Total Pageviews

Monday, October 7, 2019

Of Revenge - Sir Francis Bacon - Translation in Bangla

Of Revenge - Sir Francis Bacon - Translation in Bangla 

Of Revenge - Sir Francis Bacon - Translation in Bangla 

প্রবন্ধ - প্রতিশোধ - প্রথম প্রকাশ - ১৬১২ সাল
প্রতিশোধগ্রহন হল এক প্রকার বর্বর ন্যায়বিচার (সমান বিচার) পদ্ধতি।  যদি মানুষ এর দ্বারা বেশি মাত্রায় পরিচালিত হয়, তাহলে সেখানে অধিকমাত্রায় আইন প্রয়োগ করে তার মূলোৎপাটন করার প্রয়োজন পড়ে। প্রথম ভুলটি হল, যদিও অন্যায় এর মাধ্যমে আইনের অবমাননা হয়; কিন্তু তার প্রতিকারের জন্যে প্রতিশোধ গ্রহণের অর্থ আইনকে তার নিজের জায়গায় না রাখা (আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া) বস্তুত প্রতিশোধ গ্রহণের মাধ্যমে একজন মানুষ নিজেকে অপরাধীর কাতারে শামিল করেন; কিন্তু সে অন্যায়কে উপেক্ষা করতে পারলে তিনি মহৎ হয়ে ওঠেন, কারণ ক্ষমা করা রাজার বৈশিষ্ট্য। রাজা সলোমনই (King Solomon) তো বলেছিলেন, কারো অপরাধকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখা মানুষের জন্য গৌরবের বিষয় (It is the glory of a man to pass by an offence) অতীতে যা ঘটেছে তা অপরিবর্তনীয়, তা আর ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়; এবং বর্তমান ভবিষ্যতে করবার জন্য জ্ঞানী লোকের অজস্র কাজ রয়েছে, তাই অতীত নিয়ে মাথা ঘামানোর অর্থ নিজেদের বাজে কাজে জড়িয়ে ছোট করা। অন্যায় করার জন্য লোকে অন্যায় করে না; বিশেষ কোনো লাভের আশায়, আনন্দ, কিংবা সম্মান বা ওই ধরনের কোনো প্রলোভনের কারণেই মানুষ অন্যায় করে। তাহলে সেই লোকটির ওপর আমি ক্ষিপ্ত হব কেন যে আমার থেকে তার নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখল? আর যদি কু-স্বভাবের কারণে কেউ অন্যায় করে থাকে তাকে মনে করতে হবে কাটা বা কাটাগুলোর মতো, যারা শুধু খুঁচিয়ে রক্তাক্ত করতে পারে, কারণ তাদের আর কিছু করার ক্ষমতা নেই। যে অন্যায়ের কোনো আইনি প্রতিকার নেই, শুধু সেই ক্ষেত্রে কোনোমতে প্রতিশোধ সমর্থন করা যেতে পারে; কিন্তু প্রতিশোধ গ্রহণকারীকে সতর্ক থাকতে হবে যাতে করে গৃহীত প্রতিশোধের কারণে তাকে আবার আইনের আওতায় পড়তে না হয় নইলে শত্রু যেখানে সাজা পাবে মাত্র একবার, সেখানে প্রতিশোধ গ্রহণকারীকে যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে দুইবারঅন্যায়কারীর আঘাত সয়ে আর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আইনি শাস্তি ভোগ করে। কেউ কেউ চায়, প্রতিশোধ নেওয়ার সময় অন্যায়কারী যেন তার পরিচয় জানতে পারে। এটা অধিক মহানুভবতার পরিচয় কারণ এদের কাছে আঘাত করে আনন্দলাভের ইচ্ছাটা বড় নয়, বরং এরা চায় অপরাধী অনুতপ্ত হোক। কিন্তু নীচ কাপুরুষ প্রতিশোধ গ্রহণকারী রাতের আঁধারে তার শর নিক্ষেপ করতে ভালোবাসে। ফ্লোরেন্সের ডিউক কসমস (Cosimo I de' Medici (12 June 1519 – 21 April 1574)) কুটিল দুরাচারী বন্ধু সম্পর্কে এমন চরম মন্তব্য করেছেন যেন ওগুলো ক্ষমার অযোগ্য: তিনি বলেছেন তুমি হয়তো জানবে যে, আমাদের স্বীকৃত শত্রুদের ক্ষমা করার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু একজন (ভণ্ড) বন্ধুকে ক্ষমা করতে বলা হয়নি (You shall read (saith he) that we are commanded to forgive our enemies; but you never read that we are commanded to forgive our friends) তবে জ্যাকব বরং ভালো কথা বলেছেন, ঈশ্বরের হাত থেকে কি শুধু ভালো জিনিসই গ্রহণ করবে, তার দেওয়া কষ্টগুলো (পরীক্ষা) গ্রহন করবে না? (Shall we (saith he) take good at God’s hands, and not be content to take evil also?) কথা বন্ধুদের বেলায়ও সমানভাবে প্রযোজ্য হওয়া উচিত। তবে এটা নিশ্চিত, যে ব্যক্তি প্রতিশোধ নিতে চায়, সে তার ঘা শুকাতে দেয় না, না হলে কবে সে ক্ষত শুকিয়ে নিরাময় হত।
জনতার প্রতিশোধ আবার বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সৌভাগ্যের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় যেমন, জুলিয়াস সিজার (Gaius Julius Caesar100-44 BC- রোমান শাসক), পার্টিন্যাক্স (Publius Helvius PertinaxAugustus - রোমান সম্রাট যিনি বিদ্রোহীদের হাতে প্রাণ দিয়েছিলেন), তৃতীয় হেনরি (Henry III - ফ্রান্সের রাজা, ১৫৮৯ সালে জ্যাক ক্লিমেন্ট নামে এক চরমপন্থী খ্রিস্টান ভিক্ষুর ছুরিতে প্রাণ হারান ) কিংবা আরো অনেকের হতাকাণ্ড। কিন্তু ব্যক্তিগত প্রতিশোধের ক্ষেত্রে তা হয় না। শুধু তাই নয় প্রতিশোধপরায়ণ ব্যক্তি একটি ডাইনির জীবন যাপন করে, যেহেতু তার অনিষ্টকর তাই তাদের জীবনের শেষ পরিণতিও চরম দুর্ভাগ্যজনক।


No comments:

Post a Comment