে
দুর্গের
জানালায়
দাঁড়িয়ে
নিচে
সংঘটিত
যুদ্ধ
ও
দুঃসাহসিক
বীরত্ব
দেখতে,
কিন্তু
সত্যের
সুউচ্চ
ভূমিতে
(যাকে
কোনো
পর্বতের
চূড়াই
ছাপিয়ে
যেতে
পারে
না,
এবং
যেখানে
বাতাস
সব
সময়ই
নির্মল
ও
প্রশান্ত)
দাঁড়িয়ে
নিম্নভূমিতে
বিভ্রান্তি,
বিক্ষিপ্ত
চিত্ততা
এবং
কুয়াশা
ও
ঝোড়ো
তাণ্ডব
অবলোকনের
সাথে
তার
কোনো
তুলনাই
চলে
না
(It
is a pleasure to stand upon the shore and to see ships tossed upon the sea; a
pleasure to stand in the window of a castle and to see a battle and the
adventures thereof below: but no pleasure is comparable to the standing upon
the vantage ground of truth (a hill not to be commanded, and where the air
is always clear and serene), and to see the errors and wanderings and
mists and tempests in the vale below;)।
সব
সময়
এই
আনন্দের
উপলব্ধি
আত্মকরুণার
সাথে
হয়,
আত্মশ্লাঘার
সাথে
নয়।
সত্যিই
আমাদের
মন
যদি
পরহিতে
পরিচালিত,
ঈশ্বরে
সমর্পিত
এবং
সত্যস্তম্ভের
ওপর
প্রতিষ্ঠিত
হত
তাহলে
এই
পৃথিবীই
স্বর্গে
পরিণত
হত।
ধর্ম
ও
দর্শনের
জগৎ
ছেড়ে
যারা
সাধারণ
মানব
জীবনে
সত্যনিষ্ঠার
চর্চা
করেন
না
তারাও
স্বীকার
করেন
যে,
কাজেকর্মে
যারা
স্বচ্ছতা
ও
স্পষ্টতা
বজায়
রাখেন
তাঁরা
সকলের
সম্মান
লাভ
করেন।
আর
মিথ্যার
মিশ্রণ
সোনা
ও
রুপার
মুদ্রায়
খাদ
মেশানোর
মতো,
যা
ধাতুকে
মজবুত
করে
বটে
কিন্তু
তা
আর
খাটি
থাকে
না।
ঘুরে
ঘুরে
এঁকেবেঁকে
চলাটা
হল
সাপের
স্বভাব।
সাপ
পায়ে
ভর
দিয়ে
চলতে
পারে
না,
চলে
পেটে
ভর
দিয়ে।
মিথ্যা
ও
প্রতারণার
আশ্রয়
নেওয়াটা
মানুষের
জন্য
যতটা
লজ্জার
আর
কোনো
পাপ
এত
লজ্জার
কারণ
নয়।
মনটেইন
(Michel
Eyquem de Montaigne - ফরাসী
লেখক)
ভারি
চমৎকার
জবাব
দিয়েছিলেন
যখন
তার
কাছে
জানতে
চাওয়া
হয়েছিল
যে,
মিথ্যাকে
কেন
এত
বড়
লজ্জাজনক
ও
ঘৃণ্য
কাজ
বলে
মনে
করা
হয়।
তিনি
বলেছিলেন,
চুলচেরা
বিচারে
দেখা
যাবে
যে,
ঈশ্বরের
উদ্দেশে
যে
মিথ্যা
বলে
সে
দুঃসাহসী,
আর
মানুষের
উদ্দেশে
বললে
সে
কাপুরুষ,
কারণ
ঈশ্বরের
মুখোমুখি
হয়ে
সে
অন্যায়
করে
আর
মানুষের
কাছে
সত্য
লুকিয়ে
ছোট
হয়
( If
it be well weighed, to say that a man lieth, is as much to say, as that he is
brave towards God and a coward towards men)।
অবশ্যই
মিথ্যার
চাতুরি
ও
সত্যের
স্থলনের
জন্য
উত্তর-প্রজন্মের
মানুষের
ওপর
ঈশ্বরের
চূড়ান্ত
বিচার
নেমে
আসবে;
আর
ভবিষ্যদ্বাণী
তত
করাই
হয়েছে
যে,
যখন
মর্তে
ঈসার
(তার
উপর
শান্তি
বর্ষিত
হোক)
পুনরাগমন
ঘটবে
তখন
তিনি
বিশ্বাস
বলে
কোনো
কিছুর
অস্তিত্ব
খুঁজে
পাবেন
না (he [peace be upon him] shall not find
faith upon the earth)।
No comments:
Post a Comment