Discussion about Ancient Greek Language, Religion, Dress, History etc - প্রাচীন গ্রিক ভাষা, ইতিহাস, ধর্ম, স্থাপত্য, পরিচ্ছদ, শিক্ষা ও অন্যান্য
গ্রিক ভাষা ইন্দো – ইউরোপিয় ভাষা
পরিবারের একটি স্বাধীন ভাষা। এই ভাষাটিতে মূলত গ্রিস, সাইপ্রাস, পূর্ব ভূমধ্যসাগর
ও কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী লোকেরা কথা বলে থাকে। গ্রিক ভাষাকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা
যায়:
(১) প্রাচীন গ্রিক (২)হেলেনেস্টিক গ্রিক (৩) বাইজান্টাইন
গ্রিক এবং আধুনিক গ্রিক। প্রাচীন গ্রিসের
ভাষার সময় ১৪০০-৪০০ খ্রি.পূ., হেলেনেস্টিক
গ্রিক ভাষার কাল ৪০০ খ্রি.পূ. থেকে ৪০০
খ্রিষ্টাব্দ, বাইজান্টাইন গ্রিক ভাষার ব্যাপ্তি ৫০০ খ্রিষ্টাব্দ
থেকে ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দ অবধি।
খ্রি.পূ. অষ্টম শতকে হেলেনিক সভ্যতার বিকাশ ঘটে, গ্রিক সমাজজীবনে
নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায় এতে। হোমারের কাব্যে
মাইসেনীয় সভ্যতার শেষ যুগের কাহিনী চিত্রিত হয়েছে। হোমারের কাব্যে খ্রি.পূ. ১১০০
শতক হতে ৮০০ শতকের মাঝেকার কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। সেকালে গ্রিসের মানুষের ভূষণ ছিল খুবই সাধারণ মানের। পুরুষেরা শরীরে পরিধান করত নিমার মতো সিলকের পোশাক আর পায়ে পরত
স্যান্ডেল। আর রমণীরা সিলকের
দীর্ঘ পোশাক দ্বারা তাদের শরীর আবৃত করত, এবং শরীরের বিশেষ স্থানে সে
কাপড় কুঁচি দিয়ে পিন দ্বারা আটকে রাখত। তাদের পোশাক ছিল পায়ের পাতা অবধি। ধনী এবং অভিজাত রমণীরা নিজেদের নানাবিধ অলঙ্কারে ভূষিত করত। প্রাচীন গ্রিসে পাঠদানের জন্য কোনো বিদ্যালয় ছিল না। কিশোর বালকেরা শিখত কিছুটা সংখ্যাবিদ্যা আর সাধারণ বিষয়ে কিছুটা
পড়াশুনা। মেয়েরা ঘরে
বসেই নানা ঘরকন্নার কাজ আয়ত্ত করত। কোনো রমণীর
স্বাধীন কোনো মত প্রকাশের ক্ষমতা ছিল না প্রকাশ্যে। এটা ঘটলে তা মনে করা হত মহা শাস্তিযোগ্য অপরাধের একটি তার দ্বারা
সংঘটিত হয়েছে। আজকে আমরা গ্রিসের
যেসব অভিজাত রমণীর লেখা পাচ্ছি, সেগুলো প্রকাশ পেত বেনামে এবং সেসব পাণ্ডুলিপি
লুকিয়ে রাখা হত।
বহু দেবদেবীতে বিশ্বাস করত গ্রিক ধর্মাবলম্বী
লোকেরা। তাদের প্রধান দেবতা অলিম্পাস পর্বতবাসী
দেবরাজ জিউস। অন্য সব দেবদেবী
তাঁরই সন্তানসন্ততি এবং তাঁর আজ্ঞাবহ। গ্রিক শিল্প
সংস্কৃতির একটা বিশাল অংশজুড়ে আছে এইসব পৌরাণিক দেবদেবীর নানা কাহিনী। গ্রিকদের সে সময়ের স্থাপত্যগুলো ছিল বিশাল বিশাল স্তম্ভের উপর
দাড়ানো সব ইমারত। এসব ইমারত আবার
নানা ধাঁচে নানা রীতিতে তৈরি হত। প্রতিটি ইমারতেই
তৈরি করা হত বিশাল বিশাল স্তম্ভশীর্ষ। এসব স্তম্ভশীর্ষের
ছিল আবার নানা রীতি, যেমন, ডোরিয়ান, করিন্থিয়ান, আয়োনিক। ডোরিক রীতি
ছিল খুবই সাদামাটা। আয়োনিক রীতির
মাঝে গ্রিক ধ্রুপদী রীতির বিকাশ লক্ষ করা যায়। সে সময়ের দেবদেবীদের আরাধনাস্থান হিসেবে নির্মিত বিশাল মন্দিরগুলোতে
এসব স্থাপত্যরীতির বিকাশ লক্ষ করা যায়। খুবই বর্ণাঢ্য
আর উপভোগ্য গ্রিক ইতিহাস। হোমারের ইলিয়াড
মহাকাব্য ঘোষণা করছে ট্রয়যুদ্ধের। ১১০০ খ্রিষ্টপূর্ব
হতে গ্রিকরা মূল গ্রিস ভূখণ্ড থেকে এশিয়া মাইনরের সমুদ্র উপকূলে আসা শুরু করে। এর অনেক পূর্বে খ্রি.পূ. ত্রয়োদশ
শতক থেকেই তাদেরকে সমুদ্রযাত্রায় বেরিয়ে পড়তে দেখা যায়।
No comments:
Post a Comment