Twicknam Garden - John Donne - Bangla Summary and Analysis
“Twicknam Garden” কবিতাটির সংগঠনের স্থান হল তার নামের মাঝেই উল্লেখ করা হয়েছে। এই স্থানটি দক্ষিন-পশ্চিম লন্ডনের একটি শহরতলী এলাকায় অবস্থিত। কবিতার ছন্দশৈলী অনেকটা রীতিবিরুদ্ধ। অনেকটা যেন অনিয়মিতকে নিয়মিত করা হয়েছে। কোন স্তবকেই কবিতার চরনগুলোর নিয়মিত কোন ছন্দ দেখা যায় না। কিন্তু এই অনিয়মিত ছন্দ কবিতার তিনটি স্তবকেই হুবহু একই রকম। কবিতার প্রতিটি স্তবকেই মিলবিন্যাস বা ছন্দবিন্যাস “কখকখখগগঘঘ” ।
কবিতার বক্তার হৃদয় ভেঙ্গে গিয়েছে। তিনি অন্তরের প্রশান্তির জন্যে এই বাগানে আসেন। কিন্তু তার ভগ্ন হৃদয়ে বাগানটিকে আরো অদ্ভুত মনে হয়। তার কাছে মনে হয় গাছের পাতা গুলো তাকে দেখে যেনো হাসছে আর ঠাট্টা বিদ্রুপ করছে। তাই কবি এই ধরনের বাগানের বদলে এমন এক ধরনের বাগান চান যার কোন অনুভূতি নাই যাতে করে তিনি এই দুষ্ট চক্র থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
কবি রমণীকুলের ভিন্নধর্মী
এবং
স্বভাবজাত
বিষয়টি
তুলে
ধরার চেষ্ঠা করেছেন। কবিতাটি
প্রেমের কবিতা
হলেও
এটিকে
ভালোবাসার
দীর্ঘশ্বাসও
বলা
যেতে
পারে।
কবি
বাগানে
এসেছেন বসন্ত
খুঁজতে
হতাশা
আর
বেদনার
অশ্রু
ধারণ
করে।
কবি
বলেন
তিনি
তার
হৃদয়ে বিশ্বাসঘাতক
ভালোবাসা
লালন
করে
এসেছেন,
যা
ঘন
ঘন
রূপ
বদল
করে।
স্বর্গীয় বিষয়কে
ভরে
দেয়
বিষাদে। নারী হৃদয় স্পষ্টভাবে দেখার ক্ষমতা নেই বলে বক্তা বিলাপ করেন।
কবি
বলেন
শীতকালই
তার
জন্য
ভালো
ছিল,
এটা
হলে বরফে
ঢেকে
যেত
বৃক্ষগুলো,
যেগুলো
আর
কবির
দিকে
তাকিয়ে
বিদ্রুপ
করতে
পারত কবি
এখানে
ভালোবাসা
দ্বারা
প্রত্যাখাত
হয়ে
বাগানে
এসেছিলেন
শান্তি
খুঁজতে। তিনি
প্রেমিকদের
উদ্দেশ্য
করে
বলেছেন,
তোমরা প্রেমিকের
চোখের
পানি
নিয়ে
গিয়ে নিজের
স্ত্রীর
চোখের
অশ্রুর
সাথে
মেলাও
দেখবে
সেটাই
খাটি
অশ্রু,
তাতে
কোনো
খাদ নেই।
কবি
বললেন,
নারীদের
চোখের
জল
দ্বারা
তাকে
বিচার
করতে
যেয়ো
না।
বিচার করতে
হবে
তার
ভালোবাসার
গভীরতাকে।
কবি
এ
কবিতায়
এটাই
বোঝাতে
চান
যে রমণীকুলকে
শুধু
অশ্রু
দ্বারা
বিচার
করলে
ভুল
হবে,
প্রেমিকার
হৃদয়
কতটা
প্রদান করেছে
প্রেমিককে
সেটাই
বড়ো
বিষয়। কবিতায় রমণী কুলের খাদযুক্ত
ভালোবাসার
দিকটি
তুলে
ধরেছেন
অত্যন্ত
বেদনার
সাথে।
কবি
যখন প্রেমে প্রত্যাখাত
হয়ে
এই
বাগানে
এসেছেন
বসন্ত
খুঁজতে, তখন
চোখে
তার
বেদনার
অশ্রুজল,
তার দীর্ঘশ্বাসে
বনের
বাতাস
যেন
ভারী
হয়ে
আসে।
কবি
বলেন
তার
হৃদয়ে
যে
ক্ষত
সৃষ্টি হয়েছে
তা
সারানোর
জন্য
কোনো
মলম
নেই,
কবি
বলেন,
বিশ্বাসঘাতকতা
যেন
তার হৃদয়কে
ক্ষতচিহ্নে
ভরে
দিয়েছে।
কবি
চারপাশে
তাকিয়ে
দেখেন
সবই
যেন
কেমন বিশ্বাসঘাতকতায়
ঘেরা,
সবই
যেন
পলকা
মাকড়সার
জাল,
যা
স্বর্গীয়
খাদ্যকে
বিষাক্ত করে,
স্বর্গীয়
চেতনা,
স্বর্গীয়
ভালোবাসার
মাঝে
কুঠারাঘাত
করে
এই
বিশ্বাসঘাতকতা। কবি
বেদনা
বোধে
আক্রান্ত
হয়ে
বৃক্ষের
কাছে
গেলে
বৃক্ষও
যেন
তার
সাথে
ব্যঙ্গ
করছে, কবি
মনে
করেন,
বসন্ত
নয়
শীত
নেমে
এলেই
ভালো
হতো,
গাছগুলো
ঢেকে
যেত বরফে
তাহলে
বৃক্ষরাজি
আর
ব্যঙ্গ
করতে
পারত
না
কবিকে
নিয়ে।
কবির
এক
সময় সখ্যতা
ছিল
বেডফোর্ডের
কাউন্টেস
লুসি
এর
সাথে,
লুসি
কর্তৃক
প্রত্যাখাত
হয়েই
কবি সম্ভবত
এ
কবিতা
রচনা
করেন। লুসির
প্রত্যাখ্যান
কবিকে
রীতিমতো
নারী বিদ্বেষী
করে
তোলে।
কবির
এই
রোষ
গিয়ে
পড়ে
সকল
নারী
জাতির
উপরে।
এখানে কবি
রমণীদের
চোখের
অশ্রুকে
বিশ্বাস
করতে
নিষেধ
করেছেন।
কবি
বলেন
ওদের অশ্রু
আঁটি
অশ্রু
নয়,
নিখাদ
প্রতারণার
অশ্রু।
কবি
প্রেমিকদের
উদ্দেশ্য
করে
বলেন, তোমরা
তোমাদের
প্রেমিকাদের
অশ্রু
গৃহে
নিয়ে
গিয়ে
নিজ
স্ত্রীর
অশ্রুর
সাথে
মেলাও দেখবে
তোমার
পত্নীর
অশ্রুটাই
খাঁটি
আর
সব
মেকি।
মোট
কথা
প্রেমে
প্রত্যাখ্যাত হতাশা
ভারাক্রান্ত
কবি,
নারী
জাতির
প্রতি
তাঁর
তীব্র
ক্ষোভের
প্রকাশ
ঘটিয়েছেন,
শেষে ফিরেছেন
নিজ
স্ত্রীর
কাছে
নিজের
স্ত্রীর
প্রেমই
যে
খাটি
এবং
নিখাদ
তা
প্রেমিকা
কর্তৃক আঘাত পাওয়ার পরে
অনুধাবন
করতে
পেরেছেন।
মোট
কথা
এ
কবিতায়
কবি
তার প্রত্যাখ্যাত মনের বেদনাভার
উজাড়
করে
প্রকাশ
করেছেন।
No comments:
Post a Comment