Character Analysis - Odysseus - Homer's Iliad Bangla |
Character Analysis - Odysseus - Homer's Iliad Bangla
অডিসিয়াস(Odysseus) ল্যাটিন ভাষায়
যিনি
ইউলিসিস
(Ulysses) নামেও পরিচিত।
তিনি
ছিলেন
ইথাকার
(Ithaca) রাজা। পিতা
লেয়ার্তেস
(Laërtes) ও মাতা
অ্যান্টিক্লিয়া(Anticlea)।
তাঁর
স্ত্রী
রানী
পেনিলোপ
(Penelope) ও সন্তান
টেলেমেকাস
(Telemachus) ও একুসাইলস
(Acusilaus)।
গ্রিকপক্ষের
সুদক্ষ
ও
সুচতুর
সেনানায়ক।
একজন
জ্ঞানী
পরামর্শদাতা।
অডিসিয়াসের
বুদ্ধিতেই
গ্রীকরা
ট্রোজানদের
দুর্ভেদ্য
শহরে
প্রবেশ
করতে
পারে
(ঘটনাটি
শেষে
উল্লেখ
করা
হয়েছে)।
আগামেমনন
ও
একিলিসের
মাঝে
বিবাদের
মীমাংসা
করতে
তিনি
যথাসাধ্য
প্রচেষ্টা
চালান।
হোমার
তাঁর
ইলিয়াড
মহাকাব্যে
অডিসিয়াসকে
একিলিস
ও
আগামেমননের
চাইতে
অধিক
যোগ্যতাসম্পন্ন
ও
বুদ্ধিমান
হিসেবে
চিত্রিত
করেছেন।
তাকে
যথেষ্ট
কর্মদক্ষতার
পরিচয়
প্রদান
করতে
দেখা
যায়।
হোমার
অডিসিয়াসকে
একজন
ধীর
স্থির
ব্যক্তিত্ব,
সুযোগ্য
বীর
এবং
উত্তম
পরামর্শদাতা
হিসেবে
চিত্রিত
করেছেন।
ইলিয়াড
মহাকাব্যে
দেখা
যায়,
অডিসিয়াস
রাজা
আগামেমননের
চাইতেও
দক্ষ
প্রশাসক।
রাজকীয়,
সকল
গুণই
তার
মাঝে
বিদ্যমান।
তিনি
মানবিক
গুণসম্পন্ন
একজন
সফল
ব্যক্তি।
উদাহরণ
হিসেবে
উল্লেখ
করা
যায়,
যখন
অডিসিয়াস
একিলিসের
কাছে
দূত
প্রেরণ
করেন
তখন
একিলিস
দূত
মারফত
পাঠানো
বিষয়গুলো
প্রত্যাখ্যান
করেন।
এজন্য
অডিসিয়াস
তার
সাথে
কোনোরূপ
বাকবিতণ্ডায়
রত
হননি।
তিনি
জানতেন,
একিলিসের
সাথে
এবিষয়ে
বিতর্ক
করা
একেবারেই
বৃথা।
কারণ
একিলিসের
মাঝে
আছে
প্রচণ্ড
একগুঁয়েমি।
একিলিসের
সহকর্মী
প্যাট্রোক্লাসের
মৃত্যুতে
একিলিস
যখন
ক্ষিপ্ত
হয়ে
গ্রিক
যোদ্ধাদের
যুদ্ধের
ময়দানে
যেতে
বলেন
আহার
এবং
বিশ্রাম
না
করেই
তখন
অডিসিয়াস
সেটাকে
শান্তভাবে
গ্রহণ
করেন
এবং
গ্রিক
সেনাদের
আহার
এবং
বিশ্রামের
জন্য
সময়
দেয়ার
বিষয়টি
বিবেচনা
করেন।
ইলিয়াড
মহাকাব্যে
অডিসিয়াস
চরিত্রটি
ধীর
স্থির
এবং
বিবেকবান
একজন
সেনানায়ক
হিসেবে
উজ্জ্বল।
হোমার
তাকে
সত্যিকার
একজন
বীর
হিসেবে
অর্থাৎ
একজন
বীরের
যতগুলি
গুণ
থাকা
প্রয়োজন
সবই
আরোপ
করেছেন।
মোট
কথা,
পুরো
ইলিয়াড
মহাকাব্যে
ধীর,
প্রজ্ঞা,
সততা, ন্যায়নিষ্ঠা এবং
সঠিক
সময়ে
সঠিক
বিষয়টি
উপস্থাপন
করার
ক্ষেত্রে
অডিসিয়াসের
মতো
সৎসাহসী
একজন
আত্মার
পরিচয়
মেলে।
যাই
হোক
ট্রোজানদের
সাথে
যুদ্ধ
প্রায়
৯
বছর
চলার
যখন
আর
হেক্টর
বা
অ্যাকিলিসের
মত
বড়
বড়
বীরদের
মৃত্যুতে
যুদ্ধ
তখন
স্থবির
হয়ে
এসেছে,
তখন
সে
ট্রোজানদের
দুর্ভেদ্য
শহরে
প্রবেশের
একটা
পরিকল্পনা
আটলেন।
তাঁর
পরিকল্পনা
অনুযায়ী
গ্রীকরা
একটা
কাঠের
তৈরী
বিশাল
ঘোড়া
তৈরী
করে
যার
ভিতরে
পুরোটাই
ছিল
ফাপা।
অডিসিয়াস
ও
আরো
বেশ
কিছু
সৈন্য
সেখানে
আশ্রয়
নেয়।
বাকি
গ্রীক
সেনারা
তাদের
সেনা
ছাউনীর
সকল
কিছু
পুড়িয়ে
ফেলে
কাছেই
একটা
দ্বীপের
পিছনে
অপেক্ষা
করে।
পরের
দিন
সকালে
ট্রোজানরা
তাদের
দেয়ালের
উপর
থেকে
দেখতে
পায়
বিশাল
ও
অদ্ভুত
একটা
ঘোড়া
সেখানে
দাঁড়িয়ে
আছে।
সাইনন
নামক
একজন
সৈন্য
সেখানে
একা
অপেক্ষা
করছে। তারা
সাইননকে
বন্দি
করে।
তাঁর
কাছে
জানতে
পারে,
গ্রীকরা
প্যালাডিয়ামে
চুরির
কারনে
অ্যাথেনার
ক্রোধের
শিকার
হয়েছে।
তারা
অ্যাথেনার
প্রতি
উৎসর্গ
করার
জন্যে
সাইননকে
রেখে
গিয়েছে।
আর
এই
বিশাল
ঘোড়াটা
অ্যাথেনার
রাগকে
প্রশমিত
করার
জন্যে
তৈরী
করেছে।
সাইনন
তাদেরকে
আরো
জানায়
যে
গ্রীকদের
পরিকল্পনা
হল
ট্রোজানরা
হয়তো
গ্রীকদের
তৈরী
এই
ঘোড়া
পেলে,
ভেঙ্গে
ফেলবে।
এতে
করে
উল্টো
তারাই
অ্যাথেনার
ক্রোধের
শিকার
হবে।
অডিসিয়াসের
শিখিয়ে
দেয়া
সাইননের
এই
গল্প
ট্রোজানরা
সহজেই
বিশ্বাস
করল।
তারা
বেশ
সম্মানের
সাথেই
এই
ঘোড়াটিকে
তাদের
শহরে
নিয়ে
গেল।
সে
রাতেই
অডিসিয়াস
তাঁর
ক্ষুদ্র
বাহিনী
নিয়ে
বেরিয়ে
এলো।
তাদের
দরজার
প্রহরীকে
হত্যা
করে।
একই
সময়ে
গ্রীকদের
জাহাজও
ফিরে
আসে।
পুরো
শহরের
সকল
বাড়িঘর
লুট
করে
শেষে
তারা
জালিয়ে
দেয়।
বেশিরভাগ
পুরুষকে
তারা
হত্যা
করে।
কেবলমাত্র
ইনিয়াস
ছোট্ট
একদল
লোক
নিয়ে
পালিয়ে
যেতে
সমর্থ
হয়।
দীর্ঘ
১০
বছরের
মাথায়
ট্রয়
জয়ের
পর
অডিসিয়াস
নিজ
দেশ
ইথাকার
দিকে
রওয়ানা
দেন।
বিভিন্ন
ঘটনার
কারনে
ইথাকায়
তাঁর
স্ত্রী
পূত্রের
কাছে
ফিরতে
তাঁর
আরো
প্রায়
১০
বছর
লেগে
যায়।
এই
দশ
বছরের
কাহিনী
হোমার
তাঁর
অডিসি
মহাকাব্যে
বর্ণনা
করেন।
No comments:
Post a Comment