Absalom and Achitophel - John Dryden - Summary and Analysis and in Bangla |
Absalom and Achitophel - John Dryden -
Summary and Analysis and in Bangla
সূচনাঃ “অ্যাবসালোম এন্ড অ্যাকিতোফেল” হল জন ড্রাইডেনের একটি বিখ্যাত ব্যঙ্গকাব্য,
যা ১৬৮১ সালে বেনামে প্রথমবার প্রকাশ করা হয়েছিল। মহাকাব্যের (heroic couplet) ভঙ্গিতে লেখা এই কাব্যগ্রন্থটি এখন পর্যন্ত
পৃথিবীতে সবচেয়ে সেরা রাজনৈতিক ব্যঙ্গ-কাব্য হিসেবে পরিগণিত হয়। এটাই ইংরেজি
ভাষায় লিখিত প্রথম রাজনৈতিক ব্যঙ্গকাব্য। বাইবেল থেকে রাজা ডেভিড ও অ্যাবসালোম
এর গল্প বর্ণনা করে হয়েছে। অ্যাবসালোম
রাজা ডেভিডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন।
সংক্ষিপ্ত পটভূমিঃ এই ব্যঙ্গকাব্যটি আসলে একটি রুপক যার মাধ্যমে সে
সময়ের ইংল্যান্ডের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বর্ণনা করা হয়েছে। জন ড্রাইডেন সে সময় রাজা
চার্লস ২য় এর দরবারে সভাকবি ছিলেন। হুইগদের নেতৃত্বে থাকা আর্ল অফ শ্যাফটবারীকে
ঠেকানোর জন্যেই রাজা তার সভাকবি জন ড্রাইডেনকে এই কাব্যটি লিখতে অনুরোধ করেছিলেন।
সভাকবি হিসেবে রাজাকে সাহায্য করাটা জন ড্রাইডেনের প্রধান দায়িত্ব। রাজার কোন বৈধ সন্তান ছিল না। তাই তিনি তার ভাই
জনাব জেমসকে সিংহাসনে বসার জন্যে মনোনীত করে যান। জেমস (ডিউক অভ ইয়র্ক) ছিলেন একজন ক্যাথলিক আর তাই ইংল্যান্ডের জনগণ
তাকে মেনে নেয়নি। আর্ল অভ শাফটবারীর নেতৃত্বে হুইগরা খুব জোড়ালোভাবে জেমসের
বিরোধিতা করছিল। তারা ডিউক অভ মনমাউথকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু সে ছিল রাজার অবৈধ
সন্তান। রাজা চার্লস ২য় এর সম্পূর্ণ বিরুদ্ধে ছিলেন কারণ এটা আইনগতভাবে সঠিক নয়। তাই
জন ড্রাইডেন রাজার প্রতিপক্ষকে কাব্যিকভাবে ঘায়েল করার লক্ষে এই ব্যাঙ্গকাব্যটি
রচনা করেছিলেন।
মূল ঘটনাঃ
[সতর্কীকরনঃ বাইবেলে রাজা ডেভিড হল ইসলাম ধর্মের নবী দাউদ (আঃ)। বাইবেলে তার ব্যাপারে উল্লেখিত ঘটনাটি যা এই কাব্যের প্রধান উপজীব্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ্য মিথ্যাচার গুলোর একটি। আরো ভালোভাবে জানতে আল কুরআনের সুরা সাদ এর ২৬ নং আয়াতের অর্থের ২৮ নং টিকা দেখুন]
[সতর্কীকরনঃ বাইবেলে রাজা ডেভিড হল ইসলাম ধর্মের নবী দাউদ (আঃ)। বাইবেলে তার ব্যাপারে উল্লেখিত ঘটনাটি যা এই কাব্যের প্রধান উপজীব্য, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ্য মিথ্যাচার গুলোর একটি। আরো ভালোভাবে জানতে আল কুরআনের সুরা সাদ এর ২৬ নং আয়াতের অর্থের ২৮ নং টিকা দেখুন]
রাজা ডেভিড(২য় চার্লস) ছিলেন ইসরায়েলের(ইংল্যান্ড) একজন সফল রাজা যার
সবচেয়ে প্রিয় জিনিস ছিল নারী। তার ছিল এক বিশাল সংখ্যক রক্ষিতা নারী যাদের মাধ্যমে
তিনি অনেক অবৈধ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। যাদের মাঝে অ্যাবসালোম (ডিউক অব মনমাউথ)
ছিল তার সবচেয়ে প্রিয়। সে ছিলেন সুন্দর এক যুবক, জনগনের কাছেও সে ছিল খুব বিখ্যাত। এছাড়া
সে একজন অনেক বড় যোদ্ধাও ছিল এবং বিদেশে বিভিন্ন যুদ্ধে নিজেকে সে প্রমান করেছিল।
রাজা তার এই সন্তানকে অনেক বেশি প্রশ্রয় দিতেন এবং তার দূর্বলতা গুলো খেয়াল করতেন
না।
রাজ্যের ইহুদীরা ছিল খুব শক্তিশালী ও অস্থির-চঞ্চল প্রকৃতির। তারা
রাজা ডেভিডকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলো না। তারা আরো অধিকার ও সুযোগ সুবিধা চাচ্ছিল।
তারা মনে করত যেহেতু তারা রাজা ডেভিডকে ক্ষমতায় বসিয়েছে, তাই তাকে ক্ষমতা থেকে
সরিয়ে দেয়ার এখতিয়ারও তারা রাখে। দেশের অধিকাংশ জনগন ছিলে শান্তিকামী এবং তারা
গৃহযুদ্ধ বিপক্ষে।
রাজা ডেভিড ছিলেন তার প্রজাদের প্রতি অত্যন্ত নরম ও দয়ালু। এই কারনে
বিদ্রোহীরা একটি ষড়যন্ত্র করে যা ‘পপিশ প্লট’ নামেও পরিচিত।
ক্যাথলিকরা (ইসরাইল রাজ্যে – জেবুসাইটস-রা) বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় জর্জরিত
ছিল। তারা তাদের জমি থেকেও বঞ্চিত ছিল আবার তাদের কর দ্বিগুণ করে দেয়া হয়েছিল। এসময়
পরিস্থিতি তাদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল। এমনকি তারা সাধারন ইংরেজ জনগনকে
রোমান ক্যাথলিকে রুপান্তর করার চেষ্ঠা করে যাচ্ছিল। তখন বলাবলি হতে লাগলো রোমান
ক্যাথলিকরা, রাজা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতাকে হত্যার মাধ্যমে
পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়ার ষড়যন্ত করছে। এটাই
পপিশ প্লট নামে পরিচিত। কিন্তু ক্যাথলিকরা এটা অস্বীকার করে। যাই হোক কোরাহ (টিটাস
ওটিস) ও তার বন্ধুরা একবার শপথ করে এই ষড়যন্ত্রের স্বীকৃতি দেয়, যদিও এটা বাস্তবে
প্রয়োগ করা হয়নি। এভাবেই সাধারন জনগন সরকারের বিরুদ্ধে চলে যায়।]
ইসরায়েল রাজ্যে (ইংল্যান্ডে) এই সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীদের নেতাদের মাঝে
সবচেয়ে প্রভাবশালী ছিলেন অ্যাকিতোফেল (এনথনি অ্যাশলে কুপার - আর্ল অফ শ্যাফটবারী)।
সে খুবই কুটিল চক্রান্তকারী এবং বিপদ ভালোবাসে। রাজনীতিবিদ হিসেবে সে ছিল খুবই
চতুর এবং অসাধু। কিন্তু বিচারক হিসেবে সে খুব সৎ ও যোগ্যতাসম্পন্ন। রাজার বিরূদ্ধে
বিদ্রোহ করার জন্যে পপিশ প্লটের সুযোগ সে নেয়। এক সময় সে জনগনের অধিকার আদায়ের
জন্যে একদিকে সে জনদরদী রাজনৈতিক নেতা ও অন্যদিকে রাজার শত্রুতে পরিণত হয়।
অ্যাকিতোফেল একজন ভালো রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত হতে চায়। সে তার পরিকল্পনা
বাস্তবায়ন করার জন্যে অ্যাবসালোমকে ( ডিউক অভ মনমাউথ) ভালো একটি অস্ত্র হিসেবে
খুজে পায়। অ্যাকিতোফেল ভাবে যে, হতে পারে অ্যাবসালোম রাজার একজন অবৈধ সন্তান।
রাজার সিংহাসনের একজন উত্তরাধিকার হিসেবে তার ভিতরের উচ্চাকাঙ্ক্ষাকে জাগিয়ে তোলা
যাবে আর এর মাধ্যমে সে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারবে। তাই সে তাকে তার সাথে
বিদ্রোহে যোগদানের আমন্ত্রণ জানায়। অ্যাবসালোমের সাথে যোগাযোগ করে তার পরিকল্পনার
পক্ষে অনেকগুলো যুক্তি দেখায়। তার প্রথম যুক্তি ছিল যে, সাধারন জনগনের কাছে
অ্যাবসালোম খুব বিখ্যাত আর জনগনও তাদের রক্ষাকর্তা হিসেবে তাকেই দাবি করছে। তার ২য়
যুক্তি ছিল এখন রাজার জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে। এই সুযোগটা যদি অ্যাবসালোম কাজে
লাগায়, দিনশেষে সেই সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হবে। তৃতীয় যুক্তিটি হল, তার রাজাকে ভয়
করা উচিত নয় কারণ রাজা এখন বৃদ্ধ ও দূর্বল। এছাড়াও সে যদি এই মুহূর্তে জনগনের
রক্ষক হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে, তখন সবাই তার দলেই যোগদান করবে। সর্বোপরি তার
শরীরে রাজকীয় রক্ত বইছে, তাই সেই হতে পারে রাজার সবচেয়ে যোগ্যতম উত্তরসূরি।
অ্যাবসালোম তখন অ্যাকিতোফেলের যুক্তিগুলো শুনে বেশ মুগ্ধ হল। কিন্তু
সে তথাপিও এই ব্যাপারে সে পরিপুর্ণভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারলো না। এই ক্ষেত্রে তার
প্রথম যুক্তি হল, সে তার বাবার সাথে যুদ্ধ করতে ইচ্ছুক ছিল না কারণ তার বাবা ছিল
একেবারেই বৃদ্ধ ও দূর্বল। দ্বিতীয়ত তারা বাবা তাকে খুব ভালোবাসত, তাই সে তার
ভালোবাসার সুযোগ নিতে চাচ্ছিলো না। এছাড়া রাজার ভাই (জেমস - ডিউক অভ ইয়র্ক), যাকে
রাজা নিজেই তার সিংহাসনের উত্তরাধিকারী বলে মনোনিত করেছেন, তিনি ছিলেন একজন সক্ষম,
যোগ্য ও সুন্দর মনের মানুষ। যদিও অ্যাবসালোম রাজা হতে চায়, কিন্তু সে অবৈধ সন্তান
হওয়ার কারনে সে কখনোই সিংহাসন হাসিল করতে পারবে না।
অ্যাকিতোফেল তার মধ্যকার দ্বিধা খেয়াল করলেন। তাকে নিজের দিকে আনার
জন্যে আরো যুক্তি দিয়ে বুঝালো। যেমন, সে বলেছিল, রাজার কোমলতা আসলে এক ধরনের
দুর্বলতা। জনগন আসলে এইরকম দূর্বল লোকের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। এমনকি সে যা চায়
তার সংসদই তাকে দিতে পারছে না। এছাড়া তার বন্ধুরাও খুব একটা নির্ভরযোগ্য নয় এবং
বিপদের মুহুর্তে তাকে রেখে চলে যেতে পারে। রাজার ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার সকল ধরনের
ক্ষমতা জনগনের আছে। জনকল্যানের স্বার্থেই উত্তরাধিকার আইন (সিংহাসনের) আইন
পরিবর্তন হতে পারে। অ্যাকিতোফেল এটাও মনে করেন, রাজা অ্যাবসালোমকে ভালোবাসেন না,
যদি বাসতেন তাহলে তাকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার মনোনিত করে যেতেন। এখন সে গণঅভ্যুত্থানের
ঝান্ডা নিয়ে জনগণকে জানাতে পারে যে, রাজার জীবন হুমকির মুখে এবং সে তাকে ইহুদিদের
(রোমান ক্যাথলিকদের) হাত থেকে রক্ষা করতে চায়। সম্ভবত রাজা এই গণঅভ্যুত্থানকে
স্বাগতম জানাবে যেহেতু সে তার নিজের সিংহাসন নিয়ে ভীত। এতে অ্যাকিতোফেলের মাধ্যমে
অ্যাবসালোমের জয় হয়। রাজার বিরুদ্ধে সব মানুষকে একত্রিত করবে বলে অ্যাকিতোফেল তাকে
ওয়াদা দিল। রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহে তারা তাকে সাহায্য করবে।
রাজার বিপক্ষ দলের লোকেদের মাঝে একজন ছিল জিমরি (ডিউক অভ বাকিংহাম)।
সে ছিল বিশাল বড় একজন চক্রান্তকারী এবং পুরোপুরিভাবে অবিশ্বাসী ও চঞ্চলমতি স্বভাবের।
যখন সে রাজ দরবার থেকে বের হল সে রাজার বিরুদ্ধে দল পাকানোর চেষ্ঠা করল কিন্তু সে
সফল হয়নি। পরে সে রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার একটি সুযোগ গ্রহন করেছিল।
রাজার বিরুদ্ধবাদীদের মাঝে আর একজন ছিল শিমেই (লিগসবি বেথেল – শেরিফ অভ লন্ডন)। সে ছিল খুব কৃপন এবং তার
চাকরদের সে খুব ক্ষুধার্ত রাখত। বিভিন্ন রকম জোচ্চুরি ও প্রতারণার মাধ্যমে সে অনেক
টাকা ও সম্পদ জমিয়েছিল। তার সক্ষমতার আলোকে রাজার শত্রুদের বিরুদ্ধে সে কোন
ব্যাবস্থা নেয়নি অথচ সে যখন অফিসে থাকত সে এক গৌরবময় সময় কাটাতো।
এদের মাঝে সবচেয়ে দুষ্ট ও শঠ ছিল কোরাহ (টিটাস ওটিস) নামের একজন
তাঁতির সন্তান। পপিশ প্লটের আবিষ্কারক হল এই কোরাহ এবং শপথ পড়ার মাধ্যমে এটা সে
নিশ্চিত করে। বলা হয়ে থাকে যে সে ম্যাজিস্ট্রেটকে হত্যা করেছে কারণ তাকে সে
বিশ্বাস করত না।
অ্যাবসালোম রাজার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের প্রস্তুতি নিতে রাজপ্রাসাদ থেকে
বের হয়ে এলেন। তার পক্ষে সমর্থন জোগানোর জন্যে সারা দেশ ভ্রমন করল। জনগণকে সে বলল,
তাদের দূঃখ কষ্টে সেও সমব্যাথি কিন্তু সে তাদেরকে সাহায্য করতে পারবে না কারণ সে
তার বাবার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে চায় না। সে তাদের কাছে গিয়ে চোখের পানি ঝড়ালো
কারণ কাউকে সান্তনা দিতে এটা খুবই কার্যকরী। জনগন তাকে সাহায্য করবে বলে আশ্বস্থ করে ও তাকে
তাদের ত্রানকর্তা উপাধি দেয়। অ্যাকিতফেল এবং অ্যাবসালোমের এই ভ্রমনটি ছিল রাজার
বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষনার পূর্বে, তাদের নিজেদের শক্তি যাচাই করে দেখা।
রাজার বিরুদ্ধবাদী দলের বিশ্বাসযোগ্য যুক্তিতে ইসরাইলের জনগন ভুল পথে
পরিচালিত হল। তাদের যুক্তি(কু-যুক্তি) ছিল, ক্ষমতা আসলে জনগণের কাছেই থাকা উচিত আর
জনগণই সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী। আর রাজারা হল এই ক্ষমতার রক্ষক ও জনগণের ভালোর
জন্যে তারা এটা প্রয়োগ করতে পারবে। আর এই ক্ষমতার অপব্যবহার হলে জনগনের অধিকার আছে
এই ক্ষমতা নিয়ে নেয়া। কিন্তু পূর্বের সাধারন জনগণ এটা বুঝতেই পারেনি যে, একবার
তাদের পূর্বপুরুষরা এই ক্ষমতা রাজাকে দিয়ে দিলে, তাদের পরবর্তী স্থলাভিষিক্তরা এই
ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে পারবে না। তারা আরো যুক্তি (শয়তানি যুক্তি) দিল যে, মানুষ
তাদের পিতা আদমের ভুলের কারনে পৃথিবীতে কষ্ট করছে। জনগণকে অবশ্যই দুর্ভোগ পোহাতে
হবে তাদের পূর্বপুরুষদের কারনে যারা তাদের ক্ষমতা তাদের রাজার হাতে তুলে দিয়েছিল। এখন জনগণের ইচ্ছাতেই এই চুক্তির (রাজার হাতে
পূর্বপুরুষদের ক্ষমতাসোপর্দকরন) পরিবর্তন হতে পারে না। (যুক্তির ঘোড়া চলছে)
পাশাপাশি আর একটি প্রশ্ন হল, জনগণ কিভাবে বিচার করবে রাজা যা করছে তা ভাল না
খারাপ!
অগভীর চিন্তার অধিকারী জনগণ তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করে। যদি
জনগন তাদের অধিকার দাবি করে বিদ্রোহ করে এবং রাজাকে সরিয়ে দেয় তবে সভ্য ও
স্বাভাবিক জীবন যাপন অসম্ভব হয়ে যায়। তবে একটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার চেয়ে একজন
খারাপ রাজার অধিনে থাকা অধিকতর ভালো। যাই হোক ইসরায়েলী জনগণ অ্যাকিতোফেলের কথায়
ভুল পথে পরিচালিত হয় এবং তাকে সব ধরনের সাহায্য করল।
এই বিদ্রোহ/গণঅভ্যুত্থান এতটাই জনপ্রিয় হয়ে গেলো যে রাজার অল্প
কয়েকজন বন্ধুই পাশে রইল। রাজার
সমর্থকদের মাঝে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তি ছিল বার্জেলাই (ডিউক অভ অরমন্ড)। সে
রাজার পাশে ছিল বিপদ ও ভাল উভয় সময়েই ছিল। এমনকি রাজার সাথে তাকেও নির্বাসনে যেতে
হল। সে ছিল যোদ্ধা এবং কবিদের পৃষ্ঠপোষক। বার্জিলাই এর পুত্র ছিল অ্যাড্রিয়েল(জন
শেফিল্ড – আর্ল অফ মালগ্রেভ) সেও তার জীবনের স্বর্ণসময়ে
নিহত হয়। সে ছিল একজন যোদ্ধা এবং বিশ্বস্থতার সাথেই দেশের সেবা করেছে। এরপরের
রাজার গুরুত্বপূর্ন সঙ্গী ছিল জ্যাডক (স্যানক্রফট – আর্চবিশপ অভ ক্যান্টারবারী) – একজন কোমল ও নরম ব্যাক্তি। রাজার বিশ্বস্থ
লোকের তালিকায় এর পরে যিনি আছেন তিনি হলেন স্যাগান অভ জেরুজালেম (বিশপ অভ লন্ডন)
যে তার দয়া এবং আতিথেয়তার কারনে বিখ্যাত। এরপরে তালিকায় আছে ওয়েস্টার্ন ডোম (জন
ডলবেন – ডিন অভ ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে)। এছাড়াও আরো অনেকেই এগিয়ে আসছিল এবং রাজা তার
বিপদের মুহূর্তে তাকে সাহায্য করে ছিল। এর
পাশাপাশি রাজার সমর্থকেরা তাকে পরামর্শ দিয়েছিল তার আরো শক্ত হওয়া উচিত এবং তাদের
বিরুদ্ধে মজবুত পদক্ষেপে নেয়া উচিত। যদি সে কোন দূর্বলতা দেখায়, তাহলে বিষয়টা তার
ক্ষমতার বাহিরে চলে যাবে।
রাজা ডেভিড (চার্লস ২য়) সেদিন তার শুভাকাঙ্খীদের প্রতি খুব খুশি
হয়েছিলেন এবং খুব শক্তিশালী ভাষন প্রদান করেছিলেন। তিনি সেদিন বলেন, তার প্রজাদের
সাথে তিনি তেমন আচরনই করেন যেমন একজন বাবা তার সন্তানদের সাথে করেন। তার নম্র
আচরণকে তার দূর্বলতা হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তিনি তার অধিকার সম্পর্কে ভালই
জানেন। পার্লামেন্ট তাকে রেখে কাউকে পার্লামেন্টের উত্তরাধিকার করতে পারবে না। তার
বন্ধুদেরকে রাজদরবাদ থেকে যে সরিয়ে ফেলার দাবি উঠেছে (এক্সক্লুশন বিল) সেটার সাথেও
তিনি একমত নন। তিনি এখন একজন রাজার মতই শাসন করবেন। যেহেতু জনগন আইন এর শাসন চায়,
তাই তিনি তাদের সাথে আইন অনুযায়ী চলবেন। তার প্রজাদের অবশ্যই তার আনুগত্য করতে
হবে। বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে তার বিজয় সুনিশ্চিত কারণ, সাধারন জনগনের উৎসাহে শীঘ্রই
ভাটা পড়বে। তিনি বিদ্রোহীদের সাথে তার নিজের সুবিধা
অনুযায়ী যোগাযোগ করবেন এবং তাদেরকে দমন করবেন। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর তার কথা শুনছেন
এবং আশীর্বাদ করছেন। এভাবেই দেশে আইন ও শৃঙ্খলা ফিরে আসল এবং রাজার শাসন
প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
আরো ভালোভাবে বুঝতে হলে পড়ুনঃ
১। ড্রাইডেনের সাহিত্য রচনার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট Social, Political and Historical Context of John Dryden's Literature - Discussion in Bengali
২। ম্যাক ফ্লেকনো লেখার প্রেক্ষাপট ও অবস্থাঃ Context of Mac Flecknoe - Discussion in Bengali
৩। জন ড্রাইডেন এর জীবন ও কর্ম।
৪। Mac Flecknoe - John Dryden - Summary and Analysis - Bengaliআরো ভালোভাবে বুঝতে হলে পড়ুনঃ
১। ড্রাইডেনের সাহিত্য রচনার সামাজিক, রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট Social, Political and Historical Context of John Dryden's Literature - Discussion in Bengali
২। ম্যাক ফ্লেকনো লেখার প্রেক্ষাপট ও অবস্থাঃ Context of Mac Flecknoe - Discussion in Bengali
৩। জন ড্রাইডেন এর জীবন ও কর্ম।
good discussion about absalom and achitophel !
ReplyDeleteOwsam
ReplyDeletenice
ReplyDeletecomprehensive discussion
ReplyDeleteYour description is so sophisticated.
ReplyDelete