Characters of Iliad - Trojan Side |
Characters of Iliad - Trojan Side
চরিত্র পরিচয়: ট্রয়পক্ষ
প্যারিস: রাজা প্রায়াম ও রানী
হেকাবির পুত্র। ট্রয়ের যুবরাজ। আলেকজান্দ্রাস নামেও তিনি পরিচিত। রাজা প্রায়াম ও
রানী হেকুবার পুত্র। হেক্টরের ভাই। প্যারিস মেনেলাউসপত্মী জগৎ-বিখ্যাত সুন্দরী
হেলেনকে অপহরণ করে নিয়ে আসেন, যাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ট্রয়যুদ্ধ।
প্যারিসের মাঝে প্রচণ্ড স্বার্থপরতা আর অমানবিক দিক লক্ষ করা যায়। তিনি যুদ্ধে
শুধু তার ধনুক ব্যবহার করতেই জানেন; আইডা পর্বতে মেষ চরাতে
গিয়ে প্যারিস দেবী আফ্রোদিতিকে রূপসী হিসেবে রায় দিয়ে তার হাতে সোনার আপেল তুলে দিয়েছিলেন।তরবারি
ও বর্শা দ্বারা যুদ্ধ করা জানেন না। যুদ্ধবিদ্যায় তাঁকে প্রায় আনাড়ি বললেই চলে।
অন্য ট্রয়সেনারা যখন যুদ্ধক্ষেত্রে মরণপণ লড়াই করে প্রাণ দিচ্ছে তখন তাকে তার
নিভৃত কক্ষে হেলেনের সাথে প্রণয়লীলা করতে দেখা যায়।
হেকটরঃ রাজা প্রায়াম ও রানী হেকুবার
পুত্র। অ্যান্ড্রোমাকির স্বামী। ট্রোজান বাহিনীর প্রধান সেনাপতি। হোমারের বর্ণনা অনুযায়ী
হেকটর রাজা প্রায়ামের জ্যেষ্ঠ পুত্র। বিখ্যাত যোদ্ধা। হেকটর ইলিয়াড' মাহাকাব্যের
অন্যতম প্রধান চরিত্র।
অ্যান্ড্রোমাকি: হেক্টরের প্রিয়তমা
পত্নী। থিবির রাজা ইটিওনের কন্যা হেকটরের স্ত্রী এবং এস্টিয়ানস্কের মাতা। হোমার
তাঁকে পতিব্রতা স্ত্রী ও মমতাময়ী মাতা হিসেবে চিত্রিত করেছেন। অ্যান্ড্রোমাকি
হেক্টরকে ট্রয়যুদ্ধে যোগদান করতে নিষেধ করে বলেছিলেন, তোমাকে
গ্রিকরা হত্যা করবে, আমি বিধবা হব এবং তোমার পুত্র পিতৃহারা
হবে।
ইটিওন : অ্যান্ড্রোমাকির পিতা।
একিলিস কর্তৃক নিহত হন।
অ্যাসথাইনাক্স: হেক্টর ও
অ্যান্ড্রোমাকির শিশুপুত্র।
প্রায়াম : লাওমিডনের পুত্র। জিউস
পুত্র দার্দানুসের বংশধর। ট্রয়ের রাজা। ট্রয় ধ্বংস হওয়ার প্রাক্কালে তিনি একিলিস
পুত্রের হাতে নিহত হন।
হেকুবা: ট্রয়ের রানী, রাজা
প্রায়ামের স্ত্রী। অনেক পুত্রের জননী তিনি। তাঁর পুত্রদের মাঝে হেকটর, প্যারিস, হেলেনাস, ডিয়োফোবাস অন্যতম।
ক্যাসান্ড্রা: ট্রয়রাজ প্রায়াম ও
রানী হেকাবির কন্যা। প্যারিস ও হেকটরের বোন। ট্রয় ধ্বংস হওয়ার পর আগামেমনন তাঁকে
ধরে নিজের দেশে দিয়ে যান কিন্তু সেখানে তার স্ত্রী ক্লাইটেমনেস্টা কর্তৃক
ক্যাসান্ড্রা নিহত হন।
হেলেন: প্রাচীন গ্রিসের সবচাইতে
রূপসী নারী। হেলেন তাঁর স্বামী মেনেলাউসকে ত্যাগ করে প্যারিসের হাত ধরে ট্রয়ে
পালিয়ে আসেন। হেলেনের পালিয়ে আসাটাই কাল হল। ট্রয় ও গ্রিকদের মাঝে যুদ্ধের কালো
ছায়া প্রভাব ফেলল। ধ্বংস নেমে এল তাদের উপর।
ঈনিস: ট্রয়ের একজন অভিজাত অধিবাসী, দেবী
আফ্রোদিতির ও মর্ত্যমানব অ্যাংকাউসিজের পুত্র এবং সম্মানিত বীর যোদ্ধা। তাঁকে নিয়ে
ভার্জিল রচনা করেছেন ঈনিড মহাকাব্য। ট্রোজান বাহিনীর অধিনায়কত্বের দিক থেকে
হেকটরের পরেই তাঁর স্থান। একিলিসের কাছে দেয়া তার পরিচয় থেকে জানা যায়, তিনি হেকটরের তিন নম্বর চাচাতো ভাই। ভার্জিলের ‘ঈনিড’ মহাকাব্যের প্রধান নায়ক। ট্রয় নগরী ধ্বংস
হওয়ার পর ঈনিস কার্থেজ হয়ে ইতালি চলে যান এবং সেখানে রোমান সাম্রাজ্যের ভিত্তি
স্থাপন করেন।
পলিডেমাস: প্যানথোয়াসের পুত্র। তরুণ
ট্রয় সেনানায়ক। পলিডেমাস সর্বদা উচ্চস্বরে ট্রয় বাহিনীকে উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা
জুগিয়েছেন। ট্রোজান দলনায়কদের অন্যতম একজন। তিনি ছিলেন একজন কৌশলী ও চিন্তাশীল যুদ্ধবিশারদ।
হেকটরের কর্মে বাধা প্রদান করার জন্য হোমার তাকে ব্যবহার করেছেন।
গ্নকাসঃ শক্তিশালী ট্রয় যোদ্ধা।
গ্নকাস ডায়োমিডাসের সাথে মুখমুখি যুদ্ধে রত হয়েছেন যুদ্ধের ময়দানে।
এজিনরঃ উল্লেখযোগ্য ট্রয় যোদ্ধা, যিনি
একিলিসের সাথে যুদ্ধের উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ডোলনঃ ইউমেডেসের পুত্র। ধনাঢ্য
ট্রোজান যুবা, অশ্ববিলাসী। ট্রোজানরা একেই গ্রিক শিবিরে গুপ্তচর হিসেবে
প্রেরণ করে।
প্যান্ডোরাস: লাইকাওনের পুত্র।
লাইসিয়াম সেনানায়ক কিন্তু বিশ্বাসঘাতক। ট্রয় বাহিনীর ধনুক যোদ্ধা, যিনি
তীর ছুঁড়ে মেনেলাউসকে আহত করেন।
এন্টিনর: ট্রয়ের একজন অভিজাত ব্যক্তি, রাজা
প্রায়ামের পরামর্শদাতা এবং বহু বীর যোদ্ধার পিতা ও ট্রোজান দলপতি। যিনি তাঁর
দেশবাসীকে হেলেনকে ত্যাগ করার পরমর্শ প্রদান করেছিলেন। এন্টিনর প্রস্তাব করেছিলেন,
হেলেনকে তাঁর স্বামীর হাতে ফিরিয়ে দিলে ট্রয়যুদ্ধ থেমে যাবে কিন্তু
প্যারিস তার এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। পরবর্তীতে তিনি বিশ্বাসঘাতকতা করেন।
ট্রয় ধ্বংস হলেও গ্রিকরা তাকে হত্যা করেনি।
সার্পেডন : দেবরাজ জিউসের পুত্র।
লাইসিয়াম দলের অধিনায়ক ট্রয় যোদ্ধা।
হেলেনাস : রাজা প্রায়াম ও রানী
হেকাবির পুত্র। তিনি ও তার বোন ক্যাসান্ড্রার মতো ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারতেন।
ক্রাইসেইসঃ ট্রয়ের নিকটবর্তী
অ্যাপোলোর মন্দিরের পুরোহিত ক্রাইসেসের কন্যা, যাকে আগামেমনন বন্দী
করেছিলেন। একিলিস তাকে থিব থেকে ধরে আনেন। তিনি আগামেমননের ভাগে পড়েন। কিন্তু
আগামেমনন তাঁকে তাঁর পিতার কাছে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন।
ব্রিসেইস: লির্নেসাসের ব্রিসেসের
কন্যা। যুদ্ধ শেষে এই বন্দিনী নারীকে একিলিসকে উপহার প্রদান করা হয়। কিন্তু
আগামেমনন যখন অ্যাপোলোর প্রভাবে ক্রাইসেইসকে ফেরত দিতে বাধ্য হন, তখন
তিনি একিলিসের শিবির হতে ব্রিসেইসকে ছিনিয়ে নেন। যার কারণে একিলিসের মাঝে জেগে ওঠে
ক্রোধের আগুন এবং তিনি যুদ্ধ হতে দূরে অবস্থান করতে থাকেন। আগামেমনন বিসেইসকে অন্যায়ভাবে
একিলিসের কাছ থেকে নিয়ে গেলে একিলিস প্রতিজ্ঞা করেন যে, আগামেমনন
এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা না করলে তিনি ট্রয়যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন না। একিলিসের এই
ক্রোধের বর্ণনা দিয়েই ইলিয়াড মহাকাব্যের শুরু।
ক্রাইসেস: দেবতা অ্যাপোলোর অন্যতম
পুরোহিত। তাঁর কন্যা ক্রাইসেইস অপহৃত হলে তিনি দেবতা অ্যাপোলোর শরণ নেন। দেবতা
অ্যাপোলো ক্রুদ্ধ হন গ্রিক বাহিনীর উপর। তিনি গ্রিক শিবিরে ছড়িয়ে দেন মহামারি রোগ।
শেষে গ্রিক সেনাপতি আগামেমনন বাধ্য হন ক্রাইসেস কন্যা ক্রাইসেইসকে ফিরিতে দিতে।
আইডেউস : রাজা প্রায়ামের অন্যতম
ঘোষক।
আইলাস : রাজা প্রায়ামের পিতামহ।
No comments:
Post a Comment